নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেন পাথরের চোখে সানগ্লাস...

আমি অবিশ্বাসী দেবতারে লাথি দিয়ে করি বিশ্বাসী কুকুরের পদচুম্বন! --------------------------- Nobody remains virgin, life f**ks everyone... !

এম হুসাইন

সূর্য যখন জাগায় ভুবন, পাখির শিষে ভোঁর, আমার কেন উদাস দুপুর, বিরহী প্রহর...! © All written articles are subject to copyright. আমার অনুমতি ব্যথিত লেখার কোন অংশ বা সম্পূর্ণ লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। ----ব্লগের বয়স এক বছর দেখালেও নিয়মিত হয়েছি এই জানুয়ারি থেকে।

এম হুসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্ল্যাক হোল ও হকিং রেডিয়েশনঃ এত দিন আমরা যা জানতাম সব কি তাহলে ভুল?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

ব্ল্যাক হোল থেকে কোন কিছু বের হতে পারে না, এমনকি লাইটও। এটাই চিরায়ত পদার্থবিদ্যার স্বীকার্য। তবে এই নীতিকে আর মানতে পারছেন না গবেষকরা, যাদের কাতারে প্রথমে আছেন " ব্রিটিশ পদার্থবিদ প্রোফেসর স্টিফেন হকিং ( Stephen Hawking), এই তত্ত্বকে আরও শক্তিশালী করেছেন মার্কিন পদার্থবিদ " এডওয়ার্ড উইটেন (Edward Witten)"।



ব্লাক হোলের প্রাথমিক ধারনা সম্পর্কে জানতে আমার আগের পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার দরকার নেই, এখানেই আবার পুরোটা তুলে দিলাম।



ব্ল্যাক হোল কি?



এমন কিছু তারকা বা নক্ষত্র আছে, যাদের অস্বাভাবিক আকার, ভর ও ঘনত্ব থাকে, আর এর জন্যে এই সব তারকা থেকে নির্গত আলো বাইরে আসতে পারে না বলে তারকা টি কে কালো দেখায় বলে আমরা একে কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাক হোল বলে চিনি।







সহজ ভাষায় বলতে গেলে - যখন একটি তারকার জীবনকাল শেষ হয়ে যায়, সেই মুহূর্তে তার অভিকর্ষ শক্তি এতই প্রবল হয় যে আলো ওখান থেকে বের হতে পারে না। এই অভিকর্ষীয় শক্তির প্রভাবে বস্তু বা ম্যাটার অই জায়গায় খুব সংকুচিত হয়ে একটি ক্ষুদ্র ভাবে অবস্থান করে!



পবিত্র কুরআন বলে- " فَإِذَا النُّجُومُ طُمِسَتْ"



- "অতঃপর যখন নক্ষত্রসমূহ আলোহীন হবে/ হয়ে পড়বে - Then when the stars will lose their lights"

- [আল - কুরআন- সূরা ৭৭; ৮]



আর এই ঘটনা তখনই ঘটে যখন একটি তারকার জীবন কাল অর্থাৎ তার নির্দিষ্ট জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। অস্বাভাবিক রকম ভরের কারনে মহাশূন্যে টিকে থাকতে তাকে অনেক বেশি উজ্জল হতে হয়, যার ফলে তার আভ্যন্তরীণ হাইড্রোজেন জ্বালানিও দ্রুত ফুরিয়ে যায়- আর এই ঔজ্জল্যতা কে আল কুরআন এ বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে-

* وَالسَّمَاء وَالطَّارِقِ * وَمَا أَدْرَاكَ مَا الطَّارِقُ * النَّجْمُ الثَّاقِبُ *



- * [s u]শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর। * আপনি জানেন , যে রাত্রিতে আসে সেটা কি? * সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

- (By the heaven and the Tarik * Ah, what will tell thee what the Tarik is! * The piercing Star!) (Al- Quran 86:1-3)

- [আল-কুরআন সূরা- ৮৬, আয়াত- ১-৩]



একটি তারকা উজ্জল রুপ তখনই লাভ করে যখন তার জীবনকাল শেষ হয়ে যায়।



যাইহোক, যেহেতু অই জায়গা থেকে কোন আলো বের হতে পারে না, তাই আমরাও ব্ল্যাক হোল কে দেখতে পারি না। তা অদৃশ্য। কিছু বিশেষ স্পেস টেলিস্কোপ ব্ল্যাক হোল কে খুঁজে বের করতে পারে। যখন কোন তারকা এমন ভাবে আচরন করে অর্থাৎ তার আয়ুকাল শেষ হয়ে আসে এবং ব্ল্যাক হলে পরিনত হতে যাচ্ছে, তখন এই বিশেষ যন্ত্রপাতি সম্বলিত টেলিস্কোপ তাকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।



কতো বড় এই ব্ল্যাক হোল?



