নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্‌সরা

যেখানে ঘর বাঁধবো আমি, আসে আসুক বান, তুমি যদি ভাসাও মোরে, চাইনে পরিত্রাণ!!

অপ্‌সরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে- ৮

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬


নাহ! বাবা মারা যাননি সেদিন। বাবার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছিলো এবং ডক্টরের কিছু ঔষধে সমস্যাটা খুব শীঘ্রই নিয়ন্ত্রনেও চলে আসে। বাবাকে নিয়মিত চেকআপ আর ঔষধ পত্র চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেন ডক্টর। বলেন তেমন কিছু না বটে তবে বাবার খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আর সিগারেটটা ছেড়ে দিতে হবে একেবারে। আমাদের পরিবারে সবচাইতে বয়ঃবৃ্দ্ধ দাদুও কখনও এমন আচমকা অসুস্থ্য হয়ে পড়েননি। তাই আমরা একটু চমকেই গিয়েছিলাম। বাবার এমন আকস্মিক অসুস্থ্যতার কারণ হিসেবে আমার আজ যা মনে হয় তা হলো তার সাস্থ্য অসচেতনতা এবং অনিয়মানুবর্তিতা। বাবা ভীষন রিচ ফুড খেতেন। গরুর রেজালা, মাংস, পোলাউ, ঘি মাখন ছাড়া তার তেমন চলতো না সাথে ছিলো সিগারেটের নেশা। এসবই ছিলো সেদিনের সেই বিপদটির কারণ। এসব ঝুটঝামেলার মধ্য দিয়েই পরীক্ষা শেষ হলো আমার।

ভেবেছিলাম এত কিছুর মধ্যে মা নিশ্চয় সেই বিকালের ঘটনাটা ভুলেই গেছেন। কিন্তু মা আর যাই ভুলুক। আমার ব্যপারে আসলে কিছুই ভুলতেন না। তার প্রচন্ড আত্ম অহমিকা ও সবে ধন নীলমনি আমাকে কঠোর শাসন বারণে রেখে নিজের মনের সকল অপ্রাপ্তির সাধ আহলাদ সে সব আমার পছন্দ অপছন্দের তোয়াক্কা না করে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেন। এই কারনেই ঐ ভয়ংকর ভুল করা বয়সের আমি যেন তার পছন্দের বাইরে এক পাও না বাড়াতে পারি সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতেন। আর সেদিনের ঘটনার যথা সময়ে বিচার না করতে পেরে এবং বিচার ব্যবস্থার বিলম্বিকরণে মা নতুন বুদ্ধি আটলেন।

মা দাদুর কাছে, দাদীমার কাছে এবং বাবার কাছে তথা পুরো পরিবারের কাছেই কেঁদে কেটে একাকার করলেন। বললেন বাবার এই অবস্থা, কখন কি হয়! তার বড় ভয় হয় আমাকে নিয়ে। আর তাই আমাকে এখুনি বিয়ে দিয়ে দিতে চান। মা যতই আমাকে নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করুক না কেনো আমি ঠিকই বুঝেছিলাম তার মনের আসল অভিসন্ধিটা। যাইহোক মায়ের এই এহেন আবদারে কেউ তেমন পাত্তা দিচ্ছিলো না কিন্তু আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো! কারণ আমি মাকে জানি আর আমি কিছুতেই এখন বিয়ে করতে চাই না। কিন্তু মাকে সে কথা বলবো কি করে! বললেই তো উনি আমাকে সেদিনের কত ধানে কত চাল গুনতে বসিয়ে দেবেন। চিন্তায় আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়লো।

খোকাভাইকে এ খবরটা জানালাম। আর অবাক হলাম এ সংবাদে খোকাভাই তেমন প্রতিক্রিয়া দেখালো না বরং মনে হলো এ সংবাদ তার কানে ঢুকলোই না বা এ সংবাদটির কোনো গুরুত্বই নেই তার কাছে। আমি একটা জিনিস ইদানিং খেয়াল করেছি আজকাল খোকাভাইকে আমার বড় ভাবলেশহীন লাগে। মনে হয় তার কানে কিছু ঢুকছে না, কিছু বুঝছে না এমন। অনেক সময় ধাক্কা দিয়ে তাকে জাগাতে হয়। চেয়ারে বসে থেকেও কেমন যেন আনমোনা হয়ে থাকে। খোকাভাই কি তবে সন্যাসী হয়ে গেলো নাকি! খোকাভায়ের মাঝে এই পরিবর্তনটা বাড়ির অন্য কেউ খেয়াল করেছিলো কিনা জানিনা তবে আমি ঠিকই বুঝতে পারছিলাম। অথবা খোকাভাই ঐ বয়সেও খুব জেনে গিয়েছিলো আমাদের এই সম্পর্কের কোনোই ভূত ভবিষ্যৎ নেই, তাই হয়ত নির্লিপ্ত হয়ে পড়ছিলো। জানিনা আমি, আসলে কিছুই জানতাম না তখন তবে তার কিছু একটা পরিবর্তন আমি ঠিকই বুঝতাম।

আর তার এই পরিবর্তনটা যে সেই তেরো দিনের অন্তর্ধানের কারনেই সেটাও বেশ বুঝতাম আমি। কিন্তু বারবার জিগাসা করা সত্বেও কোনোভাবেই আমি সে রহস্য উৎঘাটন করতে পারছিলাম না ঐ তেরোদিন ঠিক কোথায় ছিলো খোকাভাই। সেজচাচুও একটা বারের জন্যও সে কথা খোলাসা করেননি কারো কাছে শুধু বুঝেছিলাম সেদিনের পর থেকে সেজচাচুর কোনো এক অজ্ঞাত মায়া কাজ করছিলো খোকাভয়ের জন্য। ও বাড়িতে কেও কখনও খোকাভাইকে ভালোবাসেনি। সেও যে এ বাড়ির বড় ছেলের সন্তান কেউই সেটা মনেও রাখতে চায়নি। অসহায়া বড়চাচীমা ও বাড়ির পাকাপোক্ত রাঁধুনীতেই পরিনত হয়ে গিয়েছিলো আর তাই সবাই বিশেষ করে মেয়ে মহলে একটু কদরও পেয়েছিলো। বিনা পয়সার এমন উদয়স্ত খাঁটুনির অক্লান্ত পরিশ্রমী ঝি কোথায় পাবে তারা?

খোকাভায়ের দিকে কারো কোনো নজর ছিলো না বটে। সে খেলো কি না খেলো মরলো কি বাঁচলো কারো কিছুই যেত আসতোনা। আমার ধারনা কারো তাকে মনেই পড়তো না। তার খাবারও পৌছে দিয়ে আসতো রুস্তম তার ঘরে আর বড় চাচীমা তার দায়িত্বে থাকায় অন্তত খাবারের সমস্যাটুকু তার ছিলো না। কিন্তু ঐ তেরো দিন অন্তর্ধানের পরে হঠাৎ একদিন বিকেলে সেজচাচা একটা খুব সুন্দর নীল রং সাইকেল নিয়ে আসলেন। সাইকেলটার নাম ছিলো ফনিক্স। হা হা আমরা ফনিক্সই বলতাম এবং সেই সাইকেলটা তিনি খোকাভাইকে ডেকে দিয়ে বললেন, কাল থেকে তুমি এটা নিয়ে কলেজে যাবে বাবা!

আমি খুব অবাক হলাম! এই প্রথম এ বাড়িতে কেউ মনে হয় খোকাভাইকে বাবা সম্বোধন করে এইভাবে স্নেহময় সূরে কিছু বললো। শুধু বললোই না ওমন একটি দামী উপহারও দিলো!। সেখানে যারা ছিলেন তারা অবাক হলো কিনা জানিনা তবে বিরক্ত হলো কেউ কেউ। আমার মায়ের চেহারাখানা ছিলো, মানে মায়ের মুখের উপর এক অদৃশ্য আয়না থাকতো যেই আয়নায় আমি দেখতাম নানা দৃশ্যাবলী। সেই আয়নায় আবার রেডিও সেট করা থাকতো আর সেই রেডিও শুনতে পেতাম শুধুই আমি। সেই রেডিও এবং আয়নায় আমি দেখলাম মা মুখ বাঁকিয়ে বলছেন, আদিখ্যেতা দেখে বাঁচি না। এই ধামড়া বুড়ো খোকাকে আদর করে উনি আবার নীল টুকটুক ( লাল টুকটুক হয় নীল কি হয় জানিনা কিন্তু সেই সাইকেলটার রং বড়ই মনোহর ছিলো তাই নীল টুকটুক লিখলাম আর কি) সাইকেল দিচ্ছেন। যত্তসব!!! লাই দিয়ে মাথায় উঠাচ্ছেন আমার সর্বনাশ করার জন্য! আর মায়ের সেই সর্বনাশটাই ছিলাম জলজ্যান্ত আমি! :(

যাইহোক এই এত বড় একটা ঘটনা ঘটলো খোকাভায়ের সাথে এতগুলো দিন পরে এসে এ বাড়িতে কিন্তু খোকাভায়ের মাঝে কোনো ভাবান্তর নেই। খোকাভাই মুখ নামিয়ে ছিলো যেন সে এই উপহারের যোগ্য নয় বা কোনো এক অপরাধী। সেজোচাচা তার কাঁধে হাত রেখে বললেন, খুব মন দিয়ে পড়ালেখা করো বাবা। তোমার মায়ের মনে কোনো কষ্ট দিও না। তোমাকে অনেক বড় হতে হবে। খোকাভাই হ্যাঁ না কিছুই বললো না। চুপচাপ সাইকেলটাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে রইলো। হঠাৎ পিংকু বাঁদরটা কোথা থেকে এসে সাইকেলের বেলটা ধরে ক্রিং ক্রিং করে মাথা ধরায় দিলো। খোকাভাই তাকেও কিছুই বললো না।

এর মাঝে শুরু হলো আরেক উৎপাত দাদুর কোন জনমের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ার ছেলে শহরে পড়তে এলো। এই ছেলে নাকি এ বাড়িতে থেকেই পড়ালেখা চালাবেন। তো চালাক কোনো সমস্যা নেই। ওমন এ বাড়িতে আগেও অনেকেই এসেছে। আমার জন্মের পর থেকেই দেখছি এসব। কিন্তু এবারের সমস্যটা অন্যরকম ছিলো কারণ ঐ ছেলেরও থাকবার বন্দোবস্ত হলো খোকাভায়ের সাথেই মানে খোকাভায়ের ঐ ছাদের ঘরেই নাকি আরেকখানা চৌকি পেতে থাকতে দেওয়া হবে তাকে। শুনে তো আমার আক্কেল গুড়ুম। এ দেখছি দিনে দিনে বিপদের উপর বিপদ আসতে শুরু করলো জীবনে। এমন রাগ লাগছিলো আমার। কি করা যায় ভেবে পাচ্ছিলাম না কিন্তু যত রকম বিপদই আসুক সকলই কাটিয়ে উঠবার ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার অভাব ছিলো না আমার ছোটবেলা থেকেই। এই বিষয়ে আমি রিতীমত বিশেষজ্ঞ ছিলাম। কাজেই শত হাজারভাগ কনফিডেন্স নিয়ে মাথা খাটাতে শুরু করে দিলাম।

