নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বক্কুমিয়ার জ্বালায় খোকাভায়ের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান, দেখা সাক্ষাৎ, ঝগড়া বিবাদ ভালোবাসা মন্দবাসা সকল যোগাযোগই প্রায় বিকল হতে বসলো। এই জ্বালাতন কাহাতক সহ্য করা যায়! তাই এক ফন্দি ফেঁদে বসলাম। বক্কুমিয়াকে তাড়াতেই হবে খোকাভায়ের ঘর থেকে সে যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনো। আমি আবার আমার কোনো প্লান প্রোগ্রাম কারো সাথেই শেয়ারিং এ রাজী ছিলাম না। তো সেই প্ল্যান একা একা নীরবে নিভৃতে সংগোপনে দাঁড়া করাতে আবার আমার সময় লেগে গেলো কয়েকটা দিন।
ছোটচাচীর ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে ফলস লম্বা চুল লুকিয়ে আনা। দাদীমার সাদা ধপধপে শাড়ি চুরি করা। ভাড়ার ঘর থেকে পুরনো একখানা লন্ঠন। আর পাউডার লিপস্টিক তো আমারই ছিলো। সকল যোগাড় যন্তরের পরে শুধুমাত্র সুযোগের অপেক্ষা। বক্কুমিয়া ঘুমাতো একেবারে জানালার ধারে। তাও আবার অঘোরে, ঐ যে যাকে বলে কুম্ভকর্ণের ঘুম। কলেজ আর টিউশন করে ফিরত যখন তখন মনে হয় তার আর শরীর চলতো না। এক গাঁদা তেল মাথায় দিয়ে কলতলায় ঝপঝপ গোসল সেরে এক থালা ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তো সে। আমার ধারনা তার কানের কাছে কেউ যদি তখন বোমও মারতো তবুও সে উঠতো না। কিন্তু আমার সন্দেহপ্রবন মন তার ঐ ঘুম-ঘোরের সুযোগেও খোকাভায়ের সাথে যোগাযোগের বাঁধা ছিলো। আমি ভাবতাম বেটা ঠিকই জেগে উঠে মাকে বলে দেবে।
সে যাইহোক তক্কে তক্কে থাকলাম আমি। অবশেষে এলো অমাবশ্যার রাত। দিনক্ষন বুঝে সেই গভীর রাতে দাদীমার শাড়ি আলুথালু গায়ে জড়িয়ে, মাথায় পরচুল সামনে দিয়ে ছড়িয়ে, মুখে একগাদা পাউডার লাগিয়ে হাতে হ্যারিকেনখানা নিয়ে চুপি চুপি উঠে আসলাম ছাদের ঘরে। বক্কুমিয়া তো অঘোরে ঘুমুচ্ছিলো। আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দিয়াশলাই দিয়ে ঐ হ্যারিকেন জ্বালিয়ে এক হাতে হারিকেনখানা তুলে ধরে আরেক হাতে বক্কারের গায়ে আস্তে করে ধাক্কা দিলাম। কিন্তু সেই আস্তে করে ধাক্কায় গন্ডার বক্কু তো উঠলোই না বরং খাই মাই করে কি যেন বলে পাশ ফিরে আবার ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলো। ঘরের আরেকপাশে আরেকখানা বিছানায় ঘুমাচ্ছিলো খোকাভাই। আমি সন্তর্পনে একখানা ছোট কাগজ কুড়িয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে সুড়সুড়ি দিলাম ঘুমন্ত গন্ডার কুম্ভকর্ণ বক্কুমিয়ার কানে। সে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসলো। আর উঠেই জানালায় হারিকেন হাতে আমার সাদা শাড়ি জড়ানো সারা মুখে চুল ছড়ানো কিম্ভুৎ দর্শন দেখে আ আ আ তিনটা শব্দ করে ঠাস করে পড়ে গেলো আবার চৌকির উপরেই।
বক্কার গাধাটার ঐ আর্ত চিৎকারে লাফ দিয়ে উঠলো খোকাভাই আর আমি সাথে সাথে জানালার নীচে বসে পড়লাম যেন না দেখতে পায় আমাকে। কিন্তু খোকাভাই সোজা বেরিয়ে আসলো। ও হ্যাঁ ওদের ঘরের দরজা ওরা জীবনেও বন্ধ করে ঘুমাতো না। সেটা দিন রাত ২৪ ঘন্টাই হা করে খোলা থাকতো। কাজেই খোকাভায়ের দরজা খোলারও যেমন টাইম লাগলো না আমার পালানোরও টাইম পাওয়া গেলো না। খোকাভাই সোজা জানালার নীচে এসে ভূতরুপী আমাকে দেখে প্রথমে অবাক হলো। আর তারপর হাসতে হাসতে আমার হাত ধরে টেনে উঠালো।
ঐ আমাবশ্যার রাতে ছাঁদে কোনো চাঁদের আলো ছিলো না বটে তবে আকাশে অনেক তারার ঝিলিমিলি ছিলো। সেই তারা ঝিকিমিকি রাতের আঁধারে আমার অমন কিম্ভূত দর্শন ভূতুড়ে চুল ছড়িয়ে থাকা সাজ দেখেও ভয় পেলো না খোকাভাই। বরং এই প্রথম সে আমার রুপের প্রশংসা করলো। বললো, তোকে খুব সুন্দর লাগছে!!! আমি তো সেই কথা শুনে ভূত দেখে মানুষ চমকে ওঠে আর আমি আমার ভূতের সাজ দেখে আমাকে সুন্দর লাগছে শুনে চমকে উঠলাম। খোকাভাই জড়িয়ে ধরলো আমাকে। সেই ওমাবশ্যা রাত্রীর ঐ ঘুরঘুট্টি অন্ধকারের তারা ঝিকিমিকি আধো আলো-ছায়ায় দুটি মানব মানবী, একটি আবার ভূতরূপী। সেদিন যদি দেখতো কেউ আমাদেরকে তো নিশ্চয় সে হার্ট এটাক খেত! খবরে আসতো ভূত বা পেত্নীকন্যার সাথে এক যুবকের ভালোবাসার কাহিনী।
হঠাৎ খোকাভায়ের মনে পড়ে গেলো চৌকির উপর অচেতন পড়ে রয়েছেন আমাদের বক্কার সাহেব ওরফে বক্কু। খোকাভাই তাড়াতাড়ি গিয়ে বক্কুকে ধাক্কা দিলো। চোখে মুখে পানির ছিটাও দিলো। আমি জানালায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। বক্কুমিয়া চক্ষু মেলে আবার চিল্লালো ভূত ভূত! আমি হেসে ফেললাম তারপর খোনা গলায় বললাম, তুঁই এঁখান থেঁকে চঁলে যাঁ তুঁই এঁখান থেঁকে চঁলে যাঁ কাঁলকেই চঁলে যাঁবি ..... বঁ ও ও ও ও ল। খোকাভাই হেসে ফেললো, বললো যা ভূত বাড়ি গিয়ে ঘুমা। আমি বললাম, আঁমি তোঁকে ভাঁলোবাসি.... তোঁর ঘঁরে কাঁউকে থাঁকতে দেঁবো না। খোকাভাই আরও হাসছিলো .... আমি যাচ্ছি না দেখে টেবিলের উপর থেকে একটা হাতপাখা নিয়ে আমাকে মারতে এলো। আমি তার আগেই দৌড় দিয়ে নীচে।
বাথরুমে ঢুকে পাউডার কাজল সব ধুয়ে হাতে শাড়ি আর চুলটা নিয়ে বের হতে যাবো দেখি বদমাশ রুনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। এই রাত দুপুরে উনার টয়লেট পেয়েছে। আমি কোনোমতে সেসব লুকিয়ে কাঁটিয়ে চলে এলাম। রুনিটা যা কুটনী টাইপ যদি দেখতে পায় তবেই হয়েছে। শাড়িটা নিয়ে আবার লুকিয়ে দাদীমার ঘরে আর দিয়ে আসা হলো না। তার আগেই রুনি চলে আসায় পেছনের বাগানের খোলা জানালার আরেকপাশে ফেলে দিলাম। আর চুলটা তাড়াতাড়ি চালান করে দিলাম আলমারীর তলায় পা দিয়ে। রুনি ঢুলতে ঢুলতে চলে গেলো তার বিছানায়। আমি ঠিক করলাম সকালে উঠে আবার সব কিছু জায়গা মত রেখে দেবো।
কিন্তু হায় সকালে উঠতে না উঠতেই শুনলাম চারিদিকে চাউর হয়ে গেছে রাতে নাকি বক্কুমিয়াকে জ্বীন তুলে নিতে এসেছিলো। সে বার বার মূর্ছা যাচ্ছে। জ্বীন নাকি তার মৃত নানীর গলায় তাকে ডেকেছে। জ্বীন নাকি বলেছে তার সাথে তাকে কোয়াকফ নগরে যেতে হবে নইলে মুন্ডু ছিড়ে খাবে। বক্কুমিয়া আর এ বাড়িতে থাকবে না সে গ্রামে চলে যাবে। আমি মনে মনে শান্তি পেলাম যাক বেটা তাহলে ভাগছে। কিন্তু হায় শয়তান আমেনা আমাদের নতুন ঘরমোছার মহিলাটা বলে বাবা তুমি আইছো পড়ালেহা কত্তি তুমি চইলে যাবা কেন? তার থিকে শুনো আমার একজন ওঝা আছে এক্কেরে ঝাঁড়ুপিটা করি ভূত কেন ভূতের বাপ মা চৌদ্দ গুষ্ঠিরে তাড়ায় ছাড়বেনে।
এরপর দাদীমাও শুরু করলেন একই কাহিনী। ওঝা এনে নাকি এই বাড়ির ভূত ছাড়াবেন। কি সর্বনাশ! আমি তো ভয়েই শেষ। ওঝা এসে যদি সত্যিকারের জ্বীন ভূত ধরে তো সত্যিকারের জ্বীন- ভূত আমি তো গেছি, এক্কেবারে ধরা। ঐদিকে আমেনা বুয়া তো গল্প ফেঁদে বসেছেন। ওদের গ্রামে নাকি ডিমপড়া খাইয়েছিলো কি যেন চুরি করতে আসা এক চোরকে তো সেই চোরের সারা মুখে নাকি ডিমের মত বড়বড় ফোসকা উঠলো। আবার কাকে যেন চাল পড়া খাইয়েছিলো তো সারা মুখে তার আঁচিল উঠলো। কাকে যেন তেল পড়া দিয়েছিলো তার মাথার চুল পড়ে পাগল হলো। যত শুনি তত ভয়ে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কি বিপদেই না পড়লাম।
