![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রুতিবিদ্যার নৈপুণ্যতা বিষয়ক জ্ঞান আমাদের ছিল না। ধী-সূচকের পাশে দাঁড় করিয়ে মৃদুল স্যার প্রশ্ন করল, কবি ও কবিতার যোগসূত্র কী? রক্ত আর লালা? সঙ্গম আর যুগ্মতার মধ্যে ফারাক কেমন?
নন্দীদৃষ্টিগুলো কেমন মুহূর্তেই চকচকিয়ে উঠল। বল তো, বৃক্ষ অভ্যন্তর থেকে বেরিয়ে আসা শ্বেত-তরলে নুন আছে কী নেই? ব্যাকুলতা আর আগ্রহের তরঙ্গ অনুভূত হতে লাগল আমাদের। প্রানিবিদ্যার ক্লাসে কাটা ব্যাঙ, পদার্থবিদ্যার ক্লাসে দোলক ও রসায়নের ক্লাসে অ্যামোনিয়ার গন্ধ ফেলে রেখে আমরা অরণ্যের সবচে আদি বৃক্ষের গায়ে আঁচড় কাটতে লাগলাম। আমাদের অনুসন্ধান কার্য লবনের নিকট দ্রুত পৌছুতে চাইল। তৃণ থেকে পরবর্তীতে আমরা বট পর্যন্ত একটা নিরীক্ষা চালিয়েছিলাম। মৃত্তিকা গভীরে গেড়ে যাওয়া শেকড় বা মূলে কিন্তু শ্বেত-তরলের কোন অস্তিত্ব থাকে না। আর অমোঘ পূর্ণিমার রাতে কোন কোন বৃক্ষ শাখা ছাড়িয়ে ডানা বানিয়ে নিতে চায়, যেন উড়ে যাবার আকাংখায় উদ্মাদ হয়ে আছে সে অগণিত কাল!
আমরা স্যারকে বলেছিলাম, রক্ত কবে পাতার হরিৎ রস হয়ে উঠবে? মৃদুল স্যার বলেছিলেন, মানুষের মাংস যখন হয়ে যাবে সুস্বাদু ফল। কবে? কী করে তা হয়? ঘর্মফুলে যখন লবনের দানা দৃশ্যায়িত হবে এবং ধবলীরোগের সাথে তার কোন যোগসূত্র উদ্ঘাঠিত হবে।
তারপর পুরনো সাইকেলে চড়ে স্যার চলে যান। আমরা অবাক দেখছিলাম, অসংখ্য প্রশ্ন-প্রজাপতি উড়ে চলেছে স্যারের পিছে পিছে নাচতে নাচতে।
©somewhere in net ltd.