নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক বোষ্টমী যে কৃষ্ণপক্ষের আধাঁরেই সুর বাধেঁ। তার ইচ্ছা কোন এক শুক্লাদ্বাদশীর দিন চাদেঁর আলোয় সে সুর বাধঁবে... সেই সুরের মূর্ছনায় কারো চোখ ভিজে আসবে...। তবে বোষ্টমীর সেই ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যায়.... কারণ শুক্লপক্ষে যে কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমীর সুর বাধাঁ বারণ।

কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমি তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলো না পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি। কেউ কথা রাখেনি- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১২

আমার চক্ষে ভালোবাসা খুঁইজবার লাগছো?

ভালোবাসা হইল আয়নার লাহান স্বচ্ছ। আয়নার সামনে চোখ বন্ধ কইরা দাঁড়াইলেও আমরা যেমন ঠিক নিজেগো কল্পনা করবার পারি.... ভালোবাসাডাও তেমন। চোখ বন্ধ কইরাও আমরা ভালোবাসারে ছুঁইবার পারি.... ভালোবাসার আঁচ বুইঝপার পারি।

চোখ বন্ধ কইরা হাজারক্রোশ দূরের মানুষডারে নিমিষেই ছোঁওন যায়। ফিনিক ফোটা জোইস্না রাইতে মানুষডার আঙ্গুলে ভালোবাসার জোনাই হইয়া টিপটিপ কইরা জ্বলন যায়। এই ভালোবাসা দেহানি যায় না... বুঝানি যায় না... কওন যায় না.... খালি কল্পনায় জোনাই হইয়া তারে ছোঁওন যায়। এই ভালোবাসার বসবাস খালি নিজের মইধ্যে... নিজের কল্পনায়...

তাইলে আমরা চক্ষের দিকে তাহাই ক্যান কওতো? চক্ষের দিকে তাহাইলে ভালোবাসার গভীরতা মাপন যায়। মাইনষের সবকিছু মিছা কথা কয়, ধোঁকা দেয় কিন্তু মাইনষের চোখ কোনদিন মিছা কয়না। চোখ হইল কুয়ার মতোন আর ভালোবাসা হইল সেই কুয়ার জল। এইজন্যি চক্ষের দিকে তাহাইলে তৃষ্ণা জাগে, ভালোবাসার তৃষ্ণা।




ছবি: গুগল

অন্যকথা: ব্যস্ততার গাড়িঘোড়ার ট্রাফিক জ্যামে জীবন আটকে গেছে। কবে যে এই জ্যাম ছুটবে বুঝতে পারছি না। এই জ্যামে বসেই লিখছি।
চক্ষে আমার তৃষ্ণা নামে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের একটি বই আছে। গতকাল তাঁর প্রয়াণ দিবস ছিল। নামটি সেই বই থেকেই নেয়া।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২০

শায়মা বলেছেন: চক্ষে আমার তৃষ্ণা, ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে।

আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন, সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে॥

গানটাও শুনেছো তো ভাইয়া/ আপুনি ?
আমার অনেক অনেক প্রিয় একটা রবীন্দ্র সঙ্গীত। :)

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪৭

কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: জ্বি আপু, শুনেছি। ছোটবেলায় যে গানগুলো শুনে ঘুম পেতো, এখন সে গানগুলো মনে ভাবনার উদ্রেক ঘটায়, গানের প্রতিটি শব্দ মনের ভেতরে প্রতিধ্বনিত হয়।



পুনশ্চঃ আজকের ব্লগিং শুধুমাত্র হুমায়ুন আহমেদ এর জন্য। তাই আমি গাইব-

চাঁদনী পসরে কে আমার স্মরণ করে
কে আইসা দাঁড়াইছেগো আমার দুয়ারে।
ঘর ছাড়িয়া বাহির হও ধরো আমার হাত
তোমার জন্য আনছিগো আইজ চান্দেরো দাওয়াত।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া/ আপু গেয়ে রেকর্ড করে শুনাও আমাদেরকে। :)

২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৩

কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: ধরে নিন, কোন এক চান্নি পসর রাইতে খোলা মাঠে বসে আপনি আমার গান শুনিতেছেন। কল্পনায় যেটুকু ভালো লাগবে শুনতে, রেকর্ডে ততটুকু ভালো লাগবে না। আমি তো গান গাইতেছি, আপনিও শুনতে পাচ্ছেন। চান্নি পসরে কে আমায় স্মরণ করে..

৩| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৩

শায়মা বলেছেন: আরে সত্যি তো!!!!!!!

তুমি তো মনে হয় হিপনোটিজম জানো আপু/ ভাইয়ু

২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৩

কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: মানুষ বাস্তবের চেয়ে কল্পনায় বেশি সুখানুভব করে, ভালো থাকে। এটা হিপনোটিজম না, সব চরিত্র কাল্পনিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.