নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্‌সরা

যেখানে ঘর বাঁধবো আমি, আসে আসুক বান, তুমি যদি ভাসাও মোরে, চাইনে পরিত্রাণ!!

অপ্‌সরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে-১২

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫


বক্কুমিয়া চলে গেছে সে সাত দিনও পেরোইনি। এরই মাঝে হটাৎ এক বিকেলে মোটামত গোল্লাগাল্লা চেহারার লাল টকটকে পাড়ের গরদের শাড়ি পরা এক মহিলা এসে নামলেন আমাদের বাড়ির দূয়ারে। রিক্সা থেকে নেমে উনি রিক্সাওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে বাক বিতন্ডায় মেতে উঠলেন। সেই চেঁচামেচি হই হট্টগোলে সকলেই ছুটে আসলো সেই স্থানে। ঐ মহিলা তখন সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। বাড়ির কাজের লোকজন ছেলেবুড়ো প্রায় সকলেই জড়ো হলো তামাশা দেখতে বড় গেইটটার কাছে। বাড়ির মহিলারা এবং আশে পাশের প্রতিবেশীরাও সব উঁকি ঝুকি দিতে শুরু করলেন। শেষ পর্যন্ত মান সন্মান বাঁচাতে ত'চাচা বেশি ভাড়া দিয়ে বিদায় করলেন রিক্সাওয়ালাকে। কিন্তু কে ঐ মহিলা!

বেশভুষায় সম্ভ্রান্ত কিন্তু রিক্সাওয়ালার সাথে উনার বাক্যি ব্যবহারের নমুনায় তো উনাকে মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছিলো না। রিক্সাওয়ালাকে বিদায় করতেই উনার অমন রনচন্ডিনী চেহারা বদলে হাসি হাসি গদগদ মুখ হয়ে উঠলো দু মিনিটের মাঝেই। ত'চাচাকে সাক্ষী মেনে হাসি হাসি মুখে বললেন, দেখলে তো বাবা কি রকম এইসব চোটলোকেদের দল! এই ঘোপের মোড় থেকে তালতলা এই টুকুন রাস্তার ভাড়া কিনা চাইচে দুইগুনো! কলিকাল কলিকাল আর কত দেখবোরে মমিন! মমিন কে, কে জানে উনার ছেলের নাম নাকি স্বামীর নাম জানা হয়নি আমার কখনও। কিন্তু ঐ সর্বনাশী মহিলাকে ভেতর বাড়িতে ঢুকতে দেখে মা আমাকে চোখের ইশারায় ভেতরে যেতে বললেন। আমার তো যাবার মোটেও ইচ্ছা ছিলো না। কারণ সকল নাটকীয় ঘটনাবলী নিজচোখে দেখার আর তার রস আস্বাদনের শখ আবার আমার ছোটকাল থেকেই। কিন্তু মায়ের রক্তচক্ষুর ইঙ্গিতে সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই নবাগতা আশ্চর্য্য মহিলার কান্ডকীর্তির কারণ দর্শন আর হলো না আমার।

কিন্তু আমি কি আর এত সহজেই দমে যাবার পাত্রী যে বাড়ির ভেতরে পাঠিয়ে দিলেও এই মহিলার সার্কাস অদর্শনে বিরহে থাকবো? আমিও পর্দার ফাক ফোকর দিয়ে উঁকি ঝুকি অব্যাহত রাখলাম। সেই মোটা মতন মহিলাকে ললিতা মাসী বারান্দাতেই একখানা জলচৌকি এনে দিলো আর তাতেই আমার বোধগম্য হলো যে উনি যতই তসর গরদের শাড়ি পরে আসুক না কেনো মোটেও কোনো সম্ভ্রান্ত মহিলা নন। কারণ আমাদের বাড়িতে জলচৌকি বরাদ্দ ছিলো ঝি চাকর শ্রেনীর লোকজনদের জন্য আর হাতলবিহীন বা হাতলওয়ালা বড় চেয়ারগুলি ভদ্রলোকেদের জন্য। ঝি চাকরদের ভুলেও সেসব চেয়ারে বসার কোনো অধিকারই ছিলো না। সে যাইহোক জলচৌকিতে বসে উনি উনার পান দোক্তার কৌটাটি খুলে বসলেন কোলের উপর। তারপর মাকে বললেন, কেমন আছো মেজোবউ? শ্বাশুড়িমাকে একবার ডাকো দিকিনি। আমার নাক উঁচু স্বভাবের মা একটু তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন, কেনো? কার জন্য সন্মদ্ধ নিয়ে এলে লেবুর মা? লেবুর মা! মানুষের নাম লেবু! আমার দম ফেটে হাসি এলো। তবুও অনেক কষ্টে মুখ চেপে হাসি সহ্য করে দাঁড়িয়ে রইলাম। লেবুর মায়ের জবাব দেওয়া হলো না মায়ের প্রশ্নের।

তার আগেই দাদীমা এসে বসলেন বারান্দায় পেতে দেওয়া কাজ করা সিংহমুখী হাতলের চেয়ারটাতে। মা চাচীরা সব দাঁড়ি্যে রইলেন। ঐ পান দোক্তা খাওয়া লেম্বুবাবাজানের মা এক গাল হেসে দাদীমার পা ছুঁয়ে সালাম করে বললেন,
- মা জননী কেমন আছেন? অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন মা।
দাদীমাও এক গাল হেসে বললেন, বুড়ো হবো না! তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকলো।
লেবুর মা গলা নীচু করে বললেন,
- একখানা ভালো সন্মদ্ধ আছে। ছেলে ডাকতর। বিদেশ থেকে পাস করে এয়েচে। ঢাকায় বাড়ি আচে। গাড়ি আচে। বাবারও আচে, ছেলেরও আচে। অনেক বড় বংশ হেনো তেনো। তো তোমাদের বাড়ির মেয়েও তো ডাগর হয়ে উঠিচে। ছেলের মামা আমাদের এই জেলারই ডিসি। তো ডিসি সাহেবের বৌ আমাদের নীরু মামনীকে দেখিচেন । উনিই আমারে ডেকে জানতি চেয়েচেন যে আপনারা মেয়ে বিয়ে দেবেন কিনা।

এতক্ষন পর্দার আড়ালে এই অদ্ভুত রমনীর সকল কান্ড কারখানা কথা বার্তায় বড় কৌতুক বোধ করছিলাম আমি বিশেষ করে তার চে চি চো শুনে শুনে। হঠাৎ তার এ হেন কথা শুনে আমি হিম হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মা কিছু বলার আগে দাদীমাই বললেন,
- ভালো ঘর, ভালো বর এসবই তো চাই আমরা। তো তোমার ডিসিদের বাড়ি কনে?
- রাজশাহী। উনারা রাজশাহীর লোক।

আমার মাথা বো বো ঘুরছিলো। কি সর্বনাশ! এই মহিলা তো জেকে বসেছেন। দাদীমাকে তো প্রায় বশই করে ফেলেছেন। মাও বেশ চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে আছে। আমার বুকের মধ্যে হাতুড়িপেটা শুরু হলো।
আমি এক দৌড়ে ছাদে গেলাম। এই ভর বিকেলে খোকাভাই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন। আমি গিয়ে ধাক্কা দিয়ে জাগালাম।
- খোকাভাই! খোকাভাই! ওঠো শিঘ্রী....
আমার ধাক্কা খেয়ে চমকে উঠে বসলো খোকাভাই। তারপর চোখ রগড়ে রাগ করে ধমক দিলো,
- কি হয়েছে শুনি? এইভাবে ডাকছিস কেনো?
- সর্বনাশ হয়েছে খোকাভাই..... আমি কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম।
- কি সর্বনাশ! কেউ মারা গেছে! খোকাভাই বিস্মিত হয়ে জানতে চাইলেন।
- আরে না ! মারা যায়নি। নীচে একজন মহিলা এসেছে। আমি তখনও রিতীমত হাপাচ্ছিলাম।
- তো কি হয়েছে! মহিলা কি খুনি? এত ভয় পাচ্ছিস কেনো?
- আরে ভয় পাবার কারণ আছে তো।
- কি কারণ?
- ঐ মহিলা আমার বিয়ের সন্মদ্ধ এনেছে।
- আনুক। তো কি হয়েছে! খোকাভাই অবাক হয়ে জিগাসা করলো।
আমি খোকাভায়ের কথা শুনে হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। বলে কি? আমাকে বিয়ে দিয়ে দেবার যড়যন্ত্র চলছে আর খোকাভায়ের তাতে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই!
- আমি বললাম কি হয়েছে মানে? মানে মানে.....

আমি আসলে বলতে চাচ্ছিলাম আমরা দুজনকে ভালোবাসি কিন্তু সেটা জানার পরেও তুমি বুঝতে পারছোনা কি হয়েছে? কিন্তু এ কথাটা বলতে পারছিলাম না। খোকাভাই হেসে ফেললো আমার বিস্ফারিত চোখ আর হা করে তাকিয়ে থাকা ভাবনা দেখেই মনে হয়, তারপর বললেন,
- দূর পাগলী! এই বিয়ে হবে না । যা চিন্তা করিস না।
আমি খোকাভায়ের এত মনোবল আর ভবিষ্যৎবাণী দেখে অবাক হলাম। বললাম তুমি জানলে কেমনে! খোকাভাই বললো,
- আমি জানি হবে না.....
নীচে তখন আরও কি ষড়যন্ত্র চলছিলো জানিনা। আমি ফুপিয়ে উঠলাম। তারপর খোকাভায়ের বুকে কান পেতে শুনছিলাম তার হৃদস্পন্দন নীরু নীরু নীরু.......


