![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য যখন জাগায় ভুবন, পাখির শিষে ভোঁর, আমার কেন উদাস দুপুর, বিরহী প্রহর...! © All written articles are subject to copyright. আমার অনুমতি ব্যথিত লেখার কোন অংশ বা সম্পূর্ণ লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। ----ব্লগের বয়স এক বছর দেখালেও নিয়মিত হয়েছি এই জানুয়ারি থেকে।
ফান বহুত অইছে, এইবার কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়া কিছু মাথা ঘামান---
-কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও আপেক্ষিকতা -
আপনি জানেন কি, একটি ভবন এর সব চেয়ে উপরের তলা থেকে সব চেয়ে নিচের তলা বা ফ্লোরে আপনার বয়স ধীরে বাড়ে? অথবা আপনার গ্রহন করা প্রতি টি নিশ্বাস এ Marilyn Monroe এর ত্যাগ করা একটি নিশ্বাস এর অণু আছে? অথবা, যদি সব গুলো শুন্য স্থান কোন বস্থ ছাড়া সঙ্কুচিত হয়ে থাকতো, তাহলে সমগ্র মানব জাতিকে একটি মাত্র চিনির দানার পরিমান বাক্সে সেটে দেয়া যেতো?
কথা গুলো কোন কল্প কাহিনি মনে হচ্ছে, তাই না? কিন্তু বিজ্ঞান কল্প-কাহিনীর চেয়েও বেশি বিস্ময়কর- এবং আমরা নিজেদের এই মুহূর্তে যে মহাবিশ্বে আবিষ্কার করেছি, তা সম্ভবত তার চেয়েও অদ্ভুত এমন কিছু যা আমরা আবিষ্কার করতে পারতাম।
এই বিস্ময়কর তত্ত্বগুলোকে একমাত্র "কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও আপেক্ষিকতা" ছাড়া আর কোন কিছুই আমলে নিতে পারে না, আর এই "কোয়ান্টাম থিওরি আর রিলেটিভিটি" একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের সহজাত স্তম্ভ। রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকতা "ব্ল্যাক হোল" এর অদ্ভুত জগত কে আমাদের সামনে এনে দিয়েছে আর এই কথা পরিস্কার করে দিয়েছে যে "মহাবিশ্বের একটি শুরু বা সূচনাকাল বা বিগিনিং" ছিলো।
আধুনিক বিশ্ব কে সব রকম সম্ভাব্যতার দ্বারপ্রান্থে নিয়ে এসেছে কোয়ান্টাম থিয়োরি, আমাদের দিচ্ছে "ল্যাজার, কম্পিউটার আর আইপড ন্যানো", বলার অপেক্ষা উপেক্ষা করেই আমাদের বলে দিচ্ছে কিভাবে কিরণ দেয় সূর্য এবং ভুমি কেন শক্ত বা নিরেট।
মেনে নেয়া যাক যে আপনি অনবরত Marilyn Monroe এর কিছু অণু গ্রহন করছেন। আর এটা খুব সামান্য পরিমান টানাহ্যাঁচড়া করছে এই কথা স্বীকার করতে যে- তা কোয়ান্টাম থিয়োরির এ প্রভাব মাত্র।
তবুও, ইহা কিন্তু অণু বা পরমাণু সম্পর্ক কে যুক্ত করছে, যেখানে সব কিছু কোন না কোন ভাবে সম্পর্কিত। আর এই আণুবীক্ষণিক বিশ্ব কে ব্যাখ্যা করতে কোয়ান্টাম থিয়োরি অত্যাবশ্যক।
জরুরি ব্যাপার টা খেয়াল রাখতে হবে যে অণু গুলো কিন্তু অনেক ছোট। এদের প্রায় ১০ মিলিয়ন একটার পর একটা জুড়ে দিলে একটি ফুলস্টপ এর সমান দীর্ঘ হয়। এর মানে কি দাঁড়ালো, আমরা যত বার নিশ্বাস ফেলি, তত বার অসংখ্য ট্রিলিয়ন এই রকম ছোট্ট কনা না অণু বেরিয়ে যায় এই বাতাসে।
পরিনামে, বাতাস এই সব অণু কে ছড়িয়ে দেয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। যখন টা ঘটে, তখন বায়ুমণ্ডলের প্রতি টি স্তর কিন্তু আপনার ত্যাগ করা একটি বা ততোধিক অণু বা কনা দ্বারা পরিপূর্ণ।
সুতরাং, প্রত্যেক বার যখন কেউ নিশ্বাস নেবে, সে আপনার ত্যাগ করা এই অণু গুলো কিন্তু গ্রহন করবে, অথবা অণু গুলো হতে পারে Marilyn Monroe এর, অথবা Alexander the Great এর, অথবা হতে পারে একসময় পৃথিবী শাসন করে চলা "রেক্স প্রজাতির কোন ডাইনোসর" এর!
কিন্তু এটা শুধুমাত্র পরমাণুর ক্ষুদ্রতাই নয়, মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো এর প্রভাবও আছে। আছে তাদের ভয়ঙ্করতম শুন্যতাও।
সুতরাং, কেনো পরমাণু গুলো এত শুন্য? অন্য ভাবে বললে- কেন পরমাণু গুলো এত বিশাল তাদের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর "নিউক্লিয়াস" এর তুলনায়?
