নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরদিনও ফিরলো না খোকাভাই। সেজোচাচাও কোনো খবর নিলো কি নিলোনা কিছুতেই জেনেও উঠতে পারলাম না আমি। তবে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছিলো তখন। পাত্রপক্ষ আর দেরী করতে পারবেন না। পাত্রের বাবার শরীর ভালো না। হার্টের পেশেন্ট তিনি। এই এখন তখন যায় যায় অবস্থা। তাই বিয়েতেও তড়িঘড়ি ছিলো। দু'সপ্তাহ সময় সাবাস্ত হলো পাত্র এবং পাত্রী দু'পক্ষকেই বিয়ের প্রস্তুতি নেবার জন্য।
এই বিয়ে উপলক্ষে পুরো বাড়ি চুনকাম করানো হলো। সারাই করা হলো যত পুরাতন ভাঙ্গা-চোরা আসবাব, দরজা জানালা। হাড়ি পাতিল ডেক থেকে শুরু করে বাড়ির প্রতিটা মানুষের বিয়ে গায়ে হলুদ বৌভাত প্রতিটা অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা পোশাক আষাকের ব্যবস্থার আয়োজন শুরু হলো। চারিদিকে হই হই রই রই ব্যপার।এই বিয়ে উপলক্ষে এই সাজ সাজ রব শুধু এ বাড়িতেই সীমাবদ্ধ রইলো না সারা পাড়াই যেন মেতে উঠলো এই বিয়ের অনুষ্ঠানে। এর আগেও এ বাড়িতে বিয়ে হয়েছে কিন্তু এত আনন্দ উৎসব আর কোনো বিয়েতে করা হয়নি কখনও।
বিয়ে উপলক্ষে দূর দুরান্ত থেকে ধেয়ে এলেন নানা আত্মীয় পরিজন। মীরা আপাও এলেন। তার কোলে ফুটফুটে এক ছেলে। এত্ত সুন্দর বাচ্চাটা ঠিক দেবশিশুর মত দেখতে। কি মিষ্টি করে হাসে। সবাই তাকে নিয়ে টানাটানি শুরু করলো। কে কার আগে কোলে নেবে প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেলো। আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠলো তাকে দেখে। মনে হলো অমন আরেকটি নিস্পাপ শিশু নিঃশব্দে শুয়ে আছে এ বাড়ির পেছনদিকের বাগানের মাটির নীচে আস্তাকুড়ের কাছে। যাকে গলা টিপে হত্যা করেছে এ বাড়িরই কিছু নিষ্ঠুর মানুষজনেরাই। আমার মনে প্রশ্ন এলো আচ্ছা মীরা আপারও কি ওর কথা মনে পড়ে? মীরা আপার বাচ্চাটার নাম তূর্য্য। আচ্ছা বেঁচে থাকলে ঐ বাচ্চাটার নাম কি হত?
নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমার মাথায়। এই বিয়ে উপলক্ষে আমার ৩ ফুপু এ বাড়িতে এসে জাকিয়ে বসেছেন। তাদের হম্বিতম্বি হাকডাকে সারা বাড়ি উন্মাতাল। পুরো বাড়ি জমজমাট এবং সোরগোল এ মাতোয়ারা। নানানজন নানান উপদেশ দিচ্ছেন। পাড়া পড়শী এমনকি বাঁধা ভিক্ষুকগুলো পর্যন্ত নানান আবদারে মুখর হয়েছেন। দাদীমা কাউকেই ফেরাচ্ছেন না। আমি আমার ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি সাদা ধপধপে শাড়ি পরা নাকে সাদা রং তিলক কাটা হিন্দু একজন মহিলাকে। যিনি বাড়ির খিড়কী দূয়ারে এসে তার সাদা ধপধপে শাঁখটা মুখে নিয়ে হাক দিতেন। মহিলা কথা বলতে পারতেন মা। প্রতি মঙ্গলবার আসতেন ঐ মহিলা। কিছু চাল কোচার খুঁটে বেঁধে নিয়ে ফিরে যেতেন উনি। কালো কুচকুচে মসৃন তেল পিছলে পড়া ঐ মুখে নাকের উপর ওমন নক্সাদার সাদা তিলক ছোট থেকেই ছিলো আমার কৌতুহলের উৎস! সেই মহিলাও এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসি হাসি মুখে রসিকতায় অভিনয় করে বুঝিয়ে দিলেন তারও একখানা রাঙ্গা চেলি আর শাড়ি চাই আমার বিয়ে উপলক্ষে। সেই শাড়ি পরে তিনি আবারও শ্বশুরবাড়ি যাবেন।
এছাড়াও আমাদের বাড়িতে আল্লাহর ত্রিশ দিনের বাঁধা ক্রাচে করে আসা এক খোঁড়া ভিক্ষুক আলী হোসেন সেও নতুন কাপড়ের বায়না ধরলো। আলী হোসেনের ক্রাচটা ছিলো ট্রায়াঙ্গেল এক তেরছা কাঠের টুকরো। উপরের দিকটা মলিন কাপড় মোটা করে জড়িয়ে রাখা। মনে হয় হাতের ভরে যেন কষ্ট না হয় তাই সে ব্যবস্থা ছিলো। ছেলেবেলা থেকেই সৌন্দর্য্য বিলাসী ছিলাম আমি। ঐ মলিন কাপড় জড়ানো অংশটুকু ক্রাচের সৌন্দর্য্য কমিয়ে দিয়েছিলো বলেই আমার মনে হত। একেই হয়ত বলে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ! উনি হাঁটতে পারতেন না ক্রাচ ছাড়া আর আমি দেখতাম তার ক্রাচের সৌন্দর্য্য! এছাড়াও মাখনওয়ালা, মাছ ওয়ালা, ড্রেইন সাফ করা মেথরানী সকলেরই দাবী গরীব বলে তাদেরকে ঠকানো যাবে না তাদেরও চাই ষোল আনা। এ বাড়িতে এমন বিয়ে এমন উৎসব মুখর পরিবেশ আগে কেউ কখনও দেখেনি। সারাবাড়ি গমগম করলো পুরো দুসপ্তাহ জুড়েই।
বিয়েবাড়ি উপলক্ষে আসা মানুষগুলো শুধু আনন্দেই ছিলো না। এরই মাঝে চলছিলো মনোমালিন্য ঝগড়াঝাটি মান অভিমান এবং হিংসা বিদ্বেষও। পুরো বাড়িটাই যেন হয়ে উঠেছিলো এক বাস্তব জীবনের রঙ্গমঞ্চ! বড়ফুপা হঠাৎ সেদিন রাগ করে চলেই যাচ্ছিলো। তার জন্য শোবার ব্যবস্থাটা তার বিশেষ পছন্দ হয়নি। তার রুমের ফ্যান নাকি সারারাত কটকট কটকট শব্দ করে তার মাথা ধরিয়ে দিয়েছে। তিনি এ বাড়ির বড় জামাই অথচ এতটুকু চিন্তা নেই কারো? অনেক কষ্টে তাকে বাবা আর চাচারা হাতে পায়ে ধরে মান ভাঙ্গালেন। সেদিন আবার মেজোফুপুর নাকি সোনার চেইন হারিয়ে গেলো। এই নিয়ে তিনিও বাড়ি মাথায় করলেন। কে চুরি করলো? কেনো করলো? কিভাবে করলো। তারস্বরের চিল্লানীতে সেদিন বাড়িতে কাকচিল বসতে পারলো না। সেজোচাচা গিয়ে বিরাশি সিক্কা ওজনের এক ধমক দিতেই শুরু হলো তার প্রলয়ঙ্কারী কান্না। এতদিন পর বাড়িতে এসে তার কোনো কদর নেই। তারই বাবার বাড়ি সেই বাড়িতেই খাচ্ছেন বসে তার সহদরেরা অথচ এতটুকু সন্মান তাদের কাছে তিনি কি আশা করতে পারেন না!!!
শত শত নাটক সিনেমা চলচিত্র বয়ে যেতে থাকে এই বিয়েবাড়ির হট্টগোল ঘিরে। এরই মাঝে হঠাৎ সেদিন সন্ধ্যায় মীরা আপা নাকি বাগানের অন্ধকার কোনে লুকিয়ে কথা বলছিলো আর কাঁদছিলো পাশের বাড়ির নিখিলের সাথে। এই নিয়ে চাপা উত্তেজনা ওঠে। দাদীমার কাছে হিড় হিড় করে কান ধরে টেনে আনেন সেজোচাচী মীরা আপাকে। ঘরের দরজায় খিল তুলে দেওয়া হয়। ঐ ঘরে তখন মীরা আপা, সেজোচাচী আর দাদী। আমি দাদীর বিছানাতেই লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলাম। আমাকে পাত্তা না দিয়েই সেজোচাচী মীরাআপাকে টেনে এনে ফেলেন দাদীর পায়ের কাছে। মীরা আপা অঝর ধারায় কাঁদছিলো। সেজোচাচী, দাদীমাকে বলেন, দেখেন এই কূলটা অলক্ষী মেয়ের কীর্তি। এত কষ্ট করে ধরে বেঁধে এক দেবতার মত ছেলের সাথে বিয়ে দিলাম তবুও এখনও তার নিখিল প্রীতি যায় না! বিস্ময় ঝরে পড়ছিলো সেজোচাচীর মুখে মেয়ের এমন দুঃসাহস দেখে। মীরা আপা মেঝের উপর বসে নিশব্দে কাঁদছিলেন। চাচী তার মাথায় এক চড় বসিয়ে দিয়ে বললেন,
- বল বল কি বলছিলো ঐ মুদি দোকানদারের বাচ্চাটা, আস্ত ছোটলোকটা তোকে? কি ওর সাথে পালিয়ে যাবার বুদ্ধি করেছিলি তাইনা! কত্ত বড় সাহস তোর! অবাক হয়ে যাই আমি। বল বল কি বুদ্ধি করছিলি ওর সাথে?
