![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেছনে ফিরে তাকালে আমি সবার প্রথমে যে ঈদটার কথা স্মরন করতে পারি সেই ঈদটায় আমি পরেছিলাম আমব্রেলা কাট নীলচে বলবল রং একটা জামা এবং জামাটা বানিয়ে দিয়েছিলেন আমার মা নিজে হাতে সেলাই করে। সেটা যে আমার কি ভীষন প্রিয় জামা ছিলো ঠিক যেন আমার গল্পের বই এর লাল দোলাই যে লাল রং ঘোমটা দেওয়া একটা জামা পরে থাকতো সারাক্ষন আর তাই সবাই তাকে ডাকতো লালদোলাই নামে সেই জামাটার মতই। পরে জেনেছিলাম ইংলিশ বই এ সেই লাল দোলাই রেড রাইডিং হুড।
যাইহোক আমি সেই জামা পরে সারাদিন ঘুরলাম টই টই পাড়ার সকল ছেলেমেয়েদের সাথে। তখন এটাই ছিলো নিয়ম। বাচ্চারা দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি যাবে। তাদেরকে দেওয়া হবে মিষ্টি সেমাই, পায়েস, জর্দা এই প্রায় একই রকম খাবার সব বাড়িতেই। কেউ তখনও নিত্য নতুন খানা পিনার প্রতিযোগীতায় নামেনি। সবার বাড়িতেই একই মেন্যু। তবুও একেক বাড়ির খাবারে একেক স্বাদ। কিছু কিছু বাড়িতে থাকতো ডিমের হালুয়া বা পুডিং। আহা কি আনন্দ! ঈদের দিনে আনন্দ করতেই হবে এমনই নিয়ম। তাই আনন্দ উপচে পড়তো, উড়ে উড়ে এসে পড়তো আমাদের গায়ে।
ঈদের সকালে ঘুম থেকে উঠেই সে ছিলো এক নতুন রকম ভোর। মাইকে ভেসে আসছে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাবার ডাক। রান্নাঘর হতে পোলাও ঘি এলাচের এর গন্ধ! হাতে গতরাতে বা ২৭ রমজানে লাগানো মেহেদী। যার গোবর গোবর ঘ্রান তখনও বিরাজমান। কখনও হতের মধ্যিখানে শুধু একটা এতবড় গোল্লা বা কখনও কাঠি দিয়ে নক্সা করে দিত পাড়ার বা বাড়ির কানিজ বড় বোনেরাই। আর কোনো কোনো ছেলেদেরও মাঝে মাঝে শখ হত আর তাই হাতের কেনি আঙ্গুলের নখে তারা লাগাতো মেহেদী একটু বোনদের কাছে চেয়ে নিয়েই। মেহেদী কোন বা টিউব দেখিনি আমি আমাদের ছোটবেলায়। সব মেহেদি পাতা পাটায় বাঁটা হত। তাও পাটার উল্টো দিক দিয়ে। সেই পাটা ঘসা হত বরই না পেয়ারা কোন এক পাতায়। সকালেই সেদিন গোসল করতেই হবে। এটাই নিয়ম। গোসল মানে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল। অন্য সময়গুলোতে অধিকাংশ সময় তেল দিয়ে চুল বেনী করে স্কুলে যেতে হত। এখনকার বাচ্চাদের মত শ্যাম্পু চুল ফুরফুরা করে স্কুলে যাবার রীতি ছিলো না বলতে গেলে।
ঈদের দিন সব স্পেশাল সেদিন শ্যাম্পু দেওয়া যাবে, হাতে নেইলপলিশ লাগানো যাবে। ফেসপাউডার বুলানো যাবে গালে, মাঝে মাঝে একটু হাল্কা রঙ লিপিস্টিক বা ছোট্ট একটা টিপ কপালের মধ্যখানে। এসব সেজেগুজে ঈদের নতুন জুতো পরে সারাদিন পাড়া বেড়িয়ে পায়ে ফোসকা নিয়ে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়তো শরীর। তখন হত আনন্দমেলা। ঈদের বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান তারপর এলো ইত্যাদি। সে সব দেখার আর উপায় থাকতো না সারাদিন ঘুরে ঘুরে টায়ার্ড হয়ে।
ঈদের দিন মায়েদের বেড়ানোর রেওয়াজ ছিলো না। শুধুই বাচ্চারা আর বড়োরা বেরোবে এমনই বুঝি ছিলো নিয়ম। মায়েরা বের হতেন পরদিন। নতুন শাড়ি হলেও গয়নাগুলো বের হত পুরোনোগুলোই বেশিভাগই। সেসব আমাদের মায়েরা পরতেন বছরের পর বছর ধরে। তবুও কত সুখে ছিলো সবাই......আর এখন কত শত নিত্য নতুন জামা কাপড় গয়না গাটির ভীড়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। তবও কোথায় সেই মায়া, কোথায় সেই ঈদের আমেজ!!