হ্যাঁ, এর সব কিছুই সুসংগত ভাবে ব্যাখ্যা করেছে কোয়ান্টাম জগতের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য- এর প্রজাতিগত কিছু ভিন্নতা আছে, স্কিজোফ্রেনিয়া সঙ্ক্রান্ত ধর্মে। অবস্থাগত কারনে এরা উভয় রকমের আচরন করতে পারে, তরঙ্গ এবং কনা।
পদার্থবিদদের সাধারণ ভাবেই মেনে নিতে হয়েছিলো যে ইলেকট্রন ও তাদের মতো সব কিছুই মজ্জাগত ভাবেই এই প্রতিদিনের বিশ্বের সব কিছু থেকে আলাদা।
মূল কথা হলো যে একটি তরঙ্গ অনেক বেশি জায়গা দখল করে থাকে, এই জন্যে ইলেকট্রন ও একটি তরঙ্গ, কোন ছোট পরিসরে একে আবদ্ধ করা যায় না, এবং পরমাণু গুলো কেন আপনার ধারণার চেয়েও এতবেশি বড় যে কোন শুন্য স্থানের ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯ ভাগ জায়গা দখল করে থাকে।
প্রকৃতির এই চূড়ান্ত দ্বৈত চরিত্র বাধাগ্রস্ত করছে অন্য প্রভাব কে। ইহা নিজেই একটি প্রভাবক- কারন তা আরও বেশি জায়গা দখল করতে পারত, আরও এক অদ্ভুত ব্যাপার হল যে একটি মাত্র পরমাণু একই সময় ভিন্ন দুটি জায়গায় হতে পারে, এবং যেখানে পরমাণু গুলো তাৎক্ষণিকভাবে পরস্পরের সাতে যোগাযোগ ও রক্ষা করতে পারে, বরং যদি টা মহাবিশ্বের অন্য এক প্রান্তেও হয়।
এই রকম ক্ষুদ্র ব্যাপার গুলো কে সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করার নাম ই কোয়ান্টাম ফিজিক্স বা কোয়ান্টাম মেকানিক্স।
কোয়ান্টাম থিয়োরি অবশ্যই অদ্ভুত।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের আরেকটি স্তম্ব- আপেক্ষিকতা- এর ও কিছু টা জটিলতাও আছে।
উদ্বাহনস্বরূপ, সম্ভাব্যতার বাইরে এসে এই থিয়োরি কিন্তু আরও একটি নকশা তুলে ধরে যা আদতেই কার্যকর, কিন্তু কেন? কারন " যত দ্রুত আপনি ভ্রমন করবেন, তত বেশি আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
এটা হলো আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতা তত্ত্বের এক বিশেষ নীতি, ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন তা প্রকাশ করেন। কিন্তু তা সুস্পষ্ট নয়, কারন তা তখনই লক্ষণীয় যখন "সাবজেক্ট বা বস্তু'র বেগ আলোর বেগের সমান বা কাছাকাছি হবে- একটি যাত্রীবাহি জেট এর থেকে মিলিয়ন গুন বেশি বেগ সম্পন্ন বেগে যখন তা গতি প্রাপ্ত হবে।
অদিকন্তু, যদি কেউ আপনার খুব কাছ দিয়ে আলোর গতি তে অতিক্রম করে, তবে আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব বলে যে সে আপনার কাছে চ্যাপ্টা মনে হবে তার গতি অভিমুখে।
এটাই আপেক্ষিকতার একমাত্র বিশেষ তত্ত্ব নয়। যে ব্যক্তি আপনাকে ওই বেগে অতিক্রম করবে তার সময় ধিরে চলবে। অর্থাৎ, তার হাতের ঘড়ির কাটা আপনার হাতের ঘড়ির চেয়ে ধিরে চলবে।
আইনস্টাইন তাঁর থিয়োরি কে পরিবর্ধন করে "আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব" প্রকাশ করলেন ১৯১৫ সালে, যা অভিকর্ষ সুত্র হিসেবেও পরিগণিত হলো। এবং তা প্রকাশ করলে যে- আপনার দেহ অতি দ্রুত গতিশিল থাকায় সময়ের এই ধীরতা আসে না বরং তাঁর জন্যে অত্যন্ত শক্তিশালী অভিকর্ষ বলও দায়ী।
এবার দেখা যাক আপনার ঘরের অর্থাৎ বিল্ডিং এর উপরের তলা থেকে নিচের তলায় কেন বয়স দ্রুত বর্ধনশীল। এর একটি বিশেষ প্রভাব হলো - নিচের তলা তে, আপনি পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছাকাছি বেশি উপরের তলার তুলনায়, কারন নিচ থেকে উপরের দিকে অভিকর্ষ বল ক্রমাগত কমতে থাকে। সব চেয়ে উপরে অর্থাৎ স্পেস বা মহাশূন্যে এই অভিকর্ষ বলে হয় "0 (জিরো)।
তবে হ্যাঁ, সাধারণ জিবনে তা খুবই সামান্য এক ব্যাপার। কিন্তু শক্তিশালী অভিকর্ষ শক্তির কাছাকাছি যে দেহ থাকে, যেমন ব্ল্যাক হোল, তার প্রভাব হয়ে উঠে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। যদি আপনি ব্ল্যাক হোলের খুব কাছাকাছি কোন প্রান্তে ঝুলে থাকতে পারেন, তবে সময় সেখানে এতটাই ধির হয়ে যেত যে আপনি মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ একঝলকে দেখতে পারবেন।
অদ্ভুত তাই না? হ্যাঁ, ঠিক এই তত্ত্বের মতই। যুক্তিসঙ্গত ভাবেই, মহাবিশ্বের একটি সৃষ্টি বা সূচনা ছিল সব চেয়ে আশ্চর্যজনক তত্ত্ব হলো আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের। (যদি আপনি সৃষ্টিকর্তা তে বিশ্বাস না করে থাকেন তবে এই হল ধর্মগ্রন্থের বাইরে তত্ত্ব)
সাম্প্রতিক ধারনা অনুসারে, ইহা আনুমানিক ১৩.৭ বিলিয়ন বছর পূর্বে একটি বিশাল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে এর জন্ম হয় যার নাম "বিগ ব্যাং"। যা একটি উষ্ণ বিন্দুর মতো অবস্থান করছিলো। বিস্ফোরণের পরে একে ধিরে ধিরে ঠাণ্ডা হতে থাকে। যার ফলস্রতিতে আজো অদৃশ্য অনেক মাইক্রোওয়েব রয়ে গেছে।
মাইক্রোওয়েভ ও কিন্তু একপ্রকার আলো, এবং একপ্রকার কণা ( *"wave-particle duality") দিয়ে তৈরি যার নাম- "ফোটন "; মহাবিশ্বের ৯৯ ভাগ মাইক্রোওয়েভ কিন্তু স্টারলাইট নয়, তা সৃষ্টি হয়েছিলো বিগ ব্যাং এর উত্তাপে।