ব্ল্যাক হোল ছোট হতে পারে আবার বড়ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষুদ্রতম ব্ল্যাক হোল একটি পরমাণুর সমান হতে পারে। এই জাতিও ব্ল্যাক হোল গুলো অনেক ক্ষুদ্র কিন্তু তাদের এক একটার ভর হতে পারে বিশাল কোন পর্বতের সমান। ভর হচ্ছে বস্তুর পরিমান অথবা একটি অবজেক্ট এ অবস্থিত মোট পদার্থ বা বস্তুর উপাদান।







অন্য এক ধরনের ব্ল্যাক হোল কে বলা হয় "স্টেলার" বা "নাক্ষত্রিক";

এর ভর আমাদের সূর্যের ভর এর চেয়েও ২০ গুন বেশি হতে পারে। খুব সম্ভবত অনেক অনেক বেশি ভরের ও নক্ষত্র রয়েছে পৃথিবীর ছায়াপথে। আর পৃথিবীর এই ছায়াপথ কে বলা হয় "মিল্কি ওয়ে"।সব চেয়ে বৃহৎ ব্ল্যাক হোল কে বলা হয় "সুপারমেসিভ";

এই জাতিয় ব্ল্যাক হলের ভর হয় ১ বিলিয়ন সূর্যের ভর এর ও অধিক। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে প্রতি টি বৃহৎ গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের কেন্দ্রে এই রকম একটি সুপারমেসিভ ব্ল্যাক হোল থাকে। আর যে সব ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলে এই ব্ল্যাক হোল থাকে তাকে বলা হয় "Sagittarius A" । এর ভর প্রায় ৪ বিলিয়ন সূর্যের ভরের সমান এবং একে একটি সুবিশাল বল এর ভিতর সেট করা যাবে, এমন বল যা প্রায় আমাদের পৃথিবীর মতো কয়েক মিলিয়ন প্রিথিবি ধারন করতে সক্ষম।



ব্ল্যাক হোল-এর জন্মঃ



বিজ্ঞানিদের মতে- সব চেয়ে ছোট ব্ল্যাক হোল টির জন্ম ঠিক এই মহাবিশ্বের জন্মের সময়।আর স্টেলার ব্ল্যাক হোলের গঠিত হয়ে যখন বিশাল একটি তারকার কেন্দ্র নিজে থেকেই তার উপর পতিত হয় বা আপনা আপনি সঙ্কুচিত হতে থাকে। আর এই পর্যায়ে তার থেকে জন্ম নেয় "সুপারনোভা"। "সুপারনোভা" হলো বিস্ফোরিত তারার একটি অংশ যা মহাশূন্যে ভেঙ্গে পড়ে।







আর সহজ করে বলি- একটি নক্ষত্রের নির্দিষ্ট জালানি নিঃশেষ হয়ে গেলে এর মৃত্যু ঘটে। যতক্ষণ পর্যন্ত এর আভ্যন্ত্যরিন হাইড্রোজেন গ্যাস অবশিষ্ট থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর ভিতরে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া চলতে থাকে। হাইড্রোজেন শেষ হয়ে গেলে এর কেন্দ্রিও মূল বস্তু সঙ্কুচিত হতে থাকে। কিন্তু এর বাহ্যিক অংশ তখনও প্রসারিত হতে থাকে। এমন পর্যায়ে যখন নক্ষত্রটির ভর পাঁচ সৌর ভর এর মধ্যে থাকে, তখন সঙ্কোচন এর সময় এর বহিঃস্থ আস্তরন ছুড়ে ফেলে অত্তাধিক উজ্জ্বল হয়ে উঠে। যাকে আমরা "সুপারনোভা" বলে চিনি। ধারনা করা হয়- ছাপথের জন্মের সময় এই সুপারনোভার সৃষ্টি।



ব্ল্যাক হোল যদি ব্ল্যাক অর্থাৎ কালো হয়, তাহলে বিজ্ঞানিরা কিভাবে তা দেখতে পান?



সাধারন ভাবে একটি ব্ল্যাক হোল কে দেখা প্রায় অসম্ভব কারন এর অতি শক্তিশালী অভিকর্ষীয় শক্তি এর সব টুকু আলো এর কেন্দ্রের দিকে টানে। কিন্তু এর আসেপাশের তারকা এবং গ্যাস কিভাবে এর দ্বারা প্রভাবিত হয় বা হচ্ছে বিজ্ঞানীরা এটা দেখতে পারেন। যে সব তারকারা ব্ল্যাক হোল কে ঘিরে উড্ডয়মান অথবা ঘূর্ণ্যমান, গবেষক রা সেই সব তারকাদের উপর স্টাডি করতে পারেন। যখন একটি ব্ল্যাক হোল ও তারকা পরস্পরের খুব কাছাকাছি আসে, তখন অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আলো উৎপন্ন হয়। এই ধরনের আলো মানব চক্ষে দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট এবং কিছু বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন এই উচ্চ ক্ষমতার আলো কে পর্যবেক্ষণ করতে।



ব্ল্যাক হোল কি পৃথিবী তে বিপর্যয় বা ধ্বংস সৃষ্টি করতে পারে?