পরদিনই তোড়জোড় শুরু করা হলো । স্বয়ং বক্কুমিয়ার বাবা উনাদের গেরামের এক ওঝা আনলেন। সেই ওঝা উঠানে বসে বিড় বিড় করে কি সব মন্ত্র পড়ছিলো। চারিদিকে পানি ছিটাচ্ছিলো ধোঁয়া জ্বালাচ্ছিলো। আর আমি তো ভয়ে ঘরের মধ্যে সিটিয়ে রইলাম। সেই ওঝার আয়োজনের বিরাট যোগাড় যন্ত্রর দেখে তো আমার নাগিন সিনেমার ওঝাটাকেই মনে পড়ছিলো। যদিও সেই ওঝা ছিলো সাপ তাঁড়ানো আর এই ওঝা ভূত তাড়ানো। তবে আমার ললিতা মাসী বলে সাপ নাকি জ্বীনেদের রূপ নেয়। তারমানে এই যে সাপ হলো জ্বীন আর তাই তাড়াতে ওঝা আসে নইলে এই জ্বীন তাড়াতেই বা ওঝা আসবে কেনো! আমার তখন নিজেকে একবার সাপ আরেকবার সত্যিকারের নাগিন মনে হচ্ছিলো। তায় তখন আবার আমি কত্থক নাচেরও ছাত্রী ছিলাম। শুধু নাচতে নাচতে সাপ হয়ে ওঝার আগেও ঐ বেক্কল শয়তানের লাঠি বক্কু মিয়ার বাবাকে ছোবল দিতে পারলেই বুঝি আমার শান্তি হত। উদোর পিন্ডি পড়ে বুধোর ঘাড়ে আর আমার রাগ গিয়ে পড়লো ছেলেকে ছেড়ে তার বাপের পরে।
যাইহোক সেই কিম্ভূত দর্শন ওঝা কিন্তু মোটেও নাগিন সিনেমার ওঝার মত ভয়ংকর দর্শন ছিলো না সে ছিলো ছিঁচকা চোরের মত ছোট খাঁটো চিমশা শরীরের। আর তালি তুলি দেওয়া মলিন ধুতি আর আলখেল্লা টাইপ কিছু পরা ছিলো। সে গোবর ঝাড়া ঝাঁটা, ছেঁড়া জুতার তলা, সরিষার তেল, ছোট বাচ্চাদের কাজললতা আরও কি কি যেন আনার অর্ডার দিয়ে যাচ্ছিলো। তাকে ঘিরে দাঁড়ানো ছিলো এ বাড়ি ওবাড়ি মিলে আসা অনেকগুলো মানুষ পরম উৎসুকে ও কৌতুকে। ওঝা তার পাঁটি বিছিয়ে সামনে বক্কুভাইকে নিয়ে বসালেন। একটা কাসার বাটি থেকে পানিতে বিড়বিড় মন্ত্র পড়ে তার চোখে মুখে ছিটালেন। আমি তো ভয়ে শেষ কারণ ওঝা ভূত আনবে কোথা থেকে। সেই ভূত তো ছিলাম স্বয়ং আমি! তবে সত্যিই শ্রীদেবীর নাগিন সিনেমার মত সাপ না হতে পারি তখন যদি সত্যিকারের জ্বীন বা ভূতও হতে পারতাম তবেই মুক্তি হত আমার। ওঝার বাচ্চার ঘাড়ে চেপে তার কল্লা টেনে ছিড়তাম আমি কিন্তু না সে সব কিছুই হবার ছিলো না। এসবই হচ্ছিলো ভেতরবাড়ির উঠানে। আর দাদুর অগোচরে খুব চুপচাপ সঙ্গোপনে করার কথা ছিলো। কিন্তু কি করে যেন চারিদিকে হাক ডাক হই হই রই রই অবস্থা হয়ে গেলো।
যাইহোক আমি যখন ওঝার কার্য্যক্রম শুরু হবার পর উদ্ধার পাবার পথ বাতলাচ্ছি এবং উদ্ধার পেতে সাপ ব্যাঙ , ভূত প্রেত সব হতেই রাজী আছি এমন নানান চিন্তায় মশগুল। আমার প্রার্থনাতেই বুঝি হঠাৎ সেখানে রক্ষাকর্তার মত উদয় হলেন দাদু। এই সব কর্মকান্ড দেখে ভীষন অবাক হলেন। হুঙ্কার দিয়ে ডাকলেন, সাইফুল!!!!!!!!! সেজোচাচা দৌড়ে এলেন। দাদু বললেন কি হচ্ছে এসব!!! এখুনি বন্ধ কর এসব বুজরুকি! কোন আক্কেলে তুমি এসব কাজে সায় দাও! ওঝাকে কিছু টাকা দিয়ে এখুনি বিদায় করো। সেজচাচা কিছু বলতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু দাদু বললেন কোনো কথাই আমি শুনতে চাইনা। দাদুর কথা শুনে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম আমি। সৃষ্টিকর্তাকে কত কত বার যে ধন্যবাদ দিলাম জানা নেই আমার।
কিন্তু আমাদের ঐ মফস্বল টাউনের সেই নিস্তরঙ্গ জীবনে এমন একটি বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়ে সকলেই ভীষন মনোক্ষুন্ন হলো। ভগ্ন মনোরথ হয়ে যে যার ঘরে ফিরে গেলো। সেই পড়ন্ত দুপুরে ১৫ মিনিটের মাঝেই সেই বিশাল আয়োজন ভেঙ্গে উঠানে নেমে এলো শুনশান নীরবতা। আর আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম বক্কুর বাবার ঘাড়ে যদি এইবার সত্যিকারের জ্বীন চালান না দেই!! হঠাৎ কিছু পরেই ফের হই হট্টগোল উঠলো। উঠান ভরে গেলো এ বাড়ির লোকজনেদের ভয়ার্ত কলরবে। আমেনা বিবি নাকি আমাদের বাড়ির পিছের বাগানে আমাদের ঘরের জানালায় ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছেন সাদা ধপধপে জ্বীনের শাড়ি। হায় খোদা কাল রাতে রুনিকে দেখে তড়িঘড়ি শাড়ি লুকাতে না পেরে আমি সেই শাড়ি জানালা দিয়ে নীচে ফেলে দিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিলো সময় সুযোগ বুঝে তুলে আনার। কিন্তু সকাল থেকে নানান হট্টগোলে তা আর হলো না।
এখন সেই জ্বীনের শাড়ি নিয়ে জোর গবেষনা চলতে লাগলো। সবাই বলাবলি করছিলো জ্বীন নাকি চলে যাবার সময় একটা চিহ্ন রেখে যায়। ছোটচাচী বললো হ্যাঁ তার বাবার বাড়িতে তাদের কাজের মেয়েকে জ্বীন ধরেছিলো। পীর ফকির ডেকে এনে ঝাড়াই বাছায়ের পর সে যাবার সময় একটা দরজা ভেঙ্গে দিয়ে গেছিলো। ত চাচী বললেন, আমাদের বাড়িতে তো জ্বীন এক রাতে সারা রাত ধরে ইট ফেলেছিলো অনবরত। শেষে অনেক বড় বড় মৌলভী এনে সেই ইট পড়া বন্ধ করতে হয়েছিলো। তাই শুনে আমাদের এক প্রতিবেশী রসিকতা করে বলেছিলো বাবা জ্বীনেরা তোমরা ইট না ফেলে টাকার থলি ফেললেই তো পারো। বলার সাথে সাথে তার বাড়িতেই জ্বীনেরা ইট ফেলা শুরু করেছিলো। নানান রকম জ্বীন ভূতের কেচ্ছার ভরে উঠলো ফের উঠোন। আমেনা বলছিলো আমার এই ওঝা কি যে সে ওঝা! মন্তর টন্ত্রর পড়ার আগেই জ্বীন ভয় পাইয়ে পালাইসে। আমি মনে মনে বললাম হ্যাঁ শুধু পালাইনিই এক্কেরে শাড়ি খুলে পালাইছে। এই ভাবনাটার সময় আমার মুখে একটু মনে হয় মুচকী হাসি ফুটে উঠেছিলো। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি মা আমার দিকে সোজা কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমি অমনি করুন গোবেচারা চেহারা বানিয়ে ফেললাম। ছোট থেকেই আমি আসলে ভালোই অভিনেত্রী ছিলাম। শুধু মা বাবা এর অনাগ্রহ অবহেলায় আমার ম্যুভি থিয়েটারে অভিনয় করার সুযোগ এলো না জীবনে আর।
সে যাই হোক জ্বীন যতই শাড়ি ফেলে প্রমান দিয়ে পালাক না কেনো বক্কুমিয়ার বাবা আর বক্কুমিয়াকে এ বাড়িতে রাখতে রাজী হলেন না। ভর সন্ধ্যায় সকলের নিষেধ সত্ত্বেও আরও একটি ভয়ংকর রাত বাড়ানোর কোনো রিস্ক না নিয়েই বক্কুমিয়ার বাবা ছেলেকে নিয়ে চলে গেলেন গ্রামে। কিছুদিন পরে ছেলেকে যদি কলেজেও পাঠায় তো এ বাড়িতে আর না জানিয়ে গেলেন। বক্কুমিয়া তার টিনের পদ্মফুল আঁকা পেটরাটা নিয়ে, বাড়ির বড়দের পায়ে ধরে সালাম করে বিদায় নিলেন। আমার এ ঘটনায় খুব খুশী হবার কথা ছিলো কিন্তু আমি হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম এই ভর সন্ধ্যায় এই বিদায় আমার বুকের ভেতরে এক অজানা কষ্টের সৃষ্টি করেছে। আমি আমার নিজেকেই চিনতাম না সে সব দিনে। আজও চিনিই না হয়ত কারণ কখন কোন ঘটনা যে আমাকে আনন্দে ভাসায় আর কোন ঘটনা যে কাঁদায় আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারিনা মাঝে মাঝে।
জ্বীনও চলে গেলো, চলে গেলো বক্কু মিয়াও। শুধু রয়ে গেলো সাদা ধপধপে সেই জ্বীনের শাড়িটা। সেই ভূতের শাড়ি তখনও ঝুলছিলো জানালায়। দাদীমার সব শাড়িগুলিই মোটামুটি একই ধাঁচের ছিলো আর জ্বীনের শাড়িও ঐ ধাঁচের হওয়ার পরেও কারো মাথায় এলো না শাড়িটা যে দাদীমার। শুধু মাই মনে হয় আঁচ করতে পেরেছিলেন এই কাজ কার আর কিই বা তার উদ্দেশ্য।
আগের পর্ব
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা গল্প জমাজমি জানিনা কিন্তু তোমরা কেউ কেউ অনেক মজা করে পড়ছো তাই আমিও মজা পাচ্ছি।
জ্বীন পরী ভূত পেত্নী জানিনা আমি শুনেছিলাম শুধুই জ্বীন আর জ্বীন..... হা হা
অনেক অনেক থ্যাংকস..... আমার পাঠকেরা তো সবাই মনে হয় ঘুমাচ্ছে ....... তুমি তবুও জেগে উঠেছো ছুটির দিনে।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনি তো তাহলে শুধু অপ্সরাই নন, ভয়ঙ্কর জ্বিনও
কিন্তু আপনার চাইতে আপনার মাকেই বলতে হবে বড়ো জ্বিন জ্বিন না হলে জ্বিনের বাচ্চার কীর্তি টের পেলেন কীভাবে?
