নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনারা যে ভরসা রেখেছেন,সেই জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

শ্রেষ্ঠ অফিসার

রঙ্গমঞ্চের শ্রেষ্ঠ অফিসার

শ্রেষ্ঠ অফিসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাফিদা রাকিব বেঁচে থাকার শেষ সুযোগ পাবে কি ?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১


যদিও জীবন মৃত্যু স্রষ্টার হাতে অথচ তাফিদার বেঁচে থাকার অধিকার এখন আদালতের হাতে। আদালতই নির্ধারণ করবে তাফিদা বেঁচে থাকার শেষ সুযোগ পাবে কি না! মেয়ের জীবন রক্ষায় মাত্র একটি সুযোগ পাওয়ার আশায় আদালতের দারস্থ হয়েছেন তার মা-বাবা।
বয়স মাত্র ৫ বছর। গত ফেব্রুয়ারিতে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের ফলে অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি। সেই থেকে গভীর ঘুমে যুবে আছে তাফিদা। চিকিতসা বিজ্ঞানে তাফিদার এই সংকটাপন্ন অবস্থাকে বলা হয় কোমা। তাফিদা কৃত্রিম উপায়ে বেঁচে আছেন। পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সে। চিকিৎসকরা বলছেন, এভাবে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রেখে কোনো লাভ হবে না। তাফিদা আর কখনো জেগে উঠবে না। তাই তাঁরা বাবা-মায়ের অনমুতি চাইছেন তাফিদার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলতে। কিন্তু তাফিদার মা সেলিনা রাকিব বলছেন, তার মেয়ে এখন আগের চেয়ে ভাল এবং সে দিন দিন সুস্থতার দিকে এগুচ্ছে। তিনি জানান, তাকে একজন ভাল নিউরোলজিস্ট বলেছেন- তাফিদার শারীরিক অবস্থা পুরোপরি বোঝার জন্যে আরও সময় লাগবে। এজন্য তার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ইতালির জেনোয়ার গাসলিনি চিলড্রেনস হাসপাতালে স্থানান্তর করতে চায়। কিন্তু তাফিদার রয়েল লন্ডন হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে ইতালির হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন না। তারা বার বার বলছেন তাফিদার ব্রেইন আর সুস্থ হবে না। বরং তারা তাফিদার লাইফ সাপোর্ট খুলে নিতে চান। লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার মানে হচ্ছে তাফিদার জীবন শেষ বলে ঘোষণা করা। কিন্তু তাফিদার মা ডাক্তারদের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার অনুমতি দিচ্ছেন না।

এদিকে ডাক্তাররা লাইফ সাপোর্ট খুলে নিতে অনুমতি আদায়ের জন্য আদালতে মামলা করেছেন। পাশাপাশি তাফিদার মা সেলিনা বেগমও তার মেয়েকে ইতালির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতির জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। দু’টি মামলাই এখন বিচারাধীন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তাফিদার মামলাটি অনেক জটিল একটি মামলা। মামলার বিষয়টি অনেক গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন বিচারক।


লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার অনুমতি দিতে রয়েল লন্ডন হাসপাতালের অব্যাহত চাপে ‘সন্তানের জীবনাবসানের পক্ষে মা-বাবার সম্মতি দেয়া ধর্মীয় বিধান মতে পাপ’ ইসলামিক কাউন্সিল অব ইউরোপের দেয়া এমন ফতোয়া তাফিদার মা সেলিনা রাকিব আদালতে দাখিল করেন। এ নিয়ে লন্ডনের উচ্চ আদালতে শুনানিকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো যুক্তি দেখিয়ে আদালতে তাফিদার পরিবারের মহিলা সদস্যের উপস্থিতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চায়। তবে আদালত তা নাকচ করে দেন।

পেশায় আইনজীবী তাফিদার মা আদালতকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, তাফিদা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। আমি বুঝি, আমার কণ্ঠ শুনে সে সাড়া দেয়। তাফিদা এভাবে বেঁচে থাকলেও আমি, তার বাবা ও ভাই তাকে দেখতে পাব, আদর করতে পারব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২০

শ্রেষ্ঠ অফিসার বলেছেন: দুঃখজনক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.