ব্ল্যাক হোল মোটেও স্পেস বা মহাশুন্যের এতোটা কাছে ভ্রমন করে না কোন তারকা, চাঁদ বা গ্রহ কে তার শিকার বানাতে। আর পৃথিবীও কোন দিন ব্ল্যাক হলে গিয়ে পতিত হবে না কারন, কোন ব্ল্যাক হোল কিন্তু পৃথিবীর সৌরজগতের এত টা কাছাকাছি নয়। যদি একটি সূর্যের সমান ভরের একটি ব্ল্যাক হোল সূর্যের জায়গায় প্রতিস্তাপিত হয়, তবুও নয়। কোন কোন ব্ল্যাক হলের ভর সূর্যের সমতুল্য হতে পারে। তখনও কিন্তু পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ গুলো ও কিন্তু ওই ব্ল্যাক হলে কে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান থাকবে, যেমন টা থাকতো পৃথিবী কে কেন্দ্র করে। আর সব চেয়ে মজার কথা হল, আমাদের সূর্য কিন্তু কখনই একটি ব্ল্যাক হলে পরিণত হবে না। কেন?কারন সূর্য তত টা বিশাল নয় যত টা প্রয়োজন হয় একটি তারকার ব্ল্যাক হলে পরিণত হতে।



সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে- ব্লাক হোল থেকে কোন কিছুই বের হতে পারে না, এমনকি আলোও। কিন্তু "কোয়ান্টাম মেকানিক্সের" তত্ত্ব অনুসারে, এই তত্ত্বকে এখন বিজ্ঞানীরা আর মানতে পারছেন না।



চিরায়ত পদার্থবিদ্যার মতে- ব্লাক হোল হলো অবিশ্বাস্য ঘনত্বপূর্ণ, যেখানে স্থান ও কাল অর্থাৎ স্পেস ও টাইম এতই ছোট যে কোনকিছুই তার অভিকর্ষ শক্তি অতিক্রম করতে পারে না।

কিন্তু এখন এই তত্ত্বের সাতে বিতর্কিত রুপে উপস্থিত হয়েছে "কোয়ান্টাম মেকানিক্স", যা মহাবিশ্বের সকল অতিপারমাণবিক বস্তুর ব্যাখ্যা করে।



ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সের তত্ত্ব মতে এবং সর্বজন স্বীকৃত ভাবে ব্লাক হোল- এর নিকটবর্তী সব কিছুকেই শোষণ করে নেয়, কিন্তু তা যে কোন সময় নিঃসরণ করতে পারে না। কিন্তু এইখানেই বিতর্ক দেখা দেয় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সাতে।



কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মতে- যদি একটি ক্রিয়া সম্ভব হয়, তবে তার প্রতিক্রিয়া সম্ভব। " এডওয়ার্ড উইটেন" ব্যাখ্যা করেন। প্রক্রিয়া আসলে বিপরীত ভাবে হতে পারে। এইভাবে যে- যদি একজন মানুষ ব্লাক হোল ধারা শোষিত হতে পারেন একটি কিঞ্চিৎ বড় ব্লাক হোল সৃষ্টি করতে, তবে একটি বৃহৎ ব্লাক হোলও একজন মানুষ কে উধগিরন করে ছোট ব্লাক হলে পরিণত হতে পারে। যদিও এই পর্যন্ত ব্লাক হোল থেকে কোন কিছুই মুক্তি পেতে পারে না বলেই প্রচলিত।

এই উভয়সঙ্কট নিরসনে, পদার্থবিদগণ এন্ট্রপি তত্ত্বে নজর দিচ্ছেন। থার্মোডায়নামিক্স এর সূত্রমতে- অতিপারমাণবিক বিশ্বে, মহাবিশ্বের এন্ট্রপি হ্রাস করা অসম্ভব- যা সুধু বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি ব্লাক হলে পতিত হয়, তবে এন্ট্রপি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। আর যদি অই ব্যাক্তি তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তবে এন্ট্রপি হ্রাস হওয়ারই কথা। একই ভাবে- একটি কাপ থেকে পানি মাটিতে ছিটকে পড়তে পারে, কখনই মাটি থেকে পানি কাপে উঠবে না।

দেখা যাচ্ছে এই মূলনীতি ব্যাখ্যা করে যে, ব্লাক হলে পতিত একটি বস্তু কেন সংরক্ষিত থাকার কথা নয়, এখন পর্যন্ত যা শুধুমাত্র আণুবীক্ষণিক ভাবেই গ্রহণযোগ্য।



"স্টিফেন হকিং" এই ঘটনা আণুবীক্ষণিক ও কোয়ান্টাম মাত্রায় অনুধাবন করেন যে- "বস্তু ব্লাক হোল থেকে মুক্তি পেতে পারে" । তিনি দাবি করেন ব্লাক হোল অবিরত ভাবে পার্টিকল নিঃসরণ করতে পারে, যা তিনি একটি সমীকরণেও ব্যাখ্যা করেছেন- যার নাম দেয়া হয়েছে "হকিং রেডিয়েশন (Hawking radiation)"

তাসত্ত্বেও, একটি ব্লাক হোল কখনই একজন নভোচারী অথবা একটি চেয়ার কে নিঃসরণ করবে না, বাস্তবে, ইহা শুধুমাত্র সাধারন কিছু পার্টিকল যেমন- পরমাণু ই নিঃসরণ করতে পারে- বললেন - "উইটেন"



যাইহোক, গবেষকরা এখন হকিং রেডিয়েশন পর্যবেক্ষণে ব্যস্থ।

ইনশাল্লাহ আগামী পর্বে "হকিং রেডিয়েশন" নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো ।