সার্থক জ্বিনের কেরামতি বক্কু মিয়ার বিদায় হলো। দেখা যাক, পরের এপিসোডে কীরকম রোমান্টিকতা আসে।
স্বল্প উপস্থিতিতে দাদুকে একজন ব্যক্তিত্ববান আধুনিক দাদুই মনে হয়েছে।
তুই খুব সুন্দর - খোকাভাইও কি জ্বিন নাকি? অন্ধকারে জ্বিনের রূপ দেখলো কীভাবে?
গল্প জমজমাট ছি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা সে আর বলতে!!
আমার মা এক জ্বীন আর আমি এক জ্বীনের বাচ্চা। হা হা হা হা
আগেই বলেছি মানুষ ভাবে এক হয় আরেক...... রোমান্টিকতা কখন বোমান্টিকতা হয়ে যায় নিজেও জানেনা মানুষ হা হা
বক্কু মিয়া বিদায় হয়েছিলো কিন্তু তার নিজের অজান্তে দেওয়া বদদোয়া বিদায় হয়নি নিশ্চয়!
দাদু তো ওমনই ছিলো নীরুর এক ঘায়ে তার দশটা পড়ে তার গুনে লোক খায় ও পরে হা হা হা
খোকাভাই অন্ধকারে দেখলো কেমনে এটাও বুঝলে না!!!!!!!!!!!!!
নীরু জ্বিনের হাতে তো হারিকেন ছিলো!!!!!!!!!!!
নইলে ঐ ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে বক্কুকে তার জ্বীন চেহারা দেখাতো কেমনে??
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
এই প্রথম খোকাকে স্বাভাবিক মনে হয়েছে ।
বক্কুর সাথে কিন্তু অন্যায় হয়ে গেলো ।
বেচারার পড়ালেখা টিউশনি সব ছেড়ে গ্রামে যেতে হলো ।
বিনা অপরাধে শাস্তি পেলো ।
নীরুর মা খুব বিচক্ষণ মানুষ, ঠিকই বুঝতে পেরেছে ।
নিশ্চয়ই সামনের পর্বে দেখা যাবে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪১
অপ্সরা বলেছেন: স্বাভাবিক???
খোকাভাই তো স্বাভাবিকই ছিলো শুধু পরিবেশ পরিস্থিতি তাকে বদলে দিয়েছিলো।
কোনো চোর কি চোর হয়ে জন্মায়, ডাকাত কি ডাকাত হয়ে?? পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক সময়ের ডিসিশন এসবই মানুষকে চালিয়ে নিয়ে যায়।
বক্কুর যে মেধা। এক্কেবারে ১০০ তে ২০০ তুমি কি ভেবেছো তার বাপ তারে পড়ালেখা না করায় ছাড়বে!!!!!!!!
আবার নিয়ে আসবে ঠিকই তবে এই বাড়িতে না।
হ্যাঁ তবে বিনা অপরাধে শাস্তি এটাই কষ্টের।
নীরু তো তখন অন্ধ ছিলো কারণ ভালোবাসা অন্ধ তাই বিবেক বুদ্ধি ছিলো বন্ধ!!
হুম নীরুর মায়ের মত বুদ্ধিমান মানুষ জগত সংসারে কম আছে।
যাক ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠেছো দেখে খুশি হলাম মিররমনি!!!!!!!!
ভেবেছিলাম ঘুমাচ্ছো!!!
তুমি আর শুভভাইয়ু একই দেশে থাকো একদিন হঠাৎ দেখা হয়ে গেলেও তো চিনতে পারবে না!!!!!!
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অসাধারণ!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪২
অপ্সরা বলেছেন: ঐ ভাইয়া তুমি কি গোফফু ভাইয়ার কথায় ভুই পেলে!!!!!!!!!!!!!!
নইলে ভয়ে ভয়ে অতাদালন কেনো শুধু!!!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: মুখ ভেংচানোর ইমো দিতে হবে সামুকে....
মানে রাগে মুখ ভেংচানো!!!!!!!!!!
৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাইরে আছি। পরে বিস্তারিত লিখব।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
অপ্সরা বলেছেন: তাই বলো!!!
ওকে ওকে আমি আমার শারদীয়া ভিডিও নিয়ে বিজি আছি তার মাঝে মাঝে উঁকি ঝুঁকি......
তাইলে নো ভেংচা ভেংচি ভিডিও!!!!!!!!!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: তোমাদের জন্য মিররমনি আর শুভভাইয়ু
ভাবীজীর জন্য তোমার জন্য না....
৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আজকের পর্বে প্লাস রইলো। কেনো?
আমি একবার ভূত হয়েছিলাম তাই।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া আরও ভূতের গল্প আছে আমারও।
তুমি তোমার গল্প বলো।
আর ফরিদপুরের ঐ মঠ সম্পর্কে কিছু জানলে বলো।
সম্ভবত মথুরাপুর সেটা
৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
ঘুম থেকে উঠেছি সেই কোন সকালে !!!
এখনতো বিকেল ।
ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে ।
সারাদিন কতো কাজ করেছি ।
বাইরেও গিয়েছিলাম ।
কিছুক্ষন একটু ফ্রি হয়েছি তাই এলাম ।
বলতে এলাম তোমার লেখা ভালো লেগেছে ।
তুমি আর শুভভাইয়ু একই দেশে থাকো একদিন হঠাৎ দেখা হয়ে গেলেও তো চিনতে পারবে না!!!!!!
সেটাতো ভালো ।
চেনা মন
অচেনা যে জন .......
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ওকে আমি আবার যাচ্ছি।
এইবার তোমার বাসায় উঠবো!!
৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আজকের পর্বে প্লাস রইলো। কেনো?
আমি একবার ভূত হয়েছিলাম তাই।
আমি একাধিকবার হয়েছিলাম ।
যে বা যারা ভয় পায়, তাদের ভয় দেখাতে মজা পেতাম ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
অপ্সরা বলেছেন: সবার গল্প বলো!!!!!!!!!!!! ভূতের গল্পগুলা!!!!!!!!
তার মানে আমরা সবাই ভূত!!!!!!!!!!
৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এতো মজা করে লিখতে পারেন!!! এতো মজার আইদিয়া কোথায় যে পান বুঝি না। খুব ভালো লেগেছে এই পরব। আপনি খুব ভালো গল্প বলতে পারেন।
কিন্তু এই গল্প তো লেখেন ২ জনের জন্য। আমাদের সব পরবে মন্তব্য করার দরকার নাই।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪
অপ্সরা বলেছেন: আইডিয়া হবে কেনো!
এসব লিখতে কোনো কষ্টই নেই কারণ সবই তো চেনা ঘটনাবলী হা হা হা
হ্যাঁ আমি যখন গল্প বলি সবাই শ্রোতা কারো মুখেই টু শব্দ থাকে না মানে এমনই বাঁচাল আমি সবার কথা বলা বাঁনচাল করে দেই।
যেমন ধরো আমি ছবি আপুনি মনিরা আপুনি আর মিররমনি আর তুমি আর শুভ ভাইয়ু যদি থাকো কোথাও তোমরা আমাদের কথা শুনতে শুনতে শুনতে অজ্ঞান আমি এক্কেবারে ১০০% শিওর .....
১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
একবার বোনকে ভয় দেখিয়েছিলাম আপু ।
অন্ধকার ঘরে ওয়ার্ডরোবের ওপরে উঠে সাদা কাপড়ে জড়িয়ে পুরো শরীর ঢেকে ঝাড়ু হাতে নিয়ে স্ট্যাচুর মতো বসেছিলাম ।
ও রুমে ঢূকে লাইট অন করে এই দৃশ্য দেখে ভয়ে চীৎকার !
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা
ইশ কি অবস্থা হয়েছিলো হার্টের চিন্তা করো।
একবার আমি অনিচ্ছাকৃত ভয় দেখিয়েছিলাম একজনকে।
সে রাতের ডিনারের পর আরামসে আহা উহু করে ডাইনিং রুম থেকে বেড রূমে ঢুকছিলো তখন ঘরের লাইট অফ ছিলো আমি দরজার পিছে। আমি আসতে করে মোটা গলায় ...... এ্যা ---- ই আর সে চমকে উঠে ওরে বাবারে মারে করে এমন দৌড় দেখলোওনা ভূত না মানুষ হা হা হা হা
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: ধ্যাৎ উত্তরের ঘরে না দিয়ে কমেন্টের ঘরে লিঙ্কটা গেলো।
প্লিজ তুমি এটা দেখো মিররমনি!!!!!!!!! হা হা হা
১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: এইটা দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ
প্লিজ দেখো!!!!!!!!!!!
১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
নেক্সট এখানে এলে মাস্ট ডল শপে যেও ।
অনেকগুলো লিংক দিয়েছিলাম ।
গতবার নাকি ডল কিনতে পারোনি ।
আরও কিছু টুরিস্ট এট্রাকশনের লিস্ট দিয়ে দিবো ।
মাস্ট ভিজিট ।
তানাহলে বোলবে নীলাকাশ ছাড়া আর কিছু ভালো লাগেনি ।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে মাস্ট স্প্রিং বা সামারে যেও, উইন্টারে না ।
তাহলে এঞ্জয় করতে পারবে ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
অপ্সরা বলেছেন: ডিসেম্বর তো উইন্টার না তাই না???
