![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলা থেকে একথা শুনে বড় হয়েছি “ভালমতো পড়াশোনা কর, বড় হয়ে অনেক বড় চাকুরী করতে হবে।” কৈশোরে শুনেছি অঞ্জন দত্তের গান “চাকুরীটা আমি পেয়ে গেছি, বেলা শুনছো ??? ......” হাহাহা ... আর যৌবনে অনেকের কাছে শুনি চাকুরী নাকি “সোনার হরিণ” । আমি বিশ্বাস করি চাকুরী হল জীবিকা উপার্জনের একটি মাধ্যম মাত্র। এটাকে এত বেশি গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই কারণ জীবিকা অর্জনের আরও অনেক মাধ্যম আছে। চাকুরীজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল সহকর্মী (এরা নিম্নপদস্থ, উচ্চপদস্থ এবং সম পদমর্যাদার হতে পারে)।
প্রথমে বিভিন্ন ধরনের সম-পদমর্যাদার সহকর্মী নিয়ে আলোচনা করব:
১। গুপ্তচর সহকর্মী:
অফিসিয়াল কাজের বাইরে এদের প্রধান কাজ হলো নিজ বিভাগের সহকর্মীদের সাথে আপনভাবে মিশে অফিস ও বস সম্পর্কে তাদের প্রকৃত মনোভাব জানার চেষ্টা করা এবং পরবর্তীতে বসের কাছে এইসব তথ্য পাচার করা। সাধারণত লো-স্কিলড এবং ব্যক্তিগত জীবনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষরা এই “রোল প্লে” করে। তারা সহকর্মীদের বিপদে সাহায্য করে, যেকোন দুঃসময়ে কৃত্রিম সহমর্মী হয় - যাতে সহকর্মীরা তাকে বিশ্বাস করা শুরু করে। একবার বিশ্বস্ত হতে পারলেই কেল্লাফতে!!! সাধারণত বিশ্বস্ত মানুষের কাছে আমরা নিজের মনের গভীরের কথা প্রকাশ করি। শিবির অথবা ছাত্রী সংস্থা ব্যাক গ্রাউন্ডের সহকর্মীরা এই কাজে খুবই দক্ষ। আমি এদের নাম দিয়েছি কে.পি. (কুত্তার **কি)।
২। প্রতিবাদী সহকর্মী:
তারা সবসময় সকলের অন্যায়ের (বস, সিস্টেম, কলিগ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে থাকে। কিন্তু সুবিধাবাদীদের সংখ্যা বেশী হওয়ায় এদের প্রতিবাদ খুব একটা কাজে আসে না। সুবিধাবাদীদের চাপে এরা অফিসে এক সময় প্রায় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। “বাম রাজনীতি” ব্যাক গ্রাউন্ডের সহকর্মীরা সাধারণত এমন হয়ে থাকে। আমি এদের নাম দিয়েছি বিপ্লবী সহকর্মী।
৩। সহনশীল সহকর্মী:
তাদের স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্ক্ষা – সবই গন্ডিবদ্ধ। তাদের ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে তেমন কোন উচ্চাশা থাকে না। তারা কাজ করে শুধুমাত্র ইকোনমিক বেনিফিট এর জন্য। তারা সবসময় ঝামেলা এড়িয়ে চলে। তারা ছাত্ররাজনীতিকেও এড়িয়ে চলেছে। আমি এদের নাম দিয়েছি নিরামিষ সহকর্মী।
(চলবে)
কিশোর
২৪/০৪/২০১৩
©somewhere in net ltd.