নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই রাতটার কথা ভাবলে আমার বড় অবাক লাগে! একজন অচেনা অজানা মানুষ যাকে চেনা জানা তো দূরের কথা এই দুচোখের সামনেও কখনও দেখিনি সেই মানুষটাই নাকি হঠাৎ মন্ত্রবলে আমার অতি আপন হয়ে গেলো! তার সাথেই নাকি কাটাতে হবে বাকী জীবনের সকল দিন ও রাত্রীগুলো। সবুজ পরী আমাকে এই পুস্পশোভিত ফুলসজ্জার উপরে বসিয়ে রেখে অনেকক্ষন হলো চলে গেছে কিন্তু বেশ খানিকটা সময় পেরুনোর পরেও কেউই এই ঘরে এলো না। ঘুমে আমার চোখ ঢুলুঢুলু। পিঠের শিরদাঁড়া ব্যাথায় ভেঙ্গে আসছিলো। মাথা ছিড়ে যাচ্ছিলো আমার সারাদিনের ধকলে। অথচ মুখ বুঁজে সবই সহ্য করছিলাম আমি। কাউকেই কিছু বলার ছিলো না। কোথাও কেউ নেই। ঐ সবুজ পরী মেয়েটাকে হয়ত কিছু বলা যেত কিন্তু কে আবার কি ভাববে তাই ভেবে ভেবেই কিছুই বলা হলো না।
সাধারনত ঐ সব দিনে বিয়ের কনের সাথে বাবার বাড়ির কাউকে না কাউকে দিয়ে দেওয়া হত। কনের নতুন বাড়িতে কিছু বলতে সমস্যা হলে সেই দায়িত্ব পালনের ভার থাকতো তার উপরেই। কিন্তু আমার সঙ্গে কাউকেই দিয়ে দেওয়া হয়নি। ১০ মিনিটের রাস্তা বলে সন্ধ্যার পর ন,চাচা আর ত চাচার ছেলেরা মানে পিচ্চি পিচ্চি দুটি ভাই এসে দেখে গেলো। ওদেরকে দেখে আমার বুকের ভেতরটা কি রকম যে মুচড়ে উঠেছিলো সে কথা আমি বলে বুঝাতেই পারবো না কখনও। তারাও রাতে রইলো না। চলে গেলো। বলে গেলো সকালেই রুনি, মীরা আপাারা এসে দেখে যাবে আমাকে। দরকার হলে সারাদিনই কাটিয়ে যাবে আমার সাথে। কালকের দিন কাটিয়ে পরদিন বাবার বাড়িতে ফিরানী নিয়ে যাওয়া হবে আমাদেরকে নতুন বর আর বউকে। তাই মাঝে তো কালকের দিনটাই।
জানিনা কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এসব ভাবতে ভাবতেই। মাঝরাতে যখন ঘুম ভাঙ্গলো, ঘুম ভেঙ্গে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কোথায় আছি আমি। হালকা নীল ডিম লাইটের আলোতে মাথার উপর ঝুলে থাকা ফুলের লহরগুলো কালো কালো দেখাচ্ছিলো। এমন তো আমার বিছানা না। হঠাৎ মনে পড়তেই ধড়মড় করে উঠে বসলাম আমি। মনে পড়ে গেলো আজ আমার বিয়ে হয়েছে। আমি তো ফুলসজ্জার উপর বসে ছিলাম। অপেক্ষা করছিলাম ঠিক সিনেমার মত করেই পাগড়ি পরে বর আসার অপেক্ষায়। কিন্তু তারপর কি হলো? আমাকে অমন হুড়মুড় করে উঠতে দেখে আমার পাশ থেকে আমার জীবনের সেই নতুন নায়ক আমার স্বামীও বুঝি চমকে উঠলো। লাফ দিয়ে উঠে আমাকে ধরে ফেললো। তারপর আমাকে ইশারায় আশস্ত করলো যে ভয় বা চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমাকে দুকাঁধে ধরে ফের শুইয়ে দিলেন তিনি। আমার গায়ের উপর কম্বল টেনে দিলেন। বললেন,
- তুমি ভয় পেওনা। অনেক বেশি ক্লান্ত তুমি। ঘুমিয়ে নাও। নয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়বে। কোনো লজ্জা করো না, কোনো ভয় পেয়োনা।
তার গলায়, কথার সূরে এক আশ্চর্য্য নির্ভরতা এবং আশস্ততা ছিলো। আমার উদ্বিঘ্নতা, ভীতি প্রায় সবই দূর হয়ে আসলো। যদিও ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছিলো আমার তবে আমার ঘুম তখন উবে গিয়েছিলো। আমি সেই স্বল্প আলোর মিটমিটে ডিম লাইটে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইলাম। কিছুক্ষন পর আমাকে না ঘুমিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে জিগাসা করলো-
-ঘুম আসছে না?
আমি নির্বাক। সে আবারও জিগাসা করলো-
- মাথা ধরেছে? বাম লাগিয়ে দেবো?
আমার হঠাৎ মনে পড়লো আরে আমার তো মাথা ধরেছিলো। আসলে আমার ভেতরে তখন আর কোনো বোধ কাজ করছিলো না। কি হচ্ছে, কোথায় আছি, মাথা ব্যথা ক্লান্তি সব মিলিয়ে ভজঘট অবস্থা তখন আমার। আমার স্বামী আমার নির্বাক হতবিহ্বল অবস্থা দেখে হেসে ফেললেন, বললেন,
- চলো বারান্দায় গিয়ে বসি। আমারও ঘুম আসছে না। আসলে কারো সাথে ঘুমানোর অভ্যাস নেই তো।
আমি মনে মনে চিন্তা করতে শুরু করলাম। আমার তো অভ্যাস আছে, দাদীমার সাথে, চাচীমার সাথে, রুনি মীরা আপু সবার সাথেই তো ঘুমাতে হয়েছে আমাকে কখনও না কখনও আমাদের সেই একান্নবর্তী বাড়িতে। আর বিয়ে হলে এক বিছানায় ঘুমাতেই তো হবে। এমনই তো নিয়ম। তবে এ এই কথা বলছে কেনো?
সে যাইহোক আমার স্বামী আবারও বললেন,
-চলো বারান্দায় গিয়ে বসি।
আমরা বারান্দায় গিয়ে বসলাম। তখন পৌষের শেষ। কনকনে ঠান্ডায় কুকড়ে গেলাম আমি। সে ভেতর থেকে কম্বল এনে আমার গায়ে জড়িয়ে দিলো।
...........