আমরা যদি মাইক্রোওয়েভ কে দেখতে পারতাম, তবে সমস্থ রাতের আকাশ জুড়ে উজ্জ্বল আলো দেখতে পেতাম যেমন টা দেখা যায় একটি ইলেকট্রিক ভাল্ব এ। যা এই সব কিছু কে অনেক বেশি চমকপ্রদ করে রেখেছিলো, যতক্ষণ না মাইক্রোওয়েভ আবিষ্কৃত হয়, ১৯৬৫ সালে। আর তাঁর পরে একটি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনার মধ্যে- দুই জন নভোচারী জারা তা আবিষ্কার করেছিলেন এবং বয়ে এনেছিলেন "নোবেল পুরস্কার", সে গল্প অন্য দিন।
তো, সার কথা হলো- " আলোর বেগে কোন বস্তু চলতে পারে না, আর যদিও তা সম্ভব হয়, তবে চলন্ত বস্তু আর বস্তু থাকে না, শক্তি তে রুপান্তরিত হয়ে যায়"।
--------------------------------------------------------------------
(ঘুম আইতাছে না, তাই এই আকাম করতাসি বইস্যা বইস্যা)
Reference- 'Quantum Theory Cannot Hurt You' by Marcus Chown (Faber)
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০১
এম হুসাইন বলেছেন: দৌড়াইয়া তো বহুত দূর গেছেন গা ব্রো-----
ঘুমান নাই এখনও? আজিব---
২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্ট শেয়ার করলাম
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০২
এম হুসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্ট শেয়ার করলাম
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০২
এম হুসাইন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইজান
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
নিষিদ্ধ আমি বলেছেন: প্লাস সহ প্রিয়তে
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
এম হুসাইন বলেছেন:
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
কান্টি টুটুল বলেছেন:
একটা আপেক্ষিক কবিতা মনে পইরা গেল ......
Once there was a lady called Bright
Who could travel much faster than light
One day she left home in relative way
and got back the previous night.
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৫
এম হুসাইন বলেছেন: সুন্দর কবিতা তো---
অনেক ধন্যবাদ যোগী'র সাতে সহমত।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২২
এম হুসাইন বলেছেন: কবিতাটা সম্ভবত "অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বই" এর।
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
যোগী বলেছেন: @কািন্ট টুটুল ভালো বলেছেন, এটাকে সম্ভবত টাইম ডাইলেশন থিওরির একটা ব্যাখ্যা হিসাবে ধরা হয়।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৪
এম হুসাইন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, "অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বই" মনে হয় এটা বলা আছে...... যদ্দুর মনে পড়ছে আর কি.........
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
যোগী বলেছেন: বাংলায় বলা যাইতে পারে আপনি যদি দৌড়ের উপ্রে থাকেন, তাহলে বয়স কে অনেক খানি ধরে রাখতে পারবেন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪১
এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
কান্টি টুটুল বলেছেন:
যোগী @
টাইম ডাইলেশন সম্ভবত কোন বস্তুর সাপেক্ষে আলোর গতির কাছাকাছি কিংবা আলোর গতির সমান চলমান বস্তুর অবস্থা ব্যাখ্যা করে, কিন্তু কবিতার ঐ ব্রাইট আপা আলোর চাইতেও দ্রুত গতিতে চলতে সক্ষম তাই তিনি অতীতে চলিয়া গিয়াছেন,অর্থাৎ মার্চের ১৩ তারিখে ঢাকা হইতে নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করিয়া তিনি মার্চের ১২ তারিখে পৌছিয়া গিয়াছেন
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৪
এম হুসাইন বলেছেন: আলোর গতির কাছাকাছি বা আলোর গতিতে কোন কিছু গতিশীল হতে পারলে তার অতিতে বা ভবিষ্যতে যাওয়া বিস্ময়ের কিছু না।
৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
এম এম হোসাইন বলেছেন: 1) মাইক্রোওয়েভ ও কিন্তু একপ্রকার আলো, এবং একপ্রকার পরমাণু দিয়ে তৈরি যার নাম- "ফোটন "...........................ফোটন কি পরমানু?
২) সাধারণ আপেক্ষিকতা আর বিশেষ আপেক্ষিকতার মধ্যে তফাতটা কি?
৩) আলোর বেগের চেয়ে অনেক কম বেগে কোন বস্তু চললেও তো ভর শক্তিতে রুপান্তরিত হয়। এব্যপারে আপনার মন্তব্য কি?
৪) ধরেন কোন বিস্তুর বেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি হয়ে গেল, তাহলে কি কি ঘটতে পারে?
আপনার পরীক্ষা নিচ্ছি না, আমার সেই যোগ্যতাও নেই। জাস্ট আলোচনার জন্যি প্রশ্ন করা।
পোস্টে+++++++++++++++++++++++++++ এবং প্রিয়তে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২
এম হুসাইন বলেছেন: এম হুসাইন আর এম এম হুসাইন- আহা---
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই কিছু জিজ্ঞেস করার জন্যে, ভালই লাগে এই নিয়ে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে- যদিও ভাই আমি আপনাকে বোঝাতে পারবো বলে মনে হয় না, কারন আমিও কিছুই জানি না বললেই চলে, তবুও চেষ্টা করছি যতটুকু পারি আপনার উত্তর দেয়ার-
উত্তর-১) মাইক্রোওয়েভ ও কিন্তু একপ্রকার আলো, এবং একপ্রকার পরমাণু দিয়ে তৈরি যার নাম- "ফোটন "...........................ফোটন কি পরমানু?