মহিলা বিদায় নিলেন খানিক পরেই। কিন্তু রাতে খাবারের সময় বাবা আর দাদুর সাথে দাদীমা ফের তুললেন সেই কথা এবং জানালেন ডিসি সাহেবের বউ আর তার বড় ননদ মানে পাত্রের ফ্যামিলী আগামী রোববার আসতে চান আমাদের বাড়িতে। আমাদের ছোটদের তখন খাওয়া শেষ। মানে বাড়ির মুরুব্বীরা আমাদের পরে খেতে বসেছিলেন। আমি তখনও আড়ি পেতে শুনছিলাম, আমার মনে কু ডাক ডাকছিলো। তারপরও অনেক আশা ছিলো দাদীমা আর মায়ের এই প্রস্তাব দাদু উড়িয়ে দেবেন। কিন্তু সব শুনে দাদু বললেন, আমরা বিয়ে দেবো কি দেবোনা পরে ভেবে দেখবো এখন উনারা আসতে চেয়েছেন আসতে বলো। আর যত্নের যেন কোনো ত্রুটি না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

সারা রাত ঘুম এলো না আমার। কি যে ভীষন ভয় লাগছিলো। চিনিনা জানিনা কোথাকার কোন ডিসি সাহেবের বউ কোথা থেকে দেখলো আমাকে আর এই প্রস্তাব নিয়ে আসলো! আর আসলো তো আসলো এমন সময়েই যখন মা মুখিয়ে আছেন আমাকে বিয়ে দিয়ে তাড়াবার ইচ্ছায়। এসবই মনে হয় বক্কুমিয়া আর তার বাবার অভিশাপের ফল। নইলে এমন হবে কেনো! যে আমি জীবনে কখনও কোনো অভিশাপ বা সত্যিকারের সাপকেও ভয় পাইনি সেই আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। ললিতা মাসী প্রায়ই বলতো এই সব করুনি বাপু, মানুষির শাপ লাগপে। মানুষির শাপ বড়ো শাপ। মানুষির মনে দাগা দিতি নেই। এতে অলুক্ষুন হয়। বিরাট সব্বোনাশ হয়! এখন আমার এই বিরাট সব্বোনাশ ঠেকাবে কে!

পরদিন থেকেই শুরু হলো। মা চাচী আর দাদী মিলে কন্যাদান প্রস্তুতিমূলক সকল আয়োজন। সকালে উঠে ছোটচাচী বললেন, আজ থেকে রোদে যাওয়া বারণ। গাছে চড়া, মাছ ধরা, বাগানে টইটই, ছাদে পই পই কোথাও যাবি না। আমি তো হা করে সেই লেকচার শুনছিলাম। গাছ মাছ বাগান সবই ঠিক ছিলো কিন্তু ছাদ!!! ছাদের কথা শুনে মানে ছাদে যাওয়া বারণ শুনেই আমার মাথার তার টং করে ছিড়ে গেলো। আমি চিৎকার করে উঠলাম, চুপ থাকো! আমি কি ফাঁসীর আসামী যে আমার এখানে বারণ,সেখানে বারন এই দিকে যাবিনা, ঐ দিকে যাবিনা বলে আদেশ দিচ্ছো! মানিনা, মানিনা আমি এইসব তোমাদের ঢং! অনেক সহ্য করেছি।

আমার চেচামেচিতে চাচীরা দাদীমা অন্য সকল ছেলেপুলেরা কাজের লোকজন প্রায় সবাই মনে হয় সেখানে হাজির হয়েছিলো। আর মা
তার বিস্ফারিত দৃষ্টিতে চোখে আগুন ঝরিয়ে এসে দাঁড়ালেন আমার সামনে। তারপর এলোপাথাড়ী চড় থাপ্পড় মারতে মারতে বলতে লাগলেন, খুব বৃদ্ধি হয়েছে না? গাছের মগডালে উঠেছো তুমি? আদর পেয়ে পেয়ে তাল গাছে ওঠা বাঁদর হয়েছো? যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা! তোরে আমি আজকে শেষ করে জেইলে যাবো তবুও তোর ....... উন্মাদের মত চিল্লাচ্ছিলেন মা, অবিশ্রান্ত বাক্য বর্ষনে তার মুখে ফেনা উঠছিলো। আমার হাঁটু সমান চুল একটু যেন না ঝরে তার জন্য সেই ছোট্টবেলা থেকে দাদীমার নিজের হাতে গাছের নারকেল পেড়ে, তা আবার রোদে শুকিয়ে জ্বাল দিয়ে বানানো খাঁটি নারিকেল তেল তাতে হরতকী, আমলা মিশিয়ে আমার চুলে লাগাতেন, সেই চুল উঠে আসলো মায়ের হাতে তবুও মায়ের কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিলো না। মা বা ও বাড়ির কেউই বাবা মায়ের কথার অবাধ্যতা করলেই তার শাস্তি কি হয় তার একটা মাত্র উদাহরনই আমি দিয়েছিলাম মীরা আপার ঘটনায় কিন্তু অমন অনেক হাজার লাখো উদাহরন ছিলো ও বাড়ির যা বাইরের আর কেউ কখনও জানেনি।

সেই রাতে আমি সেজোচাচীর কাপড় সেলাই মেশিনের কৌটা থেকে বিশাল একখানা কাঁচি লুকিয়ে বের করে আনলাম। তারপর নিজেকে না কাকে যে শাস্তি দিতে আমার সেই দীঘল চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম জানিনা। এরপর বিছানার মশারীর মধ্যে লুকিয়ে বসলাম ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিয়ে। কাকে শিক্ষা দিতে জানিনা বটে তবে আমার সেই অতি যত্নের দীর্ঘ কেশ নিয়ে মা চাচী দাদীদের যে গর্ব ছিলো সব ছাঁপিয়ে মনে হয় মাকেই শিক্ষা দিতে এ কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি যার পরিনতি আমার জানা ছিলো না....

কিন্তু হঠাৎ কাঁচিসহ আমার হাত চেপে ধরলো রুনি.....
- মা মা, চাচী চাচী দাদী..... সবাই আসো শিঘ্রী নীরুপা কাঁচি দিয়ে নিজের গলা কাটছে....... আমি তো ঘটনার আকস্মিকতায় অবাক! বলে কি গলা তো কাটতে চাইনি। আমি তো চুল কাটতে চাচ্ছিলাম ওদেরকে শিক্ষা দিতে।
সে যাইহোক আমার কাজে ও ভাবনায় ছেদ পড়লো। মুহুর্তের মাঝেই ঐ ঘরের লাইট ফটাফট জ্বলে উঠলো ঘর ভর্তি বাড়ির সকল মানুষজন হা করে চেয়ে আছে আমার দিকে। নচাচী টান দিয়ে মশারীর দড়ি ছিড়ে ফেলেছে। ত চাচী মনে হয় সেটা গুটিয়েও নিয়েছে। আমি হা করে কাঁচি হাতে বসে আছি আর আমার হাত ধরা রুনি......
সেজোচাচী এসে এক টানে আমার হাত থেকে কাঁচি নিয়ে নিলো আর মাকে ধরে রেখেছিলো বোধহয় ছোটচাচী। নইলে মনে হয় সেই রাতে আমার চুল কাটতে চাওয়ার বাসনাই শুধু পুরন হত না...... সত্যিই রুনির কথা মোতাবেক মা আমার গলাটাই কেটে নিতেন......


আগের পর্ব

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে লেখা।

মা কেন এত নিষ্ঠুর হচ্ছে। মায়ের অন্তত এই পরিস্থিতিতে মেয়ের অবস্থা বোঝা উচিত। মায়ের আচরণে একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে।

খোকাভাইয়ের আয় রোজগারের বয়স হয় নাই। কিন্তু দেখা যায় মেয়েরা এই ধরণের পরনির্ভরশীল ছেলেদের পিছনে ঘোরে যার বিয়ে করার সামর্থ্য নাই। কোন অভিভাবক এই ধরণের পরনির্ভর ছেলের কাছে মেয়ের বিয়ে দেবে? মেয়ে কয়েক দিন কান্নাকাটি করবে পরে ভালো সম্বন্ধ আসলে সেখানে বিয়ে হয়ে যাবে। এটাই সাধারণত হয়। ব্যতিক্রম হয় যখন ছেলেমেয়ে গোপনে বিয়ে করে ফেলে অথবা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। প্রেম করতে সাহস লাগে। নীরু আর খোকা ভাইয়ের কেমন সাহস আছে দেখা যাক। সাইকেলে চড়ে হাওয়া খাওয়া আর গান গাওয়া 'আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব .............. '। এখন এই হারিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। খোকাভাইকে নীরুর বলা উচিত 'চল আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি (খোকাভাই যে রকম টাইপ সে নিজে থেকে কোন দিন বলবে বলে মনে হয় না)। আমাদের কোন কিছু লাগবে না। শুধু তুমি আর আমি। গাছের তলাতে হবে আমাদের সংসার। পৃথিবীতে শুধু তোমার আর আমার প্রেম সত্য বাকি সব কিছু মিছে ':)