-------------------------------------------------------------------------



নববর্ষের অফুরন্ত শুভেচ্ছা সকল কে।

ভালো থাকা হোক, নিরন্তর।

মন্তব্য ১০৭ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১০৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মাহমুদুল হাসান (সুমন)। বলেছেন: ভাই জান কি ইসলামের আলোকে বিজ্ঞান ব্যাখা করছেন ... =p~

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২২

এম হুসাইন বলেছেন: :) জী জনাব, সিদ্ধান্ত নিছি এখন ইসলামের আলোকেই বিজ্ঞান ব্যাখা করবো...... যা দিনকাল পড়ছে...... =p~ =p~ =p~

মানুষ ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায় #:-S B-) B-) B-)

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মানুষ ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালালেও খুব বেশী দিন টিকতে পারবেনা।

যাই হোক আপনার প্রচেষ্টা সফল হোক।

পোস্টে অনেক ভাল লাগা এবং প্রিয়তে নিয়ে সাজালাম।

+++++++++++

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

এম হুসাইন বলেছেন: ব্লগার মানেই তো নাস্তিক ভাই, ব্লগ হলো পশ্চিমা অপ(!) সংস্কৃতি!

যা ইসলামে হারাম!!!!!!! আর এই ব্লগাররা ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়????
ছিঃ ছিঃ ছিঃ =p~ =p~ =p~ B-)




+ এর জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা ভাই।
ভালো থাকুন।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: খাইচে রে ......

শেষে আপনিও ধর্ম নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিলেন । =p~ =p~ View this link

যাই হোক খুব সহজ ভাষায় লিখেছেন ।চলুক ।+++

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২২

এম হুসাইন বলেছেন: হাহাহা, টানাটানি না বেরাদার...... ব্লগাররাও যে কুরআন চিনে তার একটু প্রকাশ আর কি......


+ এর জন্যে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

ইলুসন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

ব্ল্যাক হোল মোটেও স্পেস বা মহাশুন্যে ভ্রমন করে না কোন তারকা, চাঁদবা গ্রহ কে তার শিকার বানাতে।

এই লাইনটাতে মনে হয় ভাষাগত ত্রুটি আছে, তাই বুঝতে পারছি না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ, ঠিক করে দিলাম।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

এম হুসাইন বলেছেন: অনেক আগের স্টাডি, আর এখন ঘুম ঘুম চোখ লিখতে গিয়ে কি না কি লিখছি......

Black holes do not go around in space eating stars, moons and planets. Earth will not fall into a black hole because no black hole is close enough to the solar system for Earth to do that.

এইটা হলো ওরিজিনাল থিওরিতে ।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

ত্রিভকাল বলেছেন: ভাইজান, সূরা মুরসালাত এর ৫নং আয়াত থেকে আমি আপনাকে ১৫ নং আয়াত পর্যন্ত আমি নিচে তুলে দিলাম। তারপর আমার একটা জিজ্ঞাসা রয়েছে আপনার কাছে।

فَٱلۡمُلۡقِيَـٰتِ ذِكۡرًا (٥) عُذۡرًا أَوۡ نُذۡرًا (٦) إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَٲقِعٌ۬ (٧) فَإِذَا ٱلنُّجُومُ طُمِسَتۡ (٨) وَإِذَا ٱلسَّمَآءُ فُرِجَتۡ (٩) وَإِذَا ٱلۡجِبَالُ نُسِفَتۡ (١٠) وَإِذَا ٱلرُّسُلُ أُقِّتَتۡ (١١) لِأَىِّ يَوۡمٍ أُجِّلَتۡ (١٢) لِيَوۡمِ ٱلۡفَصۡلِ (١٣) وَمَآ أَدۡرَٮٰكَ مَا يَوۡمُ ٱلۡفَصۡلِ (١٤) وَيۡلٌ۬ يَوۡمَٮِٕذٍ۬ لِّلۡمُكَذِّبِينَ (١٥)

এখানে ৮নং আয়াতে, ""অতঃপর যখন নক্ষত্রসমূহ আলোহীন হয়ে পড়ে - Then when the stars lose their lights" বলে নাই বরং বলেছে "যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত হইবে-Then when the stars become dim"

আর তা আমরা এর পরবর্তী আয়াত গুলোর অর্থ দেখলেই বুঝতে পারবো।
৯। যখন আকাশ বিদীর্ণ হইবে
১০। এবং যখন পর্বতমালা উন্মুলিত ও বিক্ষিপ্ত হইবে
১১। এবং রসূলগণকে নিরূপিত সময়ে উপস্থিত করা হইবে,
১২। এই সমূদয় স্থগিত রাখা হইয়াছে কোন দিবসের জন্য ?
১৩। বিচার দিবসের জন্য।

এবার বলেন আপনার দেওয়া ব্যাখ্যার সাথে কি ১২ নং আয়াত যায় ?