কিন্তু মাথা খাঁটিয়েও লাভ হলো না। ঐ বক্কর আলী বক্কু ঠিকই খোকাভায়ের ঘরে আসন গেড়ে বসলেন। আর এই ব্যপারে সবচেয়ে বেশি উৎসাহী ছিলেন আমার মা। খোকাভায়ের আপত্তির কোনো উপায় ছিলো না। এমনিতেই অনাদরে অবহেলার পরাশ্রিত স্বর্ণলতার জীবন ছিলো তার। খোকাভাই চুপচাপ রইলেন। ঐ ছোট ঘরটার মাঝেই আরেক সাইডে বসিয়ে দেওয়া হলো আরেকখানা চৌকি ঐ বক্কর আলীর জন্য। মা বললেন, বেশ হয়েছে এখন থেকে দু'জনে মিলে এক সাথে পড়ালেখা করবে। একজন সঙ্গী হলো তোমার। ঐ সময় মায়ের মুখে এক আত্মতৃপ্তিমূলক প্রশান্তির হাসি ছিলো। মা ভাবছিলেন আহা মেঘ না চাইতেই জল। সারাদিন আমাকে চোখে চোখে রাখা কখন ছাদে চলে আসি এই ঝামেলাটা থেকে বুঝি তার মুক্তি মিললো অবশেষে। এখন এই বক্কু মিয়ার চক্ষু ফাঁকি দিয়ে আমি তো আর খোকাভায়ের ছায়াও মাড়াতে পারবো না। কিন্তু ঐ যে মা থাকতেন ডালে ডালে আর আমি পাতায় পাতায়।

কিন্তু পাতা ডাল সব কিছু বাদ দিয়েও বক্কু মিয়াকে আমি যে কতই না ঘোল খাইয়েছিলাম সেই কথা ভাবলে আমার আজ আসলেও কষ্টই লাগে। কিন্তু তখন সম্পূর্ণ বিনা দোষে বক্কু মিয়া হয়ে উঠেছিলো আমার দু'চোখের বিষ, শত্রুর শত্রু, জনম জনমের পরম শত্রু। পারলে আমি তাকে বিষ খাইয়েই মারতাম হয়ত। তবুও তার সহজ সরল স্বভাব আর বোকামীর কল্যানেই হয়ত প্রানে বেঁচে গিয়েছিলো সে। আমার মত তার জন্য পাষানীর প্রাণেও একটু মায়া আর দয়া হয়েছিলো। হা হা সবচেয়ে যেই কথাটা মনে পড়লে আমার দমফাটা হাসি পায় সেই ঘটনাটা আমি কাউকেই বলতে পারি না। শুধু মনে মনেই ভেবেছি এতদিন। আজও লিখবো কিনা ভাবছি।

আচ্ছা লিখবো না হয় নইলে অনেকেই কেনো লিখলাম না কেনো লিখলাম না বলে বলে আমাকে জ্বালিয়ে মারবে। নয়ত সারাজীবন চিন্তায় থাকবে কি করেছিলাম আমি। কি করেছিলাম সেটা হয়ত কেউ এখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারছে না আর আমিও ভাবি এত শয়তানী বুদ্ধি আমি কেমনে পেতাম সেসব দিনে! তাও আবার কারো সাহায্য ছাড়াই ওয়ান ম্যান আর্মী হয়ে সকল শয়তানীর সহযোগী আমি একাই নিজে ছিলাম নিজের সাথে। সাধে কি আমাকে মা বলতো আমি নাকি শয়তানীতে একাই দুইশো ছিলাম। সেই আমি এখন কত্ত ভালো হয়ে গেছি তাই না? :P

যাইহোক, বক্কুর নামটাই ছিলো সবার আগে আমার তাকে মনে কষ্ট দেবার প্রথম অস্ত্র। যখন তখন তাকে দেখলেই বা ইচ্ছা করেই ছাদে গিয়ে তাকে দেখলেই বলতাম। বক্কু মিয়া বক্কু মিয়া.... হিহি এটা কেমন নাম বাবা বক্কু মিয়া বেক্কল!!! আচ্ছা তোমার নাম এই বক্কু রেখেছে কে! সে হাসি হাসি মুখে বলতো, বক্কু নাতো আমার নাম বক্কর। এটা খুবই ভালো নাম। আমি বলতাম ভালো না ছাই এটার মানে হলো তুমি এক নাম্বারের গাধা মানে বোকা সোজা ভাষায় বেক্কল তাই তোমার মা তোমার এই নাম রেখেছে বক্কু। সে বলতো না না মা না আমার দাদী আমার দাদী রেখেছে সে অনেক ভালোবাসে আমাকে। আমি থামিয়ে দিতাম ভালোবাসা না ছাই বোকাদের এই নামই রাখে জানোনা !!! সে অসহায় বোধ করতো। প্রতিবাদ করতো, আমি তাকে ধমকে বা ব্যঙ্গ করে থামিয়ে দিতাম। ভেংচে বলতাম বক্কু বক্কু তোর নাই চক্কু, তুই এক বেক্কল তোর নাই আক্কল....যদিও সেই অস্ত্র ছুড়ে তাকে বার বার ঘায়েল করতে না পেরে আমি একের পর এক অস্ত্র ছুড়েই যাচ্ছিলাম। কিন্তু সহজ সরল বক্কু কিছুতেই বুঝতো না যে সম্পূর্ণ বিনা কারণে আমি কেনো তাকে কষ্ট দিতে চাই। তাকে যতই ছোট করতাম সে ততই হাসতো আমাকে ক্ষমাও করে দিত। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হত না। আমার রাগ সবাইকে ছাড়িয়ে শুধু তার উপরেই। কেমনে তাকে খোকাভায়ের ঘর থেকে দূর করবো সেই চিন্তায় মত্ত থাকতাম আমি।

এই বক্কর আসাতে খোকাভায়ের সাথে যোগাযোগের অবস্থা একেবারেই কমে গেলো। আমি চিঠি লিখতে শুরু করলাম খোকাভাইকে। কিন্তু খোকাভাই বেশিভাগ সময় সে সব চিঠির উত্তর দিত না। তবে বাড়িতে তার সাথে কথা বার্তা বলতে না পেরে একদিন আমরা প্ল্যান করলাম কলেজ থেকে আমরা কোথাও চলে যাবো সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে। কিন্তু হায়! ঐ মফস্বল শহরে যে অলিতে গলিতে হাজারও চোখ আছে ঐ বয়সের বুদ্ধিতে এইটুকু মাথায় ছিলো না। সারাজীবন শুনেছি দেওয়ালেরও চোখ আছে কিন্তু মফস্বল শহরের অলি গলি পথে ঘাটে আনাচে কানাচে শত শত চোখ ঘাপটি মেরে আছে।

যাইহোক সেসবের কোনো তোয়াক্কা না করেই একদিন আমরা কলেজ পালালাম। খোকাভায়ের সাইকেলের পিছে আমি। সেইদিনটার কথা ভাবলে আমি আজও হারাই। এক্কেবারে সেই গানটার সাথে কি যে মিলে যায় আমার সেই দিনটা! কোন গানটা বলোতো মিররমনি!!
নিশ্চয় ধরেছো.... ঠিক আছে বললাম না। ধাঁধা থাকলো তোমার জন্য।

তখন মনে হয় হেমন্ত নাকি বর্ষাই ছিলো। ঠিক ঠাক মনেও নেই আর আজ আমার। অনেক দিনের কথা তো তাই আর তেমন মনে থাকে না। তবে আমাদের ভৈরব নদীতে সে সময় বর্ষাতেই কিছুটা জল জমত নইলে আগের দিনের সেই প্রমত্তা ভৈরব শুধু শুনেছিই আর ভূগোল বই এ পড়েছি কিন্তু সে তখন প্রায় মরা নদী। তবুও সেই যে আমরা কলেজ পালালাম। সেদিন আমরা ভৈরব নদী পার হয়ে চলে গেছিলাম ওপারের একটা গ্রামে। খোকাভাই সাইকেল নিয়ে কলেজ থেকে দূরে অপেক্ষা করছিলো আর আমি রিকশা করে কলেজ থেকে পালিয়ে দূরে গিয়ে সেই সাইকেলে চাপলাম।

রাজপথ থেকে কিছুদূরে গিয়ে সাইকেল গিয়ে নামলো এবড়ো খেবড়ো এক মাটির সরু পথে। ইচ্ছা করেই আমরা ওমন একটি রোড বেছে নিয়েছিলাম যেন চেনা মানুষের চোখে না পড়ি। হা হা আমার এ লেখার পাঠকেরা নিশ্চয় ভাবছেন সেদিন ছিলো বাইকে পথ চলা আর আজ আবার শুরু হলো সাইকেলে চলা! এরপর কি জাহাজ উড়োজাহাজেও চড়বেন নাকি? হা হা সে যে যতই হাসুক না কেনো। আসলেই এই পথ চলা সে ট্রেনে হোক বাসে হোক আর বাইক সাইকেলেই হোক আমার চোখে গেঁথে থাকে সে সব দৃশ্য বহুদিন বা সারাজীবন! যেন নিমিষে বদলে যাওয়া এক একটি সেলুলয়েডের ফিতা। যখন সেই দিনটিকে মনে পড়ে আমার আমি হারিয়ে যাই সেই পথগুলির মায়ায় মায়ায়।

আর সত্যিই সেই সকাল সাড়ে আট বা নয় বা সাড়ে নয়টার দিকের ঐ হিম হিম ছায়া ঢাকা ঐ সরু পথটাতে কি যে মায়া ছিলো সে আমি কখনই বলে বা লিখেও বুঝাতে পারবোনা। সরু গলির দুপাশে একটু নীচে নেমে যাওয়া ঢালময় জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে ছিলো শত শত বাঁশগাছ। সেই চিরল চিরল পাতার লম্বা সুঠাম শরীরের বাঁশের গাছগুলো এক আশ্চর্য্য জলরঙ ছবির সৃষ্টি করেছিলো আমাদের চারপাশ জুড়ে। কোনো শিল্পী যদি সেদিন সেই ছবিটা আঁকতেন তবেই আঁকা হত আলো ছায়া ঢাকা ঝিকিমিকি এক সরু গ্রাম্য গলির পথ বেয়ে দুচাকার সাইকেলে ছুটে চলেছে কৈশোর পেরুনো দুটি ছেলে মেয়ে। আকাশী নীল জলছাপ কামিজ আর সাদা জর্জেটের ওড়না উড়ছে বাতাসে আর ছেলেটার গাঁয়ে সাদা মলিন শার্ট আর চারপাশ জুড়ে সবুজ সজীব বাঁশপাতার ব্যাকগ্রাউন্ড। পথের পরে মা মুরগী তার ছানাদের আগলে নিয়ে খুঁটে খুঁটে খাচ্ছিলো। হাসের দল প্যাক প্যাক করে চলছিলো দলবল নিয়ে। বাঁশপাতার ফাক ফোকড় গলে তাদের গায়ের উপর পড়ছিলো জাফরি কাটা নক্সার ঝিলমিলে রোদের আলো। মাঝে মাঝেই দেখা যা্চ্ছিলো মাটি বা খড়ের ছাউনীর ঘর, নিকানো উঠোন, উঠোনের দড়িতে মেলে দেওয়া শাড়ি কাপড় কাঁথা কানি। গরুকে খেতে দেওয়া হয় যে মাটির বড় একটা চাকার মত পাত্রে সেসব ঘিরে খাচ্ছিলো গৃহস্ত বাড়ির গরুগুলো। গরুগুলোের মাঝে কেউ কেউ ঐ সাত সকালেই খেয়ে দেয়ে টায়ার্ড হয়ে জাবর কাটছিলো পাশে বসেই। আমরা কোনো কথা বলছিলাম না। খোকাভাই চুপচাপ সাইকেল চালাচ্ছিলো আর আমি তখন কলেজ পালানো বিষম মনোযোগী ছাত্রী ঐ চারপাশের দৃশ্যে।