সত্যি যদি বাড়ি থেকে পালায় তাহলে নীরুকে বলবেন মায়ের গহনাগুলি যেন সাথে নিয়ে নেয়। কারণ খোকাভাইকে নিয়ে গাছের তলায় থাকতে হতে পারে। :) পারলে খোকাভায়ের সাইকেলটাও নিতে বলবেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া সাধে কি লোকে বলে তুমি আর তোমার কমেন্ট আমার লেখার প্রাণ! নির্ভয়ে অভয়ে কোনো কিছুর পাত্তা না দিয়ে আমার উপর বিশ্বাস রেখে তুমি তোমার মনের কথা বলো যা অনেক অনেক মজার এবং সত্য কথন হয়। এবং উহা থেকে আমি ইহা আইডিয়াও পেয়ে যাই মাঝে মাঝে..... তাই এরপরের গল্প হবে তোমাকে পাঁকে ফেলার .... হি হি ইহাই তোমার উপকারের উপহার.... :)


তবে গোফুভাইয়া কিন্তু হিংসা করে। তোমার কমেন্ট এখানে অনেকগুলা দেখলেই তার রাগ লাগে এবং ভাইয়া বসে বসে গোনে তুমি আর শুভভাইয়ু কয়টা কমেন্ট কখন দিলো। তবে আরেকজনও অনেক অনেক মজা করি আমরা তার নাম নিয়ে ফান করতে নিষেধ করে দিয়েছি আমি তাকে।

হা হা হা তবে ভাইয়া তোমার থেকে একই জিনিস শিখেছে। সেি প্রমান দেখে আমি নিজেই হাসছিলাম। মানে ভাইয়াও তার প্রিয় মানুষের পোস্টে তোমার মত কয়েকশো কমেন্ট দিয়ে বেড়াই

তবে তুমি তো তুমিই...... কমেন্টের রাজা এবং অনেক অনেক মনোযোগী এবং আরও যেটা বেশি সেটা হলো কুটকচালের বুদ্ধির কমেন্ট হা হা হা তাতে যে যাই ভাবুক আমি হাসতে হাসতে মরি এবং তোমার বুদ্ধিমত্তার মেডেল বানাই। হা হা

ভাইয়া সাইকেল ছাড়া আর তারা পালাবে কেমনে?? তাদের কি গাড়ি আচে??? অবশ্য ঐ বেটাকে বিয়ে করে নীরু নিজেই গাড়ি চালানো শিখে খোকাভাই বোকাকে নিয়ে পালাতে পারে আরও দ্রুত গতীতে। :)

কিন্তু গহনা চুরি করতে পারলে মন্দ হত না। দেখি কি বুদ্ধি করা যায় গহনা চুরি করার। :)

সব তো দাদীর ঘরের লোহার সিন্দুকে তোলা ...... সিন্দুক সহ তুলে আনতে পারলে আরও ভালো হত মা চাচীদের দাদীমার আহা শত শত গহনায় বাকী জীবন শুধু মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো হারিয়ে যাবো আমি গহনা গাটিতে সেজে খেয়ে পরে হেসে খেলে নেচে :)

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই পোস্টের সম্ভাব্য মন্তব্যঃ
মোহাম্মদ গোফরানঃ ৪
কামাল ৮০ ঃ ৩
সাচু ভাইঃ ৪
এলোকাব্য ২১ ঃ ১৫
জৈনক স্মার্ট ব্লগারঃ ১০
শেরজা ভাইঃ ৩

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ইয়ে!!!!!!!!!!!!!!!!!!! এসে গেছে আমার মন্তব্যে হিংসুটি ভাইয়ু গোফফু মহারাজা ভাইয়া!!!!!!
ভাইয়া তুমিও তো বেশ শিখেছো..... এখন থেকে তোমার গুরুভাইয়ার পোস্টে একাই এই ৪+৩+৪+১৫+১০+৩+১০০ কমেন্ট করো। :)
তারপর লিখো ভাইয়াজান আপনি জেইলে থাকলেও আমি রোজ হাজিরা দিয়া আপনাকে ২০০ মন্তব্য খাওয়াবো! হা হা হা নো চিন্তা ডু মানুষকে জ্বালাবার অভিসন্ধি! হা হা হা

যাইহোক শুনো তোমার জন্মের বহুআগে থেকেই অনেকেই এই সব পরিসংখ্যান করে গেছেন...... আমার মন্তব্য আমার মন্তব্য ..... এখন তো শুধু দেখছো ১০০ বা ১০০+ আগে তো ছিলো ৩০০/৪০০/৫০০+
সে সব দিনেও তোমার মত অনেক গোফরান ভাইয়ামনিরা ছিলো আমার। তারা সে সব দেখে টাসকি খেয়ে ভেতরে ঢুকে গুনাগুনি করে পরে আমার মন্তব্যের নামও দিলো হা হা হি হি মন্তব্য!!!!!!!!!!!


হা হা হি হি হে হে তাতে আমার কাঁচকলা গাছের কাঁচকলাটাও কাটা গেলো না........

আই কেম হিয়ার ফর হা হা আই রাইট হিয়ার ফর হিহি আই কমেন্ট হিয়ার ফর হো হো

এন্ড আই ডোন্ট কেয়ার অফ কে বসে বসে আমার মন্তব্য সংখ্যা গুনে ...... :)


আই লাভ মাই ভাইয়ামনি আপুনিমনিদেরকে যারা আমাকে হাসায় .......

আর কাঁদালে সেই জানে তার ভাগ্যে কি থাকে ...... :)

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আগের পর্বগুলো পড়ি নাই। তবে, এই পর্বে বেশ সাসপেন্স আছে!

বিয়ের প্রস্তাবে শুধু মেয়েদের বুক কাঁপে না , ছেলেদেরকেও কাঁপায় দেয়।

আমার বিয়ের কথা মনে আছে। মনে হচ্ছিলো হার্টফেল হয়ে যাবে! :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

অপ্‌সরা বলেছেন: পড়ো ভাইয়ামনি!!!! :)

তোমার ভেতরে একটা জিনিস আছে যেটা দেখে আমি সেদিন অনেক ভাবলাম। আত্ন উন্নয়নের চেষ্টা যারা করতে চায় তারা তোমাকে দেখে কিছু শিখতে পারে।

তুমি মাঝে মাঝে রেগে যাও বা যেটা মনে হয় তোমার কাছে ভুল সেটা নিয়ে গো ধরো। তবুও তুমি আপনার মাঝে আপনি হারা টাইপ আনন্দময় মানুষ বোধ হয়।

তোমার গান আমার অনেক মজা লেগেছে আর গাওয়ার স্টাইল আনন্দময়!!

এত আনন্দে সবাই থাকতে পারে না...... তুমি পেরেছো তাই তোমার জন্য তোমার বাবুর জন্য আমাদের ভাবিজীর জন্য অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা আরও অনেক বেশি ভালো থাকো ভাইয়ু......

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাপরে ফান করা মন্তব্যে কি সিরিয়াস রিএক্ট!

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আমি লাইক টু বি সিরিয়ান ইভেন ইন ফান একচুয়ালী!!!!!!!!!
:) :) :)

আমি ফান করে বললেও কেউ যেন বিরক্ত না হয় বা রাগ না করে এমন কিছু বলতে চাই না.......

তবুও ভুল করে ফেলি!!!!!!!!!! :((

আর আমার প্রিয় মানুষরা যখন আমাকে সেই ভুল বুঝে তখন আমি অনেক অনেক কত্ত পাই!!!!!!!!

যেমন চুয়াত্তর ভাইয়া একদিন আমার উপর রাগ করলো!!!!!!!! :(

আমি কি তাকে রাগ করে থাকতে দেবো!!!!!!!!!! বেশি বাড়লে ভাবিজীকে ফোন দিয়ে বলতাম আরও বেশি কাপড় কাঁচতে দিতে..... হি হি হি

বাট ভাইয়া এই সব পরিসংখ্যান মংখ্যান ইজ রিয়েলী ফানি ..... কে কয়টা পোস্ট দিলো ( আবোল তাবোল গুরুত্বহীন ইডিওটিক পোস্টসহ) কে কত কমেন্টো পেলো কে কয়বার পড়লো এসব কোনো পোস্টের মানের সাথে তুলনাযোগ্য নহে।

তুলনাযোগ্য একজন ব্লগারের ব্যক্তিত্ব। সে কিছু মানের লিখতে না পারলেও।

অনেকে আবার ব্যক্তিত্বকে গুরু গম্ভীর একজন গম্ভীরা গানের সাধান মনে করে।

হি অর শি অর দে আর ইডিয়টসসসসসসসসসসসস :)

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: @মোহাম্মদ গোফরান
আমি কারো পোস্টে গিয়ে দুটোর বেশী মন্তব্য করেছি এমন রেকর্ড কম! :)
আজকে এইটা নিয়ে তিনটে হতেও পারে?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া কারো পোস্টে কি ২ টার বেশি কমেন্ট করা যাবে না এমন কোনো রুল আছে? তাহলে গোফরানভাইয়াকেই সেটা ফলো করতে বলো বিকজ হি মেইড দ্যাট রুল বাই হিমসেল্ফি ( :) ) মানে সেল্ফি তুলতে তুলতে আর কি এই নিউ ভ্যোকাব :)

আসলেই আমি ভীষন বিরক্ত হই মানুষ কিছু বললে যখন বলে কয়টা লিখছেন যে এত মাতবরী করতে এসেচেন??? ( হি হি গল্পের লেম্বুর মায়ের ভাষা মাথায় ঘুরছে আজ)

আবার কেউ যখন বলে আমি এত এত কাচকলা পালা কলা বিচি কলা শবরী কলা অল কলা টাইপ পোস্ট লিখে হনু হয়ে গেছি তখন!!!!!!!!!! X((

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ গল্পের ১২তম পর্বেই ষোলকলা পূর্ণ হলো! +

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

অপ্‌সরা বলেছেন: আরে আমি কেবলি এত কলা কলা কলা টাইপ পোস্ট লেখা হনু কলা মন্তব্য লিখলাম আর নীচে এসে দেখি তুমি আবার লিখেছো ষোল কলা!!!!!!!!!!!!!!!


