![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোল গাল গল্প
আচ্ছা আমরা কি আসলেও একা? এই পৃথিবীতে কি শুধু আমরাই আছি? জীব বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত দুইটি প্রধান শাখার একটি উদ্ভিদ বিদ্যা ও অন্যটি প্রাণী বিদ্যা। এমন কি হতে পারে না যে প্রকৃতি আসলে জীব বিজ্ঞানে দুইয়ের অধিক শাখা সৃষ্টি করে রেখেছে, কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি শুধু মাত্র দুইটি শাখার অস্তিত্ব। হয়ত আমরা তৃতীয় শাখা টিকে দেখতে পারি না বা অনুভব করতে পারি না কোন এক কারণে। হয়ত আমাদের সেই ইন্দ্রিয়টিই নেই যা দিয়ে তাদের অস্তিত্ব অনুভব করা যাবে।উদাহরণ স্বরূপ, একটি বৃক্ষ, সে কি জানে পৃথিবীতে উদ্ভিদ ছাড়াও আরেকটি প্রজাতি আছে মানুষ, যারা উদ্ভিদ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা? ধারনাটিকে আর পরিষ্কার করার জন্য একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
১। উদ্ভিদের প্রাণ আছে, প্রাণীরও প্রাণ আছে। ধরে নেই তৃতীয় যে প্রজাতি আছে সেটিরও প্রাণ আছে, (প্রাণ থাকাটা জরুরী, কারণ প্রাণ না থাকলে তা জড় পদার্থের শ্রেণীতে পড়বে।)
২। উদ্ভিদের ইন্দ্রিয় দুইটি স্পর্শেন্দ্রিয় ও ঘ্রাণেন্দ্রিয়। প্রাণীর ইন্দ্রিয় মূলত পাঁচটি(দর্শনেন্দ্রিয়, শ্রবণেন্দ্রিয়,ঘ্রাণেন্দ্রিয়,স্পর্শেন্দ্রিয়,স্বাদেন্দ্রিয়)।উদ্ভিদের ইন্দ্রিয় স্বল্পতার কারণে হয়ত কখন বুঝতে পারে না মানুষের অস্তিত্ব। হয়ত মানুষও ঐ তৃতীয় প্রজাতির অস্তিত্ব বুঝতে পারে না এই ইন্দ্রিয় স্বল্পতার কারণে।এখন উদ্ভিদ বুঝতে পারে না বিধায় যেমন মানুষের অস্তিত্ব মিথ্যা হতে পারে না, তেমনি আমরা বুঝতে পারি না বিধায় ঐ তৃতীয় প্রজাতির যে একেবারে অস্তিত্বই নেই তাও তো হওয়া উচিত নয়।
৩। পৃথিবীতেই কিছু প্রাণী আছে যাদের ইন্দ্রিয় মানুষের থেকে কিছুটা আলাদা আবার কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশিই উন্নত, যেমন ডলফিন, ডলফিন তরঙ্গ শ্রুতির মাধ্যমে অনেক অনেক দুরের শব্দ শুনতে পারে যা মানুষ পারে না।
৪। মানুষের চিন্তা করার প্রক্রিয়া হল ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে ইনপুট নেয়া, মস্তিষ্কের নিউরনের মাধ্যমে সংকেত পাঠানো, গ্রে অংশতে তথ্য বিশ্লেষণ ও দেহে অর্ডার রি-অ্যাকশন পাঠানো।উদ্ভিদের প্রক্রিয়া আবার সম্পূর্ণ আলাদা, উদ্ভিদ নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে, পরা-গায়ন করে সব কিছু অটো-প্রোগ্রাম করার মত, চিন্তা করার প্রয়োজনই হয় না। তৃতীয় প্রজাতিটির হয়ত প্রক্রিয়া আরও আলাদা যা আমরা হয়ত কল্পনাও করতে পারি না।
৫। আমরা যেমন উদ্ভিদের জীবন নিয়ে গবেষণা করি, হাইব্রিড করি, জন্ম-মৃত্যু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। এক কথায় উদ্ভিদের জীবন নিয়ে ছেলে-খেলা করি যা হয়ত উদ্ভিদ নিজের ভাগ্য হিসেবেই মেনে নেয়। ছায়া-দার বৃক্ষকে যখন হঠাৎ কেটে ফেলা হয়, হয়ত সেই কারণই খুঁজে পায় না সৎ মানুষের মত অকালেই মারা যাওয়ার, কিংবা ফলন্ত আম গাছ কে যখন ফার্নিচার বানানোর জন্য কেটে ফেলা হয় , হয়ত আম গাছ ভাবে এই ভরা যৌবনে হঠাৎ এমন অসহায় মৃত্যু কেন? হয়ত আমাদের জীবনেরও কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণ করে ঐ উন্নত তৃতীয় প্রজাতি। আর আমরা দোষ দেই নিয়তিকে।
এখন ফার্মির প্যারাডক্সের মত আমার প্যারাডক্স হচ্ছে যদি বিন্দু মাত্রও সম্ভবনা থাকে ঐ প্রজাতির অস্তিত্বের তাহলেও কি আমরা কখন তাদের অস্তিত্ব বোঝার মত অবস্থায় যেতে পারব? কারণ, যদি এমন কোন প্রজাতির অস্তিত্ব বুঝতেই পারি তাহলে ঐ প্রজাতি কখনও তৃতীয় প্রজাতি হবে না।
হয় উদ্ভিদ হবে নয় প্রাণী হবে, অর্থাৎ আমাদের কাছে অবুঝ অবস্থায় থাকাটাই ঐ প্রজাতির ধর্ম।
©somewhere in net ltd.