ঐ সরু পথে হেঁটে যাওয়া কিছু কিছু লোকজন ছেলেমেয়েরা আমাদেরকে দেখছিলো। কাঁধে বাক নিয়ে যাচ্ছিলো এক ভ্রাম্যমান দোকানী আর বিকট স্বরে হাঁকছিলো মাঠা নেবেন মাঠা! ঐ সরু মেঠোপথের পাশ দিয়ে বুকে বই খাতা ধরে হেঁটে যাচ্ছিলো স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। কেউ কেউ হা করে চেয়ে দেখছিলো আমাদেরকে হাঁটা থামিয়ে। আমি তখন সেই সব দিনে এমনই কাল্পনিক রুপকথার রাজ্যে বাস করতাম যে ঐ পথে যেতে যেতেই স্বপ্ন দেখছিলাম যে একদিন ঐ রকম একটা খড় বা মাটির নিকোনো উঠোনের বাড়িতে পালিয়ে আসবো আমি আর খোকাভাই। আমি ওমন টিউবওয়েল চেপে পানি তুলবো আর খোকাভাই খাওয়াবে গরু ছাগল আর গাধাদের। হা হা হা নাহ লিখতে গিয়েও আমার মাথার দুষ্টামী বুদ্ধি কন্ট্রোল হয়না। যাইহোক এমন সব স্বপ্ন বিভোর কল্পনায় কেটেছিলো আমার ঐ পথের সময়টুকু।

ঐ পথটুকু পেরিয়ে সাইকেল এসে পড়লো সেই এককালীন প্রমত্তা ভৈরব নদীর শুস্ক তীরে। ঐ তীরের অনেকটা দূরে জল চিকচিক করছিলো প্রায় শুকিয়ে আসা নদীটির জল টলটলে শুস্ক চোখ আর বড় অবহেলা আর আলস্যে সেই ক্ষীন নদীর তীরে ভীড়ে দাঁড়িয়েছিলো দু এক খানা ছোট ছোট নৌকা। খোকাভাই সেই শুস্ক নদী তীরে গজিয়ে ওঠা চা বিড়ি সিগারেটের ছোট ছোট টং ঘরের একটায় গিয়ে সাইকেল রেখে আসলো। তারপর আমার হাত ধরে বললো, চল... আমরা দুজন দুটি খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে যাওয়া পাখি হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাচ্ছিলাম শুস্ক বালিয়াড়ি ভেঙ্গে নদীটার ঐ জলের কাছে। ( জানিনা ঐ বালিগুলিকে বালিয়াড়ী বলে কিনা কিন্তু লিখতে ইচ্ছা হলো)
ওখানে বাঁধা ছিলো কয়েকটা নৌকা। মাঝিরা অবশ্য বসে বসে চা পান সিগারেট ফুকছিলো। খোকাভাই সোজা গিয়ে উঠলো একটাতে। বুঝাই গেলো আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো নৌকাটা। মাঝি হাতে বৈঠা ঠেলেই জিগাসা করলো। ওপারে জাবেন তো সারাদিনের জন্যি নাকি দুফরের মধ্যি ফেরবেন? খোকাভাই বললো বিকালে ফিরবো। আমি চমকালাম! ফিসফিস করে বললাম, খোকাভাই এত দেরী! মা যদি জেনে যায়! এত ফিস ফিস করে বলার পরেও মাঝিটা শুনে ফেলললো বোধ হয়। হো হো করে হেসে বললো,
বাড়িত্তে পলাইছো মনি? আমার রাগ লাগলো। বললাম পালাবো কেনো? আমরা এমনি বেড়াতে যাচ্ছি। মাঝি আর কথা বাড়ালো না-
কলৎ ছলৎ করে শব্দ উঠছিলো। আমাদের নৌকা ভেসে চললো শুস্ক ঢেউহীন ক্ষীন জলধারার এককালের সেই প্রমত্তা ভৈরবের বুকে।

(মাঝে মাঝে লিখতে বসলে আমি আর থামতেই পারিনা। ভেবেছিলাম এইবার বাইক ভ্রমন, সাইকেল ভ্রমন শেষে জাহাজ উড়োজাহাজ না হোক আমি নৌকা ভ্রমনের বর্ননা দেবো। এখন তাকিয়ে দেখি ইয়া বড় এক লেখা হয়ে গেলো। সবাই আমাকে পিটাবে নিশ্চয়। বলবে তোর না হয় কাজ করে করেও অকাজের সময় আছে... আমাদেরও কি আছে!!! থাক নেক্সট পর্বে লিখবো এই নৌকা ভ্রমন ও ওপারের সেই গ্রামের ঘটনা অবশ্য গ্রামের সব ঘটনা নাও লিখতে পারি। আমি তো জাঁতে মাতাল তালে ঠিক। :) তবে পরের পর্বের জন্য তোলা থাকলো সেই নৌভ্রমনের গল্প এবং সাথে বক্কুমিয়ার জীবনের ট্রাজেডীর গল্প)

মন্তব্য ১২৬ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (১২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


খোকা ভাই হইতে মন চায়, সত্যি সত্যি না কিন্তু, এমনি মজা লইলাম =p~ ! লেখার ধৈর্ঘ্য আর একটু ছোট হইলে সুবিধা হইতো আর কি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ছোট করেই তো দিলাম ভাইয়ু!!!!!!!! মানে আরও আরও লিখেই চলেছিলাম!!!!!!!

আর পুরো গল্প পড়লে কেউ কি খোকাভাই হতে চাবে!!!

আহারে খোকাভাই.....

অবশ্য সে হয়ত জীবনে আর কিছু না পেলেও দুইজন রমনীর ভালোবাসা পেয়েছিলো।

আর মানুষের জীবনে কতজনের ভালোবাসাই আসলে লাগে বলো!!!

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২২

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: খোকাভাই কি পারবে তার ভালোবাসা জয় করতে?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

অপ্‌সরা বলেছেন: খোকাভায়ের গল্প শেষ পর্যন্ত পড়ার আগেই মনে হয় সেটা বলা যায়।

আর একটা কথা ভাইয়া- ভালোবাসার জয় কাকে বলে?

আমার কাছে কোনো ভালোবাসাতেই পরাজয় নেই..... সব ভালোবাসাই আসলে জয়ী তা ক্ষনিকের হলেও।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

সোনালি কাবিন বলেছেন: কী তরতরিয়ে চেনা জীবনের গল্প এগিয়ে চলছে। +++

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: হুম বুঝা যাচ্ছে খোকাভাই আসলে আমাদের সকলের জীবনেই থাকে নানা ভাবেই। :)

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রতিটা পর্বেই এমন একটা সাস্পেন্স রেখে পর্ব শেষ হয় যেখানে পাঠক মোহগ্রস্ত হয়ে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকে - এখানেই গল্পকারের গল্প লেখার ক্যারিস্মা!+

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: না ভাইয়া!!!!!!!!!

আসলে লিখতে লিখতে নিজেই চলে যায় খোকাভাই আর নীরুদের বাড়িতে আর মনেই থাকেনা আমি চেয়ারে সোফায় নাকি বিছানায় বসে আছি ল্যাপটপ নিয়ে।

যখন মনে পড়ে, তখনই তাড়াতাড়ি থামি।

আর সাসপেন্স হয়ে যায়!!!


আমার কোনো দোষ নেই ভাইয়ু!!!!!!

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৮

একলব্য২১ বলেছেন: নতুন পর্ব ছাপছে! দেখেই আনন্দ লাগলো। জানি পড়ার সময়টা দারুণ কাটবে। এখন ব্যস্ত। সময় করে আরামসে পড়বো। এখন শুধু লাইক দিয়ে গেলাম। :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আগেই বলেছি এবং বারবার বলছি এই লেখা শুধু দুজনের জন্য। তুমি আর মিররমনি!!!


অন্যান্যরা দুধ ভাত!!!

এখন অবশ্য মনিরা আপুনি আর ছবি আপুনি তাদের জন্যও লিখছি......

সাথে আছে আমার প্রিয় তিতা করোলা ভাইয়ু চুয়াত্তর ভাইয়ু! :)


আর সবচেয়ে একটা মজার ঘটনা হলো আমার জেরীমনি। এখন আর জেরীমনি লিখে না এই ব্লগে। কিন্তু আমার লেখা পড়ে আমাকে এমন একটা ইনবক্স দিয়েছে যে আমি এখন থেকে তার জন্য আর বাকী সকল লেখা উৎসর্গ করলাম। :)

লাভ ইউ অল!!!!!!!!

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপরাধের বিচার ঐ দিনই করা উচিত ছিল। কারণ বলা হয়ে থাকে যে Justice delayed is justice denied.।

সেজো চাচুকে মানবিক গুণাবলী সম্বলিত মানুষ মনে হচ্ছে। হঠাৎ এত ভালো ব্যবহারের রহস্যটা বুঝলাম না।

ফনিক্স সাইকেল তখন কিশোরদের একটা স্বপ্ন। অরিজিনাল ফনিক্স সাইকেলের দাম বেশী ছিল আর সব জায়গায় পাওয়া যেত না। শব্দটা যদিও ফিনিক্স হবে কিন্তু ফনিক্সই বলা হত। তবে নীল রঙের ফনিক্স সাইকেল দেখিনি।

আদিখ্যেতা শব্দটা পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত হয় বলে জেনেছি। বাংলাদেশের মানুষও আদিখ্যেতা বলে এটা জানা ছিল না।

সন্তানের ব্যাপারে মায়েদের পর্যবেক্ষণ সাধারণত সঠিক হয়। নায়িকার ব্যাপারে তার মা ঠিক কথাই বলেন মনে হচ্ছে।

সাইকেলে চড়ে আপনারা গেয়েছিলেন 'এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হত তুমি বল তো। উত্তরে নায়িকা লাজুক গলায় বলতে 'তুমিই বল'। সাইকেলের সামনে বসলে চালাতে সুবিধা হয়।

উত্তরার দিয়াবারি এলাকাতে এই ভাবে প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য নৌকা ভাড়া দিয়ে দেয়া হয়। এই নৌকায় অবশ্য ছই থাকে যেন ভিতরের কিছু না দেখা যায়।

তের দিনে খোকা ভাই কোন একটা আকাজে জড়িত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা হা সত্যিই হাসতে হাসতে আবার বসলাম। উঠে যাচ্ছিলাম। আজ আমাদের শরতের কাঁশবন ফটোশ্যুট ছিলো। কিন্তু আকাশ হঠাৎ মেঘলা রাগে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে। শয়তান আকাশ!!!!!!!!!!!

