নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইখওয়ান আল সাফা : রহস্যময় এক দার্শনিক গোষ্ঠী !!

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৪


ইখওয়ান আল সাফা


আরবের আব্বাসীয় শাসনামলে মুসলিমদের মধ্যে দর্শন আর বিজ্ঞান কতটা প্রাধান্য পেয়েছিল তা ইতিহাস ঘাঁটলেই আমরা জানতে পাই । সেই সময়ের গ্রীক দর্শনের সংস্পর্শে অনেক মনীষীর উদ্ভব দেখা যায় যাদের নাম আজও ইতিহাসে সমুজ্জ্বল ! তবে তারা গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন এমনটা জানা যায় না । হ্যাঁ মুতাজিলা নামের একটি গোষ্ঠীর নাম জানা গেলেও তারা ধর্মীয় নীতি নির্ধারণের গোষ্ঠী নামেই বেশি পরিচিত । তারা বেশি সমালোচিত ও বিতর্কিত ধর্মীয় আচারের বৌদ্ধিক ব্যাখ্যা দানে । যুক্তিবিদ্যাকে অনুসরণ করে ধর্মকে ব্যাখ্যা করাই ছিল এদের কাজ । ধর্মের সব কিছুকে এরা যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করতে চাইত আর যুক্তির বাইরে কিছু নেই বলে তারা বিশ্বাস করত ।


স্বতন্ত্র্য অনেক দার্শনিক দেখতে পাওয়া গেলেও সে সময়ে একটি দার্শনিক গোষ্ঠী ছিল যারা নিজেদের একদম নেপথ্যে রেখেই তাদের দর্শন আর মত প্রকাশ করেছিল । তাদের গতিবিধি এতটাই গুপ্ত ছিল যে তাঁদের উদ্দেশ্য, তাঁদের কর্ম আর তাঁদের পরিণতি কী হয়েছিল তা জানা যায়নি । তাদের সম্পর্কে সমসাময়িক যা জানা যায় তা নগন্য । তাঁদের রচিত ৫২ খণ্ডের প্রবন্ধগুচ্ছ বাদে আর কিছুই নেই যে তাঁদের চিহ্ন বহন করে এবং তাদের সম্পর্কে অতিরিক্ত কিছু বলে । আজও জ্ঞান সমাজে তারা এক রহস্য হিসেবেই পরিচিত । আর আজও তারা বেশ কৌতুহলোদ্দীপক বলে বিবেচিত হয় ইতিহাস অনুসন্ধানীদের কাছে ।


আর তারা হলেন , ইখওয়ান আল সাফা । যারা পাশ্চাত্যে Brethren Of Purity বা শুদ্ধতার সংঘ নামে বেশি পরিচিত ।


ইখওয়ান আল সাফা
ইখওয়ান আল সাফা , পুরো নাম ইখওয়ান আল সাফা ওয়া খুল্লান আল-ওয়াফা ওয়া আহল আল-হামদ ওয়া আবনা আল মাজদ্ । এই নামের উৎপত্তি নিয়ে বেশ কয়েকটি মতবাদ আছে । হাঙ্গেরিয়ান ইসলাম-পণ্ডিত ইগনাক গোল্ডযিহারের মতে এই নামটা তারা নিয়েছিল ভারতীয় একটি উপকথা থেকে । গল্পটি ছিল কালিলাহ ওয়া দিমনা নামক গ্রন্থের ( ভারতে যা পঞ্চতন্ত্র নামে পরিচিত ) । গ্রন্থটি ইসলামের প্রচারের পূর্বে পাহলভি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল পরে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন ইবনে আল মুকাফ্ফা । গল্পটি হলো এক বারবারিয়ান ঘুঘু আর তার বন্ধুদের নিয়ে যাদের গল্পে বলা হয়েছে ইখওয়ান আল সাফা বা শুদ্ধতার সংঘ । গল্পের এই নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই নাম রেখেছে বলে মনে করেন ইগনাক গোল্ডযিহার । আবার এদিকে নিকলসন ও লেভী ইবনে কিফতির বরাতে মত দিয়েছেন যে তারা মনে করত যে এই গোষ্ঠীর সময়ে তাঁদের ( ইখওয়ান আল সাফা )মতে শরীআহ ধূললণ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল অজ্ঞতা আর ভ্রষ্টতার কারণে , তাঁরা ছিলেন শুদ্ধতার সারথি তাই তাঁদের এই নাম । আবার তিবায়ির মতে তাঁদের এই নামের পেছনে কাজ করছে সূফিবাদের প্রতি প্রবণতা , কারণ সাফা আর সূফি শব্দদয়ের ধাতু প্রায় একই !!


কালিলাহ ওয়া দিমনা গ্রন্থের একটি পাতা


ইখওয়ান আল সাফার সদস্যরা নিজেদের পরিচয় সব সময় গোপন রেখেছিল যদিও তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম আবু হায়ান আর আব্দুল জব্বার নামক দুই সমসাময়িক ব্যক্তি তাদের গ্রন্থে প্রকাশ করেন। তারা সকলেই বসরায় বসবাস করতেন । তাদের এক প্রবীণ সদস্য জায়িদ বিন রিফার বাড়িতে তারা ১২ দিন পর পর একবার মিলিত হতেন । আর তাঁদের সভায় তারা অধিবিদ্যা আর গুপ্ত বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতেন । এছাড়াও আলাদাভাবে আরও সভা হত যেখানে যুবকদের দীক্ষা দেবার জন্য সভা অনুষ্ঠিত হত । মাঝে মাঝে সভায় আমন্ত্রিতদের গান নাচ , মদ্যপান সহ আরও অনেক কিছু উপভোগ করতে দেয়া হত , যাতে ইখওয়ান আল সাফাদের পরোক্ষ প্ররোচনা ছিল ।


তারা সদস্য সংগ্রহ করত নিজেদের মধ্যে গোপনে যোগাযোগ করে । ঢালাওভাবে তারা সদস্য সংগ্রহ করতেন না । তাদের সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংগ্রহকারীদের বলা হত সবচেয়ে বেশি মনযোগ দিতে যুবকদের প্রতি । কারণ বয়স্ক সদস্য বেশি হলে এদের দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় না । বার্ধক্যের কারণে এরা সব ধরনের আন্দোলন বা গুপ্ত কাজ করতে পারবে না । আবার যুবকদের সহজে অনুপ্রাণিত করা যায় এবং এদের দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কাজও করা যায় তাছাড়া এরা বেশি দীক্ষিত হয় বলে উদ্দেশ্য জীবিত থাকে দীর্ঘ সময় ধরে ।


এদের দলের সদস্যদের চার শ্রেণীতে বিভক্ত করে রাখা হত । শ্রেণী বিভাগটা হত বয়সের দ্বারা । একদম নিম্ন শ্রেণী ছিল যারা ১৫ বছরের বেশি তবে ৩০ বছরের কম । এর ওপরের শ্রেণী ছিল যারা ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে । দ্বিতীয় শ্রেণী ছিল ৪০ থেকে ৫০ বছরের সদস্যরা । আর একদম প্রথম শ্রেণীরা ছিলেন ৫০ বছরের বা তার চেয়ে বেশি বয়সের সদস্যরা । এরা ছিল এই গোষ্ঠীর পরিচালক । কারও কারও মতে এদের যিশু বা বুদ্ধের মত সম্মানিত বলে মনে করা হত !


গোষ্ঠীর প্রথম দিকে সবার ব্রহ্মচার্য পালন করার রীতি ছিল কিন্তু পরেরদিকে এই অসম্ভব রীতিকে বিলুপ্ত করা হয় ।

এদের মতবাদ , মন্তব্য এবং আলোচনা লিপিবদ্ধ করে ৫২ টি খন্ডে প্রকাশ করেন তারা , যা গ্রন্থ বিক্রেতার কাছে পৌঁছানো হত একদম গোপনীয়তার সাথে অথবা বলা যায় গ্রন্থবিক্রেতারাই তাঁদের পরিচয়টা গোপন রাখত । এই ৫২ টি খন্ডকে বলা হয় রাসাইল বা পত্র অথবা বলা যায় প্রবন্ধগুচ্ছ । খণ্ডগুলো রচনার ক্ষেত্রে তারা কোরাণ , প্লেটো ,পিথাগোরাস , এরিস্টটল ও প্লুটোনিয়াসের গ্রন্থ থেকে সাহায্য নিয়েছিল বা অনুপ্রাণিত হয়েছিল । ৫২ টি খণ্ড জুড়ে আলোকপাত করা হয়েছে:

* বিজ্ঞানের শ্রেণীকরণ ( গণিত , পদার্থবিদ্যা )
* প্রকুতি ও বিজ্ঞান
* অধিবিদ্যা
* মনস্তত্ত্ব
* জ্ঞানের তত্ত্ব
* ধর্ম
* রাজনীতি
* শিক্ষা
* এবং নীতিবিদ্যা নিয়ে ।

রাসাইল

সময়কাল:

ইখওয়ান আল সাফা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা জানা যায় না । তাদের অবস্থিত সময়কাল কত তাও জানা যায় না নিশ্চিত করে । কারণ তেমন লিখিত কিছুই নেই যার থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তারা নির্দিষ্ট সেই বছর থেকে অমুক বছর পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়েছিল । তবে পি.কে হিট্টি তার “আরব জাতির ইতিহাস” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে সালটা ৯৭০ । ওদিকে আবার মোঃ আব্দুল হালিম তার গ্রন্থ “মুসলিম দর্শন: চেতনা ও প্রবাহ” – এ উল্লেখ করেছেন যে সময়কালটা ছিল ৯৮০ সালে । এছাড়াও সিরিয়ার আরব একাডেমির ডক্টরেট সদস্য ওমর ফারুকের মতে তাদের ৯৮৩ সালে উদ্ভব হয় । নির্দিষ্টভাবে কোন অনুমানকে একপাক্ষিক মেনে নেয়া যায় না , সব মতেই কিছুটা বিভ্রান্ত আছেই । আর এসব বিভ্রান্তি এড়াতে নির্দিষ্ট কোন বছরকে অনুমানা না করে বিশেষজ্ঞরা এটা মেনে নেন যে তাঁদের সময়কাল হলো দশম শতকের শেষার্ধে , মানে ৯৫০ থেকে ১০০০ সালের মধ্যের কোন এক সময়ে তারা তাদের লিখা রচনা করেছিলেন । আর এটাই মেনে নেন অনেকে ।


উৎসগত জটিলতা :

ইখওয়ান আল সাফাদের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় আবু হায়ান আল তাওহিদি থেকে । তৎকালিন এক উজির ইবনে সাদান , যার কার্যাকালের সময় ছিল ৯৮০ থেকে ৯৮৬ সাল পর্যন্ত । তাওহিদির সাতে তার আলাপচারিতার কথা তার ( তাওহিদি ) রচিত গ্রন্থ “ কিতাব আল ইমতা ওয়াল মুআনাসা ”- তে বর্ণিত আছে । উজির ইবনে সাদান তাকে জিজ্ঞেস করেন যে সরকারি সচিব জায়িদ ইবনে রিফার সম্পর্কে তাওহিদির মত কী ? উজির ইবনে সাদানের কাছে তাঁকে তীব্র অহমিকায় ডুবে থাকা দাম্ভিক মানুষ বলে মনে হয় । তাওহিদি বলেন যে জায়িদ ইবনে রাফা হলেন বেশ বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মানুষ । জায়িদ কেবল একজন জ্ঞানী মানুষ নন তিনি বেশ প্রতাপশালীও বটে , কারণ জায়িদের সুপারিশের কারণে ইবনে সাদান তার উজিরের পদ পেয়েছেন ।


এসব জানার পর উজির ইবনে সাদান তাকে জায়িদের মাজহাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তাওহিদি বর্ণনা করেন যে , তাকে সাধারণভাবে কোন মাযহাব পন্থি বলে চিহ্নিত করা যায় না । তার মনের ভেতরে কী আছে তা কেউ জানে না । বুঝতে পারে না তার হালচাল । সে থাকে বসরায় অনেক কাল ধরে বসবাস করে আসছেন । সেখানে তার একটি গোষ্ঠী আছে যারা সব ধরনের বিজ্ঞান ও জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতি নিবেদিত প্রাণ । তাঁদের মধ্যে আছেন আবু সুলায়মান মোহাম্মাদ ইবনে মাশার আল বাসতি যিনি আল মাকদিসি নামে বেশি পরিচিত । এছাড়াও আছেন আবুল হাসান আলী ইবনে হারুণ আল জানজানি , আবু আহমেদ আল নাহরাজুরি , আল আওফি এবং প্রমুখ । তারা নিজেদের মধ্যে নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করে এই দাবি করে যে তারা আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার যোগ্য এবং তারাই বেহেশত জয় করবে । তারা নিজেদের মতবাদ ৫২ টি প্রবন্ধে রচিত করেছেন এবং এর নাম দিয়েছেন , “ রাসাইল আল ইখওয়ান আল সাফা ” ।



তাওহিদির এই বক্তব্য বাদেও তার ওস্তাদ ও বন্ধু আবু সুলায় মান আল মানতিকির থেকেও অনেকটা জানা যায় । মানতিকি রচিত সিওয়ান আল হিকমাহ নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে ৫২টি প্রন্ধ যা রাসাইল ইখওয়ান আল সাফা নামে পরিচিত তা আসলে কোন গোষ্ঠী লিখেনি লিখেছেন একজন বিজ্ঞবান মানুষ যার নাম আবু সুলায়মান মোহাম্মাদ ইবনে মাশার আল বাসতি ওরফে আল মাকদিসি । তিনি গোষ্ঠী নিয়ে কিছুই বলেননি কেবল রাসাইল নিয়েই আলোচনা করেছেন । তার রচনা থেকে গোষ্ঠী সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না । সম্ভবত তিনি বলতে চেয়েছিলেন যে ইখওয়ান আল সাফা বলে কোন গোষ্ঠী নেই ।


তৃতীয় এবং শেষ যে রচনা থেকে এই গোষ্ঠী সম্পর্কে জানা যায় তা হলো একজন মুতাজিলা কাজী আবদউল জব্বারের গ্রন্থ “ তহবিত দালা’ইল ওয়া নুবুয়্যাহ্ ” । তিনি তার এই গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে ইসমাঈলি শিয়াদের একটি গুপ্ত গোষ্ঠী আছে যাদের মধ্যে প্রধান হলেন কাজী আবুল হাসান আলী ইবনে হারুণ আল জানজানি আর তার অনুসারিদের মধ্যে তিনি যাঁদের নাম উল্লেখ করেন তারা হলেন , সচিব জায়িদ ইবনে রিফা , আবু আহমেদ আল নাহরাজুরি , আল আওফি এবং সচিব ও জ্যোতির্বিদ আবু মোহাম্মদ ইবনে আবুল বাঘল । তারা সবাই বসরায় বসবাস করে এবং নিজেদের গুপ্ত রেখে তারা এই প্রচার করতে চায় যে ইসলামের নবী মোহাম্মদ সাঃ আসলে একজন ধরিবাজ এবং তার এই ধর্ম এখন শেষের পর্যায়ে চলে এসেছে , এই ধর্ম বিলুপ্ত হবেই হবে ( তার এই মতটি সত্য নয় বলে মনে হয় কারণ ইখওয়ান আল সাফার রচিত প্রবন্ধ তা প্রমাণ করে না )। তিনি নির্দ্ধিধায় এই বলে তাঁদের স্বীকৃতি দেন যে তারা হল ইসলামের শত্রু । ইখওয়ান আল সাফাকে নিয়ে তিনি বিষোদগার করলেও , তাদের রচিত সেই ৫২ টি প্রবন্ধ নিয়ে তিনি কোন আলোচনা করেননি ।


এই তিনটি উৎস বাদে সমসাময়িক আর কোন উৎস থেকে তাদের নিয়ে আর কোন কিছু জানা যায় না । তিনটি উৎসের তথ্যের মধ্যে কোন না কোন দিক থেকে তাদের তথ্যের অমিল আছে । তিনটি উৎসই তাঁদের নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছে । আর এজন্যই তাঁদের উদ্দেশ্য আর গতিবিধি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটে না ইতিহাস অনুসন্ধানীদের মধ্যে । উৎসগত তথ্যের এই ভিন্নতার জন্য তারা আরও বেশি রহস্যময় হয়ে আছে জ্ঞান সমাজে !


ইখওয়ান আল সাফাদের রাজনীতি ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি

ইখওয়ান আল সাফাদের রচিত প্রবন্ধগুচ্ছতে সমসাময়িক বিজ্ঞান আর দর্শন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । তার সাথে সেই সময়ের রাজনীতি ( ঠিক রাজনীতি বলা যায় না , বরং বলা যায় শাসক কেমন হবে সেই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ) এবং তাদের ধর্মের প্রতি মনোভাব উঠে এসেছে ।

রাজনীতির প্রতি সরাসরি এদের কোন মনোভাব ছিল না । আবার বলা যায় এরা রাজনীতি নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে আসতে চাইছিল না । এর পেছনে হতে পারে গ্রীকদেশীয় হালচালের সাথে আরবের রাজনীতির সমন্বয় করতে না পারার অক্ষমতা । রাজনীতি নিয়ে তাদের সরাসরি বক্তব্য না পাওয়া গেলেও কেমন মানুষকে শাসক হতে হবে সেই নিয়ে তাঁদের মত আছে । তাঁদের মতে যে ব্যক্তি শাসক হবেন তাঁকে আগে নিজের জৈবিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করবার ক্ষমতা থাকতে হবে । কারণ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে না যে সে কখনওই অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না । তাই শাসককে হতে হবে জিতেন্দ্রীয় ।


যিনি শাসক হবেন তিনি তার সন্তান এবং ভাইদের ন্যায্য অধিকার প্রদান করবেন এবং তাঁদের প্রতি এমন নীতি বজায় রাখবেন যে তাদের মধ্যে যেন তার প্রস্থান ব্যতীত কোনবিশৃঙ্খলা দেখা না দেয় । এছাড়াও তিনি তাঁর কর্মচারী , কর্মকর্তা ও দাসদের প্রতি সদয় হবেন । তবে এমন হবেন না যে যাতে করে তাঁর দুর্বলতা তাদের সামনে প্রকাশিত হয় । তিনি এমনভাবে বন্ধু বাছাই করবেন যে তারা যেন তার প্রতি আনুগত্য রাখে এবং তিনি তাঁদের প্রতি এমন আচরণ করবেন যে তারা যেন তার গোপনীয়তা না জানে । এছাড়াও তার আত্মীয়রা যদি তার প্রতি আনুগত্য না রাখে তবে তাদের প্রকাশ্যে ত্যাজ্য করা উচিত । তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে ।


রাজনীতি নিয়ে তাদের মত না থাকলেও রাজনীতির অন্যতম অংশ শাসককে নিয়ে তাদের মত । শাসন কেমন হবে তা নিয়ে বক্তব্য হলো শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে ধর্ম ও রাজার মাধ্যেমে । জ্ঞানীদের কর্তৃক শাসন অসম্ভব , কারণ জ্ঞানীদের কর্তৃক শাসন করতে হলেও একজন রাজা থাকা আবশ্যক । মানে রাজাহীন কোন শাসন প্রথাকে তারা সমর্থন করত না । তবে একজন রাজাকে কেমন হতে হবে তা নিয়ে তারা বলেছেন রাসাইলে ।


ধর্ম নিয়ে তাঁদের অভিমত হলো ধর্ম একটি প্রয়োজনীয় বিষয় । সামাজিক প্রথা , শাসনের নীতি, মানুষের প্রচলিত রীতি পালনে এবং আত্মার পরিশুদ্ধের জন্য ধর্মের গুরুত্ব অস্বীকার্য নয় তাঁদের মতে ! তাঁদের মতে ধর্মীয় আচার তৈরী হয় সেই সময়ের জ্ঞানী মানুষ কর্তৃক এবং তা তারা করে জাতির কল্যাণে । কিন্তু তারা বলেন যে ধর্মের যেসব অধিবিদ্যাগত বিষয় বর্ণিত আছে পবিত্র গ্রন্থে, যেমন- আদম , শয়তান ,ফেরেশতা , হাশর , জান্নাত , জাহান্নাম , তিন এর জ্ঞান এসবকে উপলব্ধি করতে হবে রূপকভাবে । আর যেহেতু আপামর সাধারণ মানুষেরা এসব বুঝতে পুরোপুরি বুঝতে অক্ষম তাই তারা এক্ষেত্রে এসবকে উপলব্ধি করবে আক্ষরিক ও পার্থিবভাবে ।

ইখওয়ান আল সাফারা কোন নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি সন্তুষ্ট ছিল না বলে জানা যায় । মানে কোন একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে অনুসরণ করতে কোন মন্তব্য করেনি । তাঁদের মতে সব ধর্মের মধ্যে কিছু না কিছু সত্য নিহিত আছে । আর মানুষকে তার ধর্ম পালনে এবং ধর্ম বাছাইতে স্বাধীনতা দেয়া উচিত বলে তারা মনে করে । এমনকি মানুষের ধর্ম ত্যাগেও স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা । ধর্মের মধ্যে কোন বাধ্যবাধকতা আছে বলে তারা মনে করতেন না । বরং তারা মনে করতেন ধর্ম হলো এমন জিনিস যা হৃদয়ের সাথে সম্পৃক্ত । বাধ্যবাধকতা তো ধর্মীয় আইন দিয়ে গঠিত হয় ! ধর্মীয় আইন মূলত কিছু সামাজিক নীতি যা সমাজের কল্যাণে পালন করা হয় !

কোন ধর্ম নিয়ে তাঁদের সুপারিশ না থাকলেও ইসলাম নিয়ে তাদের মতের ক্ষেত্রে বলা যায় তারা ইসলামের প্রশংসা করেছেন । ইসলাম নিয়ে তাঁদের মতামত হলো , এটি বর্তমান সকল ধর্মের চাইতে অনেকটাই শ্রেয় । ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরান সকল পূ্র্বের ধর্মগ্রন্থগুলোকে ত্যাগ করেছিল । এবং এর মধ্যে যা কিছু কোরাণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা গ্রহণ করেছে এবং যা বৈসাদৃশ্য তা বর্জন করেছে । নবী মোহাম্মদ সাঃ হলেন সকল নবীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ নবী । ইশ্বর তার অনুসারীদের কল্যাণের জন্য এই ধর্ম প্রবর্তন করেছে যাতে করে তারা পার্থিব ও পরকালে শান্তি পায় !! ( ঠিক এই খানেই আব্দুল জব্বারের মত টিকে না কারণ তাঁদের প্রবন্ধ তাঁদের মতের সাক্ষ্য দেয় । এবং প্রমাণের দিক থেকে তাঁদের রাসাইল সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য । তাই আব্দুল জব্বারের ইখওয়ান আল সাফার প্রতি যে বিষোদাগার করেছেন তা সত্য বলে মনে হয় না । )


ইখওয়ান আল সাফাদের উদ্দেশ্য

ঠিক কোন উদ্দেশ্যে এরা এমন গোষ্ঠী গড়ে তুলল তা নিয়ে রহস্য একেবারেই কাটেনি । সবার অন্তরালে থেকে দর্শন, বিজ্ঞান, গণিত নিয়ে গবেষণা করবার জন্যই কী এরা নিজেদের গড়ে তুলেছিল ? তাহলে তারা সদস্য সংগ্রহ করত কেন ? কেবল জ্ঞানাগ্রহী কিছু মানুষ নিয়ে গোষ্ঠী গড়ে তুললেই তো হত । এবং নিভৃতে নিজেদের গবেষণা চালাতে পারতেন যেমনটা অন্য আরব মনীষীরা করতেন । কিন্তু কেন নিজেদের গোপনীয়তার চাদরে আবৃত করে তাঁদের কার্যক্রম চালাতে হলো ? এর পেছনে কী নিরাপত্তার ভয় ছিল ? তারা কী তাদের এই গবেষণা চালাবার পেছনে কোন হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল ?


তাঁদের সময়কালটা ছিল আব্বাসীয় শাসনামলের । সেই সময়ে মুতাজিলারা যেভাবে গ্রীকদেশীয় দর্শনের চর্চা করেছিল তাতে মনে হয় না তাঁদের জ্ঞানযাত্রায় তেমন কোন হুমকির সম্মুখীন তারা হয়েছে । কেননা গ্রীক দর্শন সেসময় প্রচলিত ছিল । আর ইখওয়ান আল সাফারাও গ্রীক দর্শন থেকে অনেকটাই অনুপ্রাণিত ছিল । তাঁদের রচিত রাসাইল-এও এর নিদর্শন পাওয়া যায় ।

তবে কী এরা হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল এই কারণে যে তারা গ্রীক দর্শনের অনুসারী হলেও সেই সময়ের অনেকের সাথে তাঁদের কোন না কোন দিক থেকে ভিন্নমত ছিল ! হ্যাঁ এটা একটা কারণ হতেই পারে । বেশ কিছু ইতিহাসবিদদের মধ্যে তারা ইসমাঈলী শিয়া মতবাদে অনুসারী ছিল । তাদের এই মতবাদের কারণে তারা হয়তো নিজেদের অনিরাপদ মনে করেছিল মুতাজিলাদের মাঝে কিংবা সেই সময়ের আব্বাসীয় শাসকের ।

কিন্তু এখানেও গোঁড়াভাবে এই মতকে প্রাধান্য দেয়া যায় না । কারণ তাওহিদি আর ইবনে সাদানের কথোপকথন থেকে আমরা দেখতে পাই ইখওয়ান আল সাফার একজন শক্তিমান সদস্য জায়িদ বিন রিফা , যিনি সচিব এবং সেই সময়ের বেশ প্রতাপশালী ব্যক্তি ছিলেন । তার সাথে যাঁদের নাম তাওহিদি ও আব্দুল জব্বার বর্ণনা করেছেন তারা সবাই বেশ প্রভাবশালী ছিল সেই সশয়ে । তো তাঁদের ওপর তাঁদের বিশ্বাসের কারণে ছড়ি ঘোরাবে এমন কাউকে বা কোন গোষ্ঠীকে কল্পনা করাটা বেশ কষ্টকর । তাছাড়া তাওহিদির বক্তব্য থেকে আমরা জানতে পাই তিনি প্রচলিত কোন মাযহাব বা ধর্মগোষ্ঠীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না এবং রাসাইলের বক্তব্যগুলো থেকে ইসমাঈলী সংযোগের আভাস পাওয়া গেলেও সরাসরি যেহেতু সেইসব তারা প্রচার করেনি তাই ইসমাঈলীয়দের সাথে তাঁদের সংযোগটাকে খুব একটা পাত্তা দেয়া যায় না ।


তাঁদের এই নেপথ্যে থাকবার রহস্যটা নিরেট রহস্যই থেকে যাচ্ছে এ পর্যন্ত ।


ইখওয়ান আল সাফাদের সদস্য সংগ্রহের রীতির ব্যাপারে আগে বলেছি । তাঁদের সদস্য সংগ্রহ চলত খুব গোপনে এবং তাঁরা সদ্যস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিত তরুণদের । যদি জ্ঞানানুসন্ধানই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য হত তবে এরকমের সদস্য সংগ্রহ করবার কী প্রয়োজন ? তাঁদের সদস্য সংগ্রহের এই রীতি কী আমাদের এই আঁচ করতে প্রভাবিত করে না কেবল জ্ঞানানুসন্ধান তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল না ! তাঁদের কী অভিসন্ধি ছিল অন্য কিছু ? তারা কী বড় কোন বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিল ?


তাওহিদির থেকে জানা যায় ইখওয়ান আল সাফার বক্তব্য ( যা তাঁদের রাসাইলে বর্ণনা করা আছে ) হল , “ শরীআহ্ অজ্ঞতা আর ভুলের কারণে ক্রমান্বয়ে ধূললন্ঠিত হয়ে যাচ্ছে । কেবল দর্শন ( ফালসাফা ) বাদে আর এমন কোন উপায় নেই যার মাধ্যমে ধুয়ে মুছে আজ আমরা এই শরীআহ্কে পবিত্র করতে পারি । ” তাঁদের এই অভিমত থেকে বোঝা যায় যে তারা আসলে সেই সময়ের প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে ছিল । তারা একটা পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল । ঢেলে সাজাতে চেয়েছিল পুরো একটি সমাজকে । এর পরিধি ছিল পুরো আইন থেকে শুরু করে মানুষের প্রচলিত ধ্যান ধারণা এবং বিশ্বাসকে পরিবর্তন করাবার প্রচেষ্টা । রাসাইলে বর্ণিত তাঁদের অধিবিদ্যা , সৃষ্টির প্রতি অভিমত এবং ধর্ম নিয়ে যা যা বর্ণিত আছে সবটুকুকে যদি এক কেন্দ্রে এনে পর্যালোচনা করা হয় তবে বলতে হবে কেবল জ্ঞান অর্জন ও তার প্রচার তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল না । তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন এক আন্দোলন যার ধাক্কায় পুরো পরিবর্তিত হবে সেই সময়ের আরব সমাজ !!

হয়তো এই কারণে তারা নেপথ্যে থেকে তাঁদের কাজ করে গেছে ।


পরিশিষ্ট
ইখওয়ানদের শেষ নিয়ে তেমন কিছু জানা যায় না । তার এখনও তাদের গোষ্ঠীর অনুশীলন চালু রেখেছৈ কি না তা যেমন জানা যায় না তেমনি তারা কী তাঁদের গোষ্ঠীর অবসান করেছিলেন এমন কিছুও সঠিকভাবে জানা যায় না । তবে অনেকে ধারণা করেন যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিজেদের অধ্যবসায়গত জটিলতার কারণে তারা আর তাঁদের গোষ্ঠী চালু রাখতে পারেনি । তবে এটা কেবলই একটি অনুমান তবে এই অনুমান থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায় না । যে রহস্যময়তা নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করেছিল তা পুঁজি করেই তারা হারিয়ে গেলেন ইতিহাসের পাতা থেকে আর ইতিহাস অনুসন্ধানীদের রেখে গেলেন এক রহস্যের উপত্যকায় !!

রচনাকারী: নিবর্হণ নির্ঘোষ

ফিচার ক্যাটাগরি: ইতিহাস

বিঃদ্রঃ
সামুতে এর আগেও ইখওয়ান আল সাফাকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন এক ব্লগার । তিনি সেই পোস্ট করেছিলেন আজ থেকে ৭ বছর আগে এবং এরপর তিনি আর কোন পোস্ট করেননি । ইখওয়ান আল সাফার মত তিনিও এক রহস্য অন্তত আমার কাছে ।



তথ্য সহায়ক
*Ikhwan al-Safa- GODEFROID DE CALLATAŸ
*Rasa’il Ikhwan al-Safa-Omar Farrukh
*Ikhwan al Safa- M. Radius Anwar
*স্পিরিট অব ইসলাম – সৈয়দ আমীর আলী
* আরব জাতির ইতিহাস – পি.কে হিট্টি
* মুসলিম দর্শন ও চেতনা প্রবাহ- মোঃ আব্দুল হালিম
*https://www.al-islam.org/history-muslim-philosophy-volume-1-book-3/chapter-15-ikhwan-al-safa
*https://plato.stanford.edu/entries/ikhwan-al-safa/
*https://www.ismaili.net/histoire/history04/history428.html
*https://iep.utm.edu/ikhwan-al-safa/
*Wikipedia

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি তো মনে হয়, মানুষের সকল কর্মকান্ডকেই: মানুষের আড্ডা, মদ খাওয়া, ভালো থাকা, লুকিয়ে থাকা, সবকিছুকেই "দর্শন শাস্ত্র" মনে করেন। গুগলে নাগিয়ে, "দর্শন শাস্ত্রের" একটা ডেফিনেশন দেন তো!

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: গোস্তাকি মাফ করবেন জাঁহাপনা । আপনি আগে নিজের বদ অভ্যাসটা ত্যাগ করুন । তাঁদের দর্শন নিয়ে আমি এখানে আলোচনা করেছি । সেটা না পড়েই মন্তব্য করলেন । আপনি আগে নিজে প্রসঙ্গ কী সেটা শিখুন এরপর কাউকে প্রশ্ন করুন । এখানে আমি নিজেই সবকিছু নিজের বক্তব্য লিখিনি । আমি অনেক সূত্র থেকে নিয়ে এরপর লিখেছি । আপনার কথা ধরে নিলে এদের সবাইকে ফাঁসি দেয়া উচিত ।
আপনি তো মনে হয়, মানুষের সকল কর্মকান্ডকেই: মানুষের আড্ডা, মদ খাওয়া, ভালো থাকা, লুকিয়ে থাকা, সবকিছুকেই "দর্শন শাস্ত্র" মনে করেন। গুগলে নাগিয়ে, "দর্শন শাস্ত্রের" একটা ডেফিনেশন দেন তো!

ভালো করে পড়ে দেখুন আমি বলেছি এরা একটা গোষ্ঠী এদের গোষ্ঠী হিসেবে কিছু কাজ আছে সেসব তুলে ধরেছি । সেসব কী আপনার বোধোদয় হয়নি ? নাকি আপনার রাজনয়নে এসব আটকায়নি । জাঁহাপনা আগে নিজেকে বদলান !

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:




যাদের নাম টাম উল্লেখ করেছেন, এরা কি লিখেছেন, আপনি উহা পড়ে কি লিখেছেন, তার মাথামুন্ড কিছুই নেই। কোথাকার সামন্ত রাজ্যে একটা গোত্র ছিলো, উহারা কেন দার্শনিক হয়ে যাচ্ছে?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি সূত্র পড়ে লিখেছি । এবং আমি ভালো করে পড়েই লিখেছি । আপনার মত অল্প পড়ে ক্যাচাল করার অভ্যাস আমার নাই । এবং হ্যাঁ আপনার মত গবেট আমি না । আপনি যে একজন রামগাধা তার প্রমাণ আপনি নিজেই । তাদের রাসাইল আপনি নিজে পড়ে দেখুন এরপর আপনি বুঝতে পারবেন তারা কী ছিল । আর সামন্তযুগের হলেই যদি দার্শনিক না হয় তবে তো গ্রীকের জেনোফেন , সক্রেটিস , প্লেটো , এরিস্টটল এরাও দার্শনিক না এরা সবাই তো সামন্তপ্রথা সময়কার মানুষ তাই না ? আচ্ছা আপনি এসব জেনে বলেন নাকি না জেনেই নিজেকে জাহির করতে চান ?

বিশ্বাস করুন আপনার এইসব কর্মকান্ড প্রচণ্ড হাস্যকর । দয়া করে জেনে এবং বুঝে তারপর বলুন !!

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



দর্শনে কোন রহস্য নেই, কোন জনগোষ্ঠী কোন কারণে "দার্শনিক গোষ্ঠী" হয়ে যায় না; এগুলো টংদোকানের দার্শনিক গোষ্ঠী।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তারা আসলেই দার্শনিক এবং তা সর্বজনস্বীকৃত । আপনি নিজে হলেন এক উল্লুক , আপনার জনাশোনা এমনিতেই কম আপনার কাছে সবকিছুই টং দোকানের মনে হয় খালি আপনি ব্লগে যেসব বর্জ্র ঢালেন সেসবকে আপনি অম্লসুধা মনে করেন । বাদবাকী সব কিছু আপনার কাছে টং দোকানের আলাপ !!

আমি তাঁদের দর্শনে রহস্য আছে কবে বললাম ? বলেছি তারা রহস্যময় । একজন শিক্ষক রহস্যময় হতে পারে তাই বলৈ তার দীক্ষা রহস্যময় হবে এটাকে ধরাবান্ধা ধরে নিতে কে বলল ?

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আব্বাসীয়রা এমন কি করেছিলেন যে জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি ঘটে?

আব্বাসীয় খলিফারা কি নিজেরা জ্ঞান বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তারা পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । সবাইকে শিক্ষক হতে হবে কেন ? গ্রীকের বই অনুবাদ করে সমাজের সবার কাছে পৌছে দেবার জন্য কিছূ না কিছু তো পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন হয় তাই না ? কেবল অনুবাদ করেই তো সব হয় না ।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



গ্রীসের "জন গোষ্ঠী" দার্শনিক ছিলো না, দার্শনিক ছিলেন সক্রেটিস; আপনি কিভাবে "দার্শনিক গোষ্ঠী" নিয়ে পোষ্ট লিখছেন?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: গ্রীসের "জন গোষ্ঠী" দার্শনিক ছিলো না, দার্শনিক ছিলেন সক্রেটিস; আপনি কিভাবে "দার্শনিক গোষ্ঠী" নিয়ে পোষ্ট লিখছেন?

জনাব আপনার গাধামিপনা এমনিতেই আমার কাছে পরিষ্কার আবার ঘটা করে তা প্রকাশ করবার কী দরকার ? । আপনি তো বললেন সামন্তযুগে কোন দার্শনিক থাকতে পারে না । তো গ্রীসের লোকদের কেন মানছেন তার জবাব আপনি দিয়েছেন ? আপনি জীবনেও উত্তর দেন না কারণ আপনার জানা বলতে কিছু নেই । তাই

গ্রীসে যারা দার্শনিক ছিলেন তার সবাই মিলে গোষ্ঠী গঠন করেনি তাই হয়নি । তাই বলে অন্য কোথাও গোষ্ঠী হতে পারে এই অ্যানালজিক্যাল সিদ্ধান্ত কেবল আপনার মত উল্লুককে দিয়েই সম্ভব । আমি তাঁদের গোষ্ঠী বলেছি কারণ তার গোষ্ঠী ছিল । গোষ্ঠী যে দল অর্থে ব্যবহৃত হয় এটা অভিধান থেকে জেনে নেবেন ।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন,"আমি তাঁদের দর্শনে রহস্য আছে কবে বললাম ? বলেছি তারা রহস্যময় । "

-দার্শনিকেরা রহস্যময় হবে কেন, ওরা কি আরব্য উপন্যাসের চরিত্র নাকি?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তারা যে রহস্যময় তা আমি আমার লেখাতে উল্লেখ করেছি সেটা পড়ে নিলেই তো হয়ে যায় । তারা নিজেদের রহস্যময়করে রাখত বলেই তারা রহস্যময় । দার্শনিকরা রহস্যময় হতে পারে না ের প্রমাণ আমি আপনার কাছে চাইছি আপনি দেখান ।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



৪ নং কমেন্টের উত্তরে লেখক বলেছেন: তারা পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ।
============================

সেই পৃষ্ঠপোষকতা কীভাবে করেছিলেন সেটাই জানতে চাচ্ছি।


১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পৃষ্ঠপোষকতা শব্দটা আপনি বুঝেছেন ? বুঝলে আর বলতেন না । তারা গ্রীকের সেসব গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদে সমর্থন , বিনিয়োগ ( মানে অর্থ খরচ ) এবং সর্বোপরি সেই সময়ের জ্ঞানীদের সমর্থন দিয়েছেন ।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৪

আরইউ বলেছেন:

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মনে হয় এটা আমাকে করতেই হবে । ইনি যৌক্তিকতা কী তা জানে না । প্রসঙ্গ কী তা বোঝে না এবং একই সাথে উনি আদৌ কিছুই জানেন না ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন আবার স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য !!

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: একেবারে অজানা একটা বিষয় নিয়ে ভীন্নধর্মী একটা পোষ্ট দিয়েছেন। পোস্টের আকার দেখে হয়তো অনেকে এড়িয়ে যেতে পারেন- কিন্তু পড়লে বোঝা যায় আপনার বেশ শ্রম গিয়েছে। তবে সেটা পণ্ডশ্রম হয়নি মোটেও। দর্শনে আমার জ্ঞানগম্যি কম তাই এই নিয়ে তেমন আলোচনা সমালোচনা কিছুই করতে পারছি না।
ভাল পোষত। ধন্যবাদ

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা ভাই । গত এক সপ্তাহের বেশি সময় নিয়ে আমাকে এসব সংগ্রহ ও পড়তে হয়েছে । যদিও এর আগে যা শ্রম করেছি অনেক । যাকগে , এটা হয়তো নিজের ডোল নিজে পেটাবার মত । তবে চাইলে আপনি আপনার প্রশ্ন রাখতে পারেন । দর্শন নিয়ে আপনার কিছুটা পড়া আছে বলে আমি জানি । তাই আলোচনা সমালোচনা যেকোন একটা করলে খুশি হব ।

ধন্যবাদ !

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফিচার ভালো লাগলো। অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করে এই পোস্ট লিখেছেন।

মুতাজিলা এবং ইসমাইলি শিয়া হল ইসলামের বাতিল ফিরকা। সুফিবাদের একটা বিপথগামী একটা দল মনে হয় এই ইখওয়ান আল সাফা। অনেকটা বর্তমানের আইসিস বা বোকো হারামের মত অথবা বাংলাদেশের এক সময়ের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র ওয়ালাদের মত।

এদের দর্শনে ঘাটতি ছিল বলেই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। নতুবা এদেরকে সম্মানের সাথে স্মরণ করা হত।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন ।

মুতাজিলা আর ইসমাঈলি শিয়ারা যে ইসলামের বাতিল ফিরকা এই নিয়ে অনেকেই মত দেন । কিন্তু মুতাজিলাদের অবদান কম না তাদের কারণে সেই সময় আমরা আশ-আরি সম্প্রদায়কে পেয়েছি , যেটাকে অবহেলা করা যায় না । ইখওয়ান আল সাফা নিয়ে আপনার যে ধারণা তা কিছুটা ঠিক মনে হয় আমার কাছে তবে তারা বোকো হারামের মত মনে হয় না কারণ সরাসরি এমন কোন নিদর্শন নেই । তবে হ্যাঁ অ্যাসাসিনের প্রধান আবার এই ইখওয়ান আল সাফাদের পছন্দ করতেন বলে জেনেছি তাই আমার মনে না হলেও আপনার মত ফেলনা না ।

এদের দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কিন্তু গাজ্জালী , ইবনে সিনা তারা তাদের গ্রন্থ রচনা করেছেন । ইবনে সিনার একটি পুরো দর্শনের বইতে যা উল্লেখ আছে তা নিয়ে এরা আগেই আলোচনা করেছিল তাদের রাসাইলে । আর এদের রাসাইল দীর্ঘকাল ধরে পাঠ করে আসা হচ্ছে ।

ধন্যবাদ আপনার যৌক্তিক মত রাখবার জন্য !!

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: যে যেভাবে চায় মন্তব্য করতে দিন- কাউকে আটকাবেন না। চাইলে উত্তর দিবেন না হলে না।
যারা আপনার লেখার গুরুত্ব বুঝবে তারা কোন বিরূপ মন্তব্যে ভাল মন্তব্য করতে পিছপা হবেন না। এটা কোন এলেবেলে ফিচার নয়- এটা বেশ শ্রমসাধ্য একটা জ্ঞানগর্ভমূলক ফিচার। কোন যদু মদু এমন ফিচার লিখতে পারবে না।

*আগের মন্তব্যে টাইপো 'ভাল পোষত না ভালো পোস্ট হবে'

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য পড়ে মনে হলো কেউ পিঠ চাপড়ে দিল । ধন্যবাদ শেরজা ভাই !!!

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইমাম গাজ্জালি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি শরিয়া এবং সুফিবাদের মধ্যে একটা সমন্বয় করেছেন। তিনি একজন মুহাদ্দিস ছিলেন আবার সুফিবাদের উপর এমন কিছু লেখা লিখেছেন যা কালজয়ী। সুফিবাদ মানেই বাতিল না। সুফিদের মধ্যে সঠিক পথে অনেকেই ছিলেন। ইমাম গাজ্জালি ছিলেন সেই রকম একজন সুফি যিনি একই সাথে শরিয়া এবং সুফিবাদ দুইটাই অনুসরণ করেছেন। উনি সুফিদের পক্ষে কথা বলে সূফীদেরকে মানুষের সমালোচনা থেকে রক্ষা করেছেন। ইমাম গাজ্জালির অনেক লেখা আমি পড়েছি। সুফিদের ব্যাপারে যে ধোঁয়াশা আমাদের মধ্যে আছে উনি সেটা দূর করার চেষ্টা করেছেন কোরআন হাদিসের আলোকে। উনি হাদিস বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ইমাম গাজ্জালিকে বলা হয় "ইসলামের প্রামাণ্য অবয়ব" (হুজ্জাতুল ইসলাম)। ইমাম গাজ্জালির লেখা আমি খুব পছন্দ করি। উনি একাধারে ছিলেন আল্লাহর ওলি এবং সুফি। ইসলামের একজন বড় মাপের দার্শনিক ছিলেন তিনি। আমার বাসায় ওনার অনেকগুলি বই আছে। ইন্টারনেটে এই বইগুলি ফ্রী পাওয়া যায় বাংলায়।

ইখওয়ান আল সাফার দর্শনের সবই নিশ্চয়ই বাতিল ছিল না। সেই অংশগুলিই হয়তো ইবনে সিনা এবং ইমাম গাজ্জালি ব্যবহার করেছেন তাদের লেখায় উপযুক্ত ধর্মীয় দলিলের সাহায্য নিয়ে। ইমাম গাজ্জালি তার প্রত্যেকটা কথা, বিশ্বাস বা দর্শন কোরআন বা হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন সুত্র সহ। ইবনে সিনার লেখা সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নাই।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ইমাম গাজ্জালীর কর্ম যেন তেন নয় । তার কাজ পুরো " আরব ভিত্তিক জ্ঞান " ও " ইসলাম নিয়ে গবেষণা " করে এমন সমাজে বেশ আলোচিত তিনি । তবে মজার ব্যাপার কী জানেন ? তিনি যে প্লেটোনিক মতবাদের বিরুদ্ধে গেছেন সেই বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি নিজেই প্লেটোনিক মতবাদকে অনুসরণ করেছেন । এটা আমার কথা নয় ইকবালের কথা । গাজ্জালীকে জানার আমার ইচ্ছৈ আছে আল্লাহ চাইলে তা পূরণ হবে ।

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই যে পড়লাম আপনার পোস্ট।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কষ্ট করে প্রায় ২৮০০ শব্দের একটি লেখা পড়েছেন তার জন্য আপনার একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য আছে । ধন্যবাদ ভাই !!!

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ১১ নং মন্তব্যের সাথে একমত আমিও। শেরজা তপন ভাইও সহনশীল মানুষ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যাক তবে । আপনার এই মন্তব্যকেও না হয় একটা অনুপ্রেরণা বলে ধরে নিলাম । আর হ্যাঁ ওনার সহনশীলতার পরিচয় আগেও পেয়েছি !!

১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার লেখাকে বিবেচনায় না'নিয়ে আপনাকে অনুপ্রেণা দেয়ার দরকার, আপনি সেটাই তো চাচ্ছেন?

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই যে আপনি আবার নিজের পরিচয় দিতে চলে এলেন । যারা আমাকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন বলৈ আমি মনে করি তারা আমার পোস্ট পড়ে বিবেচনাতে নিয়েই বলছে আপনার মত ভ্যাঁজর ভ্যাঁজর করছে না । আপনি নিজেও যদি আমার এই লিখার যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক সমালোচনা করতেন আপনার কাজকেও আমি অনুপ্রেরণা মনে করতাম । কিন্তু আপনার কাজ হলো আপনি না জেনে এবং প্রসঙ্গ না বুঝে এবং ভাষঅ অনুধাবন না করেই কথা বলেন ও মন্তব্য করেন । আপনি একটু আগে পোস্ট করলেন না দর্শন নিয়ে যে সেখানে শেষে এসে আপনি জ্ঞানতত্ত্ব নিয়ে কিছু বলেছেন । আপনি আমার পোস্টে পড়ে দেখুন যে ইখওয়ান আল সাফারা জ্ঞানের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছে । আমার মনে হয় না আপনি জ্ঞানতত্ত্ব সম্পর্কে জানেন । জানলে আপনি এমনতর মন্তব্যগুলো করতেন না !!!

১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২১

বিটপি বলেছেন: দর্শনের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই এবং রবীন্দ্রনাথের ভাষায় 'অকালপক্ক দার্শনিক' দেখলে আমি উলটো দিকে হাঁটা দেই। তবে আপনার লেখায় কি যেন একটা আছে যে আমি এক বসায় পুরোটা পড়ে ফেললাম। পড়ে একটা জিনিস বুঝলাম যে ইসলাম কেবল একটা ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা নয়। এটি একটা সমন্বিত সিস্টেম যা মানুষ, সমাজ এবং সভ্যতাকে পালটে দিতে পারে। অন্য কোন ধর্ম নিয়ে কি এত গবেষণা হয়েছে, যতটা ইসলাম নিয়ে? উমাইয়া এবং আব্বাসীয় খিলাফত বলতে গেলে ইসলামের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব ব্যবস্থা পালটে দিয়েছে। সহস্র বছরে ফারাও, গ্রীক, রোমান, রুশ সাম্রাজ্য মানব্জাতিকে যা দিতে পারেনি, কয়েকশ' বছরে এই দুই খিলাফত তা পেরেছে এবং তা সম্ভব হয়েছে বৃহত্তর মানবজাতির প্রতি তাদের কমিটমেন্টের কারণে।

আশা করি ইমাম গাজ্জালিকে নিয়ে একটা পোস্ট দেবেন। উনার সম্পর্কে আমার অনেক কিছু জানার ইচ্ছা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়বার জন্য । দর্শন নিয়ে আগ্রহ না থাকাটা দোষের নয় তবে এর থেকে দূরে থাকলে আপনি অনেক বিষয়কে অনুধাবন করতে পারবেন না , তাই আবদার থাকল এই নিয়ে জানবেন ।

অন্য ধর্ম নিয়েও গবেষণা হয়েছে তবে আসলে তুলনা করবার মত অতটা যাচাই করিনি বলে আমি বলতে পারছি না যে ইসলঅম নিয়ে বেশি গবেষণা হয়েছে । তবে ইসলাম নিয়ে গবেষনাগুলো বেশ চমকপ্রদ , প্রতিনিয়ত একটা না একটা নতুন বিষয় জানা যাচ্ছে । ইসলামে দর্শনের গুরুত্ব যে কেমন তা নিয়ে দার্শনিক ইবনে রুশদ ফুসুল আল মাকাল নামে একটি বই লিখেছিলেন । তিনি সেখান দেখিয়েছিলেন যে ইসলাম জ্ঞানের জগতে ( অবশ্যই বৌদ্ধিক জগতে ) প্রবেশের জন্য অনুপ্রাণিত করে । তার এই গ্রন্থ পড়লেই বোঝা যায় ইসলাম এসব থেকে দূরে নয় । ইসলামকে অন্য ধর্মের সাথে আলঅদা করে দেখা হয় অনেক দিক থেকে কারণ ইসলঅম সেই সময়ে শুধু পারলৌকিক দিক নয় পার্থিব দিকেও অনেক অর্জন রেখেছে । গ্রীকরা উন্নত ছিল তবে ইংরেজিতে ইনপেকাবল বলতে যা বোঝায় তা ছিল না , দর্শনে তাদের অগ্রগতি কম না । ফারাওরা অবকাঠামোগত দিক থেকে এগিয়ে ছিল , রুশ সাম্রাজ্যও অনেক দিক থেকে এগিয়ে ছিল । কিন্তু ইসলাম এগিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি দিক থেকে যেমন ধরুন সেই সময়ের সমসাময়িক বিজ্ঞান , দর্শন থেকে শুরু করে বাণিজ্য পর্যন্ত সব দিক থেকে ইসলামের সেই যুগের প্রশংসা পাওয়া যায় ।

কয়েকশ' বছরে এই দুই খিলাফত তা পেরেছে এবং তা সম্ভব হয়েছে বৃহত্তর মানবজাতির প্রতি তাদের কমিটমেন্টের কারণে।

আপনার এই কথাটা আমাকে ভাবাচ্ছে । আসলেই কী তাই ! এদিকটাও একবার ভেবে দেখা দরকার ।

আর হ্যাঁ গাজ্জালীকে নিয়ে আমারও জানবার আগ্রহ আছে আল্লাহ চান তো একদিন জেনে যতটুকু সম্ভব জানাব !! ধন্যবাদ ভাই

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১১

করুণাধারা বলেছেন: এই বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব কম, তাই নতুন কিছু জানার জন্য আপনার প্রবন্ধটি আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।

সাত বছর আগে যে রহস্যময় ব্লগার ইখওয়ান আর সাফা নিয়ে লিখেছিলেন তিনিই কি আবার নবরূপে আবির্ভূত হয়েছেন!!

আপনার লেখাটি ফিচার প্রতিযোগিতার জন্য কি? কোথাও তা বলা নেই। এছাড়াও ফিচারের শ্রেণী উল্লেখ করা দরকার ছিল।

শুভকামনা প্রতিযোগিতায়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জ্ঞান আমারও কম জানার ইচ্ছের কারণে লিখতে সাহস পাই । ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়বার জন্য ।

সাত বছর আগে যে রহস্যময় ব্লগার ইখওয়ান আর সাফা নিয়ে লিখেছিলেন তিনিই কি আবার নবরূপে আবির্ভূত হয়েছেন!!
হা হা হা হা । কী জানি !!

কৃতজ্ঞতা জানবেন আপনার কারণে একটা অসঙ্গতি জানতে পারলাম ঠিক করে নিয়েছি । ধন্যবাদ আবারও !!

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভীষণ শ্রমসাধ্য লেখা !
অনেক অনেক নতুন লেখা আসছে ফিচার পোষ্ট, আপনার লেখা ও বৈচিত্র্য আছে।

শুভ কামনা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা ।

১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার আগের মাজদাকের মতই এই লেখাটা চমৎকার হয়েছে । আমার তো মনে হচ্ছে এই ফিচার প্রতিযোগিতায় আপনার লেখাটা নির্বাচিত হবে । যত গুলো ফিচার পড়লাম তার ভেতরে এটা অভিনব এবং চমৎকার । আশা করবো প্রতিযোগিতা শেষের আগে আরেকটা ফিচার লিখে ফেলবেন !

আপনার কাছে গুপ্ত সংঙ্ঘ নিয়ে একটা বই আছে । সেখানেও এই গুপ্ত সংঙ্ঘের ব্যাপারে কিছু ছিল না । আপনার দেওয়া লিংক গুলো আরও ভাল করে ভিজিট করে দেখতে হবে যে আরও কিছু জানা যায় কিনা ! আপনার লেখা পড়ে আরও জানার আগ্রহ বাড়লো ।
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ! আরও লিখুন !




আপনার আগের ''মাজদাক'' লেখাটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছিলো । কিন্তু সেখানে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি আপনি একজনের সাথে অতি অপ্রয়োজনীয় তর্ক করছেন । যা মন্তব্যে অনাগ্রহ সৃষ্টি করেছিল । এখানেও তাই । আপনার কাছে একটা অনুরোধ করবো দয়া করে রাখবেন । পোস্টের বাইরে অহেতুক যে কোন মন্তব্যের জবাব দিবেন না । এটা পোস্টের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই রে , জিতে যাওয়ার তবে সম্ভাবনা আছে ? যাক এই দিক থেকে স্বার্থক আমি হা হা হা । ধন্যবাদ আপনাকে ।

আসলে সবচেয়ে ভালো লাগে যখন কেউ আমার কারণে কোন কিছু জানতে আগ্রহী হয় । আর তার চাইতে বেশি ভালো লাগবে যখন আপনি অনেক জেনে আমাদের জানাবেন । তাতে আমার ভুল উঠে আসলেও আমি খুশি হব কারণ তাতে করে আমি আপনার মাধ্যমে জানব । এর চাইতে ভালো আর কী হতে পারে ? তাই অনুরোধ থাকবে আপনি জেনে আমাদের জানাবেন !


আপনি যে আমার মাজদাককে নিয়ে লিখা পোস্টটা পড়েছেন এটা জেনে ভালো লাগছে আমি ভেবেছিলাম আপনি পড়েননি । কিংবা আপনার চোখে পড়েনি । যাকগে , হ্যাঁ সেখানেও এমন তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম । আমি আসলে চাইনি যে আমার ব্লগে কেউ অন্তত মন্তব্য করে আমার প্রত্যুত্তর না পাক । এবং আমি এটাও চেয়েছিলাম যেমন করেই হোক একটা যৌক্তিক আবহ যেন বজায় থাকে । কিন্তু আমার চেষ্টা বিফলে গেছে বলে মনে হচ্ছে । চেষ্টা করব এমন তর্ক এড়িয়ে যেতে ।

একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছি , কিছূ মনে করবেন না ! আপনি মনে হয় রহস্যপত্রিকায় লিখতেন , কেন যেন মনে হচ্ছে আপনার লিখা আমি রহস্যপত্রিকায় পড়েছি !!

২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: না পোষ্টটি ঠিক জমলো না।
অনেক ব্লগারই ফিচার লিখছেন। এটা বেশ ভালো। কিন্তু দরকারী ফিচার গুলো কেউ লিখছে না। যেমন ধরেন, বেকার সমস্যা, ফুটপাতে আজও মানুষ ঘুমাচ্ছে, বাংলাদেশে লাখ লাখ মসজদি কিন্তু লাইব্রেরী হাতে গোনা কয়েকটা, আগামী নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে কেউ লিখছেন না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার অনুযোগটা আমি বুঝতে পারছি । এইক্ষেত্রে মনে হয় ক্যাটাগরি সম্পর্কিত জটিলতার কারণে কেউ এসব নিয়ে লিখছে না । আবার সেটা ফিচারের মধ্যে পড়বে কিনা তা নিয়েও আমার কিছুটা সন্দেহ আছৈ । তবে রাজীব ভাই আপনি কিন্তু এইসব নিয়ে লিখতে পারেন । হয়তো আপনার লিখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ না কেউ লিখতেও পারে !!

২১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার একটি ফিচার পড়লাম! "ইখওয়ান আল সাফা" যেহেতু এদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না, সেহেতু এরা ঠিক কি তত্ব প্রতিষ্ঠা করছেন বা করতে চেয়েছেন তাও পরিষ্কার নয়। এজন্য আমি তাদেরকে দার্শনিক বা দার্শনিক গোষ্ঠী বলতে রাজি নই। তবে তাদের জ্ঞানের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিল এতে সন্দেহের অবকাশ নাই।

পোস্ট এ ++

২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি আসলে ওদের দর্শন নিয়ে আলোচনা করিনি । ওদের মেটাফিজিক্স নিয়ে বক্তব্য আর এদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোকপাত করলে ভালো হত । তবুও আপনার মন্তব্যকে আমি সম্মান করি । আসলে ইবনে সিনা তার গ্রন্থ আল মব্দা ওয়াল মা'আদ এ যে দর্শন তুলে ধরেছেন তাই তারা বলতে চেয়েছিল । তাই এদের দার্শনিক গোষ্ঠী নামে অভিহিত করা হয় !!

আপনাকে ধন্যবাদ , কষ্ট করে এত বড় পোস্ট পড়বার ও প্লাসের জন্য !

২২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ভিন্নধর্মী একটা বিষয় নিয়ে চমতকার একটা পোষ্ট দিয়েছেন। অথচ এমন একটা বিষয় নিয়ে অপ্রাসংগীক মন্তব্যে বিরক্তির উদ্রেক হয়েছে। +

২১ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্রজ , কষ্ট করে পড়বার ও প্লাসের জন্য ।

আমি নিজেও আসলে যৌক্তিক আলোচনা আশা করেছিলাম । কিন্তু বিধি বাম !!

২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৭

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: ঐশ্বরিক ধর্মের সাথে যুক্তি বিজ্ঞান মিলালেই তো সমস্যা, যেমন টা ০ দিয়ে ১ ভাগ করার মতন। একেশ্বরবাদ ধর্মগুলো বিজ্ঞান আর যুক্তি দিয়ে মিলানো সম্ভব না, জোর করে মিলাইলে মিলতে পারে। আমার মতে যুক্তি-বিজ্ঞান দিয়ে কখনোই ধর্ম এর বিকাশ হবে না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানবেন !!


মানুষের জীবনে যুক্তির প্রভাব কম নয় , যে যুক্তি মানে না সে নিজেও নিজেকে বাঁচাতে যুক্তিকে ব্যবহার করে । ধর্ম মানুষের জন্য । ধর্মের উদ্দেশ্য হলো মানুষের একটি নির্দিষ্ট জীবনাচরণ নির্ধারণ করে দেয়া । এবং এইসব জীবনাচরণ মানুষের উৎসগত আচরণের বাইরে নয় , এমন নয় যে তা মানুষের প্রকৃতি থেকে ভিন্ন কিছু । তাই বলা যায় ধর্ম হলো মানুষের বিশেষ জীবনাচরণ ।

যেহেতু এই বিশেষ জীবনাচরণ মানুষের প্রকৃতি থেকে ভিন্ন নয় সেহেতু ধর্মের সাথে যুক্তি বিজ্ঞান যায় না কথাটাকে সঠিক বলে মনে করি না । একেশ্বরবাদ ধর্মের মধ্যে ইসলামে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কিয়াস নামে যে পদ্ধতি পরিচিত ও সিদ্ধ তা তো সাদৃশ্যবাদ যুক্তি , এমনকি ইজতেহাদও যুক্তি বই ভিন্ন কিছু নয় । যেখানে ধর্মের অনুশীলনে যুক্তিকে সারথি করা হয়েছে সেখানে ধর্মের বিকাশ যুক্তি বিজ্ঞান দিয়ে হবে না বলাটা একটা ভ্রান্তি বলেই মনে করি ।

২৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫০

অধীতি বলেছেন: খুবই শ্রমসাধ্য লেখা। তাদের প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেলো। এক কাজ করুন, বইগুলো অনুবাদ করে ফেলুন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে , আগ্রহ বেড়েছে জেনে আরও ভালো লাগছে । তাঁদের বই অনুবাদ করবার সাধ্য আমার নেই কারণ আমি আরবি জানি না ! আর ইংরেজি যা পাওয়া যায় তা আপাতত আমার কাছে দুষ্প্রাপ্য । সবচেয়ে বড় কথা আমি অনুবাদে ভালো না !!

২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: শ্রমসাধ্য একটি পোস্ট। অথচ শুরুর এক মন্তব্যকারী লেখককে আন্ডার এস্টিমেট করার ভয়াবহ চেস্টা চালালো।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পড়বার জন্য ধন্যবাদ । আর যার কথা বললেন তিনি আসলে এই পোস্টে আরব ও মুসলিমদের কথা বলাতে ক্ষ্যাপে গেছেন !! বোঝেনই তো ওনার আবার এসবে ভীষণ রকমের এলার্জি আছে !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.