এছাড়া আমার ছুটি নেই তো!!!
১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: তিন পর্ব একসাথে পরে ফেললাম। অসাধারণ গল্প চলছে। অনেক মিস করে ফেলেছিলাম সব পড়েনিলাম।
তোমাকে গল্প লেখার রানী বানায়া দিলাম। পরে মুকুটটা দিয়ে দিবো।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: পরে টরে চলিবেক লাই।
এক্ষুনি দাও.......
যাও কিনে আনো হীরার মুকুট না হোক গল্পের মুকুট।
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
এখন স্প্রিং চলছে, সেপ্টেম্বর টু নভেম্বর ।
ডিসেম্বর পারফেক্ট টাইম, সামারের প্রথম মাস ।
দিন অনেক বড়, ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতে পারবে ।
ক্রিস্টমাস নিউ ইয়ার্সের সময়টা এখানে আসার জন্য রাইট টাইমিং ।
সেলিব্রেশন সময়, তাই অনেক ইভেন্ট আছে ।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের ফায়ারওয়ার্কস মাস্ট ভিজিট ।
সিডনিরটা ওয়ার্ল্ডের টপ চার্টের একটি ।
তোমার কি ভিসা অলরেডি আছে ?
না থাকলে এখন এপ্লাই করে ডিসেম্বরে আসা বেশি সময় নেই ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৭
অপ্সরা বলেছেন: গুড গুড গুড ভেরী গুড!!!
তবুও ২৪/২৫ এর আগে ছুটি নেই!!!
১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৪
মিরোরডডল বলেছেন:
আপু ভিডিওটা অনেক ফানি
থ্যাংক ইউ শেয়ার করার জন্যে ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৮
অপ্সরা বলেছেন: আজ সন্ধ্যায় তোমাকে আরেকটা ভিডিও দেবো। আমি আজ সারাটাদিন বাসায় আছি।
ইদানিং ভূতের মতন বিজি হতে হয়েছে আর রাত ৯ টু ১০ ঘুম এসে যায়।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার গল্প! +
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৬
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২০
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
দারুণ মজার গল্প লিখেছ। আমি প্রায় অর্ধেকটা পড়লাম। কারণ অন্য windowতে অন্য কাজ করছি। আবার মাঝে মাঝে তোমার গল্পও পড়ছি। নাগিন সিনেমাটা আমার খুব ভাল লেগেছিল। অমরেশ পুরীর কি ভয়ংকর অভিনয়। তুমি একজন দারুণ স্টোরিটেলার। অনেকটা সত্যজিৎ রায়ের তারিণীখুড়ো মত।
এই প্রথম খোকাভাইকে চরিত্রের ঋজুতা দেখলাম যে ভূতকে তো ভয় পেলই না উপরন্তু রোমান্টিক হল।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা মরে গেলাম হাসতে হাসতে আমি তাইলে তারিনীখুড়ি। হা হা হা
ঐ আমার খোকাভাই বুঝি ভীতু!!!!!!!!!!!!
সে দারুননননননননননননননননননননন সাহসী নইলে কি নীরুকে নিয়ে সেদিন ঐ নাদী পাড়ি দেয়!!!!!!!!
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি, ছিন্ন পালের কাছি, মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিবে খোকাভাই আছে আমি আছি.....
থুক্কু নীরু আছে এএএএএ
১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২২
একলব্য২১ বলেছেন: তারিণীখুড়ো
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
অপ্সরা বলেছেন: আরে তার কাছেই তো আমার গল্প বলা শেখা..... আর একটা কথা আমি কিন্তু সত্যিই স্টোরি টেলার।
দাঁড়াও আমার সর্বস্মীকৃত স্টোরি টেলারের ছবি আনছি.....
১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
একলব্য২১ বলেছেন: বুঝতা পারলাম না। কেন জানি লিংক যাচ্ছে না। ওকে পরে আবার আসব।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
অপ্সরা বলেছেন: লিঙ্ক এসেছে। তুমি তবুও আবার এসো।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
একলব্য২১ বলেছেন: হা হা হা তুমি পারোও। শরৎকাল, কাশবন, কাশবনের পাশে জলধারা, খুব সুন্দর শাড়ি, চমৎকার শাড়ির পাইর, লাল টিপ একদম শারদীয় পোষাকে শায়মা আপু দারুণ দারুণ হয়েছে। স্টিল ছবিগুলো আরো বেশি সুন্দর হয়েছে। তার সাথে "আমার রাত পোহালো শারদপ্রাতে" রবীন্দ্র সঙ্গীত। স্বর্গ থেকে মর্তে নেমে এসেছ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ শাড়িটা অবশ্য মিররমনিকে দেখানোর জন্য আর চুয়াত্তর ভাবীজীকে।
যেন ভাইয়াকে জ্বালায় আরও শাড়ি কিনতে পারে তাই।
আর এই সেই পূজার শাড়ি যেটা বিপ্লব সাহা আরও একটা ব্লাউজের পিস এনে দিয়েছে। সেটা পরে আরেকটা ভিডিও বানাবো আরেকদিন হা হা
হ্যাঁ স্বর্গে থাকতে দিলো না আমার এই অনলাইন। মর্ত্যে নামতেই হলো .....
২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
গানে কণ্ঠ কি তোমার আপু ?
গান, কাশফুল, আমাদের আপুটা সবকিছু খুব সুন্দর !
লাস্ট ইয়ারের এই ছবিটা আমার অনেক পছন্দ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
অপ্সরা বলেছেন: আরে না গানের কন্ঠ আমাদের প্রিয় ইমন চক্রবর্তীর।
আমার দুজন খুব খুব প্রিয়দের একজন আরেকজন শাহান বাজপেয়ী।
হা হা গত বছর এই ছবির পিছে আরেকজন ছিলো। মাথায় তার হিজাব দেওয়া। সে কাতুকুতু দেওয়ায় এই ছবির পোজের সৃষ্টি হয়েছিলো।
সেই হিজাবীকে ফোটোশপ দিয়ে আউট করে দিয়েছে মডুভাইয়ামনি ফটো এডিটর পেশালিস্ট।
২২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ভাবির শাড়িটা পছন্দ হয়েছে। কাশবন দেখে বিস্মিত হয়েছে। সে বলল যে আপনার কয়েকটা অ্যাঙ্গেলে ছবি খুব ভালো এসেছে। যেমন; 0:12 , 0:19, 0:39, 1:02, 1:12, 1:23, 2:02, 2:34, 3:27, 3:59, 4:16। নদীর দৃশ্যও নাকি ভালো ছিল। আমি দেখি নাই তাই সত্যি না মিথ্যা বলতে পারবো না। আমি দেখলে আরও অনেক কিছু লিখতে পারতাম।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংকু ভাবীকে। ভাবীকে বলো তুমি কিপটু তাকে এই শাড়ি না কিনে দিলে আমি কিনে দেবো ভালো ননদিনী হয়ে।
কিনে দেবার কারণ আমার ছবি সুন্দর বলেছে তাই।
তুমি দেখলে তো নদীর ধারে শিয়াল বিড়াল দেখবে তোমার চোখে কি আর ভালো কিছু পড়বে??
২৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মিরোরডডল বলেছেন:
আজকে তোমার পোষ্টের শুরুর ছবি নিয়ে কিছু বল ।
ওটাও কি তুমি
শুভ আর আপু ......
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
অপ্সরা বলেছেন: আরে না!!!!!!!!!
ঐ ছবি কই পাবো তাই তো নেট থেকে নিয়ে দিয়ে দিলাম।
দেখি দেখি এইবার আমার আর শুভ ভাইয়ুর ভিডিও গানা ....
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা গান শুনে আমি মুগ্ধ মুগ্ধ এবং মুগ্ধ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
এক্কেরে শুভভাইয়ুর মত দেখতে বেবিটা হা হা
২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
একলব্য২১ বলেছেন: এবার আসি তোমার এই পর্ব প্রসঙ্গে:-
এক্সিলেন্ট। সত্য মিথ্যা জানি না। তিলকে তাল বানিয়েছ কিনা তাও জানি না, জানতেও চাই না। বাট দারুণ লিখেছ। শব্দ, বাক্য, ছোট ছোট সূক্ষ্ম বর্ণনা সব মিলিয়ে অসাধারণ লিখেছ এই পর্ব। ওজার মলিন তালি দেওয়া আলখাল্লা আর বক্কুমিঞার পদ্মফুল আঁকা পেটরা এরকম অনেক বর্ণনাই দারুণ লাগলো। আর শেষ লাইনটা লিখে পাঠকের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিলে তারপর না জানি কি হয়।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা এইসব আমার চর্মচক্ষে দেখা বলতে পারো । লিখতে কষ্ট হয় না।
অনেকদিন থেকেই ভয়ের গল্পটা লিখতে গিয়েই লিখতে পারছি না।
তোমাদের মনে কষ্ট দিতে কষ্ট হচ্ছে।
২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
একলব্য২১ বলেছেন: মিরোরডল, খুব মজার গান। আমি কিন্তু ভিডিওর ঐ বালকে মত সুবোধ ছিলাম না কখনো। অসম্ভব দুরন্ত ছিলাম। ছাদে মাঠে সব সময় ছুটাছুটি করতাম। আমার মা আমাকে নিয়ে সব সময় অস্থির থাকতো।
চুয়াত্তর ভাই, বিশ্বাস করেন আপনার কমেন্ট আমাদের কাছে শায়মা আপু লেখায় একটি বাড়তি পাওনা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮
অপ্সরা বলেছেন: আসলেই কিন্তু চুয়াত্তর ভাইয়া গোফফু ভাইয়ার থ্রেট খেয়ে ভয় পেয়েছে। ভয়ে ভয়ে কমেন্টিং ....
২৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
ভিডিওর শাড়িটা ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার পূজার কালেকশন। যদি হয় মানতে হবে ওদের কালেকশন দারুণ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯
অপ্সরা বলেছেন: আরও একটা কিনেছি!!!!!!!!!!!!! হলুদ শাড়ি
সেটা দেখলে মিররমনি একদম পাগল হয়ে যাবেই.......
সেটা ফাল্গুনে পরবো।
আল্লাহ বাঁচায় রাখে যদি .....
২৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
শুভর হেয়ার স্টাইলটা কিন্তু জোস .....