যাইহোক অপরাধের বিচার সেদিন করবে কিভাবে হঠাৎ তো বিপদ ঘটে গেলো। জানো আমার এমন অনেক হয়েছে মনে মনে আল্লাহকে ডেকেছি আর আল্লাহ সে সব আমার প্রার্থনা শোনেনি এমন কখনই হয়নি। কিন্তু আমার সেই ডাকাডাকিতে যে আল্লাহ বিরক্ত হয়েছেন তা বুঝেছি সেই প্রার্থনা ঠিকই পূরণ হয়েছে কিন্তু তার সাথে সাথে কিছু শিক্ষা দীক্ষাও দিয়ে। তুমি ধার্মিক মানুষ এই কথা শুনে আবার রাগ করো না। সত্যিই আমার মনে হয়েছে জোর করে কিছু চাইতে নেই।


যাইহোক এটা অবশ্য আমার কথা বললাম আর লিখেছি নীরুর গল্প আমার মন দিয়ে তো তাই এমন হলো।

হ্যাঁ সেজোচাচু ওমনই মানুষ বটে তবে ওমন আচরনের রহস্য কখনও সে না বললেও পরে আমি ঠিকই বুঝেছি। তোমাদেরকেও বুঝাবো :)

নীল রঙ্গেরই হয় না!! হা হা :P তাইলে লাল পড়ো! উফফফ তুমি এত মনোযোগী কেনো!!!!!!! তোমার এস এস সি আর এইচ এস সি এর রেজাল্ট বলো তো ক্যাডেট ভাইয়া। খবরদার মিছা কথা বলবা না!!!!!!!!!!

আদিখ্যেতা আমার মা বলতো, আমার নানীও আমার দাদীও আমার চোদ্দ গুষ্ঠিই বলে সেটাই নীরুর মায়ের মুখে দিয়ে দিলাম। তবে হ্যাঁ লোকে আমাকে শান্তি নিকেতনীও বলে ..... কারণ সেদিকেই আমার আবাস নিবাস তো!! :)

যাইহোক মায়েরা হয় সবচেয়ে বড় ভবিষ্যৎ বিশ্লেষক! :)
নানা না সাইকেলে চড়ে আমরা ওপস নীরুরা মটর সাইকেল গাইবেক কেনে!!!!!!!!!! রে!!!!!!!!!!


না না ঐ নৌকার ছই এর বালাই ছিলো না।

ডাইরেক্ট আকাশ বাতাস জল ছিলো মানে পঞ্চভূত’ মানে আকাসা, বায়াসা, তেজাসা, জলা ও পৃথ্বীয়া হা হা নিজে নিজে নামাকরণ করিলাম। :P


হুম ঐ তেরো দিনই তাকে তেরোটা বাঁজিয়েছিলো!!!!!!!! তাহা বটে ......

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়ি নি। আমি আজকাল ফাঁকিবাজ হয়ে গেছি সত্যি বলতে কি সময় বের করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
চাকরি টিউশনি এসব না থাকলে দারুণ মজা হতো। :(

সময় নিয়ে প্রথম থেকে পড়ে মন্তব্য করবো একে একে।

শুভকামনা রইলো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২

অপ্‌সরা বলেছেন: নো ফাঁকিবাজি!!!

যাও এখুনি সববববববব পড়ে আসো ভাইয়ু!!!!!!!! :)

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ কারও দোয়া কবুল করেছে মানে সে আল্লাহকে চিনতে পেড়েছে। এই কারণেই আল্লাহ তার আন্তরিক দোয়া কবুল করেন। জোর করে কিছু চাইতে নেই এই কথাটা ঠিক। এই কারণেই আল্লাহ যেটা ভালো সেটা কবুল করেন। ফনিক্স সাইকেল কালো ছাড়া দেখিনি। তবে লাল, নীল ছিল না এটা হলপ করে বলতে পাড়ছি না।

আমার চেয়ে অনেক অনেক ভালো ফলাফল করা মেধাবী ছেলে ছিল আমাদের ব্যাচে। যশোর বোর্ডে প্রথম স্থান সহ ১০ জন স্ট্যান্ড করে এস এস সিতে আমাদের ব্যাচে। এইচ এস সিতে ১ম স্থান সহ ১২ জন স্ট্যান্ড করে। আমি একদম শুরুতে (কলেজের ভর্তি পরীক্ষায়) ব্যাচে প্রথম ছিলাম। পরে ধীরে ধীরে আমার অবস্থান চলে যায় বা ১৩ বা ১৪ তম অবস্থানে। নিজের এস এস সি আর এইচ এস সির ফলাফল ব্লগে বলাটা কি ঠিক হবে। তবে আমি স্ট্যান্ড করিনি। এস এস সিতে কাছাকাছি ছিলাম। এইচ এস সিতে এস এস সির চেয়ে মার্ক বেশী পেলেও দূরত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ এইচ এস সিতে একটা ঐচ্ছিক পেপারের মার্ক যোগ হয়। তবে অনেকে আমার চেয়ে অনেক ভালো করেছে। ওরা অনেক মেধাবী ছিল। আমি গড়পড়তা ছাত্র ছিলাম। বেশী পড়াশুনা করতে ভালো লাগতো না। গল্পের বই পড়তে ভালো লাগতো। রাত জেগে পড়তে পাড়তাম না। আমি আবার ঘুম কাতুরে। :)

সাইকেলে পিছনে বসলে দুই পাশে পা দিয়ে বসা ভালো। ঐ সময় অবশ্য মেয়েরা এক পাশে পা দিয়ে বসত। কিন্তু এখন বাইকে মেয়েরা দুই পাশে পা দিয়ে বসে। এটা নিরাপদ। অনেক অনেক আগের ঘটনা আমার ফুফু বাইকে বসতে নিয়েছে এই সময় আবার বাবা মটর সাইকেল চালিয়ে দেয়। আমার ফুফু মাটিতে পড়ে যায়। ১০০ গজ যাওয়ার পরে আমার বাবার হুশ হয় যে পিছনে আমার ফুফু নাই। পরে আবার ফিরে আসতে হয় আমার ফুফুর জন্য। :)

আমার বড় ফুফুরা থাকতেন যশোরে। আমার ফুফা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। ওনারা শান্তিনিকেতনী ভাষায় কথা বলতেন।

ঐ সময় নায়িকা আর নায়ক গেয়েছিল ' চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে উইরা উইরা '

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: না ভাইয়া সেটা কালো না। নীলই ছিলো। :( যাকগে ফনিক্স হোক বা বনিক্স হোক যা ইচ্ছে তাই হোক কোনোদিন আর কোথাও প্রকাশ করলে রঙ্গের ব্যপারটা ডিলিটিং করে দেবো। নয়ত কালো বানায় দেবো। থ্যাংকু!!!! এই উপকারের জন্য।

গুড!! ভাগ্যিস স্ট্যান্ড করোনি!!!!!!!!!!! তাইলে আর আমার গল্প লিখতে হত না। তারিখ বছর সহ ইতিহাসই লিখতে হত!! :)

আহারে বেচারা ফুপুটা! :(

যাইহোক হ্যাঁ নীরুদের আমলে কেউ কখনও দু পা দুদিকে দিয়ে বসেনি! আমার মা তো কেমনে হাঁটবো কেমনে বসবো আর কেমনে হাসবো বা কাঁদবো এসব প্রশিক্ষনেও সিদ্ধ হস্ত ছিলেন। আমার মা যদি আজকালকার ঐ যে মেয়েদেরকে নাচে গানে চলনে বলনে ট্রেইনিং দেয় না সেই জব পেলে এক্সসেলন্টো হতেন!!!!!!!!!! :)

আমি শান্তি নিকেতনে ছিলাম না তবে মানুষের কাছে জীবনে বহুবার শুনেছি আমি নাকি শান্তিনিকেতনী স্টাইলে কথা বলি। ভাইয়া আমি মোটেও শান্তি নিকেতনী স্টাইলে কথা বলি না। আমার কবিতা শুনেছো না বলো? কিন্তু হ্যাঁ যশোরের ভাষা অনেকটাই শুদ্ধ তাই ওমন লাগে।

না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! জীবনেও ঐ গান গাইনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! কিন্তু ঐ গান শুনে হাসতে হাসতে শেষ হয়েছি বহুবার!!!!!!


মিররমনি আসুক সে পারবে..... তুমি পারবে না আগেই জানতাম।

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা ছিল যে আপনি পড়াশুনা করতে শান্তি নিকেতন গিয়েছিলেন। তবে আপনি মনে হয় ছায়ানটের সাথে জড়িত আছেন বা ছিলেন।

আমরা যে চলতি ভাষা বলি সেটার ভিত্তি হল নদিয়া জেলার ভাষা। ভাষাবিদরা নদিয়া জেলার ভাষাকে মান হিসাবে নিয়েছেন। কুষ্টিয়া এক সময় নদিয়া জেলার অংশ ছিল। যশোর ছিল কি না জানি না। যশোর, নরাইল, ঝিনাইদার মানুষের ভাষা ভালো লাগে। খুলনার মানুষের ভাষাও ভালো লাগে। আমার এক ফুফার বাড়ি কুষ্টিয়া। ওনারা এত বিশুদ্ধ বাংলায় কথা বলে। আমাদের ওনাদের সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগে। ওখানকার গ্রামের মানুষের ভাষাও অনেক বিশুদ্ধ।

আমার গান হয়নি। এরপর মিরোরডডল যে গানের লাইন বলবে আপনি সেটাতেই সায় দিবেন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: শান্তি নিকেতনে ছিলাম না মানে শান্তি নিকেতনে আমার বাড়ি ছিলো না যে সে ভাষায় আমি কথা বলবো আমি বুড়াকালে কিছুদিন ছিলাম সেই সময়টুকু শান্তি নিকেতনী ভাষায় কথা শেখা সম্ভব না। আমি আমার ভাষাতেই কথা বলিতাম।

ভাইয়া কুষ্টিয়ার ভাষা থেকে মনে হয় যশোরের ভাষা ভালো তবে কুষ্টিয়া সম্পর্কে আমার অনেক ভালো এবং স্মৃতিময় ঘটনা আছে......

মাঝে মাঝেই ভাবি আমি এই টুকু জীবনে এত খানে কি করে গিয়েছিলাম !!! সেই ঘটনাগুলিই এক একটি এক এক গল্প...... সবারই ওমন থাকে......


না না আমি নিশ্চিৎ মিররমনি পারবে!!!!!!!!! তুমি তো গানে লাড্ডু গড্ডু বুঝাই যাচ্ছে। পালা দিতে এসেছো আর কি ......

তবে মনে রেখো রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে কোনো পা্ল্লাতেই তুমি জিতিবেক না......

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়ি নাই, তারপরেও তোমারে আপন মনে করে একটা লাইক দিলাম। তবে এটা আমার রিডিং লিস্টে আছে। সব পর্ব দেয়া হলে পড়বো।

এখন মিলিয়ন পাউন্ডের প্রশ্ন হলো, এই জিনিস শেষ হবে কবে? :-B

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ২০ পর্বে !! সব লেখায় ২০ পর্বে শেষ হয়। :)

ভাইয়া লিস্টে রাখো নইলে তো চকলেট পাবো না!!! :(

ওহ আরেকটা কথা তুমি আপন মনে করে লাইক দিলে একজন তো শত্রু মনে করে আমাকে রোজ লাইক দেয়। তার এক একটা লাইক আমার কাছে কাল নাগের ছোবল মনে হয় হা হা হা ........ :P

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: চমৎকার লাগলো, গল্পের মধ্যে হারিয়ে গেছিলাম নীল টুকটুকে সাইকেল, নদী, নৌকা, খোকা ভাই, বক্কু ভাই, মা, চাচী, চাচা, দাদু সবকিছু যেন চোখের সামনে ভাসছে। অনেকদিন পর একটা বড় গল্প পড়লাম, ভালো লাগলো, অনেক ভালো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া অনেক অনেক থ্যাংকস আর ভালোবাসা। তোমার নামের সাথে আমাদের মডু ভাইয়ার নামের মিল আছে তাই মাঝে মাঝেই ভাবি তুমি তার চাচাত মামাত ভাই কিনা।

যাইহোক অনেক অনেক থ্যাংকস আমার লেখা এত মন দিয়ে পড়ার জন্য!!

