![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বসন্তের রঙ্গে রাঙা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ!তরুন তরুনী, প্রেমিক প্রেমিকাদের আজ একে অন্যের মাঝে হারিয়ে যাবার, বিলীন হয়ে যাবার দিন।এই ভালবাসাকে আশ্রয় করেই পৃথিবীতে অনেক অসাধ্য সহজেই সমাধান হয়েছে আবার ভালবাসা হারিয়ে অনেক হয়েছে বিবাগী, আবার কেউ বরন করছে ফাঁসির দড়ি।
"সখী ভালোবাসা কারে কয়" ?
বহু বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই ভালোবাসার অর্থ খুঁজেছিলেন। কারণ, ভালোবাসার অর্থ যে গভীর দ্যোতনাময়। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটি শুধুই ভালোবাসার। হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মেলবন্ধনের দিন। প্রিয় মানুষটিকে আরো বেশি কাছে পাওয়ার, আরো বেশি ভালোবাসার জানার ও বোঝার দিন। প্রেমিক-প্রেমিকারা মন খুলে বলবে তাদের হৃদয়ের কথা। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে'। প্রেমপিয়াসী হৃদয়ের কাছে বিশেষ গুরুত্ব এ দিনটির। তাই বছরের এ দিনকে সারা বিশ্বের তরুণ-তরুণীরা বেছে নিয়েছে হৃদয়ের ব্যাকুল কথার কলি ফোটাতে।
তরুণ-তরুণী শুধু নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশ করার আনুষ্ঠানিক দিন আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি। শুধুমাত্র একটি দিন ভালোবাসার জন্য কেন এ প্রশ্নের জবাবে কবি মোহাম্মদ রফিকের ছোট জবাব 'ভালোবাসা একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়। সারা বছর, সারা দিন ভালোবাসার। তবে আজকের এ দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছে মানুষ।'বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের রীতিটা মূলত ইউরোপীয় ঘরানার। আমাদের দেশে বিগত প্রায় দেড় দশক আগে এ দিবস পালনের সূচনা হয়।
ভালোবাসার গল্পটি শুরু হয়েছিল সেই ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে। রোমের চিকিৎসক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিল নগর জেলারের দুহিতা। পরে দুজনের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া হয়। সেই থেকে জন্ম নিয়েছিল তাদের ভালবাসার অমরগাথা। ভালবাসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয় ফেব্রুয়ারির এই ১৪ তারিখে। তারপর এই ভালোবাসার স্বীকৃতি পেতে দুই শতাব্দী নীরবে-নিভৃতে পালন করতে হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে।
৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। গ্রিক ও রোমান উপকথার মতই ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি নিয়ে আরো গল্প-কাহিনী ছড়িয়ে আছে ভুবনজুড়ে। কে এই ভ্যালেন্টাইন তাও রহস্যাবৃত।
ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে আমরা তিনজন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন বা ভ্যালেন্টিনাসের সন্ধান পাই। তারা সবাই ১৪ ফেব্রুয়ারিতে আত্মদান করেন।
উনিশ শতকেই উত্তর আমেরিকায় ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হয় ব্রিটিশ অভিবাসীদের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে ভ্যালেন্টাইন কার্ড বিনিময় শুরু হয় ১৮৪৭ সালে ম্যাসাসুয়েটসের অরকেস্টারে। ইতিহাসবিদদের ভাষায়, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এই উৎসবের সূত্রপাত।
চীনে ভালোবাসা প্রকাশের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের আগে তারা বছরের দুই দিন পালন করতো ভালোবাসা দিবস। এখন তো চীনে ব্যাপক হারে দিবসটি পালিত হয়। পশ্চিমা ধাঁচে ১৪ ফেব্রুয়ারিই তারা ভালোবাসা দিবস পালন করে।
ইউরোপের সব দেশেই মহাসমারোহে তরুণ-তরুণীরা এ দিবস পালন করে। মার্কিনিদের মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের হার বেশি। জরিপে দেখা গেছে, চার মার্কিনির মধ্যে তিনজনই দিবসটি পালন করে। আমেরিকায় এ দিনে ১৬ কোটি কার্ড, ১৩ কোটি গোলাপ বিনিময় হয়।
