![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হিমুর মত উদ্ভট টাইপের কেউ।আমার ভালোলাগে ভাবতে,হাঁটতে,কথা বলতে,নীরবে অপলক চেয়ে দেখতে। আমি আমার মত করে গড়ে উঠা এক আদম। নিরিবিলি প্রশান্ত মন নিয়ে প্রগাঢ় চিন্তায় ডুবে থাকতে ভালোবাসি। আমার পথ আমি বেঁচে নিয়ে,যে পথে হেঁটে চলবো অনন্ত সময়।
সেদিন বিকেলে বৃষ্টি নামছিলো, একেবারে মুষলধারে।
কোথায় যেতে পারবো না ভেবে টেবিলে বসে গেলাম বই পড়বো বলে।
বই তো অনেক,পড়বো কোনটা,দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগছিলাম।
হঠাৎ হোস্টেলের বড় ভাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া 'তসলিমা নাসরিন' এর 'লজ্জা ' উপন্যাসটা পড়া শুরু করলাম।
ভাবলাম কি এমন একটা বই যা নিয়ে দেশে বিদেশে হাজারো বিতর্ক? এত যুদ্ধ বিগ্রহ? অনেকখানিই পড়ে ফেললাম।
যতদূর পড়েছি সত্যিই বাঙালি হিসেবে বার বার লজ্জা অনুভব করেছি।
ধর্ম তো খারাপ কিছু নয়,কিন্তু ধর্মকে বিতর্কিত বিকৃত করে যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ স্বাধীন বাংলাদেশে রচয়িত করা হয়েছিল,তা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
তসলিমা নাসরিন মুক্তচিন্তার অধিকারী বিতর্কিত লেখিকা,এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি সত্য তার 'লজ্জা ' উপন্যাসে লেখা অধিকাংশ তথ্য।
এটা চিরন্তন সত্য যে এদেশে কূপমণ্ডূক টাইপের ধার্মিকরা নিজেদের স্বার্থ আদায়ের জন্য ক্ষমতাকে পূঞ্জীভূত করার জন্যই ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ঘটায়।
ধর্মীয় পরিচয়ে যেমন প্রত্যেক ধর্মের মানুষ গৌরবান্বিত,ঠিক তেমনি মানুষ হিসেবে মিলেমিশে বেঁচে থাকাটা গৌরব করার একটা বিষয়।
ধর্মের দোহাই দিয়ে হিংসা বিদ্বেষ পোষন করে আদৌ ধার্মিকতা নয়,এটা বরং কোন জাতি বা ধর্মগোষ্ঠীর মত লজ্জাকর একটা ব্যাপার।
প্রত্যেক ধর্মই মানবিকতাকে সম্মান করে,প্রত্যেক ধর্মেরই পার্থিব মূল উপজীব্য হচ্ছে মানবতাবাদ।
সাম্প্রদায়িকতার চারাগাছ উপরে ফেলে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বেঁচে থাকাটাই চূড়ান্ত নীতি।
আর কোন ধর্ষিতা পূর্ণিমার লাশ দেখতে চায় না বাঙালি ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তা, আর দেখতে চাই না বিশ্বজিতের আর্তনাদ। আর সহ্য করবো না ছেলেবেলার বন্ধুদের স্বপরিবারে রাতের আধাঁরে জন্মভূমি ত্যাগ করার নির্মম দৃশ্য।
©somewhere in net ltd.