যাইহোক ব্ল্যাকহোল নিয়ে ভালো লিখেছেন, তাই প্লাস দিতে ভুলবো না। আর পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো থাকবে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

এম হুসাইন বলেছেন: ভাইজান,ওটা ভাষাগত ত্রুটি। "হয়" না হয়ে "হবে" হওয়ার কথা ছিল।

আর আপনার ১২ নং আয়াত যাবে কিভাবে?
এই সব ১ সপ্তাহ আর ১ মাসে ঘটবে না।

কি ভাবে ঘটবে তা পরের পোস্টে ব্যাখা করবো, পড়ার আমন্ত্রন রইলো।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

এই আমি রবীন বলেছেন: ভাল লাগল, চালিয়ে যান!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
ভালো থাকুন।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

অজানা এক আমি বলেছেন: খাইসে রে!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

এম হুসাইন বলেছেন: কেডা? ব্ল্যাক হোল? কি খাইসে?

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:

অসাধারণ পোষ্ট +++

অনেক গুছানো ও সাবলীলভাবে লিখেছেন। এমন লিখা সবসময় চাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

ভালো থাকুন, নিরন্তর।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

এস বাসার বলেছেন: ভালো লাগলো। প্রিয়তে।


অট: ধর্মীয় ক্যাচাল এতটাই বেড়ে গেছে যে, ব্লগে কোন পোস্টে কমেন্ট করতেও ইচ্ছে করে না। অবশ্য পড়িও অনেক কম!

পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

এম হুসাইন বলেছেন: ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালাই...... কেচাল হইব না???


এই পোস্ট লিখেছি প্রচন্ড ঘুম ঘুম চোখে...... তাই......


ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
ভালো থাকুন, নিরন্তর।

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: ভাই আপনে ইজ দা জিনিয়াস। GFএর লগে দিনে ১৪বার ঝগড়া বাদ দিয়া আমার প্রিয় টপিক মহাজাগতীক বিশ্ব নিয়া পড়া লেখা করেন এবং আমাদের জানান । আমিও এই টপিক নিয়া ঘাটাঘাটি পছন্দ করি ।
ভাল লাগল খুব ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪২

এম হুসাইন বলেছেন: :P :P :P :P :) :) =p~ GF টা কি ভাই? খায় না মাথায় দেয়?


ভালো লাগাতে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকুন।

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

পোস্টে +++++

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছি ....

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

এম হুসাইন বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

অরন্য জীবন বলেছেন: হোল সবসময় ব্ল্যাক হয় কেন ভাই????? :-P :-P

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

এম হুসাইন বলেছেন: ব্ল্যাক না, হোয়াইট ও হয়!!!! :P B-) ;)



১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪০

রিমন রনবীর বলেছেন: ব্ল্যাক হোল অনেক সুন্দর। কেউ না দেখলেও আমি স্বপ্নে দেখি :-0 :-0

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫০

এম হুসাইন বলেছেন: :) :) :) =p~ বেশি দেখা স্বাস্থ্যের জন্যে বিপদজনক হতে পারে।
সো খিয়াল কৈরা......

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৬

পেন্সিল চোর বলেছেন: ++++++++++++
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে আগেও জানতাম কিন্তু অনেক কিছুই অজানা ছিল যা আপনার পোস্ট পড়ে জানলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

এম হুসাইন বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া।


অনেক অনেক ভালো থাকুন।
শুভকামনা জানবেন।

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: ++

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

এম হুসাইন বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

অনেক অনেক শুভকামনা।
ভালো থাকুন, নিরন্তর।

১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৬

আশিক মাসুম বলেছেন: অসাধারন !!! পোস্ট প্রিয়তে , অনেক সময় নিয়ে পড়তে হবে ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৮

এম হুসাইন বলেছেন: হাহাহা, এইটা কোন পোস্ট হইল ভাইজান?



মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা।
ভালো থাকবেন কিন্তু।

১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩

বল্টু মিয়া বলেছেন: সূর্যের যায়গায় কোন ব্লাক হোল হলেও পৃথিবী ধ্বংস হবে না কেন এটা আরেকটু সহজ ভাষায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে পারবেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১১

এম হুসাইন বলেছেন: আমি কিন্তু ধংসের কথা বলি নি- খিয়াল কৈরা-

আমার কথা ছিল- ব্ল্যাক হোল মোটেও স্পেস বা মহাশুন্যের এতোটা কাছে ভ্রমন করে না কোন তারকা, চাঁদ বা গ্রহ কে তার শিকার বানাতে। আর পৃথিবীও কোন দিন ব্ল্যাক হলে গিয়ে পতিত হবে না কারন, কোন ব্ল্যাক হোল কিন্তু পৃথিবীর সৌরজগতের এত টা কাছাকাছি নয়। যদি একটি সূর্যের সমান ভরের একটি ব্ল্যাক হোল সূর্যের জায়গায় প্রতিস্তাপিত হয়, তবুও নয়। কোন কোন ব্ল্যাক হলের ভর সূর্যের সমতুল্য হতে পারে। তখনও কিন্তু পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ গুলো ও কিন্তু ওই ব্ল্যাক হলে কে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান থাকবে, যেমন টা থাকতো পৃথিবী কে কেন্দ্র করে।

তার মানে ব্ল্যাক হোল কোন কিছু শোষণ করতে হলে এর যতটা কাছাকাছি হওয়ার কথা, আমাদের এই গ্রহ মানে পৃথিবী তত কাছে নয় যে ব্ল্যাক হোল তাকে শোষে নেবে।