আজও লক্ষ কোটি গোলাপের আদান প্রদানে মাধ্যমে পালিত হচ্ছে ভালবাসা দিবস।
আজ থেকে ১৭ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একজনকে ভাললেগেছিল।ছিলাম খুব কাছাকাছি একে অপরকে জানতাম নিবিরভাবে ভালবেসেছি ভালবাসা পেয়েছি, কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারিনি।সে বলতে পারেনি যদি প্রত্যাখ্যান করি আমি বলতে পারিনি যদি শ্রদ্ধার জায়গাটা হারাই।তবে কলেজ বার্ষিকীতে তাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলাম। সেই কবিতাটি শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার পেয়েছিল।পরে অবশ্য জেনেছিলাম সেও আমাকে নিয়ে কবিতা লিখত তবে তা এখনও অপ্রকাশিত। এখন একটাই শান্তনা আছি আজও তার শ্রদ্ধা আর ভালবাসার একজন হয়ে। ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে শেয়ার করলাম।
"শিলু তোমাকে"
আজো বলতে পারিনি মুখে
শুধু একটি কথা…………
তোমার মুখ দেখে ভুলে যাই, প্রিয়া।
কেমনে বলিব তাহা …………
যত কঠিন তত সহজ তবু কেন ভয়
শুধু মনে মনে ভাবি, এইবার বলিব আমি।
ছো্ট্ একটি কথা খুব সুন্দর তুমি।
তাও বলিনি আমি।
কোথায় যেন বাধা।
শুধু দূর থেকে তোমাকে দেখি
আর ইচ্ছেমতো ভাবি
সত্যিই তুমি সুন্দর।
তুলনা হয় না তোমার।
বাঁকা চোখে যখন দেখ আমায়
হরিণীর মত লাগে তোমায়।
তুমি আসবে তো,
অরণ্য ঘন ঐ সবুজ বনায়নে
নয়তো তোমারই পুষ্প কাননে।
যেখানে থাকবে শিমুল, পলাশ, আর জুঁই চামেলী
হয়তোবা তুমি হবে তাদের রানী।
আমাকে ফেলে যেও না তুমি
শুধু একবার প্রিয়া বলে ডাকব আমি।
এই কবিতা শব্দনীড়ে প্রকাশ হবার পর শ্রদ্ধেয় আজাদ কাশ্মির জামান মুরব্বী কিছু লাইন যোগ করার কথা বলে মন্তব্য করেছিল সেই লাইন গুলো হলো:
আমি নিজেকে না যতটা জানি
তারচেয়ে বেশী জানি তোমাকে।
তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের গন্ধ আমার চেনা
তোমার ধমনীর রক্ত স্পন্দন কখন কি কথা বলে
আমার তা জানা হোয়ে গেছে,
তোমার চোখে মুখে মেঘ জমলেই
আমি তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়াই
তৎক্ষনাত আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস বলে দিতে পারি-
কত বেগে হাওয়া বইবে উত্তর থেকে দক্ষিনে
কতটা বৃষ্টিপাত জমবে ধরণীতে
কখন বিদ্যুৎ চমকাবে আর কোথায় বজ্রপাত হবে।
পরে আমি বলেছিলাম:
যোগ করলে খারাপ হবে না বরং ভালোই হবে। তবে
তাকে আর আমার জানা হবে না
সে এখন আমার থেকে অনেক দুরে
দুর নক্ষত্র মাঝে।
তার কল্পনা করা পাপ
তাকে চাওয়া অন্যায়।
তার নি:শ্বাসের প্রতিটি শব্দ এখনও আমার কানে বাজে
তার আনত নয়নের সকরুন চাহনী
এখন আমার রক্ত কনিকায় হিম হয়ে লেপ্টে আছে
প্রবাহিত রক্তের ধারা এখন আর উষ্ণ হয় না।
ঝড়ো বাতাসে হৃদয়ে কাঁপন তুলে না
হৃদয় নিকুঞ্জ এলোমেলো হয় না প্রচন্ড তান্ডবে।
ঝড়ের পূর্বাভাস ঠিকই অনুভব করি
ক্ষতির আশঙ্খায় আগলে রাখি না।
যা হারাবার তা হারিয়েছি
অনেক কাছে পেয়েও তাকে ছুতে পারিনি
বিশ্বাসের বস্তু হয়ে শ্রদ্ধায় রয়ে গেছি
আজ আর বিশ্বাস হারাতে চাই না।
সকলকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। সকলের জীবন ভালবাসায় ভরে উঠুক।সকালে সালমাকে ফোন দিয়েছিলাম এই ভালবাসা দিবসেও সে শিক্ষা অফিসে ব্যস্ত। তবে সে নাকি আমার ফোনের অপেক্ষায় ছিল…….এটাই আমার শান্তনা।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৩
নিঝুম আখতার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৫৭
ঈষাম বলেছেন: জয় হোক ভালবাসার..
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৩
নিঝুম আখতার বলেছেন: মন্তেব্যর জন্য শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৫২
কথাফাজিল বলেছেন:
