![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন আমি আপনাদের সামনে জামায়াতে তাবলিগ সম্পর্কে আল্লামা আবদুল আজীজ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বায (রহঃ)-এর পত্র উল্লেখ করবো যা সৌদি আরবের কেন্দ্রিয় ইসলামি গবেষণা ও ফতোয়া অধিদপ্তর আল মামলাকাতুল আরবিয়্যাতু সাউদিয়া-ইদারাতুল বুহুসিল ইলমিয়্যাতি ওয়াল ইফতা ওদ্দাওয়াতি ওয়াল ইরশাদ (মাকতাবুর রয়িস) এ সংরক্ষিত আছে।পত্রটি লেখা হয়েছিলো সম্মানিত ডক্টর মুহাম্মদ তকীউদ্দীন আল হেলালী-এর নিকট। বিরোধিতা করার আগে প্রথমে যে জিনিসগুলি মনে রাখা দরকার তা হল (১)পত্রের প্রতিবাদ করার জন্য এই পত্রকে মিথ্যা হিসেবে প্রমান করা। এ ক্ষেত্রে তাবলীগের বিপক্ষে বিন বায রহঃ এর কোন ফতোয়া পেশ করতে হলে তার তারিখ ও মূল পত্রের স্ক্রিন সট অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। (২) যদি এই পত্রকে মিথ্যা হিসেবে প্রমান করতে না পারেন তাহলে আপনি তাবলীগের বিরোধীতারক্ষেত্রে অন্যান্য যে সকল আলেমদের ফতোয়া পেশ করবেন তাদের এলমি অবস্থান কি বিন বাযরাহঃ এর বরাবর নাকি নিচে, তা হিসেব করে নিবেন। আর কোন যুক্তিতে বিন বায রাহঃ এরকথাকে না মেনে ঐ সকল আলেমদের কথা মানবেন???? (৩) যদি আলেমদের মধ্যে তুলনা বাদও দেওয়া হয় তবুও আপনাকে কমেন্ট করার আগে এ কথার হিসাব মিলিয়ে নিতে হবে যে “ বিন বায রাহঃ এর তাবলিগের পক্ষের এ কথাওগুলোর কি ব্যাক্ষা হবে??? এ ক্ষেত্রে বিন বায রাহঃ ও কি গোমরাহ?????” এবার আমরা মূল আলোচনায় আসি। আল্লামা আবদুল আজীজ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বায (রহঃ)-এর মূল পত্রটির স্ক্রিন সট নিম্নরুপ - পত্রটির অনুবাদঃ সৌদি আরবের সাবেক প্রধান মুফতী আল্লামা আবদুল আজীজ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বায (রহঃ)-এর পত্র সম্মানিত ডক্টর মুহাম্মদ তকীউদ্দীন আলহেলালী-এর নিকট নং ৮৮৯/খ, তারিখ ১০/১০/১৪০৩ হিজরী আবদুল আজীজ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বাযের পক্ষ থেকে মুহতরম ভাই ডক্টর মুহাম্মদ তকীউদ্দীন হিলালীর নিকট। আল্লাহ পাক তাকে ভালো কাজের তাওফিক দান করুন- আমিন। হেবন্ধু! আপনার ১২/৮/১০৪৩ হিজরী লিখিত পত্র পৌছেছে। আল্লাহপাক আপনাকে হিদায়েতের সাথে জড়িত রাখুক। পত্রে আপনি যে ইঙ্গিতে বলেছেন যে,আমি ভাই আহমদ আলমুহানীর বেতনভাতা,সে জামাতে তাবলীগের সাথে বের হওয়ার কারনে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণকরেছি-তাও বুঝেছি। এখন আমার অভিমত ব্যক্তকরতেছি, আপনি ভাই আহমদ মুহানীর বেতনভাতা যা আপনার মাধ্যমে আমি তাকে দিতাম, পূর্বেরনিয়মে চালু রাখবেন।কারণ তাবলীগে তার বের হওয়াটা নিন্দনীয় সফরের অন্তর্ভূক্ত নয়।কারণ তারা আল্লাহর দ্বীনের প্রতি আহবানের জন্য শহরে শহরে ও গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়ায়। আর ছোট বড় সকল জনসাধারণের সাথে সাক্ষাৎ করে থাকে।বাংলাদেশে ও অন্যান্য দেশে তাদেরযে ইজতেমা হয় তাতে ছোট বড় সব লোক শরীক হয়ে থাকে।গত বছর বাংলাদেশে ইজতেমায় শরীক হওয়ার জন্য যাদেরকে পাঠিয়েছিলাম তাদের মধ্যে বিশ্বস্ত মাশায়েখরা আমাদেরকে এই খবর দিয়েছে। সুতরাং আপনি তাদের খুরুজের নিন্দার জন্য যে দলীল দিয়েছেন যে হাফেজ ইবনেকাসীর (রহঃ) যা উল্লেখ করেছেন-যারা শুধু পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ানোকে অথবা পাহাড়ের গুহায় ও নির্জন জঙ্গলে ইবাদত করাকে উত্তম মনে করে-তাদের অবস্থা তাবলীগের উপরপ্রতীয়মান হয়-আপনার এই দলীল ঠিক নয়। কারণ তাবলীগের অবস্থা তার বিপরীত আর তাদের আমলও তার বিপরীত। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি যেন তিনি সবাইকে তাঁর সন্তুষ্ট অর্জনের তাওফিক দান করেন – আমিন। وا لسلا معليكم و رحمت الله و بر كاته পত্রের অনুবাদ শেষ হল এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট যে বিন বায রহঃ এর যখন এই জামাতে তাবলীগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না তখন ভাই আহমদ আলমুহানীর তাবলিগে যাওয়ার কারনে তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তিতে এ জামাত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার পর এর প্রসংশা করলেন এবং ডক্টর মুহাম্মদ তকীউদ্দীন আল হেলালী তাবলিগের খুরুজের ব্যাপারে যে আপত্তি করেছেন তার প্রতিবাদও করেছেন।আরো বললেন – “গত বছর বাংলাদেশে ইজতেমায় শরীক হওয়ার জন্য যাদেরকে পাঠিয়েছিলাম তাদের মধ্যে বিশ্বস্ত মাশায়েখরা আমাদেরকে এই খবর দিয়েছে”। এরা মূলত মদিনা ইউনিভার্সিটির সম্মানিত দুই শায়খ।
For More- http://wWw.Alfajar.TK
©somewhere in net ltd.