নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন কিছুই অবাক হওয়ার নেই!!!

অদ্ভুত অবাক

অদ্ভুত অবাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেরুদন্ডহীন জাতিকে শাষণ ও শোষণ করা সহজ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিগত কিছুদিন ধরে দেখছি অসহায় বাবা-মা কে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনুনয়-বিনয় করতে, যাতে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট না করা হয়। আপনি বলতে পারেন মাত্রইতো শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হলো, কিছু না বুঝেই কেন বাবা-মায়েরা রাস্তায়? আসলে যারা রাস্তায় নেমেছে তারা সবাই ৬ষ্ঠ এবং ৭ম শ্রেনির অভিভাবক। যেহেতু বিগত ১বছর ধরে তাদের সন্তানেরা এই শিক্ষানীতি পড়ালেখা করছে তাই তারা জানে কি হচ্ছে শিক্ষার নামে।

বর্তমান শিক্ষানীতির আলোকে কিছু পর্যালোচনা:

১। আমি বিভিন্ন স্কুলের ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখেছি। যেটা আগে ছিল অনেটা নোটিশ বোর্ডের মত, সেটা এখন হয়ে গেছে ফেসবুক/ইউটিউবের ভ্লগারের পেজ। সেখানে এখন নিয়োমিত পোষ্ট করা হয় রান্না-বান্নার ভিডিও। সবাই মিলে বিশাল হাড়িতে রান্না অথবা বাসা থেকে রান্না করে নিয়ে আসা খাবারের ভিডিও। যদিও বাসা থেকে রান্নাকরে আনা খাবার যতটা না শিক্ষার্থী তৈরি করছে তারচেয়ে শিক্ষার্থীর মায়ের অবদানই বেশি। আর বাবার পকেটতো কাটছেই। আপনারা চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন দেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোর ফেসবুক পেজ।

চলছে রান্না বান্নার কাজ

২। সরলমনা শিক্ষার্থীরা বলবে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে স্কুলে পিকনিক করাকেই সঞ্চয় বলে। শিক্ষার্থীরা নাকি তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা দিয়ে বাজার করে রান্না করে খায়। কিন্তু আপনারাতো সঞ্চয়ের সংগাই পাল্টে ফেলেছেন। সঞ্চয় মানে হলো: উপার্জিত টাকা থেকে কিছু অংশ ভবিষ্যতে জন্য জমা রাখা। যা বিশেষত আপদকালীন সময়ে ব্যবহার করা হয়। আর এখানে শিক্ষার্থীরা নাকি তাদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সঞ্চয় করে পিকনিক করছে।

৩। স্কুল থেকেই বলা হচ্ছে নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নিতে। এই শিক্ষানীতির কারনে শিক্ষার্থীরা নাকি মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি বাবা মায়ের। তার চেয়ে এক কাজ করুন সব শিক্ষার্থীকে টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউব একাউন্ট খুলে দিন, তাতে কিছু রেমিটেন্স আসতে পারে।

৪। অসংখ্য বার শিক্ষানীতির পরিবর্তন হলেও, ভার্সিটি এডমিশন টেস্ট, সরকারি-বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগ পরিক্ষার কোন পরিবর্তন কিন্তু ঘটেনি। ঠিক তেমনি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাই।

৫।শিক্ষানীতিতে হাতে কলমে শিখানোর জন্য আপনি যে শিক্ষককে দিয়ে ছাত্রদের ধান লাগানোর ক্লাস নিচ্ছেন সে শিক্ষক জীবনে হয়তো কোন দিন এই কাজ করেনি। আপনার উচিত একজন কৃষককে দিয়ে এই ক্লাসটা করানো। তার চাইতে কে আর দক্ষ এই কাজে?