ঠিক তিনদিনের মাথায় ফিরানীতে ফিরলাম আমরা। আমার চিরপরিচিত, আজন্মলালিত সেই বাড়ি! বাড়ি ফিরে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম আমি। ঐ উৎসব বাড়ির সহস্র জনারণ্যের ভীড়ে এ কটা দিন দমবন্ধ হয়ে আসছিলো আমার। মাত্র দুদিনেই যেন দু'যুগ পেরিয়েছিলো। চারিদিকে নতুন সব মুখ, তাদের কথাবার্তা, হাসিঠাট্টা ও বিচিত্ররকম আদেশ উপদেশে মোহবিষ্ঠ, হিপনোটাইজড হয়ে ছিলাম যেন!। বাড়ি ফিরে সবার অগোচরে, ঘোমটার আড়ালে বুক ভরে লম্বা এক শ্বাস টেনে নিলাম।
সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছিলো বিরিয়ানী পোলাও, কোর্মা রান্নার মৌমৌ ঘ্রান। জামাই ভোজন রন্ধন চলছিলো। বিয়ের পরে সকল আত্মীয় স্বজনেরা বিদায় নেননি তখনও। বাড়িভর্তি মানুষজন গিজ গিজ করছিলো।। বড় বড় ভিয়ানে বড় বড় হাড়িতে করে রান্না চেপেছিলো। বাবুর্চী আনা হয়েছিলো ঝিনাইদহ থেকে। চারিদিকে গমগমে আয়োজনের ব্যাস্ততা! মীরা আপা, রুনি, পিংকু থেকে শুরু করে আমাদের এক পাল চাচাত মামাতো ভাইবোনেরা, ভাবী চাচী খালা ফুপুরা সকলেই ঘিরে ছিলো আমাদেরকে। আমাদের দুজনকে নিয়ে বসানো হলো সামনের বারান্দার সেই রসুনচৌকি খ্যাত কারুকার্য্যময় স্টেজটিতেই। তখনও ঘোমটা ঢাকা ছিলাম আমি। ইচ্ছে করছিলো ঘোমটা ফেলে এক ছুটে দৌড়ে পালাই সকলের সামনে থেকে নিজের ঘরটিতে। কিন্তু তার কোনো উপায় নেই। নতুন বউকে নাকি নিজের বাড়িতেও অমন করেই বসে থাকতে হবে। ঘোমটার আড়ালেই উঁকি দিলাম চারপাশে। আমার দুদিনের অবর্তমানেই বাড়িটা যেন নতুন আরেক রুপে পরিবর্তিত হয়ে গেছে তবুও যেন আমাকে ফিরে পেয়ে চারিদিক নিশব্দে, অস্ফুটে, বলছে 'স্বাগতম'।
সবার চোখ এড়িয়ে, আমার শুস্ক মৃত দৃষ্টি একবাড়ি লোকজনের মাঝে শুধু খোকাভাইকেই খুঁজে চলছিলো। বারান্দার দেওয়ালে ঝুলানো দাদুর বিশাল ছবি, কোনের ইজিচেয়ার, চা খাবার ছোট্ট টেবিল, অবিকল সব আছে। ঠিক আগের মত, অপরিবর্ত্তনীয়। শুধু কোথাও খোকাভাই নেই? চুপিচুপি নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, খোকাভাই কোথায় আছো? কেমন আছো? বাতাসে ভেসে এলো শুধুই একরাশ হাহাকার আর শূন্যতা আর আমার বুকজুড়ে শূন্যতার শুন্যদ্যান!
বিয়ের দিনের হই হট্টগোলে নতুন জামায়ের সাথে তেমন কারো পরিচয় হয়নি। আজকে নতুন জামাইকে কাছে পেয়ে তাই ফুপু, খালা মামী চাচীদের মিষ্টি মুখ করানো, হাসি মশকরা, উপহার প্রদান শুরু হলো। ছোট ছোট শালা শালীদেরকে দিয়ে জামাইকে একটু বোকা বানানো ঘোল খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হলো। সেজোচাচা এসে তাড়া দিতেই শেষ মেস রক্ষা পেলাম আমরা। সেজোচাচা এসে বললেন,
- জামাইকে একটু বিশ্রাম নিতে দাও। কিছু পরেই দুপুরের খানার আয়োজন করা হবে।
রুনি মীরা আপা আর কয়েকজন ভাইবোন ভাবীরা মিলে আমাদেরকে নিয়ে এলো আমাদের অতিথিশালে। মানে দাদুর বৈঠকখানার মত আমাদের গেস্টরুমেরও একটা নাম ছিলো অতিথিশালা। বেশ বড়সড় একটা ঘর। নীচু ইংলিশ খাট, আলমারী, চা খাবার টিপয় এসব দিয়ে সাজানো থাকতো। প্রায় সব সময় তালাবদ্ধ করে রাখা হত সেই ঘরটা। শুধু মাত্র বিশেষ অতিথি অভ্যাগতরা এলেই খোলা হত ঐ ঘর। সেই ঘরটিতেই আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। আমার মন খারাপ হয়ে গেলো। ভেবেছিলাম এতদিন পর ফের নিজের ঘরেই থাকবার সুযোগ পাবো। আমার সেই ছোট্ট নিজের বিছানা আর পড়ার টেবিল আলনার জন্য আমার প্রান কেঁদে উঠলো, আসলে সেই ঘরটির জন্য আজও আমার প্রাণ কাঁদে কিন্তু সেদিন তখনও বুঝিনি খোকাভাই এর সাথে সাথে সেই ঘর বাড়ি আসবাবেরও সাথে যে আমার চির জনমের বিচ্ছেদ ঘটেছে।
দুপুরের এলাহী আয়োজনে সকল জামাই, চাচা, মামা খালু ফুপা এক সাথে বসলেন নতুন জামাই এর সাথে খানা খেতে। আমি তখন দাদীমার ঘরে ছিলাম। মীরা আপা ফিস ফিস করে কানে কানে বললো,
- নীরু, জামাইকে পছন্দ হয়েছে তোর?
আমি হাসলাম। কোনো উত্তর দিলাম না। মনে মনে শুধু বললাম, মন্তব্য নিস্প্রয়োজন।
রুনি বললো,
-বাব্বাহ! তোকে একদম রাণীর মত লাগছে। কত্ত গয়না! কত্ত সুন্দর শাড়ি। এবারও আমি হাসলাম।
কেনো যেন আমার কোনো কথা আসছিলো না। জানিনা আমি বোধ হয় সে কটা দিন এক আশ্চর্য্য ঘোরের মধ্যেই ছিলাম।
সেদিন প্রায় সারা বেলাই কেটে গেলো এই খানা পিনা অতিথি অভ্যাগতদের বিদায়, নানা উপদেশ দোয়া শুভেচ্ছার মাঝ দিয়েই। পরদিন সন্ধ্যায় আমার ভালোমানুষ স্বামী বললেন,
- চলো, ছাদে বেড়িয়ে আসি।
ছাদ! একটু চমকেই উঠেছিলাম হয়ত আমি। খুব সন্তর্পণে দীর্ঘশ্বাসও পড়লো আমার। ছাদে উঠে আসলাম আমরা। তখন ছিলো গোধুলীলগ্ন। আমরা ছাদের ঠিক সেই কোনটাতেই গিয়ে দাড়ালাম। আমার চোখ অলখে চলে গেলো সেই দেওয়ালটাতেই। খুব অস্পষ্ট কিন্তু তবু জ্বলজ্বলে, দেখা যাচ্ছিলো অক্ষরগুলো। যেখানে একদিন খোকাভাই ইটের টুকরো তুলে লাল লাল হরফে লিখেছিলো একটি চিহ্নের বাঁধনে,দুটি নাম। খোকা+ নিরু।
আমি ভয়ে ভয়ে আড়চোখে তাকালাম সেদিকে। চাচীমার ঘড়াঘড়া জল, প্রখর রৌদ্র-তাপ আর প্রবল ঝড়ঝাপ্টাও নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেনি সেই নাম। খুব ঝাপসা কিন্তু দেওয়ালের রুক্ষপ্রস্তর দৃঢ় কঠিনভাবে তার পাষান হৃদয়ে ধরে রেখেছে দুটি নাম খোকা + নিরু.... চোখ ভিজে আসলো আমার। ছাদের ঘরের দিকে চোখ গেলো। সন্ধ্যা নেমেছে। কেউ আলো জ্বেলে দেয়নি সেই ঘরে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভূতের মত দাঁড়িয়ে আছে সেই ঘর। আমার সকল মনোযোগ ও আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো যেই ঘরটি। যেই ঘরে লেখা রয়েছে দুটি কিশোর হৃদয়ের ভালোবাসার ইতিহাস। যেই ঘরটিতে পড়ে রয়েছে একজন দুঃখী মানুষের দুঃখের নিঃশ্বাস। যেই ঘরটি একদিন হেসে উঠতো দুটি হৃদয়ের ভালোবাসার স্পর্শে। সেই ঘরটি আজ মলিন বিধুর নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। একাকী এবং নিঃস্ব হয়ে।
হঠাৎ আমার স্বামী ছাদের ঘরের দিকে চোখ পড়তে বলে উঠলেন,
- এই ঘরটিতে কেউ কি থাকে?
আমি নিশ্চুপ রইলাম। আমাকে চুপ থাকতে দেখে আবারও প্রশ্ন করলেন তিনি,
- কে থাকে এই ঘরে?