ছাতা মাথায় দিয়ে বসে আপুকেও কিন্তু সেইরকম কিউট লাগছে ।
বাচ্চারা থাকো তাহলে ।
আমি যাই ।
এখন মুভি টাইম ।
গুড নাইট !
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা একদম ঠিক ঠিক।
যাও তাহলে ম্যুভি দেখো ।
আমি নেক্সট পার্ট লিখি।
ভাবি কষ্ট দেবো নাকি আনন্দ দেবো? হাসাবো নাকি কাঁদাবো?
২৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
অপ্সরা বলেছেন:
এটাই সেই সিড়ি। যেই সিড়ি আজ বলতে গেলে পরিত্যাক্ত। কেউ থাকে না আর ও বাড়িতে। কয়েকজন পুরোনো কাজের লোকজন ছাড়া।
শুনেছি ঐ বাড়ি ভেঙ্গে বহুতল ভবন উঠাবেন নীরুর চাচারা......
২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
একলব্য২১ বলেছেন: মাই গড!!! কি ছবি দিলে শায়মা আপু। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো।
ভাবি কষ্ট দেবো নাকি আনন্দ দেবো? হাসাবো নাকি কাঁদাবো?
সত্যটা। সত্য অধিকতর সুন্দর।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
অপ্সরা বলেছেন: গল্পে সত্য মিথ্যে কল্পনা জল্পনা যাই থাকুকনা কেনো এই সিড়ি কিন্তু সত্যি!
অতি সত্যি এবং কত শত গল্পের সাক্ষী হয়ে আছে এই সিড়ি।
এটা আমার যশোরের নানুবাড়ির সিড়ি। এই সিড়ির উপরে যে ছাঁদ ছিলো সেই ছাঁ এখনকার দিনের মত টাইল বসানো ছিলো না। খরখরে সিমেন্টের ছাঁদ। সেই ছাঁদ বৃষ্টির দিনে কোনায় কোনায় শেওলা জমে যেত। কি যে সুন্দর সবুজ ভেলভেটের মত সেই শেওলা বা মস। জানো আমি আমার রাজপ্রাসাদের ছাঁদের বাগানেও এমন মস তুলে একটা টবে রেখেছি। এই মস রোদ লাগলে মরে যায় তাই তার জন্য আবডালে শেত শেতে জায়গা খুঁজে দিয়েছি।
ঐ ছাঁদের রেলিং আমি চোখ বুঝলেই সেই ছবিটা দেখতে পাই। বুক সমান উঁচু রেলিং ছিলো।
একপাশে দুইটা ঘর। ঘর দুইটা দেখা যাচ্ছে না।
সত্য সুন্দর না। সত্য কঠিন এবং মানুষ সহ্য করতে পারে না সহজে.....
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: তুমি কি নিমের গাছ দেখেছো? নিমফলগুলো আরেক রহস্য। রাবারের মত হালকা সবুজ ছোট ছোট ফল। আর নিমফুল তো খুব খুব সুন্দর। এই বাড়ির নিমগাছটা ছাঁদে এসে পড়েছিলো। নিমফলে ছেয়ে থাকতো ছাদের কোনা ঘাচি। বড় কুল বরই এর গাছ ডাব তাল আরও কত শত গাছ যে ছিলো সারা বাড়িটা ঘিরে। সেদিন মিথ্যে ভূতের বিচার বসেছিলো কিন্তু আজ সেখানে বক্কুমিয়ার সত্যিকারের ভূতেরাই বাস করে।
আমি একদিন ছোটবেলায় এই বাড়ির উঠোনে পুকুর খোড়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। আমি আর আমার কাজিনেরা মিলে শুনেছিলাম মাটি খুঁড়লে পানি ওঠে আর তাতে হয় পুকুর।
আমাদের অত বড় পুকুরের দরকার ছিলো না।
আমার উন্নত মস্তিকের ক্রিয়েটিভিটিতে শুরু হলো ছোট্ট একটু পুকুর খোড়ার কাজ।
কয়েকটা শক্ত পোক্ত কাঁঠি দিয়ে আমরা কয়েকজন মিলে শুরু করেছিলাম উঠোনেই পুকুর খোড়া আমাদের পুতুলের ঘরবাড়িতে কলসী কাঁখে পুতুলদেরকে পানি আনাবার জন্য।
সেই কাঁঠির খোড়াখুড়িতে গর্ত বড় হলো কিন্তু পানি তো ওঠে না। পরদিন বৃষ্টি এসে ভরিয়ে দিলো সেই ছোট্ট পুকুর। কিন্তু পরদিনই খরা এসে পুকুর শুকিয়ে গেলো।
৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২
একলব্য২১ বলেছেন: ধর্ম গ্রন্থ সত্য কথা বলতে বলে।
আদর্শলিপি বলে "অপ্রিয় সত্য কথা বল না।"
তুমি বলছ "সত্য সুন্দর না। সত্য কঠিন এবং মানুষ সহ্য করতে পারে না সহজে....."
এগুলো সবই সত্য।
সেদিন আমার মন খারাপ ছিল কারণ আমি একজনের সামনে চরম সত্য কথা বলেছিলাম। সে নিশ্চুপ হয়ে গেছিল। আমার এই সত্য কথন আমাদের সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমার মন খারাপ হয়ে গেছিল। সেই তুচ্ছ সত্য না বললেই ভাল হত।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: আহালে পুচ্চু ভাইয়ু!!!
হা হা আজকালকার ছেলেমেয়েরা সহজ কথা সহজে বলে ফেলে মানে সত্য। আমাদের ছোটবেলায় এসব ছিলো না মা যদি চরম অসত্যও বলে বলতো এটা সত্য বাবা যদি ১০০% মিথ্যাকে বলতো এটাই সত্য আমরাও ইয়েস ইয়েস করতাম।
আর এখনকার ছেলেমেয়েরা সত্য বলতে একটুও দ্বিধা করে না।
কিছুদিন আগে আমার এক কাজিনের বুড়া ধামড়া ছেলে তার গ্রাম থেকে আসা এক আত্মীয় মানে তার ফুপুর দেবর এসেছে।
সে তার সামনেই ফোনে বন্ধুকে বলছে আমাদের একজন ডিসটান্স রিলেটিভ এসেছে।
সে যদিও ডিসটেন্সেরই তবুও মহা রাগ করেছে এই সত্য কথনে।
৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
একলব্য২১ বলেছেন: একজন ডিসটান্স রিলেটিভ এসেছে।
এভাবে কারও সামনে বললে কাউকে ছোট করা হয়। এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত।
আমারটা ভিন্ন ছিল। এখন আমি ঠিক করছি এ সমস্ত ক্ষেত্রে মৌনব্রত পালন করবো।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৭
অপ্সরা বলেছেন: না মৌনব্রত পালনও ঠিক বুদ্ধিমানের কাজ না।
আসল কাজ হলো যে কোনো প্রশ্নকে ফেস করা এবং বুদ্ধির সাথে ডিল করা যেন সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে।
আর কোন কথার কোন প্রতিক্রিয়া তা আগে থেকে একটু বুঝতে হবে।
সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানুষ অবজার্ভ করা।
কে কেমন একটু বুঝার চেষ্টা করা ও সেই মত চলা।
৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৮
একলব্য২১ বলেছেন: আমি নিম গাছ দেখেছি কিন্তু ফলটা কেমন ছিল মনে করতে পারছি না।
আমি খুব ধন্দে ছিলাম। তালগোল পাকিয়ে গেছিল এই গল্পের প্লটের স্থান নিয়ে। বোগেনভেলিয়া ফুল গাছে সেই বাড়ি ছিল পুরাণ ঢাকায়। এবার বলছ যশোরে। আমি confused হয়ে গেছিলাম। এখন সব পরিষ্কার হল।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১১
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা হা
যদি বলি এই নানুবাড়ির ছাদেই খোকাভাই ছিলো।
গল্পটা ঘুরিয়ে দাদুবাড়ি বানানো?
তাহলেও তো মিলাতে পারবে না হা হা হা
৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২১
একলব্য২১ বলেছেন: তাহলেও তো মিলাতে পারবে না হা হা হা
না, সেটা মিলাতে পারবো। লেখকের সেই স্বাধীনতাকে আমি honor করি।
তোমার অনেক গল্পে কবিতায় চিলেকোঠার কথা বারবার ফিরে আসে। এক কবিতায় তুমি বলেছিলে চশমা পড়া একজন সেখানে থাকতেন। আজ আমার কাছে অনেকটা পরিষ্কার হল আসলে চিলেকোঠাটা কোথায়।
শায়মা আপু, কবিতা, কঙ্কা এদের চিনতে পারাটা অতটা মুশকিল না। মানুষ নিরাকার ঈশ্বরকে ধরে ফেলে আর তুমি তো মাটির মানুষ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা শুনো আমার লাইফে কোনোদিন কোনো অনলাইনের মানুষকে আমি আমার বাড়িতে আনতে চাইনি।
কিন্তু তুমি বাংলাদেশে আসলে সত্যি আমি তোমাকে ধরে আনবো আমার বাসায়।
তুমি তখন নিজের চোখেই আমাকে আমার বাড়ি ঘর আশ পাশ আমার সাথের মানুষদেরকে দেখো ...... হা হা হা হা
৩৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মন্তব্যঃ
একলব্য ২১ ঃ ১২ টি
সাচু ভাই ঃ ৪ টি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: ঐ তুমি আবার এসে ওদের কমেন্ট গুনাগুনি শুরু করছো!!!!!!!!!!!!!!
একলব্যভাইয়ুকে ভয় পাওয়াতে পারবে না। সে নির্ভিক।
কিন্তু সাচু ভাইয়া তো তোমার ভয়ে একদম আজকে টেবিলের তলা থেকে মাত্র ৪ বার উঁকি দিলো।
শুধু সাচু ভাইয়া না ভাবীজীও ভাইয়াকে ধরে রেখেছে যেন কথা না বলতে পারে......
খবরদার আর যদি সাচু ভাইয়াকে ভুই দেখাবা......
৩৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৩
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
আচ্ছা আমাকে নিয়ে মজা নাও। আমি এখন একটা জটিল অংক পড়বো। আবার পড়ে শেষ করে অনলাইনে আসার ইচ্ছা রাখি। আপাতত বাই।
গোফরান ভাই এইটা কি লিখলেন। একটু আলোকপাত করেন।
মেয়ে মডেলরা নাকি Lasix tablet খেয়ে নাকি ওজন কমায়। সত্য নাকি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫০
অপ্সরা বলেছেন: না না মজা নেবো কেনো? সত্যি কিন্তু আমার বাসায় তোমার দাওয়াৎ!!!!!!! আসলেই জানাবে ওকে!!!!!!!!!!