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাপের ছোবল আমিও খাই মাঝে মধ্যে। তবে আমি পোষ্ট খুবই কম দেয়াতে রক্ষা, বেশী দিলে তো এতোদিনে পটল তুলতাম!!!!! :-B

চকলেট আমার জন্য এখন একটা টেনশানেরই বিষয়। আমার অতি অতি প্রিয় এবং সবচাইতে ছোট ভাগ্নী; রিসেন্টলী ডাক্তার হয়েছে। তারও একই দাবী........আমার পাঠানো চকলেট বহুদিন ধরে খাচ্ছে না। তবে এখন দেশে যাওয়ার মতো লোক পাওয়া যায় না। এখানে বেশীরভাগ লোকজনের হালুয়া মোটামুটিভাবে টাইট। ফ্লাইটের দাম বেড়ে গিয়েছে অনেক। যারাও বা যায়, অনেকদিন পর পর যায়। লোকজনের মাল গছিয়ে দেয়ার ভয়ে কাউকে না জানিয়ে চলে যায় ফাজিলগুলো।

অবশ্য ওদের দোষও দেয়া যায় না। অনেকদিন পর পর যাওয়াতে ওজনের যতোটুুকু এলাউয়েন্স পায়, সেটা তাদের নিজেদের জন্যই কম হয়ে যায়। দেখি, আমি যখন আসবো, নিয়ে আসবো। তবে আমি কবে আসবো.......সেটা হলো বিলিয়ন পাউন্ডের প্রশ্ন। =p~

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

অপ্‌সরা বলেছেন: আমিও ঢেড়স আলু পুইশাক টমেটো তুলবো নাকি!!!!!!!!!


যাইহোক আমিও তোমার প্রিয় তাইনা?? ছোট ভাগ্নীটার চাইতে একটু কম হলেও তাই আমারও দাবী!!!!!!

যাইহোক হালুয়া টাইটদেরকে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিও শবে বরাতের আগে আগে আমরাও বুটের, সুজির গাজরের, চালকুমড়ার পেপের সকল রকম হালুা পাঠায় দেবো তোমাদের জন্য!!! :)

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সে কোন বনের হরিণী ছিল খোকার মনে
হাওয়ার বেগে সাইকেলে সে উড়লো পরীর সনে!!! :)

বর্ণনাগুলোতে খুব কাছের জিনিসগুলোও উঠে এসেছে, যেমন হাঁসের চলাচল, মুরগির চলাচল, লোকজনের তাকিয়ে থাকা, ইত্যাদি।

ঢেউ উঠছে সাগরে রে (এখানে নদীতে হবে)
এ গানটা শুনেছেন নাকি? মাঝি কি এখন এ গানটা ধরবেন? নাকি খোকা ভাই গাইবে?

শুধু এ পর্বটাই পড়লাম, আজ একটু ফ্রি ছিলাম। ভালো লিখেছেন।

শুভেচ্ছা খোকা ভাইকে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা গানটা বড়ই সৌন্দর্য্য হয়েছে ভাইয়া।
সত্যিই কিন্তু এমন মেঠোপথই দেখেছি আমি ভাইয়া!
না না মাঝি কোনো গান ধরেনি বরং নীরুর মনেই জেগেছিলো একখানা গানা।

অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়ু!! :)

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫

একলব্য২১ বলেছেন: মিরোরডল তো পারবেই। দেখি আমি পারি কিনা।

এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?

view this link

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আরে না!!!!!!!!!!!!

এটা তো বাইকের মানে মটর সাইকেল গান!!!

আর নীরুরা তো সাইকেলে যাচ্ছিলো!!!!!!!!

১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কামাল৮০ বলেছেন: আমার মনে হয় একলব্যর কথাই ঠিক।বড় লেখকদের এইটা একটা গুন,পড়তে পড়তে সবকিছু স্পষ্ট ছবির মতো মনে হয়।পড়ার সময় কতকিছু লিখবো মনে হয়ে ছিলো লিখতে বসে দেখি সব ভুলে বসে আছি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২

অপ্‌সরা বলেছেন: আহারে ভাইয়া আমাকে বড় লেখক বলো না!!!!!!! আমি হলাম আমার নিজের লেখারই বড় পাঠক হা হা। লিখি আর পড়ি আর হাসি আর চোখের জলেও ভাসি......

তোমার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।

তুমি বলেছিলে তোমার আগের নিক ব্যানের সাথে আমিও নাকি সহমত ছিলাম।

কিন্তু দেখো সেই কথা তুমি মনে রাখোনি বরং বলেওছো আমাকে।

এই নিকে কোনোই ভুল নেই আর।

এমনই হয় বেশিভাগ সময় প্রিয় মানুষ অপ্রিয় হয়ে যায় কিন্তু তুমি হয়েছো প্রিয়।

আমার এই লেখার প্রিয় পাঠক।

লেখার পর তোমাকে আমি খুঁজি ভাইয়া। :)

১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এবারে গল্পটা অনেকদূর এগলো, বেশ বড় ছিলো পোস্টটা।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৪

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া লিখতে গেলে তো থামতেই পারিনা।

মনে হচ্ছে আমাকে চাকরি বাকরি গানা বাজনা সব ছেড়ে শেষে সারাদিন লিখতেই হবে। হা হা কেউ পড়ুক না পড়ুক তবুও আমার লেখা আমি নিজেই পড়বো তবুও লিখবো । :P

১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

একলব্য২১ বলেছেন: পর্ব ৮, মন্তব্য ও প্রতি উওর সব পড়লাম।

তারমানে আমার গান তো মিললো না। দেখি মিরোরডল পারে কি না।

তোমার লেখার বর্ণনা পড়ে মনে হলো সব কিছু চাক্ষুষ দেখলাম।

কোথায় জানি তুমি লিখেছিলে তুমিও খুব মাংসাশী। আসলেই ......কেন জানি আমার বিশ্বাস হয় না। শাক সবজি অন্য কিছু মুখে রোচে না। হা হা

আবারও আসছি কিছুক্ষণ বাদে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা না মিললো না .....

সেই আলো ছায়ার ঝিরি ঝিরি চিরল পাতার ফাকে রোদের খেলার নক্সা ছিলো......

তার মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া মেঠো পথের মত এক পথ ছিলো।

আর সেই সরু পথখানি ধরে হারিয়ে যাচ্ছিলো অজানায় দুটি মানব মানবী

তখন তার পরানে কি গান বাজিছিলো :)

নিশ্চয় তাহা মিরর জানে.....

১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঐ গানটারে তো আমি বলেছি - ধরতে পারেন নাই ? :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: কোন গানটা বললে!!!!!!!!

কিছুই তো বলোনি!!!!!!!! আচ্ছা দাঁড়াও আবার দেখি তো ধরতে পারি কিনা!!!!!!!!

১৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২

শেরজা তপন বলেছেন: চোখ টুকটুকে লাল হয়ে আছে- পরে পড়ব বলে তোলা রেখেও লেখাটা পড়েই ফেললাম।
আর আজকেই লিখেছেন সবচেয়ে বড় পর্ব খানা!!!

বক্কু মিয়ার জন্য মন খারাপ হোল! সাইলে ভ্রমনের বর্ণনায় দশে দশ। 'টায়ার্ড' শব্দটা ওখানে রস ভঙ্গ করে :)
কি প্রেম মাইরি! আফসুস আমাদের এরকম বনের হরিণ মনেওয়ালা কোন নারী পেলাম না :(

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া চোখ লাল হবার ভয়েই আমি শেষ।

আমাদের ড্রাইভার পিচকাটার হয়েছে। ঐ স্টিয়ারিং আমি আর এক মাসের আগে ধরছিনা বাবা!


যাইহোক আমি তো লিখতে লিখতে থামতেই পারছিলাম না। :(

কি করবো!! :(

যাইহোক শেষে লেখা পোস্ট করে শপিং এ গেলাম। পূজার শপিং দেখতে। দেখতে গিয়ে দুইটা শাড়ি কিনে ফেললাম।

শাড়ি কিনতে গিয়ে আর একটু হলে বিপ্লব সাহার সাথে ঝগড়া লাগাই দিতাম।

ছবির মডেলের যেই ব্লাউজ সেটা শাড়ির সাথে নেই!

আমি বললাম মেয়েটাকে ধোকা দিলে কেনো!!!!!! আমি জানিনা যেখান থেকে পারো এনে দাও।

মেয়েটা গিয়ে বললো দাদা ম্যাডাম অনেক রাগ করছে। ব্লাউস অন্যরকম বলে।

দাদা বললেন, ঠিকই তো রাগই তো করার কথা। কারখানা থেকে এক গজ কাপড় এনে দিয়ে দাও ....... আমি খুশি!!!!!!!!!!!!

যাইহোক বক্কু মিয়ার জন্য আমারও মন খারাপ হয় ভাইয়া। :(
ওমন অনেক কিছুর জন্যই অবশ্য হয়। কিন্তু ফেরানো যায় না অনেক কিছুই জীবনের।

২০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩২

অপ্‌সরা বলেছেন: না না না না না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

সাইকেল মাইকেলের সাথে সেই গানের কোনো সম্পর্ক নেই!!!!!!!!!!!!!!

সেটা মনের গানা ..... মন চায় যাহা তাহার গানা হা হা হা

২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি কোনটা গাইতেন সেটা বলেন। এই গান আমাদের শৈশবের গান :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আরে গাইনি ঐ গান ভাইয়ু!!!!!!!!! সেটা আমি শুনতাম। আগের দিনের ক্যাসেটে...... লতা মঙ্গেস করের গান!!!!!!!!!!!! হা হা নাহ আর বলবো না। মিররমনির জন্য থাকুক ধাঁধাখানা!!!!!!!!! :)

২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬

একলব্য২১ বলেছেন: বিপ্লব সাহার কি গুলশানে আউটলেট আছে। একবার টিভিতে উনার ইন্টার্ভিউ দেখেছিলাম। উনার সাথেও খাতির আছে তোমার। হা হা...

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫০

অপ্‌সরা বলেছেন: গুলশান মানে আজকে দাদাভাই যমুনায় ছিলেন।

আজ তাদের পুজোর দাদা দিদির অডিশন চলছিলো।

কিন্তু আমি গেছিলাম শাড়ি কিনতে অনলাইনে ছবি দেখে। গিয়ে দেখি অন্যরকম ব্লাউস পিস । তাই আমার রাগ লাগলো!! এসব ধোকা কেনো!!

