নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথাই মানুষের প্রাণ। যতদিন মানুষ হৃদয় উজাড় করে কথা বলতে পারবে ততদিন মানুষ বেঁচে থাকবে।

দূর দ্বীপবাসী

আমি হিমুর মত উদ্ভট টাইপের কেউ।আমার ভালোলাগে ভাবতে,হাঁটতে,কথা বলতে,নীরবে অপলক চেয়ে দেখতে। আমি আমার মত করে গড়ে উঠা এক আদম। নিরিবিলি প্রশান্ত মন নিয়ে প্রগাঢ় চিন্তায় ডুবে থাকতে ভালোবাসি। আমার পথ আমি বেঁচে নিয়ে,যে পথে হেঁটে চলবো অনন্ত সময়।

দূর দ্বীপবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালি জীবন দর্শন

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০৭


বাঙালি নিজ হাতে খেতে খুব ভালোবাসে না,
অন্যে যদি গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে বিষও খাওয়ায় সেটা খেতে খুব ভালোবাসে।
আর এটাই বাঙালির চিরাচরিত স্বভাব।
সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এ ধরনের অভ্যাসের অনুশীলন করে আসছে। বাঙালি নিজেদের স্বাবলম্বী বলে ঘোষণা দেওয়ার সামর্থ্য অর্জন এখনো সহস্র যুগ বাকি।
পরনির্ভরশীলতার বিভিন্ন পর্যায়ে হতে পারে,
যেমন : ছোট বেলা থেকেই ছেলেমেয়েরা প্রত্যেকটি কাজে বাবা মা পারিপার্শ্বিকগোষ্ঠীর উপর শতভাগে শতভাগ নির্ভর করে।
আত্মবিশ্বাস, আত্মবিকাশ ও আত্মকর্ম বলে কিছুই শেখানো হয় না।
ছেলে মেয়ে বড় হয়ে কি হবে,
কোন লাইনে পড়বে, কিভাবে খাবে, কিভাবে ঘুমাবে এটাও নির্ধারন করে পরিবার পরিজন।
তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা নেই, নিজস্ব স্বাধীন সত্তার কোন অস্তিত্ব নেই; সব যেন হাতের পুতুল।
আর বাঙালি প্রজন্ম এসবের জন্য বিশাল চাপের মুখে থাকে। আর এ কারণেই প্রত্যেকটা সন্তান মানসিক ও শারীরিক ভাবে কিছুটা বিকারগ্রস্ত বা বিকলাঙ্গ হয়ে উঠে।
আমরা যদি সর্বক্ষেত্রেই কারো না কারো নির্ভর হই তবে আমাদের মানসিক যোগ্যতা, দক্ষতা ও গৌরবময় চিন্তার প্রতিফলন কোথায়?
বাঙালি যদি সাহসিকতার পাশাপাশি একমত ও একপথে থেকে নিজেদের কাঠামোকে পরনির্ভর না করে আত্মনির্ভর করতো তাহলে বাঙালির দুর্দিন বলে কিছু থাকতো না।একাত্তর থেকে
আজকের এই তৃতীয় বিশ্বে এসে সাদাচামড়া কালো চামড়াসহ নানাজাতের উপর একচেটিয়া নির্ভর করতে হতো না।
পারস্য আরব অনারব পর্তুগিজ মোঘল পাঠান থেকে ইংরেজ, পাকিস্তানিরা যা খাইয়েছে, বাঙালি তাই অনাসায়ে বোঝাপড়া ছাড়া গিলেছে।
আজ ভারতীয়রা, কিংবা আমেরিকানরা, চাইনিজরা, রুশরা যা খাওয়াতে চাইছে বাঙালি সাথে সাথে তা খাচ্ছে...কতটুকু হজম হবে তার চিন্তা মোটেও নেই।
জাপান,থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, তুরস্করা নিজেদের শক্তি ও প্রজ্ঞাতে আজ যখন পুরোটাই স্বাবলম্বী তখন আমরা কিছুটাও নই।
শুধু অন্ধের মত হাত পেতে বসে আছি, আর অযথা শূন্যে হাতরাচ্ছি।
এসবের কারণ আমরা ছোট থেকেই পরনির্ভরশীল হয়ে জন্ম নিচ্ছি।
আমাদের সমাজনীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি সব দ্বিতীয়, তৃতীয় কেউ এসে ঠিক করে দেয়, আর আমরা তাই নিয়ে কোনরকম বেঁচে থাকি।
আমাদের চিন্তার স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা বলে কিছুই নেই।
দ্বিতীয়, তৃতীয় যা আদেশ করবে, তাই আজ্ঞাবহ নির্বাহীর মত চোখ বুজে করে যাবো।
আমরা বাঙালিরা গুটিকয়েক বাদে সবাই একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী, কিন্তু আমাদের পথ চলা, কথা বলা থেকে সর্বক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে সেকেন্ড গড হিসেবে মানি।
আমাদের তৃতীয় একজন গডও আছে, তা হল টাকা, যশ ও ক্ষমতা।
বর্তমানে এতটুকুই প্রতীয়মান নিজস্ব শক্তি নূন্যতম যার, তার যদি দ্বিতীয় ও তৃতীয় গড শক্তিধর হয় তার জোর বেশি, সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য বেশি।
আর আমরা বাঙালিরা নিজেকে সুবিশাল বলে মানি না, তবে প্রচার করি।
আর মোসাহেবি স্বভাবটা পৃথিবীতে বাঙালির সবচেয়ে বেশি।
আমরা সকল ধ্যান জ্ঞান ধর্ম ও কর্মের উপরে নিজের চিন্তার পরিব্যাপ্তি ঘটাতে পারি না বা সঠিক শ্রদ্ধাটা রাখতে জানি না।
একটা আত্মনির্ভর ও বহু গুণে গুণান্বিত বাঙালি তথা বাংলাদেশি জাতি আজ প্রয়োজন এবং সেটা আজ খুবই জরুরিও বটে।
আর কত পরগাছার মত বেঁচে থা্কবো, এবার তো আত্মনির্ভরতা চাই।
আর আত্মনির্ভরতা মানে এই নয় যে নিজেকে সংসার বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা, আত্মনির্ভরতা মানে সংসারে,সমাজে গুরুত্ববহ ভূমিকা রাখা।
এজন্য সঠিক পরিবেশ ও চর্চার প্রয়োজন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

করুণাধারা বলেছেন: লাইক এবং +++++++

বোঝাতে পারলাম কি কতটা ভাল লেগেছে! খুব ভাল লিখেছেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

দূর দ্বীপবাসী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

মাইনউদ্দি বলেছেন: ভাই লিখাটি ভালো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.