নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথাই মানুষের প্রাণ। যতদিন মানুষ হৃদয় উজাড় করে কথা বলতে পারবে ততদিন মানুষ বেঁচে থাকবে।

দূর দ্বীপবাসী

আমি হিমুর মত উদ্ভট টাইপের কেউ।আমার ভালোলাগে ভাবতে,হাঁটতে,কথা বলতে,নীরবে অপলক চেয়ে দেখতে। আমি আমার মত করে গড়ে উঠা এক আদম। নিরিবিলি প্রশান্ত মন নিয়ে প্রগাঢ় চিন্তায় ডুবে থাকতে ভালোবাসি। আমার পথ আমি বেঁচে নিয়ে,যে পথে হেঁটে চলবো অনন্ত সময়।

দূর দ্বীপবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি ও বিপ্লব

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

পাকিস্তান আমলে পূর্ব বাংলার (পূর্ব পাকিস্তান) রাজনীতিবিদদের রাজনীতি ছিল কথায় আর মানবসেবায়,
আর পাকিস্তানিদের (পশ্চিম পাকিস্তান) রাজনীতি ছিল অস্ত্র আর মানব হত্যায়।
আর এর কারণেই বিপ্লবের উত্থান হয়েছে,
এবং প্রকৃত রাজনীতির বিজয় অর্জিত হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ সৃষ্টির কিছুটা সময় অতিবাহিত না হতে সেই পাকিস্তান ভার্সনের রাজনীতি চালু হয়ে গেছে, সেই পুরনো পঁচা বস্তা ভর্তি কর্দমাক্ত রাজনীতি... যেটা স্বাধীনতার চারযুগের মাথায় এসে সগৌরবে বহাল আছে।
আজকে কথা নেই,অস্ত্রের ঝনঝনারির আওয়াজ চলছে।
আজকে মানবসেবা নেই, মানবাত্মার হত্যা রয়েছে।
আজকে যারাই এ ধরণের অপরাজনীতিতে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধেওও একটা সময় পড়ে বিপ্লব হবে..
তবে এ দেশ দুভাগ হবে না, দেশটা ধুয়ে মুছে শুদ্ধ হবে।
অতএব একটা বিপ্লবের মুখোমুখি হওয়ার আগেই অপরাজনীতির সীমারেখা টানা উচিত।
আর একটা বিপ্লব মানে শুধু নতুন কিছু সৃষ্টি করা না, একটা ভূখন্ডকে ধূলিসাৎ করা।
আজকের বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, যে সমৃদ্ধি তা ভেঙে পড়ে যাবে অনায়াসেই যদি কর্দমাক্ত রাজনীতি না বন্ধ হয়।
লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া,মিশর,তিউনেশিয়ার চাঙা অর্থনীতি খুব ধ্বংস হয়েছে সেদেশের শাসকগোষ্ঠীর অপরাজনীতির কারণে,
শুধু অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভাঙেনি,গোটা দেশটা ভেঙে গেছে।
ঠিক তেমনি আজকে ভারত পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চায় না শুধু নিজেদের অর্থনীতি ও সমৃদ্ধি টিকিয়ে রাখার জন্য,
ঠিক সেরকম কৌশল অবলম্বন করছে ইরানও।
আমাদের এসব দেশ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত,
স্বদেশী বিপ্লব আর বিদেশি ছাড়পোকাদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আগেই একটা সমন্বয় আনা উচিত।
একচেটিয়া অর্থনীতির মত,একচেটিয়া রাজনীতির সাময়িক সুফল থাকলেও তার কুফল কিন্তু খুব গভীর।
আমরা মুক্ত বাজার অর্থনীতির মত মুক্ত মতের রাজনীতির বিকাশ চাই।
যে কোন দেশের রাজনীতির সুফল কুফলের দ্বারা শুধু মাত্র রাজনীতিবিদরাই প্রভাবিত হয় না, প্রভাবিত হয় গোটা ভূখন্ডের সব অধিবাসী।
সাম্রাজ্যবাদী আর সমাজবাদীদের পঁচা শামুকে পা কাটার আগেই আমাদের সচেষ্ট হওয়া অনিবার্য।
কিন্তু কে শুনবে কার কথা,
ব্যক্তি হিসেবে যদি ধীরে ধীরে মানুষগুলো পরিবর্তিত হয়,তবে আমরা একটা পরিবর্তনশীল ও সৃজনশীল রাষ্ট্রকাঠামো পাবো,
যেটা জাপান,সিংগাপুর আর মালয়েশিয়া পেয়েছে।
একটা মানুষের পরিবর্তনের প্রভাবে একটা সমাজ পরিবর্তিত হতে পারে, আর একটা সমাজ পরবর্তনের দ্বারা একটা গোষ্ঠী আর জনপদ পরিবর্তিত হতে পারে, এভাবে একটা রাষ্ট্রও পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রতিহিংসা আর রটনা মানুষকে ভালো কিছু দেয়না, বরং যা কিছু ভালো আছে তা ছিনিয়ে নেয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B:-) বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বতমান সময় অবধি লুলা জামাত সহ আওমী, বিম্পি, ইনু মিনু সহ বাংলাদেশের ছোট বড় সবক টি দল ক্ষমতায় ছিল। কেঊ এক কভাবে কেঊ জোট করে। কিন্তু কারো সময়ই মানুষ সুখে ছিল না। যে যেভাবে পারছে বাশ দিছে।

আমরা স্বাধীন হইছি কিন্তু কলোনী থেকে মুক্ত হতে পারিনি। আগে বিদেশী কলোনী ছিল এখন পারিবারিক কলোনী বিদ্যামান।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

দূর দ্বীপবাসী বলেছেন: নিঃসন্দেহে।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তানী আমলে যারা ছাত্র রাজনীতি করতো, তারাই এখন দেশ চালাচ্ছে, পাকিস্তানী ছাত্র

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

দূর দ্বীপবাসী বলেছেন: অবশ্যই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.