আমি অস্ফুটে বললাম,
- কেউ না... .....
.........
ঢাকায় ফেরার কদিনের মাথায় মধুচন্দ্রিমায় গেলাম আমরা কক্সেস বাজার। সেদিন বোধ হয় পূর্ণিমা ছিলো। আকাশে গোল থালার মত বিশাল চাঁদ উঠেছিলো। মাঘ মাসের সেই শীতেও সাগরের তীরে বইছিলো মন্দ মধুর হাওয়া। রাতের খাবারের পরে আমরা গিয়ে বসলাম সাগরপাড়ে। জলের উপর জ্যোস্নার আলো ঠিকরে পড়ছিলো। ঝিকিমিকি রুপোলী আলোর নাচনে এক মায়াময় মুহুর্তের সৃষ্টি হয়েছিলো। ঢেউগুলো বার বার এসে আছড়ে পড়ছিলো আমাদের পায়ের কাছে। পা ভিজিয়ে দিচ্ছিলো আমাদের। আমার ভালোমানুষ স্বামী আর তার কবিতায় ভাসছিলো সেই জ্যোৎস্নারাত। পেশায় ডক্টর হয়েও এমন দরাজ গলায় কেউ আবৃতি করতে পারে জানা ছিলো না আমার। আমার স্বামী আবৃতি করছিলো-সাগরজলে সিনান করি সজল এলোচুলে
বসিয়াছিল উপল-উপকূলে। এমন এক মায়াময় স্বর্গীয় মূহুর্তে মনে হচ্ছিলো জীবনে পাবার আর কিছু নেই..... তবুও মনে পড়ে গেলো...
কত রাত লুকিয়ে ছাদে আমাদের সেই জ্যোস্না দেখার স্মৃতি? আমাদের সেই গোপন স্বপ্নের কথা? একদিন আমরা সাগরপাড়ে জ্যোৎস্না দেখতে যাবো। শুনবো চাঁদের রুপোলী আলোয় ঠিকরে পড়া জলের কলতান! দীর্ঘশ্বাস পড়লো অলখে আমার, চুপি চুপি মনে মনে বললাম, সেই তুমি বদলে গেলে খোকাভাই। রাক্ষুসী সর্বনাশা নেশা তোমাকে নিয়ে গেলো অনেক দূরে। আমার থেকে অনেক অনেক দূরে। জানিনা কখন অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম।
হঠাৎ ঝলমলে জলের ছায়ায় আমি দেখতে পেলাম এক আবছায়া ছায়ামূর্তি। ঝাকড়াচুল, এলোমেলো শার্ট, গুটানো হাতা, ঐ ঝাপসা আলোতেও আমি দেখলাম, গভীরকালো, দুখী একজোড়া চোখের ব্যাথাতুর এক যুবক। যার দুখী চোখ জোড়া প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে তাকিয়ে আছে আমারই দিকে। আমি শিউরে উঠলাম। আকড়ে ধরলাম আমার স্বামীর বলিষ্ঠ বাহু আর তারপর ঐ সাগরের সব লোনাজল হুড়মুড়িয়ে নামলো আমার দুচোখের ধারায়। আমার স্বামী পরম মমতায় জড়িয়ে রইলেন আমাকে। জ্ঞানী বৃক্ষের মত নিশ্চুপ রইলেন তিনি,
একটি প্রশ্নও করলেন না তিনি আমাকে।
আর ব্যথাতুর ঝাকড়া চুলের এলোমেলো সেই যুবক,
উদ্দেশ্যবিহীন পদচারণায় দূর থেকে দূরে -
ক্ষুদ্র বিন্দুতে পরিনত হয়ে,
বিলীন হলো,
ঐ সাগরের নীলিমায়.....
আগের পর্ব
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা এইভাবেই দেখা হত আগের দিনের জীবন নায়ক নায়িকারই!!!!!!!!!!
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার গায়ের উপর কম্বল টেনে দিলেন। বললেন,
- তুমি ভয় পেওনা। অনেক বেশি ক্লান্ত তুমি। ঘুমিয়ে নাও। নয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়বে। কোনো লজ্জা করো না, কোনো ভয় পেয়োনা।
- মাথা ধরেছে? বাম লাগিয়ে দেবো?
চলো বারান্দায় গিয়ে বসি। আমারও ঘুম আসছে না। আসলে কারো সাথে ঘুমানোর অভ্যাস নেই তো।
সো ফার জেন্টেলম্যান মনে হচ্ছে ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ মহা জেন্টেলম্যান!!!
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮
স্প্যানকড বলেছেন: সামনে বিয়ের মৌসুম। আপনি আগুনে ঢালছেন ঘি ! কি যে করি সে ভাবনায় মরি। আমার কাছের একজন হাসি মুখে বলেছিল, " ইশ ! একটা ব্যাটা মানুষের সাথে রাইত কাটাই ঘরের কেউ কিচ্ছু কয় না ! " এই হলো বিয়ার সুবিধা। হয়তো ভবিষ্যতে ইহা বিলুপ্তি হবে। ভাংগন খুব বেশী যে আজকাল। ভালো থাকবেন খুব।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া তোমার বিয়েতে আমাদেরকে দাওয়াৎ দিতে ভুলো না যেন!
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
সবার চোখ এড়িয়ে, আমার শুস্ক মৃত দৃষ্টি একবাড়ি লোকজনের মাঝে শুধু খোকাভাইকেই খুঁজে চলছিলো।
দুটি নাম খোকা + নিরু.... চোখ ভিজে আসলো আমার।
এ এমন ব্যথা যার কোন নিরাময় নেই
অবশেষে সাগরের জলে খোকাকে বিসর্জন দিলো নীরু ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: বিসর্জন দেয়নি....
খোকাভাই নিজেই দূরে সরে গেলো!
সাগরের জল কি কারো চোখের জল থেকে বেশি হতে পারে?
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আরইউ বলেছেন:
কোন দুঃখই চিরন্তন নয়। সময় এক আশ্চর্য ঔষধ; সব ক্ষত, সব যন্ত্রনা, সব হাহাকার, খোকাভাইয়ের অনুপস্থিতি সব ভুলিয়ে দেয়।
কোন এক কারোর পাশে বসে শাপলা চত্ত্বর, হাইকোর্ট, দোয়েল চত্ত্বর, নীলক্ষেত, সংসদ ভবন হয়ে রিকশায় আর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরা হবেনা এই ভাবনা অসম্ভব মনে হলেও সন্ধ্যা ঠিকই নামে, রিকশা টুং টাং শব্দে চলে যায়, পিকাডেলি চায়নিজ রেস্তোরায় খদ্দেরদের ভীড় বাড়ে কিন্তু দু‘ জনের আর একসাথে ফেরা হয়না। অথচ না ফেরার দুঃখের সেই ঝাঁঝ থাকেনা আর, ধীরে ধীরে যন্ত্রণা ফিকে হয়ে আসে... সময় এক মহৌষধ...
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!!!
তুমি নাকি গল্প পড়ো না!!!
কোন দিকে চাঁদ উঠলো!!!!!
নিজে সবজান্তা শমসেরের গল্প লিখে আমার গল্পখানাও পড়ে ফেললে!!!!!!!!!
সবজান্তা শমসেরের প্রেম ও প্রেমিকা নিয়েও লিখে ফেলো এইবার ভাইয়া।
হ্যাঁ সময়ের চেয়ে বড় বন্ধু আর নেই।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫
একলব্য২১ বলেছেন: অসাধারণ আরও একটা পর্বের লেখা পড়লাম।
দুটো তিনটে প্যারা আমার মনকে একদম বিষাদে ভরে দিয়েছে।
খুব ঝাপসা কিন্তু দেওয়ালের রুক্ষপ্রস্তর ...............কেউ না।
হঠাৎ ঝলমলে জলের ছায়ায় আমি দেখতে পেলাম এক ............ঐ সাগরের নীলিমায়.....
হায় জীবন!!