মীরা আপা চোখ মুছে কড়া চোখে তাকালো চাচীর দিকে তারপর বললো,
- পালানোর বুদ্ধি করিনি। পালিয়ে যাবার কোনো ইচ্ছেও নেই আর আমার তবে যে বাচ্চাটাকে খুন করেছো তোমরা, মাটি চাপা দিয়ে রেখেছো আস্তাকুড়ের পাশে। সেইখান থেকে এক মুঠো মাটি চায় নিখিল। আর কিছুই চাইবার নেই তার...... কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো মীরা আপা কিন্তু মীরা আপার কথা শেষ হবার আগেই চাচী আরও কয়েক প্রস্ত চড় থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন মীরা আপাকে। দাদীমা চাচীকে থামায়। মীরা আপাকে টেনে উঠায় বিছানার উপর, পাশে বসিয়ে মীরা আপার কান্না ভেজা মুখটা বুকে চেপে ধরেন দাদীমা। দাদীর বুকে মুখ লুকিয়ে অঝর ধারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মীরা আপা।
দীর্ঘশ্বাস পড়ে আমার! এত দিনের অজানা প্রশ্নের উত্তর পাই আমি। সেদিনের সেই গর্হিত কাজের পাপী যে নিখিল তা আমার বুঝতে বাকী থাকে না। সেদিন থেকে কালো কুচকুচে মায়াবী চেহারার নিখিল আমার কাছে কৃষ্ণ হয়ে ওঠে আর ধপধপে চেহারার মীরা আপা হয়ে যায় রাঁধা। নিখিল ও পাড়ার মুদী দোকানের মালিকের ছেলে ছিলো। মাঝে মাঝেই সন্ধ্যার পর বসতো সে তার বাবার দোকানে আর বসে বসে বাঁজাতো তার আশ্চর্য্য মোহময় বাঁশী। সেই বাঁশির সূর শুনে দাদীমাও মাঝে মাঝে বলতো। বাপরে! কি সুন্দর বাঁশি বাঁজায় ছেলেটা। আমার দাদুবাড়ির ঐ বিশাল ভবন আর চারপাশে অজস্র গাছপালা নিয়ে বিশবিঘা জমির উপর ছিলো। তার পাশেই ছিলো নিখিলদের বাড়ি। সে আমাদের প্রতিবেশী ছিলো। কিন্তু আমি যত দূর জানি শান্ত স্বভাবের মীরা আপা কখনও ঐ মুদী দোকানেও যায়নি বা ওদের বাড়িতেও না তবুও কি করে নিখিলের সাথে তার গোপনে এই প্রনয় হয়েছিলো সে আজও এক রহস্য রয়ে গেছে আমার কাছে।
বিয়ে উপলক্ষ্যে এ বাড়ির লোকজন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি কাজের লোকজন সকলের জন্যই শাড়ি কাপড় অর্ডার দেওয়া হলো। ঢাকার বেনারসী পল্লীতে অর্ডার দেওয়া হলো সকল চাচীদের জন্য একই রকম সবুজ পাড়ের ঘি কালারের মিরপুর কাতান। মেয়েদের জন্যও সালোয়ার কামিজ ফ্রক, জুতা, গয়না আনা হলো। ছেলেদের জন্যও নতুন সব পোশাকের আয়োজন করা হলো। আমার অত টুকুন জীবনে আমি আর কখনও অমন ঈদের চাইতেও বড় উৎসব দেখিনি। আমি অবাক চেয়ে দেখি! আর দেখি।
দাদীমা তার গয়নার বাক্স খুলে বের করে দিলেন সাতনরী সীতাহার আর বাজুবন্দ।এটা আমার বিয়ে উপলক্ষ্যে তার উপহার। আমি মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলাম। মা তার সকল গয়নাই আমাকে দিয়ে দিতে চাইলেন। কিন্তু দাদীমা বাঁধা দিলেন। বললেন নীরুর সব গয়না নতুন করে গড়িয়ে দেওয়া হবে। নারায়ন স্বর্ণকারকে খবর দাও। নারায়ন স্বর্ণকার! এই মানুষটি আমার কাছে আরেক শিল্পের যাদুকর ছিলেন। সেই ছোট্টবেলা থেকেই মা চাচীদের গয়না গড়াতে আসতেন তিনি বাড়িতেই। যে কোনো গয়নাই তিনি নিয়ে আসতেন একটা ছোট কারুকার্য্য মন্ডিত সেগুন কাঁঠের বাক্সে করে। আজকাল আমরা বলি জ্যুয়েলারী বক্স তখন সেটার নাম জানতাম গহনার বাক্স। নায়ায়ন স্বর্ণকার অতি যত্নে ঐ বাক্স থেকে বের করে আনতেন তার গহনা । বেগুনী রং এর জিলজিলে এক কাগজে করে মুড়িয়ে আনতেন গহনা তিনি। সেই কাগজখানি অতি যতনে মেলে ধরতেন সকলের সামনে। চকচকে সোনা রং গয়নাগুলো ঝিকিমিকি হাসতো তার গাঢ় বেগুনী কাগজের ভাজে। তার বাক্সে থাকতো আরও আরও কিছু বিস্ময়! ছোট্ট একটা সোনা মাপা রুপোর দাড়িপাল্লা আর তার ছোট্ট ছোট্ট বাটখারাগুলির সাথে সাথে কিছু কুঁচফল। সেই কুঁচফল চাইতাম আমরা ছোটরা। উনি আমাদের জ্বালায় দু একটা কুঁচফল আমাদের হাতে তুলে দিতেন।
সেই কুঁচফলের গাছ দেখেছিলাম আমি একবার আমার জীবনে। বিশালদেহী এক গাছের নীচে পড়ে ছিলো অনেক অনেক কুঁচফল। কোনো কোনো কুঁচফল মনে হয় পায়ের চাপে ফেটেও গিয়েছিলো যা দেখে আমার বড় খারাপ লেগেছিলো। আজকাল ছোটদের বিদেশী গল্পের বই এ আঁকা লাল রং লেডিবার্ডগুলো দেখলে আমার ঐ কুঁচফলের কথা মনে পড়ে। সে যাইহোক নারায়ন স্বর্ণকারকে দেখে দাদীমা বললেন এক্কেবারে নতুন কোনো প্যাটার্ণের গয়না দেখাতে। নারায়ন স্বর্ণকার একে একে বের করে ধরলেন কান পাশা, ঝুমকা, চেইন পাশা, চেইন ঝুমকা, নয় লহরী, বারো লহরী কঙ্কন, বিছাহার, নবরত্নের আংটি আরও কত কত রকমের যে গহনা পত্র! সব গয়না পছন্দ করলেন দাদীমা নিজে। আমাকে একটা একটা গহনা পরিয়ে পরখ করে দেখছিলেন কোনটায় কেমন মানায়। সবাই ঘিরে বসেছিলো আমাকে আর দাদীমাকে। দাদীমা বলছিলেন আগের দিনে নাকি এক পাল্লায় কণে আরেক পাল্লায় গহনা মেপে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হ্ত! কি আশ্চর্য্য কথা রে বাবা! তবে কেনো কবি লিখলো, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নয়!
এরপর আসে শাড়িওয়ালা, চুড়িওয়ালা। কয়টা শাড়ি, কয়টা ব্লাউজ পাত্রপক্ষের জন্য কি কি দিতে হবে। পাত্রের জন্য স্পেশাল সদাই আয়োজন। ডালা কুলা সাজানো, অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা। সব চাচারা চাচীরা মুখর হয়ে উঠলো। আমাদের বাড়িটা বদলে গিয়ে হয়ে উঠলো যেন এক মুক্তমঞ্চের আলোছায়া অভিনীত নাটকের দৃশ্য। দৃশ্যপটগুলো বদলে বদলে যাচ্ছিলো। এত এত অতিথি অভ্যাগত, এত এত আয়োজন তবুও আমার মন কেঁদে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায় কোথায় যে তা আমি নিজেও জানিনা। মাথার ভেতর এক অদ্ভূত শূন্যতা, এক ভোতা অনুভূতি। আমার চারিদিকে কি ঘটছে কি হচ্ছে ঠিক বুঝিনা আমি। শুধু অবাক চোখে দেখে যাই।
যাইহোক, ক্রমে কেটে যায় সেই ঘটনাবহুল দুই সপ্তাহ। খোকাভাই ফেরে না। একেবারেই যেন লা পাত্তা হয়ে গেছে। কেউ তার কোনো খবরও নেয় না। বড় চাচীমা খুব নির্বিকার থাকে। মাঝে মাঝেই আমার ইচ্ছা হয় তাকে জিগাসা করি খোকাভায়ের কথা। মনে হয় তাকে জিগাসা করি, সবাই না হয় ভুলে গেছে, তুমি কি করে মা হয়ে ভুলে থাকতে পারলে খোকাভাইকে! কিন্তু আর বলা হয় না। গায়ে হলুদের আগের দিন দুপুরে আমি চুপি চুপি সিড়ি দিয়ে উঠে আসি আমার প্রিয় সেই ছাঁদের ঘরটিতে। খোকাভায়ের ঘরে সব জিনিস পত্র, খোকাভায়ের জামা কাপড়, টেবিল চেয়ার, বিছানা এলোমেলো পড়ে আছে। ধুলি ধুসরিত। কেউ বুঝি একটা বারের জন্যও উঁকিও দেয়নি এই ঘরটিতে। চারিদিকে এত লোকজন, এত আনাগোনা কারো কি একটাবার নজরেও পড়েনি এই ছাঁদের ঘরটাকে?
আমি কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি ঘরের ঠিক মধ্যিখানে! আমার চোখে জল ভরে আসে। চারিদিকে কত স্মৃৃতি, কত কথা। ঐ তো সেই জানালা যেখানে প্রথম আমার ঠোঁট ছুঁইয়েছিলো আরেক জোড়া ঠোঁটে। সেই প্রথম চুম্বনের স্মৃতিটি স্থির চিত্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐ জানালার পাশেই। জানালার বাইরে উঁকি দিচ্ছে সেই একাকী মলিন বেদনা বিধুর তমাল গাছ। নিঃস্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমারই মতন। মেঝের এক কোনে সেই ডানা ভাঙ্গা ঘুড়ি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। বিছানার পাশে এক পাটি ঘরে পরার চটি। চেয়ে আছে আমারই দিকে। জানিনা আরেক পাটি কোথায় গেছে? চারিদিকের সব কিছুই আজ বিষন্ন বদনে চেয়ে আছে যেন আমারই দিকে।
আমি খোকাভায়ের টেবিলের কাছে গিয়ে দাঁড়াই। আঁচলের তলা থেকে বের করে আনি নির্মলেন্দু গুণের একখানি কবিতার বই " নির্বাচিত ১০০ কবিতা"। আমার নিজের জমানো টাকায় কেনা। খোকাভায়ের জন্মদিনে দেবো বলে কিনেছিলাম। টেবিলের উপর পড়ে থাকা খোকাভায়েরই ফেলে যাওয়া একটি কলম টেনে নিয়ে তাতে লিখি- খোকাভাই ভালো থেকো..... সুন্দর থেকো....
