![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা গানের আসোর সম্পর্কে বোধ হয় কম / বেশী সবাই জানি । এই গানের আসোর আগে গ্রামে গ্রামে অনুষ্ঠিত হতো ।
গ্রামের মানুষগুলি সেই গান শোণার জন্য দিনে দুপুরে নায়ে খায়ে রেডি হয়ে থাকতো ঐ দিন , কেউ কেউ আবার এই বাউল গানকে শরিয়ত / মারফৎ গান বলে আখ্যায়িত করতো অথচ তারা কিন্তু লেখাপড়াও কম জানতো কিন্তু সমাজের নানা ঘটনা ও ধর্মের বানীর উপর নিজেরাই সুন্দর সুন্দর গান লিখতও যে গানগুলি তারা মুখস্থ করে রাখতো আর গাইতো এবং অনেক টানা শুর দিতো . কখনো কখনো তারা আবার একে অপর দলের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে মারতও তার উত্তর দেওয়ার জন্য । যাদের আবার বলতো গায়েনই , গানের আসরগুলি বসতো সাধারণত বট গাছ তলা অথবা বড় বড় গাছের নীচে আর মানুষ বসতো মাটিতে তবে কোনও কোনও সময় মাটিতে খড় পাতা থাকতো , গায়েনিদের কোনও মঞ্চ ছিলও না তারা গাইতও মাটিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আর বাদ্যযন্ত্র ছিলও একটি দোতারা আর একটি তবলা । সেই গানের আসোরে তেমন একটা আলোকিত ছিলও না থাকতো কিছু হ্যারিকেন অথবা কিছু ঘোড়া বাতি যা জ্বালাতও কেরোসিন তেল দিয়ে । সেই আসোরে মানুষ বসতও গাদাগাদি করে তার মধ্যে আবার কেউ কেউ কখনো কখনো বায়ু ছেড়ে দিতো তাই নিয়ে লেগে যেতো হাসাহাসিতে হট্টগোল , যে লোকটি বায়ু ছাড়তও তার বায়ুর গন্ধে তাকে আসোর থেকে তুলে দেওয়া হতো কখনো কখনো অথবা বাথরুম করে আসার জন্য বলা হতো সেই বায়ু কেউ কেউ ছাড়তও বিনা শব্দে আবার কেউ জোরে শব্দ করে ( বায়ু অর্থ পাদ মারা ) , আসোরে থাকতো পান / বিড়ির ফেরিওয়ালারা কুপি বাতি জ্বালিয়ে আর পাওয়া যেতো আঁখের গুড়ের খুরমা , খাড়গাই , মদন কট কটি , জিলাপি , রসগোল্লা । সেই আসোরে আবার বিড়ির ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে যেতো আসোর এলাকায় । এখন সেই গানের আসরগুলি গ্রামে গ্রামে আর তেমন একটা হতে দেখা যায় না তবে এখন হয়ে গেছে কনসার্ট নামে গানের আসোর সেখানে থাকে আলোয় আলোকিত আর নিভু নিভু বিদ্যুতের বাতির আলোর ঝলকানই আর জুয়ারুদের আনাগোনা আর এখন সমাজ থেকে হারিয়ে গেছে সেই গানের মজমা আর মানুষের সেই সংস্কৃতি আর আনন্দ তবে ইদানীংকালে মিডিয়ার আদৌলতে তাদের দেখা যায় কখনো কখনো চ্যানেল গুলিতে । তাদের সেই গানগুলির মধ্যে একটি গান হোলও ===== মানুষের মধ্যে মানুষ করিতেছে বিরাজমান , মানুষ ধরো মানুষ ভজো , চৌদ্দতলার উপরে দালান তার ভিতরে ফুলের বাগান ====== ।
©somewhere in net ltd.