খোকা ভাইয়ের জন্য এই কাতর আকুতির জন্য নীরুর প্রতি সহানুভূতি বজায় থাকলো। অন্যথায়...
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৭
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ এটা হলো কান্নাকাটি পর্ব ছিলো।
হুম রুক্ষপ্রস্তর মানুষের চেয়ে অনেক মায়াময় মনের হয় আর কি ....
কেউ না .... বড় কঠিন ছিলো সে উত্তর......
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৮
একলব্য২১ বলেছেন: এই পর্বে বড় চাচির সম্পর্কে একটি শব্দ ব্যবহার করনি। কেন?
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৮
অপ্সরা বলেছেন: বড় চাচীর কথা তো তেমন কিছু বলার নেই। সে তো বোবা হয়ে দিন কাটিয়ে দিচ্ছিলো ......
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যা হবার তাই হবে, তবে তাই হোক....
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৮
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ তাই তো হয় ভাইয়া ......
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯
অপ্সরা বলেছেন: পেংকু তোমার জন্য ইলিশ মাছ নান্না করছি!!!
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সেই একটা মন্ত্র বলেই মানুষ সারা জীবন একসঙ্গে থাকে। কখনো কখনো ব্যতিক্রমও হয়। সুন্দর একটা লেখা পড়লাম।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯
অপ্সরা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০
একলব্য২১ বলেছেন: নীরুর ব্যবহারে কোন উচ্ছ্বাস নেই। বিয়ের দিনে থেকেই কেমন যেন মনমরা চুপচাপ। জ্ঞানী বৃক্ষ ডাক্তার বাবু তা জানতে চাননি নীরুর কাছে। জিজ্ঞেস করেননি নীরু এই বিয়েতে খুশি কিনা বা স্কুল কলেজে পড়ার সময় নীরুর কারো প্রতি দুর্বল ছিল কিনা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪
অপ্সরা বলেছেন: না চাননি।
নীরু তো ঘোরের মধ্যে ছিলো।
ঐ অতটুকু বয়সে যাদের বিয়ে হয় সেই সব মেয়েরা ঘোরেই থাকে।
ঘোর কাটতে কাটতে কয়েক বছর চলে যায়।
১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২১
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪
অপ্সরা বলেছেন: যাক বক তুমি ইমোশনাল হচ্ছো । আই মিন ইমোটিকন চেইঞ্জ হয়েছে। হা হা
১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। গল্পটা আগামী বই মেলায় বই আকারে বের করে ফেলুন। তবে খোকা ভাইকে এরকম কাপুরুষের চরিত্র দিয়েন না। পুরো গল্প শেষ হয় নাই তাই আমার এই বক্তব্য ভুলও হতে পারে অবশ্য। গল্পে একটা নায়ক এবং একটা নায়িকা থাকা দরকার। কিন্তু মনে হচ্ছে আপনার গল্পে শুধু একটা নায়িকা আছে।
আপনি হিন্দি সিনেমা 'উওহ সাত দিন' দেখেছেন। এটাতে আছে নাসিরুদ্দিন শাহ, অনিল কাপুর আর পদ্মিনী।এই সিনেমাতে নায়িকার বিয়ে হয় নায়িকার সম্মতি ছাড়া। বিয়ের ৭ দিন পরে নায়িকার সদ্য বিবাহিত স্বামী নায়িকার সাথে তার প্রেমিকের মিল করে দেয়। বহু আগে দেখেছি। বর্ণনায় কিছু ভুলও থাকতে পারে। তবে ঘটনাটা এরকমই ছিল বলে মনে হচ্ছে।
ডাক্তার সাহেব যদি এখন খোকা ভাইয়ের কথা জেনে নিরুপমাকে খোকা ভাইয়ের সাথে মিল করে দেয় তাহলে কেমন হয়। যদিও আমাদের সমাজে এটা সম্ভব না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: খোকাভাইকে কোথায় পাবে?
সে তো নিরুদিষ্ট!!!
যাইহোক তুমি তো আমার সব গল্পের নায়ককেই কাপুরুষ বানায় দাও। সবগুলা কাপুরুষ হলে আমি কি করবো??
যে যা তাই লিখেছি তো!
১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিরুপমা কেন কাপুরুষদের প্রেমে পড়ে? নিরুপমা মানুষ চিনতে কেন ভুল করে?
বাস্তব জীবনে কাপুরুষ অনেক থাকে কিন্তু তারা গল্পের নায়ক হতে পারে না। গল্পের নায়কের কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। এটাই বাস্তব জীবন আর গল্পের পার্থক্য। আপনি বাস্তব ঘটনা লেখেননি এটা বুঝেছি। অবশ্য গল্পে একজন নায়ক থাকতেই হবে এমন না। কিন্তু গল্পের পাঠকের কাছে শুরুতে মনে হয়েছে যে খোকাভাই নায়ক পরে প্রকাশ পাচ্ছে যে এই চরিত্রটা আসলে নায়ক হবার যোগ্য না। গল্প শেষ হয়নি তাই চূড়ান্তভাবে কিছু বলা অবশ্য সম্ভব না।
আপনি একই সাথে খোকা ভাইকে কাপুরুষ এবং নায়ক হিসাবে বর্ণনা করছেন। এক ধরণের দ্বন্দ্ব প্রকাশ পাচ্ছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৯
অপ্সরা বলেছেন: খোকাভাই একজন ভাগ্যের হাতে পরাজিত নিয়তির ফেরে পড়া নীরুদের বাড়িতে আশ্রিত সদ্য কৈশোর পেরুনো যুবক ছিলো।
তার যা ভালো মনে হয়েছিলো তাই সে করেছিলো। বরং বোকার মত নীরুকে নিয়ে পালালেই কাপুরুষ হত।
যোগ্যতা থাকলে বাংলা সিনেমার নায়ক হয় গল্পের না!!!!!!!!!!!!! হা হা হা তারা শুধু পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়। সত্যিকারে লাড্ডু পায়!!!!!!!
১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! ডাঃ সাহেব তো প্রিয় হয়ে যাচ্ছেন!
আর এই ক' লাইন অনেককিছু বলে দিলো......
আর ব্যথাতুর ঝাকড়া চুলের এলোমেলো সেই যুবক,
উদ্দেশ্যবিহীন পদচারণায় দূর থেকে দূরে -
ক্ষুদ্র বিন্দুতে পরিনত হয়ে,
বিলীন হলো,
ঐ সাগরের নীলিমায়...
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৫
অপ্সরা বলেছেন: : হুম.....
অনেক কথা যাই গো বলে কোনো কিছু না বলি ......
আমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলী.......।
১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব চমৎকার! এই পর্বটা পড়ে আর খোকা ভাইয়ের কথা ভেবে আমার এই গানটার কথা মনে পড়লো:
তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে।
যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে।
যদি থাকি কাছাকাছি,
দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি--
তবু মনে রেখো।
যদি জল আসে আঁখিপাতে,
এক দিন যদি খেলা থেমে যায় মধুরাতে,
তবু মনে রেখো।
...............................................
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
এটা আমারও প্রিয় গান.......
১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৭
মেহবুবা বলেছেন: পড়ছি...
সব খোকা ভাইদের জন্য শুভকামনা!
আমার অসমাপিকা ধারাবাহিকে খোকা ভাইকে যেভাবে দেখাতে চেয়েছি তা কেবল অমূলক, তোমারটাই বাস্তব।
১৪ নম্বর মন্তব্য জবাবে ঠিক বলেছো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ১৪ নং মন্তব্য চুয়াত্তর ভাইয়া বলেছে যোগ্যতা না থাকলে নায়ক হওয়া যায়না।
তাই বললাম বাংলা সিনেমায় যোগ্যতা থাকে। ফেক যোগ্যতা হা হা .......
মা মা আমি ফার্স্ট হয়েছি। কোনোদিন দেখলাম না মা মা আমি ফেইল করেছি....
বাস্তব জীবনে মানুষ পাস ফেইল দুইটাই.....