নিরুপমা
আগের পর্ব
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৩
অপ্সরা বলেছেন: আমারও খারাপ হয় তো!!!
তবুও লিখি...
লিখে লিখে মন ভালো করি!
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২০
একলব্য২১ বলেছেন: আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
শায়মা আপু,
তোমার নতুন লেখা আসলে আমার মনের মধ্যে এই ফিলিংসটা হয়। আমার এই কথা কি বিশ্বাস হয়। ঐ একই কথা আরামসে পরে পড়বো।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৭
অপ্সরা বলেছেন: হয়!
একশোবার হয়! দুইশোবারও হয়!
আজ তুমি নেই, মিররমনি নেই, চুয়াত্তরভাইয়া নেই। কেউ ছিলোনা তবুও পাবলিশ করে দিলাম।
ভাবলাম পরে এসে পড়বে।
অনেক অনেক সিক হয়ে পড়েছি আর তাই আজ স্কুলে যাইনি।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কুঁচফল নাতো!! ঐগুলি ছিলো কুঁচবিজ।
কঁচ হচ্ছে লতানো গাছ, তাতে ছোট মঞ্জুরেতে প্রচুর ছোটছোট ফুল হয়। ফুল শেষে থাকাগুলিতে ছোট ছোট শিমের মতো ফল হয়। প্রতিটি ফলে বেশ কয়েকটি করে কুঁচ বিজ থাকে। কুজ দুই রকম হয়। লাল কুঁচ এবং সাদা কুঁচ। আমার বারান্দায় সাদা কুঁজের একটি গাছে বছর তিনেক ধরে ফুল-ফল দিয়ে যাচ্ছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: কি বলো ভাইয়া!!!
সারাজীবন তো আমি কুঁচফলই জেনে এসেছি।
কুঁচের ফুল দেখিনি। আমি অনেক বড় একটা গাছের নীচে ঐ কুঁচগুলি পড়ে থাকতে দেখেছিলাম।
ছবি দাও তো তোমার কুঁচ গাছের।
আমি লাল রং কুঁচ মাথায় কালো টুপি লাগানো এমনই দেখেছিলাম।
রুপকথার গল্পেও একটা কথা আছে কুঁচ বরণ কন্যা......
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
অপ্সরা বলেছেন:
ভাইয়া কুঁচফলই বলে তো মনে হয়।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
অপ্সরা বলেছেন:
আরে সত্যিই তো শিমের মত দেখতে হয়! এটা তো জানতাম না। আমি ভাবতাম কুঁচফল আঙ্গুরের মত হয় থোকায় থোকায়....
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
চারিদিকে কত স্মৃৃতি, কত কথা। ঐ তো সেই জানালা যেখানে প্রথম আমার ঠোঁট ছুঁইয়েছিলো আরেক জোড়া ঠোঁটে। সেই প্রথম চুম্বনের স্মৃতিটি স্থির চিত্র হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঐ জানালার পাশেই। জানালার বাইরে উঁকি দিচ্ছে সেই একাকী মলিন বেদনা বিধুর তমাল গাছ। নিঃস্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমারই মতন।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: হুম...... সত্যিই কি তাই না?
মন খারাপের একলা বেলা......
আজকে অনেক অনেক বৃষ্টিস্নাত মেঘলা দুপুর। চারিদিক কালো হয়ে আছে। আমি সহজে খুব একটা অসুস্থ্য হই না। কিন্তু আমার হঠাৎ অনেক জ্বর এসেছিলো। কাল তো মাথাই তুলতে পারিনি।
আজ ভালো হয়ে উঠছি। তাই ভাবলাম পাবলিশ করি আজকের মন খারাপের লেখাটা।
৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপাততো গাছে, ফুলের ফলের ছবি নেই। আছে শুধু সাদা কুঁচের ছবি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১১
অপ্সরা বলেছেন: http://www.sachalayatan.com/ronygaffar/53608
ভাইয়া এই ভাইয়ার সাথে রক্তকুচের গাছ নিতে যোগাযোগ করতে হবে।
তিনি আমারই মতন কুঁচ পাগলা মনে হচ্ছে.....
ভাইয়া সাদা কুঁচ লাল কুঁচের মত সুন্দর না.....
রক্তকুঁচ পেলে আমাকেও পাঠিয়ে দিও।
৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: অপুর্ব!
চমৎকার!!
অসাধারণ!!
+
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ফেসবুকের এইসবের দিকে নজর দিয়েন না। খুব সাধারন ভাবে চিন্তা করেন। শিমের ভিতরে যে গুটি থাকে তাকে আপনি কি বলেন- শিম ফল নাকি শিম বিচি?
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ তারমানে শিমের মতন যেটার মধ্যে কুঁচ থাকে সেটা কুঁচফল।
আর ভেতরের বিঁচিগুলা কুঁচের বীজ!!!!
যাক এতদিন পরে হলেও এই লেখার কল্যানে এটা জানা হলো!
৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
এখন কেমন আছো আপু ?
আমি ভাবছিলাম জানতে চাইবো কুঁচফল কোনটা?
দেখলাম ছবি দিয়েছো । তাও চিনলাম না ।
এটাকে কি বেতফলও বলে ?
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৯
অপ্সরা বলেছেন: এখন একটু ভালো। কাল সারাদিন তো মাথাই তুলতে পারিনি বিছানা থেকে।
স্কুলে আমার লেট বা এবসেন্টের কোনো রেকর্ড নাই আর সেটাই করতে হলো !
কুঁচ খুবই সুন্দর একটা জিনিস।
যা দিয়ে স্বর্নকারেরা সোনা মাপামাপি করতো.....
বেতফল অন্য জিনিস। সেটা মনে হয় খাওয়াও যায় আর কুঁচ খেলে এক্কেরে ইন্নানিল্লাহ হয়ে যাবে। ভেতরে তার বিষাক্ত এক্সিন না কি যেন থাকে।
৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
বিয়ে বাড়ির আয়োজন ছোটবেলার কথা মনে করায় ।
বড়পার বিয়ের সময় দেখেছি এরকম কতো আয়োজন, কতো ফর্মালিটিজ ।
গল্পে পড়তে বা নাটকে দেখতে ভালোই লাগে কিন্তু আসলে এগুলো অনেক ঝামেলার।
কতো যে কাজ আর কতো মানুষ আসে সেসময় ।
আমার মনে হয় মানুষ কেনো এতসব ঝামেলা করে । কি হয় এগুলো না করলে
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২১
অপ্সরা বলেছেন: এসব আনন্দ অনুষ্ঠান শেষে মানুষ আসলে আনন্দের চাইতে এক গাঁদা তিক্ত অভিজ্ঞতাও কম নিয়ে যায় না। এক সাথে হওয়ার কারনে কত আবদার কত অভিমান হিংসা বিদ্বেষ! বাপরে.....
কোনো কিছুতেই মানুষ আসলে সন্তুষ্ট হয় না......
আর কিছু মানুষ আছে অযথাই বিগড়ামী বাঁধানো যেমন নীরুর মেজফুপু ..... আরেকজন বড় ফুপা .....
১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি রক্তকুচ আর সাদা কুঁচ দুটই লাগিয়েছিলাম। সাদা কুঁচের বিচিটা ছিলো দূর্বল। সেই সাদাটাই হেছে দুটি গাছ। লালটা হয়নি একটিও।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২২
অপ্সরা বলেছেন: কোথায় পেয়েছিলে এসবের বীজ?
নার্সারীতে পাওয়া যায়?
১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নার্সারীতে পাওয়া কঠিন। বরং বনেবাদারে পাওয়া সহজ।
- আমি নিয়েছিলাম কার্জণ হলের গার্ডেন থেকে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: এই দুস্প্রাপ্য গাছখানা আমাদের নার্সারীদেরকেও বলে দেবো যোগাড় করে ফেলতে।
দরকারে কার্জন হল গার্ডেনে পাঠায় দেবো।
১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আহা নিখিল আর মীরা আপা !
ভুল সময়ে ভুল মানুষকে ভালোবাসার এ কি করুণ পরিণতি
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ।
ঐ বাড়ির অত শাসন বারনের মাঝেও এই প্রেম ভালোবাসা আটকানো গেলো না ......
এই কারণেই বলা হয় বজ্র আটুনি ফস্কা গেরো।
১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সে আনোয়ার হোসেনর সিনেমা আমল থেকে দেখে আসছি, পাত্রের / পাত্রীর বাবা দাদাদের শরীর ভালো থাকে না ছেলের বউ নাত বউ এর মুখ দেখে মরতে চায়। একটা চিন্তা আমার মাথায় আসে, যদি এখন যায় তখন যায় অবস্থায় ই হয় - এত এত হৈ হুল্লোড় করে বিয়ের আয়োজন কেমন করে করেন ?
আমার তো মনে হচ্ছে পরের জেনারেশনের প্রথম সর্বকল্যাণ উৎসব ছিলো নীরুর বিয়ে, তাই এত জাকজমক !! মিরা আপা র বিয়ে তো নমনম করে সেরেছেন, সবার মনে ই মিরা আপার বিয়েতে টেনশন কাজ করছিলো। বহুদিন পর পড়া মহল্লা আত্মীয় স্বজন কে নিয়ে উৎসবের সুযোগ।
মিরা আপা র ব্যাপার টা আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে জানো ! সেই অনেক আগের দিনের মুভি যেমন ভাবায়। সব সময়ে সব কালেই যে মুরুব্বীরা বলে থাকেন আমাদের কালে এসব ছিল না বাপু, কি সব দিন কাল এলো। সমাজ সংসার রসাতলে গেলো। আমি কিন্তু সেই রাঁধা কৃষ্ণ প্রেম দেখি এত কঠিন সমাজ ব্যবস্থা র মাঝে ও, দেখেছি নন্দিত নরকে উপন্যাসে। এমন কঠিন শাসন বারণ নজরদারী' র পর নীরু খোকা ভাইয়ের অভিসার!!! আসলে শাশ্বত বহমান প্রেম সকল কালে যুগেই তার সরব অস্তিত্ব ছিল, ছিল ভুল বানানের উপাখ্যান, আর সমাজের রক্ত চক্ষু। আমার আর লম্বা মন্তব্য করতে ইচ্ছে করছে না - মন কেমন ডাউন হয়ে গেছে
না জানি তুমি কত কেঁদেছ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: হুম বলেছিলাম আগেই সবাইকেই কাঁদানোর প্লান করেছি।
আমি একা একা কাঁদবো নাকি!