হা হা হা হা ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!!!! থ্যাংক ইউ সো মাচ আমার গল্প পড়ার জন্য।

ষোলকলার উপর আঠারোকলা লিখবো এই গল্পের ভাইয়ু হা হা মানে আঠারো বছরের পর্যন্ত নীরুর জীবনে কি হইলোক! :)

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শেরজা ভাই@ আমি ফান করছি। আপু মণি এমন সিরিয়াস রিএক্ট করবে বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারলে করতাম না। প্লিজ ডুন্ট মাইন্ড। আমি নিজে অনেকের পোস্টে ৩/৫/৭/১০ মন্তব্য করি।মন্তব্য করতে আমার ভালো লাগে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

অপ্‌সরা বলেছেন: আমার আজ ছুটি। একটা দিনই ছুটি কালকে সারাদিন বিজি!!! X((
এমনিতেই আমার মেজাজ খারাপ আর তুমি এসে আবার গাধা গাধা কমেন্ট দেওয়া শুরু করলে.......

ইউ নো আই লাইক অনলি ইনটেলিজেন্ট পিপল...... X((

এই সব পরিসংখ্যান ব্লগ পরিসংখ্যান কমেন্ট পরিসংখ্যান জবাব এই সব নিয়ে যারা কথা বলে তাদেরকে আমার এই ব্লগ দুনিয়ার নাম্বার ওয়ান গাধা মনে হয় .....

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: I dont have anymore time & intention to explain myself to the people who misunderstood me.
Sorry for those comments. Please remove my comments.

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

অপ্‌সরা বলেছেন: না কমেন্ট রিম্যুভ করবো না তাহলে আমার কমেন্ট পরিসংখ্যান কমে যাবে। :(

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গোফরান ভাই মজা করছেন। ওনার কারণে আপনার পোস্টে কেউ মন্তব্য করা কমাবে না। আমি অন্তত না। :) লেখা ভালো লাগলে আমি একাধিক মন্তব্য করতে দ্বিধা করি না।

আপনার গল্পটার পর্বগুলি পড়লে আমার কল্পনা করতে সুবিধা হয়। আপনি যা লেখেন তা আমার চোখের সামনে ভাসে। কারণ আমি দুইবার মিলিয়ে বেশ কয়েক বছর যশোর ছিলাম। আমার বাবা যশোর জেলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন। আমার দাদা পাকিস্তান আমলে যশোরে কয়েক বছর চাকরী করেছেন। আমার বাবার কয়েকজন মামার বাড়ি যশোর। একবার ওনাদের একজনের বাসায় আমি গিয়েছিলাম। আমার বাবার কাছে তাদের গল্প প্রায়ই শুনতাম।

আপনি নীরুর বিয়ে নিয়ে যে সমস্যার কথা লিখেছেন এটা বাংলাদেশের সমাজের একটা বাস্তব চিত্র। অনেক ছেলে মেয়ে কিশোর বয়সে এই ধরণের পরিস্থিতিতে পরে ( বিশেষ করে মেয়েরা)। কিন্তু পরিবার বুঝতে চায় না। ফলে অনেক মেয়ে পরবর্তী জীবনে অশান্তিতে থাকে। অভিভাবকের একটু বিচক্ষণ হওয়া দরকার এই ব্যাপারগুলিতে। আমি কিছুদিন আগে অন্য একটা পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম যে আমার বাবা এক জোড়া অপরিচিত তরুণ ও তরুণীকে আমাদের বাসায় প্রায় দেড় মাসের জন্য আশ্রয় দিয়েছিলেন। ওরা বিয়ে করে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটা ওর মায়ের অলঙ্কার সাথে করে নিয়ে এসেছিল। ওরা বারবার ঐ গহনা আমাদের দিতে চাচ্ছিল ওদের খরচ হিসাবে। কিন্তু আমার বাবা নেননি। ওদের বিয়ের ঘটক ছিলেন আমার বাবার পরিচিত। ঐ ঘটকই আমাদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এই কারণে অলঙ্কারের কথা আমার মাথায় এসেছিল। :) খেতে যাচ্ছি। পরে আবার কিছু লিখবো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

অপ্‌সরা বলেছেন:

আমি আমার এই লেখা লিখি শুধুমাত্র কয়েকজনের জন্যই মিরর, একলব্য এই দুজনের জন্য বলে কয়ে এবং তুমি এবং আরও কিছু মানুষের জন্য না বলে কয়েই। মানে আমি আশা করি তারা পড়বেই। কারণ যারা আমার এ লেখা পড়ে তারা আমার মতনই মানুষ এবং মানসিকতার।

আমি আমার লেখাই লিখি স্পেশালী গল্প কবিতা আমার মনের আনন্দের জন্য।যারা আমার মত আনন্দবিলাসী তারাই আমার লেখা পড়ে। লেখা ভিত্তিক সমালোচনা এবং ফান করে একের পর এক আমরা লেখার মানুষগুলোকে সত্যি ধরে নিয়ে কথা বলে যাই।

কিন্তু ভাইয়া এই পোস্ট আর আগের দুই পোস্ট জুড়ে বার বার বলছে এই দুজন এত কমেন্ট করলো সেই দুজন তত কমেন্ট করলো তাতে আমার লেখায় আমার পাঠকেরা কমেন্ট করতে হেজিটেড ফিল করবে এমনই মনে হয়েছে আমার ( শুধুমাত্র মিররমনি আর একলব্য ভাইয়া ছাড়া, তারা কাউকেই পরোয়া করার বান্দা না তাই) ...... ভাইয়া সেটা বুঝা বা না বুঝেই বলেছে হয়ত কিন্তু আমি বিরক্ত হয়েছি।

কি করবো বলো ..... বিরক্তি আমি চেপে রাখতে পারি কিন্তু মাঝে মাঝে বের হয়ে যায় আর কি। বুড়ি হচ্ছি তো :(



আর তাছাড়া একটা লেখা লিখেছি সেই বিষয়ে কিছু বলতে হবে। নিজের কমেন্ট করতে হবে
তা না কেউ যদি দৌড়ে এসে আমার পোস্টে কে কটা কমেন্ট দিলো তাই নিয়ে কটাক্ষ করে তাহলে বুঝি হঠাৎ আমার রাগ লাগতে পারে না!!! তুমিই বলো!! :((

রাগ কমানোর জন্য ভাত খেয়ে এলাম। :)

এরপর ভাইয়াকে আরও বকা দিয়ে এলাম।

পোস্ট পড়া নেই কোনো কথা নেই আগে থেকেই যেন তারা কমেন্ট না দেয় বা দিতে দ্বিধাবোধ করে সেই কুবুদ্ধি করা না!!!!!!!!! X((


যাইহোক পিচকা তো এমন করেই শিখবে .... নাইলে অন্য কাউকে এসব বলে আরও বিপদে পড়বে না!!! #:-S

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ যখন আমি কলকাতা যাই.... হাওড়া, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, সাখাওয়াৎ মেমোরিাল গার্লস স্কুল আমাকে আমার গল্পে বই এ পড়া ভাবনার রাজ্যে নিয়ে যায়। আমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকতাম। ট্রামে চড়া বাসে চড়া পাতাল রেল তখন আমাদের দেশে ছিলো না ঠিক তেমনই আমি জানি চেনা জায়গার কথা পড়লে কেমন লাগে...... সে এক অকারণ ভালো লাগা। :)

হা হা তুমি বুদ্ধি না দিলেও আমি দেখেছি এমন অনেক মেয়েকেই যারা টাকা পয়সা গহনা নিয়ে পালায়.....

নীরুর অবশ্য অতো সাহস ছিলো না.......

তবুও দেখি ওর কানে কুমন্ত্রনা দিয়ে ওকে দিয়ে গহনা চুরি করাতে পারি কিনা... :)

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: গল্প বেশ জমে উঠেছে, খোকা ভাই এর মধ্যে কিঞ্চিৎ হিমুর ছায়া দেখতে পাচ্ছি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হিমু নাকি জানিনা তবে খোকাভাই নির্লিপ্ত ছিলো তার ঐ বয়সেই ভাগ্যের ফেরে অমন জীবন পেয়ে..