হ্যাঁ সব কিছু বদলায় ঈদের ধরন ধারণও বদলেছে ঠিকই তবুও ঈদ মানেই ঈদই!!!আমাদের এই সামুর ঈদেই কত শত পরিবর্তন!!! আজ এই ২০/২৫ জনের সক্রিয় ব্লগারদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে তাদের জীবনের স্মরনীয় ঈদের ক্ষনটির কথা। জানি সবাই আজকে অনেক বেশি ব্যস্ত পরিবার পরিজন কেনাকাটা রান্না বান্না নিয়ে। তবুও ছুটির অবসরে একটু খানি সময় পেলে নিশ্চয় ঢু মেরে যাবেই এই আমাদের প্রিয় ব্লগে!
সবার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা! সবাই যদি আর একটাবার ফিরে যেতে পারতাম আমাদের সেই সোনালী ছেলেবেলার ঈদগুলোতে!!!! কেউ বলুক না বলুক আমি চুপি চুপি বলে যাই আমার এক অতি স্মরনীয় ঈদের অতি গোপনীয় গোপন কথাটি। তখন ঠিক ছেলেবেলা না কৈশোর পেরুচ্ছি। সামনে এস এস সি। খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে উঠে আমাদের বাড়ির সামনে সবুজ লনে হাঁটাহাটি ছিলো আমার প্রিয় অভ্যাস। সামনের গেট প্রাচীরে ছিলো লোহার কারুকাজ। যার ফোকল গলে দেখা যায় বাহির এবং ভেতরের দৃশ্য। এক বালক প্রেমী সেই ভোর সকালেই গেইটের ফোকল গলে টুপ করে ফেলে দিয়ে গেলো এক গোলাপী এনভেলপ! এদিক ওদিক চেয়ে আমি লুকিয়ে ফেললাম জামার নীচে। সোজা দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে ( সবচেয়ে নিরাপদ স্থান) সবার অগোচরে এনভেলপের মুখটা খুলতেই বেরিয়ে এলো অপূর্ব সুন্দর গোলাপী ঝাঁড়ের গোলাপফুলফুল মিউজিকাল ঈদ কার্ড।
আমি মুগ্ধ! ঈদের সেই সকালটা ভরে উঠলো এক ঝাঁড় গোলাপ ফুলের সুঘ্রানে!!! সারাদিন লুকিয়ে রাখলাম সেই কার্ড একটু পরে পরে পড়ার টেবিলের খাতার ভাঁজ খুলে লুকিয়ে লুকিে দেখি আর মনে মনে একা একাই হাসি। কই থেকে যেন মায়ের নজরে পড়ে গেলো শেষমেষ! তীরে এসে তরী ডুবে গেলো!
তখন প্রায় রাত ১০ টা ঈদের দিনের অতিথি বিদায় নিয়েছে কিছু আগে। মা কই থেকে এসে টেনে বের করলেন খাতার ভাঁজ থেকে সেই ঈদকার্ড!!! বিষম চোখ পাকিয়ে বললেন, ডুবে ডুবে জল খাও ভাবো শিবের বাবাও টের পান না না!!!!!!!! বল কই থেকে পেলি এই কার্ড ! বল বল বল !!!!!!
