![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবন পরিবর্তিত হয় । এই পরিবর্তিত জীবনের একটি স্থির খণ্ড-চিত্র অন্যের সামনে উপস্থাপন করা প্রতারনার সামিল । তাই এভাবে আমি নিজেকে ও অন্যকে ঠকাতে চাইনা। তদুপরি আমি নিজেকেই তো সম্পূর্ণ জানিনা।কেননা আমার জীবনের কিছু স্মৃতি স্পষ্ট ,কিছু অস্পষ্ট আর কিছু উহ্য । এই উহ্য স্মৃতিটুকু আমি কখনোই ফিরে পাবোনা। তাই স্পষ্ট আর অস্পষ্ট স্মৃতির মধ্যে সমন্বয় করে ভালো অংশটুকু অন্যের সামনে উপস্থাপন করা কি প্রতারনা নয়? এরপরও আমার জন্য আশার বাণী হল আল্লাহর নিকট আমার সমস্ত জীবনই সংরক্ষিত । এটা ইহকালিন জীবনে কাজে না লাগলেও পরকালিন জীবনে বৃথা যাবেনা। তাই অস্পষ্ট ও হারানো স্মৃতি নিয়ে আমার কোন আফসোস নেই। আমি অতীত থেকে শিক্ষা নিতে রাজি কিন্তু অতীত নিয়ে বাঁচতে রাজি নই। এসব কিছুর পরও প্রতারনাহীন নিরেট সত্য কথা হল; আমি একজন মুসলিম।আল্লাহকে আমি কতটুকু ভালবাসি জানিনা, তবে তিনি যে আমাকে সীমাহীন দয়া, ভালোবাসা আর অনগ্রহ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই। রাসুল (সঃ) আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি। অন্যান্য নবী, সাহাবী ও হক্কানি আলেমগন আমার অনুসরনীয় ব্যক্তি। বাবা-মা আমার অনুপ্রেরণাদাতা। আর সকল মানুষ (হোক সে বিখ্যাত, অখ্যাত কিংবা কুখ্যাত ) আমার দিক নির্দেশক। আমি কী ভালোবাসি কী পছন্দ করি সেটার হিসেব দেয়া বেশ কষ্ট সাধ্য। কিন্তু কী ভালোবাসি না , পছন্দ করি না সেটার হিসেব দেয়া বেশ সহজ। তবে সেটাও পরিবর্তনশীল। আমার জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলব- আমি কিছুই হতে চাইনা। কারন আমার জীবনের দৈর্ঘ্য যদি কয়েক হাজার বছরও বাড়িয়ে দেয়া হয় তারপরও জ্ঞান-সমুদ্রের শুধু নুড়িই আহরণ করতে পারব; অবগাহন তো দুরের কথা। তবে আমি কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাই। যেমনঃ ধর্ম, সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি । আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হল- আমি আমার নামেই পরিচিত হতে চাই। কারো আশ্রিত এমনকি তুলনীয় হতে চাই না। ‘আমি শুধু আমিই’ হতে চাই। যেহেতু পৃথিবীতে একবারের জন্য এসেছি, সেহেতু আমার অস্তিত্বের চিহ্ন স্বরূপ ধরার বুকে দাগ কেটে যেতে চাই।
কুরবানী-মৃত পশুর রক্তের বহমান স্রোত দেখে উল্লাসের নাম নয়। কুরবানী-একটি জীবন্ত জীবের পতন ঘটানোর নাম নয়। কুরবানী-রক্তের হেলিখেলার মধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশের নাম নয়। কুরবানী হচ্ছে-মহান আল্লাহর একটি হুকুমের নাম, একটি আদেশের নাম, একটি নির্দেশের নাম।
কুরবানী একটি আনন্দের নাম-মহান আল্লাহর হুকুম সুন্দরভাবে পালন করা ও নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মহান আল্লাহর প্রতি বিনয়ী হিসেবে প্রকাশ করা; আনন্দ এজন্যই। আবার কুরবানী একটি বেদনার নাম-মাহান আল্লাহর রাহে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে সঁপে দেয়ার নিমিত্তে প্রিয় পশুটাকে কুরবানী করা; বেদনা এজন্যই।
আনন্দ-বেদনার মাঝামাঝি কুরবানীর অবস্থান। আর সেটাই হচ্ছে প্রকৃত কুরবানী। ধনী-গরিব, পাড়া-প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে কুরবানির পশু ভাগাভাগি করে আনন্দ উৎযাপনের পাশাপাশি কুরবানীর পশুর প্রতি একটু সমবেদনা থাকা উচিত। একটু দুঃখবোধ থাকা উচিত। আর ‘সমবেদনা’ প্রকাশ পাবে যখন আমরা কুরবানির পশু জবাইয়ের প্রাক্কালে হুড়োহুড়ি না করে শান্ত-শিষ্ঠভাবে আল্লাহর হুকুম স্মরণ করে জবাই করব। কুরবানীর পশুটিকে জবাইয়ের পূর্বে টানাহেঁচড়া না করে স্বাভাবিকভাবে যথাসম্ভব অল্প ব্যথার মাধ্যমে জবাইয়ের কাজ সম্পন্ন করব।
কুরবানীর পশু আমাদের শত্রু নয়; অতএব পশু জবাইয়ের সময় কিংবা পরে উল্লাস প্রকাশ করার মধ্যে কোন মানবতা নেই, কোন সার্থকতা নেই। মনে রাখা উচিত; কুরবানী হচ্ছে ‘প্রত্যেক ব্যাক্তির পুত্রের বদলা’। কেননা কুরবানীর শুরু হয়েছিল সেভাবেই। হযরত ইসমাইল (আঃ) এর পরিবর্তে জান্নাতী দুম্বা কুরবানী হয়েছিল। আর সেই কুরবানী ছিল-হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কর্তৃক মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও হযরত ইসমাইল (আঃ) এর বদলা। যেহেতু আমাদের হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মত সাহস ও ক্ষমতা নেই, তাই আমাদের জন্য এই সহজ ব্যবস্থা।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
নেছার উদ্দীন আহমদ বলেছেন: তাই নাকি! সৃষ্টিকর্তা জীবন দিয়েছেন; তিনি যেভাবে ইচ্ছা জীবন নিবেন। কিন্তু আমরা??? আমরা কি মুরগীগুলোর জীবন দিয়েছি? কিংবা মুরগীর স্বাভাবিক মরণ হতে দিচ্ছি? আর জঙ্গলের প্রানীগুলোর কথা কী বলবেন? জঙ্গলে তো সব প্রানী স্বাভাবিকভাবে মরে; তাই না? ও আরেকটি কথা-গাছ তো প্রানহীন, তাই না? গাছের কি জীবন আছে?
আহা! আপনাদের জন্য আমার কষ্ট লাগে; আপনারা যে কি খেয়ে বাঁচেন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সৃস্টিকর্তা কোন কারণে সামান্য একটির প্রাণ নিতে চান? এটা লজিক্যাল হতে পারে না; উনার সৃস্টিকে উনি জীবন দিয়েছেন স্বাভাবিক মরণের জন্য।