নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি প্রকাশক!

এিভুবন

আপনার পাশের সীটে বসা অথবা পাশের বাড়ীতে থাকা লোকটার মতই সাধারন।

এিভুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা ফেব্রুয়ারী,২০১৩

০১ লা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

রাজাকার শব্দের অর্থ বন্ধু বা দোসর। রাজাকার শব্দের অর্থ আমাদের নতুন প্রজন্ম জানে কিনা এটা নিয়ে আমার সংশয় আছে !!! কারণ সবাই রাজাকার /বন্ধুর ফাঁসি চাইছে !!! যুদ্ধ অপরাধীরা কি আমাদের বন্ধু ??? আমার মতে স্লোগানটা হওয়া উচিত ছিল " ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, যুদ্ধ অপরাধীর ফাঁসি চাই।" তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজাকার শব্দটি একটি ঘৃন্য শব্দ কারন ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনী গঠন করে আমদের দেশেরই কিছু মানুষ দেশের বিপক্ষে গিয়ে হত্যা, ধর্ষনসহ অনেক অমানবিক কাজ করেছে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আজকে তাদের বিচার হচ্ছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। দল, মত, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল অপরাধীর বিচার হওয়া উচিত।



আমার জন্ম স্বাধীনতার এক যুগ পরে। তাই যুদ্ধ দেখা বা করা কোনটাই আমার পক্ষে সম্ভব হয় নাই। তবে এরশাদ পতনের আন্দোলন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাস আমার জানা আছে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জেনেছি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে, সংবাদপত্র/বই পড়ে অথবা সিনেমা দেখে। তাতে আমার মুক্তিযুদ্ধকে অনেক বড় একটা সাহসিকতার, আত্নত্যাগের এবং বিজয়ের ঘটনা মনে হয়েছে। এর তুলনা বাংলাদেশের কোন আন্দোলনের সাথে হওয়া উচিত না বলে আমি মনে করি। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরও যুদ্ধে অংশগ্রহন করেননি, এমন অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশী ব্যক্তি এখন যুদ্ধ এবং যুদ্ধ অপরাধ নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেন। তাদেরকে আমার একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, কেন আপনারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নি??? যেহেতু যুদ্ধ করেননি তাই আপনার কোন অধিকার নাই মুক্তিযুদ্ধকে কোন গনজমায়েত বা আন্দোলনের সাথে তুলনা করার!!!



একটি কাল্পনিক ঘটনাঃ

৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৩: যুদ্ধ অপরাধ প্রমাণীত হওয়ায় কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়া হয়েছে।

দেশের মানুষ এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। কাদের মোল্লার দল এই রায়কে প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু তাতে যুদ্ধ অপরাধের বিচার থেমে নেই। একের পর এক যুদ্ধ অপরাধীর শাস্তি হচ্ছে আইন অনুযায়ী, দল-মতের উর্ধ্বে উঠে। দেশে শান্তিময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সবাই নির্বিঘ্নে সবার কাজ করছে। আর সকল ধরনের অপরাধী সাবধান হয়ে গেছে, বিচারের ভয়ে ভাল কাজ খুঁজছে জীবিকা নির্বাহের জন্য।



আর বাস্তবতাঃ

গত ২৩ দিনে কি ঘটেছে এটা আমরা সবাই জানি ।



আমাদের দেশমাতা অস্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । এটা আমাদের কারো কাম্য নয়। দেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দেয়া তথা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব সরকারের। সবকিছুর শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব, যদি আমরা দল-মত, ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দেশকে ভালবেসে সকল সিদ্ধান্ত নেই, যদি আমরা শুধু ক্ষমতায় যাওয়া বা ধরে রাখার জন্য রাজনীতি বন্ধ করি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.