| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-আচ্ছা বাবা তুমি কাদছিলে কেন
-কই নাতো আঙ্কেল
-তুমি মিথ্যা কথা বলছো। তুমি কান্না করছিলে আর আমি তোমার চোখে জল দেখতে পাইছিলাম।আমি বলার পর তুমি সেটা মুছে ফেললে
-আসলে একজনের কথা খুব মনে পড়ছিলো তাই তার কথা ভেবে হয়তো চোখে পানি চলে আসছিলো
-তে সে কোথায়
-সে চলে গেছে অজানায় যেখান থেকে কেউ ফিরে আসেনা
-ওহহ বাবা আমি মনে হয় তোমাকে বেশি কষ্ট দিয়ে ফেললাম তোমার অতিতকে টেনে
-না আঙ্কেল আপনি কি জানতেন
-না
-তাহলে
-আমারও তোমার মতো একটা ছেলে আছে তাই তোমার ঐ কারণটা জানতে চাইলাম।আর আমি সামনে স্ট্যান্ড নেমে যাবে চলেন বাবা আমাদের বাসায় থেকে ঘুরে আসেন
-না আঙ্কেল
-আচ্ছা বাবা তাহলে ভালোভাবে থাকেন
-আচ্ছা
এই বলে ঐ লোকটি চলে গেলো।আমি আবারো জানালা দিয়ে প্রকৃতির বৈচিত্র গুলো দেখছি।আর আপনারাতো জানেনই কেন সেদিন আমি মারিয়াকে ফিরেয়ে দিছি।কারণ এই মন জুড়ে শুধু মেঘার বসবাস অন্য কারো জায়গা এখানে হবে না।তাই তাদের বাসা থেকে রাতেই চলে এসেছি।আমি জানি মারিয়াও আমাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু সেটা আবেগ নাকি সত্যি সেটা ও আর আল্লাহ ভালো জানে । অবশেষে আমার গৌন্ত্বে পৌছে গেলাম। সেখান থেকে নেমে সোজা কাম্পে চলে গেলাম। কাম্পে গিয়ে নিজের জামা কাপড় গুছিয়ে রেখে একটু ব্যায়াম অথাৎ দৌড়া দৌড়ি করার জন্য বেরিয়ে পড়লাম।অনেক ক্ষণ দৌড়ানোর পর আবার বিশ্রাম নিতে কাম্পে চলে এলাম।পরের দিন সকালে সবাই মিলেমিশে ট্রেনিংয়ের কাজ সম্পূর্ন করলাম। একদিন রাতে কাম্পের বাহিরে একা বসে আছি তখন আমার এক বন্ধু এসে বলল
-স্যার আপনার কি হয়ছে নাকি
-ঐ বন্ধুকে কেউ স্যার বলে
-বারে তুমি আমাদের হলেন ক্যাপ্টেন অথাৎ সেনাবাহিনার ক্যাপ্টেন তোমার কমান্ড আমরা চলবো
-যে যেটা বলার দরকার সেখানে সেটা বলবি আর আমি কি এখন ডিউটিতে আছি
-ওগুলো বাদদে এখানে মন খারাপ করে বসে আছিস কেন
-এমনি কিছু ভালো লাগছেনা
-কেন কিছু ভালো লাগছেনা
-এই কয় দিন ধরে শুধু মেঘার কথা মনে পড়ছে
-যে চলে গেছে তার কথা ভেবে চোখের জল না ফেলে নামাজ পড়ে তার জন্য একটু দোয়া করবি তাহলে সেও শান্তি পাবে এবং তুইও শান্তি পাবি
-হুম চল অনেকতো রাত হলো এখন ঘুমানো যাক
-না আর একটু থাকিনা রাকিব। দেখ আজ আকাশে কতো তারা আর চাদ শুধু তার আপন গতিতে চারিদিকে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।খুবি সুন্দর লাগছে তাইনা
-হুম
অনিকের কথায় কিছুক্ষণ থেকে সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। এই রকম দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেলো। হাসি ঠাট্টা দুঃখ কষ্ট ইত্যাদির মাঝে ট্রেনিং শেষ হলো।আগামিকাল বাসায় যাব সেটা বলেও দিছি।
