|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুকম্পনের অনুচ্ছেদে গহীন যাত্রার ধূলি, বক্ষদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পদছাপ। অরণ্য, ক্ষেত, মরা নদী পেরিয়ে চলে গেছে সম্মূখের পথ। পাতালে নিমজ্জিত তলসমূহ এবং যাত্রা সংক্রান্ত মহাকাল ঘুমে_ ছায়ার আদলে বলিষ্ঠ বাহুযুগল কেবল চাবুক ছুঁড়ে ত্বরান্বিত করে চলেছে কতিপয় শর্বরী। দেখা যায়, অজস্র দ্রুতগামী নক্ষত্ররথ ছিটিয়ে চলেছে অগণিত সুগন্ধী কণা। এ সকল কণা ভাঙ্গতেই বেড়িয়ে পড়ে আলোক দৌরাত্মের কথা।
বলয়ের অন্তরদেশে বিধ্বংসী হয়ে উঠছে বলয়রাশি। ভৈরবী শিশিরের কণায় চমকে ওঠা পৌরুষরশ্মি অন্ধকূপের নাগাল না-পাওয়া নিষ্ফল তেজস্বী অহং নিত্যকার।
---
কালের শরীর থেকে খসে পড়া অন্ধকার, নগ্নতা ঢাকুক। যতগুলো মুখস্ত রাস্তা, বাড়ি ফেরার পূর্ব পর্যন্ত সঙ্গ দিক।
আত্মা! চিনেও ভুল করে ফেলি অনাত্মীয় ভেবে।
----
বিষাদের সুতোয় বোনা রাতে শুনি উটপাখির শ্বাস। উড়ন্ত-জীবনের পুস্তক লিখে চলেছে কেউ; বাকলে বয়সের দাগ নিয়ে গাছগুলো জানে।
জানে, নিখুঁত কোন কিছু নিশ্চয় খুঁতহীন হয়।
---
প্রতিটা অহর্মুখ ভঙ্গগীত প্রার্থনা হবে, এমন নয়। ধ্রুবহাসি, চন্দ্রতপ ধ্যান, কুসুম-চাহনের সঙ্কেত পাশে নিয়ে ভাবি, চন্দনসূরজ ভালো। বুদ্ধবৃক্ষের কাছে গিয়ে নত হই, মেলে ধরি বাৎসল্য সূতিকা, খুলতে থাকি মন্যু-তন্তুগিট।
স্মরণখোলার বালিতে মিশে আছে শিশুদৌড় ঘ্রাণ।
----
দোল খাওয়া হীম পা ছুঁতেই জুতো-জোড়া খুঁজে আনি। অগ্নি-চুম্বনের কথা বলি অতিথি পাখির কাছে। ওরা ওড়ে আসে বরফের গান গেয়ে। কুয়াশার গাছ, একটু হুইসকি হবে? রোদফলে দাঁত বসিয়ে ভাবি গলে যাচ্ছি দারুণ।
----
পানশালার দিকে যেতে যেতে কতগুলো মৃত্যু! দৈব নক্ষত্র গণনা করে চলে, কতগুলো পুষ্পওষ্ঠ রক্তে রাঙ্গা হয়। পরিঘ ফুকারে মিশে গ্যাছে নীলকন্ঠীর কান্না।
চক্ষুতারায় ফনা তুলে আছে একটি সাপ!
---
রাতগুলোর ভেতরে ফুটে আছে ঈগলের চোখ। ডানা ঝাপ্টালে যেটা হয়- হয়ত আড়ষ্টতা ভাঙ্গে, দুঃখ ঝরে অথবা নতুন উড়বার তেজ ফিরিয়ে আনার কৌশল।
---
আসলে কে তোমার সেই উড়ুক্কু ঘড়ির ভেতরে মৃদু ঢাক পিটিয়ে চলেছে, তুমি তাকে চেন নি।
হৃদমহলের দিকে যাও, কাছে যেতে যেতে নিবিড় হয়ে উঠো শব্দ-জীবন।
----
মধ্যমপুরুষের দিকে ফিরে তাকাও হে বক্রচোখ। জেগে আছ মানে প্রদীপ উপাসনা। শূন্য বিদ্যার কাছে তুমি শব্দ কিছুই না। অন্তর্দৃষ্টি সকলের এক হবে না, হয় না।
০ টি 
+০/-০©somewhere in net ltd.