না নীরুর শ্বশুরের অবস্থা অত খারাপ ছিলো না আসলে। পরে জেনেছিলাম নীরুর হাসব্যান্ডের মামাত ভাই বয়সে ছোট হওয়া সত্ত্বেও
নীরুর হাসব্যান্ডের আগে বিয়ে করে ফেলছিলো। তার বিয়ের দিন ছিলো ২৮ তাই তার আগেই ২৪শে বিয়ের দিন ঠিক করা হলো। হা হা কি কমপিটিশন!!!
হ্যাঁ মীরার বিয়েতে লোক দেখানো উৎসব ছিলো। কিন্তু বিদায় করতে পারলেই বাঁচে এমন একটা অবস্থা।
হ্যাঁ অকারনেই মুরুব্বীরা এমন ভাবতেন বা ছেলেমেয়েদের সামনে মিথ্যে মেকি ঢং বজায় রাখতেন। তারা ভুলে যেতেন নিজেদের মন কৈশোর আনন্দ বেদনার অতীত ইতিহাস।
১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭
একলব্য২১ বলেছেন: তোমার লেখা পড়তে ইচ্ছা করছে। কিন্তু শরীরটা ভাল না। গতকাল থেকে হালকা জ্বর। গলায় ভিতরে কেমন জানি খুসখুস করছিল। আমার ডাস্ট এনার্জি আছে। এটা অনেকটা সাইকোলজিক্যাল। হাঁচি আর হাঁচি। এখন অনেকটা ভাল। কেন এমন হলো। তাই ভাবছি। তোমাকে ভুল বুঝে কটু কথা বলছি। পাপ হয়েছে। আর তাই পাপের শাস্তি পাচ্ছি।
আগামীকাল কি তোমার স্কুল ছুটি। ক্ষুদের ছুটি শ্যামা পূজার জন্য।
আমার রেস্ট দরকার কিন্তু অনেক পড়াও বাকি। কাজেই আপাতত নো রেস্ট। পরে আসবো।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা না আমার জন্য শাস্তি হচ্ছে না। আমি তো তোমাকে বুঝি তাই রাগও করিনি। সত্যিই করিনি।
না আমার ছুটি না। এমনিতেই এত বছরের চাকরী জীবনে এই সেকেন্ড টাইম এবসেন্ট করেছি।
আচ্ছা রেস্ট নাও তারপর পড়া শেষ করো তারপর এটা পড়ো।
১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
শ।মসীর বলেছেন: সাবিনা ইয়াসমিনের- খোকা ফিরবেনা , খোকা ফিরবেনা গানটি মনে পড়ে গেল
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া.......
খোকা ফিরবে নাকি ফিরবে না ?????
ইহা এই গল্পেও একখানা প্রশ্ন বটে......
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
আসলে শাশ্বত বহমান প্রেম সকল কালে যুগেই তার সরব অস্তিত্ব ছিল,
মনিপু কি সুন্দর করে বললো ।
আসলে সেটাই, সৃষ্টির শুরু থেকে প্রেম ছিলো ।
শাসন বারণ মানে না এমন ।
বাঁধা দিলে যেন আরও বেশি করে ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১২
অপ্সরা বলেছেন: তবুও কিছু বাবা মা এমনই হয়.....
নীরুদের বাড়ির মতন.....
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২২
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: এতো সুন্দর লেখো কিকরে। মনে হচ্ছে সব কিছু চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৩
অপ্সরা বলেছেন: কারণ এসব চোখের সামনে দেখা ঘটনাই..... আমরা সবাই এমনই দেখি....
অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়ু!
১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: সেই খোড়া ভিক্ষুকটির জন্য মায়া লাগছে। তাকে একদিন বড় রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াতে চাই।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
অপ্সরা বলেছেন: হায় হায় সে কি আর বেঁচে আছে?
নিশ্চয় এত দিনে মারা গেছে.....
বেঁচে থাকলেও নীরুদের সেই বাড়িতে তো এখন আর কেউ নেই .....
১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "পিয়াসি প্রাণ তারে চায়,
এনে দে তায়।
জনম জনম বিরহী প্রাণ মম
সাথিহীন পাখি-সম কাঁদিয়া বেড়ায়।
চাঁদের দীপ জ্বালি খুঁজিছে আকাশ তারে
না পেয়ে তাহার দিশা কাঁদে সে বাদল-ধারে।"
প্রাণবন্ত গল্প, দারুন সাবলিল গতিতে এগিয়ে চলেছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
অপ্সরা বলেছেন: বাহবাহ! ভাইয়া তুমি কি গান গাও???
যাইহোক প্রশংসার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস!!!
২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাহবাহ! ভাইয়া তুমি কি গান গাও???
হ্যা বাথরুম সিঙ্গার !
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: ওহ আমি ভেবেছিলাম নজরুল গীতি সিঙ্গার অন স্টেজ....
২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোবাসা নিও ডল !
খুব ছোটছোট বর্ণনা লেখাকে ভীষণ শব্দরুপময় করেছে অপ্সরা !!!
নীরুর মত মিরা কাহিনীর জট আমাদের কাছে ও খুলে গেলো। আমি এতকিছু ভাবিনি নীরু খোকার মত হালকা প্রেম ভেবে নিয়েছিলাম।
হায় সংসারে যার অস্তিত্ব ই সবাই অস্বীকার করে বসে আছে , সেখানে জন্মদিন !!!
উপহারের বই তে লেখা শুভেচ্ছা বাক্য না আবার ঝামেলা নিয়ে আসে, হাতের লেখায় ! তবে আগ্রহ নিয়ে কেউ এই ঘরে আসবে না এটুকু ই বাঁচোয়া।
আমি কুঁচ ফল স্বর্ণকারের দোকানে দেখছি, আরও একটা লাল রঙের বীজ দিয়ে ও স্বর্ণ মাপামাপি করতে দেখেছি। রক্ত চন্দন বলে যেটাকে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১২
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি.... কিন্তু নীরু খোকার প্রেম বুঝি হাল্কা!!!
কত্ত গভীর ছিলো!!!!!! শুধু পারস্পারিক অবস্থাভেদে অকালে ঝরে গেলো !
যাইহোক খোকাভায়ের জন্মদিন আর তার উপহারের একটা পরিনতি তো আছেই। সেটা যেদিন জানাবো তোমার চোখ কিন্তু গল্লু গল্লু হয়ে যাবে।
রক্তচন্দও আমার মনে পড়ছে একটু একটু চারকোনা মনে হয় তাইনা?
২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ রঞ্জনা ও বলে। গুলশান পার্কে একটা বিশাল বৃক্ষ আছে রঞ্জনার।
আমার নিজের ও আছে ছোট্ট।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: ঠিক ঠিক দেখো আমি কত্ত চিনি জানি হি হি হি
২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
ছবি দিতে তো ভুলে গেলাম।
এই যে এই বীজ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: ইশ কি যে সুন্দর ছিলো এই গুলো!!!!!!!!
একদম ভুলে গেছিলাম এইটার কথা!!!!
কুঁচের আরেক বোন ইনি তাইনা???
এই গুলো কি তোমার বাসার ? নাকি ছোট্ট গাছে এখনও হয়নি রক্ত চন্দন!!!
২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার বাসার টা ছোট মাত্র , বৃক্ষ তো ! অনেক জায়গা চায়।
তবে বাসায় কুড়িয়ে আনা বীজ রেখেছি সাজিয়ে, এত্ত সুন্দর লাগে
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪২
অপ্সরা বলেছেন: বুঝেছি। কিন্তু এই গাছের বনসাই করতে হবে তাইলে ...... ছোট জায়গায় ঘরের মধ্যে থাকবে.....
২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা বনসাই হলে কি আর এত সুন্দর রক্ত গোঁটা পাবে ?
চিরিল চিরল তেঁতুলের মত পাতা পাবে শুধু।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: তাইলে তো নার্সারী কেনা লাগবে। আসলেই ঢাকার বাসায় এই গাছ লাগাবার আর জায়গা নেই। ছাদ বাগানে নিশ্চয় এই গাছ হবেনা। কি আর করা?
২৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫
একলব্য২১ বলেছেন: আবারও মুগ্ধ হয়ে extraordinary একটা লেখা পড়লাম।
আর শেষ প্যারা পড়ার পর একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস পড়লো।
হায়! জীবন।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: আমিও শেষ প্যারায় এসে কান্নাকাটি......
২৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৪
একলব্য২১ বলেছেন: নিরুপমা কি কারো ডাক নাম।
বিয়ের সময় কি নিরুপমা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে গেছিল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১১
অপ্সরা বলেছেন: নিরুপমা নীরুর নাম।
ছোট করে ডাক নাম নীরু!!!!!!
হা হা হা এতক্ষনে এই বুঝলে???
না করেনি।
২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২০
একলব্য২১ বলেছেন: হা হা হা এতক্ষনে এই বুঝলে???
একটু confirm করে নিলাম। তুমি লিখেছিলে নীরু কলেজে পড়ে।
সামুতে photography নিয়ে তুমি সহ চারজন একটা আলোচনা করেছিলে ভিডিওতে। সেই ভিডিওর কিছু অংশ আমি দেখেছিলাম। সেখানে তোমার নাম লেখা ছিল নিরুপমা। কেন নিরুপমা?
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা চালাকী না!!!!!!!!!
আমার যেই ফেসবুক আইডিটা ব্লগের জন্য সেটার নাম নীরা নিরুপমা। তাই দেখেছিলে.....
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: নানান নিক দিয়ে লেখার করুন পরিনতি শোনো। আজ আমি শায়মা দিয়ে এই সিরিজ পেনসিলে প্রকাশ করতে চাইলাম। এডমিন সোজা নাকচ করে দিলো কারণ এটা অপ্সরার লেখা।
নিজের আঁকা ছবি দিতে চাইলাম সেটাও নাকচ কারণ সেটা নীরা নিরুপমার আঁকা .... হায় হায় কই যাই!!!!