আমার চারিদিক থেকে গোলাপ ফুলের সুবাস কোথয় মিলিয়ে গেলো! আহা সুবাস সকলি সুবাস বিষাদে পরিনত হইয়া টপটপ জলধারার ন্যায় ঝরিতে লাগিলো!!!
আহা ঈদ কার্ড !!! আজও আমার স্কুলের বাচ্চারা নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে বানিয়ে দেয় ঈদ কার্ড, কলিগেরা দেয় নানা রঙ্গের নানা ঢঙ্গের ঈদকার্ড কিন্তু সেই গোলাপী ফুলের গোলাপ ঝাঁড় ঈদ কার্ডটার জন্য মনে কাঁদে কিন্তু ঠিক তেমনটি কেউ নিয়ে আসে না আর কোনো বরষায়......
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা যাক বুঝলম তুমি কেমন ছিলে ছেলেবালায় আর তোমার জীবনে স্মরনীয় ঈদের একটুখানি!!!
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: ঈদ মুবারক অপ্সরা!
অনেক দিন পর তোমার লেখা দেখে ভালো লাগলো। আগে তো রোজায় এই নিক থেকে রেসিপি দিতে, মনে হচ্ছে জিলাপি রেসিপি দিয়েছিলে অপ্সরা নিক থেকে। এখন তো আর দেখাই যায় না!
ঈদ নিয়ে আমার তেমন কোন স্মৃতি নেই। তবে তোমার গোবর গোবর ঘ্রাণ ওয়ালা মেন্দির কথা পড়ে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে গেলাম! কতদিন এই মেন্দি চোখে দেখিনি! হাতের মাঝখানে গোল্লা ছাড়াও আরেকটা ডিজাইন ছিল ঝাড়ুর কাঠি অথবা দেশলাই কাঠিতে মেন্দি দিয়ে হাতে ঈদ মোবারক লেখা। আর যারা কিছুটা ফাঁকিবাজ তারা হাতের মধ্যে নেলপালিশ দিয়ে বিন্দু বিন্দু আঁকতো, আর উপরে মেন্দি হাত ভরে দিয়ে রাখত। পরে মেন্দি তুলে ফেলে নেলপালিশের ফোঁটা গুলো তুলে ফেললে হয়ে যেত লালের মধ্যে সাদা বুটিদার নকশা!
এত কষ্ট করে যে কার্ড এনে দিল, সে এরপর তোমার কথা একেবারে ভুলে গেল??
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১০
অপ্সরা বলেছেন: হাহা আপুনি!!! সে ভুলেছিলো তার বাবার নামও ভুলেছিলো। সে আরেক গল্প!!
যাই হোক ওভাবেই আমরা মেহেদী দিতাম! এখনও দেয় কেউ কেউ। আজ দেখলাম আমাদের বাসার রুবিনা মেহেদী দিয়ে নিজের নাম লিখেছে আর লিখেছে ঈদ মুবারাক!!!
ঝাঁটার কাঠির মেহেদী এ যুগের ছেলেমেয়েরা জীবনেও বুঝবে না তার মজা!!! হাহাহা
এখনও রেসিপি ইফতার সবকিছুই বলবৎ আছে আমার জীবনে। শুধু এই ব্লগে সেই মানুষগুলো নেই।
আপুনি আমার বসন্তবিলাস গৃহসজ্জার পোস্ট দেখো অবশ্যই ......
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:২৮
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ছেলেবেলার ঈদ যেমন মজার ছিল , বড় বেলার ঈদে তেমনি শুধু দায়িত্ব আর দায়িত্ব । হয়তো অনেকের কাছে এটাই মজার । বয়স বাড়ে আর সব কিছুর পরিবর্তন হয় ।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৫০
অপ্সরা বলেছেন: সববেলার ঈদই আসলে মজার!!! নানা রঙের নানা ঢঙের.......
অনেক অনেক ভালো থেকো আপুনি!
ঈদ মুবারাক!!!
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
স্মৃতি একই সাথে বড়ই মধুর আর কাতর!