তাই তাড়াতাড়ি আমার রাগ কমালো ভাইয়া দাদাজান! :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: ওহ আমার মত উড়নচন্ডি গুড কাস্টোমার আরও আছেন যাদের রাগ না দূর করলে তাদের দোকান চলবে কেমনে!!! তাই আমাদেরকে উনারা ভালোবাসেন। :)

২৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিন্তু এ গানে সাইকেল পাইলাম নাহ :) একটা সাইকেল কি বসিয়ে দিব? :)





এটা শোনেন :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: ইয়েস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! তুমিই পেরে গেছো!!!!!!!!!!

ঠিক এই গানটাই আমার প্রিয়!!!!!!!!!!!

আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো

হারিয়ে যাবো আমি খোকা বোকার সাথে!!!!!! :P

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া তোমার গানে সাইকেল নেই বটে তবে ওরা হলার বা টেম্পো টাইপ কিছু একটায় উঠেছে হারিয়ে যাবার জন্য!!!!!!

২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

আপনি এ গল্প লিখবেন, আগে যদি বলতেন, আমি ওখানে সাইকেল চড়াইয়া দিতাম ওদেরকে :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া!!!
ঘোড়ার গাড়িতেও ওদেরকে চড়িয়ে আনতে পারি। মানে খোকাভাইদেরকে। নৌকা ছেরে ঘোড়ার ঘাড়ি, হাতির পিঠে। উটের পিঠে উঠানোর জন্য মরুভূমিতেও পাঠাতে পারি।

২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২

শার্দূল ২২ বলেছেন: বারিধারার বিলাষ বাড়ির ছাদে বসে মেঠো পথের মাঠা বিক্রেতার হাক ভাবনা মন্দনা। তোমরা লেখকরাই যেন কেমন, থাকো কই আর ভাবো কি নিয়ে। বাস করতে দিলে উল্টো দৌড় দিবা। এই আমাদের দেখো জীবনের সব স্তরে উঠা নামা মেনে নেয়া সুখ পাওয়া এই আমরাই জানি।

বক্কর মিয়ার বোকা বোকা চেহারা কি শেষমেশ খোকা ভাইকে ধোকা দিয়ে বোরকা পরিয়ে নায়িকাকে নিয়ে পালায়নিতো? হলে মন্দ হতোনা, দেখোনা নাটকের গতি বদলিয়ে বককরের গলায় ঝুলিয়ে দেয়া যায় কিনা।

হাহাহাহা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: ঐ শার্দূল এহ রে!!!!!!!

নিরুপমা সব জানে!

সে ঐ মেঠো পথ না দেখলে লিখলো কেমন করে!!!

তুমি বলো!!!


কল্পনার গরু আকাশে ওড়ে .... এই খানে কোথাও কি গরুকে আকাশে উড়িয়েছি!!!!


না না বক্কর মিয়ার সাথে মরে গেলেও আমি নীরুকে বিয়ে প্রেম কোনোটাই করতে দেবোনা।

আমি যা বলবো নীরু তো তাই শুনবে।

আমি হইলাম নীরুর আসল মা! :)

তোমার মনে হচ্ছে আজকাল কাজ কাম কম পড়েছে।

তুমি ঘরের খেয়ে সামুর মোষ তাড়াতে এসেছো!!!!

হঠাৎ কাজ কমলো কি করে !!!!!!!!!

২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮

একলব্য২১ বলেছেন: নীরু আর খোকাভায়ের মধ্যে এ রকম কথা হতো যে আমাদের ছেলেমেয়ে হলে আমরা এই নাম রাখবো ঔ নাম রাখবো।

একজন মহিলা মনস্তত্ত্ববিদের কথা শুনেছিলাম নাকি পড়েছিলাম যে প্রেমে পড়লে প্রেমিক প্রেমিকা এই জাতীয় কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক।

আসলে নিরু আর খোকাভায়ের প্রেমের গভীরতা মাপতে চাচ্ছিলাম এই প্রশ্নের মাধ্যমে। কতটা প্রেম আর কতটা হরমোনের তাড়না। :P

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

অপ্‌সরা বলেছেন: না হত না....... হা হা খোকাভাই তো খুবই ইন্ট্রোভার্ট চুপচাপ গুটিয়ে রাখা মানুষ।

ওকে ঠিক আছে মনে রাখবো তোমার কথাটা। কতটা প্রেম বা কতটা হরমোনের তাড়না বা কতটা মায়া কিংবা মমতা বা নিজের একছত্র অধিকারে পাওয়া মানুষ ছিলো নীরুর কাছে খোকাভাই বা খোকাভায়ের নীরুর কাছে আত্ম সমর্পণ সেসব নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো ....... তবে আপাতত ৯ পর্বে আসছে নৌকা ভ্রমন ..... হা হা হা বলাও যায় না এইভাবে আমি তাদেরকে প্লেন রকেটে ভ্রমন করায় ফেলতে পারি! হা হা হা

২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময় সুযোগ হলে পড়ে নেবো।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩১

অপ্‌সরা বলেছেন: হায় হায় সময় সুযোগ নাই কেনো!!! :||

এই টুকু লেখা পড়তে সময় লাগে!!!

২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৪

শার্দূল ২২ বলেছেন: হুম ধরতে পেরেছো আমার হাতে যে সময় আছে, কারণ আমি একটা কাজে অন্য একটা ষ্ট্যাটে আসছি, তো এখানের কাজ গুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ে হয়। এরপর বাকি সময় হোটেলে ফিরে আসি, আর তখনি সামুতে আসি। ভালোই লাগছে, নিজেকে সেই ২০১০/১২/১৩ এর সময়ে নিয়ে গেছি,

আর তোমাকে আজ দুইদিন দেখছি টানা অনলাইন, তোমার হাতে এত সময় কিভাবে আসলো? নাচা গানা খানা উঠনা পরনা এসব নাই? অথবা বাচ্চা কাচ্চা?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: আমার তো দুদিন ছুটিই!!

সবই আছে তবে নতুন সিরিজ লেখার কারণে এইখানে বেশি বেশি আছি। :)


২৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৫

অন্তরন্তর বলেছেন: তোমার পোস্ট পড়িনি তাই সরি। আগের সবগুলো পর্ব পড়তে হবে তারপর মন্তব্য করব। বল কেন আমায় মেডেল দিতে চাচ্ছ বলেছিলে জি এস ভাইয়ের পোস্টে?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

অপ্‌সরা বলেছেন: নো প্রবলেম ভাইয়া।

পোস্ট না পড়লেও স্যরি বলতে হবে না।

মেডেল দিতে চাচ্ছিলাম কারণ তুমি কারেক্ট আনসার দিয়েছো।

৩০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৭

অন্তরন্তর বলেছেন: শার্দুল @ আপনার কাছে আমার মেইল আইডি আছে আশা করি। না থাকলে বলবেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অপ্‌সরা বলেছেন: শার্দূলকে দিলে আর আমরাও পেয়ে গেলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে তোমার মেইল আইডি আমার কাছেও ছিলো। :)

৩১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৩

শার্দূল ২২ বলেছেন: @অন্তরন্তর নাহ আমার কাছে নেই, আবার একটু দিবেন প্লিজ? যেহেতু আপনার আমার দুজনেরি পোষ্ট নাই তাই আসুন শায়মার পোষ্টের ১২ টা বাজায় দেই। এই পোষ্ট হোক আমাদের চ্যাট এপস ।

শায়মা ঘুমায় গেছে মনে হয়। পানি মেরে উঠায় দেন । হাহাহা

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: আমার পোস্ট তো রোজ না হলেও দু একদিন পর পর আসবে। চ্যাট এপস বদলাই যাবে বনের রাজা ভাই......


আমি যখন ঘুমাই পানি মারো আর বান মারো মরে গেলেও উঠি না। ৫ টু ৬ আওয়ারস ঘুম...... :)

৩২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৭

অন্তরন্তর বলেছেন: শায়মা সেই আগের মতই আছে বাঘ মামা। ব্লগের প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই শায়মা একই ভাবে ব্লগিং করে যাচ্ছে। আমার ইমেইল আইডি [email protected] । প্লিজ ইমেইল করবেন। এখানে ১২ টা বাজায় দেয়া যায় যেহেতু শায়মার পোস্ট। এখন মনে হয় শিক্ষিকা ঘুমিয়ে পড়েছে তাই পানি মেরেও কাজ হবে না।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি কেমন থাকবো ১০ বছর পরে তাহা ব্যাঘ্রমামা ১০ বছর আগেই বলে গেছিলো......

পান খাবো পড়া দাঁতে আর নাকি খুনখুনে হাতে লিখবো......

হি হি আমি এখনও পান খাইনা আর আমার হাত তরতাজা সজীব...... হি হি হি

হ্যাঁ ঘুমিয়ে গেছিলাম ভাইয়া।

হা হা আর তুমি ঠিকই জানো....... কোনো কিছুতেই কাজ হবে না .....

৩৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি একটা জিনিস ইদানিং খেয়াল করেছি আজকাল খোকাভাইকে আমার বড় ভাবলেশহীন লাগে।

আমার কাছে শুরু থেকে খোকাকে ভাবলেশহীনই মনে হয়েছে ।
তার সেরকম কোন প্রতিক্রিয়া কখনোই দেখানো হয়নি ।
এক্সপ্রেশনহীন একজন মানুষ ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ খোকাভাই তো ওমনই।

ও বাড়িতে পরাশ্রিত থাকার জন্য বা ওমন একটা পরিস্থিতির জন্য নিজের ভবিষ্যৎ ও বর্তমান নিয়ে আশা হারানো মানুষ ছিলো।

গিভ আপ টেন্ডেসী।


নিরুপমার মায়া বা ভালোবাসাটা ছিলো আসলে হয়ত সেখানেই। আর খোকাভাই জানার পরেও একটা আস্ত হোপলেস আর কি :P

৩৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




সাধে কি আমাকে মা বলতো আমি নাকি শয়তানীতে একাই দুইশো ছিলাম। সেই আমি এখন কত্ত ভালো হয়ে গেছি তাই না?

হুম অবশ্যই ! আগে দুইশো ছিলো, এখন একাই এক হাজার :)

নীরু বুক্কুকে বুলিং করেছে ।

নাহতো ! ধাঁধার এই গান জানিনা আপু ।
যাক অন্য একজন সঠিক উত্তর দিয়েছে ।

কিশোর কিশোরীর সাইকেলে চলার অংশটুকু সুন্দর লিখেছো ।
মনোযোগী ছাত্রীর দৃশ্যের বর্ণনা ভালো লেগেছে ।


২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হায় হায় একাই এক হাজার বানায় দিলে!!!!!!!!!!!!!

আমি এখন কত্ত ভালো!!!!!!!!!!!!! :)


যাইহোক শুধু বুলিং? আরও তার কেমনে তেরোটা বাজাই দিয়েছিলো সেটাও লিখবো নে....




আমি কিন্তু সত্যিই বড়ই মনোযোগী।

ছবি আঁকতে পেরেছিলাম এ কারণেই। কারণ একটা পাতার শিরা উপশিরা কোথায় কোনটা যায় চোখের মধ্যে না গেঁথে নিলে কি আঁকা যায় বলো??

কিন্তু ঐ মা সহ মুরগী ছানা আঁকতে গেলে খবর ছিলো!!!