১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হায়রে প্রেম !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হায়রে ভালবাসা !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হায়রে বিরহ কাতর পোড়া মন, খালি তাই ভাবে যা দাগ কেটেছে তার কৈশোর মনে ------------
হায়রে অশ্রু ভেজা চোখ, চারপাশে এত এত মানুষ থাকতেও খুজে ফিরে অক্ষিগোলক শুধু দূর্বাসা (খোকা ভাই) ঠাকুরকেই ------- --------- আহা মরণ, প্রেমের মরণ।
আগের পর্বের মন্তব্যের রেশ ধরে আবারো বলছি -
১। নীরুর মাথা থেকে দূর্বাসা (খোকা ভাই) ঠাকুরকে যত তাড়া তাড়ি সম্ভব ঝেটিয়ে বিদায় করার দায় আপনার , তা পূরণ করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
২। মধু চন্দ্রিমায় গিয়েও দূর্বাসা (খোকা ভাই) ঠাকুরকে দেখা বা তার মত কাউকে কল্পনা করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। একের সাথে শারিরীক ভাবে থেকে মনে অন্যকে লালন করা এ দ্বি-চারিতা। নারী-পুরুষ কারো ক্ষেত্রেই দ্বি-চারিতা না গ্রহনযোগ্য না করা উচিত।
৩। এর পরে যখনই কোন গল্প লিখবেন আশা করি এরকম বাদাইম্যা নায়কদের সাথে গল্পের নায়িকাদের জুড়ে দিয়ে তাদের জীবনকে আর বিষময় করবেন না। ( কানে কানে একটা কথা জানবার মুনচায় - আপনি কি প্রেমের সফলতা বা মিলনে বিদ্বেষী , ন) । যদিও এটা ঠিক -"প্রেমের স্বার্থকতা মিলনে নয় , বিরহে" ,
তারপরও কেন যেন মনে হয় - ছ্যাকামাইসিন আপনি ব্যাফোক বালাবান (মজা করলাম বনি - সিরিয়াস কিংবা ব্যক্তিগতভাবে ন লই)।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩
অপ্সরা বলেছেন: ১। নীরুর মাথা থেকে দূর্বাসা (খোকা ভাই) ঠাকুরকে যত তাড়া তাড়ি সম্ভব ঝেটিয়ে বিদায় করার দায় আপনার , তা পূরণ করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
মাথা কি ঝাঁট দেওয়া যায়।
২। মধু চন্দ্রিমায় গিয়েও দূর্বাসা (খোকা ভাই) ঠাকুরকে দেখা বা তার মত কাউকে কল্পনা করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। একের সাথে শারিরীক ভাবে থেকে মনে অন্যকে লালন করা এ দ্বি-চারিতা। নারী-পুরুষ কারো ক্ষেত্রেই দ্বি-চারিতা না গ্রহনযোগ্য না করা উচিত।
দ্বিচারিণী আসলেই বটে। তবে দ্বিচারিণী মন!!!
৩। এর পরে যখনই কোন গল্প লিখবেন ( আশা করি এরকম বাদাইম্যা নায়কদের সাথে গল্পের নায়িকাদের জুড়ে দিয়ে তাদের জীবনকে আর বিষময় করবেন না। ( কানে কানে একটা কথা জানবার মুনচায় - আপনি কি প্রেমের সফলতা বা মিলনে বিদ্বেষী , ন) । যদিও এটা ঠিক -"প্রেমের স্বার্থকতা মিলনে নয় , বিরহে" ,
সার্থকতা মিলনে বা বিরহে কোনোটাতেই নহে।প্রেমের সার্থকতা শুধু প্রেম করার সময়টুকুতে!!!
নইলে বিয়ের পর যখন বিয়ের আগের মানুষটা বদলে যায় তখন কি সেই বিয়েকে প্রেমের সার্থকতা বলবা?
বালাবান মানে কি বলবান?? শক্তিশালী! তাহা বটে !!!!!!!!
১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: এর আগে আপনি অন্য কনো নিকে শুভ্র নামে কাউকে নিয়ে লিখেছিলেন?
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩
অপ্সরা বলেছেন: আহা তুমি কোথায় বাস করো ভাইয়ু!!!
২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০
মেহবুবা বলেছেন: https://fb.watch/gFSx83S_Lk/
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫
অপ্সরা বলেছেন: আহা মন কেমনের জন্মদিন!!!
২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
মেহবুবা বলেছেন: ২০ নাম্বারে দেয়া লিঙ্কের গানটা অনেকদিন পর খোকা ভাই গাইবে,ঋষি যেমন করে গাইছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৬
অপ্সরা বলেছেন: নিরু তো তাকে ভালোবেসেছিলো.......
রোদের মতই ভালোবেসেছিলো .......
২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৭
শার্দূল ২২ বলেছেন: সময় পেলেই আমি ব্যচেলর পয়েন্ট নাটক টা দেখি। নিজে যদিও খুব বেশি একা ব্যাচলর জীবন কাটাইনি তাই ওদের স্বাধীনতা গুলো আমি উপভোগ করি। ওদের কথায় কথায় গালি দেয়াটা ভালো লাগতোনা, এই দিকে ওদের গালি নিয়ে চারদিকে নানা কথা হচ্ছিলো । পরিচালক অমি সেটার একটা জবাব দিলো লাষ্ট পর্বে। নাটকের মধ্যে পাশা বলছে আমার রাগ উঠলে আমি রাগ প্রকাশ করবোনা? রাগ উঠলে কি করে? আসলেই তো কতগুলো পুরুষ মানুষ একসাথে হলে এমন কিছু শব্দ নিয়ে খেলা করেইতো। চরিত্রের প্রয়োজনে হতেই পারে। আর তারা তও টুট টুট দিছে। তাতে সমস্যা কি? আমি অবশ্য কোন অবস্থাতেই কাউকে গালি দেইনা।
গল্পে নাটকে চরিত্র বা পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে সেটাকে আড়াল করলে নাটকের উপর নাটক হয়ে যায়। লেখিকা আমাদের যে কত কিছু বলেনি হাহাহাহা
গল্পের আরেকটু সমালোচনা করি,
শায়মা অপ্সরা সহ আর কত মানুষের কাছে সেই এক যুগ ধরে খোকা ভাইয়ের কথা শুনে আসছি। আমার কেমন জানি মনে হয়েছে খোকা ভাই নিরুর রক্তে মিশে থাকা একটা মানুষ বা চরিত্র। এত বড় একটা চরিত্র বা মানুষকে নিরু তথা অপ্সরা তথা শায়মা তথা লেখিকা বেমালুম ভুলে গেলো কোন ভদ্রলোকের গায়ে চাদর টেনে দেয়াতেই? বিষয়টা এত বেশি স্বার্থপরতা লেগেছে আমার কাছে। যে সেই বাকের ভাই ফাঁশি চাইয়ের মত করে আমার বলতে ইচ্ছে করছে লেখিকার নির্বাসন চাই সম্পর্কের ভালবাসার জগৎ থেকে।
যারা নিজেদের চিনেনা তারা কেন যে ভালোবাসতে যায়?
বর্ণনায় দৃশ্য গুলো জীবন্ত ছিলো।
শুভ কামনা সব সময়
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬
অপ্সরা বলেছেন: তুমি কখনই গালি দাও না সেটার কারণেই তুমি আমার কাছে বিশেষ একজন জেন্টেলম্যান!
(গল্পে নাটকে চরিত্র বা পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে সেটাকে আড়াল করলে নাটকের উপর নাটক হয়ে যায়। লেখিকা আমাদের যে কত কিছু বলেনি হাহাহাহা)
তুমি জানোই আমি ইন্ট্রোভার্ট।
আর ইন্ট্রোভার্ট মানুষ গল্প লিখতে গেলে কত যে সমস্যায় পড়ে!!!!!!!! কি আর করা?