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এসে গেছি ই ই ......
দাড়া পড়েয়াবার আসছি :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: কয়টা কমেন্ট দেবে!!

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়ে একটাই দেবো, না পড়ে যতক্ষণ আড্ডার মুড আছে , যতক্ষণ ডল না আসে ! যতক্ষণ একলব্য এসে আমাদের পোংটা না বলে, যতক্ষণ চুয়াত্তর আমার বানান ভুল না ধরে বা কল্পনার গরু কে আকাশে না উড়ায়। জানো তো আমি আজকাল ডায়েট করি না ;)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আমিও না! কদিন আগে ঠিক আমার সাথে আমার রুমেই এক নতুন টিচার সাত দিন ক্লাস অবজারভেশনে ছিলো। রোজ রোজ দেখি তার অনেক ঠান্ডা নাক মুখ বুজে আসে। আমি ভাবি এত ঠান্ডা কেনো!!
আমি মাস্কও পরি না ..... লিপিত্তিক নত্ত হয়ে যাবার ভয়ে। তাই আমার বেশি ভয়।

সব ভয় সফল করে ঐ শয়তান মাথা ঘুরে পড়লো!!!!!!!!!! X((

সাথে সাথেই আমি যা বুঝার বুঝে গেলাম।টেস্ট করে দেখা গেলো কোভিড পজিটিভ!!! রাগে আমি তাকে তার মধ্যে মারি আর কি.....বেচারা সামনে ছিলো না আর কি......

রাগে বাসায় ফিরে সোজা স্যুইমিং পুলে চুবানি দিলাম নিজেকেই। তারপর রাগে আরও রাগে ভিজা চুল বেঁধেই ঘুমায় গেলাম!

আমার আবার নীরু মার্কা তেল ছোটবেলা থেকেই ব্যবহারের কারণে গজগজা চুল জানোই। সেই গজগজা চুল ভেজা বাঁধার কারনেই হয়ত সকাল থেকে আমার নাক বন্ধ!!!!!!!

আমি তো ভয়েই শেষ আমি দেখলাম আমার নিশ্বাস বন হয়ে আসছে..... কথা বলতে গেলে খেতে গেলে...... আল্লাহ বাচাও আমারে !!!!!!!!! :((

সেই মেয়েকে অভিশম্পাৎ দিতে দিতে দিতে দিতে দুদিন পরে আবার আমার সাইনাসের প্রবলেম সলভ হয়ে গেলো।

আর যদি ঐ মেয়েকে আমার আশে পাশে দেখি তো!!!!!!!!!!!!!! X((

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ওপস যে কথা বলতে গিয়েছিলাম।
অসুখ অসুখ লাগলেও আমি মনে যা আসে খেতে শুরু করি।

ঐ দুদিন আমি পিজ্জা, বার্গার উইথ ডাবল চিজ, ফ্রায়েড চিকেন, গ্লেসড ডোনাট কেটল চিপস, ফিস এন্ড চিপস..... সকালে নিহারী পরোটা যা মনে চায় তাই খেয়েছি .....

ওমনি ওমনি কয়েক কেজি ওজনের বস্তা এসে এক ধাক্কায় আমার নাক বন্ধ কোভিডের বাচ্চা কাচ্চা সবকটাকে আমার থেকে দূর করে দিসে ...........

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই রে !!! বক্কু মিয়ার অভিশাপ দেখছি হাতেনাতে রিকশা নিয়ে চলে আসলো। এসেই পাড়ামাত ! একালের পাখিভাই সেযুগের লেবুর মায়েরা কখনোই কোথাও মনে হয় সিম্পল এন্ট্রি নেন না। আশেপাশে' র দুদশ গ্রামের সবাই তখন বুঝে নেয় ঐ বাড়িতে বিবাহ যোগ্য কন্যা অথবা পাত্র আছে।

একটা বিষয় কনফার্ম হতে পারছি না, নীরুর মা কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে পরিবারের সবাই কে নীরুর বিয়ের কথা বলছিলেন। এমন অবস্থায় লেবুর মাকে দেখে কিন্তু তার মুখে হাসি ফুটবার কথা ! সাগ্রহে বসাবার কথা, তাচ্ছিল্য ক্যান ? নাক উঁচু স্বভাবের হলে ও উনার জন্য তো মুশকিল আসান এই কস্কি মমিন লেবুর মা।

খোকাভাই তো মনে হয় নিজেকে নিজে সান্তনা দেবার চেষ্টা করছিলেন, হৃদ স্পন্দনে নীরু নীরু সে ভয়ের প্রতিফলন মনে হয় ?

সে যাই হোক আসলে সে সময় টা ছিল ভীষণ অন্য রকম একটা সময়। পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন সমাজ সংসারের কথা খুব ভেবে চলতে হত। সামান্য কিছুতেই জাত যেত, হালকা করে অপরিচিত পথে পা বাড়ালে ও হায়হায় রব উঠত! অভিভাবক দের কাছে মুখের কথা বা বচন অনেক টা শপথ নেবার মত ছিল। সকল সময়ের কালের যুগের অভিভাবক রা মনে করতেন, কঠোর কঠিন শাসনের উপর বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ ঔজ্জ্বল্য নির্ভর করছে। স্নেহ মমতার অবেশে অভিভাবক গন ভুলে গেলে ও সমাজের রক্ত চক্ষু তাদের কে সেসব বারবার মনে করিয়ে দিতেন। তাই মীরা আপার সাথে যা ঘটেছে সেসব চূড়ান্ত ঘটনা ছাড়াও প্রিলগ যে আছে সেসব সহজেই অনুমেয় :(

ঐ যে দেখো দাদুর মুখে কিন্তু সেই সমাজে নিজেদের সম্মান প্রভাব টিকিয়ে রাখার কথার ই প্রতিধ্বনি " আমরা বিয়ে দেবো কি দেবোনা পরে ভেবে দেখবো এখন উনারা আসতে চেয়েছেন আসতে বলো। আর যত্নের যেন কোনো ত্রুটি না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে "
সাথে লাখ কথা না হলে বিয়ে হয় না প্রবাদ তো আছে ই !!!

সাচু যেমন বলেছেন "মা কেন এত নিষ্ঠুর হচ্ছে। মায়ের অন্তত এই পরিস্থিতিতে মেয়ের অবস্থা বোঝা উচিত। মায়ের আচরণে একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে "
চুয়াত্তর ভাইয়া আপনি কী ঐ সমাজে ওই সমাজে নীরুর মত চঞ্চল উচ্ছল পদে পদে ভুল পথে পা বাড়ানো একতা মায়ের মায়ের মনের অবস্থা চিন্তা করছেন ? যেখানে তার সামনে উদহারন হয়ে আছে ঐ বাড়ির বড় মেয়ে মিরার ঘটনা ? মিরার মায়ের পরিবারের সামনে জে অপদস্থতা, মিরার মায়ের মেয়েকে মৃত ভেবে নেয়ার কস্টের যে বুকফাটা আর্তনাদ! সব কিছু' র পুনরাবৃত্তি হবে নীরুর যে কোন একটা ভুল পদক্ষেপে। আপনি নীরুর মায়ের যে সমাজে অসহায়ত্ব টা কল্পনা করেন।

এসব ভাবনা নীরুর মাকে এত কঠোর কঠিন হতে বাধ্য করেছে, যেমন বলেছিলেন " যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা! তোরে আমি আজকে শেষ করে জেইলে যাবো তবুও তোর ....... উন্মাদের মত চিল্লাচ্ছিলেন মা, অবিশ্রান্ত বাক্য বর্ষনে তার মুখে ফেনা উঠছিলো। এই উন্মত্ততা কিন্তু পুরোটাই উনার অক্ষমতার আক্রোশ ! মেয়ের পছন্দের কিছু দিতে না পারার , নিজের স্বাধীন মত প্রকাশের, এবং উনার নিজের সাথে পূর্বে ঘটা কঠোর সিদ্ধান্তের। সব দেখেশুনে উনারমনে হয়েছে হয়ত মেয়ে মরে গেলে মনের সান্ত্বনা থাকে আর দেখতে পাবে না সে কান্না! আর বেঁচে আছে সে সংবাদ টুকু ও না পাবার যে যাতনা !!! সেটা সহ্য করার চাইতে জেল জীবন ও উত্তম। আসলে সে সময়ের অন্তঃপুরের কান্না সব বালিশ আর দেয়ালে দেয়ালে নোনাজলের কাব্য লিখে রেখে গেছে।


আহা নীরু অপরিণত অপাপ বিদ্ধ নীরু !!!!!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

অপ্‌সরা বলেছেন: এই কমেন্ট তো বাঁধিয়ে রাখার মত!!!!
বাপরে!!!!

তোমার রেজাল্টও জানতে হবে আপুনি!! তোমরা এত এত মনোযোগী বোদ্ধা কেনো!!! কিভাবে!!!

