নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্নের ঘোরেও আমি স্বপ্ন দেখি একটি বকশিত অসাম্প্রদায়িক মানব সভ্যতার।

প্রহর্তা অন্তর

প্রহর্তা অন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের একমাত্র Octogenarian (অশীতিপর) রাজনৈতিক রাজঘটকের প্রস্থান।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১

নূর মোহাম্মদ (নুর):- ১৯৯০ সালে এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে যতটা কৃতিত্ব “আওয়ামী লীগে”র আছে আবার রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ঠিক সমান দায়বদ্ধতা আছে এরশাদকে ।

ডিসেম্বরে ১৯৮৩ সালে ক্ষমতায় এসে এক রক্তক্ষয়ী কালক্রমে আবার ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরেই ক্ষমতাচ্যুত হয়। ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলনের সূচনা করেছিল। সেদিনের সেই আন্দোলন গতি সঞ্চার করে গণআন্দোলনে রূপান্তরিত হয়ে জেনারেল এরশাদের শাসনের পতন হয়েছিল নব্বইয়ের শেষে।

জেনারেল এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র ফিরে এলেও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি - প্রধান দুই দলের কাছে ভোটের রাজনীতি প্রাধান্য পায়। সেই সুযোগে আওয়ামী লীগের কাছে জেনারেল এরশাদ এবং বিএনপির কাছে জামায়েতে ইসলাম রাজনৈতিক বৈধতা পায়। সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ জেনারেল এরশাদকে এক ধরণের বৈধতা দেয়ার সমালোচনা কখনো এড়াতে পারেনি।

১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট, ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের নির্বাচনের নাটকীয়তা তো ভাল ভাল ধারাবাহিক নাটককে হার মানিয়েছিল। জীবিত এরশাদ যেমন রাজনৈতিক ক্রীড়ক ছিলেন মৃত্যু এরশাদের জাতীয় পার্টি অভিব্যক্ত থাকলে ততটুকু ফলপ্রসূ থাকবে।

আদালতে ঝুলে থাকা মেজর মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামি হয়েই চলে গেলেন এরশাদ। রাষ্ট্র চাইলে মামলাটির রায় অনেক আগেই হয়ে যেত পারতো। উল্লেখ্য ১৯৯০ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগে ৪৩টি মামলা দেওয়া হয়। মোট ৪২ মামলা থেকে অব্যাহতি ও খালাস পেয়েছেন এরশাদ।

যাদের দেয়া স্বৈরাচারী তকমা নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল আবার তাদের অনুকম্পায় রাষ্ট্রীয় পদ (বিরোধী দলীয় নেতা), পদবি (প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত), অতিবিশিষ্ট রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা ও শেষমেশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিয়ে সাবেক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক [তথাকথিত] স্বৈরশাসক, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সদ্য-সাবেক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চলে যাওয়াটা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষকদের জন্য একটি পাঠ্য অন্বেষণ বিষয়বস্তু হয়ে থাকবে ভবিষ্যতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.