![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্পতি শেষ হয়েছে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এই দিবসটি খুব ধর্মীয় মহিমার মাধ্যমে পালন করেছে। এই দিবসকে ঘিরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ধর্মানুভুতির সাথে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করে থাকে, আর এই সুবাদে মাওলানা সাহেবেরা খুবই ব্যস্ত সময় পার করে যদিও কোনদিন তারা নিজেরা পকেটের টাকা খরচ করে এসব আয়োজন করে না।
পৌর, গ্রামাঞ্চলে এখন প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় খুব ঘটা করে এমন মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন হয়; এমন কি তিন দিন – ছয় দিনব্যাপী।কোন ধর্ম মানুষকে কষ্ট, অস্বস্তি ও বিক্ষুব্ধ করার সম্মতি দেয় না, ইসলাম ধর্ম তো কদাচি না। আমাদের প্রত্যেকের ঘরে এক-দুইজন করে বৃদ্ধ, প্রবীণ, অগ্রজ আছে যারা কোন না কোন অসুখ-ব্যাধিতে ভুগছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উদযাপন না করে মধ্যরাত পর্যন্ত মাইকের আওয়াজ এসব প্রবীণ/শিশু কাছে অসহনশীল, অসহিষ্ণু,অধৈর্য ও পীড়ার কারণ হয়। যেই নবী চলার পথে খেজুর কাটা সরিয়ে নিয়ে ‘বৃদ্ধ বুড়ির’ খোঁজ নিয়েছিলো সেই নবীর জন্ম ও ওফাত দিবসে বা অন্য কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় কাউকে কোন ধরনের কষ্ট দেয়া কতটা যুক্তিগত আমার বোধগম্য নয়। এমন প্রকাশ্যে-উৎপাত (public nuisance) কিন্তু ইসলামের জন্মস্থান সৌদি আরব, মধ্য প্রাচ্য বা সাব-সাহারা অঞ্চলে কোথাও নেই। পশ্চিমা দেশে তে কদাচিৎ নয়। কয়েকটি উদাহরণ দেয়া যাক
মহানবী একদিন নামাজ পড়াচ্ছিলেন। শুনলেন, মসজিদ সংলগ্ন কোনো বাড়িতে ছোট্টশিশুর কান্না। তিনি নামাজ সংক্ষিপ্ত করে ফেললেন। বললেন, আমার ধারণা হলো- এই শিশুটির মা হয়তো আমাদের জামাতে শরীক হয়েছে। (নামাজ দীর্ঘ হলে শিশুর কান্নাও থামবে না আর তার মা নামাজে মন বসাতে পারবে না) এই ছিল আমাদের নবীর মানবিক অনুভূতি।
হজরত আবু বকর (রা.) বলতেন, তাহাজ্জুদে কোরআন তেলাওয়াত খুব নিম্নস্বরে করো। যাতে অন্য কারও ঘুম না ভাঙ্গে। হজরত ওমর (রা.) বলতেন, আমি চাই তেলাওয়াত হালকা উচ্চস্বরে হোক। যাতে নিদ্রিত ব্যক্তির ঘুম না ভাঙ্গে কিন্তু কিছুটা সজাগ ব্যক্তি পূর্ণ জাগ্রত হয়ে যায়। যেন, তার পক্ষে কিছু নামাজ ও তেলাওয়াত করা সম্ভব হয়। এই ছিল মহান খলিফাদের দৃষ্টিভঙ্গি।
অন্যদিকে একই ভাবে রাজনৈতিক দলগুলো নেতার জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী, বিবাহবার্ষিকী, থার্টিফার্স্ট নাইট, নববর্ষ, ভ্যালেনটাইনস ডে, মেলা বা বিশেষ দিবসগুলোতে সারাদিন-রাত ধরে উচ্চ শব্দে মাইক বাজালেও কেউ তার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। বারটা এক মিনিটে মানুষের প্রশান্তি, নীরবতা, বিশ্রাম ও নিদ্রার ক্ষতি না করে যদি স্বাভাবিক মাপকাটিতে শৃঙ্খলার মধ্যে উদযাপন করা হয় তবে সেই কার্যক্রমের প্রতি মানুষের মমতা, আকর্ষণ, অনুরাগ আরও বৃদ্ধি পায়; সেটি রাজনীতির ক্ষেত্রেও এবং ধর্ম পালনের ক্ষেত্রেও। যেটা আপনার কাছে উদযাপন সেটা অন্যের কাছে উৎপীড়ন যেন না হয়, নইলে সেই উদযাপন গুণকীর্তন হ্রাস পাবে।
ধর্ম এমনভাবে অনুশীলন/চর্চা করব যাতে অন্য কোন মানুষ-প্রাণীর কিঞ্চিৎ ক্ষতি বা অসহিষ্ণুতার লেশ না থাকে – আমি ধর্ম বলতে এমনি বুঝি। ধর্মযাজকেরা অবশ্য আরও বেশি বুঝবেন। শুধু এক ধর্মের অনুসারী নয়, বরং আমাদের দেশে সব ধর্মাবলম্বীদের এই প্রবণতা বেশি। বুঝতে হবে একজন নবজাতক, ছোট্টশিশু, বৃদ্ধ, হৃদরোগী, অন্যান্য রোগী, শ্রমক্লান্ত মানুষ বা ইবাদতরত ব্যক্তি এ আওয়াজটি কিভাবে নিচ্ছে। public nuisance নিয়ন্ত্রণে আমাদের দেশে আইন আছে, কিন্তু আইনের বিধিমালা/ প্রয়োগের প্রয়োজন নেই, শুধু একটু মানবিক হলেও দৃশ্যপট বদলে যাবে।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মৃত মানুষেরা ওয়াজ শুনে থাকেন; মনে হয়, সেজন্য অনেক রাতে মাইকে ওয়াজ করা ভালো
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াজ করে করুক, রাজনীবিদরাও করে। এতে যে অসংখ্য মানুষ বিরক্ত হয়। মাইক দিয়ে এই যন্ত্রনা তাদের আমাদের দেওয়া উচিত না। সাধারন মানুষ এটা পছন্দ করে না।
সরকারের উচিত আইন করে এটা বন্ধ করে দেওয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এই দিবসটি খুব ধর্মীয় মহিমার মাধ্যমে পালন করেছে।
.......................................... অথচ অনেকে এটাকে বেদাত বলে !
কেন আমাদের দেশে বর্তমানে মিলাদ পড়তে চায় না ?