আর সূর্য কোন দিন ব্ল্যাক হলে পরিনত হবে না, তা হতে পারে একটি "রেড জায়ান্ট"।
কারন ব্ল্যাক হলে পরিনত হতে হলে যে ভর দরকার হয়, তার তুলনায় সূর্য অনেক কম। তাই সূর্য কখনই একটি নেবুলার মতো বিস্ফোরিতও হবে না। কারন সুপারনোভা হিসেবে বিস্ফোরিত হতে হলে একটি তারকার ভর কমপক্ষে ৮ সৌরভর এর বেশি হতে বা সমান হতে হয়, যার তুলনায় আমাদের সূর্য অনেক কম। তাই।

-------------------------------------------

আপনার ব্লগ পরতাম আগে অফ্লাইনে, আজ আমার ব্লগে আপনাকে দেখে খুশি হলাম।

শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকুন।

১৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

ম্যাভেরিক বলেছেন: পোস্টের শিরোনাম পড়ে ভাবলাম বিস্ময়কর নতুন কিছু আবিষ্কার হয়েছে বোধহয়, বিশেষ করে আপনি যেখানে লিখেছেন, "...তবে এই নীতিকে আর মানতে পারছেন না গবেষকরা, যাদের কাতারে প্রথমে আছেন " ব্রিটিশ পদার্থবিদ প্রোফেসর স্টিফেন হকিং ( Stephen Hawking),"।

কিন্তু প্রথম অনুচ্ছেদ ও বাকি পোস্ট পড়ে দেখলাম, আপনি আদতে ১৯৭৪-৭৫ সালের পুরোনো তাত্ত্বিক হকিং রেডিয়েশনের কথা বলছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, স্টিফেন হকিং রেডিয়েশনসংক্রান্ত তত্ত্ব দিলেও, তাঁর যুক্তি অনুযায়ী ব্ল্যাকহোলে পতিত information হারিয়ে যায়, ফলে উক্ত নির্গত রেডিয়েশনে যে information পাওয়া যায়, তা একেবারে নতুন, যার সঙ্গে পূর্বের হারিয়ে যাওয়া/পতিত তথ্যের কোনো মিল নেই। হকিং-এর এ যুক্তি কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের কার্য-কারণ নীতির বিরোধী, তারপরও হকিং ১৯৯৭ সালে তাঁর যুক্তির সপক্ষে বাজি ধরেছিলেন, তাত্ত্বিক পদার্থবিদ জন প্রেসকিলের বিপরীতে। ২০০৪ সালে হকিং বাজিতে হার মেনে নেন (হকিং অবশ্য এ পর্যন্ত তাঁর সব বাজিতেই হেরেছেন) এবং তাঁর পূর্বের ধারণা সংশোধিত আকারে প্রকাশ করেন। কিন্তু সংশোধিত যুক্তিও গ্রহণ করেননি জন প্রেসকিল! আপনার পোস্ট পড়ে পুরো ইতিহাসটির বিপরীত ধারণা গেঁথে যায় মনে।

হকিং আসলে প্রায়ই বিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞানের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন। বিজ্ঞানীদের আরও বেশি নৈর্ব্যক্তিক হওয়া উচিত, কারণ গাণিতিক হিসেব-নিকেশে শূন্য ও অসীমের বিভ্রান্তির ফলে নানারকম আজগুবি সমীকরণের জন্ম নেয়; এরূপ কোনো সমীকরণ প্রতিপাদন করার সঙ্গেসঙ্গেই তাকে বিজ্ঞান বিজ্ঞান বলে শোরগোল তোলা আদতে বিজ্ঞানের ক্ষতিই করে।

আপনার লেখা ভালো হচ্ছে, তবে তথ্যের ব্যাপারে পরিশ্রমী হতে হবে। এছাড়া তথ্যের সন্নিবেশটি যেন সাবলীল, সুন্দর ধারাবাহিক হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখবেন। অনেক অনেক শুভকামনা থাকল।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩২

এম হুসাইন বলেছেন: শিরোনামে যা বলেছি, তা নিয়ে মনে হয় খুব বেশি লেখালেখি হয় নি-

এর পরের প্যারাতে বলা আছে- ব্লাক হোলের প্রাথমিক ধারনা সম্পর্কে জানতে আমার আগের পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার দরকার নেই, এখানেই আবার পুরোটা তুলে দিলাম।

হকিং রেডিয়েশন নিয়ে একটা বিশাল পোস্ট খাড়া করেছিলাম কিন্তু ভাবলাম- আমার মতো মূর্খ পাব্লিকদের জন্যে প্রাথমিক ধারনাটা দেয়া জরুরি।

তাই ১৬৬৫ এর এই তত্ত্ব তুলে ধরা।

এখন আসা যাক হকিং রেডিয়েশনে-

হকিং রেডিয়েশন তত্ত্ব শুধুমাত্র হকিং এরই নয়, এই তত্ত্ব সম্মিলিত ভাবে স্টিফেন হকিং ও ইজ্রায়েলি পদার্থবিজ্ঞানী বেকেনস্টাইন এর তৈরি- যাকে বলে - "বেকেনস্টাইন- হকিং রেডিয়েশন"