৬। আসলে যে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেটা সকল বিষয়ে প্রযোজ্য না করে এটাই একটা বিষয় হিসেবে শিক্ষার্থীদের পড়ানো যেত। যদিও এই রান্না বান্না বা ধন চাষ আগেও ছিল সেটা আমরা কৃষি ও গার্হস্থ্য অর্থনীতির মাধ্যেমে পেয়েছি।

৭। সরকার পরিবর্তন মানেই শিক্ষানীতির পরিবর্তন যা খুবই গতানুগতিক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। তারই আলোকে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সৃজনশীল শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। যদিও তখন এই বিষয়ে তেমন কোন উচ্চ্য-বাচ্চ্য হয়নি। কিন্তু সেই একই সরকার কেন তার ক্ষমতা কালীন সময়ে আবার শিক্ষানীতি পরিবর্তন করলো? কারণ এতদিন পরে হলেও তারা বুঝতে পেরেছে তাদের সৃজনশীল শিক্ষানীতি অকার্যকর।

অতপর এটাই বলবো, যারা এই শিক্ষানীতি প্রণয়নের সাথে জড়িত জানি তাদের সন্তানেরা এই দেশে পড়া লেখা করে না। তাই তারা এই সব নিয়ে মাথাও ঘামান না। দিনশেষে ... ...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি ৭ম শ্রেণীতে পড়ার সময়, আপনার ক্লাশে ছেলেমের সংখ্যা কতজন ছিলো? পরীক্ষায় ১০ *লাইন মুখস্হ কবিতা লিখতে গিয়ে আপনি কত নম্বর পেয়েছিেলন?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

অদ্ভুত অবাক বলেছেন: ৭ম শ্রেণীতে ৫০ থেকে ৬০ জন। পরীক্ষায় ১০ *লাইন মুখস্হ কবিতা লিখে কত পেয়েছি সঠিক মনে নেই। তবে জীবনে অনেক পরীক্ষায় সেই সব কবিতার লেখকের জন্ম, মৃত্যু জানতে চাওয়া হয়েছে। আর ভবিষ্যতে হয়তো ভাত, আলু ভর্তা, ডিমভাজি করতে বলবে।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১২

সোনাগাজী বলেছেন:





আপনার বর্তমান পেশা কি?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

অদ্ভুত অবাক বলেছেন: ব্যবসা। চাকরি করার ইচ্ছা হয়নি কখনো।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের বর্ত্মানে কোন নিতী কাজ করছে না। এখানে ডান থেকে বামে সভাও নিজ নিজ স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু স্কুল আছে যারা ভিন্ন মতাবালম্বি এরা বর্তমান শিক্ষা নিতীকে তাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্যে অদ্ভুত সব কান্ড কারখানায় সামিল। এরা সাধারন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত না। এরা নিজেদের আখের গুছতে ব্যস্ত। আমার চেনা জানা অনেক স্কুল আছে যারা বর্তমান শিক্ষা নিতী মেনেই তাদের কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। কই তাদের নিয়ে অভিভাবক তো উদবিগ্ন হচ্ছেন না৷ একই রকম ভাবে কিছু অসভ্য অভিভাবক আছে যারা স্কুলের অভিভাবক নির্বাচনে কটি টাকা খরচ করে তো তারা যখন ফেল মারে তখন তাদের কর্মকান্ড বিতর্কিত হয়। এরাই রাস্তায় নাটক করে পাব্লিক হাসায়।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

অদ্ভুত অবাক বলেছেন: সৃজনশীল ও এসেছিলো চাপ কমাতে। তাহলে সেটা টিকলো না কেন?

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

নতুন বলেছেন: দেশের জাতীয় শিক্ষানীতি পড়ে দেখেছেন কি? যেই পরিকল্পনা আছে সেটার বাস্তবায়ন করলে অবশ্যই নতুন প্রযন্মের জন্য ভালো হবে।

বাচ্চাদের শুধুই মুখস্ত বিদ্যায় দিক্ষীত করলেই হবেনা।

হাতের কাজ, ব্যক্তিত্ব গঠন, বর্তমান বিশ্বের সম্পর্কে জ্ঞান, প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

অদ্ভুত অবাক বলেছেন: হাতের কাজ, ব্যক্তিত্ব গঠন, বর্তমান বিশ্বের সম্পর্কে জ্ঞান, প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে। আগে কি আমাদের এই বিষয়ে পড়ানো হয়নি? অপেক্ষা করুন এই খাতটাকেও পুরোপুরি দূর্নীতিগ্রস্থ করে ফেলবেন।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের উচিৎ শিক্ষাখাতে খুব বেশী নজর দেওয়া।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

অদ্ভুত অবাক বলেছেন: অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.