৩৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




তোমার ধাঁধার লতার গানটা আগে হয়ত শুনেছি কখনও কিন্তু মনে নেই ।

গ্রামের বর্ণনায় যে গান আমার মনে আসে, সেটা প্রিয় ডেনভারের কান্ট্রি রোড ।
প্রিয় এই গানটি বাংলায় করেছে সাইফ ।
সেটাও খুব সুন্দর ।



এর সাথে কিশোর কিশোরীর সাইকেলের প্রেমানুভুতির অবশ্য কোন সম্পর্ক নেই ।
এটা শেয়ার করলাম ভালোলাগা থেকে ।
গতকাল কান্ট্রিসাইডে গিয়েছিলাম, আজ ফিরেছি ।
পাহাড়ঘেরা মেঠোপথ আর দূর নীলাকাশ সে যে কি সুন্দর !


২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩২

অপ্‌সরা বলেছেন: মিররমনি এই কান্ট্রি রোড নিয়ে মরেছি!!! :((

তুমি আবার আনলে কই থেকে!!!!!!! :((

গিটার শিক্ষার লেসনে এই গানা আমি ৪ সপ্তাহ ধরে বাজাই যাচ্ছি।

গিটারে তুললে গলায় আসে না গলায় ধরলে গিটারে থেমে যায়!!! ভেউ ভেউ ভেউ :((


আর আমার টিচারকে কত বলি ভাই টিচার আমাকে বাংলা গানা দাও না কেনো!!

সে বলে আগে এইটা শিখো সবজান্তা শমসেরা কেমন মজা দেখ!!! :P

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: প্রথমে দিয়েছিলো ইয়েলো সাবমেরিন!!!!!!!!!!!

অসহ্য বিচ্ছিরি গানা!!!!!!!!!

তবুও সহজ ছিলো ..... তারপর দিলো ব্লোইং ইন দ্যা উইন্ড তবুও সহ্য হলো.....

কিন্তু এই গানা নিয়ে আমি শেষ!!!!!!!

কাঁদতে কাঁদতে শেষ!!! :(

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=hKcYX00EfZQ


আমি এটা শিখতে চাই.....

ডারবুকা আমার নাই.....

কোথায় পাই কোথায় পাই

কে দেবে বোন কে দেবে ভাই ???

৩৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




আপু তুমি এটা তুলবে ।
তোমার গিটারে প্রিয় টিউন শুনতে চাই ।



২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি কোনোটাই তুলতে পারবো না যতক্ষন আমার টিচারজান আমাকে না শিখায় দেবে ..... :(

কিন্তু কি দিলে !! শুধুই তো আন্ধার!!!!!!

৩৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




Darbuka মিডল ইস্টার্ন ড্রাম ।
এরাবিয়ান মিউজিকে শুনেছি, খুব রিদ্মিক ।

তুমি কিনতে চাও ?
অনলাইন পারচেইজ করো ।

Amazon থেকে কিনতে পারো ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: কিনতে চাই কিনতে চাই ...... ইহা দেখিয়া আমি মুগ্ধ ভাই..... :)

আর এটা বেলি ড্যান্সের সাথে বাজায় তারা.....

আমাদের তবলার মতই তবে বাজনার স্টাইল বা বোলটা মনে হয় ডিফারেন্ট।

৩৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




এখানে শোনো আপু ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১২

অপ্‌সরা বলেছেন: এখানেও শোনা যায় না......

তবে দেখলাম লেখা আছে স্প্যানিশ গিটার..... আমার তো ক্লাসিক্যাল গিটার আপুনি!!!!!!!!!!
:(

৩৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:




প্লীজ আর বলোনা শুনতে পাওনা ।
এবার তোমার ক্লাসিক্যাল গিটার দিয়েছি ।





২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭

অপ্‌সরা বলেছেন: গেছি!!!!!!!!!!! এটা শিখতে মনে হয় ৬ মাস লাগবে!!!!!!!!!!!! :((

আল্লাহ বাঁচাও আমারে!!!!!!!!!!


কোন দুস্কে যে বুড়াকালে গিটার শিখতে গেছিলাম রে.....

যাইহোক বিপদে ডরে না বীর...... ৬ মাস পর বেঁচে থাকলে ইহা তোমাকে শুনাইবো!! :)


আর ডারবুকা কিনে সাজাই রাখবো ওকে!!! উহা আর ইহ জীবনে শেখা হইবেক না!!! :(

৪০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:




তবলা আমার পছন্দ না, কিন্তু ডারবুকা ভালো লাগে ।

হ্যাঁ বেলি ড্যান্সের সাথে প্লে করে ।
একবার কিউবা থেকে একটা গ্রুপ এসেছিলো ।
লাইভ পারফরমেন্স বেলি ড্যান্স দেখেছিলাম ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৭

অপ্‌সরা বলেছেন: বাংলাদেশে এই বেলি ডান্স চলিবেক না....... মানুষ জন ঢিল ছুড়ে মারবে। :P

৪১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আগের পর্বে তো ভয় পেয়েছিলাম। যাক বাবা সুস্হ্য আছেন তাতেই শান্তি, বয়স হলে সাবাধানতা তো অবলম্বন করতেই হবে। আ্যাঁ কি বলে !!! এই ১৬/১৭ তে বিয়ে ??

বয়ঃসন্ধীতে নাকি সবাই খুব সেল্ফ সেন্টারড থাকে। তোমার অযথা বেচারা বক্কুর উপর রাগের মধ্যে আবার প্রমান পেলাম। সেজচাচা চরিত্রটা মনে হচ্ছে গল্পে বেশ গুরুত্বপূর্ন! ভালো লেগেছে সেজচাচা কে।
ওরে এ এ এ কলিজা নীরুর !
আমাদের সময়ে ডেট করতে শুনেছি ফিসারিজ এরিয়ায় যেত, আর নীরু প্রথমবারেই বাজিমাত ! খোকাভাই ও কম ডেসপারেট না দেখছি, বলে কিনা সন্ধ্যায়!


উফফ সেই সে পথের বর্ননা ! মারাত্মক সুন্দর ! এই ভীরুভীরু দুরুদুরু ঘর পালানো ভৈরব ভ্রমন তো আবার প্রেমের উসকানী দিচ্ছে।

দারুন ! দারুন !


২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আপুনি মরা ভৈরবের ওপারের সেই দিন দুপুরের গল্প কতখানি লিখবো ভেবে ভেবে একটুখানি লিখলাম আর কি। ঠিক ঠাক করে খুব শিঘ্রী দিয়ে দেবো। :)

৪২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্প্যানিশ গিটার আর ক্লাসিক্যাল গিটার আসলে একই জিনিস। এই লেখাটা পড়লে বুঝতে পারবেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/Classical_guitar
https://en.wikipedia.org/wiki/Classical_guitar

স্প্যানিশ গীটার/ ক্লাসিক্যাল গীটার হল স্টিলের তারের একাউস্তিক গিটার কিংবা ইলেকট্রিক গিটারের পূর্বসূরি।

স্প্যানিশ/ ক্লাসিক্যাল গীটারের তার নাইলনের হয়। অন্য একাউস্তিক অথবা ইলেকট্রিক গীটারের তার স্টিলের হয়। স্প্যানিশ/ ক্লাসিক্যাল গীটারের নেক চওড়া হয়। ফলে তারগুলির মধ্যে দূরত্ব বেশী থাকে। কর্ড (বিশেষ করে বার কর্ড) ধরতে সমস্যা হয়। কারণ ক্লাসিকালে প্লাকিং বেশী ব্যবহৃত হয় কর্ডের চেয়ে। আরও কিছু পার্থক্য আছে।

মিরোরডডলের দেয়া গানটা ক্লাসিক্যাল গীটারেই ছিল।

একটু পণ্ডিতি করার চেষ্টার করলাম আর কি। :) আর ভুল বললে মাফ করবেন। :) আপনি হলেন সঙ্গীতের ওস্তাদনি।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: সঙ্গীতের ওস্তাদনী বটে আর গিটারের আরও বড় ওস্তাদনী হতে গিয়ে আমার এই বুড়া বয়সে মরো মরো অবস্থা ভাইয়া। :(

আর হ্যাঁ নাইলের তারেই হাত ব্যাথা আর স্টিলের তার তো ধরতেই পালি না!!!!!!! :((


গিটারের নেক চওড়া হবার সাথে সাথে আমার নেক বাকা হয়ে যাচ্ছে তো!!!

ভাইয়া বাসায় কি আর একটা গিটার!!!

সব গুলাই আছে। আর অতি পুরাতন একখানা গিটার ফেলতে গিয়েও ফেলতে না পেরে রং চং লাগিয়ে ওয়াল ডেকো বানিয়ে ফেলেছি! :)

৪৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাইহোক আমিও তোমার প্রিয় তাইনা?? হে হে হে..........এটা আবার বলা লাগে? ভাগ্নী পারিবারিক প্রিয়, তুমি ব্লগীয় প্রিয়। তাছাড়া রাজকন্যা বোনের জন্য কিছু আনতে পারলে আমারই আনন্দ। :)

ওহ..............মনে করিয়ে দিলে। শবে বরাতে আম্মার হাতের বানানো বুটের আর গাজরের হালুয়া ছিল অমৃত। এতো খেতাম যে, মাঝে মাঝে পেট খারাপ হয়ে যেত!! বাকী জীবনে আর কখনও খাওয়া হবে না। :((

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: থাক ভাইয়া....... মন খারাপ করো না........এই সুন্দর স্মৃতিগুলির মত সুন্দর থাকুক আম্মার স্মৃতিটাও।

নইলে ওপার থেকে কষ্ট পাবেন মা......

মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের বুকে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে .....

৪৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: এ পর্বটাতেও ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। আমাদের মফস্বলী জীবনের কৈশোর-তারুন্যের অবেগ অনুভূতির চমৎকার প্রকাশ তোমার এই লেখাগুলো।

সেই যে স্কুল পালিয়ে, শহরের চোখ ফাকি দিয়ে প্রিয় মানুষের সাথে ঘুরতে যাওয়া আর নিকোনো উঠোন আর খড়ের ঘর দেখে প্রিয় মানুষের সাথে ঘর বাধবার স্বপ্ন দেখা, এর মধ্যে একবিংশ শতকে মফস্বলে বেড়ে ওঠা এক দূর্গার (পথের পাচাঁলী'র) ছবি আছে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ দূর্গার মত আমরাও অনেক দেখেছি ছোটবেলায়....... নীরুও দেখেছে আপুনি!!! :)

৪৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি জানতাম শ্রাবণধারা ভাইয়া। :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: কেমনে জানো???


৪৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কেমনে জানো?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: অনেকদিনের আপুনি না???

আমার মত রবীন্দ্র সঙ্গীত পছন্দ আর তাছাড়া অপু দূর্গার গল্পও পছন্দ।


তা ছাড়া নামটাও আপু আপু!! :)

৪৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কি নিশ্চিত? জোরালো কোন প্রমাণ আছে?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০২

অপ্‌সরা বলেছেন: না নিশ্চিৎ না তবে মনে হয় আর কি!!!!!!!! :)

৪৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার শেষ পোস্টে উনি এক জায়গায় লিখেছেন যে কানাডাতে ওনারা যখন যান তখন ওনার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা ছিলেন।

একটা ধাঁধার মধ্যে পড়ে গেলাম। :)

আমি অবশ্য অতি দ্রুত লেখা পড়ি। অর্ধেক পড়ি আর বাকি অর্ধেক কল্পনা করে নেই। তাই আমার ভুলও হতে পারে বইকি। :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: স্যরি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

তুমি ঠিকই বলেছো!!!!!!!!!!!!!


