![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবীন উদ্যোক্তা। কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলে পড়ছি। শখে লেখালেখি করি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
যুগান্তকারী খবর! বিজ্ঞানীরা "এলিয়েন" ডিএনএর সঙ্গে প্রথম জীব তৈরিতে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন! প্রত্যেক জীব জিনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে, টি , জি , এ, ও সি নামে পরিচিত চারটি বেস। গবেষকরা নতুন জীবটিতে যোগ করেছেন দুটি নতুন বেস, X এবং Y যার মাধ্যমে ডিএনএর একটি নতুন গঠন তৈরি হল। বিস্ময়কর ব্যাপার হল এই অর্ধ-সিন্থেটিক “এলিয়েন”জীবের স্বাভাবিক প্রজনন অব্যাহত ছিল! ভবিষ্যতে, এই যুগান্তকারী প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল প্রাণী সৃষ্টিতে সাহায্য করবে যার উদাহরণ হতে পারে- ব্যাকটেরিয়া, প্রাণী এমনকি মানুষও!
এই বিশাল পরিধির গবেষণার কাজ চলছে ১৫ বছর ধরে যার উৎস স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিউট। স্বাভাবিক ডিএনএতে, দুটি পৃথক strand একটি ডবল হেলিক্স মধ্যে একত্রিত হয়। এই strand গুলো চারটি ভিন্ন বেস অ্যাডেনিন (A), থাইমিন(T), সাইটোসিন(C) এবং গুয়ানিন(G) এর সাথে সংযুক্ত থাকে। এ, টি-র সাথে, এবং সি সবসময় জি-র সাথে যুক্ত। এভাবে বেস জোড়া একটা তুলনামূলক সহজ ভাষা তৈরি করে যেমন ATCGAAATGCC। একসঙ্গে কয়েক ডজন বেস জোড়া একটি দীর্ঘ ডিএনএ Strand-এ একত্রিত করুন এবং এর পরে আপনি একটি জিন পাবেন যা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন কিভাবে উৎপাদন সম্ভব তা বুঝতে সহায়তা করবে। আপনি যদি হেলিক্সের ভাষার অক্ষরগুলো ক্রমানুসারে জানেন, তাহলে আপনি পরবর্তী অক্ষরটিও অনুমান করতে পারবেন। এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারনেই একটি ডিএনএ হেলিক্সকে মাঝ বরাবর ভাগ করা যায় এবং বাকি অংশ পুনরায় সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।
এই নতুন গবেষণায়, স্ক্রিপ্স বিজ্ঞানীরা ই-কোলাই ডিএনএর মধ্যে একটি নতুন বেস জোড়া ঢোকানোর একটি পদ্ধতি খুঁজে পান। অক্ষর X এবং Y এই দুটি নতুন বেসের প্রতিনিধি।
প্রথমত, বিজ্ঞানীরা জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড একটি ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াম তৈরি করেন যা নতুন রাসায়নিকের যেমন d5SICS এবং dNaM-এর অনুকূল ছিল। তারপর তাতে একটি ডিএনএ প্লাসমিড যোগ করা হল যা একটি একক XY বেস জোড়া ধারণ করে।এই পদ্ধতিতে প্রজনন অব্যাহত থাকে এবং এই প্রক্রিয়া প্রায় এক সপ্তাহের জন্য নির্ভুলভাবে সম্পন্ন হয়।
এভাবে, এই পদ্ধতি জৈবিক তথ্য সংগ্রাহক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিএনএ একক শত শত টেরাবাইট ডাটা হতে পারে যা ভবিষ্যৎ গবেষণায় আরও উপকার করবে।
এখন বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য “এলিয়েন” ডিএনএ কে কাজে লাগানো। যদি তা সম্ভব হয় তাহলে অচিরেই ক্যান্সার কোষ বা প্রতিপ্রভ অনুবীক্ষণ গবেষণা বা জিন থেরাপিতে বিপ্লব ঘটানো যাবে!
পরিশেষে এটাই বলা যায়, এটি শত শত অ্যামিনো অ্যাসিড ও প্রোটিনের একটি অসীম জটিল লাইব্রেরী তৈরী করতে পারে যেখানে বিভিন্ন বেস যুগলের ধারণকারী ডিএনএর সঙ্গে একটি কৃত্রিম জীব তৈরি করা সম্ভব হতে পারে।
বিবর্তন কি তবে পুনরায় লিখিত হবে?
উৎসঃ http://www.extremetech.com
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন জটিল প্রাণী হচ্ছে না; কোন প্রাণীর বর্তমান জৈবিক অবস্হাকে বদলানো হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৭
বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: এটা কি করে সম্ভব!