(এত বড় একটা চরিত্র বা মানুষকে নিরু তথা অপ্সরা তথা শায়মা তথা লেখিকা বেমালুম ভুলে গেলো কোন ভদ্রলোকের গায়ে চাদর টেনে দেয়াতেই? বিষয়টা এত বেশি স্বার্থপরতা লেগেছে আমার কাছে। যে সেই বাকের ভাই ফাঁশি চাইয়ের মত করে আমার বলতে ইচ্ছে করছে লেখিকার নির্বাসন চাই সম্পর্কের ভালবাসার জগৎ থেকে।)
খোকাভাই যে পালিয়ে গেলো তার কি হবে?
দেখো একটা জিনিস আমি মনে করি কেউ কখনও কারো শূন্যস্থান পূর্ণ করে না বটে তবে একজনের ভালোবাসার টানে কি আরেকজনের ভালো গুনাবলীকেও উপেক্ষা করা উচিৎ?
যেমন নীরু খোকাভাইকে ভালোবাসে বলেই তার হাসব্যান্ড গায়ে চাদর টেনে দিলো তাতে কৃতজ্ঞ না হয়ে তাকে খারাপ জানবে? তার সাথে খারাপ বিহেব করবে?
তার কি দোষ? সে যেমন নীরু তো তাকে তেমন করেই দেখা উচিৎ......
আর লেখিকা তো সেভাবেই লিখিবেক??
কারণ লেখিকা অনেক গিয়ানী। একদন সবজান্তা শমসেরা...... ওপস না কমসেরা হা হা
২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: আজ পড়ে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম
কাল সময় পেলে গুছিয়ে মন্তব্য করব।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়ু!
২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: খোকা ভাই! একটা চোরা ব্যথার নাম।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া এমন একটা মন্তব্যের জন্য!
২৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৪
একলব্য২১ বলেছেন: গল্পে নাটকে চরিত্র বা পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে সেটাকে আড়াল করলে নাটকের উপর নাটক হয়ে যায়। লেখিকা আমাদের যে কত কিছু বলেনি হাহাহাহা
শার্দূল ২২ এই প্রশ্ন আর তোমার ১৪ এবং ১৭ নম্বর প্রতি উওর ভাল লাগলো।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা চুয়াত্তরভাইয়া এই উত্তর শুনে পালিয়েছে
আর শার্দূল এমন এক মানুষ যে নিজেই এক নায়ক।
২৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১২
অঙ্গনা বলেছেন: খোকাভাই আমার আসল হিরো। স্যালুট খোকাভাই কে। নীরুকে নীরুর পরিবার কে বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্যে। নিড়ুর স্বামী' র মত ভদ্রলোকরা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। উনারা এইসব স্যাক্রিফাইস করতে পারবেন না।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪২
অপ্সরা বলেছেন: পালিয়ে গিয়েও হিরো খোকাভাই।
কারণ নীরুই জানে পালিয়ে গেলেও খোকাভাই কেনো পালালো কিংবা জানে না সেই আশ্রিত অসহায় এবং নিরুপায় খোকাভাইকে নিরুপমার ভালোর জন্য এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না....
আর নীরুর স্বামী সে একজন মহান হৃদয়।
নীরুকে বিয়ে করলো কেনো তা তার কোনো অপরাধ নহে।
খোকাভাই আর নীরুর বিয়ে হলো না বলেই তাকে কোনো ভাবেই অপরাধী বলা চলিবেক লাই।
২৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: একটা বড় মন্তব্য করতে চাই, কিন্তু লেখাটা কিছুতেই আসছে না... আশাকরি তোমার উনিশ পর্ব আসার আগেই আমার মন্তব্য লেখা হয়ে যাবে।
একটা কথা, এই ভয়ংকর সময়ে তোমার লেখা ডেংগুর পোস্টটা সবার উপকারে আসতো। রিপোস্ট করা যায় না?
শুভকামনা।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: ঐ আপুনি!!!!!!!!!!!
শিঘ্রী বড় মন্তব্য করো!!!!!!!!!
আজকালের মধ্যেই কিন্তু তাইলে উনিশ আসায় ফেলবো!!!!!!!!
হ্যাঁ আপুনি কিছুদিন আগে আমার মানহা কাবির মারা গেলো ডেঙ্গুতে। ছোট্ট ফুটফুটে একটা পরী বাচ্চা। সেই শোক সামলাতে না সামলাতেই আবার কাল থেকে আরেকজন তাসবিহ নামের আরেক বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলো।
সে এখন ভালো আছে আপুনি।
তোমার অনুরোধ আমি রাখবো।
এরপরের পর্ব থেকে আমার গল্পের নীচে ডেঙ্গুর সেই পোস্টটাও জুড়ে দেবো।
২৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
অঙ্গনা বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা আপনে লেখিকা, দুই চরিত্র ই আপনার সৃষ্টি তাই দুইজনের প্রতি আপনের মায়া। আমরা পাঠক তো দুই হিরু নিয়া থাকতে পারবো না। আমার হিরু তাই খোকাভাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা তোমার হিরু খোকাভাই।
আর চুয়াত্তর ভাইয়ার কাছে কাপুরুষ খোকাভাই! হা হা হা
আসল কথা আমার হিরু আমি!!!!!!!!!!!!!
২৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
১৫, ১৬ পর্বের পরে এখানে এসেছি যেমন করে নীরু যশোর থেকে এসে পড়েছে সাগর পাড়ে। সেই সাগরের তীরে ভেঙে পড়া অবিশ্রান্ত ঢেউগুলোর মতোই নীরুর নীরব কান্নাদের ভেঙে পড়ার শব্দ শুনিয়ে গেছেন তিনটি পর্ব জুড়েই........
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ এমন নীরু কিন্তু অনেক আছে বাংলাদেশে ভাইয়া।
৩০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: বেশ বেশ!!
ওগো নীরুপমা, করিও ক্ষমা.........হয়ত তোমার............
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া গানটা গেয়ে রেকর্ড করে শুনাও!
৩১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: গত এক বছরে একটানা সবচেয়ে বেশি সময় দিলুম মনে হচ্ছে আপনার এই নীরুর ভীরু কাহিনি পড়ার জন্য। ব্রাভো।
ভালো লিখেছেন। সাহিত্যের রূপরসও ছিল পরতে পরতে। সাথে এক কিশোরীর অব্যক্ত কথাগুলো নানারূপী আচরণে দারুন ফুটে তুলেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ননাও বেশ ঝরঝরে লেগেছে।
সবশেষে বলা যায়, বেশ সুখপাঠ্য। এবার একটু কাঁটাছেঁড়া করে মলাটবন্দি করে ফেলেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: সেইতো!!
এত কুইক রিডার তুমি!!
আর ধৈর্য্যবানও বটে!!! আমার লেখা বলেই কষ্ট করে এতক্ষন ধরে পড়েছো জানি নইলে এই পেন পেন পড়ার ধৈর্য্য তোমার থাকার কথা না।
ভেবেছো না পড়লে আবার যদি বক্কুমিয়ার মত তোমার ঘাড়ে চাপি তাইনা!!!!!!!!!
হা হা হা
যাইহোক কষ্ট করে এবং সময় নষ্ট করে এতগুলো পর্ব পড়ার জন্য অনেক অনেক অনেক থ্যাংকস!!!!!!!!!!!!
৩২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১২
একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
তোমার চিলেকোঠার প্রেম ৮/১০ এ রকমই হবে এক নাগাড়ে পড়ে আমি ভীষণ ঘোরে মধ্যে চলে গিয়েছিলাম।
আমার জানতে ইচ্ছা করে আখেনাটেনেরও কি এক নাগাড়ে পড়ে সেই রকম ঘোরে মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন।
আমি বেশি ঘোরের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম কারণ আমার গল্প উপন্যাস পড়ার দৌড় সীমিত। তাই সহজেই আক্রান্ত হয়েছিলাম।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৪
অপ্সরা বলেছেন: হা হা না মনে হয় আখেনাটেন ভাইয়াকে কি তোমার মত নান্নে মুন্নে পেয়েছো!!!!!!!
হুম সে তো বুঝাই যাচ্ছিলো!
