![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগেই বলে নেই আমি কিন্তু ডাক্তার না ! ! !
অ্যালঝেইমার্স মস্তিস্কের একটি রোগ যার কারনে মানুষ কিছু মনে রাখতে পারে না।এর আরও কিছু লক্ষন হলো,কথা বলাতে সমস্যা,পরিচিত মানুষগুলোকে চিনতে না পারা,কোন কিছু চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি। পারিবারিক রোগের ইতিহাসে যদি অ্যালঝেইমার্স থাকে তাহলে পরবর্তী বংশধরদের ও এই রোগের ঝুকি বেড়ে যায়।ধারনা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি ৮৫ জনের মধ্যে ১ জন অ্যালঝেইমার্সে আক্রান্ত হবে। বয়সের সাথে সাথে অ্যালঝেইমার্সে আক্্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে,যদিও এর সঠিক কোন প্রতিষেধক নেই, তবে প্রাত্যহিক রুটিন বদলে নিয়ে এ রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য চেষ্টা করা যায় ঃ
এই রোগ থেকে থাকার জন্যে বদলে নিতে পারেন আপনার প্রাত্যহিক জীবনধারাঃ
১.প্রতিদিন নতুন কোন বিষয় পড়–ন অথবা নতুন কিছু শিখুন।খেলতে পারেন শব্দ খেলা যা আপনার মস্তিস্ক ব্যবহার হবে,কোন কিছু মনে রাখার অভ্যাস থাকবে, সেই সাথে ভালোলাগা ও কাজ করবে।
২.প্রতিদিন ইয়োগা করুন।সাম্প্রতিক কিছু গবেষনায় দেখা গেছে,সপ্তাহে ৫দিন গড়ে ৩০ মিনিট করে পরিশ্রম, অ্যালঝেইমার্সের ঝুকি ৫০% কমিয়ে দেয় ।যদি আপনার হার্টের সমস্যার কারনে বেশি পরিশ্রমে বাধা থাকে তবে প্রশিক্ষিত কোন ইয়োগা প্রশিক্ষক এর কাছে ইয়োগা প্রশিক্ষন নিয়ে বাসায় ইয়োগা চালিয়ে যেতে পারেন।
৩.স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান।প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মাছ,ফলমূল,বাদাম এবং প্রচুর শাক-সবজি রাখুন।যদি মাছ খেতে ভালো না লাগে তবে বাজারে এখন বিভিন্ন মাছের তেল ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায় সেটাও খেতে পারেন যেন ্আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও ¯েœহ পদার্থের চাহিদা মিটে।
৪.পর্যাপ্ত ঘুমে অ্যালঝেইমার্সের ঝুকি কমায়।খুব বেশি ঘুম অথবা ঘুম কম হওয়া কোনটাই শরীরের জন্যে ভালো নয়।যদি আপনার ঘুমের সমস্যা থাকে তবে প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যেয়ে ঘুমাবার চেষ্টা করুন।তাহলে আপনার শরীর নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমে অভ্যস্ত হবে।বিকেলের পর চা/কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
৫.অতিরিক্ত টেনশান করা থেকে বিরত থাকুন। অতি টেনশান শরীরের ¯œায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অ্যালঝেইমার্সের ঝুকিঁ বাড়ায়।মনের প্রফুল্লতার জন্যে ভালোলাগার কাজ গুলো করতে পারেন,বাগান করতে পারেন আর যথেষ্ট জায়গার অভাব থাকলে বাড়ীর ছাদ অথবা বারান্দায় গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করুন।পরিবেশ এ উন্নয়ন হবে আবার আপনার মনও সতেজ ও প্রফুল্ল থাকবে।
৬.পরিবারের সাথে বেশী বেশী সময় কাটান,সময় করে সবাই মিলে বাহিরে বেড়াতে যান মাঝে মাঝে এতে আপনার পারিবারি বন্ধন দৃঢ় হবে,আপনি ও ভালো থাকবেন।বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন নিজেকে,যখন সময় পান দেখা করুন তাদের সাথে অথবা ফোনের মাধ্যমেই কথা বলুন।চাইলে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে পারেন।
সর্বোপরি নিজেকে ছড়িয়ে দিন সবখানে,সামাজিক হবার চেষ্টা করুন,মানুষের জন্য মানুষের সাহচর্য সবচেয়ে বেশী কার্যকর। অ্যালঝেইমার্স দূরে থাকুক আপনার কাছ থেকে।
(বিদেশী ব্লগ অবলম্বনে)
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৫৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ভালো একটা স্বাস্থ্য সচেতনামুলক পোষ্ট। রোগটায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর উপায়গুলো বাৎলে দিয়ে ভালো করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নিহারিকা।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫
বৃষ্টিধারা বলেছেন: আমি জানি এ ব্যাপারে অনেক কিছু । আমার শ্বশুড় মারা যান এই রোগেই । উনার কিছু মনে ছিলো না তাই উনি বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন । এরপর,কিছু ই খেতে চাইতেন না .......অনেক কষ্টকর সময় গেছে চোখের সামনে দিয়ে ।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
সুফিয়া বলেছেন: আমি এরকম একজন রুগীর প্রত্যক্ষদর্শী। আমার শ্বশুর ৯৪ বছর বেঁচে ছিলেন। শেষ ২/৩ বছর উনি এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সবকিছু ভুলে যেতেন। মাঝে মাঝে আমাদের কাউকে চিনতেন না। আবার হঠাৎ করে চিনতেন। শিশুদের মতো আচরণ করতেন। আমরা বেশ মজা করতাম উনাকে নিয়ে। পাশাপাশি উনার চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু ডাক্তাররা বলে দিয়েছিল যে এ রোগ একদম সারবার নয়।
ধন্যবাদ বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১০
আম্মানসুরা বলেছেন: প্লাস
৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
িনহািরকা বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ ............
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
দরকারী পোষ্ট +++