এই যে সেই ছবিটা
২৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নীরুর বিয়ে দিয়েই ছাড়বেন। দেন। কি আর করা। একদিক থেকে ভালো একটা নেশাখোর ছেলের সাথে বিয়ের চেয়ে এই বিয়ে ভালো। সুখে থাকুক নীরু। পাঁচ সাতটা বাচ্চার মা হউক এই কামনা করছি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩১
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমি দিচ্ছি!!!!!
দিচ্ছে তো নীরুর মা বাবা দাদী চাচীরা......
আজ এত দেরীতে এলে ভাইয়া??
পানি বন্দী ছিলে !!!!
৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে বিদ্যুৎ ছিল না অনেক ক্ষণ। জেনারেটরে নেট আসে না। এখন মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে মন্তব্য করলাম।
কত আশা আর ভালোবাসা নিয়ে গল্পটা পড়া শুরু করলাম। সেই গল্পের নায়িকার এখন কি করুন অবস্থা। হায় ........ একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস বুক থেকে বের হয়ে গেল।
নেশাখোররা কিন্তু অনেক সময় ভালো হয়ে যায়। আমার এক খালাতো বোনের বর ছিল নেশাখোর। আমার বোনের চেষ্টায় সে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জীবনে। ওনারা অনেক ভালো আছে। নীরু আর খোকাভাইয়ের কপালে এই সুখ নাই। হায় .............
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪২
অপ্সরা বলেছেন: তাইলে এক কাজ করি। খোকাভাইকে ধরে মুক্তি ক্লিনিকে ভর্তি করে দেই। তারপর বিয়ে দিয়ে পথে ফেরাবো।
৩১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪১
একলব্য২১ বলেছেন: কুঁচফলের ওজন কত ধরা হত এক রতি।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৯
অপ্সরা বলেছেন: তাই মনে হয়।
আর মনিরা আপুর দেওয়া ছবিটার রক্তচন্দনও মনে হয় সোনা মাপামাপিতে ব্যবহার করা হত।
আমার কাছে দুইটাই ছিলো।
এত সুন্দর লাগতো এই গুলা.... লাল টকটকে এবং চকচকে...
মনে পড়ে গেলো ককচক ভাইয়াকে ..... হঠাৎ ভুস করে ভেসে উঠে কোথা হারিয়ে গেলো ভাইয়া....
৩২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: অপূর্ব সুন্দর বর্ননা। মীরা আপার ঘটনাটা পড়ে হতভম্ব হয়ে পড়লাম। বিয়ের আয়োজনের মত একটি বড় ঘটনার সমান্তরালে আরেকটি বিয়ের পিছনের কিছু ঘটনার বর্ননা চমকিত করলো।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা এক একটি দিনই আসলে এক একটি চমক!
নতুন করে বাঁচা কিংবা মরা।
আর এসব ঘটনা উৎসব বা যে কোনো ভ্রমন যেখানে অনেকগুলো মানুষ থাকে সেখানে অনেক কিছুই গল্প থাকে। আবিষ্কার থাকে।
৩৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫১
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
তোমার স্টকে কি নীরু আর খোকাভাই টাইপ আত্মজীবনীমূলক আরো প্রেম কাহিনী আছে। আর থেকে থাকলে তা নিয়ে কি নিকট ভবিষ্যততে লিখবে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: আমার জীবনে দেবী আফ্রোদিতির মত অনেক অনেক গল্প স্টকে আছে। হা হা অদূর বা সুদূর কোন ভবিষ্যতে লিখবো আমি জানিনা। সত্যি বলতে তোমরা এই কয়েকজন না থাকলে আমি এত গল্পও লিখতাম না হয়ত।
শুধু আর্টিকেল টাইপ লেখার পিছে ছুটতাম .....
৩৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক্কেবারেই ঠিক হচ্ছে না কিন্তু নীরুর বিয়ে দিয়ে দিচ্ছো
এদিকে চুয়াত্তর ভাই নিজেকে খোকাভাই ভেবে নিয়ে কতকত স্বপ্ন দেখলো -
আবার বলে ও দিচ্ছে উদহারন সহ যে, নেশাখোরদের কে ফেরাতে পারে কেবল ভালোবাসা !
নাহ কাজটা ঠিক হচ্ছে না পেরতিবাদ জানায়ে গেলাম চুয়াত্তর ভাইয়ের পক্ষ থেকে।
নীরুপমার বিয়ে হলে জ্বলবে আগুন যশোর শহরে!
আমরা সবাই খোকা হব -
এত নীরু কোথায় পাবো !
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা বুঝা যাচ্ছে চুয়াত্তর ভাইয়া তার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে খোকাভাই এর পক্ষ নিচ্ছে।
ভাবীর ফোন নাম্বারটা দরকার। জেনে নিতে হবে তাকে কিভাবে ভালো করলো ভাবিজী.....
থাক থাক আগুন জ্বালায়ো না। দেখি নীরুর মা বাবাকে বুঝায় বলি। বিয়েটা ভেঙ্গে দিতে বলি।
৩৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০২
একলব্য২১ বলেছেন: নীরুর বিয়েতে খাবরের মেনু কি কি ছিল। নীরু কি সব আইটেম স্টেট করেছিল।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৭
অপ্সরা বলেছেন: হায় হায় বিয়ে কি দেবো!!!
দেখছো না চুয়াত্তর ভাইয়া আর মনিরা আপুনি বিয়ে হতে দিচ্ছে না।
এখন কি আইটেম ঠিক করা ঠিক হবে?
৩৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক্সট্রিম ওয়েদারের জন্য কাল ছেলের স্কুল ছুটির নোটিশ পেয়েছি। কেমন হুট করে আজ আমাদের ছুটি অবস্হা। তাই ব্লগে ঢুকলাম!
তুমি তো দেখলাম এমনিতেই ছুটি তে আছো ?
একটু আশা করছি ভালো আছো?
একলব্য ও নিশ্চয়ই ভালো আছে! মন্তব্যে দেখলাম একটু সিক।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১২
অপ্সরা বলেছেন: আপুনি এখনও পুরোপুরি ভালো নেই।
ভাবছিলাম কি করে কাল স্কুলে যাবো। যতদিন জব করছি এভরি ইয়ার ১০০% এটেন্ডেন্স সার্টিফিকেট পেয়েছি। পাংচুয়ালিটি আর রেগুলারিটিতেও আমি নাম্বার ওয়ান।
কিন্তু এবারের অসুস্থ্যতা আমাকে দুই দিন ছুটি বানায় দিলো!!!
আর ভাবতে ভাবতেই দেখি স্কুল থেকে নোটিস!!!!!!
নো স্কুল টুমোরো .....
৩৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৬
একলব্য২১ বলেছেন: তুমিই তো একবার বলেছিলে নীরুর বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী সহ ছাদে উঠে নীরু আর চোখে দেখতে পেল এখনো নীরু+খোকা লেখাটা অস্পষ্ট হলেও পড়া যায়।
এখন ভাল আছি মনিরা আপু।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৯
অপ্সরা বলেছেন: বলেছিলাম তো কি এখন মনিরা আপুনি আর চুয়াত্তর ভাইয়ার বিদ্রোহী কথা শুনে বিয়ে ভেঙ্গে দেবার প্লান করছি।
৩৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৮
একলব্য২১ বলেছেন: আপাতত জেরা করা মুলতবী রাখছি। সী ইউ লেটার। গুডনাইট।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩০
অপ্সরা বলেছেন: গুডনাইট।
জেরার উত্তর অতি শিঘ্রই পেয়ে যাবে হা হা ।
৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:০৩
কামাল৮০ বলেছেন: বিয়ে বাড়ীর বর্ণনা পড়ে আমি মুগ্ধ।এতো সুন্দর বর্ণনা মনে হয় বাস্তবকে প্রত্যক্ষ করছি।খুটি নাটি কোন কিছু বাদ যায় নাই।
মীরার দুঃখ থেকে আমরা কিছুই শিখি নাই।হয়তো মীরাই তার মেয়ের সাথে,সে যেমন ব্যবহার পেয়েছে তেমন ব্যবহার করবে।প্রেমের ফসল কখনো পাপের ফসল হয় না।তবে তো যীশুকে সবাই ঘৃনা করতো।মীরাদের দুঃখ কবে যে শেষ হবে।কেউ জানে না।
কেনা কাটার পর্ব বিস্তারিত লিখিছেন।
শেষে এসে বুঝতে পারলাম,প্রথম প্রেমের শিহরন কেউ ভুলতে পারে না।কিন্তু এমনকরে প্রকাশ করতে পারে কয় জন।
দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১২
অপ্সরা বলেছেন: আজ স্কুল বন্ধ দিয়েছে। লগ ইন না করেই তাই সকালে উঠে সামু ওপেন করেছিলাম। তোমার মন্তব্য পড়ে মনে হলো এই মন্তব্য আসলে সোনার আখরে বাঁধিয়ে রাখার উচিৎ। আসলে এমন করে যদি সোনাবীজ ভাইয়া বা খায়রুল ভাইয়া বলতো তাহলে সেটা খুব নরমাল ছিলো। কারণ তারা কাব্যিক ও ইমোশনাল কিন্তু তোমাকে আমার সে রকম মনে হয় না তুমি একটু বেশি লজিক্যাল এবং স্ট্রেইট ফরওয়ার্ডও। তবে তোমাকে এই লেখার আগের সকল মন্তব্যে এমন করে চিনিনি আমি। যা আমি এই সিরিজের লেখাগুলো থেকে চিনতে পারছি।
তবে হ্যাঁ মনে মনে হয়ত হাসছো ভাইয়া। বলছো আসলেই কি মানুষ চেনা এতই সহজ। সারাজীবন চোখের সামনে থেকে বা একই ছাদের তলায় থেকেও আমরা মানুষ চিনিনা আর তুমি আসছো কিনা লেখা দেখে দেখে চিনতে? ভাবতেই পারো কিন্তু হ্যাঁ আমরা আসলেও লেখা দেখে দেখেই মানুষকে চিনে ফেলতে পারি এটাই আমাদের ব্লগারদের বৈশিষ্ঠ্য।
ভাইয়া নেট অনলাইন বা ভারচুয়াল লাইফে মানুষ অনেক সময় বাস্তবে সে যা না সে রকমও ব্যবহার করে থাকে। বাস্তবে সামনা সামনি দেখা হলে আমরা যেভাবে বিহেব করতাম তা নেট লাইফে বা ভারচুয়াল লাইফে অনায়াসে উলটা করে ফেলতে পারি। যাইহোক এত কথা বললাম কারণ মাঝে মাঝে আমার মানুষের জীবন জীবিকা ও ব্যবহার নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। আমি যে মানুষ, পাখি বা একটা ফুল বা ঘাসের সৌন্দর্য্যও খুব ছোট থেকেই দেখতে পাই তা ভাষায় ঠিকঠাক বর্ণনা না করতে পারলেও নিশ্চয় আমার লেখা দেখে একটু হলেও বুঝতে পারো।
যাইহোক আমাদের ব্লগে কিছু কিছু মানুষের আচরণ ভাষার ব্যবহার বা অতি স্ট্রেইট মন্তব্য দেখে মাঝে মাঝেই আমি ভাবি এটা কি তারা বুঝে নাকি না বুঝে নাকি ইচ্ছা করেই করে? মানুষ তার নিজের ব্যবহার বা ভুল কখনও নিজে বুঝতে পারে না বুঝলে কখনও সেটা সে করতো না। বা অন্যে যেটাকে ভুল বলে সেটা সে নিজে যতক্ষণ ভুল না বুঝে ততক্ষন সে শোধরায় না। এসব বলার কারণ কি জানো সবই মানুষকে চিনতে বুঝতে ও পড়তে পারার চেষ্টা। কি লাভ? আমি নিজেও জানিনা।
তবে হ্যাঁ সবার আগে বুঝতে হবে আমি যে এত পন্ডিতি কথা বললাম আমি কতখানি সঠিক? পৃথিবীতে কেউ ১০০% সঠিক হয় না তবে সঠিক হবার চেষ্টা করে। আমিও করি ...... কিন্তু কিছু কিছু মানুষ কখনও নিজেকে নিয়ে ভাবে না তাদের কাজ অন্যের চরকা খোঁজা..... কি আর করা?
