![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমারে তুমি অশেষ করেছো, এমনি লীলা তব— ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ, জীবন নব নব
কয়েকদিন আগে ক্লাস করছি। ম্যাডাম লেকচার দিচ্ছে। সময় দুপুর। হঠাৎ অসম্ভব প্রশ্রাবের বেগ। আমি ক্লাসে ডিস্টার্ব হবে মনে করে দরজার দিকে যাচ্ছি। এমন সময় ম্যাডাম বললেন, কোথায় যাচ্ছ ? উত্তরে বললাম, বাথরুমে যাচ্ছি। অবস্থা বেগতিক। তিনি অনুমতি দিলেন।
কঠিন অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে ক্লাসে ঢুকলাম। ম্যাডাম বললেন, ক্লাসে একজন শিক্ষক আছে আর তুমি অনুমতি নেবার প্রয়োজন বোধ করলে না ? ভবিষ্যতে অনুমতি নিয়ে যাবে। তখন ক্লাসের এক বন্ধু ম্যাডামকে বলল, আমাদের অন্য দু-একজন শিক্ষক ক্লাসে ডিস্টার্ব হয়, তাই অনুমতি নিতে মানা করেছেন। ম্যাডাম বললেন, আমি তো অন্য দু একজনের মতো বলিনি। আমার ক্লাসে অনুমতি নিয়ে যাবে।
বিষয়টি বুকের ভেতরটায় খচখচ করছিল। একজন ছাত্রের নিজের ইচ্ছেমতো বাথরুমে যাবার অধিকার নেই ? পায়খানা-প্রশ্রাব অতি মানবিক ব্যাপার। এই কাজটি করতেও আমাদের অনুমতি নিতে হয়! কঠিন অবস্থা। এটা শিশুতোষ ব্যাপারও হতে পারে।
আজ পর্যন্ত ছাত্র হিসেবে শিক্ষকদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করার চেষ্টা কখনো করিনি। যাদের কাছে অন্তত একটা শব্দ হলেও শিখেছি, আজ পর্যন্ত সম্মান দেবার চেষ্টা করি। অবশ্য যার কাছে কিছু শিখিনি, তাকে শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতেও খুব একটা ভালো লাগে না। আমি নিজেও একজন শিক্ষক পরিবারের ছেলে। আমার দাদা-আব্বা-আম্মা-চাচা-চাচী-ফুফা-খালু কেউ না কেউ শিক্ষক ছিল। শিক্ষকদের সম্মানের স্থানটা কতো উঁচু স্থানে, তা আমি বুঝি।
বাথরুমে যাবার অনুমতি চাওয়া নিয়ে আমার কোন প্রতিবাদ নেই। একজন শিক্ষক এটাকে অপরাধ মনে করছেন, এটা অপরাধ। ছাত্র হিসেবে তা আমার মেনে নিতেই হবে। ক্লাসে শিক্ষকদের হুকুমটাই মুখ্য।
পাদটীকাঃ খুবই বিনীতভাবে তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। এটা আমার একান্ত একটা ভাবনা, যা-তে আপনাদের মহান পেশাকে ছোট করার কোন দুঃসাহস নেই। আপনাদের পেশাটা মহান পেশা। আপনারা জ্ঞান দান করেন। তাও বলছি একটু আগে মনে হল, আমাদের দেশের কিছু শিক্ষক— ক্লাসে আসেন; বাথরুমে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করার জন্য।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: ইমো দেখে লেখাটা পড়েছেন কিনা বুঝতে পারছি না। ভালো থাকুন।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৪
অভিমানী হীরা বলেছেন: আজ কাল আমাদের স্যার দের মতি গতি বুঝা বড় কস্টের
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: যদিও আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, এখানে এ ধরণের নিয়ম থাকতেই পারে। তবুও একজন শিক্ষক পড়ানোর পাশাপাশি ক্লাসে আরেকটি কাজ করেন, বাথরুমে যাবার অনুমতি দেয়া— এরকম ভেবে কেমন জানি লাগল। ঠিক মেনে নিতে পারি না।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
রেহনুমা রিয়াজ বলেছেন: এতা পাররমিশন নিতেি হোবে। নাহোলে যদি গিয়ে আর ফেরত না আসে? বানক মারে যদি
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: এখন পারমিশন না নেবার একটা প্রচলন চালু হয়েছে। লেখায় বলেছি। ভার্সিটি লাইফে এসে গিয়ে ফেরত না আসার ব্যাপারটাও শিক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
☺ বলেছেন: বড় ক্লাসে আসলে এইগুলো মেইনটেইন করা ঠিক না।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। হাসিতে মুখর হোক জীবন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনুমতি তো অবশ্যই দরকার আছে।
আপনি কিছু না বলে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাবেন শিক্ষকের সামনে থেকে আর শিক্ষক কিছুই বলবে না এটা কেমন কথা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পারমিশন নেওয়াটা ভার্সিটি লাইফে টিচার্সের উপর নির্ভর করে।
২নং কমেন্টে আপনার প্রতিউত্তর-
তবুও একজন শিক্ষক পড়ানোর পাশাপাশি ক্লাসে আরেকটি কাজ করেন, বাথরুমে যাবার অনুমতি দেয়া
ব্যাপারটা হচ্ছে পড়ানোর পাশাপাশি ক্লাস নিয়ন্তা হিসেবেও একজন টিচার দায়িত্ব নেয়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: ভালো বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫
সুকন্যা ইলোরা বলেছেন: