নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক প্রব্রজ্যা , আয়ু ভ্রমণ শেষে আমাকে পরম সত্যের কাছে ভ্রমণবৃত্তান্ত পেশ করতেই হবে । তাই এই দুর্দশায় পর্যদুস্ত পৃথিবীতে আমি ভ্রমণ করি আমার অহম দিয়ে । পরম সত্যের সৃষ্টি আমি , আমি তাই পরম সত্যের সৃষ্ট সত্য !!

নিবর্হণ নির্ঘোষ

স্বাগতম আপনাকে এক প্রব্রজ্যার প্রবচন রাজ্যে !

নিবর্হণ নির্ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিএ (Chartered Accountant) পড়বার প্রতিকুলতা ও অসংগতি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

পৃথিবীতে যেক’টি পেশা বেশ সম্মানজনক ও বেশ চাহিদা সম্পন্ন তার মধ্যে একটি হলো সিএ বা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট পেশাটি । বাংলাদেশেও এর চাহিদা ও সম্মান কম নয় । বাংলাদেশের মত একটি ছোট দেশে এই পেশার প্রয়োজনীয়তাও নেহাত কম নয় । কিন্তু এই পেশার জন্য যে পড়াশোনা মানে সিএ পড়াশোনা করাটা কিন্তু সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রতিকুল নয় । সিএ পড়া অবস্থায় , বিশেষ করে আর্টিকেলশিপ করা অবস্থায় কেউ কোন চাকরি করতে পারবে না , আর সেটা সম্ভবও হয় না । ফলে আর্থিক সমস্যা লেগেই থাকে । মধ্যবিত্ত সংসারের শিক্ষার্থীরা সিএ করতে পারেই না বললেই চলে । কারণ , এমন সময়ে এসে সিএটা করতে হয় যখন না পরিবার ভার নিতে পারে আর না সিএ করতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থী নিজের ভার বহন করতে পারে । ফলত , অনেকের ইচ্ছা থাকলেও তারা সিএ করতে পারে না বা পড়তে পারে না ।


শিক্ষার্থীর সামর্থ্য ছাড়াও আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলো সিএ পড়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে থাকে । এইসব বিষয় সিএ পড়াটাকে একদম প্রতিকুল করে তোলে সমস্ত শিক্ষার্থীদের কাছে । সেগুলো নিয়েই আজকের লিখা । তো সেইসব বিষয়গুলো হল :



সিএ আর্টিকেলশিপ অ্যালাউন্সে বৈষম্য


সিএ-তে আর্টিকেলশিপের অ্যালাউন্সের ক্ষেত্রে বৈষম্য দেখা যায় । স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা কোন ছাত্র যদি সিএ পড়তে আসে তবে তার অ্যালাউন্স হবে ১০ হাজারের উপরে । আবার এদিকে যদি ছাত্রটি হয় সাধারণ কোন কলেজ থেকে পাশ করা তবে তার অ্যালাউন্স হবে ৩ হাজার থেকে একটু বেশি যা দিয়ে একটি ছাত্রের নিজের ব্যয় বহন করা অসম্ভব । এই যে ফারাক তার কারণ ফার্মের ম্যানেজার বলে থাকেন যে স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রদের একাউন্টিং সম্পর্কিত জ্ঞান বেশি থাকে , এদের যোগাযোগের দক্ষতা থাকে বেশি , এরা কথায় ও কাজে বেশ পটু হয় , এদের কাজ করবার ক্ষমতাও বেশি চাপ নেবার ক্ষমতাও বেশি ইত্যাদি । বলা বাহুল্য তাদের প্রায় সব কটা অজুহাত একদম সব দিক থেক সত্য নয় , বলা যায় অনেক দিক থেকে তাদের কথাতে সন্দেহের কোন কমতি থাকে না ।



ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে একাউন্টিংয়ের জ্ঞান বেশি থাকে এটা সব সময় সত্য নয় । সাধারণভাবে দেখলে এইসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ জাবেদা ও সেই জাবেদার যুক্তি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবে না । এছাড়াও তাদের মধ্যে যদি একাউন্টিং বুঝবার এত বেশি ক্ষমতা থাকে তবে তো তাদের আর্টিকেলশিপ করবার প্রয়োজনই পড়ে না ।


তাদের যোগাযোগ দক্ষতা বেশি বলে যে অজুহাত দেয়া হয় তাও বোগাস একটা কথা । স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ তো দূরে থাক ঠিকভাবে কথা বলবার কোন দীক্ষার লেশমাত্রও তাঁদের মধ্যে পাওয়া যায় না । তাছাড়া একজন ব্যক্তি তার কাজের জন্য যতটুকু যোগাযোগ করবার প্রয়োজন তা সে শিখে নেয় নিজ দায়িত্বে আর তা তার শেখা থাকলে সে তো সরাসরি চাকরির বাজারে প্রবেশ করতেই পারে আর্টিকেলশিপের প্রয়োজন কী ? তাছাড়া সিএ-তে তো পণ্য বিক্রির কোন বালাই নেই সেখানে আসলে কেমন যোগাযোগের দক্ষতা প্রয়োজন ? সেটা কী অফিস কেন্দ্রিক যোগাযোগের বাইরে কিছু ? আর সেই যোগাযোগের বিষয়ে কী কেবল স্বনামধন্য ভার্সিটিতেই পড়ানো হয় ? তাদের এই যোগযোগ দক্ষতা যে কী তা নিয়ে রহস্য রয়েই যায় ।

আরেকটি কথা হলো কেবল তাদেরই কাজ করবার দক্ষতা ও ক্ষমতা বেশি তার কী কোন প্রমাণ আছে নাকি এর কোন যথার্থতা আছে । আর সাধারণ কলেজ থেকে পাশ করা ছাত্ররা যদি কাজ করতে নাইবা পারে তো তাঁদের কেন ফার্মে নেয়া হয় ? শুধু শুধু এমন অগণিত অদক্ষ কর্মী গঠন করবার কারণ কী ? এছাড়াও স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কারিগরি দক্ষতা নিয়ে বের হয় তো তারা সরাসরি কেন চাকরিতে অবদান রাখছে না ? তাঁদের আর নতুন করে প্রশিক্ষিত করবার কী দরকার আছে ?


সিএ পড়াশুনাতে বিদ্যমান এই অ্যালাউন্স কেন্দ্রিক বৈষম্যের কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না । প্রায় সব কটা ফার্ম পরীক্ষা নিয়ে আর্টিকেলশিপ স্টুডেন্টদের নিয়োগ দেন , তো তখন তারা কেন তাদের যোগ্য আর্টিকেলশিপ স্টুডেন্ট বেছে নেয় না ? একটা রহস্য থেকে যায় এদিক থেকে ।



সিএ ফার্মগুলোর অত্যাচার


সিএ ফার্মের কাজের চাপ সবচেয়ে বেশি । একজন আর্টিকেলশিপ স্টুডেন্টকে অনেক ক্ষেত্রে প্রায় রাত্রি ৯ টা বা তারও বেশি সময় ধরে কাজে থাকতে হয় । এত সময় ধরে কাজে থাকার কারণে একজন শিক্ষার্থী লাইব্রেরীতে যেতে পারে না , ক্লাস করতে পারে না এবং বাসায় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে না । ফলে বেচারা পরীক্ষা ও সিএ-র পড়াশোনার চাইতে আর্টিকেলশিপের প্রতি বেশি নজর দেয় । এতে করে সে পরিপূর্ণ সিএ হতে পারে না আর হলেও সময় লাগে অনেক বেশি । ফার্মে কাজের পরিমাণ বেশি রাখার ক্ষেত্রে ফার্মের মানুষেরা বলে থাকেন , “ কাজের চাপ নিয়ে পড়াশোনা যদি করতে না পারে তবে তো এই পড়াশোনাতে না আসাই উচিত ।”


সে ঠিক আছে কিন্তু কাজের চাপ বেশি হলে একজন ছাত্র পড়াশোনা করবে কী করে ? ফার্মে তো সে চাকরি করছে না বরং প্রশিক্ষণরত অবস্থায় আছে , এবং ফার্ম যে সিএ-র মূল প্রতিষ্ঠান আইসিএবি-র সাথে সরাসরি সম্পর্কিত ও দায়বদ্ধ নয় তাও নয় । তবে এত বেশি কাজের চাপ তাকে কেন দিতে হবে যখন সে তার পড়াশোনা করবার সময় পাবে না এবং তার সিএ পড়বার যে উদ্দেশ্য তা থেকেও রীতিমত ছিটকে পড়ে ? একে তো অ্যালাউন্স কম তার ওপর শিক্ষানবিশ কোন শিক্ষার্থীকে অমানুষিকভাবে খাটানো , এটা তো শিক্ষানবিশের ওপর চাপানো একটি অত্যাচার বাদে আর কিছু নয় ! সিএ ফার্মের মানুষেরা যেসব কথা বলে বেড়ান তা আসলে নিজেদের অসঙ্গতি ঢাকবার একটি অজুহাতমাত্র । এটা কোন সমাধান নয় ! মানুষকে তার সাধ্যের অতীত কাজ চাপানো ও করাটা কোন গর্বের বিষয় নয় ‍‍!!


দেখা যায় ফার্মের কাছে একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই । তাদের মাথাব্যথা তাদের কাজ হাসিল নিয়ে , মূলত আর্টিকেলশিপ স্টুডেন্টরা হলো ফার্মের কম খরচের শ্রমিক যাদের কাজে লাগিয়ে ফার্ম কম ব্যয়ে নিজেদের কাজ চালাতে পারে ।


এছাড়াও, একজন শিক্ষানবিশ আইনমতে একটি ফার্ম থেকে ৪৫ দিন ছুটি পাবে পরীক্ষার আগে । কিন্তু সেই জায়গায় ছুটি পায় ২০ দিনেরও কম ।



আবার একজন শিক্ষানবিশকে অণেক বেশি মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে হয় যদি না শিক্ষানবিশের সাথে ফার্মের উপরস্থদের একটা সুসম্পর্ক তৈরী না হয় তো । এদের মানসিক অত্যাচার সম্পর্কে যেকোন শিক্ষানবিশদের কাছে জানতে চাইলে কখনওই ইতিবাচক কোন জবাব পাওয়া যায় না । অনেকেই ফার্মের মানুষদের মানসিক অত্যাচার সহ্য করে একটি স্বপ্নের জন্য কিন্তু সেই সহ্যের ফল সব সময় মধুর হয় না । কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ তাকে পঙ্গু করে দেয় , আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় , তার দক্ষতাও কমিয়ে দেয় । ফলে সে নিজেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে তার লক্ষ্য থেকে ।


ফার্মের কাছে শিক্ষানবিশরা হলো দাসের সমতূল্য তবে তাদের এই মনোভাব লুকিয়ে রাখবার অজুহাত হলো এটি , “ কাজের চাপ নিয়ে পড়াশোনা যদি করতে না পারে তবে তো এই পড়াশোনাতে না আসাই উচিত ।” এটাকে হুমকি ও তাচ্ছিল্য এবং স্পষ্ট গুণ্ডামি বাদে আর কী বলা যেতে পারে ?


সিএ সিসি পাশ শিক্ষার্থীদের চাকরিতে অসুবিধা

সিএ কারিকুলামের সব সাবজেক্ট পাশ করতে না পারলেও তিনবছর আর্টিকেলশিপ করবার পর একটা সার্টিফিকেট দেয়া হয় একে বলে কোর্স কমপ্লিট সার্টিফিকেট । আর এই সার্টিফিকেটধারীকে সংক্ষেপে বলে সিসি । এই সিসিগণ কিন্তু সিএ নন । কারণ সিএ হতে হলে সম্পূর্ণ ১৭টি সাবজেক্ট পাশ করতে হবে । তো এই সিসিদের ক্ষেত্রে বলা হয় চাকরির বাজারে এদের চাহিদা প্রচুর । এদের বেতনের হারও অনেক । কিন্তু তাই কী ?


একজন সিসি কখনই একজন সিএর মত কাজ করতে পারবেন না । সিএ যেমন অডিট করে থাকেন সেভাবে তিনি অডিট করতে পারবেন না , কারণ অডিট করবার লাইসেন্স তার নেই । ট্যাক্সের কাজ করতে পারেন বটে তবে সেটা সব সিসি করতে পারেন না কারণ ফার্ম সবাইকে ট্যাক্সের কাজে অংশগ্রহণ করাতে চায় না সেটা সম্ভবও হয় না । তো একজন সিসিকে আপনি কী বলে গণ্য করবেন ? তাকে সর্বোচ্চ একাউন্ট এগজেকিউটিভ বলতে পারবেন । কিন্তু বাস্তবে এদের কাজ সর্বোচ্চ একজন বুক কিপার হিসেবেই সীমাবদ্ধ ।

কিন্তু আজকাল বুক কিপারের কাজ কুইকবুকস , জেরো , টালি ইআরপির কারণে একজন সাধারণ গ্র্যাজুয়েট পাশকৃত ছাত্রের দ্বারাও সম্ভব হচ্ছে । ফলে সিসির চাহিদা অনেকটাই কমে যাচ্ছে । একজন গ্র্যাজুয়েটপাশ ছাত্রকে যখন বুককিপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায় কম বেতনে সেখানে বেশি বেতনে সিসি পাশকে কেন রাখবে ? তাই বেতনের হার কমে যায় সিসিদের । তিন বছরের সকল পরিশ্রম আর মানসিক অত্যাচার শেষে না সে তার সিএ হবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছে না সে তার মানানুযায়ী চাকরিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে , সে রীতিমত ব্রাত্যই থেকে যাচ্ছে ।



এছাড়াও আইসিএবির কর্তৃক প্রণীত পরীক্ষা নেবার ব্যবস্থা ও পাশ মার্ক নির্ধারিত না থাকবার ফলে শিক্ষার্থীরা এক প্রকার অনিশ্চয়তা নিয়ে পরীক্ষা দেয় । তাই পাশ করার পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়াটা একজন শিক্ষার্থীর জন্য একদম অসম্ভব হয়ে পড়ে ।



পরিশিষ্ট
একটি সম্ভাবনাময় পেশাক্ষেত্র ও বেশ জরুরি পেশা ক্ষেত্র হবার পরও এই পেশাতে শিক্ষার্থীদের যাবার অনীহা তৈরী হচ্ছে দিনকে দিন । এবং এই অনীহা বেড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত । এমনিতেই এইদেশে স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত পাশ করা সিএ-র সংখ্যা ২০০০ এর মত । যার অধিকাংশ আবার বিদেশে অথবা মৃত । তো ভবিষ্যতে কী এই দেশের একাউন্টিং খাত হুমকির মুখে পড়ছে না ? এই প্রশ্নের জবাব কার কাছ থেকে পাওয়া যাবে সমাধানই বা করবে কে ?

রচনাকারী:নিবর্হণ নির্ঘোষ

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর ও প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ। এই লাইনে যারা যান তাদের প্যারার শেষ থাকে না, তবে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকলে ভালো জব হয় খুব কাছ থেকেই দেখেছি কয়েকজনকে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আবার অনেককে একদম ঝরে পড়তে দেখেছি আমি । আসলে এই লাইনের অসংগতি যদি কমে যায় তবে আমরা হয়তো মেধাবি সিএ পেতে পারি যারা দেশকে অনেক কিছূ দিতে পারবে ।

ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটা পড়বার ও মন্তব্যের জন্য !!

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি কি একাউন্টিং ব্যকগ্রাউন্ডের ? আমাদের দেশে সিএ পাশ করাটা যতটা ঝক্কির , বিদেশে তা নয়। সিসি বলে বিদেশে কিছু নাই। আর বাইরে একাউন্টিং বিষয়টাই পুরোপুরি কম্পুটারাইজড। আমাদের দেশে এখনো ম্যনুয়াল কিনা জানা নেই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হ্যাঁ আমি একাউন্টিংয়ের ছাত্র ।

বিদেশে আসলেই কোন ঝক্কির না । ঝক্কির কারণে আমার সিএ করাটা হল না , বঙ্গ দেশের জন্ম হবার রঙ্গ আরকি !

সিসি বলে দুনিয়ার কোথাও কিছু নাই কেবল এই দেশে আছে । আর এটা চালু হয়েছে তখন থেকে আমাদের দেশে যখন সিএর সংখ্যাই ছিল নগন্য । এখনও দেশে এই সিসি ব্যাপারটা নিয়ে বহুত ঘোল খাওয়ানো হচ্ছে যা নিজে না দেখলে বুঝবেন না ।

ইবিএস , ইআরপি , সিআরএম সফটওয়্যার দিয়ে খুব ভালোভাবে একাউন্টিংয়ের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে অন্যান্য দেশে আর আমাদের দেশে বেশিরভাগ ব্যবহৃত হয় টালি ইআরপি । আর পাইকারি হারে ব্যবহার করা হয় এক্সেল ! আমাদের দেশ না এখনও ম্যানুয়াল না ডিজিটালেই আছে ‍‍!!

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: দারুন প্রয়োজনীয় বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। লিখাটি যারা সি এ পড়তে আগ্রহী তাদের স্বিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হতে পারে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সেই উদ্দেশ্যেই এইসব লিখা । সিএ নিয়ে আরও অনেক বলবার ছিল কিন্তু পারলাম না , আমাদের দেশে সবচেয়ে নাজেহাল অবস্থায় আছে কোন খাত জানেন ? একাউন্টিং বিষয়ক পড়াশোনার খাতটা , এখনও মান্ধাত্মার আমলে লজিক ও রীতি দিয়ে একাউন্টিং পড়ানো হয় । যেটা আফ্রিকাতেও হয় কি না সন্দেহ ।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
আমার খুব খারাপ অভিজ্ঞতা আছে সিএ দের নিয়ে... যার সারমর্মঃ আমাদের দেশের সিএ রা কোম্পানির বান্ধব না হয়ে অসত স্বার্থে বিপরীত দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ থাকল আপনি আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত লিখুন । এটা অনেকের সিদ্ধান্তে ও সঠিক পথ পেতে সহায় হবে ।

সিএদের আমি দেখেছি অর্থনৈতিক সম্পর্কিত জ্ঞান অনেক কম থাকে কিন্তু এদের দিয়েই আবার আর্থিক কাজ করানো হয় । এরা একটি বিজনেসের হুমকি ও সুযোগ সম্পর্কে একদম অবগত নয় ‍!!

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নিঃসন্দেহে ভালো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দুটি বিষয় লক্ষণীয়। অবশ্য ভারতের ক্ষেত্রে আমার যেটা মনে হয় -
এক- অনিশ্চিত ঝুঁকিপূর্ণ পাঠ্যক্রম। মনে হয় এজন্যই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দিনকে দিন কমতির দিকে।
দুই- শিক্ষীর্থীদের মধ্যে অনারারির বৈষম্য।
প্রথম পয়েন্ট নিয়ে আমার জানা একজন সি.এ পড়ুয়াকে বছরের পর বছর ধরে সি. এ পড়া চালিয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু যতদিন ওনাকে জানতাম ততদিন উনি সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। তবে পরেরদিকে উনি সি. এ শিক্ষার্থীদের টিউশনি করাতেন। ওনার এমন দুজন সফল ছাত্রের পরিচয় মিললেও ভদ্রলোক আমার জানা সময়ের মধ্যে সাফল্য পাননি। আর্থিক অবস্থা ভালো হবার কারণে ওনার অর্থ কষ্টে ভুগতে হয়নি।

আর দ্বিতীয় কারণটি যেহেতু ফার্ম মালিকের কাছে ওরা হাতে কলমে পাঠ নেন তাই শিক্ষার্থীরা বেকার দশায় কতোটা পাচ্ছে সেটা নিয়ে মন ভার করে না। আমার মেস জীবনে এক বন্ধুকে দেখতাম সকালে গিয়ে অনেক রাতে মেসে ফিরতো। কিছু টাকা পেতো।বাকিটা বাড়ি থেকে নিয়ে আসতো। ওকে অবশ্য এসব নিয়ে কখনো আক্ষেপ করতে দেখিনি।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আপনার অবজারভেশন যথার্থই মনে হয়েছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ সত্যিই বেশ ভালো ।

বাংলাদেশের সিএ-র অনেক সিদ্ধান্তের পেছনে ভারতীয় সিএ নীতি অনেকটা অবদান রাখে । যদিও ভারতে সিএদের অর্থনীতি পড়ানো হলেও এইদেশে বাতিল করা হয়েছে ।

অনিশ্চিত ঝুঁকিপূর্ণ পাঠ্যক্রম নিয়ে আপনি যে উদাহরণ টেনেছেন তার ভুরি ভুরি নিদর্শন আমি দেখেছি । আপনি তো তাকে কোচিং পড়াতে দেখেছেন এই দেশে এই প্রথা এখনও তেমন চালু হয়নি । তাই প্রতিকুলতা কম নয় , তাছাড়া এত নিদর্শন থাকবার পরও আইসিএবি এই নিয়ে কোন মাথা ঘামাচ্ছে না । হয়তো তারা এখনও সমস্যাটা আঁচ করতে পারছে না অথবা একদম উদাসীন এইদিক থেকে ।


আর শেষ পয়েন্টের ক্ষেত্রে একটা কথাই বলব এইদেশে বর্তমানে সিসিদের বেকারত্বও দেখা দিচ্ছে ।

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবার ও মন্তব্য করবার জন্য ‍‍!!

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা।বিশ্বব্যপী সিসিদের একটা এক্সজামের ব্যবস্থা আছে। বুয়েটের শিক্ষার্থী যদি বিশ্বে পজিশন করতে পারে তাহলে আমার মনে হয় দেশে তেমন সুবিধা করতে না পারলে সিসিরা বিদেশের জন্য নিজেদের তৈরি করতেই পারেন।
সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ব্লগ বাড়িতে আমন্ত্রণ আপনাকে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পুনরায় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

পরীক্ষাটা মনে হয় সিএদের জন্য সিসিদের জন্য না । সিসিরা চাইলে সিপিএ সিআইএমএ সিএমএ করতে পারে । সে সুযোগ অবশ্য আছে । আর এভাবেও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান করতে পারবে ।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আমতন্ত্রের আগেই আমি আপনার ব্লগবাড়িতে ঢুকে গেছি =p~

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৫৫

সোহানী বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ, ফেসবুকে আপনার লিখা দেখে ব্লগে ঢুকলাম। কারন এটি আমার এরিয়া। যতটুকু মনে পড়ে আমি এ নিয়ে ব্লগ লিখেছিলাম অনেক বছর আগে। আর এ মূহুর্তে দেশ-বিদেশ দুই জায়গায় অভিজ্ঞতা থাকার কারনে আমি খুব সহজেই আপনার কষ্টটা ধরতে পারছি।

সাধারনত আপনার মতো করে কেউ তেমন প্রতিবাদ করেনা কারন কি জানেন? আমাদের রক্তে মেনে নেয়ার ক্ষমতা অসীম। আপনার মতো অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী আছে কিন্তু ফার্ম আছে অল্প ক'টা। তাই তারা ইচ্ছেমত ইউজ করতে পারে এদের।

যাহোক, আপনার কথায় আসি। যদিও আপনি সিএ পড়বার প্রতিকুলতা ও অসংগতি নিয়ে বলার চেস্টা করেছেন কিন্তু লিখার বড় অংশই অনেকটা রাগ দু:খ দেখতে পেলাম নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি। তাই ভাবছি কি দিয়ে শুরু করি......

আচ্ছা আবার আসছি আপনার লিখায়, এখনি বের হবে।



২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী , এটাই বোধহয় আপনার প্রথম মন্তব্য আমার ব্লগাস্তানায় ।


আপনার লিখাটা পড়ার আগ্রহ রাখছি । পড়ব আমি ।

সাধারনত আপনার মতো করে কেউ তেমন প্রতিবাদ করেনা কারন কি জানেন? আমাদের রক্তে মেনে নেয়ার ক্ষমতা অসীম। আপনার মতো অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী আছে কিন্তু ফার্ম আছে অল্প ক'টা। তাই তারা ইচ্ছেমত ইউজ করতে পারে এদের।

এটা একদম ঠিক প্রতিবাদ করতে না চাওয়ার আরেকটি দিক আছে ,এদের সিন্ডিকেট এত বেশি বিস্তৃত যে ওরা অন্যের ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে সিদ্ধহস্ত । তাই সামনে আগানোর সাহস অনেকেরই থাকে না । আমারও নেই আমি নিজেও এইসব নিয়ে কথা বলে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সন্দিহান ও অনিরাপদ বোধ করি ।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: আচ্ছা যা বলছিলাম, যেহেতু নিজে ঢাবির ছাত্রী তাই এ প্রসঙ্গ আগে আসি।

আমি আপনার লিখা পড়ে বুঝতে পারছি আপনি নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসেননি। যেহেতু সেখানে পড়েননি সেখান পড়ার মান যাচাই করা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। দু'একজন জার্নাল পারেনি বা ভুল করেছে বলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করতে পারেন না।

নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের দামই যদি না থাকতো তাহলে এতো এতো ভর্তি যুদ্ধ হতো না।

যাহোক, পরের প্রসঙ্গে আসি। তবে ১০ হাজার আর ৩ হাজারের এ পার্থক্যটা অনেক বেশী বাড়াবাড়ি। একজন ছাত্র যখন একটা ফার্মে কাজ শুরু করে তখন তাদের সন্মানী সমান হওয়া উচিত। কারন সবাই একই কাজ করবে। কেউ কম জানলে তার গ্যাপ সে নিজেই পুরোন করে নিবে। কিন্তু সন্মানী কম হৗয়া কোনভাবেই উচিত নয়। অবশ্য কে শোনে কার কথা...........

আমারে সিএ ফার্মগুলো রিতিমত রক্তচোষা। এরা শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তই চুষে না, সবারই রক্তই চুষে। এর থেকে নিস্কৃতি পাবার উপায় নেই কারন বোর্ড এ রক্তই চোষাদের দ্বারাই পরিচালিত। নিজের ভালো ছাড়া এরা কিছুই বুঝে না।

আরো ওই যে সামান্য % পাশ করানোর একটা খেলা খেলে যাতে মার্কেটে তাদের কম্পিটিটর না বাড়ে। অথচ দেখুন, পাশাপাশি ভারতে গণহারে পাশ করায়। যার কারনে মিডলইস্ট রাস্ট্রগুলোতো লক্ষ লক্ষ ভারতীয় সিএ মিলিয়ন ডলারে চাকরী করে। আর আমরা?? নিজেদের স্বার্থে এতই বন্দী যে এ নিয়ে মাথা ব্যাথা করি না।

আরো শুনবেন? নর্থ আমেরিকায় সিএ বা সিপিএ আগে অন্য কোন দেশের সিএদেরকে গোণায় ধরতো না। কিন্তু না, ভারতীয়রা ঠিকই ধর্ণা দিয়ে তাদের ডিগ্রির মূল্যায়ন করে। অথচ ভারতের পাশাপাশি আমাদের সিএ বোর্ডকে বলেছিল এগিয়ে আসতে!! আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষেছি, কিছুই করিনি।

আমি এ পর্যন্ত বেশ ক'জন ভারতীয় সিএ এর সাথে কাজ করেছি। তাদের এ্যাকাউন্টিং জ্ঞান দেখে আমার হার্টফেল করার অবস্থা। অথচ তারা বিশাল পজিশন দখল করে আছে।

মন্তব্যটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। আপনার মূল বিষয় থেকে সরে গেছি। দেখি, আপনার লিখার বিষয়বস্তু নিয়ে লিখার সময় করতে পারি কিনা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বলেছেন: হ্যাঁ সোহানী আমার লিখাতে ক্ষোভ অনেকটাই প্রকাশ পেয়েছে , সেটার প্রাসঙ্গিকতার কারণ আমার কাছে আছে। আসলে এইযে অসংগতিমূলক অজুহাত ফার্ম কর্তৃপক্ষদের এর কোন ভিত্তি নেই তার নিমিত্তেই প্রশ্নগুলো রাখা ! আর প্রশ্নগুলোতে আমার ক্ষোভ প্রকাশিত হয়েছে বটে তবে সেও তো আমার প্রশ্নের ভিত্তি !


আপনার কথাটা ঠিক , আমার প্রতক্ষ্য অভিজ্ঞতা নেই । তবে আমি যে প্রশ্নগুলো রেখেছি তার উদ্দেশ্য এই নয় যে আমি সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করছি বা ছোট করছি ,একদমই না । আমি আসলে বলতে চাইছি এইযে যোগাযোগের দক্ষতা সহ অন্যান্য বিষয় তুলে আনছে তা কী শুধু এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ? এসব শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে শিখে তো তাঁদের আলাদাভাবে মূল্যায়নের কোন কারণ তো দেখা যাচ্ছে না ।


নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেমন তার প্রতিফলন ঘটবে তো শিক্ষার্থীদের দিয়ে এখন তাদের যেমন বলা হয় তারা যদি তেমন না হয় তবুও তাদের মূল্যায়ন করা হয় আর অন্যদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অবমূল্যায়ন করা হয় তো আপনিই বলুন কী বলার আছে এতে ?

বাংলাদেশের মানুষের বিচার ক্ষমতা এমনিতেই কম , তাছাড়া সব জায়গায় দক্ষতার চাইতে যখন কোন ভার্সিটি থেকে পড়েছে সেটাই বড় হয়ে যায় তখন আসলে সবাই যুদ্ধ বাধিয়ে দেয় একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে , এখানে গুণ বিচার আসল নয় মূল হল এর গ্রহণযোগ্যতা বিচার ।

যাহোক, পরের প্রসঙ্গে আসি। তবে ১০ হাজার আর ৩ হাজারের এ পার্থক্যটা অনেক বেশী বাড়াবাড়ি। একজন ছাত্র যখন একটা ফার্মে কাজ শুরু করে তখন তাদের সন্মানী সমান হওয়া উচিত। কারন সবাই একই কাজ করবে। কেউ কম জানলে তার গ্যাপ সে নিজেই পুরোন করে নিবে। কিন্তু সন্মানী কম হৗয়া কোনভাবেই উচিত নয়। অবশ্য কে শোনে কার কথা...........

এই ব্যাপারটাই তুলে ধরতে আমি এত কথা বলছি । সম্মানিটা সমান হওয়া জরুরি !

এই মন্তব্যে আপনি বাকী যা যা তুলে ধরেছেন সব হলো বাংলাদেশের সিএ পড়বার সবচেয়ে বড় অসংগতি কিন্তু ওসব নিয়ে লিখবার সক্ষমতা আপাতত আমার নেই । তবে কৃতজ্ঞ থাকবো আপনি যদি এই নিয়ে লিখেন তো ! অনুরোধ থাকলো , লিখবেন এসব নিয়ে !

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর যৌক্তিক এবং তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য ‍‍!!

৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৩

শরীফুল১১১ বলেছেন: অনেক স্বপ্ন আর ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ভর্তি হতে পারিনি ( এই বেতনে সংসার চালানো দুষ্কর ছিলো) আর ৩ বছর চাকুরি ছাড়া থাকা খুবই কঠিন ছিলো। সরকারি চাকরি পেয়েছি ঠিকই কিন্তু মনের মধ্যে সেই ব্যাথাটা আজও রয়ে গেছে। ইচ্ছে আছে, আগামী বছর সিএমএ ভর্তি হবো। বয়স ৩২ ছুঁই ছুঁই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই অবস্থা আরও অনেকের । সবাই এখন সিএমএ'র দিকে ঝুঁকছে , যদিও সিআইএমএ , সিজিএ , সিএফএ , সিআইএ । এমন আরও অণেক প্রফেশনাল পড়াশোনার সুযোগ বাংলাদেশে আছে !

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা আগ্রহ নিয়ে সিএ শুরু করে। এক বছর না যেতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আগ্রহ হারানোর পেছনে কারণও কম না !!

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে অনেকখানি আগের চেয়ে। আরও হবে। অনেক মেধাবিরা আসছে। ফলে দ্রুততম সময়ে পাশ করছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: না , অবস্থার পরিবর্তন হয়নি । পাশের সংখ্যা বেড়েছে এটা ঠিক তবে এর পেছনে একটা সুক্ষ্ণ কারণ আছে যেটা ব্লগার সোহানী বলেছেন । মেধাবিরা আসছে না , বরং এখন বিমুখ হচ্ছে । আর দ্রুত সময় পাশের পেছনে মেধাবী হবার কোন অবদান রাখে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.