আমি তো তোমার ভয়েই শেষ।
কতটুকু সত্যি আর কতটুকু একটু বানিয়েছি ভয়ে আর বলতেই পারি না!!!!!!!!! হা হা হা হা
আজ সারাদিন বিজি ছিলাম বাইরে।
ভেবেছিলাম ১৮ আজকেই শেষ করে দিয়ে ফেলবো। পারলামই না।
একটু আগে ফিরে অনেকককককককককককক গুলো মজার পোস্টু পড়তে পড়তে পড়তে পড়তে আমি বাকহরা লেখহরা মুন্ডুঘোরা হয়ে গেছি হা হা হা
৩৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,
তোমার চিলেকোঠার প্রেম ৮/১০ এ রকমই হবে এক নাগাড়ে পড়ে আমি ভীষণ ঘোরে মধ্যে চলে গিয়েছিলাম।
আমার জানতে ইচ্ছা করে আখেনাটেনেরও কি এক নাগাড়ে পড়ে সেই রকম ঘোরে মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন --
হা হা...দারুন একটি বিষয় অবতারণা করেছেন.....সত্যি বলতে কী আমি যেহেতু একসময় হাতির কলাগাছ খাওয়ার মতোই উপন্যাস/গল্পখেকো ছিলাম, তাই আপনার মতো ততটা ঘোর না লাগলেও.....ঘোর তো কিছুটা লেগেছে....বরং আমি পড়ার সময় নিজেই খোকা ও নীরুকে নিয়ে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে একটা নয়া প্লটও দাঁড় করে ফেলেছিলুম। আর সেই প্লটও আমার এই লেখা পড়ার পাশাপাশি চলেছে ছায়া হয়ে। হা হা হা। সেখানে ট্রাজেডিকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিয়ে ট্রাজি-কমেডিতে রূপান্তর করেছি...
এই ক্ষণিকের ঘোর মষ্তিষ্কে প্রোথিত হয়ে গেলে হয়তবা এই গল্পের মতো ব্লগবাসী খোকা ও নীরুর জেনারেশন জেড ভার্শন দেখতেও পারে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া তোমার মত আরেক শয়তানের লাঠি নান্নেমুন্নের বাবা খোকা ও নীরুর জেনারেশন যেড নিয়ে লিখলে যা হবে একলব্য ভাইয়ু কিন্তু নিজেই জেনেরেশন যেড হয়েও দুস্ক পাবে।
ভাইয়া গ্রাফোলোজিস্টের বিয়েও কিন্তু আমার লেখা পড়ে তোমার প্লট এসেছিলো।
সবাই পড়ে হাসতে হাসতে মরতে মরতে বেঁচেছিলো।
একলব্যভাইয়ু পড়ুক সেটাও।
৩৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫০
আখেনাটেন বলেছেন: ভাইয়া গ্রাফোলোজিস্টের বিয়েও কিন্তু আমার লেখা পড়ে তোমার প্লট এসেছিলো।
সবাই পড়ে হাসতে হাসতে মরতে মরতে বেঁচেছিলো। --- সে জন্যই তো বললাম.....প্লটটা মাথাতে এখনও ঘুরছে...খোকা মিঞার নেশাখোর হওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না.....বিশেষ করে তার মমতাময়ী মায়ের জন্য হলেও.......
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: পৃথিবীতে তো কত কিছুই মেনে নেওয়া যায়না তো কি তবুও মেনে নিতে হয়।
কিছুদিন আগে আমার ক্লাসের ৫ বছরের এক ছোট্ট পুচ্চি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেলো। কিছুই করার ছিলো না। বাবা মায়ের টাকার কোনো অভাব ছিলো না। মা আর নানী নিজেরাই ডক্টর তবুও চলে গেলো।
মেনে নিতে পারছে না বলে আজ নানী ফোন দিয়েছিলো তবুও মেনে নিতে হলো ।
আর এমন কত শত নীরূ আর খোকাভাই মেনে নিলো ভবিতব্য!!!!!!!!
৩৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১
একলব্য২১ বলেছেন: আমি পড়ায় ব্যস্ত। এখনই সামু থেকে বেড়িয়ে যাব। পড়বো পরে। হয়তো কিছুকখণ পরে আসতে চেষ্টা করবো।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ভাইয়ু পড়ো পড়ো আমি কাল পরশু ১৮ শেষ করে ফেলবো।
আমারও টাইম নাই।
অনেক বেশি বিজি আছি
৩৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২
একলব্য২১ বলেছেন: টাইপো বেরিয়ে
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০০
অপ্সরা বলেছেন: ওকে ওকে নো প্রবলেম!!!!!!!!!
৩৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৮
একলব্য২১ বলেছেন: Ogo Nirupama Korio Khoma
ও গো নিরূপমা করিও ক্ষমা......অভিনেতা নায়কের নাম শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। এই গানটির কথা আখেনাটেন বললো
আর তাই এই গল্পের কথাও মনে পড়লো।
নায়ক শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় অভিনেতা ছাড়াও একজন ভাল ডাক্তার ছিলেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, উনি বীরভূম নাকি কোথায় কোন গ্রামে শুটিং করতে গিয়েছিলেন। উনি নিজের গাড়ী নিয়ে গিয়েছিলেন। পথে দেখলেন একজন গ্রাম্য মানুষের পায়ে বেশ দগদগে ঘা। যেহেতু উনি ডাক্তার ছিলেন আর উনার সাথে ফাস্ট এইড বক্স থাকতো। সেখান থেকে কম পাওয়ারে কিছু এন্টিবায়োটিক ঔষধ আর ঘায়ে কিছু সামান্য ঔষধ লাগিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, আগামী এক সপ্তাহ পর এই পথ দিয়েই এই সময়েই উনি এই জায়গা দিয়ে যাবেন। অবাক কাণ্ড কি জানো ঐ গ্রাম্য ব্যক্তিটি এক সপ্তাহ পর ঐ রাস্তার পাশে হাতে একটা ঘটি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ডাক্তার শুভেন্দু উনাকে দেখে অবাক হয়ে গাড়ী থেকে নেমে দেখলেন উনার ঘা প্রায় সেরে গেছে। আর ঘটি করে ডাক্তার বাবুর জন্য উপহার হিসাবে দুধ নিয়ে এসেছেন। পরে শুভেন্দু বলেছিলেন যেহেতু গ্রাম্য মানুষটি খুব একটা এন্টিবায়োটিক ঔষধ জীবনে খাননি, তাই এই সামান্য ঔষধই তার শরীরে ঢুকে খুবই কার্যকারী হিসাবে কাজ করেছেন।
অর্থাৎ জীবনে গল্প উপন্যাস খুবই কম পড়েছি বলে তোমার চিলেকোঠার প্রেমে আছর আমার উপর এত প্রকট ছিল।
৩৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৮
শায়মা বলেছেন: চিলেকোঠার প্রেমের আছর এতদিনেও শেষ হয়নি ভাইয়ু!!। এর মাঝে কয়েকটা পড়ালাম তবুও চিলেকোঠার ভূত।
৩৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশা করি, সর্বশক্তিমানের ইচ্ছায় কুশলেই আছো। পর সমাচার এই যে, আমি অত্যাধিক ব্যস্ত থাকার কারনে ব্লগে আসিতে পারিতেছি না। আজকে হঠাৎ ঢুকিয়া দেখি ১৭তম পর্ব। ২০তম হইতে আর বেশী দেরী নাই! সময় কিভাবে বহিয়া যাইতেছে দেখিয়া চৌক্ষে জল চলিয়া আসিল!!
শুভ কামনা।
ইতি, ভুয়া মফিজ!!!
৪০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩২
শায়মা বলেছেন: ভুয়া ভাইয়া
সময় এক জিপসী ম্যান মনে নাই কথাটা?