* ফোটন কে আমারা পরমাণু হিসেবে জানি, কিন্তু দেখা গেছে ফোটন একই সাতে "আলো এবং তরঙ্গ" উভয় রূপে আচরন করতে পারে। যার জন্যে ফোটনকে ( wave-particle duality) দ্বৈত আচরন কারি বলা হয়। তা তরঙ্গ রূপে আচরন করে যখন বিচ্ছুরিত বা অপবর্তিত হয়, আবার তা কনা বা পরমাণু রূপে আচরন করে যখন তা পারমাণবিক ইলেকট্রন কে শক্তি দান করে।
আজ পর্যন্ত এমন কোন নিরীক্ষণ এটা নির্ভুল ভাবে প্রমান করতে পারে নি যে, ফোটন একই সাতে "তরঙ্গ ও কণা" রূপে আচরন করেছে, তাই বিস্ময় রয়েই গেছে যে তা কিভাবে ক্ষেত্র ও বস্তু বিশেষে ভিন্ন আচরন করে।
উত্তর ২) ) সাধারণ আপেক্ষিকতা আর বিশেষ আপেক্ষিকতার মধ্যে তফাতটা কি?
আপেক্ষিকতার বিশেষ সুত্র বা স্পেশিয়াল রিলেটিভিটি শুধুমাত্র জড় প্রসঙ্গ কাঠামো ব্যাখ্যা করে- যাদের আমরা দুটি স্বীকার্য রূপে উপস্থাপন করতে পারি-
ক) পরস্পরের সাপেক্ষে ধাবমান সকল প্রসঙ্গ কাঠামোতে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রগুলো একই সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করা যায় এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর সকল সুত্র এসব প্রসঙ্গ কাঠামোতে অপরিবর্তনীয় থাকে।
খ) শূন্যস্থানে সকল পর্যবেক্ষকের নিকট আলোর বেগ সমান এবং তা আলোর উৎস ও পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক বেগের উপর নির্ভরশীল নয়।
বিশেষ আপেক্ষিকতা হলো সহজতম উপায় কোন কিছু হিসেব করার জন্যে- যা দ্বারা একটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে স্থান-কাল এর হিসেব বের করা যেতে পারে, এমনকি সাধারণ বীজগণিত, জ্যামিতি, ও গতির সুত্র ব্যবহার করেও।
কিন্তু আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব অনেকটা জটিল, যেমন এর প্রাথমিক বিষয় গুলো জানতে হলেও একটি কলেজ সেমিস্টার শেষ হয়ে যেতে পারে। এবং তার জন্যে প্রয়োজন খুবই জটিল গাণিতিক জ্ঞ্যান এমনকি সাধারণ কোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া স্টুডেন্টের সাধারণ জ্ঞ্যান নয়।
সহজ কথায়- আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব বা সুত্র শুধুমাত্র "জড় প্রসঙ্গ কাঠামো" নিয়ে কাজ করে।
আর
সাধারণ তত্ত্ব বা সুত্র সব রকম প্রসঙ্গ কাঠামোতে ব্যবহার করা যায়।
আপনাকে এটাও বলে দেই- "গতিশীল কোন বস্তুর অবস্থান নির্ণয়ের জন্যে কোন না কোন প্রসঙ্গ স্থানাংক ব্যবস্থা প্রয়োজন পড়ে, এই স্থানাংক ব্যবস্থা কে বলা হয় প্রসঙ্গ কাঠামো। অর্থাৎ- কোন বস্থুর গতি ব্যাখ্যা করার জন্যে ত্রিমাত্রিক স্থানে যে সুনির্দিষ্ট স্থানাঙ্খ ব্যবস্থা বিবেচনা করা হয় এবং যার সাপেক্ষে বস্থুটির গতি বর্ণনা করা যায়, তাই প্রসঙ্গ কাঠামো।
আর, পরস্পরের সাপেক্ষে একই বেগে অর্থাৎ ( Constant বা ধ্রুবক) গতিশীল যে প্রসঙ্গ কাঠামোতে জড়তার সুত্র ও নিউটনের গতির প্রথম সুত্র প্রযোজ্য তাকে জড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।
৩) আলোর বেগের চেয়ে অনেক কম বেগে কোন বস্তু চললেও তো ভর শক্তিতে রুপান্তরিত হয়। এব্যপারে আপনার মন্তব্য কি?
* আপেক্ষিকতার সুত্র মতে- বস্তু যখন আলোর বেগের সমান বেগে গতিশীল, তখন তা আর বস্তু থাকে না, কিন্তু- হা, যদি বস্তু আলোর বেগের সমান বেগে গতিশীল না হয়, তাহলে পদার্থ বিজ্ঞানের সাধারণ সুত্রই মেনে চলবে।
৪) ধরেন কোন বিস্তুর বেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি হয়ে গেল, তাহলে কি কি ঘটতে পারে?