পরের দিন সকালে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বাসার উদ্দেশ্যে
বাসায় গিয়েতো আমি চুমকে উঠলাম
-একি বাসাতো বিয়ে বাড়ির মতো সাজানো হয়েছে বাসায় আবার কার বিয়ে।
আমিও সরাসরি বাসায় ঢুকে পড়লাম। একি সবাই আমাকে দেখে হাসছে কেন আমি কি কোনো চিড়াখানার আজব প্রানী নাকি যে আমাকে দেখে হাসছে। মনে হয় সবার মাতার একটি করে তার ছিড়ে গেছে তা না হলে এরা হাসে আমিও রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আম্মুকে জিজ্ঞাসা করলাম
-আম্মু বাড়িটা মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়ির মতো আয়োজন হচ্ছে
-বাড়িতে তো বিয়েই তাহলে কি বিয়ে বাড়ির মতো আয়োজন হবে না
-বিয়ে মানে কার বিয়ে
-তোর বিয়ে আবার কার বিয়ে তুই ছাড়াতো বিয়ার বয়স এখনো কারো হয়নি
-মানে, আমাকে না জানিয়েই বিয়ে ঠিক করলে কেন
-কেন কি হয়ছে আর তোরতো ছুটি দিয়েছে এখন পরে যদি ছুটি না পাস তাই শুভ কাজে আমরা দেরি করতে চাইনি তাই আগামিকাল তোর বিয়ে ঠিক করে রেখেছি
জানি এখানে বলে কিছু হবেনা আম্মু যখন বলেছে আমাকে বিয়ে করতে হবে তে বিয়ে করতেই হবে । আম্মু একটু ভয় পাই আর কি এত বড় হয়েছি তাও আম্মু আমাকে ঝাড়ির উপরে রাখে। পরের দিন আমার অমত থাকা সত্ত্বেও বিয়ের পিড়িতে বসতে হলো। এই বিয়ে মনে হচ্ছে সবাই হাসি খুশি কতো আনন্দ করছে মনে হয় এত আনন্দ কোনো দিন করেনি শুধু আনন্দে নেই একটি মাত্র ব্যক্তি সে হলো আমি।
বিয়ের ফুল সাজানো গাড়ি নিয়ে আমার অমতে বিয়ে করতে যাচ্ছি যাকে চিনিনা জানিনা কে সে । এইটায় পৃথিবীর নীলা খেলা যাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই এই বিয়েটায় এমন এক জিনিস যা একটি পরিবারের সাথে আরেকটি পরিবারে সুমধুর সম্পর্ক তৈরি করে দেয়।এই পৃথিবীর নীলা খেলা বড়ই আজব কাহিনী।মেইন রাস্তা থেকে নেমে গাড়ি গ্রামের মেঠো পথের দিকে যেতে শুরু করেছে গাড়িতে এত ফুল সাজানো আছে যে আমি ঠিক মতো বাহিরের দৃশ্যটা দেখতে পাচ্ছিনা। গাড়ি থেকে নেমে দেখলাম জায়গাটা এবং বাসাটা কেমন চেনা চেনা লাগছে তারপরও বিয়ে বাড়ি বলে কথা যে ভাবে সাজাইছে আমিতো আমাদের বাসায় ঠিক মতো চিনতে পারিনাই তাহলে এই বাসা কিভাবে চিনতে পারবো।এসব কথা ভাবতে ভাবতে বাসায় ডুকে পড়লাম।
অনেক কাজের মাধ্যমে বিয়ের কাজটা শেষ হলো এখন শুধু আমাদের বাসায় যাওয়ার পালা
গাড়িতে উঠে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছি কিন্তু কোনো কিছু ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছিনা। পাশে বউ বসে আছে সে দিকে আমার কোনো ভ্রু ক্ষেপ নেই শুধু গাড়ি পযন্ত আসার সময় তার হাত ধরে আসছি এটা নাকি নিয়ম তার পর গাড়ি এসে তার ছেড়ে দিয়েছি।যাক অবশেষে বাসায় এসে সোজাসুজি ছাদে চলে এলাম। সবাই বউ নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু আমি আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ মাথায় কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে তারাতারি নিজের চোখের জল মুছে তাকিয়ে দেখি আম্মু দাড়িয়ে আছে
