| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি নদীর তীরে বসে আছে
নীল আর মারিয়া। দুজনে
বসে থেকে গল্প করছে জানা
অজানা এক অনুভূতির আবেগ
নিয়ে। হঠাৎ নীল মারিয়ার
হাত ধরায়।মারিয়া নীলের
দিকে তাকালো আর নীল
বলতে শুরু করল।আচ্ছা
মারিয়া তুমিতো জানো এই
পৃথিবী আমার আপন বলতে
কেউ নেই আমার মা ছাড়া
তারপর তুমি এলে এই জীবনে
তারপর থেকে তুমি আমার
জীবনের একটি অংশ হয়ে
দাড়ালে।তুমি কি আমাকে
কোনো দিন ভুলে যাবে
নাতো। মারিয়া নীলের
হাতটা শক্ত করে ধরে বললো
ধরেছি এই হাত ছাড়বার নয়
এই বিশ্বাস টুকু আমার উপর
রেখো।তোমাকে আমি
ভালোবেসেছি ছেড়ে
যাওয়ার জন্য।আমার মরণ
হলেও এই হাত ছাড়বার নয়।
কিন্তু মারিয়ার সেই কথা
গুলো ছিলো শুধু মুখের সে আজ
নীলকে ছেড়ে চলে গেছে
অন্যের ঘরে । কোথায়
ছিলো সেই বিশ্বাস তারপর
থেকে নীলের জীবনে
মেয়েদের উপর থেকে
বিশ্বাস উঠে গেছে।
তারপরও তার মায়ের দিকে
তাকিয়ে নীল বিয়ে করে।
ওহহ নীলও বিয়ে করেছে
অবন্তী নামের এক মেয়েকে
। অবন্তীর গুন সব দেখে
যেমনি তার চেহারা পরীর
মতন তেমনি কাজের প্রতি
তার আগ্রহ।কিন্তু নীল
অবন্তীকে এখনো স্ত্রী
হিসেবে মেনে নিতে
পারেনি।কিন্তু অবন্তী তার
হাল ছেড়ে দেয় নি
-অবন্তী আমার অফিসের সময়
হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমার
টাইটা খুজে পাচ্ছি একটু
দেখোতো
-আচ্ছা দাও আমি খুজে
দিচ্ছি
এই নাও তোমার টাই ।
দাড়াও আমি পড়িয়ে দিচ্ছি
-তার আর প্রয়োজন নেই।আর
হ্যা দরজাটা আটকিয়ে
দিয়ো
প্রতিদিনকার মতো আজকেও
অবন্তীর দু চোখ দিয়ে বন্যা
বয়ে গেলো।যা প্রতিদিন ই
নীল সকাল বেলা এই কথা
বলে।কিন্তু তাকে যে
কোনো মতে এই হাল ছেড়ে
দিতে দেওয়া যাবেনা।
তাকে যে করেই হোক
নীলের মন জয় করতেই হবে।এই
বলে অবন্তী রান্না ঘরে
চলে গেলো । দুপুরের দিকে
নীলকে ফোন করল অবন্তী
-কেমন আছেন
-ভালো
-দুপুরের খাবার খায়ছেন
-না কাজে ব্যস্ত আছি এখন
রাগছি
আবারো দেখা গেলো
অবন্তীর চোখে জলের
রেখা। কেন মানুষটা এমন সে
কার কাছে কি দোষ
করেছিলো যে যার কারনে
তাকে এতটা কস্ট পেতে
হচ্ছে।তার কত স্বপ্ন ছিলো
বাসর রাতে বরকে নিয়ে
গভীর রাতে সবাই যখন
ঘুমেয়ে পড়বে তখন তারা
ছাদে গিয়ে নীল আকাশে
চাদ দেখবে।যখন বাসর
রাতে বরের মুখে আমি
আপনাকে স্ত্রী হিসেবে
মেনে নিতে পারিনি এই
শব্দ যখন শুনে তখন সব আনন্দ
মাটি হয়ে গেলো। হঠাৎ
কলিং বেল এর শব্দ শূনে ছুটে
গেলো দরজা খুলতে। দরজা
খূলে দিলো কিন্তু নীল
অবন্তীর হাতে তার ব্যাগ
দিয়ে চলে গেলো।একটুও
মেয়েটির সাথে কথা বললো
না।আবারো মেয়েটির মুখ
কালো হয়ে গেলো।যখন
টিফিন বক্স খুলতে যাব
তখনো দেখা গেলো
প্রতিদিনের মতো আজকেও
টিফিন বক্স ভর্তি তা দেখে
আবারো অবন্তীর চোখে
দেখা মিললো জলের রেখা
-আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন
আমি খাবার দিচ্ছি
-আচ্ছা
এই বলে অবন্তী ঘরে গিয়ে
বালিশে মুখ গুজে অঝর নয়নে
কাদতে লাগলো
"
"
এভাবে দেখতে দেখতে
অনেক দিন কেটে গেলো।
একদিন নীল সকালে অফিসে
চলে যাওয়ার সাথে সাথে
অবন্তী বাসার কাজে লেগে
পড়ে। নীলের ঘর পরিস্কার
করার সময় হঠাৎ দেখতে পায়
একটি গুপ্ত আলমারি
সেখানে সে একটি ডায়রী
পায়।সে সেখান থেকে
