নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তীর্থক

তীর্থক

71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।

তীর্থক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে বুঝে নিজ হাতে তৈরি করছি যে দানব!!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১০

বাংলাদেশে এখন অনেক পরিক্ষা! পঞ্চম শ্রেনীর একটি শিশুকে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত যেতে কতগুলো পরীক্ষা পেরিয়ে আসতে হয় তা হয়ত তার শিক্ষকও না গুনে বলতে পারবে না!
কিন্তু এত পরীক্ষা কেন? শিশুটিকে সত্যিকারের বিদ্যান বানানোর জন্যইত, তাই না? কিন্তু এই শিশুটিকে সারাক্ষন বইয়ের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে আর পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ দিয়ে সত্যিই বিদ্যান হিসেবে গড়ে তোলা যাচ্ছে কি?
আমার ত ভাবলেই ভয় লাগে, আমর ছেলের পিঠে সারাক্ষন একগাদা ভারি ভারি বই আর মাথায় একটাই চিন্তা, "সামনে পরীক্ষা, আমাকে ভালো করতেই হবে!"
পরীক্ষা হবে আর তাতে সন্তান ভালো করবে না এটা ত হতেই পারে না! আর এই "ভালো করতে হবে" আল্টিমেটলি যে কম্পিটিশন তৈরি করছে তা আর কোন মতেই শিশুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না, ছড়িয়ে পরছে মা-বাবার মধ্যেও, তৈরি হচ্ছে এক অসুস্থ সমাজ! আর সেই অসুস্থ সমাজ একটা শিশুকে সুস্থ মানুষ হিসেবে তৈরি করবে এটা ভাবা কি বোকামি না?

তাহলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কে? আপনার আদোরের সন্তান যাকে আপনি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন! আপনার কলিজার টুকরা একটা অসুস্হ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠুক এটা নিশ্চয়ই আপনার কাম্ম না? তাহলে কেন এই অসুস্হ প্রতিযোগিতা? কেন সত্যিকারের শিক্ষার আলো জ্বালানোর পরিবর্তে আপনার শিশুর ভিতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন নিকষ কালো অন্ধকার? ভুলে যাবেন না, আপনার সন্তান পরীক্ষায় যত ভালো ফলই করুক না কেন শেষ পর্যন্ত তাকে নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে যদি আপনার সংশয় হয় তাহলে সেই ভালো ফল আস্তাকুঁড়ের ময়লার চাইতেও মুল্যহীন!

তাকিয়ে দেখুন আবরার হত্যাকরীদের দিকে! বুয়েটের ষ্টুডেন্ট অথচ তার পরিবার এখন মুখ লুকাচ্ছে! এখনও সময় আছে, আপনিও যদি ওদের মত মুখ লুকাতে না চান তাহলে "সাবধান"!!!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি শিক্ষার উপর বড় ডিগ্রিধারী, কিংবা শিশু শিক্ষার উপর কোন ধরণের প্রফেশানেল?

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

তীর্থক বলেছেন: না

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুই একটা ঘটনা দিয়ে বড় কোনো ঘটনা দিয়ে বিচার করা ঠিক না।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৮

তীর্থক বলেছেন: বইয়ের বোঝা তাহলে বাড়তেই থাকুক, তাই ত? আবরার হত্যা একটা উদাহরন মাত্র! এখানে লেখাপড়া নিয়ে যে অসুস্হ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তার কুফল কি হতে পারে তা ই বলার চেষ্টা করেছি!

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার ধারনা আসলে ভুল। বই এর বোঝার সাথে দানব হবার কোন লিংক নাই। দানব হবার লিংক অন্যখানে।

যাই হোক আবরার এর খুনীদের যে ধরনের বেশভুসা তাতে তাদেরকে ছাত্রলীগ এর মতই দেখতে লাগে। এদেরকে কোনভাবেই দেশ সেরা মেধাবীদের মত দেখতে মনে হচ্ছে না। এরা বুয়েটে চান্স পেল কিভাবে তা ঠিকমত তদন্ত হলে হয়ত কেচো খুড়তে সাপও বের হতে পারে। বুয়েটের ভিসি এবং কতিপর ফুলের মত পবিত্র শিক্ষকদের পক্ষে সবই সুম্ভব।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০২

তীর্থক বলেছেন: হয়ত ভুল আবার হয়ত সত্যি! উন্নত বিশ্বে কিন্তু বইয়ের এত বোঝা নাই আর লেখাপড়া নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগীতাও নাই!

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

নতুন বলেছেন: সন্তানকে ভালো মানুষ বানানোর মন্ত্রটা বাবা/মায়ের জপতে হয়।

স্কুল/কলেজে ভালো মানুষ বানানো শেখানো হয় না। আগের জামানার স্কুল শিক্ষকরা এখন নেই। এখন স্কুলে শিক্ষকতা করে নিজের প্রাইভেটের ছাত্র বাড়ানোর জন্য। টাকার জন্য। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবার ব্রত নিয়ে কেউই এখন শিক্ষক হয় বলে মনে হয় না।

সামনের প্রজন্ম আরো ভয়াবহ হয়ে গড়ে উঠছে। এরা বিশ্বসাহিত্য পড়ছেনা, দশ`ন জানেনা, এরা ফেসবুকে গুজব সেয়ার করে আর কালেকটেট পোস্ট সেয়ার করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.