ওকে এখন পড়তে যাও।
এই ট্যাবলেটের নামও তো জীবনেও শুনিনি।
প্যারালাইসিস টাইপ ট্যাবলেট দেখি হা হা হা
৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভিডিও দেখে আপনার ভাবি জিজ্ঞেস করলো এই শিল্পীটা কে। আমি বললাম এই শিল্পীর নাম শায়মা হক। কিছুক্ষণ সে মনোযোগ দিয়ে আপনাকে দেখল আর গান শুনলো। গান কে গেয়েছে এটা অবশ্য জিজ্ঞেস করেনি, আমিও বলিনি।
গোফরান ভাই মজা করছে। এটা কোন সিরিয়াস কিছু না। তবে আপনাদের মত এত খুনসুটি আমি করতে পারি না। এটাই মূল সমস্যা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭
অপ্সরা বলেছেন: তুমি হলে সর্বকালের সর্ববিদ্যার ঠোঁটকাটা নির্ভিক কিন্তু সত্য কথন তিতা কমেন্টার।
তুমি আবার পারো না!!!!!!!!!!!!!
৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: না, মডেলরা দিনের একটি বিশেষ সময় জিমে স্পেন্ড করে ফলে তাদের ফিটনেস ঠিক থাকে।ট্যাবলেট খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব না। এমন কি কেটো ডায়েট করেও না।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৮
অপ্সরা বলেছেন: এটাই সত্য কথা। এক্সারসাইজ জিম ছাড়া খানা পিনা ছেড়ে কোনোদিন কিছুই হতে পারে না।
নাচ ছাড়লেও অবশ্য একদিন কি হতে হয় আমি জানি।
নাচও এক এক্সারসাইজ জিমের বড় ভাই।
৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বক্কু মিয়ার কাহিল অবস্থা দেখে তো আমার চক্ষু উঠের দশা !! হাহাহাহাহা
খোকা ভাই তো জিনিয়াস হিহিহি। আমি তো চিন্তা করেই মজা পাচ্ছি, পেত্নী আর ভূতের প্রেম যদি বক্কু আবার দেখতে পেত তাহলে জ্ঞান আর ফিরতোই না।
আচ্ছা আচ্ছা সেই ওঝা দেখে নীরুর তাহলে আত্মারাম খাঁচা হয়েছিলো! আসলে বয়স তো অল্প ছিল। নীরুর মায়ের অভিজ্ঞতায় বেশ ঋদ্ধ বলতেই হবে। এবং উনার গর্ভে সম্ভব নীরুর মত মেয়ে জন্ম দেয়া।
দাদু চরিত্রটা কিন্তু আমাকে মুগ্ধ করছে প্রতি পর্বে।
আর এই যে জল্পনা কল্পনা সেসব তো কয়েকদিনের কাজের ফাঁকের সবচাইতে বড় বিনোদন, এসব গল্প যে কত ডালপালা মেলে আর মোটামুটি সবার চাচির ঘরের খালার ছেলের বা মেয়ের ননদদের অভিজ্ঞতা থাকে।
শাড়ি নিয়ে কথা উঠলেও সেটাকে বাড়তে না দেয়ার পিছনে নীরুর মায়ের হাত থাকতে পারে?
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৪
অপ্সরা বলেছেন: বাপরে!!!
তোমার যে কমপ্রিহেনশন ক্ষমতা মনোযোগের ক্ষমতা এবং শব ব্যবচ্ছেদের ক্ষমতা!!!!!!!!!
আমার জানতে ইচ্ছা করে তোমাদের রেজাল্ট সবার কি কি ছিলো এস এসি এইচ এস সি তে!!!!!!!!!!!!!!!
বক্কুমিয়ার জন্য আমার কিন্তু দুক্কু লাগে। ঢং না সত্যিঈঈঈ ! বেচারা পরিস্থিতির শিকার হলো।
হা হা সেই অমাবশ্যার রাতে ভূত পেত্নীদেরকেই প্রেম করতে হয়। হি হি হি খোঁনা খোঁনা গলায়।
নীরুর মা বলতো, ওরে আমারে ফাঁকি দেওয়া!!!!!!! ভূতের বাবার সাধ্য নহে। ওর পেটে আমি জন্মাইছি নাকি ও আমার পেটে!!!
যাইহোক দাদুটা এমনই ছিলো তো।
ও হ্যাঁ পরের পর্বে আসছেন ফুপুগন.......
তিন কন্যা দান হয়েছে বলে ওদের কথা তো আনাই হলো না। তারা অবশ্য উৎসবে পার্বনে আসন গেড়ে বসতেন।
শাড়ির কথা তো শুধুই সেদিনের কথা বলেছি পরদিনের কথা লিখিনি তো...... হা হা হা
৩৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৩
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: অসাধারন লেখা, অনেক ভালো লাগলো। অদ্ভুত একটা মাদকতা আছে গল্পে ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া!!!
৪০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নীরুর মা বলতো, ওরে আমারে ফাঁকি দেওয়া!!!!!!! ভূতের বাবার সাধ্য নহে। ওর পেটে আমি জন্মাইছি নাকি ও আমার পেটে!
হাহাহাহ এই ডায়লগ কিন্তু বাংলার প্রতি ঘরের কমন। হয়ত আমাদের জেনারেশনে এসে এর ব্যাতয় হবে।
হুম নীরুর ফুপু !!!
বংশের মেয়ে বলে কথা!! দেখা যাক ফুপুদের ও দেখি।
ওকে ওকে শাড়ি নিয়ে কান্ডের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ আমরা এই সব পেটে জন্মাইসিস মিস বলি না। আমরা নায়িকা টাইপ।
যাইহোক জ্বীনের শাড়ি রাখো আমার শরতের শাড়ি দেখেছো!!!!!!!!!!!!
৪১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হুম দেখে এসছি তো !!
মন্তব্য ও করেছি সেখানে গিয়ে দেখো।
আর এই শাড়ি কিনতে গিয়ে তুমি তোলপাড় করেছিলে রঙ এ হাহাহাহা।
তবে শাড়ি টা দুর্দান্ত !! তোমাকে তো সবসময় সব কিছুতে মানায়।
আমার নিজের ও সাদা শাড়ি অনেক পছন্দের। রঙ এ খুব কম যাই অনলাইনে নেই।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৯
অপ্সরা বলেছেন: রঙ অঞ্জস সবই আমার দোকান। তবে এই শাড়ি বিশ্বরঙ্গের। রঙের চাইতেও এখন বিশ্বরঙ বেশি সুন্দর নতুন নতুন রঙে ও ঢঙে।
আমার অনেক অনেক সাদা শাড়ি লাল পাড় নীল পাড় সবুজ পাড় রংধনু পাড় আছে তো!!!!!!
তবে এই দুই বছরে একটু শাড়ি কেনায় ভাটা ছিলো। নাচা গানা কোনো একটিভিটিই তো ছিলো না। কি করবো শাড়ি কিনে আর!
৪২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৩
একলব্য২১ বলেছেন: ভালোই গ্যালারী শো করতাছো হা হা হা। শাড়ির আচলটা অনেক সুন্দর। সত্যই খুব সুন্দর শাড়ি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১০
অপ্সরা বলেছেন: ইনস্পায়ার্ড ভাই গোফরান ভাইয়ার ক্রমাগত মডেল মডেল পোস্টুগুলা...... হা হা
কিন্তু তুমি পড়ালেখা ছেড়ে এইদিকে কি!!!!!!!!!!!!!
যাও অংক শেষ করে আসো!!!!!!!!!!!!
৪৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:
মডেল শায়মা শাড়ির ফটোশ্যুট করসেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৩
অপ্সরা বলেছেন: কি আর করবো!
তুমি রোজ রোজ শুকনা পাতলা হ্যাংলা জিম করা কষ্ট করা না খেয়ে খেয়ে স্লিম থাকা মডেল এনে এনে আমাকে শাড়ি জামা দেখিয়ে দেখিয়ে আমার খেয়ে দেয়ে আরামে থেকে বসে বসে লিখে লিখে মটু শাড়ি মডেল হতে ইনস্পায়ার্ড করেছো। এর দায় তোমার!
তুমি আামাকে লেখিকা থেকে মডিলা হতে ইনস্পায়ার্ড করেছো। সব দায় দোষ গন্ডগোলের দায়ভার তোমাকেই নিতে হবে....
৪৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: বিকেলেই পড়েছিলাম!
কত কূটবুদ্ধি যে আপনার মাথায় আসে
আপনার দাদা চরম ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন। এমন গোঁড়ামি মুক্ত মানুষ বিরল।
*লেখা্র মধ্যিখানে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন। খানিকটা এলোমেলো মনে হয়েছে!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আসলেই এতই পাঁজি ছিলাম আমি!!!!!!!!!
কিন্তু নীরু কি আমি নাকি!!!!!!!!
লেখার মধ্যখানে কি করেছি জানিনা তবে আমি অনেক তাড়াহুড়া টাইপ ঝামেলাই থাকি আজকাল...
৪৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৩
একলব্য২১ বলেছেন: The pen is mightier than the sword.
তুমি কি সব লেখ। আমরা পাগলরা এই সব পড়ার জন্য কাজকাম বাদ দিয়ে সামুতে হুমড়ি খেয়ে পড়ি। এই লেখা নিয়ে নানা analysis হয়, চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ হয়। আবার আমরা অপেক্ষা করি পরবর্তী পর্বের জন্য। আর আমাদের এই পাগলামি দেইখ্যা তুমি দাঁত কেলাইয়া হাসো। কি আজব দুনিয়া। হা হা হা।
গুডনাইট।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা সত্যি কিন্তু হাসি।
কিন্তু লেখার সময় কাঁদি ও হাসি।
এখনই কাঁদিনি কিন্তু।
যাও যাও এত রাত জেগে আছো কেনো?? ঘুমাও.....
