নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি প্রকাশক!

এিভুবন

আপনার পাশের সীটে বসা অথবা পাশের বাড়ীতে থাকা লোকটার মতই সাধারন।

এিভুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি দূর থেকে দেখছি তোমায় -১

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

ছোটবেলা থেকেই সে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন দেখত। কখনও শ্রেণীহীন সমাজের তত্ত্ব-নির্ভর স্বপ্ন দেখেছে, কখনও মত প্রকাশের আত্মিক স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছ। এখন সে স্বপ্ন দেখে এদেশের প্রতিটি নিরীহ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর আর অসৎ মানুষদের শাস্তি দেবার মাধ্যমে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের। এদেশের সবই আছে, শুধু দরকার একটি নতুন দেশ পরিচালনা পদ্ধতি আর একজন দেশপ্রেমিক নেতা। “কিশোরিজম” দিতে পারে এদেশের মানুষকে এক নতুন বাস্তবতা, “কিশোরিজম” গড়ে তুলতে পারে এক নতুন বাংলাদেশ। “কিশোরিজম”!!!



রমনা পার্কের শতায়ু অঙ্গনে ঘাসের উপর শুয়ে চোখ বন্ধ করে প্রিয়ার কথা ভাবছে কিশোর। তার জীবনকে কর্মোদীপ্ত করে তোলার জন্য সে এখনও প্রিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ । যৌবনের প্রারম্ভে এক ভয়াল নৈঃশব্দের অন্ধকার সময় পার করছিল কিশোর। তখন প্রতিদিন শুধু দাম দিয়ে যন্ত্রণা কিনত। প্রিয়ার সেই অসাধারণ উক্তি কিশোরকে দেয় এক নব জাগরনঃ “কেউ জানে না , সে কি করতে পারে , যতক্ষণ পর্যন্ত না সে চেষ্টা করে ...... ”। প্রিয়া ......। প্রিয়ার প্রথম আগমন হয়েছিল ডিসেম্বর ১৯৯৭ এ ...... ৪ বছর পর আবার ডিসেম্বর ২০০১ এ ...... তারপর আবার ৪ বছরের পর প্রিয়ার সাথে কিশোরের প্রথম মুখোমুখি হওয়া ... মার্চ,২০০৫ এ .. এপ্রিল ২০০৫ থেকে আগষ্ট২০০৯ ...... এই চার বছর প্রিয়ার স্থির অবস্থান কিশোরের জীবনে। তারপর প্রিয়া উধাও। লম্বা দম নিল কিশোর। তারপর আবার প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেছে। প্রিয়ার আসার সময় হয়ে গেছে। প্রিয়া রুপান্তরিত হয়ে কি পেশেন্স হিসেবে আসবে নাকি নিজেই আসবে??? প্রিয়া সব সময় একি দেহে স্থান নিয়েছে, পেশেন্স আসলে সেও কি তাই করবে??? বিভিন্ন প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে, চিন্তিত মনে হাঁটতে শুরু করল কিশোর।



(প্রিয়া ও পেশেন্স কোন মানুষের নাম নয়। তারা স্বর্গীয় আত্না । তারা চাইলে যেকোন বয়সী জীবিত নারী দেহে অবস্থান নিতে পারে।)



সেনীলা ! সেনীলা ! ডাক শুনে চমকে তাকাল কিশোর, একটি ছোট্ট বাচ্চার পিছনে ছুটছে তার মা। বাচ্চার মায়ের দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে কিশোর অস্ফুট-স্বরে উচ্চারণ করল, প্রিয়া !!! প্রিয়া ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকে উঠে চিৎকার করে উঠল। কিশোর ‘সরি’ বলে সরে আসছে, এই সময় প্রিয়া ডেকে বলল, সরি হওয়ার কিছু নাই, তুমি সারাজীবন এইসব করেই বেড়াবা¸ আমার পিছু ছাড়বা না, চলো বসি। সেনীলা অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে কিশোরের দিকে।



প্রিয়া: তুমি এখানে কি করো? তোমার শরীর ভাল?

কিশোর: তেমন কিছু না, এমনিতেই আসলাম। শরীর ভাল, তবে যেকোনো মুহূর্তে মারা যেতে পারি...... হাহাহা ...।

প্রিয়া: ইবলিশের মতো করে হাসছ কেন? বিয়ে করছ? তোমার বউ কি আমার চেয়ে দেখতে সুন্দর?

কিশোর: আমার বউ অবশ্যই তোমার চেয়ে দেখতে সুন্দর হবে! কিন্তু এখনও বিয়ে করার সময় পাইতেছি না !

প্রিয়া: সুন্দর তো হবেই ... কমবয়সী মেয়ে বিয়ে করবা ...

কিশোর: হুমম ... তুমি এখানে কি করো?

প্রিয়াঃ আমার স্বামী দৈনিক ব্যায়াম করতে আসে এখানে। পুরুষ মানুষের তো বিশ্বাস নাই, তাই আমিও আসি সাথে ।

কিশোরঃ বুড়ো মানুষটার জন্য কষ্ট হচ্ছে!!!

প্রিয়াঃ বুড়ো মানুষ মানে!!! আমার স্বামীকে দেখতে তোমার চেয়ে ইয়াং লাগে। তুমিতো দেখতে তরমুজের মত। বাইট্টা একটা ছেলে।

কিশোরঃ তোমার মন কি কোন কারনে অস্থির? আমাকে বলো, আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি।

প্রিয়াঃ বড় বড় কথা বলার অভ্যাস তোমার গেল না। আমি তোমার অন্য **গুলার মত না। আমাকে সাহায্য করতে হবে না। যাইহোক, তোমার ‘কিশোরিজম’ এর খবর কি? পারলা কিছু করতে? আমি আগে থেকেই জানতাম পারবা না।

কিশোরঃ তোমার মত বৃত্তবন্দী মানুষের সাথে কথা বলে আমার সময় অপচয় হচ্ছে। আমি যাই।

প্রিয়াঃ একটু বসো। কথা আছে।



প্রিয়া ফ্লাক্স থেকে চা পরিবেশন করল । একদম বেহেশতী চা। চোখ বন্ধ করে প্রিয়ার কথা শুনছে কিশোর।



হঠাৎ প্রিয়াকে থামিয়ে দিয়ে কিশোর বলল, অনেকদিন আগে একটি বই পড়েছিলাম, সেখান থেকে কয়েকটা লাইন তোমাকে বলি ….. “যাহাকে ভালবাসি সে যদি ঘৃণাও করে বোধকরি সহ্য হয়। কিন্তু যাহার ভালবাসা পাইয়াছি বলিয়া বিশ্বাস করিয়াছি সেইখানে ভুল ভাঙ্গিয়া যাওয়া নিদারুণ কষ্টের। প্রথমটি শুধু ব্যথাই দেয়। পরেরটি ব্যথাও দেয়, অপমানও করে। আর এই অপমানের কোন নালিশ নাই, বিচার নাই, প্রতিকার নাই।”



প্রিয়ার দুই চোখ দিয়ে বর্ষণ শুরু হল ।



কিশোর উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে শুরু করল।

(চলবে)



কিশোর

২৮/০৪/২০১৩















মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.