যাইহোক লেবুর মা যেমন অনেক সফল বিয়ের ঘটক ছিলেন তেমনই অনেক অসফল কুটকচালে সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে বিয়ে দেবারও ওস্তাদনী ছিলেন। তার কীর্তি কলাপ অনেকেরই জানা ছিলো। বাবা চাচাদের আমলের বিয়ের ঘটক তিনি। যদিও নীরুরা তাকে চিনতো না কিন্তু মা চাচী দাদীরা ঠিকই চিনতেন তাকে।
সে যাইহোক ঐ ঘটকের ১০০ কথার ৮০টাই মিথ্যা এমন ধারনা থেকেই হয়ত নীরুর মায়ের অম চেহারা হয়েছিলো। আর নাক উঁচু স্বভাব যাদের তাদের ভালো করতে গেলেও তারা এমন ভাব দেখায় ইসরে আসছেন বড় সাহায্য করতে আমারে! ধন্য করেছেন! জীবন সার্থক করেছেন যেন। নীরুর মা যেমনই নাক উঁচু স্বভাবের ছিলেন তেমনই দুনিয়ার সবার উপরেই তার একটু তাচ্ছিল্য ভাব ছিলো। আর মেয়েকে নিয়ে সদাই উচাটন থাকতেন কেনো জানিনা....
হ্যাঁ মীরার আপার মত কলঙ্কিনী হয়ে বেঁচে থাকার চাইতে মরে যাওয়াও ভালো এমনই মান সন্মানের ভাবনা ছিলো তার যা নীরুর মোটেও ছিলো না...... মান সন্মান মান সন্মান করে নিরুদের বাড়ির মেয়েরা সব মাথা খেয়েছিলো যা তাদের মনে বেড়ি পরিয়েছিলো আসলে।

চুয়াত্তর ভাইয়া হলো অতি মর্ডান মনের তাই ভুলে গেছে এই কদিন আগেও কত নিয়ম শাসনের জালে আটকে রাখা হত মেয়েদেরকে। এখন তার থেকে খুব একটা উন্নতি হয়নি। তাও শহরে যেমন হয়েছে গ্রামে গঞ্জে তো একই আছে।

হুম আসলেই আহা নীরু...... এমন নীরু কত শত লাখ মুখ গুমরে মরেছে নিজেদের মনের দেওয়ালে যার খবর কেউ রাখেনি ......

:(

১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: সব ঝামেলা শেষে এখন বসে পড়লাম!
বেশ ভাল ছেলে- তৎকালীন ডিসির ভাগ্নে বলে কথা তাও আবার গাড়ি বাড়ি সহ ডাক্তার!!
এতো রাজ-লক্ষী জোট!
মহিলার কথায় দেখি ওপারর টান?
বিয়েটা হলে বেশ জমবে- কত রাজ্যার খানা পিনা হবে, ইশ শ আমার সেই বিয়ে বাড়িতে যেতে মন চাইছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ যশোরের অনেকেই ওভাবে কথা বলে ভাইয়া।

আর তোমাকে দেখছি নিরুর বিয়েতে দাওয়াৎ দিতে হবে।

কাচ্চি বিরিয়ানী খাসীর রেজালা জালি কাবাব ফিস ফ্রাই আলু চপ আর কি কি খাবে বলো ....

১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২১

কামাল৮০ বলেছেন: ডিসির বৌ যদি সাইকেলের পিছনে বসা দেখতো,তাহল আর যাই হোক এ বাড়ী মুখো হতো না।এখনো সময় আছে সাইকেলের পিছনে বসে ডিসির বাসার ঐ দিকটায় দুই এক চক্কর মারার।ঐ দিকটা মোটামুটি নিরিবিলি।
নীরু খোকা ভাইয়ের মনের খবর নিতে বুকে কান পাতলো আর খোকাভাই নীরুর মনের খবর না নিয়ে গনকের মতো বলে দিলো এ বিয়ে হবে না।বেরসিক খোকা ভাই
নীরু আছে তার মনের দুঃখে আর শেরজা ভাই আছে কখন বিয়ের মজার মজার সব খাবার খাবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৩

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা এত মনোযোগী পাঠক তুমি ভাইয়া!!!!!!!

বাপরে!! হ্যাঁ কথা সত্য ডিসির বউ সেদিন দেখলে জীবনেও প্রস্তাব পাঠাতো না। তবে এই বুদ্ধি ভালো ডিসির বাসার সামনে দিয়ে সাইকেলে বসে ঘুরে আসা! হা হা সবাই কত কত বুদ্ধি দিচ্ছে দেখি কোনটা করানো যায় ওদেরকে দিয়ে।

হা হা হা হা হা হা সত্যিই হাসছি খোকাভায়ের জানা হলো না নীরুে মনের কথা .......
জানতে হলে কি তাকেও ....... হায় হায় গেছি :P
তুমি মনে হয় আমাকে মার খাওয়াবার ধান্ধায় আছো ভাইয়া হা হা


আর শেরজা ভাইয়ার সাথে তোমাকেও দাওয়াৎ দেবো নাকি নীরু আর খোকাভাই পালিয়ে বিয়ে করলে তুমিই কাজী অফিসের টাকাটা দেবে!!!!!!!!!

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৭

পোড়া বেগুন বলেছেন:
হরিণ না ধরতে পাইরা এখন গর্ত খুড়ে পোড়া কুমিরের
লেজ নিয়ে টানা টানি করছে; আপনি পারেনও.....

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪২

অপ্‌সরা বলেছেন: খাঁজ কাটা কুমীরকে এইবার বেগুনের ভর্তা খাওয়াবো.....

তুমি কোথায় ডুব দিয়েছিলে পোড়া বেগুন?

১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই কমেন্ট তো বাঁধিয়ে রাখার মত!!!!
বাপরে!!!!

তোমার রেজাল্টও জানতে হবে আপুনি!! তোমরা এত এত মনোযোগী বোদ্ধা কেনো!!! কিভাবে!!!
[/si

আরেয়ে না এমন কিছু না, শুধু পছন্দের টপিক পেলেই এমন। গালগপ্পো পছন্দ যে।

আমার রেজাল্ট সারাজীবন ই ফেল্টুসি মার্কা :P

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: আহা বললেই হলো!!!!!!!!!

বুঝাই যাচ্ছে তুমি কত মনযোগী ছাত্রী ছিলে।

যাইহোক কাল সকালে প্যারেন্টস মিটিং আর বিকালেও অনুষ্ঠান আছে আর আমি বসে বসে লিখছি খোকা ভাই ১৩.....

চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছি।

কাল সকালে আমার চোখ ফোলা ফোলা থাকবে না বলো?

মা বাবারা কি ভাববে আমাকে?? :(

১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ্যা তুমি বিউটি স্লিপের সাথে কম্প্রোমাইজ করে খোকা ভাই কে নিয়ে আছো !!
খোকা ভাইকে কিছুক্ষন ঘুমের অসুধ খাইয়ে ডীপস্লিপে পাঠাও। এই পর্ব আগে সবাই পড়ি।
হ্যাপ্পী স্লিপিং টাইম। লম্বা ঘুম দাও সকালের মিটিং যুদ্ধের প্রস্তুতি সহ।

গুড নাইট!

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৭

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা গুড নাইট আপুনি!!!!!!


এখুনি ঘুমিয়ে যাবো..... :)

১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৭

একলব্য২১ বলেছেন:
১২ নম্বর পোস্ট এসেছে দেখেছি কিন্তু আরামসে অখন্ড মনোযোগে যে পড়বো সেই সময়টা পাচ্ছি না। পরে আসবো। আপাতত হাজিরা দিয়ে গেলাম। সাথে অগ্রিম লাইক।

গোফরান ভাইয়ের মন্তব্যে পড়ে মজা পেলাম। আমরা প্রশ্ন করে লেখিকার লেখার পিছনের গল্প বের করবো। আর গোফরান ভাইরা চামে চামে তার মজা নিবে। ইহা অনুচিত।

আমগো কান্দে বন্দুক রাইখা গুলি ফুটাইবো। ইহা হইবে না। X((

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: আগে পড়ালেখা কাজ সারো তারপর খোকাভাই পড়া ভাইয়ু!! :)

আমিও সারাদিন বিজি বিজি এন্ড বিজি ছিলাম।

২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০

নীল-দর্পণ বলেছেন: চুপি চুপি পড়ে যাই সব পর্ব কিন্তু কমেন্ট করার সময়, এনার্জি থাকে না। এই যেমন গতকাল, ভেবেছি দুপুরে লগিন করবো কিন্তু মেয়ে একজন তুরতুর করতে করতে খাট থেকে পড়েই গেল!!

নীরুর দাদার অতিথি আপ্যায়নের হুকুম দেখে মনে পড়ল আমি তখন সেকেন্ড বা থার্ড ইয়ারে পড়ি। ছেলে পক্ষ ধরেছে আসবেই তারা আমার মা গো ধরেছে না এদের কাছে মেয়ে দিবো না । পরে আমার বাবাকে রিকোয়েস্ট করলে ঢাকা থেকে নির্দেশ দিলেন মেহমান আপ্যায়ন করা হোক মেয়ে দিবো কী দিবো না পরে ভাববো! কী বিভৎস এক রাত পাড় করেছিলাম। সারারাত কান্নাকাটি!!