ডায়রীটা নিয়ে পড়তে
থাকে। ডায়রীর প্রথম পৃষ্টা
আমি এমন এক রমনীর সন্ধান
পাবো যার পুরোটা জুড়ে শুধু
আমি সে হবে আমার স্বপ্নের
কল্পনার এক রানি তার হৃদয়
জুড়ে থাকব শুধু আমি।যাকে
নিয়ে মহাকালের পথ ধরে
হাটা যায়।এভাবে সে
অনেক পৃষ্টা পড়লো এই
ডায়রীতে শুধু নীলের
কল্পনার রানীকে নিয়ে কল্প
কাহিনী । অবন্তী ডায়রির
শেষ পৃষ্ঠায় পড়তে লাগলো
তার হাতে থাকবে বিভিন্ন
রকমের রেশমি চুড়ি কানে
থাকবে দুল পায়ে থাকবে
নুপুর।আর কপালে থাকবে টিপ
সেটা সে মনে ভুলে বেঁকে
করে দিবে আর আমি সেটা
ঠিক করে দিবো আর বলবো
একি তোমার টিপ কেনো
বেকা দাড়াও আমি ঠিক
করে দিচ্ছি।তার পরনে
থাকবে নীল শাড়ি যেন
তাকে দেখতে লাগে এক
নীল পরী সে যেন নীল পরীর
রাজকুমারী আর আমি হব
তার রাজকুমার সে তার চুল
গুলো মুক্ত বাধনে ছেড়ে
দিবে যেন মৃধু বাতাসে তার
চুল আমার মুখে এসে পড়ে চুল
সরানোর ভঙ্গিতে তার
গায়ে আলতো করে ছুয়ে
দিবো।এসব পড়া সব শেষে
সে ডায়রীটা রেখে দিলো
এবং নীলের পছন্দ অনুযায়ী
সাজতে লাগলো।আলমারী
থেকে নীল শাড়ি ।চুড়ি
কানের দুল বের করে নিলো।
আজ নীল বলেছিলো যে সে
রাতে বাসায় ফিরবে।
অবন্তী সাজতে সাজতে
সন্ধ্যা হয়ে গেলো।অবন্তী
নীলের জন্য অপেক্ষা করতে
লাগলো। হঠাৎ কলিং
বেলের শব্দ দরজার দিকে
ছুটে চলল গিয়ে দরজা খুলে
দিতেই নীল অবন্তীর দিকে
হা করে তাকিয়ে আছে।
অবন্তী তা দেখে
মিটিমিটি হাসছে
-কি হলো ওখানে দাড়িয়ে
থাকবেনা বাসা ঢুবে
-ওহহ হ্যা
-তুমি ফ্রেশ হয়ে এসো আমি
তোমার জন্য খাবার দিচ্ছি
নীল এবার অবন্তীর প্রেমে
পড়ে গেলো।সে ভাবছে এমন
মায়াবতী কন্যাকে আমার
কষ্ট দেওয়া ঠিক হয়নি।
মারিয়া যদি অন্যকে নিয়ে
সুখে থাকতে পারে আমি
কেন পারব না।
ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার
টেবিলে বসলো আর আড়
চোখে অবন্তীর দিকে
তাকাচ্ছে নীল সেটা
অবন্তী লক্ষ্য করলো
খাওয়া দাওয়া শেষে
অবন্তী নীলকে বললো
-চলোতো একটু ছাদে যাবো
-হুম চলো
এখন দুজনে পাশাপাশি বসে
আছে আর নীল আকাশ
দেখছে।নীল শুধু অবন্তীর
দিকে তাকাচ্ছে আর
ভাবছে অবন্তীর হাত ধরে
তার মনের অজানা কথা বলে
দিতে।অবন্তীও নীলের
মনের কথা যেন বুঝে গেলো
তাই সে নীলের হাত নিজের
হাতের মধ্য নিয়ে নিলো
এবং নীলও অবন্তীর হাত
মুঠি করে ধরে নিলো।
অবন্তী নীলের কাদে মাথা
রাখলো।
.তারপর নীলের চোখ হঠাৎ
অবন্তীর কপালে গেলো
-সবইতো ঠিক আছে কিন্তু
কপালের টিপ কেন বেকা
করে দিছো । দাড়াও আমি
ঠিক করে দিচ্ছি।এই বলে
নীল অবন্তীর কপালের টিপ
ঠিক করে দিলো।আর অবন্তী
ভালোবাসার মানুষের
হাতের স্পর্শ পেয়ে তাকে
জড়ি ধরলো
-আমাকে কোনো দিন ভুলে
যাবেনাতো অবন্তী
-তোমাকে সে ভুলে যেতে
পারে কিন্তু আমি এজনমে নয়
-নীল অবন্তীকে জড়িয়ে
ধরে বললো খুব ভালোবাসি
তোমায় আর কখনো কষ্ট
দিবনা তোমায় সাড়াজীবন
এভাবেই আমার বুকে জড়িয়ে
ধরে রাখবো
আবারো পূর্ণতা পেলো
আরেকটি ভালোবাসার
-
"
"অচেনা ছেলে (নীল
রাজ্যের রাজকুমার)
"
"
""""""""""THE END(সমাপ্ত)""""
"""""""
"
"
(বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা
করবেন আর পরবর্তী গল্পের
জন্য অপেক্ষা করুন ।ধন্যবাদ
সবাইকে)
"""আল্লাহ হাফেজ"""
©somewhere in net ltd.