যাইহোক এত কথাই বললাম শুধু মানুষ চেনাচিনি বলতে গিয়ে...... যাইহোক ভাইয়া প্রেমের ফসল কখনো পাপের ফসল হয় না। এই লাইনটাই বলে দেয় ও বুঝিয়ে দেয় কতখানি প্রগতিশীল মুক্তমনের মানুষ তুমি। শুধু তাই না তুমি সাহসীও বটে। এত সুন্দর করে আমি ভাবিনি কখনও। আমি নিজেও মীরা আপার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলেও সে বা তারা পাপই করেছিলো বলেই মনে করি। আমি নিজে কখনও রুল ভাঙ্গতে পছন্দ করি না কাজেই সামাজিক পারিবারিক প্রথা পাপ পূন্য এসব আমার মজ্জাগত হয়ে গেঁথে আছে অনেক ক্ষেত্রেই। আমি শুধু দেখে গেছি এবং তার কিছু কিছু লিখেছি তবে সমাজ সংসারের কোনো উন্নতি করণের জন্য না শুধুই নিজের মনের খোরাক মেটাতে।
কামাল৮০ বলেছেন: বিয়ে বাড়ীর বর্ণনা পড়ে আমি মুগ্ধ।এতো সুন্দর বর্ণনা মনে হয় বাস্তবকে প্রত্যক্ষ করছি।খুটি নাটি কোন কিছু বাদ যায় নাই।
বা বাদ গেছে ভাইয়া। আরও কত কিছু মনে পড়ে যায়। বিয়ে বাড়ি উপলক্ষ্যে আত্মীয় স্বজনদের আগমনে চাচাত মামাত ভাইবোন থেকে শুরু করে নানা মামী মামাদের কথা। কিছুই লেখা হলোনা। সময় নাই জীবনে সাথে লেখার সময় এত কথা মাথাতেও আসে না।
মীরার দুঃখ থেকে আমরা কিছুই শিখি নাই।হয়তো মীরাই তার মেয়ের সাথে,সে যেমন ব্যবহার পেয়েছে তেমন ব্যবহার করবে।প্রেমের ফসল কখনো পাপের ফসল হয় না।তবে তো যীশুকে সবাই ঘৃনা করতো।মীরাদের দুঃখ কবে যে শেষ হবে।কেউ জানে না।
হ্যাঁ আমরা শিখিনা আমরা হয়ত শিখবোও না মীরাই তার মেয়েকে আগলাবে ঠিক নীরুর মায়ের মত করেই যেন মেয়ে কোনো ভাবেই ভালোবাসা তার পাপ পুন্যের মাঝেই বেঁধে রাখতে শিখে .....
কেনা কাটার পর্ব বিস্তারিত লিখিছেন।
এই কেনাকাটার পর্ব নিয়েই হয়ত আস্ত একটা সিরজ লেখা যায় ভাইয়া। ভালো কথা বলেছো হয়ত কখনও সত্যিই লিখবো যদি বেঁচে থাকি।
শেষে এসে বুঝতে পারলাম,প্রথম প্রেমের শিহরন কেউ ভুলতে পারে না।কিন্তু এমনকরে প্রকাশ করতে পারে কয় জন।
আমি যখন প্রথম পাপেট শো করি তখন আমি তার কিছুই জানতাম না। কিন্তু শুরু যখন করে দেই তখন দেখলাম পুরা স্কুল আমার পাশে। সবাই আমাকে ধন্য ধন্য করছিলো আমি তো অবাক কারণ আমি একা একা আসলে কিছুই করতে পারতাম না। আমি বললাম নো ওয়ে আমি তো একা কিছু করতে পারিনি তোমরা সবাই আমার সাথে ছিলে। তখন আমাদের আর্ট ডিপার্টমেন্টের হেড বললো, হ্যাঁ আমরাও ছিলাম বটে তবে তোমার পাশে ছিলাম। কিন্তু কেউ কোনো কিছু করার জন্য তার সর্বোচটুকু দিয়ে যে ট্রাই করতে পারে তাকেও আমরা চিনে নিলাম।
ঠিক তেমনই এমন করে আমিও হয়তো বর্ণনা করতে পারতাম না যদি তুমি আর তোমরা কেউ কেউ এত মন দিয়ে আমার লেখা না পড়তে। আসলে কি জানো তোমরা কয়েকজন এতই আবেগ নিয়ে পড়ো যে আমি নিজেই কেমনে করে লিখে ফেলি হৃদয়ের ভেতর থেকে আমি নিজেও জানিনা। আমি লেখক এবং কবিদের দেখে খুব ছোট থেকে মুগ্ধ হতাম। কিন্তু নিজে লেখক হবো এই পরিকল্পনা আমার কোনোদিন ছিলো না আজও নেই। আমি লিখি আমার মনের আনন্দে। শুধু মাত্র এই ব্লগেই। যারা লেখক হটে চায় তারা নানা দিক খুঁজে নিয়েছে। আমার সেটা দরকার নেই।
অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য ভাইয়া। অনেক ভালো থেকো।
এত্ত বড় জবাব দেখে মনে হয় তুমিসহ অনেকেই টাসকি খাবে আজ।
৪০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: অবসর নিয়ে পড়লাম! কাজটা খারাপ হয় নাই- এমন জমজমাট বিয়ে নিরুপমার ভাগ্যের ব্যাপার!
মীরার বাচ্চাটা র নিখিলের জন্য খারাপ লাগল।
সবাই যে আপনার কুচ ফল নিয়ে আছে!!
টাইপো- লেডিবার্ডগুলো( 'লেডি বাগ'অবসর নিয়ে পড়লাম! কাজটা খারাপ হয় নাই- এমন জমজমাট বিয়ে নিরুপমার ভাগ্যের ব্যাপার!
মীরার বাচ্চাটা র নিখিলের জন্য খারাপ লাগল।
সবাই যে আপনার কুচ ফল নিয়ে আছে!!
টাইপো- লেডিবার্ডগুলো( 'লেডি বাগ' হবে না ?)
হবে না ?)
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৮
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া থ্যাংক ইউ অবসর নিয়ে পড়ার জন্য।
Ladybug and ladybird refers to the same insect, a Coccinellidae beetle. In North America, the insect is primarily referred to as a ladybug, though sometimes it is called a lady beetle. In British English, the insect is called a ladybird.
এই যে দেখো, আমাদের স্কুল ব্রিটিস ইংলিশ ফলো করে কাজেই বুঝতেই পারছো আমি এটাই বব্বো!!!!!!!!!!
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২০
অপ্সরা বলেছেন: আরে আরও তথ্য পেলাম ভাইয়া।
In the late 1600s, it was also labeled the ladycow. The English Oxford Dictionary discerns that this insect was referred to as “bird” because of its ability to fly, and “lady” in homage to Our Lady, the Virgin Mary.
লেডিকাউ!!!!!!!!!!!!
গেছি!!!!!!!!!!!!
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২২
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া আমার এই খোকাভাই নিরুপমার প্রেম কাহিনী দেখছি এক তথ্য বহুল জ্ঞান গর্ভ উইকিপিডিয়া হয়ে যাচ্ছে!!!!!!!!!
কুঁচ ফল কুঁচ বীজ
রক্তচন্দর রঞ্জনা
এইবার লেডি বাগ বার্ড শেষে কাউ!!!!!!!!!!!!!
হাউ মাউ খাউ!!!!!!!!!!! হা হা হা
৪১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
অপ্সরা বলেছেন: The famous nursery rhyme “Ladybird, lady bird, (in America, ladybug), fly away home, your house is on fire your children alone…” has been chanted by generations of children. Ladybugs are voracious predators of aphids, gardeners often buy live ladybugs as a natural pesticide. The most famous ladybird may be Lady Bird Johnson, the wife of Lyndon Johnson, the 36th president of the United States. Lady Bird Johnson was a dedicated advocate of beautifying America, she helped popularize the Highway Beautification Act and with Helen Hayes, founded the National Wildflower Research Center near Austin, Texas.
এইবার একেবারেই গেছি ...... উইকিপিডিয়ার উপর উইকিপিডিয়া!!!!!!!!!
৪২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাপস !! মাফ চাই দোয়াও চাই
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২১
অপ্সরা বলেছেন: হা হা যাইহোক না কেনো এট লিস্ট কিছু জ্ঞানার্জন হলো ভাইয়া। বাগ না বার্ড এটা না জানতে চাইলে তো এত কিছু জানা হত না হা হা
৪৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আহা এতো চমৎকার বর্ণনা একেবারে জীবন্ত হয়ে উঠেছে; বিয়েবাড়ীর কোন কিছুই বাদ পরেনি বর্ণনা থেকে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!
