![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে কোন ধরনের অপরাধীর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত থাকতে পারে না। বিচারের কাজটা করবে কোর্ট। ব্লগার ভাই এবং শিবির ভাই- আপনাদের উভয়পক্ষকে বলছি, রাজপথে আপনাদের কি কাজ??? বিচার নিয়ে আপত্তি থাকলে আপীল করেন, ভাল উকিল নিয়োগ করেন, তথ্য-প্রমাণ-সাক্ষী যোগাড় করেন। কোর্টে লড়াই করে ন্যায় বিচার নিয়ে আসুন। আপনারা দুই পক্ষ মিলে দেশকে অযথা একটা সহিংসতার দিকে নিয়ে গিয়েছেন। স্বাধীন দেশকে যারা আবার নতুন করে স্বাধীন করতে চায় এবং অপরাধীকে যারা রক্ষা করতে চায় বিচার থেকে- উভয় পক্ষের একটাই সমস্যা, তারা মুখে দেশের কথা বলে কিন্তু কাজে নিজের বা দলের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
"ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহন করে না"- এই বাক্যটার সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত। এই কথাটা বাংলাদেশের গত বাইশ বছরের রাজনীতির সাথে খুব মিলে যায়। আমাদের দেশে সরকারি আর বিরোধী দলের নাম পরিবর্তন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে, তাদের ভূমিকার কোন পরিবর্তন হয় না। যে যায় লংকায়, সেই হয় রাবন। জনগনের চাওয়া নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই। তারা শুধু ক্ষমতায় থাকতে চায়, তা যেভাবেই হোক। আমদের মত নিরপেক্ষ সাধারন মানুষদের জন্য এটা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশাব্যঞ্জক।
আজ ছিল জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রথমদিন। রিকশায় করে অনেকক্ষণ ঘুরলাম ঢাকার রাজপথে। যে জিনিসটা খেয়াল করলাম সকল মানুষের চোখে মুখে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে। সাধারন মানুষ এই অহেতুক হরতাল আর সহিংসতা পছন্দ করছে না। হরতাল আহবানকারীরা হরতাল ডাকার সময় শুধু কি বার এটা খেয়াল করে, শুক্র-শনি বারে তারা কখনো হরতাল ডাকে না। এখন যে দেশে এস এস সি পরীক্ষা চলছে, এটা কি হরতাল দেয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত ছিল না? সকল রাজনীতিবিদদের বলছি, এদেশের মানুষ শান্তি চায়। যদি জান মালের নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তবে আসন্ন নির্বাচনে ভোট চাইবেন কোন মুখে?
এতক্ষণ শুধু হতাশার কথা বললাম। এইবার একটু আশার কথা বলি। পৃথিবীর ইতিহাস বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, যখনই কোথাও অন্যায়-অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন স্রষ্টার পক্ষ থেকে সাহায্য পাঠানো হয় সেটা থামানোর জন্য। স্রষ্টার কৃপার অপেক্ষায় রইলাম।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।
কিশোর
০৪/০৩/২০১৩
©somewhere in net ltd.