ঠিকই বলেছেন, সব কিছুই বদলায়! সেই দিন আর "দিন" থাকেনা। সেই তুমি আর "তুমি" থাকেনা! বদলে যাই আমরাও। বদলে যায় আমাদের আবেগ, বদলে যায় আমাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, বদলে যায় আমাদের দেখা, শোনা ও বোঝার চোখ! এই ই তো অমোঘ নিয়তি!
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪৮
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই।
একারণেই গীতিকার বলিয়াছেন....... এ জীবনে সবই যে হারায়.... জানি ভুলে যাবে যে আমায়!!!!
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: ঈদ মুবারাক ভাইয়া!
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
তোমার লেখা যেন এক সময়ের রঙিন ঈদের আয়না! পড়তে পড়তে মনে হলো, যেন সেই শৈশবের ঈদগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে—নীল বলবল রঙের জামা, পাটায় বাটা মেহেদি, ঈদের দিনের বিশেষ সাজ, সারাদিন পাড়া বেড়িয়ে সন্ধ্যায় ক্লান্ত হয়ে পড়া!
আর সেই গোলাপী এনভেলপের গল্পটা! আহা, কী দারুণ এক অনুভূতি! এক ঝাঁক গোলাপের সুবাসে মোড়া সেই ঈদ কার্ড, যার মূল্য টাকার চেয়েও বেশি ছিল! আজকের ডিজিটাল যুগে হাজারো ভার্চুয়াল শুভেচ্ছার মাঝেও সেই অনুভূতির কাছে কিছুই যেন টিকতে পারে না।
তুমি যেভাবে লিখেছ, সেটা শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বরং একসময়কার ঈদের নিখাদ আনন্দের এক চিত্রকল্প। আজকের ঈদ হয়তো অনেক চকচকে, অনেক বিলাসী, কিন্তু কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সেই মায়া, সেই সহজ-সরল ভালোবাসা!
ইশ! যদি একটিবার ফিরে যেতে পারতাম সেই সোনালি ছেলেবেলার ঈদে...
অসাধারণ লাগলো তোমার লেখা! অনেক অনেক শুভকামনা! ঈদ মুবারাক!
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া
ঈদ মুবারাক!!!
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ঈদ মোবারক।
এভাবে যে লেখার বিষয়টি এবার আপনার সাথে মিলে যাবে, তা ভাবিনি। কিন্তু আমরা যে দেখাদেখি করে লিখিনি, সেটা বোধহয় নিশ্চিত। আপনার লেখা পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। অনেক স্মৃতিও দেখি বেশ মিলে গেল।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: তোমার লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া!!!
দেখা দেখি না করলে কি হবে আমাদের স্মৃৃতিগুলোর অনেক মিল!!!
অনেক ভালোবাসা
ঈদ মুবারাক!
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: "আহা কি যে সুন্দর, হারিয়েছি অন্তর, ভাষা নেই ভাষা নেই......"!
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া!!!
ঈদ মুবারাক!
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
ইসিয়াক বলেছেন: ঈদ মোবারক আপু।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০
অপ্সরা বলেছেন: ঈদ মুবারাক ভাইয়া!
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
ইসিয়াক বলেছেন: ছোটবেলার ঈদ আমার কাছে সবচেয়ে মজার আর আনন্দের ছিল। শবেবরাত এর পর পরই গাউছিয়া মার্কেট থেকে আম্মুর সাথে গিয়ে জামা প্যান্ট কিনে এনে লুকিয়ে ফেলতাম।কোনক্রমেই ঈদের আগে ঈদের পোশাক কাউকে দেখাতাম না। আর জুতো কিনতাম বাটা সু কোম্পানির। আমার আব্বা ছিল নিখাদ বাটা সু কোম্পানির ভক্ত। অন্য কোন কোম্পানির জুতায় তাঁর ভরসা ছিল না। কি আর করা আম্মুকে আলাদা করে আবার আমাদের দুই ভাই বোনের জন্য জুতো কিনতে হতো। কারণ বাটা জুতাগুলো ডিজাইন তখন বড্ড সেকেলে ধরনের হতো।
ঈদের দিন সারা পাড়ার প্রায় সবাই মিলে নামাজে যাওয়া হতো এরপর বাড়ি বাড়ি রাউন্ড দিয়ে ঘোরাঘুরি।আমাদের পাড়াটা শের শাহ সুরী রোডে । তুমি ঠিকই বলেছ সবার বাড়িতে একই রকম খাবার সেমাই, জর্দা ফিরনি, পুডিং, ডিমের হালুয়া আর মাংস পোলাও কিন্তু স্বাদ ছিল ভিন্ন ভিন্ন।তখনও সেভাবে নূডলস এর চল হয়নি।অন্য সময় আম্মু ড্রাগন মার্কা লুডূলস রান্না করলেও ঈদের সময় নূডলস রাঁধতে দেখতাম না মনে হয়।ঈদ সালামী দিয়ে প্রচুর আইসক্রিম খেতাম। বেবী আইসক্রিম আর চকবার আমার খুব প্রিয় ছিল। আরও কত কি মনে পড়ছে লিখতে আর ইচ্ছে করছে না।
ভালো থেকো।
আবারও ঈদ মোবারক।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আমাদের সবার ঈদই প্রায় এক রকমই ছিলো!