নীরু কী করে দেখি সেই অপেক্ষায় রইলাম। :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ বুঝতে পারি নীলুমনি তুমি অনেক অনেক বিজি এখন। সেই আগের ছোট্ট নীলুমনি কি আর আছে!!!

যাইহোক বাবারা দাদারা এমনি মানুষ অতিথি আপ্যায়ন করতেই হবে বিয়ে দিক বা না দিক.....

অনেক অনেক থ্যাংকস নিলুমনি!!! :)

২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: খুব মায়া লাগছে খোকা ভাই আর নীরুর জন্য । আর ঐ ঘটক মহিলার পান জর্দার গন্ধ যেন এখান থেকেও পাচ্ছি ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হুম আমারও মায়া লাগে তো!

২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি বেশ কয়েকবার আসছি কিন্তু প্রতিবারই শেষ না করেই ফিরে যেতে হলো। আমার আসলে গল্পের শেষটাই দেখতে ইচ্ছে করছে।

তোমার পোষ্টের আমি কম বলি তার মানে এই নয় যে আমি তোমার লেখা গুলো মনযোগ দেইনা। আমি বরং তোমার পোষ্ট থেকে হিউম্যান সাইকলজি গুলো বুঝতে পারি। মানুষ কেমন পরিস্থিতি কি ভাবে কি করে এসব । এবং মানুষের কাছে সম্পর্ক এবং ভালোবাসা গুলোর দায় দায়িত্ব কতটা। এমন অনেক কিছুই পাওয়া যায় তোমার গল্প থেকে । তুমি যে শুধুই কল্পণা থেলে লেখে তা কিন্তু না। আমি জানি তুমি তোমার আশে পাশে মানুষের জীবন থেকেও টেনে আনো অনেক কিছু। সে যাই হোক ।

আমি তোমাকে শায়মা আইডি থেকে প্রথম আবিষ্কার করি। আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে ্তোমার সেই ডিপিটা। আমার অনেক প্রিয় একটা ডিপি। তোমাকে তো তখন আমরা কেউ দেখিনি। তোমাকে আমি বা আমরা দেখেছি তোমার লেখায় এবং মন্তব্যে। সেখান থেকে তোমার একটা চিত্র আমি বা আমরা পাই। তোমার বিশেষ একটা গুন হলো কাউকেই তুমি ডিরেক্ট আঘাৎ দিয়ে কথা বলতে পারোনা। এটা তোমার চরিত্রের একটা বিশেষ দিক। রাগ যে তোমার হয়না তা কিন্তউ না। বিশেষ করে অনলাইনের কিছু আজব চরিত্রের মানুষ আছে এদের সহ্য করা অনেক কঠিন। এখানেই সেই তুমি টানা এক যুগের চেয়ে বেশি সম্পর্ক আর ব্যবহারে বিশেষ ভারসাম্য রেখে এখানে আছো।আমার কেবলি মনে হয় শায়মা ছাড়া সামু পরিপুর্ন নয়। এটা আমার একান্তই নিজের ভাবনা। সামু তোমার কাছে ঋনী থাকবে আজীবন। পারসোনাল জীবনে বয়স হলো পৃথিবীতে আগে আসে আর পরে আসা। কিন্তু একটা প্লাটফর্মে বয়স বা সিনিয়রিটি নির্ধারণ হয় সেই প্লাটফর্মে কার অবদান কতটুকু। সেই অর্থে তুমি আমার বা আমাদের শ্রদ্ধার একটা জায়গা। এবং আমাদের সবার উচিৎ সবার ক্ষেত্রে সেই দিকটা মাথায় রাখা।

কাল তোমার পুরোনো লেখা গুলো চোখ বুলিয়েছি। কত পুরনো মানুষ যে আমরা হারিয়েছি বা তারা আড়াল হয়েছে। এমন অনকে মানুষ কে দেখেছি এই সামু থেকে কিছু নিচু মনের মানের মানুষের আঘাতে রক্তাক্ত হতে। ওদের হারিয়ে যাওয়া দেখে আজ মনে হচ্ছে একটা জায়গায় দীর্ঘ সময় দায়িত্বের সাথে টিকে থাকা এতো সহজ নয়। কিন্তু তুমি আছো। তাই তোমাকে বোঝানো বা শেখানোর স্পর্দা আমার নেই। সামু নামের পাশে শায়মারা লেগে থাকবে এটাই সত্য আর বাকি সব মিথ্যে।

তোমার সুন্দর সবুজ সতেজ সুরের জীবনটা আরো দীর্ঘ হোক ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: কোনো গল্পের কোনো শেষ হয় না শার্দূল।
জীবন নামক নাট্যের শেষ হয় জীবনের পরিসমাপ্তিতে।
আে গল্পের পরেও গল্প থাকে.....

কাজেই এই গল্প হয়ত শেষ হয়ে যাবে কিন্তু যতদিন জীবন থাকবে বহমান ততদিন গল্পও বয়ে যাবে নিরবধি। হয়ত তা লেখা হবে না ......

ডাইরেক্ট বা ইনডাইরেক্ট কাউকেই কোনোভাবেই হার্ট করার কোনোই ইচ্ছে নেই আমার। আমি অমন মানুষদেরকেও পছন্দও করি না। তবে প্রায়ই কিছু গায়ে পড়ে লাগতে আসা মানুষ আমাদের জীবনেও যেমন আসে অনলাইনেও এসে যায়। তুমি সেসব খুব ভালো করেও জানো আর দেখেছোও।

সামু আমাদেরকে যে মনের ভাব প্রকাশের জায়গাটা দিয়েছে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ভুলে গিয়ে অনেকেই যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে ফেলে। যাই হোক তুমি বা তোমরা অনেকেই আমাকে ভালোবাসো তাই এমন করে শ্রদ্ধার কথা বললে। তোমাকে অনেক অনেক থ্যাংকস এমন করে বলার জন্য।

২৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৭

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

তোমার লেখা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত আমি মগ্ন হয়ে তোমার লেখা পড়ার চেষ্টা করি। আজও সেই অর্থে সময় পাইনি। ঘণ্টা ২/৩ পর হয়ত পাবো। তোমার লেখা পড়া আমার কাছে অনেক আনন্দের এবং বিস্ময়ের। তাই হেলাফেলা করে আমি তোমার লেখা আমি পড়ি না। আরামসে পড়ি।

শার্দূলের কমেন্টটা পড়লাম। দুর্দান্ত লিখেছেন। প্রায় এক যুগ ধরে দাপটের সাথে মধ্যমণি হয়ে সামুতে টিকে থাকা ইজ নট আ জোক।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ শার্দূলের কমেন্ট পড়ে ভাবছি কি উত্তর দেবো!

শার্দূলকেও আমি এক যুগ ধরেই চিনি তো তাই আরও ভাবছি। শার্দূল আমার দেখা এই ব্লগের একজন খাঁটি মানুষ।

শুধু খাঁটি না খাঁটির উপর খাঁটি .....

তাকে নিয়েও এক মহা গল্প লেখা যায়। শার্দূল অনায়াসে গল্প নাটক সিনেমার নায়ক হতে পারবে। কিন্তু লিখলে সে আমাকে মাইর দিতে পারে। :(

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩৫

একলব্য২১ বলেছেন: সামান্য কয়েকটা প্যারার পর্ব। আর তা পড়ার জন্য আমার কতো তোড়জোড়। একদম আয়েস করে নির্ভার হয়ে পড়বো বলে রেখে দিয়েছিলাম। যথারীতি হতাশ করনি। আরো একটা অসাধারণ লেখার পর্ব পড়লাম। ধন্যি শায়মা আপু।

সত্যি সত্যি তোমার (নীরু না কিন্তু) পীঠে দক্ষিণা পড়েছিল। B:-)

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ সত্যিই নীরুর পিঠে পড়েছিল.... :P

২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৩

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,

তোমার লেখার ধরণ নিয়ে একটু আলাপ করতে চাই। এই যে তোমার লেখার ধরন কায়দা কৌশল এটা কি একান্তই তোমার নিজের স্বকীয়তা নাকি অন্য কোন লেখক/ লেখিকার লেখা দ্বারা অনুপ্রাণিত বা অনুসরণীয়। জানতে মঞ্চায়। :D

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: জীবনে অনেক অনেক গল্প কবিতা পড়েছি।এখনও পড়ি। তবে সেই কিশোরীবেলার মত এত এত মনে লেগে যায় না।
শরৎচন্দ্র, রবিঠাকুর, শীর্ষেন্দু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ এবং গজেন্দ্রকুমার মিত্র, মনোজ বসু, হরিশংকর জলদাস এরা আমার জীবনে মনে হয় আমার লেখায় প্রভাব ফেলে প্রত্যক্ষভাবে।


তবে লেখক হতে চাইনি তো তাই এত কিছু খেয়াল করি না। ভাবি আমি এক ডায়েরী লিখে চলেছি।

২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৫

একলব্য২১ বলেছেন: তোমার কলিগ কি বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হল।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ বুস্টার ডোজ দেবার পর ২ বার আর তার আগেও একবার হয়েছিলো ২০২০ এ

তার বাবাই প্রথম আমার জানা ব্যক্তি যে আমার চেনা মানুষের মধ্যে প্রথমে করোনা হয়ে মারা যান।