যাদের আমরা আজকের দুনিয়ার প্রথম সারির বিজ্ঞানী বলে জানি।

আমি কিন্তু পোস্ট শেষ করি নি- বলেছি আগামি পর্বে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো
তখন হকিং এর সাতে প্রেসকিলের বিতর্কের তত্ত্ব অবশ্যই অবশ্যই তুলে ধরতাম।

আমার মতো মূর্খ যতদূর জানি- হকিং ঐ বিতর্কে পুরোপুরিভাবে হেরে জান নি- হকিং এর থিওরিকে প্রেসকিল চ্যালেঞ্জ করেছেন ঠিকই, এই ভাবে যে শেষ পর্যন্ত ম্যাটার কিন্ত ব্ল্যাক হলে হারিয়ে যায়।
এই তত্ত্বকে কেউই অস্বীকার করে নি, হকিংও না।

মিচিও কাকু তাকে বলেন এই ভাবে- যদিও হকিং রেডিয়েশন প্রাথমিক ভাবে প্রায় সকল সায়েন্টিফিক কমিউনিটিতেই গ্রহণযোগ্যতা পায়, কিন্তু কিছু বিতর্ক থেকেই গেছে। এই জন্যে যে- এর চূড়ান্ত ফলাফল হয় " পার্টিকল কিংবা ব্লাক হোলের লস্ট বা ক্ষয়ে যাওয়া", যা নিয়ে গবেষকরা কিছুটা দ্বিধাদন্ধে ভুগছেন।

হকিং এর মতে- শুন্যমাধ্যমে শক্তির এই অস্থিরতা অন্য কিছু পার্টিকল ও এন্টি-পার্টিকল তৈরি করে, আর যা "ভার্চুয়াল পার্টিকল" এর সৃষ্টির জন্যে দায়ি, আর তাই ব্লাক হোলের খুব কাছাকাছি অবস্তান করে। কিন্তু অন্য সবগুলো এন্টি-পার্টিকল মুক্তি পেলেও একটি পার্টিকল পড়ে যায় ব্লাক হোলে, পরস্পরের সাথে সংঘর্ষ করে ধ্বংস হওয়ার আগেই। ফলাফল, এই সময় কেউ ব্লাক হোল কে পর্যবেক্ষণ করলে মনে হবে যে এই মাত্র একটি এন্টি-পার্টিকলটি তা শোষণ করে নিলো। কিন্তু আদতে তা নয়।


যে পার্টিকলটি শোষিত হয়েছে তার চার্জ কিন্তু পজিটিভ অর্থাৎ ধনাত্মক, পার্টিকলটি যে ব্লাক হোলে শোষিত হয়েছে তার চার্জ ঋণাত্মক, যা বাইরের ইউনিভার্সেও বিদ্যমান। ফলাফল- ব্লাক হোল কার্যতঃ শক্তি হারাচ্ছে, E = mc² অনুসারে।

এই কথাটিই প্রেসকিল কে বুঝাতে পারেন নি হকিং। যার জন্যে তাদের পুরষ্কারও অনিশ্চিত হয়ে যায়।

যদি এই হকিং রেডিয়েশন সম্পূর্ণ ভাবে ভুল হতো, তবে এর নাম গন্ধ থাকার কথা না। মানুষ এর নাম শুনলে গালি দিতো-

মানলাম হকিং ভুল, তাই বাজি হেরেছেন, পুরষ্কারও পান নি,
প্রেসকিল কেন পুরষ্কার পান নি? তিনি যদি সঠিক ছিলেন?

আমার জানা মতে হকিং রেডিয়েশন নিয়েই এই সময় সব চেয়ে বেশি মাতামাতি চলছে-
এবং- হকিং কিন্তু দেখিয়েও দিয়েছেন গানিতিক সমীকরণ দিয়ে কিভাবে এই রেডিয়েশন নির্ভুল -

চলুন দেখে নেই তার সমীকরণ-

Calculating Hawking radiation;
এখন দেখা যাক একজোড়া ফোটন যখন একটি ব্লাক হোল থেকে কত টুকু শক্তি পেতে পারে-
হকিং রেডিয়েশনের মতে- যেকোনো ভাবে শক্তি কিন্তু ব্লাক হোল থেকে বাইরে আসার কথা, তবুও হকিং রেডিয়েশন কিন্তু মহাকর্ষ বলের উপর নির্ভর করার কথা।
যখন কোনকিছু অবিরত ( constantly) গতিশীল, উদাহরণস্বরূপ- অভিকর্ষ শক্তি দ্বারা, ইহা তখন স্বয়ংক্রিয় গতিশক্তি লাভ করে এবং যার সাপেক্ষে তা গতিশীল তার দূরত্ব ও ভরের সমানুপাতিক। এখন প্রশ্ন উঠে যে- একটি ভার্চুয়াল ফোটন কিভাবে তরান্বিত বা গতিপ্রাপ্ত হতে পারে, যদি তা সর্বদা আলোর গতিতে চলতে থাকে? প্রকৃতপক্ষে তা নয়, কিন্তু এদের কম্পাঙ্কই পরিবর্তিত হয়ে তাদের এই শক্তি দিচ্ছে।

