![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিমানবন্দর থেকে প্রিয়জনকে বিদায়ের প্রাক্কালে প্রত্যেক প্রবাসী বুকে স্মৃতিব্যথা আর খোলা দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। ছবিতে দেখা দলবদ্ধ মানুষ গুলোর কেউ এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশের আত্তসামাজিক ব্যবস্থার নিয়মে প্রত্যেক প্রবাসীর পিছনে দেশে ২/৪ জন নির্ভরশীল কেউ না কেউ আছে। তেমনি একজন নোয়াখালীর চৌমুহনীর জাবেদ। অনুরোধ করল ফটো প্রকাশ না করতে পাছে ভয় হয় মা যদি কোনভাবে কষ্টের কথা জেনে যায়। প্রায় ২ বছর আগে ৬ লক্ষ টাকা ঋণ করে স্বপ্নের দেশ কাতার এসেছিল। গত দুই বছরে ২ লক্ষ টাকা মত পরিশোধ করেছে মাত্র। জাবেদের অনুরূপ কাহিনী চাঁদপুরের লোকমানেরও। অধিকাংশ মানুষের কাহিনী তাদের চেয়েও করুণ।
কথা হচ্ছিল কাতারে বাঙালি অধ্যুষিত ন্যাশনাল এলাকার ভাসমান বাজারের কয়েকজনের সাথে। কী নাই এই উন্মুক্ত হাটে। মাছ, মাংস, শাক, সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, ফলমূল ইত্যাদির সমাহার। শপিং মলে সাজানো পণ্যের চেয়ে দামে সস্তা। প্রতিদিন বিকেল হতেই একজনের সাথে অনজন পাপোশ বিছিয়ে বাড়তে থাকে এসব দোকানের সংখ্যা।
কাতারের মত সমৃদ্ধ দেশে এমন অস্বাস্হ্যকর ভাসমান বাজার দেখতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই বাস্তবতা। এমন ভাসমান বাজার বসিয়ে দিব্যি চলছে অনেকের স্বপ্নের জাল বোনা। নিয়মিত চলে স্থানীয় পুলিশের দৌড়ানি। পাশের একজন বলল আজকে লাল, কালো দুটোই এসেছে মানে ইন্টারনাল সিকিউরিটি ফোর্স (লেখউ্যয়া) এবং রেসকিউ পুলিশ (আল-ফাজা) এসেছিল। যে কথাটি বলল তার দিকে চোখ ঘোরাতে দেখলাম একজন কিশোর, বয়স সর্বোচ্চ ১৩-১৪ হবে। কাতারের মোহ তাকে ও দেশে থাকতে দেয়নি। বলল মৃদু হেসে লাল-কালা কেউ আমাদের ব্যবসা থামাতে পারবে না। তার প্রত্যয় শুনে মনে হল যেন ঢাকায় গুলিস্তানে পুলিশের সাথে কানা মাছি খেলছে।
এদেশের পুলিশ চাইলে একদিনেই বন্ধ করে দিতে পারে এসব ভাসমান বাজার। তারা জাবেদ, লোকমানের পেছনের গল্প জানে হয়তো। তাই একটু ডর ভয় লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণের ভিতর রাখতে চেষ্টা করে। নতুবা দিনের পর দিন সারিবদ্ধ বেণীতে দাঁড়াবে জাবেদ, লোকমানের মত আরও অনেকে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে স্থির দাঁড়িয়ে জাবেদ-লোকমানের মত হাজারো মানুষের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের রিজার্ভ কে সমৃদ্ধ করে প্রতিনিয়ত আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিমান বন্দরে বসে কিছু কিছু লাট সাহেব অহেতুক প্রভুত্ব দেখায় এদের সাথে। মানসিকতা পরিবর্তনের সময় এখনই।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৫৮
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: চেনা গল্প, সমবেদনা প্রত্যয়ী মানুষগুলোর জন্য !
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২৬
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: কষ্ট লাগল তাদের জন্য।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২৯
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কি করার আছে আমাদের
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
প্রহর্তা অন্তর বলেছেন: শাহিন বিন রফিক ভাই ধন্যবাদ, তবে সমবেদনা নয়, একেবারে ন্যূনতম হলেও শ্রদ্ধাবোধ চাই এসব দেশ বিনির্মাণে কারিগরদের জন্য।
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কিছু লেখা পড়লেই চোখ ঝাঁপসা হতে শুরু করে, গলায় কি একটা আটকে গিয়ে ব্যাথা তৈরী করতে শুরু করে...
শাহিন বিন রফিকের প্রতিমন্তব্যে যেমনটা বলেছেন 'সমবেদনা নয়, শ্রদ্ধাবোধ চাই', কিন্তু আমরা এঁদেরকে সমবেদনাই জানিয়ে থাকি, আর শ্রদ্ধা দেখায় ওইসব টাউট বাটপাড়দের, যারা দেশটাকে চুঁষে ছিবড়ে বানিয়ে এঁদেরকে এই অবস্থায় নিয়ে ঠেকিয়েছে।
সুন্দর লেখনীর জন্য ধন্যবাদ।
আপনার নামের শানে নুজুলটা কি?
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৭
ঢাকার লোক বলেছেন: এদের কামানো টাকাই স্ফীত করেছে আমাদের জাতীয় রিজার্ভ যা নিয়ে আমরা গর্ব করি ! বিমান বন্দরে একটু ভালো ব্যবহার পেলেই যারা খুশি , সে করা কি এতই কঠিন ? কেউ কি নেই দেখার ?
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের প্রেসিডেন্ট, বা প্রাইম মিনিষ্টার একদিনও এঁদের কথা বলেননি; তারা নিজেদের গল্প বলতে ব্যস্ত।