* হা হা হা, আঙ্কেল আইনস্টাইন যেখানে E=mc²
দিয়ে গেছেন আমাদের কাছে, আর এখন পর্যন্ত এটাই সব চেয়ে গ্রহনজগ্য ব্যাখ্যা, আর আজ পর্যন্ত এর উপরে কেউ ভেবেছে বলে আমি জানি না, যদি আপনি কিছু জানেন তবে আমাকে জানলে উপকৃত হব ভাই।
তবে আপনি নিশ্চয়ই ভুলে যান নি যে- আঙ্কেল আইনস্টাইন কিন্তু তা প্রমান করতে পারেন নি যে- আলোর বেগে কোন কিছু গতিশীল হতে পারে, যার কারনে তাঁর এই আপেক্ষিকতার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
আর এই সব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে আজ পর্যন্ত আইনস্টাইন ছাড়া কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা কেউ দিতে পেরেছে বলে আমি জানি নি। যদিও গবেষণা থেমে নেই।
আমি সন্তুষ্ট নয় যে হয় তো আপনাকে বোঝাতে পারলাম না, আপনি এর চেয়ে কোন ভালো ব্যাখ্যা আমাকে দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম।
আবারো ধন্যবাদ ভাই।
ব্লগে স্বাগতম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬
এম হুসাইন বলেছেন: দুঃখিত, কণা বলতে গিয়ে পরমাণু বলে ফেলেছি। ফোটন "কণা ও তরঙ্গ"। ( "wave-particle duality") এখন মুল পোস্টেও ঠিক করে দিলাম।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
আশিক মাসুম বলেছেন: আমি ফিজিক্স( সাইন্স) এর ছাত্র , অনেক কিছু কইতে মন চাইতাছে , কিন্তু লিখতে ভাল্লাগছে । দেখি সময় পেলে একদিন একটা পোষ্ট দিয়া দিমুনে । ভাল থাকেন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১০
এম হুসাইন বলেছেন: আরে মিয়াভাই, আগে কইবেন তো, এত দিন থাইক্কা একটা পোস্টও দেন না কেন? আর কি কইবেন কন না পিলিজ লাগে আফনের---------
আপ্নেও ভালা থাইক্কইন কিন্তুক
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: প্রত্যেক বার যখন কেউ নিশ্বাস নেবে, সে আপনার ত্যাগ করা এই অণু গুলো কিন্তু গ্রহন করবে, অথবা অণু গুলো হতে পারে Marilyn Monroe এর, অথবা Alexander the Great এর, অথবা হতে পারে একসময় পৃথিবী শাসন করে চলা "রেক্স প্রজাতির কোন ডাইনোসর" এর!
প্রশ্ন হলো এই অনু গুলো আমাদের শরীরে কোন প্রভাব ফেলছে কিনা?
উষ্ণ বিন্দু বিগ-ব্যং এর পর এক্সপেন্ড হতে শুরু করলো, আচ্ছা উষ্ণ বিন্দুর আগে কি ছিলো?
শ্রোডিনজারস ক্যাট, হিগস বসন, এইসব নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব?
অঃটঃ আমি অর্থনীতির ছাত্রী। অপ্রাসংগিক প্রশ্ন করে থাকলে সর্যি। তবে খুব জানতে ইচ্ছে করে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৪
এম হুসাইন বলেছেন: প্রত্যেক বার যখন কেউ নিশ্বাস নেবে, সে আপনার ত্যাগ করা এই অণু গুলো কিন্তু গ্রহন করবে, অথবা অণু গুলো হতে পারে Marilyn Monroe এর, অথবা Alexander the Great এর, অথবা হতে পারে একসময় পৃথিবী শাসন করে চলা "রেক্স প্রজাতির কোন ডাইনোসর" এর!
প্রশ্ন হলো এই অনু গুলো আমাদের শরীরে কোন প্রভাব ফেলছে কিনা?
উত্তর- আপাত দৃষ্টি তে এই অনু গুলোর কোন প্রভাব আমাদের শরীরে নেই, শুধুমাত্র এই অণুগুলোর কথা এখানে এসেছে "কোয়ান্টাম মেকানিক্স" কে একটু সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করতে, অর্থাৎ কোয়ান্টাম মেকানিক্স কি করে ভিন্ন ডাইমেনশনের ক্ষেত্রে যোগসূত্র স্থাপন করে বা ব্যাখ্যা করে তা বোঝাতে।
উষ্ণ বিন্দু বিগ-ব্যং এর পর এক্সপেন্ড হতে শুরু করলো, আচ্ছা উষ্ণ বিন্দুর আগে কি ছিলো?
উত্তর - বিগ ব্যাং এর আগে বলতেকিছু নেই, কার্যতঃ বিগ ব্যাং-এর পরেই টাইম অর্থাৎ সময়ের সৃষ্টি, তাই বিগ ব্যাং-এর আগে কি ছিল এই প্রশ্ন অবান্তর।
শ্রোডিনজারস ক্যাট, হিগস বসন, এইসব নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব?
কেন সম্ভব নয়? কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে যখন লিখা শুরু করেছি, ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো আপনার এই বিষয় গুলো নিয়েও কোন এক দিন আলোচনা করতে।
আপনি অর্থনীতির ছাত্রী, এর কোয়ান্টাম মেকানিক্স অথবা রিলেটিভিটি নিয়ে জানতে চান জেনে আমি খুশি হলাম, আসলে এসব নিয়ে লেখালেখি করি আর যদি কেউ তা না ই বুঝে তবে কি লাভ লেখালেখি করে, শখের বশেই লেখা লেখি করি।
আপনি প্রশ্ন করায় অনেক খুশি হয়েছি, আরও করতে পারেন, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যথাসম্ভব আপনাদের বুঝাবার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ গ্রাম্যবালিকা।
ভালো থাকুন।
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৩
এম এম হোসাইন বলেছেন: @গ্রাম্যবালিকা,
১) এই অনু গুলো আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলবে এটাই স্বাভাবিক।
আমরা শুধু যে নিশ্বাসের সাথে অনু গ্রহন করছি তা তো নয়, আমরা যে খাবার খাচ্ছি তাও তো অনুরই সমষ্টি তাই নয় কি? তবে অন্য মানুষের এই অনুগুলি আমাদের দেহের উপাদান হলেও আমাদের মানবিক বৈশিষ্ট্যে এর প্রভাব নাও নেই বলেই আমার ধারণা।
২) 'উষ্ণ বিন্দু' র আগে কিছুই ছিল না। এখান থেকেই সবকিছুর শুরু। এমনকি ফ্রি স্পেস বা শূণ্য স্থান বলতেও কিছু ছিল না।
১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৪
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: @এম এম হোসাইন
মানবিক গুনাবলিতে প্রভাব ফেলার তো কথা। সামান্য এক ভাইরাস শরীরে গেলে আমরা কাহিল হয়ে যাই। দিনের পর দিন রিসাইকেলিং হওয়া অনু আমাদের কি বদলে দিচ্ছে না? আমাদের কোন ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে?
উষ্ণ বিন্দুর আগে কিছু ছিলোনা এটা মেনে নিতে পারিনা। একটার আগে একটা ছিল এরকম জেনে আসছি। কেন উষ্ণ বিন্দুতে যেয়ে থেমে যাবে?