-তূই মনে হয় এই বিয়ে মেনে নিতে পারিস নি।দেখ বাবা যে চলে গেছে সেতো আর ফিরে আসবে না এই বলেতো নিজের জীবনটা থেমে থাকবেনাঅযথা এই মেয়েটিকে তুই কষ্ট দিসনা । একেও মেঘার মতো তোর মনে জায়গা করে দে দাক খুব ভালোভাবে তোরা সংসার করতে পারবি
-আম্মু আমিতো তোমায় মেঘার বিষয়ে কিছু বলিনি তাহলে তুমি জানলে কি করে
-তোর ডায়রি পড়ে যেখানে তোর আর মেঘার সব কাহিনী লেখা আছে দেখ বাবা তুমি অযথা মেয়েটিকে তুই কষ্ট দিসনা আমি মা হয়ে তোকে অনুরোধ করছি মেয়েটিকে মেনে নিয়ে ভালোভাবে সংসার কর
আমিও আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলাম । আম্মুও আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
অবশেষে বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম
প্রবেশ করার সাথে সাথে দেখি নতুন বউ খাট থেকে নেমে আসছে আমিওতার কাছে গেলাম সে সালাম করার জন্য নিচে যাবে তখনি আমি তার বাহু ধরে দাড় করালাম আর বললাম
-তোমার স্থান ওখানে নয় আমার এই বুকে
-হুম(মেয়েটি এখনো নাম জানিনা আমার কার সাথে বিয়ে হয়ছে)
এই বলে আমা তার ঘোমটা সরালাম দেখেতো আমি চুমকে উঠলাম
-একি মারিয়া তুমি
-হুম আমিই তোমার বউ
-যখন তুমি আমার বউ তাহলে আমার অতীতের কিছু জানা তোমার প্রয়োজন
-আমি জানি
-কিভাবে
-আমার শাশুরী আম্মা সব আমাকে বলেছে
-ওহহ
-কিন্তু আমার কিছু চাইনা শুধু তোমার এই বুকে ঠায় দিলে আর ভালোবাসলেই হবে
-সে কি করে হয় আমার একটি আবেগী কন্যাকে হারাইছি এবার কি এই আবেগী বউটাকে হারানো যায়
এই বলে মারিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমিও তাকে জড়িয়ে ধরলাম।এভাবে শুরু হলো আমার আবেগী বউটাকে নিয়ে নতুন করে পথ চলা ভালোবাসি মারিয়া তোমায় ভালোবাসি আমার আবেগী বউটাকে
-
-
-অচেনা ছেলে (নীল রাজ্যের রাজকুমার)
-
-""""""THE END--(সমাপ্ত)"""""""
-
-(বিঃদ্রঃগল্পটি বড় করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি অসুস্থ থাকার কারণে গল্পটা বড় করতে পারলাম না যার কারণে দুখিত।আর আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমি যেন তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। )
-ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
-
_
-
-পরবর্তী গল্পের জন্য আমার প্রোফাইলের সাথেই থাকুন । আর কষ্ট করে আমার এই খারাপ গল্প গুলো পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ
-
-অচেনা ছেলে
©somewhere in net ltd.