নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি প্রকাশক!

এিভুবন

আপনার পাশের সীটে বসা অথবা পাশের বাড়ীতে থাকা লোকটার মতই সাধারন।

এিভুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকুরী জীবন -২

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১



*** দেশে যদি কোন দুর্যোগ (প্রাকৃতিক/মানবসৃষ্ট) দেখা দেয় আপনি আপনার সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা (রক্ত, অর্থ বা স্বেচ্ছাশ্রম) করবেন এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। অর্থ কোন ব্যক্তিকে না দিয়ে সংগঠনকে দেয়া উত্তম। মিডিয়ায় চোখ রাখবেন শুধু আপডেট জানার জন্য, কিন্তু সারাদিন ঘরে বসে দুর্যোগের লাইভ টেলিকাস্ট দেখা আপনার শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয় । এর চাইতে বরং আপনি সে সময়টা ব্যয় করবেন আপনার ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করে।



*** ইদানীং প্রায় প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে “ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেন্টার ” আছে। প্রাকটিক্যালি এর মূল কাজ হল ছাত্রদের “সি ভি কালেকশন” করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগে পাঠানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী মেলা আয়োজন করা। চাকুরী ছাড়া যে ছাত্রদের আর কোন ক্যারিয়ার হতে পারে এটা তারা ভাবতেই পারে না। শিক্ষকদের ভাবনাটা এমন যে আমি চাকুরী করি, তাই আমার স্টুডেন্টদেরও চাকুরী করা উচিত!!!



এবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসছিঃ



৪। বুদ্ধিমান সহকর্মী:

তারা সবসময় সকল কাজে হৃদয়কে অগ্রাহ্য করে বুদ্ধির সাহায্য নিয়ে করে। সম্মুখে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তারা আড়ালে ফুটবল খেলার “ল্যাং মারা” কাজটি সুনিপুনভাবে করে। তারা বসের বা প্রতিষ্ঠানের যেকোন অন্যায়ের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে একমত পোষণ করে। এদের প্রমোশনটা খুব দ্রুত হয়। তাদেরকে এক বাক্যে ব্যাখ্যা করতে গেলে বলতে হবে “মুখে মধু, অন্তরে বিষ”। “ছাত্রলীগ/ছাত্রদল” ব্যাক গ্রাউন্ডের সহকর্মীরা সাধারণত এমন হয়ে থাকে।



৫। আরো কিছু ধরনের সহকর্মী আছেঃ ধান্দাবাজ সহকর্মী (যেমনঃ আউটসোর্সিং এর ধান্দা, এম এল এম ধান্দা প্রভৃতি।), ধার্মিক সহকর্মী, বক ধার্মিক সহকর্মী, অধার্মিক সহকর্মী, নাস্তিক সহকর্মী..... তাদের কথা পরবর্তীতে লিখব।



*** একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুঃ সিনিয়রদের বাদ দিয়ে জুনিয়র কাউকে প্রমোশন দেয়া ইদানীং সরকারি ও বেসরকারি চাকরীর একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। কখনো রাজনৈতিক কারনে, কখনো কিছু সহকর্মীকে মানসিক আঘাত দেয়ার জন্য (যাতে তারা চাকুরী ছেড়ে দেয়), কখনো এক্সট্রা অর্ডিনারী টেলেন্টকে (বিরল) এই প্রমোশন দেয়া হয়। আমার মতে এর মাধ্যমে অযোগ্য এবং অপরিপক্ব ম্যানেজম্যান্ট গড়ে উঠে।



এখন বিভিন্ন ধরনের উচ্চ-পদমর্যাদার সহকর্মী নিয়ে আলোচনা করব:



১। দুর্বল ব্যবস্থাপকঃ

তারা সাধারণত গুপ্তচর সহকর্মীদের তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়। এদের শিক্ষা, প্রজ্ঞা, আত্মবিশ্বাস একদম তলানিতে ঠেকানো। দুর্বলতা ঢাকার জন্য তারা তাদের বসকে নিটোল ও নিখুঁত তেলের উপর রাখে আর অধীনস্থ সহকর্মীর উপর নিষ্ঠুর আচরণ করে।



২। প্রতিভাবান ব্যবস্থাপক:

তারা সিদ্ধান্ত নেয় প্রজ্ঞা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার মাধ্যমে। তারা বস হিসাবে খুবই রেশনাল। তাদের একটাই প্রবলেম আরেকজন প্রতিভাবান কাউকে দেখলে তাকে নিজের অবস্থানের হুমকি হিসাবে ভাবে। তাই “ছাগু” টাইপের কাউকে প্রমোশন দেয় যাতে তার আধিপত্য কখনও চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়ে।

(চলবে)



কিশোর

২৭/০৪/২০১৩

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.