আচ্ছা না হয় মানলাম, তাহলে পৃথিবী আবার কোথায় শেষ হবে? কোথায় যেয়ে শেষ হবে?
উষ্ণ বিন্দুর উপাদান কি কি ছিলো?
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৭
এম হুসাইন বলেছেন: সুন্দর পয়েন্ট ধরেছেন-
মানবিক গুনাবলিতে প্রভাব ফেলার তো কথা। সামান্য এক ভাইরাস শরীরে গেলে আমরা কাহিল হয়ে যাই। দিনের পর দিন রিসাইকেলিং হওয়া অনু আমাদের কি বদলে দিচ্ছে না? আমাদের কোন ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে?
আমার মতে এই ঘটনা তা সম্ভাব্যতার সুত্রই বলে দিতে পারে। কিংবা বায়স'এর সুত্র।
এগুলো আমাদের কোন ক্ষতি করার প্রশ্ন আসে না এই জন্যে যে এই অনু বা পরমানু গুলো আজ থেকে হাজার-বা শত বছর পূর্বে নির্গত হয়েছে, তার মধ্যে ক্ষতিকর কিছু থাকলে তার বিপরীত ধর্মী প্রতিক্রিয়া তা হয় নষ্ট করে দিয়েছে অনেক আগেই, নয়তো, আমরা যে অনু গুলো বহন করছি তা, আমাদের জন্যে ক্ষতিকর নয়। তা খোঁজার কাজ হোল মেডিক্যাল সায়েন্সের। এখানে শুধু কোয়ান্টাম ফিজিক্স কে ও তার যোগসূত্র কে ব্যাখ্যা করতে এই উদাহরণ দেয়া হয়েছে।
উষ্ণ বিন্দুর আগে কিছু ছিলোনা এটা মেনে নিতে পারিনা। একটার আগে একটা ছিল এরকম জেনে আসছি। কেন উষ্ণ বিন্দুতে যেয়ে থেমে যাবে?
আচ্ছা না হয় মানলাম, তাহলে পৃথিবী আবার কোথায় শেষ হবে? কোথায় যেয়ে শেষ হবে?
উষ্ণ বিন্দুর উপাদান কি কি ছিলো?
উষ্ণ বিন্ধুর আগে স্থান-কাল-বস্তু বলে কিছুই ছিল না, এই উষ্ণ বিন্দু থেকেই পরবর্তীতে সব কিছুর সৃষ্টি।
হঠাৎ করে এই উষ্ণ বিন্দু ফুলে ফেঁপে উঠে, ঘটে এক বৃহৎ বিস্ফোরণ, যাকে আমরা বিগ ব্যাং বলে জানি।
পৃথিবী কথায় যেয়ে শেষ হবে? >> হিসেব মতে, পৃথিবীর বয়স আনুমানিক আরও- ৫৬০ কোটি বছর আছে। কিভাবে?
সূর্যের আভ্যন্তরীণ যে হাইড্রোজেন জ্বালানী আছে, তা এরই মধ্যে প্রায় ৪৪০ কোটি বছর ধরে জলছে, অবশিষ্ট জ্বালানী নিঃশেষ হতে প্রায় আরও ৫৬০ কোটি বছর লাগবে।
এর পর, সূর্য নিস্ক্রিও হয়ে পড়বে। তখন থেকেই পৃথিবীর ধ্বংসের সুচনা।
এর পরে কি হবে, তা নিয়ে আজও গবেষণা শেষ হয় নি, তাই পরিস্কার করে কিছু বলা প্রায় অযৌক্তিক।
যদিও অনেক গুলো অনুসিদ্ধান্ত আছে, তা এই কমেন্টে বলা কষ্ট, অন্য এক দিন তা নিয়ে আলোচনা করবো।
উষ্ণ বিন্দুর উপাদান কি কি ছিলো?
>> এই উপাদান গুলো জান্তেই তো চলছে পৃথিবীর ইতিহাসের সব ছেয়ে বড় ও ব্যাবহুল পরীক্ষা- সুইজারল্যান্ড-ফ্রান্স সীমান্তে LHC বা Large Hadron Collider নামের যন্ত্রে এই পরীক্ষা, তা জানতে কি আসলেই কি বিগ ব্যাং থেকে সব কিছুর সৃষ্টি আর তাহলে কি ছিল এর উপাদান?
বুঝাতে পারলাম?
১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:০৬
দিশার বলেছেন: ভাই আপনার পোস্ট আর কষ্ট করে দেয়া উত্তর পরে ভালো লাগলো। কীপ ইট আপ ব্রো .
পারলে ই টপিক যে একটু পোস্ট দিয়েন, কারণ আমি ভালো করে সাজায়ে লিখতে পারি না।
১) ইস Theory ইন সাইন্স , same as day to day word "theory"
আমি গুছিয়ে লিখতে পারবনা আপনার মত . পারলে পোস্ট কইরেন . ধন্যবাদ
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬
এম হুসাইন বলেছেন: আপনার প্রশ্নটা ঠিক বুঝলাম না ভাই, আপনি কি Day-Age Theory 'র কথা বলছেন? চেষ্টা করবো এ নিয়ে কিছু লিখতে।
অশেষ ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
ভালো থাকুন।
১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪
দিশার বলেছেন: না না , এম বলতে চেয়েছি সাইন্টিফিক theory , কি এবং এটার সাথে "ফ্যাক্ট" এর পার্থক্য আছে কি নাই, য়ে বিষয় নিয়ে লিখা দিতে।
অনেক অজ্ঞান লোক যেমন বলে, "evolution " ফ্যাক্ট না , জাস্ট theory .
যদিও আমরা জানি evolution , প্রমানিত সত্য .