৪৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:২৩
কামাল৮০ বলেছেন: ভূত সেজে বক্কুমিয়াকে তাড়ানোর অভিযান সফল।ভূতকে হাতে নাতে ধরে খোকা ভাই সাজা না দিয়েই ছেড়েছিলো,বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।সাজার কথা চেপে যাওয়াই ভালো।ঠিক যেমন চেপে গিয়েছিলো গ্রামের কথা।এখানেই লেখক সফল।কিছু বিষয় পাঠকের চিন্তার জন্য ছেড়ে দেয়।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪০
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া!!!
তুমি কোথায় ছিলে?
হা হা বক্কুমিয়াকে আউট করে দিয়েছি।
আর খোকাভায়ের সাজা গ্রামের ঘটনাবলী সব সব পুঙ্খানুপুঙ্খ লিখলে মাইর খেতে পারি। তার থেকে যে যা খুশি ভেবে নিক।
তবে কেউ কেউ ভাবনাটা লিখলেও নো প্রবলেমো!!
তুমিও লিখতে পারো কি ভাবছো হা হা হা হা
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৬
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া তোমাকে একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
আমি অচেনা নিকে লিখলে হয়ত এত চাপাচাপি নিয়ে ভাবতাম না।
চেনা নিকে আমি অচেনা হয়ে যাই।
হা হা
৪৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই গল্পটা দিয়ে একটা ভালো মানের চলচ্চিত্র কিংবা নাটক করা সম্ভব। আপনার গল্প বলার স্টাইলটা ভালো। এক লাইন পড়লে আরেক লাইন পড়ার আগ্রহ জন্মে। অনেকের লেখা কষ্ট করে পড়তে হয় কিন্তু আপনারটা পড়তে ক্লান্তি লাগে না। আপনি লেখালেখিকে কি সিরিয়াস ভাবে নেন? নাকি .....।
যদি এই গল্পটা দিয়ে আপনাকে একটা সিনেমা বা নাটক তৈরি করতে বলে তাহলে আপনি নীরু এবং খোকাবাবু চরিত্রে কোন অভিনেত্রী বা অভিনেতাকে নেবেন?
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমি সত্যিই যে একজন স্টোরী টেলার বিশ্বাস হচ্ছে না না???
নানা স্কুলে আমি বাচ্চাদেরকে গল্প শুনাই। মানে আমাকে ইনভাইট করা হয় গল্প শুনাতে বাচ্চাদেরকে।
আর বুড়াদেরকে শুনাই এই ব্লগে। হা হা হা হা
আমি লেখালিখিকে সিরিয়াসভাবে নেই। মানে আমি যখন গল্প লিখি বা কবিতা লিখি আমি অনেক সিরিয়াস হয়ে যাই। লিখতে লিখতে ভুলে যাই কোনটা আমি আর কোনটা নীরু কিংবা কবিতা আপামনি।
আমি সে কটা দিন ঐ গল্পের বাড়িতে গল্পের দিনগুলোতেই বাস করি। ঘুরি ফিরি খাই কাজ করি কিন্তু তখন আমি সেই মানুষদের একজন।
যাইহোক আমি যদি একটা নায়ক এবং নায়িকা নেই তবে কাকে নেওয়া যায় ভাবছি।
উফ কি যে বিপদে ফেললে.......
যাইহোক অভিনয়ে ভালো করবে তিশা আরেকজন ভালো করতে পারে সারিকা।
আর খোকাভাই আফরান নিশো। কিন্তু সে তো আবার রেগে মেগে কাই হওয়া অভিনয় করে। তার বদলে অপূর্বকে নেওয়া যেতে পারে।
আর সিনামে হলে পরীমনিকে নেওয়া যায়। চঞ্চলা চরিত্রের জন্য। কিন্তু অভিনয়টা আমাকেই শিখাতে হবে।
আর সিনেমার খোকাভাই অবশ্যই রাজ......সে একজন অতি বড় অভিনেতা আমার মতে।
সেও অবশ্য পরীমনিকে অভিনয় শেখাতে পারে। আর অতি বোকা বোকা আহলাদীপনা বন্ধ করে।
৪৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্লগের বদৌলতে আপনার মত একজন ভালো গল্পকারের সাথে পরিচয় হল (ভার্চুয়ালি)। এই কারণে সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইন্টারনেট না থাকলে এত কিছু জানতাম না। এই কারণে ইন্টারনেট যে ব্যক্তি আবিষ্কার করেছে তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বইটা কোথায় পাওয়া যায়?
তিশা সবচেয়ে পারফেক্ট হবে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা সত্যিই ভাইয়া আমি যখন গল্প বলি তখন বাচ্চারা পিন ড্রপ সাইলেন্সে থাকে হা হা হা আমার কিন্তু তাদের অমন হা করা মুখ দেখে অনেক হাসি পায় মনে মনে কিন্তু আমি আসলেই গল্প বলতে ভালোবাসি।
যাইহোক সে সব বাচ্চাদের গল্প। আর এসব কেনো লিখি আমি জানিনা.... তবে চেনা নিকে লিখলে বাঁধো বাঁধো লাগে। অচেনা নিকে লিখলে একটু মনের অর্গল খোলা যায়। এই নিকে লিখতে এসে তাই অনেকখানেই মনের অর্গল দিতে হলো।
হৃদয়ে বাংলাদেশ শুধু আমার বাড়িতে পাওয়া যায়।
হানিফ রাশেদিনের প্রতিকথা প্রকাশনীতে থাকতে পারে। আমার কাছে আর নেই। সেটা কিশোর ছড়া কবিতার বই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শেখ মুজিবর রহমান, কাজী নজরুলের জীবনী ছড়ায় ও ছন্দে লিখেছিলাম। আরও আছে নানান উৎসব খেলাধুলা ফুল ও ফলেদের কথা।
হ্যাঁ অভিনয়ে সে সবচেয়ে ভালো করবে।
৪৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০০
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
তুমি যখন যে গল্প লিখ, তখন সেই চরিত্রের মধ্যে বাস কর তাই তো। যেমন ধর নীরু, তুমি শুধু কি লেখার সময় পর্যন্তই নীরু, নাকি ২৪ ঘণ্টাই নীরু চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকো। তারপর গল্প শেষ আর তুমি আস্তে আস্তে নীরু চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসলা। আমি জানতে চাচ্ছি নীরুর প্রভাব সারাদিনে কতক্ষণ পর্যন্ত তোমার মধ্যে থাকে। আর এই প্রভাব নিয়ে বাড়ি, স্কুল বা অন্য কাজের ক্ষেত্রে মানুষের সাথে স্বাভাবিক শায়মা হকের আচরণ তুমি করতে পারো। না কি নীরুর চরিত্র কারণে ব্যাঘাত ঘটে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৭
অপ্সরা বলেছেন: শুনো ভাইয়া ছোটবেলা থেকে আমি অনেক ট্রাভেল করেছি। যেমন ধরো আমি যখন রংপুরের হাইওয়ে দিয়ে ছুটে যেতাম বড় বড় হাই ওয়ের ধারে হঠাৎ কোনো কুড়ে ঘর, সেই ঘরের পাশে ঠিক আমার ছবির খাতায় আঁকা ছবির মত কলাগাছ ঝোঁপঝাড়। রোদে তারে মেলে দিয়েছে সেই গৃহস্ত বউ তার কাঁথা কানি।
হয়ত গরুদেরকে এক গাদা খাবার মেখে দিয়েছেন তার শ্বশুর বা বুড়োমতন ও বাড়ির কর্তা কেউ।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা উঠোনে খেলছে বড় কোনো নারকেল ডালের শুকনো পাতায় বসে অন্য কয়েকটা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এসব দেখে আমি কল্পনায় ভেসে যেতাম। ঐ এক মুহুর্তের বাড়ির ছবি থেকে আমি হয়ত সারা রাস্তায় ও বাড়িতে বউটা এর পর রান্না চড়ালো, লোকটা খেতে আসলো। ভাত বেড়ে দিলো এসব ভাবতে ভাবতে রংপুর চলে যেতাম।
আবার ধরো মোবারকগঞ্জ বা কালীগঞ্জের হাইওয়েতে কি যে সুন্দর সব বড় বড় গাছে ঢাকা পথ ছিলো সেই পথের মায়া কি যে সুন্দর। অজপাড়াগায়ের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেত নানা রকম ঢংে নানারকম তেল চুকচুকে চুল আর স্কুলড্রেসে তখন আমি লিখতাম না আমি ভাবতাম আমিও ঐ বাড়ির ঐ ছেলেমেয়েদের একজন। আমিও অম করে চুলে বেনী করে স্কুলে যাচ্ছি হেঁটে হেঁটে। লাল নীল আইস্ক্রিম বা হাওয়াই মিঠা খাচ্ছি মনের আনন্দে।
আবার পথ ফুরোতেই ফিরে আসতাম বাস্তবে।
আবার হয়ত ঘুমুতে যাবার আগে আমি হয়ে যেতাম ঐ স্কুল থেকে ফিরে আসা ঐ বেনী দুলানো মেয়েটাই সে ঘুমাতে যাচ্ছে।
আমার এক ইমাজিনারী ওয়ার্ল্ড ছিলো আর ছিলো এখ ইমাজীনারি ফ্রেন্ড হা হা
ওহ তোমাকে একটা লেখা পড়তে দিতে হবে ......
আহা জীবন কত সুন্দর!
তাই না বলো?
৫০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ একলব্য২১ ভাই- আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারি।
তবে উত্তর শুনলে অপ্সরা আপু আমার উপর ক্ষেপে যেতে পারে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭
অপ্সরা বলেছেন: বলো দেখি..... খেপবো না। তোমার উত্তরের পর আমার উত্তর দেবো।
৫১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১১
একলব্য২১ বলেছেন: চুয়াত্তরভাই,
জলদি দেন।
আমার মনে হয় সব গাঁজাখুরি গল্প লিখে আমাদের সাথে মজা নেয় অপ্সারা আপু। আর নিজে নিজে হাসে।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৪
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা আই এ্যাম অলসো ওয়েটিং ফর চুয়াত্তর ভাইয়া কমেন্টো......
আর আমি সব সময় হাসি...... সব কিছুতেই আমার হাসি পায়...... তাই কত মানুষ আমার উপর খেপে যায়!!!!!!!!!!!
আমি একজন হাসি খুশি মানুষ জানোনা?????????
দুঃখকে নো পাত্তা...... ফুহ!!!!!!!!!!!!!!!!
৫২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দ্রুত যে কোন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেন। ফলে এক মনোজগৎ থেকে আরেক মনোজগতে যাওয়া আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে সমস্যা হয় না।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!!!!