আমি টেবিলের নীচে চলে গেছি!!!!!!!!!!!!!!!!


৪৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর। হা অপ্‌সরা, ইহা একজন ভাইয়া।

মিয়াউদ্দিন কে মনে পড়ে? "চাকুরি জীবন- বিষণ্ণ ছোলা ভাজা" পর্বের সেই যে মিয়াউদ্দিন যার বেদনার ভার তুমিও নিয়েছিলে সেদিন!!! সে অবশ্য বহুকাল আগের কথা। এর পরে পদ্মা-মেঘনায়, এই ব্লগের পাতায় কত জল গড়ালো !!

"শায়মা বলেছেন: ভাইয়া, ভাইয়া, ভাইয়া ভাইয়া!:)
আর ভুল করিনি!:)"

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩

অপ্‌সরা বলেছেন: স্যরি!!!!!!!!!!! স্যরি!!!!!!!!!!!!!! স্যরি!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আই এ্যম সো স্যরি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

ভাইয়া আমি সব সময় আমার মেমোরীর বড়াই করি।

আমি মনে করি আমার আমার ২ বছরের স্মৃতিও বুঝি মনে রাখতে পেরেছি। আমি আরও মনে করি আমি মানুষের নাম চেহারা ফোন নং না লিখেই মাথায় লিখে রাখতে পারি।

সেই আমি কি করে যে ভুল করি তোমার নাম নিয়ে সেই কথা ভেবে ভেবেই আমি শেষ!!


পরে বুঝেছি আমি শ্রাবনসন্ধ্যা আপু আর শ্রাবনধারা ভাইয়া এই দুইটার মধ্যে গুলায় ফেলি!!!!!!!!!!


আই এ্যাম সো স্যরি ভাইয়া! :(

৫০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো নিজের পোস্টে উল্লেখিত অনেক কথাই ভুলে যান অনেক সময়।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: কি ভুলছি শুনি!!!!!!!!!!!

না না বেশি কিছু ভুলি না.......

আর একটুও কি ভুলবার উপায় আছে!!!!!!!!!!!!

তোমাদের মত মনোযোগী স্টুডেন্টদের জ্বালায়!!!!!!!!! :P

৫১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কিংবা আপনার কোন এক বেহেনা হরিণকে বলি দিতে চেয়েছিলেন একটা পোস্টে (একটা কবিতায়)। সেই পোস্টটা কি সরিয়ে ফেলেছেন? খুঁজে পাচ্ছি না কেন।

এটা নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করেছিলাম। খায়রুল আহসান ভাইও কিছু মজার মন্তব্য করেছিলেন।

কয়েকদিন আগে আপনি ব্যাপারটা বেমালুম ভুলে গেছেন বলে মনে হল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা না ভুলিনি!!!!!!!!!!


আসলে তুমি নিজেই ভুলেছো কোন নিক থেকে দিয়েছিলাম হা হা ....... :P

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: লিঙ্ক নীচে চলে গেছে...... :)

৫২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: এই যে এই কবিতাখানি

৫৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খুঁজে দেয়ার জন্য। আপনার বেহেনাদের নিকগুলিতে ঐ দিন আমি খুজেও পাই নাই কবিতাটা। :) কোথাও মনে হয় লুকিয়ে রেখেছিলেন।

কবিতাটা বেশ ভালো ছিল। কিন্তু আপনি হরিণের লাইনগুলি কিছু পরিবর্তন করেছেন মনে হচ্ছে। :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: না কোনো পরিবর্তন করিনি। লুকিয়েও রাখিনি....

তবে হরিন অনেক সময় আনি আমি। আমার প্রিয় প্রানী।

নিরীহ গাধা আর সুন্দর তাই........ হা হা হা

৫৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হরিণ পোষা সম্পর্কে একটা খবর শেয়ার করলাম। আপনি তো দণ্ডনীয় অপরাধ করছেন, যদি বিনা অনুমতিতে হরিণ বাসায় নিয়ে এনে থাকেন।

হরিণ আনতে হলে বন বিভাগের অনুমতি লাগে। অনুমতি ছাড়া হরিণ আনা/পোষা দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু মাত্র চিত্রল হরিণ ঘরে রাখার বা পোষার অনুমতি দেয়া হয় নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে।

সরকারের নীতিমালার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে, চিত্রল হরিণ পাওয়া যায় এমন বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এই হরিণ পোষা যাবে না। ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০টি চিত্রল হরিণ পোষা যাবে। এর বেশি হলে খামার হিসেবে অনুমতি নিতে হবে।

তবে হরিণ কিনতে হলে বন বিভাগের কাছ থেকে ‘পজেশন সার্টিফিকেট’ নিতে হবে। পরিবেশ ও বনসচিব মিহির কান্তি মজুমদার এ ব্যাপারে বলেন, ‘হরিণ পালনের জন্য নীতিমালা অনুমোদিত হলেও বন বিভাগ আপাতত কোনো হরিণ বিক্রি করবে না। দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে হরিণগুলো রয়েছে, ওই হরিণগুলোকে ক্রয়-বিক্রয়ের বৈধতা দেওয়া হবে।’

খামার ছাড়া অন্যত্র অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে বা বাসাবাড়িতে চিত্রল হরিণ পোষার অনুমোদন ফি ধার্য করা হয়েছে ৫০০ টাকা। মহানগর এলাকায় প্রতি খামারের জন্য অনুমোদন ফি দুই হাজার টাকা। জেলা সদর এলাকায় প্রতি খামারের জন্য ফি আড়াই হাজার টাকা। অন্য এলাকায় খামারের জন্য ফি দুই হাজার টাকা। প্রতিটি হরিণের জন্য পজেশন ফি ১০০ ও নবায়ন ফি বছরে ১০০ টাকা।

খামারের হরিণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন সংরক্ষক ও ব্যক্তিগত হরিণের ক্ষেত্রে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন দিতে হবে। হরিণ পরিণত হলে তার মাংস খাওয়া যাবে। তবে বাচ্চা প্রসব করলে বা মারা গেলে ঘটনা ঘটার ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কাছে তা জানাতে হবে। হরিণের মাংস বা কোনো অঙ্গ স্থানান্তর করতে হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে স্থানান্তর অনুমোদন নিতে হবে। কাউকে হরিণ দান করতে হলেও বন বিভাগকে অবহিত করতে হবে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দুই লাখ চিত্রল হরিণ রয়েছে। চিত্রল হরিণের মূল বসতি এলাকা সুন্দরবনে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার। এ ছাড়া চর কুকরিমুকরি, বাঁশখালীসহ উপকূলীয় বনে বিচ্ছিন্নভাবে হরিণের বসতি রয়েছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা তথ্য সূত্র দিয়ে পোস্ট দিতে হয়। এটাই নিয়ম। তথ্য সুত্র দিয়ে কি কমেন্টও দিতে হয়!!! যাইহোক হরিম পোষা এবং ক্রয় বিক্রয় নিয়ে এত তথ্য দেবার জন্য থ্যাংকস........ এইবার না কিনে আর যাচ্ছি না...... হা হা

৫৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গল্প পড়ে রাখছি অথচ মন্তব্য করা হয়নি

এ পর্বও ভালো লেগেছে আপু

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!

৫৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা,



৭ম পর্ব পড়ে এখানে এসেছি।
আগে্ও বলেছি, এখন্ও বলি - যৌথ পরিবার আর তার আশেপাশের সকল কিছুর খুটিনাটি নিখুত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এককালে আমাদের প্রতিবেশ আর পরিবেশ অমনই ছিল- বাঁশ ঝাড়ের ফাঁক দিয়ে যেন রোদের জাফরি কাটা আলোর বিচ্ছুরণ।

এ জন্যে গল্পের "নিরু" থুউউউউক্কু লেখিকা "অপ্‌সরা" প্রশংসা পেতেই পারে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া...... অপসরাকে প্রশংসা করার জন্য...... নীরু যা ইচ্ছা তাই করুক ......

৫৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'বালিয়ারি' কথাটা আপনি ঠিকই লিখেছেন। কয়েক মাস আগে মেলবোর্ন থেকে লেখা আমার একটি সাগর সৈকত ভ্রমণ পোস্টে আমি একটি ছবি দিয়েছিলাম যেখানে বালিয়ারিতে না দাঁড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের সতর্কবাণী লিখা ছিল। সে পোস্টে সাড়ে চুয়াত্তর জানতে চেয়েছিলেন, "বালিয়াড়িতে মানুষ গেলে কি সমস্যা হবে বুঝতে পারলাম না। এটা কি চোরাবালি জাতীয়?"

যথারীতি সাইকেলে চড়ে দেখা মেঠো পথের বর্ণনাটা খুব সুন্দর হয়েছে। আর এবারেও বেশ সাসপেন্স রেখে যাওয়াতে পাঠক নিঃসন্দেহে পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৪

অপ্‌সরা বলেছেন: আমারও মনে হচ্ছিলো বালিয়াড়ী ওটাই হবে। তবে তখন লেখার মধ্যে ছিলাম। বালিয়াড়ীর মানে খুঁজতে গেলে খেই হারিয়ে যেত তাই থামিনি।
আমার খালা একটা গান গাইতো-
এই বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু
একটি সে নাম আমি লিখেছিনু.....

আমি গেয়েছিলাম সামিনা চৌধুরীর

এই ঝিনুকফোটা সাগরবেলা
আমার ইচ্ছে করে .......
আমি মন ভাসাবো ঢেউ এর মেলায় তোমার হাতটি ধরে ......

৫৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২২

মুক্তা নীল বলেছেন:
তোমার এই পর্বটা পড়ে মনে হচ্ছে যে কোন মেয়ের হয়তো মেয়েবেলা পড়লাম । মা এখনো সেই বিষয়টি ভুলে নাই ( হা হা ) হায়রে ... খোকাভাইয়ের এমন অমনোযোগী আচরণ একটু ভাবালো ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: তোমরা এত মজা করে পড়ো আমিও অনেক মজা করে লিখি তাই ......।

৫৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মাকে বড়ই স্ট্রেস দিয়েছেন। আমার সাইকেলটা ছিল ডিপ-ব্লু, কিছুটা গ্লিটারি কালার, তবে ফিনিক্স ছিলনা, আহা সাইকেল নিয়ে কত স্মৃতি। কিন্তু শেষ মেষ চুরি হয়ে গেল। মিসকরি নৌকা ভ্রমন আর নৌকায় কচুরি জটে আটকে যাওয়া আর শাপলা তোলা!! আপনার লেখা বড়ই নস্টালজিক...।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ অল্প অল্প করে আমার গল্প পড়ার জন্য! :)

৬০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত খোকা ভাইয়ের সাথে নৌকায় সোয়ারী হলাম। দেখি নৌকা ভাসতে ভাসতে কোথায় গিয়ে পৌঁছায়....

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫

অপ্‌সরা বলেছেন: না নানা খোকাভায়ের সাথে কাউকে নেওয়া যাবে না ভাইয়ু!!!!!!!!!! :P

৬১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: সহজসরল বক্কু মিঞা কাবাব মে হাড্ডি হয়ে কতক্ষণ তিষ্টাতে পারে শয়তানের শয়তানি মালেকা নীরু বেগমের কূটচালের কাছে.... X((

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা শয়তানের শয়তানি মালেকা নীরু হবে কেনো!!

সে তো মালেকা হামিরা! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.