নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি চির বিদ্রোহী বীর... বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা... চির বিদ্রোহী বীর.।

নভেল ডি ক্যাসনোভা

গোল গাল গল্প

নভেল ডি ক্যাসনোভা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ছোট্ট অন্তরীক্ষ !!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

পৃথিবীর বয়স কত ? মাত্র ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর। মাত্র বললাম এই জন্য যে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের বয়স (১৩.৭ ± .২) × ১০৯ বিলিয়ন বছর । বিজ্ঞানীগণ এখন পর্যন্ত বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের যতটুকু অংশ আবিষ্কৃত করেছে তাদেরকে বলা হয় অবসার্ভেবল ইউনিভার্স । এর বিশালতা বোঝানোর জন্য এটুকুই বলা যায়, এক বালুকণা আকাশের দিকে হাতে নিয়ে ধরলে যতটুকু অংশ তা দখল করে ঐটুকু অংশে কমপক্ষে ১০ টি গ্যালাক্সি আছে । এক একটি গ্যালাক্সিতে কোটি কোটি তারা আছে, আর গ্রহের সংখ্যা না হয় নাই বললাম ।

পৃথিবী নিজ অক্ষে ঘুরছে ঘন্টায় ১,৬০০ কি.মি. গতিতে। সূর্যকে প্রদক্ষিন করে ঘুরছে প্রায় ১,০৭,২০০ কি.মি. গতিতে। সূর্য তার বাচ্চা-কাচ্চা গ্রহ নিয়ে ঘুরছে ঘন্টায় প্রায় ৭০,০০০ কি.মি. গতিতে। আমাদের আদরের "মিল্কীওয়ে গ্যলাক্সি" ঘুরছে তার টিনেজ সব সৌরমন্ডল নিয়ে ঘন্টায় প্রায় ৭,৯২,০০০ কি.মি. গতিতে। মিল্কিওয়ের মত বিলিয়ন বিলয়ন গ্যালাক্সি নিয়ে ঘুরছে আমাদের একমাত্র আপু "ভারগো সুপারক্লাস্টার" । এরকম আরও বিলিয়ন বিলিয়ন সুপারক্লাস্টার নিয়ে ঘুরছে অবসারভেবল ইউনিভার্স । এবং এরকম আরও কিছু ইউনিভার্স নিয়ে ঘুরছে এক বিশাল ঘূর্ণি-পাক "ইটার্নিটি" যার আরেক নাম "অনন্ত" (আমাদের প্রিয় জলিল ভাই না :P ) । ব্যাপারটা এমন যে, আমরা যখন দুই পা তুলে সোফায় বসে আসি, তখনও প্রায় কয়েকশ বিলিয়ন গতিতে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি ।

ভাবছেন, এই জিনিস গুলোর সাথে জীবন সংক্রান্ত চিন্তার মিল কোথায়?

মিল নেই, কিন্তু একবার ভেবেই দেখুন পৃথিবীতে আপনি যখন এসেছিলেন তখন আপনার কাছে কি ছিল? যা আপনি এখন হারাবার ভয় পাচ্ছেন? জীবনের চেয়ে বেশী কিছু হারাবার নেই। কোটি খানেক তারার ভিড়ে, একটি তারার ছোট্ট একটি গ্রহতে আমাদের বসবাস । না ভুল বললাম, এই ছোট্ট গ্রহের ছোট্ট একটি দেশের ছোট্ট গলির চিপায় আমদের বাস। বন্ধুত্ব করি, ভালবাসি, ঝগড়া করি, ঘৃণা করি, ক্ষতি করি, কষ্ট মনে পুষে রাখি । আবার নানা চিন্তা ভাবনায় জীবন বিভীষীকাময় করে ফেলি। কিন্তু, একটু চিন্তা করে দেখলেই দেখা যাবে আমাদের সমস্যা গুলো কতটা নগন্য। এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের তুলনায় আমরা মানব দেহে রক্তে মিশে থাকা ঐ তুচ্ছ এক কোষী প্রানীর মত, যার কাছে ঐ দেহটাই অবসারভেবল ইউনিভার্স। ঐ মানব দেহের বাহিরে যে এতো বিশালতা তা হয়তো আমরা কোন দিন কল্পনাও করতেও পারবো না, থাকব আপন দুঃখ-কষ্ট নিয়ে। অনেক কিছু করতে চাই, কিছু হয় কিছু হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। কিছু মানুষকে জীবনভর ভালবাসি, কিছু মানুষকে জীবনভর গালি দেই, ঘৃণা করি। কিছু অতৃপ্তি নিয়ে জীবন পার করে দেই, মৃত্যুর আগে যদি-কিন্তুর হিসেব মিলাই।

আমার এই যদি-কিন্তুর হিসেব একদম পছন্দ না, যা ঘটে তাই ঘটার কথা ছিল। কোন যদি-কিন্তু নেই। পৃথিবীতে একবারের জন্য আসা, যা কিছু ঘটার তা এখানেই ঘটে ।
“কোন অতৃপ্তি থাকলে পূরণ করুণ এখনি, এখানেই...”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.