তবে আসলে অনেক কিছুই বাদ পড়েছে। আরও কত কথা বলার ছিলো!!!!!!
৪৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৬
অপ্সরা বলেছেন: কি ভেবেছিলে উত্তর দেবো না ???
হা হা
ভুল তুমি ভুল .... অনেক কিছুতেই তুমি ভুল......
৪৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মনিরা আপু – আমি যদি খোকাভাই হতাম তাহলে অনেক আগেই নীরুকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া
আমরা খুব ভালো করেই জানি সাচীভাবীকে নিয়ে তুমি যে পালিয়েছিলে......
৪৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: @চুয়াত্তর !
আপনি যে পালান নাই সেটা কী করে বলি ?
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
অপ্সরা বলেছেন: সাচীভাবীকে নিয়ে পালিয়েছিলো ভাইয়া আমরা সেটা জানি তো.....
৪৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর বর্ননা। গল্পের নায়িকা খুবই পয়সাওয়ালা পরিবারের সন্তান। বিয়ের শাড়ি গয়নার বর্ণনাটা হিন্দি ফিল্ম বা সিরিয়ালেরর কোন সেলিব্রিটির বলে মনে হলো। বিয়ে বাড়ির হাজার হৈ হট্টগোলের মধ্যে খোকা ভাইয়ের নিরুদ্দেশ হওয়া ও মীরা আপার ঘটনাটা খুবই যাতনাময় লাগলো।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৭
অপ্সরা বলেছেন: শাড়ি কাপড় নিয়ে তখন যা হত তার থেকে মনে হয় আজকালের বিয়েগুলোতে হয় কয়েকশো গুন বেশি। বিয়ের বাজার করতে মানুষ আজকাল হিল্লী দিল্লি চলে যায়। আজকালকার বিয়ের ছবি তোলা সে তো পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচিত্রের ফটোগ্রাফিকেও হার মানায়।
হুম খোকাভাই মীরা আপা ছাড়াও আরও অনেক যন্ত্রনাই থাকে সকল বিয়ে বাড়ি বা যে কোনো উৎসব আনন্দেই।
৪৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: দেরীতে মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। তোমার গল্পগুলা একটু সময় নিয়ে না পরলে মজা পাইনা।
যাইহোক, মীরা আপার জন্য কষ্ট পাচ্ছি। আহারে কি প্রেম ছিল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৮
অপ্সরা বলেছেন: দেরী হোক নো প্রবলেম।
পড়েছো তাতেই খুশি!
মীরা আপারা আর হাসে না.....
৪৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "নীরুর বিয়ে" নামক রংগমঞ্চে এই যে চমতকার এক নাটকের রির্হাসেল হচছে ( আত্মীয়, প্রতিবেশী-কিছু প্র্যাতাশীদের) এ আমাদের আবহমান বাংলার চিরায়ত রুপ ধনী-গরীব নির্বিশেষে । আর তাইতো কবি লিখেছেন, " একি অপরুপ রুপে মা তোমার-------------------"। তবে নীরুর বিয়েতে যা হচছে বিশেষ করে দেয়া-দান-দক্ষিণা, এসব শুধু গ্রামের উচু শ্রেণীর মানুষের পরিবারেই দেখা যায়। গরীবের কাহিনী একটু অন্য রকম হয়।
গরীবের কাহিনী তথা বিয়ের করুন কাহিনী এর থেকে কিছুটা ভিন্ন হয় দেয়া-নেয়ার জায়গায় তবে আত্মীয়,পরিজনের পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব সহ বাকী সব ঠিকই হয়। সেখানে রংগমঞ্চে মঞ্চস্থ হয় অনেক করুণ নাটক ।
নীরু'র এই কৈশোর প্রেম লেখিকা হিসাবে আপনি চাইলে সফল করতে এখনো পারেন ।
তবে তার জন্য সমাজ-সামাজিকতা ও আপনজনদের আবেগ অনুভুতি সবকিছুকে পায়ে ঠেলে দিতে হবে,যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। নীরু-খোকা ভাইয়ের মিলন চাইতে তাই এখন আর মন চাচছেনা। কারন, তাতে যা পাওয়া যাবে তার থেকে অনেক বেশী হারাতে হবে সবাইকে। আর তাই নীরু-খোকা ভাইয়ের প্রেমের সামাধির উপরই বাসর রচিত হোক নীরুর । তাতে , নীরু খোকা ভাইকে ত্যাগ করা হলেও বাকী সব কিছুই রক্ষিত হবে। আর, খোকা ভাইয়ের হারানোর কিছুই নেই (বনি, আপনি এমন কেন - এত সব ভাল ভাল মেয়েদের জন্য আপনি খালি অর্কমণ্য ধ্রুব আর গাঞ্জখোর খোকা ভাইয়ের মতই বেটা মানুষ খুঁজে পান আর শেষে আমাদের দুঃখের সাগরে ভাসান সবসময়, কেন? কেন ?? কেন?? )
এদিকে ,নীরুর এই কৈশোর প্রেমের পরিনতি যদি পায়ও তাতে কিছু দিন পরেই খোকার মত বাউন্ডুলে, অকর্মন্য মানুষের সাথে থাকলে কিছুদিনের মাঝেই এই কৈশোর প্রেমের মোহ কেটে গিয়ে বাস্তবতার নির্মম চাপে সদাখুশী নীরুর জীবন হয়ে উঠবে চরম নিরানন্দময় এবং রচিত হতে পারে আরেকটি পুরনো দিনের মনির-খুকু'র মত করুন গল্প কিংবা হালের ছাকিব খান-অপু 'র মত সংসার ভাংগার কাহিনী।
তার থেকে বিরহই ভাল । মেরে ফেলেন নীরুর কৈশোর প্রেমের বাচচাটাকে । কারন, প্রেমের বাচচা বড় (সফল) হলে তা নীরু-খোকা কিংবা পরিবার-সমাজ কারো জন্যই ভাল ফল বয়ে নিয়ে আসবেনা। সো, ------ তাকে মাটি চাপা দিন ঘরের পিছনের আস্তাকুড়ে।
আর সবশেষে, বিয়ের আগেই নীরুর মাথা থেকে খোকা ভাই নামক প্রেমের ভুতকে ঝেটিয়ে বিদায় করেন । না হলে একের ঘরে দৈহিক ভাবে থেকে অন্যকে মনে লালন করা - এ আরো বড় অশান্তির কারন হয়ে দাড়াবে । যাতে সারা জীবন পুড়ে মরবে নীরু এবং পাপ না করেও পাপের ভাগীদার তথা অশান্তিতে পুড়ে মরবে নীরুর হোনে অলা পতি।
যাতে বাড়বে পুরো পরিবারের দূর্গতি।
সো, নো পরকীয়া অনলি নিজের কিয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: গরীবের কাহিনী তথা বিয়ের করুন ( কাহিনী এর থেকে কিছুটা ভিন্ন হয় দেয়া-নেয়ার জায়গায় তবে আত্মীয়,পরিজনের পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব সহ বাকী সব ঠিকই হয়। সেখানে রংগমঞ্চে মঞ্চস্থ হয় অনেক করুণ নাটক ।
ভাবছি এবারে আর সেই গরীবের প্রেম কাহিনী না লিখলেই নহে। নেক্সট লেখা তেমনই হবে ভাইয়া।
(বনি, আপনি এমন কেন - এত সব ভাল ভাল মেয়েদের জন্য আপনি খালি অর্কমণ্য ধ্রুব আর গাঞ্জখোর খোকা ভাইয়ের মতই বেটা মানুষ খুঁজে পান আর শেষে আমাদের দুঃখের সাগরে ভাসান সবসময়, কেন? কেন ?? কেন?? )
কারণ অকর্মণ্য ছাড়া কারো কি প্রেম করার সময় আছে!!! হা হা হা
ওকে ওকে পুড়িয়ে ঝুড়িয়ে মেরে ফেলবো নীরুকেই ......
নো পরো অনলী অরো মানে নিজের
৫০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৯
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
পেন্সিল দিয়ে আঁকা তোমার আত্মপ্রতিকৃতি দেখছিলাম। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না নিয়েও শুধুমাত্র নিজের আগ্রহের কারণে কি সুন্দর আর্ট করা শিখেছ। আমি একদমই আর্ট করতে পারি না। বায়োলজি পড়া জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই আর্ট করতাম। খেলাধুলার খুব ইন্টারেস্ট ছিল। ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেট বল, টেবিল টেনিস, দাবা, ঘুড়ি, ভাগা-ডুলি নানান ধরনের খেলা খেলতাম। বাবা খুব উৎসাহ দিত। এখনো টিভিতে খেলার প্রোগ্রাম দেখি। ক্ষুদে একজন শিক্ষকের কাছে আর্ট শিখে সপ্তাহে ২ দিন। কারণে ওদের আর্ট এন্ড ক্রাফট আর স্ক্র্যাপ-বুকে আঁকা বিষয় আছে বলেই ওকে শিখানো হয়। কিন্তু আমি চাই ও খেলাধুলার সাথে বেশী জড়িত হোক। আমার মাইন্ড সেটের মধ্যে কিছু গণ্ডগোল আছে।
আচ্ছা সেলফি আঁকতে হলে কি নিজের ছবি পাশে রেখে আঁকতে হয়। না কি মনে থেকে আঁকা যায়। আমি ভাবি নিরুর বয়সে তুমি কি মারাত্মক সুন্দরি ছিলে। একদম খাপ খোলা তলোয়ার। আমি ভাবি তুমি কি করে স্কুল কলেজে যেতে রাস্তায় কত রোমিও তোমাকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতো। খুব মজা পেতে তাই না।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ মেয়েরা স্বভাবগত ভাবেই ছবি আঁকা নাচা গানা এসব লাইক করে আর ছেলেরা খেলাধুলা। আজকাল যদিও ছেলেমেয়েদের কোনো প্রভেদ নেই। যাইহোক মাইন্ড সেট এক এক জনের একেক রকমই হবে।
এই যে আমার কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। আমি রোজ রোজ কত শত অসমাপ্ত কাজ রেখে ঘুমাতে যাই। রাগে গা জ্বলে আমার। তবুও মাইন্ড সেট সেটই থাকে...... কাজ কমাতে হবে পারিনা .....