যাইহোক আমি তো সকালে চোখ খুলি আর দেখি সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
না ২০ হতে সময় নাই আর বেশি।
বর্তমানে নিরুপমা কক্সেস বাজার আছে। কাল ফিরবে।
৪১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১
একলব্য২১ বলেছেন: তুমি আমাগো টুপি পড়াইতাছো।
৪২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২
একলব্য২১ বলেছেন: এই গল্পে নীরু প্রেম আবেগ, প্রকৃতির বর্ণনা, ঘটকীর বর্ণনা, একটা বিয়ে বাড়ির চিত্র, অসাধারণ শব্দ আর বাক্যের ব্যবহার বর্ণনা এই তো। কেমন জানি সব superficial মানে গল্পের গভীরতা কম। কেহ যদি এই ধরনের সমালোচনা করে তার উওরে তুমি কি বলবে।
সমালোচনা নিয়ে একটা বাক্য পড়েছিলাম যা আমার কাছে ভাল লেগেছিল। বাক্যটা এই রকম কেহ যদি তোমার সমালোচনা করে আর তা যদি মিথ্যা হয়, তবে এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিবে। কিন্তু যদি সত্য হয় তবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।
৪৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১২
শায়মা বলেছেন: ৪১. ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১০
একলব্য২১ বলেছেন: তুমি আমাগো টুপি পড়াইতাছো।
টুপি???
কই কই ??
টুপি পরাইনিতো!!!
৪৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: একলব্য২১ বলেছেন: এই গল্পে নীরু প্রেম আবেগ, প্রকৃতির বর্ণনা, ঘটকীর বর্ণনা, একটা বিয়ে বাড়ির চিত্র, অসাধারণ শব্দ আর বাক্যের ব্যবহার বর্ণনা এই তো। কেমন জানি সব superficial মানে গল্পের গভীরতা কম। কেহ যদি এই ধরনের সমালোচনা করে তার উওরে তুমি কি বলবে।
বলবো- এই গল্পে নীরু প্রেম আবেগ, প্রকৃতির বর্ণনা, ঘটকীর বর্ণনা, একটা বিয়ে বাড়ির চিত্র, অসাধারণ শব্দ আর বাক্যের ব্যবহার বর্ণনা এইসবই মানে এইসব superficial ই ব্যবহার করেছি। গল্পের গভীরতা কম বেশি নিয়ে ভাবিনি। আমার জীবনের কিছু স্মৃতিময় দৃশ্যগুলি নানাস্থানে ঢুকিয়ে দিয়ে স্মৃতিগুলিকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।
সমালোচনা নিয়ে একটা বাক্য পড়েছিলাম যা আমার কাছে ভাল লেগেছিল। বাক্যটা এই রকম কেহ যদি তোমার সমালোচনা করে আর তা যদি মিথ্যা হয়, তবে এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিবে। কিন্তু যদি সত্য হয় তবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।
আমি সত্য মিথ্যা কল্পনা জল্পনা সব নিয়েই চিন্তাভাবনা করি তারপর মজা পাই।
৪৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তখন পৌষের মাস" - তার মানে এখন যেমন, এ রকমেরই শীত ছিল তখন। তবে ঢাকার বদলে যশোর হওয়াতে শীতটা বোধকরি অনেক বেশি মারাত্মক ছিল।
প্রথম রাতের অভিজ্ঞতা একটু কেমন যেন মনে হলো!
"জ্ঞানী বৃক্ষের মত নিশ্চুপ রইলেন তিনি" - একজন রাশভারী ব্যক্তির একটি নিখুঁত বর্ণনা!
আপনার এ গল্প পড়ে তরুণ প্রজন্মের অনেকের মনেই হয়তো সাধ জাগবে নির্ভেজাল প্রেম পেতে একেকজন "খোকাভাই" হবার!
আরইউ এর মন্তব্যটা খুব সুন্দর! ভালো লেগেছে।
"খোকা ভাই! একটা চোরা ব্যথার নাম" - জুলিয়ান সিদ্দিকী'র এ মন্তব্যটাও।
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫০
অপ্সরা বলেছেন: হা হা খোকাভায়ের সাথে অনেক বছর পর কথা হলো আজ। অনেক স্ট্রাগলিং এর পরে সে আজ বোস্টনে সেটেল হয়েছে। নিজের চর্মচক্ষুকেই বিশ্বাস করা যায়না। সে তার ড্রিম হাউজ গড়েছে। ফনিক্স সাইকেলের বদলে প্রাডো গাড়ি। জীদ আর একান্ত পরিশ্রম তাকে নিয়ে গেছে বহু দূরে!
যদিও বি এস সি এর পর পড়ালেখা না করে সে রওয়ানা হয়েছিলো জীবিকার সন্ধানে। অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা ক্ষয় ক্ষতির পর আজ সে হ্যাপী ম্যান।
৪৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০৮
একলব্য২১ বলেছেন: খোকা ভাইয়ের মা কি জীবিত আছেন। কেমন আছেন। উনি এখন কোথায় আছেন।
১৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: না নেই। কোথাও নেই। অন্য দুনিয়ায় চলে গেছেন।
৪৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: খোকা ভাই এর সর্বশেষ এ অবস্থা ও অবস্থানের কথা জেনে আপনার পাঠক মাত্রই খুব খুশি হবেন, এ কথা বলাই বাহুল্য। খোকা ভাই, এমনকি তার হতভাগিনী মায়ের জন্যও (৪৬ নং মন্তব্য দ্রষ্টব্য) আপনার এ সিরিজের পাঠকদের জিজ্ঞাসা ও উৎকণ্ঠার মাত্রা দেখে লেখক হিসেবে আপনিও অনেক প্রীত হবেন নিশ্চয়ই। অনেকদিন পরে এসে আমার মন্তব্যের উত্তরে এ শুভ সংবাদটি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
"জীদ আর একান্ত পরিশ্রম তাকে নিয়ে গেছে বহু দূরে!" - Determination and diligence মানুষের জীবনে উন্নতির সোপান গড়ে দেয়। এ দুটো গুণ থাকলে সে সোপান বেয়ে মানুষ হাজার ঝড় ঝঞ্ঝার মাঝেও তরতর করে উপরে উঠে যেতে পারে, যদিও তাতে একটু সময় লাগতে পারে। খোকা ভাইকে এ বিস্ময়কর উত্তরণের জন্য অভিনন্দন!
যে কোন সৃষ্টির পেছনে আবেগ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। আপনার এ সিরিজটা হৃদয়ের আবেগঘন অনুভূতিমাখা বলে পাঠকদেরও হৃদয় জয় করেছে। ঘোরের মাথায় একটি অসামান্য সিরিজ রচনার জন্য আপনাকেও অভিনন্দন (যদিও সিরিজের শেষ দুটো পর্ব আমি এখনও পড়িনি)।
১৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ এটা শুভসংবাদ বটে তবে নীরুর উপর তার অনেক জেদ রাগ আর অভিমান আছে।
শেষ দুটোও পড় ভাইয়া!
৪৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৪
একলব্য২১ বলেছেন: এই আখ্যান শেষ করে পাঠকরা দেখল খোকাভাই উসকো খুসকো মলিন জামা কাপড় পড়ে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ধরে উদভ্রান্তের মত হাঁটছে এবং ক্রমশ অপস্রিয়মাণ।
নীরু কি আবার খোকাভাইয়ের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে পাঠকদের জ্ঞাত করার জন্য কলম ধরবে, নতুন পোস্ট দিবে ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আজকের পোস্ট পড়ো আগে ভাইয়া!!!
আমি টেবিলের নীচে আছি।
৪৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১১
মুদ্দাকির বলেছেন: নাটক হলে, এই পর্ব শেষ পর্ব হতে পাড়ত।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৮
অপ্সরা বলেছেন: নাটক বানাইয়া দাও!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
ভাবা যায় !!! দুজন সম্পূর্ণ অচেনা মানুষ এক বিছানায় ঘুমাবে ।
মানুষের সবচেয়ে পার্সোনাল হচ্ছে বেডরুম ।
সেই বেড শেয়ার করবে এক অচেনা আগন্তুকের সাথে
No matter the best person in the world but first meeting straight away in bed. No way!!!!!