২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৮

একলব্য২১ বলেছেন: প্যারেন্টস মিটিংএ তোমরা সাধারণত কি আলোচনা কর, কি ধরনের টিপস তাদের দাও। আমাকে একটু জানাও তো। ক্ষুদের ক্ষেত্রে আমার কাজে লাগতে পারে।

ক্ষুদের স্কুলে একজন ক্যাম্পাস পরিচালক আছেন, যে এই স্কুলেরই একজন এক্স স্টুডেন্ট। এক সময় লক্ষ্মীবাজার এলাকায় পাইনা রংবাজ আছিল। আমাদের অনেক সিনিয়র। তার সাথে আগে মাঝে মাঝেই ক্ষুদেদের পড়াশুনা ও নানান বিষয় নিয়ে প্রায়শই স্কুল ছুটির পর কথা বলতাম। একদিন উনি বিরক্ত হইয়া আমাকে বললেন " আরে মিঞা, পড়ালেখা বাদ দিয়ে ক্ষুদেরে ভাল মানুষ বানাও। আমাদের স্কুলে অনেক হনু আছে যারা লন্ডন আমেরিকা থেকে উইল্লা বাঁন্দর হইয়া আইছে মাগার বাপমারে খাওয়ায় না। আবার দেখ রিক্সাওলা বাপমারা খাওয়ায়।"

হক কথা। আমি নিশ্চুপ। :(

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: আমরা মিটিং এ স্টাডি রিলটেড টিপস দেই।

যেমন কোথায় সমস্যা। আমরা কি করছি। প্যারেন্টস কি করতে পারেন।

তারপর আসি বিহেভিয়ার এবং সোশ্যাল বিহেভিয়ারে.....

সে সম্পর্কেও বাবা মা কি করতে পারেন সেটাই বলি।

২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:১৭

একলব্য২১ বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান ভাই আমিও আপনারে খুব ভালা পাই।

আমি আপনার লেখা কিন্তু প্রায় সবই পড়ি। :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: গোফরান ভাইয়াও তোমার স্টাইল ফলো করছে।

তুমি ১০টা কমেন্ট করলে ভাইয়া ভাইয়ার প্রিয় ভাইয়ার পোস্টে ২০টা কমেন্ট করবে এবং করছে । :``>>

২৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:

তারপর কি হয়েছে ?


১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

অপ্‌সরা বলেছেন: মিররমনি!!!!!!!!!

কোথায় ছিলে!!!!!

তুমি আসোনি তাই নেক্সট পর্ব লিখেও পোস্ট করিনি।

ওয়েটিং ফর ইউ!!!!!!!!

৩০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:



পড়লাম আপু ।
ভদ্রমহিলাকে আসতে দেখেই মনে হয়েছে এটা ঘটক হবে ।
সত্যিই দেখি তাই।



৩১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা দেখলে আসতে??

আচ্ছা তুমি আর শুভ ভাইয়ু এত বিজি কেনো এখন?

তোমাদের কি কাজ এত?

তুমি তো জব করছো??

নাকি এখনও পড়ছোও ???

এখন কি কোনো এক্সাম আছে?

৩২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




কারণ আমাদের বাড়িতে জলচৌকি বরাদ্দ ছিলো ঝি চাকর শ্রেনীর লোকজনদের জন্য আর হাতলবিহীন বা হাতলওয়ালা বড় চেয়ারগুলি ভদ্রলোকেদের জন্য। ঝি চাকরদের ভুলেও সেসব চেয়ারে বসার কোনো অধিকারই ছিলো না।

সমাজের সেই সময়ের কিছু চিত্র তুলে ধরেছো ।

মানুষে মানুষে এই ভেদাভেদ যতদিন থাকবে, ততদিন আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো না ।
এক পা আগে গেলে, দুই পা পিছনে যাই ।

উন্নত বিশ্বে দেশগুলো এতো এগিয়ে যাবার কারনের একটা বড় কারন তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে,
তার পেশা দিয়ে না, অবস্থনাগত শ্রেণীবৈষম্য নেই ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ এখনও ঐ মানুষগুলো যারা বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে এই অকারন আত্ম অহমিকা দেখতে পাওয়া যায়।

৩৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:




নাহ আপু, পড়ালেখা শেষ, শুধুই জব নিয়ে বিজি ।
আসলে উইকেন্ডে ফ্রি হয়ে আসি কিন্তু এই উইকেন্ডে অনেক বেশি বিজি ছিলাম তাই আর আসা হয়নি ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: তাই তো ভাবছিলাম ... কি হলো তোমার??

একদম নাই নাই নাই তাই অপেক্ষায় ছিলাম।

৩৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

মিরোরডডল বলেছেন:

টাইপো ছিলো, শব্দটা হবে অবস্থানগত ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

অপ্‌সরা বলেছেন: নো প্রবলেম!

সব ভুলভাল টাইপো বুঝে যাই আমি।

৩৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:

তাহলে আর অপেক্ষা কেনো, দিয়ে দাও নেক্সট ওয়ান ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৭

অপ্‌সরা বলেছেন: আচ্ছা দিচ্ছি।

৫ মিনিটস ওয়েট করো ....

৩৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বক্কু মিয়া চলে গেল কিন্তু নতুন করে আপদ এলো ঘটকের আমদানি।
শুরু হলো মা এবং মেয়ের লড়াই। আহারে দীঘল চুল কেটে ফেলার জন্য নেওয়া কাঁচি হাতে নেওয়ায় রব উঠলো গলার নলি কাটতে কাঁচি হাতে নেওয়া।মায়ে ঝিয়ে লড়াই বেশ জমে উঠেছে। সেই লড়াইয়ের সুলুক সন্ধানে যাই এখন পরের পর্বে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২০

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাণ ভাইয়া বিপদের উপর বিপদ! :(


এরপরে আরও দুইটা পর্ব আছে :)

৩৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কাছে নিরুদের পরিবারের সবচেয়ে ভালো মানুষ আর ব্যক্তিত্ববান মনে হয়েছে দাদাকে। আর মা জননীকে অকারণ, অতিমাত্রায় নির্দয় মনে হয়েছে, যা সাধারণতঃ সৎ মায়েরা হয়ে থাকে।
"একালের পাখিভাই সেযুগের লেবুর মায়েরা কখনোই কোথাও মনে হয় সিম্পল এন্ট্রি নেন না। আশেপাশে' র দুদশ গ্রামের সবাই তখন বুঝে নেয় ঐ বাড়িতে বিবাহ যোগ্য কন্যা অথবা পাত্র আছে" (১৩ নং মন্তব্য) - কি নিখুঁত একটা পর্যবেক্ষণ! মন্তব্যের পরের কথাগুলোর মর্মও অত্যন্ত গভীর ।
শার্দূল ২২ এর ২২ নং মন্তব্যটি খুব ভালো লেগেছে। আর সেই সুন্দর মন্তব্যটির ততোধিক সুন্দর একটি উত্তর প্রদান করে আপনিও পাঠকের সমীহ আদায় করেছেন বলা যায়।
"ভদ্রমহিলাকে আসতে দেখেই মনে হয়েছে এটা ঘটক হবে" - মন্তব্যকারীর সিক্সথ সেন্স খুবই শার্প!



২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।

একদম ঠিক দাদামশাইকে যতই সদয় মনে হোক না কেনো ভুলে যেও না বড় ছেলেকে তাজ্য করেছিলেন তিনি। আর মা শুধুই অকারণে অমন উতলা ছিলেন। আচরণ দেখে মনে হয় যেন নীরু বড়ই অপরাধী হয়ে জন্মেছিলো পৃথিবীতে।

মিররমনি সাড়ে চুয়াত্তর একলব্য এরা হলো আমার লেখার চুলচেরা বিশ্লেষক। হা হা

আর শার্দূল তো ফিলোসফার তার মন্তব্য তো ভালো হবেই ......

মিররমনি অনেক বুদ্ধিমতী। সে সবাই জানি আমরা....

৩৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই ঘটক মহিলার বর্ণনাটা বেশ হয়েছে। প্রথমে মনে হচ্ছিলো ডাইনি গোছের কেউ, পরে দেখা গেল ডাইনিই বটে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আসলেই ডাইনী!!!!!!!

বিয়ে না দিয়ে ছাড়ে না কিছুতেই ......

রিক্সাওয়ালার সাথে গন্ডগোল লাগায়ও ইচ্ছা করেই যেন সেই বাড়ির মানুষ টাকা দিয়ে দেয়।

৩৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী জেদি মেয়ে নীরু। না জানি তার কপালে সানে কী আছে

খুব সুন্দর আপুনি

০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: কপাল সানে কি!!!!!!!!!!!


কপালে ওঠা সূর্য্য নাকি!!!!!!!!!! :P

৪০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: ওগো নীরুপমা, করিও ক্ষমা---এরপর খোকাভাইয়ের সুর হতে পারে এটা মনে হচ্ছে। :D

১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা এক্কেবারে পারফেক্টো গানা ! হা হা

৪১| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: গাছের মগডালে উঠসো? বহু দিন পরে শুনলাম, আমি অবশ্য আরেকটা শুনতাম হাতির পাঁচ পা দেখসো!! ...............। আজব!! কেমনে কি ?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা সাপেরও নাকি পাঁচ পা দেখে মানুষ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.