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: সেই যে আমাদের নানা রঙ্গের দিনগুলি ....
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: আমাদের দিনগুলি সবই প্রায় একই রকম ছিলো!
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঈদ মুবারাক আপু।
ঈদের দিনের শেষে সবাই আনন্দ মেলা দেখার জন্য আগে আগে বাড়ি ফিরত।
আপনার বর্ণনার গোলাপফুল মিউজিক্যাল ঈদ কার্ড দেয়ার সঠিক দিন ছিল ঈদের দিনটা। যদিও দিন শেষে সব কিছু ভেস্তে যায়।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: ভেস্তে যায় মানে আমি তো ভেস্তে দেবার ওস্তাদ!!!!!!!!!!
আনন্দমেলা দেখার আগেই ঘুমায় যেতাম আমি। আমি সারাজীবনের আর্লি রাইজার...... রাত ১০টা বাজতে ঘুমায় যেতাম। ইদানিং কোভিডের পর রাত জাগা শিখেছি কারণ ক্লাস হত সন্ধ্যায়....
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাপরে!!!! কঠিন তোমার স্মৃতিশক্তি!!!!!
ঈদ মোবারাক।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: এই স্মৃতি তো বেশি দিনের না। আমি আরও ছোটবেলার স্মৃতিও মনে করতে পারি ....
১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: সেই জামা পড়ে চিলে কোঠায় যান নি?
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮
অপ্সরা বলেছেন:
আমি তো ছোট থেকেই ছাদ বারান্দা চিলেকোঠা সবখানেই এক্কা দোক্কা , পুতুলের ঘরবড়ি, গুটি খেলা সবই খেলে বেড়াতাম। !
১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ছোটবেলার সেই সহজ সরল জীবন নাই,
মানুষের জীবনের কোন গ্যারান্টি নাই,
পারিবারিক বন্ধন নাই,
আত্নীয়তার আন্তরিকতা নেই...........
তাহলে আমরা কি করব???
.......................................................
ছোটবেলায় কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
এই আফসোস করা ছড়া আর কি থাকতে পারে
দীর্ঘশ্বাস আর মনবেদনা !!!
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: ঠিক তাই!
ছোটবেলা খুব সুন্দর! এত সুন্দর কিছু নেই ......
১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:১২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: মানুষ বড় হয় এবং তার মন পরিবর্তন হয়। ছোট বেলায় দায়িত্ব ছিল না। বড় হয়ে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। তাতেই আবার বেশ আনন্দ আছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই আপুনি!!!!!!
ঈদ মুবারাক!!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এবার ঈদ কার্ডের ব্যাপারটা আবার ফিরে আসছে। আমি পুচকি থাকতে কমাইন্ড স্কুলের বান্ধবীদের ঈদ কার্ড দিতাম। তাদের বাসায় সেমাই খেতাম। অবিবাহিত ম্যাডাম দের বাসায় সেমাই খেতে তাদের বাসার সামনে ঘুরঘুর করতাম। চিটাগাং এর ঈদের মতো ঢাকায় হয় না।