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯
এম হুসাইন বলেছেন: দিলেন তো ফ্যাক্ট লাগাইয়া, একটা জটিল থিয়োরি এই "evolution " থিয়োরি, অনেক ধরণের ব্যাখ্যা আছে, তবে চেষ্টা করবো সব চেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নিয়ে কিছু লিখতে।
ধন্যবাদ আবারো।
১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫
যোগী বলেছেন: যতটুকু জানি আপনার কারেন্ট রিসার্চ ফিল্ড অন্য কিছু।
এখন কোন ফিল্ডে কাজ করছেন?
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭
এম হুসাইন বলেছেন: কি যে বলেন না ডুড, এই রিসার্চ টা আবার কেডা?? কোন দিন নাম ভি হুনি নাইক্কা---
আমি খাই দাই ঘুমাই আর ফুর্তি করি---
আপ্নে কি করছেন হেইডা আগে কন দিহি---
১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:২৫
শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমি খুব সামান্য জানি তাই জ্ঞানের সামান্যতা দূর করার জন্য বিভিন্ন বিষয় পড়াশুনা করি। আপনার লেখাটা আমাকে কিছু ব্যাপারে বুজতে সাহায্য করছে।
আমার কৃতজ্ঞতা।
কিছুদিন আগে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আমি একটি লেখা দিয়েছিলাম অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করীর মত "বিড়ালটি বেচে আছে আবার মরে গেছেঃ শ্রোয়েডিংগারের সংকট" নামে।
এই ধরনের লেখা আরো চাই। ভালো থাকুন ভাই।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩১
এম হুসাইন বলেছেন: লজ্জায় ফেলে দিলেন ভাই, এই অধমের থেকে কেউ উপকৃত হতে পারবে বলে মনে হয় না।
আপনার লেখা অবশ্যই সময় করে পড়ে আসব।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন আপনিও।
১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
যোগী বলেছেন: ঐ মিয়া প্রশ্নটা আমি আগে করছি!!!!!
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
এম হুসাইন বলেছেন: কারেন্ট রিসার্চ ফিল্ড জানতে পারলেন আর এইটুকু বাকি রাখলেন কেন?
কিছুই করছি না, কোয়ান্টাম ফিজিক্স আমার নেশা, আর বর্তমানে গুগলে কিছু টুকটাক কাজ করি, তাও পার্ট টাইম---
এইবার আপনেরটা কন মিয়া
১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
যোগী বলেছেন: মেশিন লার্নিং
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
এম হুসাইন বলেছেন:
গুড বয়।
২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
বইয়ের পোকা বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোয়ান্টাম ফিজিক্স আমার নেশা
শুনে ভালো লাগলো, এমন কঠিন বিষয়ে নেশা। কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে কোনো কিছু পড়তে গেলে আমার মাথা আউলাইয়া যায়, তবু ভালোই লাগে। পোস্ট চমৎকার হয়েছে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
এম হুসাইন বলেছেন:
কেন কেন মাথা আউলাইবো কেন? কত্ত মজাদার এই ফিজিক্স-------
পোস্ট ভাললাগার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ বইয়ের পোকা
শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকুন।
২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: হ্যা বুঝেছি আমি।
থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ!
আমার প্রশ্ন এতো যত্ন করে উত্তর দিবেন ভাবিনি।
অনেক খুশি হয়েছি।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৫১
এম হুসাইন বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা যে কিছুটা হলেও বুঝাতে পেরেছি----
ভালো থাকবেন।
২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন:
How come I did not see this excellent post. Though I am in the area of biotechnology....... obsessed with E=mc2
"সব চেয়ে উপরে অর্থাৎ স্পেস বা মহাশূন্যে এই অভিকর্ষ বলে হয় "0 (জিরো)। "
I understand that gravity is in the space. We see weightlessness in the space because of the free fall condition of the rocket. Gravity pull between sun and earth, between moon and earth is in existence..............
May be I am defining 'space' in a narrow term
Can you comment and enlighten us..............
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৭
এম হুসাইন বলেছেন: There is gravity, but it is a weak force and you can't feel it. If you were in a ship in space, something would be acting on you gravitationally. But it's acting on you and the ship equally, so you don't sink to the floor.
The story goes that a painter once fell off the roof of a tall building which he was painting. Fortunately, he survived the fall and latter told reporters how strange he felt while falling. He said that he did not FEEL gravity pulling him down, that, in fact, he felt weightless while falling.
When Einstein read the story he asked the same question you are asking. How could this be? The detailed answer he developed is called GR.
The modern view of gravity is this. A large mass does not directly pull other masses to itself. Thus, astronauts, or a photon, or a falling painter do not experience a force pulling them towards the Earth. Rather, a mass (and energy also) curve the spacetime surrounding it. Anything travelling through that area of spacetime therefore does not go in a "straight" line, but only the "straightest" line it can. In the case of the falling painter, that line led to the ground. In the case of orbiting bodies, that line is a 4-d spiral. In the case of the photon, the line is usually only slightly bent.
On the other hand, it can be discrived like that-
There is gravity in space, but it is very weak. Gravity is inversely proportional to the square of the distance between masses. This means that if you double your distance from the center of Earth, you will feel 1/4 as much force due to gravity.
Gravity is everywhere. Although its strenght decreases severly with distance. So in space, far away for any planet or star, gravity is so weak that people (and ojects) can float
Though im not happy yet, bcz may be im failed to answer your question as u expected.......
A great deal of thanks for asking something bro.....
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯
এম হুসাইন বলেছেন: And you are studying Biotechnology? ur just fantastic....... as ur field.....
Best of luck for you.... Cool nd thanks agian...
২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক আগ্রহ পাই এই বিষয়ে পড়তে জানতে, প্রিয়তে রাখলাম ভাই। পড়ে আলোচনা করবো।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯
এম হুসাইন বলেছেন: জেনে ভালোলাগলো ভাই। প্রিয়তে নিয়ে তো আরও লজ্জা দিলেন...
প্রো পিকটা কিন্তু দারুন!
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো।
২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: Thanks for your detailed description. Falling elevator and you are within the elevator case...........
Anyway, gravity as I read is the curvature of the space that is shaped by a heavy object like earth....... putting a ball on a table cloth makes curvature that pulles anything put on the edge of the cloth 'travels' towards ball along the curved shape of the 'fabric' or I mean the space..