একলব্যভাইয়াকে তো আরও কনফিউশনে ফেলে দিলে .....
৫৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৫
একলব্য২১ বলেছেন: একলব্যভাইয়াকে তো আরও কনফিউশনে ফেলে দিলে ...
একদম।
চুয়াত্তর ভাই,
একটু ঝেড়ে কাশুন।
আমার মনে হয় এই সমস্ত গল্পের কিয়দংশ সত্য বাকি সব কল্পনা প্রসূত। বিশেষ করে আমি বোকা তাই গল্পের সব কথা বিশ্বাস করতাম। নানান গল্প পড়ে আমার মাথা তালগোল পাকিয়ে গেছে।
তাই আমি এখন সংশয়বাদী।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৮
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া আমি অনেক অনেক অনেক হাসাছি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তোমার ভয়ে আমাকে কত ভেবে চিন্তে কথা বলতে হয় জানো???
তুমি কষ্ট পেয়ে যাও কিনা এই ভয়ে .......
উপরে কি লিখেছি পড় আর ভাবো আবার পড় আবার ভাবো......
ভাবুক হও ভাবুক.......
এত অস্থির হলে চলবে???
৫৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @একলব্য২১ ভাই আপনিও ঠিক বলেছেন। তবে আমার মনে হয় সিঁড়ি বেয়ে উঠে চিলেকোঠায় গিয়ে খোকাভাইয়ের সাথে গাঁজা খায়। তারপর এগুলি লিখে।
পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক গাঁজা খেয়ে লিখতেন। যেমন শেক্সপিয়ার, অ্যালেক্সান্ডার দুমা, ভিক্টর হুগো প্রমুখ।
আমাদের নিরমলেন্দু গুণ গাঁজা না খেয়ে লিখতে পারে না।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: গাঁঞ্জা!!!!!!!!!!!!!!!!
হায় আমার গল্পের ইতি ঘটাও কেনো!!!!!!!!!!!!!!!!
গাঞ্জার কথা তো ধীরে ধীরে আনবো ভেবেছিলাম!!!!!!!!!!!!
৫৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৯
একলব্য২১ বলেছেন: এটা পড়ো ভাইয়ুরা
অবশ্যই পড়বো।
আমার কেন জানি মনে হয়। ব্লগে একদম প্রথম দিকে তোমার লেখায় বস্তুনিষ্ঠতা অনেক বেশি ছিল। এখন তুমি অনেক কল্পনার আশ্রয় নাও লেখার খাতিরে সাহিত্যের মানের জন্য।
তোমার গোঁড়ার দিকে সব লেখা আমার পড়ার খুব ইচ্ছা। কিন্তু সময় পাচ্ছি না।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৫
অপ্সরা বলেছেন: না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তখন আমার দুঃখ বিলাস ছিলো!!!!!!!!!!!!!!!!
এখন আমর সুঃখ বিলাস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
অনলি সুঃখ বিলাস!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
৫৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৬
একলব্য২১ বলেছেন: চুয়াত্তর ভাই,
স্যার আর্থার কোনান ডয়েলও নানান ধরনে নেশা করে তারপর লিখতেন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও মদ্যপ অবস্থায় ঘোরের মধ্যে মাঝে মাঝে লিখতেন। সেই ভিডিও ক্লীপও আমি দেখেছি।
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: হায় হায় তাহলে আমিও করবো!!!!!!!!!!!
কোনটা করবো ভাবছি....... তাই বলে ভেবোনা অলরেডি আমি গাঞ্জা খেয়ে মাঞ্জা মেরে লিখছি!!!!!!!!!!!!
নেভার এভার.......
আমি তো জাঁতে মাতাল কিন্তু তালে ঠিক মানে জাঁত মাতাল হলেও আমি মাতাল হই না কিন্তুক কইলাম!!
৫৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৪
একলব্য২১ বলেছেন: তুমি গাঞ্জা খাও না সেটা আমরা জানি। কিন্তু মাঞ্জা অনেক মারো।
চুয়াত্তর ভাই থ্যাংক ইউ।
শায়মা আপু গুড নাইট। পরের পর্ব কবে আসছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৬
অপ্সরা বলেছেন: শুনো এতক্ষন রিপোর্ট কার্ডে টিক মারছিলাম আর তোমাদের সাথে ফান করছিলাম।
এই সপ্তাহে আমি পাগলা বিজি।
তবে নেক্সট পর্ব ইনশাল্লাহ নেক্সট স্যাটারডে!!!!!!!!!
৫৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গাজা খাওয়ার মধ্যে অন্য রকম একটা ফীল আছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা তাহলে আমাদেরকে গাঁজা খাবার দাওয়াৎ দাও ভাইয়ু।
৫৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি তো গাজা খাইনা। মাঝে মাঝে ফীল নেই। সীসা খাওয়ার দাওয়াত দিতে পারি।
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ওকে ওকে তাই হবে। সীসা খেলে মনে হয় আরও ভালো গল্প কবিতা লিখতে পারবো মনে হচ্ছে। হা হা হা
৬০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একলব্য ২১ ভাইকেও কেও আনিয়েন। তারে আমি লাইল করি।
১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০০
অপ্সরা বলেছেন: লাইল করা কি? এই কথা শুনলে তো একলব্য ভীতু ভাইয়ু মানে না বুঝে আগেই দৌড় দেবে। বরং চুয়াত্তর ভাইয়াকে ধরে গাঁজা সীসা আরও যা যা আছে সব খাওয়ানো যাবে।
৬১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বীন-ভুতে বিশ্বাস না করলেও, এসব নিয়ে গল্প শুনতে ও পড়তে মন্দ লাগেনা। আর গল্পটাকে যদি বিশ্বাসযোগ্যভাবে পরিবেশন করা যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই!
বক্কু মিয়ার জন্য খারাপ লাগছে। বেচারাকে বিনা দোষে দণ্ড পেতে হলো, এবং সে সেটা কত সহজে মেনেও নিল!
২৮ নং মন্তব্যের ছবিটা অদ্ভূত সুন্দর; কালের সাক্ষী!
ছোটবেলায় এই ঢাকা শহরের আমাদের বাসার সামনেই একটা প্রকাণ্ড নিম গাছ ছিল। ২৯ নং প্রতিমন্তব্যটা পড়ে হলদে রঙের পাকা নিমফলের ঘ্রাণটা যেন নাকে এসে লাগল। আমাদের প্রতিবেশি বাসাগুলোর ছেলেমেয়েদের মধ্যে কেউ কেউ দেখতাম গপ গপ করে সেসব নিমফল মুখে ফেলে তার রসাস্বাদন করতো। আমি পারতাম না, যদিও জানতাম যে সুস্বাস্থ্যের জন্য নিমফলের রস উপকারী। নিমপাতা তেলে ভেজেও অনেকে গরম ভাতের সাথে খেত, রোগনাশক দাওয়াই হিসেবে।
রংপুরে আপনি কোথায় থাকতেন বা যেতেন? মানে কোন এলাকায়?
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের ছোটবেলায় জ্বীন ভূত প্রায় বিশ্বাস করেই ফেলেছিলাম আমি যদিও জীবনেও ভয় পেতাম না বরং ভূত সাজতেই লাইক করতাম তার থেকে বেশি হা হা হা
হুম বক্কুমিয়া পরিস্থিতির শিকার।
নিমগাছ নিম ফল সবই কত যে সুন্দর!!!!!!
এই নিমগাছ দোতলা বেয়ে উপরে উঠেছিলো। ঝাঁকড়া পাতার সেই নিমগাছের সামনের সেই ছবিগুলি কি যে সুন্দর ছিলো!!!!!!!!!
রংপুরে আমরা পর্যটনের মোটেলে গিয়েছি। কারমাইকেল কলেজের বিশালতা, বেগম রোকেয়ার বাড়ি রাজবাড়ি সবই আমার দেখা.......
রংপুরের লালমনিরহাটের একজন মানুষকে নিয়ে আমার দেখা এক গল্প আছে......একদিন লিখবো ভাইয়া।
উলিপুরে আমাদের আত্মীয় আছে তাকে অবশ্য বাংলাদেশের সবাই চেনে....
৬২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে বক্কুমিয়াকে তাহলে তাড়ানো গেল।গ্রেট জব।আপদ বিদায় হয়েছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: হাহা কিন্তু আপদ বিদায় হলেও বিপদ যায়নি ভাইয়া....
৬৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১১
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই পর্বটা পড়েছিলাম এবং ভাল লেগেছিল। দেরীতে হলেও ভাললাগাটা জানিয়ে গেলাম।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৬
অপ্সরা বলেছেন: অনেকদিন আমার পোস্টে কমেন্ট করোনি তাই ভেবেছিলাম আর পড়োই না।
কারণ সিরিজ পড়া বিরক্তিকর বটে।
এই কারণেই পোস্ট লিখে ডাকতে গিয়েও ডাকিনি ভাইয়া।
৬৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: "লেখক বলেছেন: কারণ সিরিজ পড়া বিরক্তিকর বটে।"
না, তা নয়। খুব আগ্রহ নিয়েই সিরিজটা পড়ছিলাম। যদিও ১২ আর ১৩ নাম্বারটা পড়তে দেরী হলো।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫১
অপ্সরা বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম পেন পেন লাভস্টোরি দেখে পালাতেও পারো ভাইয়া। হা হা
তবে এটা শুধু লাভস্টোরী না .....
এটা একটা আমার দেখা জীবনের সামাজিক অর্থনৈতিক পারিবেশিক চিত্র দর্শন গল্প।
আমি এসবই মনে করেছি লেখার সময়......
৬৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০
আখেনাটেন বলেছেন: ছোট থেকেই আমি আসলে ভালোই অভিনেত্রী ছিলাম। -- বক্কু মিঞার বিদায়ে তা জানলুম। বেচারা বক্কু।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমি এখনও আছি তো!
৬৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২
মুদ্দাকির বলেছেন: Things people do for love!! বড়ই অন্যায় করেছেন!!
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!
কি করবো মানুষ কি সব বুঝে!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
হ্যা গল্প কিন্তু দারুন জমে উঠেছে, আর আমিও ইদানিং গল্প না পড়া মানুষটা আবারও গল্পে কিভাবে যেন গল্পেই মজে উঠলাম! অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আর একটি কথা, জ্বীন নয় পরী অথবা পেত্নী হবে, জ্বীনের স্ত্রীলিঙ্গ কিন্তু পরী।