হ্যাঁ নিজের ছবি পরের ছবি কিছুই না দেখে আমি আঁকতে পারিনা ..... না দেখে যাহা আঁকি তাহা অন্য কেউ..... আমি চিনি গো চিনি তাহারে কিন্তু সে যে বিদেশিনী!!!!!!!!
আর আমি!!!!!!!!! থুন্দলী!!!!!!!!!!!!!!! তিলাম!!!!!!!!!!!!!!! রোমিও!!!!!!!!!!!!! মজা গজা!!!!!!!!!!!!!
ঐ আমি তো এখনও অনেককককককককককককককককক থুন্দল!!!!!!!!!!
৫১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু & আয়নাপুতুল
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ .......
এই নাও আমার স্কুলের স্টুডেন্ট টিচারস কমবাইন্ড বোর্ড ডিসপ্লে অন অটম.....
৫২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৯
অপ্সরা বলেছেন:
ইহা আজ দুপুরের শরৎ যাচ্ছে চলে খানা পিনা ছবি ......
৫৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমার দেহ পাবি তো মন পাবি না ডায়লগের মর্মার্থ বুঝা উপলক্ষে পার্টি হবে আজ
আমি ডল সাসুম তুমি বাকি সবার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে কাইত।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৬
অপ্সরা বলেছেন: দাও দাও পার্টি দাও..... তুমি আমি ডল সাসুমভাইয়া মাসুম ভাইয়া.....
যাইহোক আসলেও ভাইয়া বলছে যাকে দেহ দেবে তাকেই বিয়ে করবে তাই তো ঐ মেয়েটা বিয়ে করতে না চাইলেও বাবা মা দিয়ে দিলো.........
ভিলেনকে নায়িকা বলে দেহ পাবি মন পাবিনা আর মনে মনে ঐ মেয়ে নিশ্চয় বলেছিলো সে রাজী নয় তবুও বাবা মা বিয়ে দিলো কাজেই ভয়ে বিয়ে করলো আর তাই ভয়ে ভয়ে মনে মনে বললো, দেহ পাবি বেটা মন পাবি না আমি আজীবন তাহারই রবো....
৫৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
থ্যাংকস শুভ, অনেকদিন পর প্রিয় মিউজিকটা আবার শুনলাম ।
৫৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
শায়মাপু এটা মনিপুর জন্য দিয়ে গেলাম । এঞ্জয় ইউর পার্টি ।
আগের সেই ফানিটা পেলাম না, যেটা তোমাকে দিয়েছিলাম কিছুদিন আগে ।
“দেহ পাইলেই হবে, মন তুই রাখ”
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা গিটার স্কুলে বসে এই কমেন্টো দেখিয়া মুখখানি হাসি হাসি হই গেছিলো!
তারপর দেখি টিচার চোখ পাকায় তাকায় আছে।
এমনিতেই সব পিচ্চিপাচ্চার মাঝে বুড়াধাড়ি স্টুডেন্ট আমি কারণ শিক্ষার কোনো বয়স নাই তারপর আবার হাসি হাসি মুখে ফোনে কি যেনো দেখা!!!!!!!!!
টিচারের অবস্থা বুঝো!!!
৫৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
পেয়েছি……
মনিপু এটা তোমার জন্য ।
প্রতিদিন একটা অখাদ্য পোষ্ট থাকে ।
আজকের অখাদ্য পোষ্ট থেকে যে পার্টি তার অনারে...
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৭
অপ্সরা বলেছেন: প্রতিদিন বুঝি একটা অখাদ্য থাকে!!!
অনেকই থাকে তো
৫৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
একটা সময়ে যৌথপরিবারের ভেতরে যে কোন কিছু উপলক্ষ্যে যে সব ঘটনা ঘটে তার অবিকল এবং প্রায় নির্ভেজাল দলিল চিত্র আপনার এই সিরিজটি। অনুভব আর দেখার চোখ আছে তো বটেই, এবং লেখার হাত্ও!
সব পর্বই পড়ে এসেছি। প্রতিটি পর্বেই মন্তব্য করছিনে বলে আবার ভাববেন না যে, খোকা ভাইয়ের মতো ক'দিন হারিয়ে থেকে আবার ফিরে দেখা দিয়েছি!
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৯
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ ভাইয়া.....
তবে খোকাভাই কিন্তু কোনো চিঠি লিখে উধাও হয়নি ....
তুমি তো চিঠি লিখেই পুরা উটপাখি হয়ে গেছো!!!!
৫৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জ্বর হইলে ডা: প্যারাসিটামল তিন বেলা প্রেসক্রাইব করে না !
সেই রকম প্রতিদিন ব্লগে তিনটা অখাদ্য আসে। এভোমিন কিনতে কিনতে ফতুর হবার জোগাড়!
হাহাহাহা ডল এর পিক গুলো পার্টি জমায়ে দিছে !!!
@ অপ্সরা - এই আনন্দে মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে শোন।
লিন্ক খুঁজে নাও
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩২
অপ্সরা বলেছেন: তিনটা অখাদ্যের লেখকেরা আরো বেশি কুখাদ্য!!!!!!!!!! তাইনা???
হা হা হা হা
কিন্তু মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে শুনবো কেনো???
এই অখাদ্য কুখাদ্য কি জীবনেও যাবে!!!!!!!! শুধু এভোয়েডিং করে চলতে হবে। এক্কেরে তুমি যেমনে এভোয়েডিং করো। মিররমনিও করে..... আমিও করি ......শুধু মাঝে মাঝে আমার হাত দুইটা আমার অবাধ্য হয়ে যায়.....
৫৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪০
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: পেংকু তুমি বক নাকি বক?
কই থেকে উড়ে আসলে?
৬০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
চাঁদের সাথে জেগে মধ্যরাতে
নিঃশব্দে কাটে প্রহর আমার
একা একা কথা বলি তারার সাথে
ঘাসের শিশিরে ঘুমিয়ে আকাশ
ঘুমিয়ে পড়েছে ঝিঁ ঝিঁ, আর ডাকে না
আমার কেন ঘুম আসে না
তুমি বল না
আপুটা তুমি বল না
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০০
অপ্সরা বলেছেন: কিছুদিন আগে মনিরা আপু বলেছিলো তুমি কঠিন প্রেমে পড়েছো...
৬১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: উৎসবমুখর, জমজমাট বিয়েবাড়ির নিখুঁত বর্ণনাটা অসাধারণ হয়েছে। পাঠকের মনেও উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে যায়।
মীরা ও নিরু, উভয়ের কষ্টটা সার্থকভাবে লেখায় তুলে ধরতে পেরেছেন।
গল্প চমৎকারভাবে, অত্যন্ত সাবলীলভাবে এগিয়ে চলেছে। + +
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০১
অপ্সরা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া!
অনেক অনেক বিজি টিল থার্সডে.....
৬২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে বেশ কিছু সংবেদনশীল মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।
ফেসবুক পেইজ 'পেন্সিল' এ প্রতিদিন অনেক ভালো ভালো গল্প আসে। আমার মনে হয় আপনার এ সিরিজটা সেখানেও প্রকাশিত হলে পাঠকেরা লুফে নিত। কিন্তু ওদের মডারেটরদের আচরণে প্রায় সময় আমি বিস্মিত ও বিরক্ত হই। পোস্ট ডিক্লাইন এর ব্যাপারে ওদের বক্তব্য কী, রেফারেন্সের বেড়াজালে আটকে বেশিরভাগ সময় তা লেখকের অবোধগম্য থেকে যায়। আর মতব্বরিসুলভ প্রবণতা তো আছেই।
আমি মোটেই আঁকতে পারতাম না। পঞ্চম শ্রেণিতে থাকতে অঙ্কন শিক্ষক একজোড়া আম আর একগুচ্ছ আঙুর আঁকা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। ও দুটো শেষ পর্যন্ত ভালোই আঁকতে পারতাম, কিন্তু আর্টের ব্যাপারে আমার দৌড় ঐ পর্যন্তই ছিল। আর্টের ভয়ে কলেজে উঠে বিষয় হিসেবে বায়োলজি নেয়ার সাহস পাইনি। নইলে আজ হয়তো একজন ডাক্তার হিসেবেই মানুষ আমাকে চিনতো। "আপনার ডাক্তার" অনুষ্ঠানে ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী কতই না অনায়াসে মানুষের শরীর এঁকে তার ভেতরের নাড়িভুড়ি এবং তার অসুখ বিসুখ নিয়ে আলোচনা করতেন, তা দেখে অবাক হ'তাম।
কামাল৮০ এবং মোহামমদ কামরুজজামান এর মন্তব্যদুটো ভালো লেগেছে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১১
অপ্সরা বলেছেন: মন্তব্যগুলো কিছু পড়ে এলাম।
আসলে সব কিছুই সময়ের সাথে সাথে চলে আজকাল। সেদিন ছুটি ছিলো মন্তব্য প্রতিমন্তব্যের সময় ছিলো।
পেন্সিলের কথা আর বলো না।
এক পর্ব অনুমতী পেলো তো ২য় পর্ব নাই আবার ৩ৃয়.....
এমন করলে কেউ পড়ে শান্তি পাবে???
মাতবরীর কথা যদি বলো তো একজন আছে মহা মাতবর। অবশ্য সেও এই ব্লগেরই উৎপাদন....
যাইহোক আমার আছে স্বপ্নজয় ভাইয়া। পন্ডিতি মাতবরী করে কারো লাভ নেই। তবুও বিরক্ত লাগে আমার।
আমার সামুই ভালো। নো ঝামেলা......
আমি আঁকতে পারতাম কেমনে পারতাম আমি জানিনা। কেনো অন্যেরা আঁকতে পারছে না সেটা দেখে আমি অবাক হতাম।
আমার আঁকাআঁকিকে কেউ উৎসাহিত করেনি আমার বাসায়......সেটা যেন অকাজ ছিলো।
তবুও আমি আঁকতাম। নিজে এঁকে নিজেই খুশি।
৬৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মুদ্দাকির বলেছেন: ট্র্যাজিক...............। হাল ছেড়ে দিলেন?
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আমি না নিরু ছেড়েছিলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: এত হৈ চৈ আনন্দ তাও মনটা খারপ হয়ে গেল!
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম কী হল জানতে…