I like your detailed answers and post and keep on posting such posts..... you shine light......
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
এম হুসাইন বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা।
ভালো থাকুন, নিরন্তর।
২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
কলাবাগান১ বলেছেন: I like your detailed answers and the post itself. Keep on posting such materials..... you shine light on our 'ignorant' mind......
আলোকিত মানুষের বড়ই অভাব.........।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩২
এম হুসাইন বলেছেন: আবারো কৃতজ্ঞতা জানালাম।
আর এইবার একটু বেশিই বলে ফেলেছেন, আমি কিন্তু কিছুই জানি না। এই শখের বসে এক দুই লাইন আবুল তাবুল আর কি.........
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্যে।
বেষ্ট অব লাক।
২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২০
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: ফোটোন=পরমানু, কোথায় পাইছেন?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৪
এম হুসাইন বলেছেন: মাইক্রোওয়েভ ও কিন্তু একপ্রকার আলো, এবং একপ্রকার কণা দিয়ে তৈরি যার নাম- "ফোটন "
আমি কিন্তু আলো ও কণা দুটি শব্দই উল্লেখ করেছি।
এর পরেও না বুঝলে ৯ নং কমেন্টের উত্তর দ্রষ্টব্য।
ধন্যবাদ।
২৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৮
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আপনার মাথায় ঢোকে না অনু (molecule), পরমাণু (Atom), কণা (Particle), তরংগ (Wave) ভিন্ন ভিন্ন জিনিস.
পরমাণু ভেংগে Particle বের হয় ( আলফা, বেটা গামা আরও অন্যান্য), সাথে কিছু ফোটোনও বের হয় যার কণা আর তরংগ উভয় ধর্মই আছে, আর তা ১০ বছর আগে থেকেই জানি, আর এখন সম্মান শ্রেণীর গরু গাধা গুলারে গুলে খাওয়াতে হয়।
এখন আপনি Particle এর বাংলা যদি 'পরমাণু' করেন, তাহলেতো হবে না।
আপনার গ্রাডুয়েশন কোন বিষয়ে জানার ইচ্ছা রাখি।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬
এম হুসাইন বলেছেন: আফসোস, আজ নতুন করে আপনার কাছ থেকে অনু (molecule), পরমাণু (Atom), কণা (Particle), তরংগ (Wave) এগুলোর নাম শিখতে হচ্ছে। কই যে যাই আমি......
আমাকে উত্তর দেন কি কেন?
আবার প্রশ্ন করি-
ফোটন কে কি বলেন আপনি? পরমাণু? পার্টিকল? তরঙ্গ? শক্তি? ওয়েভ?
কোনটা?
ফোটন কে আমি কণা (আচরনগত ভাবে) বুঝাতে পরমাণু বলে ফেলেছি, এই হলো লাউ এর নাম কদু।
এখন বলেন ফোটন কে কি বলে আপনি চিনেন? কণা না ওয়েভ?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
এম হুসাইন বলেছেন: পোস্টের একবারে শেষে দেখেন লেখা আছে- (ঘুম আইতাছে না, তাই এই আকাম করতাসি বইস্যা বইস্যা)
তাই কণা আর পরমাণু এক কৈরা ফালাইছিলাম।
ধন্যবাদ।
২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৮
বোকামন বলেছেন:
পোস্টের চাইতে মন্তব্যে বেশী কিছু ! ! ! আলোকিত মানুষ .....
(কোয়ান্টাম জু: টুরিষ্ট .... পড়েছেন নিশ্চয়ই ...)
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৩
এম হুসাইন বলেছেন: আলোকিত মানুষ .....
............ গাইড টু দা নেভারএন্ডিং ইউনিভার্স............
শেষ করার সময় পাই নি......
২৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩১
বোকামন বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় লেখক,
আমার মন্তব্যে কী দু:খ পেলেন ... !
আপনার পোস্ট পড়ে আপনাকে তাই মনে হয়েছে ....
এজন্য লিখে ফেলেছিলাম
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
এম হুসাইন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় বোকামন,
আমি মোটেও দুঃখ পাই নি,
আসলে আলকিত মানুষ বলায় লজ্জা পেয়েছি,
এই কথা টা আমার বেলায় প্রয়োগ করে শুধু কথাটার অবমাননা হলো আর কি........
আমি এর ধারে কাছেও না......
অসংখ্য অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকুন।
৩০| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:১২
অনিক চক্রবর্তী বলেছেন: এম হুসাইন ব্রো একটা প্রশ্নন করতে চাইতেসি, যদিও পোস্ট রিলেটেড কোনো প্রশ্ন নয় তবে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিষয়ক হওয়ায় করতেসি:: আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্বে বলেছেন, কোনো বস্তু যদি আলোর গতিতে চলে তবে তার ভর হবে শুন্যের কাছাকাছি এবং দৈর্ঘ্য হবে অসীম। এক্ষেত্রে আলোর গতিতে চলমান বস্তুটিও কি আলোতে(শক্তিতে) পরিণত হবে? যেহেতু, আলোর ভর শুন্যের কাছাকাছি এবং আলোক রশ্মির দৈর্ঘ্য অসীম। যদি বস্তুটি আলোতে পরিণত হয়, তবে কি আমাদের দৃশ্যমান আলোক রশ্মিগুলো আগে অন্য কোনো বস্তু ছিল? একটি আলোক রশ্মির বেগ যদি কমিয়ে দেওয়া যায় তবে কি আলোক রশ্মি আবার পূর্বেকার সেই অবস্থা ফিরে পাবে?
বিঃদ্রঃ আমি এই বিষয়ে অবুঝ। তাই যদি কোনো ভুল প্রশ্ন করে থাকি তবে ক্ষমা করবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
যোগী বলেছেন: বস, ফোটন ইজ এ মাসলেশ পার্টিকেল বাট ইট হ্যাজ মোমেন্টাম! আজিব
আমার দৌড় এই পর্যন্ত