E=mc^2 অনুসারে আমরা পাই-

যাকে আমরা পাই- E = m.a.d ------------------------- (1)
m= ভর
a= অভিকর্ষীয় ত্বরণ
d= যে দূরত্বে ভর (m) পতিত হয়।
এই ভর(m) হলো আমাদের ভার্চুয়াল ফোটনের ভর এবং দূরত্ব(d) একটি ভার্চুয়াল ফোটন তার জীবনকালে যত টুকু দূরত্ব অতিক্রম করে। যেহেতু ভার্চুয়াল ফোটনের লাইফটাইম অনেক ছোট, তাই এটি খুব বেশি ভ্রম করতে পারে না এই সময়ের মধ্যে (হলুদ আলোতে ২৪ ন্যানোমিটার একটি ভার্চুয়াল ফোটনের জন্যে); সতরাং আমরা মহাকর্ষকে ধ্রুবক ধরে হিসেব করলে দাড়ায়-

প্রথমত- ফোটন সর্বদা আলোর সমান বেগে চলে, সুতরাং একটি ভার্চুয়াল ফোটন তার লাইফতাইমের অতিক্রান্ত দূরত্ব আমরা এইভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি-
d= c.Δt

[ যেহেতু আমরা ভারচুয়াল্ম ফোটনের লাইফটাইম এরিমধ্যে হিসেব করে ফেলেছি- Δt]


একই ভাবে আমরা পাই-


এই মান সমীকরণ (১) এ বসালে-

-------- (২)

দ্বিতীয়ত- এখন নিউটনের মহাকর্ষীয় সুত্র ব্যাবহার করে এই মহাকর্ষীয় ত্বরণ হিসেব করি-


যেখানে-
F= মহাকর্ষীয় বল;
r= দুই বডির দূরত্ব;
G = মহাকর্ষীয় ধ্রুবক;

এদের একটি ভার্চুয়াল ফোটন ব্ল্যাক হলে পড়ে হকিং রেডিয়েশন তৈরি করতে, যা Schwarzschild radius ব্যাখ্যা করে এইভাবে-



সমীকরণ (২) এ বসিয়ে পাই-
--------- (৩)

তৃতীয়ত- এখন ভর হিসেব করা যাক-

আইনস্টাইনের E=mc^2 অনুসারে-
=> m= E/c^2
এখন একটি ফোটনের শক্তি-
E = hf

তাহলে এক জোড়া ফোটনের শক্তি- = E = 2hf

যা ভরে-শক্তি সমীকরণে বসিয়ে পাই-
m = E/c^2
=> m = 2hf/ c^2

সমীকরণ (৩) এ বসালে পাই-



এই হলো একটি ভার্চুয়াল ফোটনের শক্তি।

এক জোড়া ভার্চুয়াল ফোটন একটি বৃহৎ ব্ল্যাক হোল থেকে একটি ছোট ব্ল্যাক হলে বেশি শক্তি লাভ করে থাকে। যা আসলেই বিস্ময়কর।

আমার জানা মতে এই সমীকরণকে "সম্পূর্ণ ভুল" বলার সাহস কেউ পায় নি।

এখন আইনস্টাইন ও যদি একটা চোর হয়ে থাকে, তাহলে তার সকল সুত্রই ভুল হওয়ার কথা, মিথ্যা প্রতিপন্ন হওয়ার কথা তার আপেক্ষিকতা, মিথ্যে হয়ে যাওয়ার কথা অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইমে হকিং যে বক বক করেছে, সব কিছু।

আমার মনে হয়, এলান গুত ও একটা জোচ্চোর, কিনা কি স্ত্রিং থিওরি নিয়ে মাথা ঘামায়, এই সব গুলারে আমার পাগল লাগে।

আর মিচিও কাকু? ওটা তো জন্ম গত পাগল?

সব চেয়ে বড় পাগল জারা আইনস্টাইন আর হকিং কে বিজ্ঞানী বলে থাকে, কারন আজ পর্যন্ত তাদের কোন কিছুই কোন কাজের সুত্র বলে মনে হয় নি কারো।
যদিও এইসব আবোল তাবোল সুত্র আর তত্ত্ব ছাড়া আর কোন পাগলের তত্ত্বই স্থান পায় নি আজকের দুনিয়ার আলোচনায়। এ
আমাদের জন্যে এক চরম লজ্জা।

কিউ ই "অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম","দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন", কিংবা " ফটোইলেকট্রিক এফেক্ট" অথবা থিওরি অব রিলেটিভিটি'র মতো একটা বই কিংবা একটা একটা তত্ত্ব তুলে ধরল না, বলল না তোমরা এখন এই সব বস্থা-পচা-সস্থা আইনস্টাইন আর হকিং আর বেকেনস্টাইন কে বিনে ফেলো, এই নাও আমার থিওরি। ওটা নিয়ে মাথা ঘামাও।
আফসোস, কেউ বলল না।

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে আমি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। ঋণী হয়ে থাকলাম আপনার কাছে।

আর আমি আসলে চেষ্টা করি বিজ্ঞানের প্রাথমিক তত্ত্ব/ ধারনা কে প্রথমে স্থান দিয়ে, পরে ব্যাখ্যা, যুক্তি খণ্ডন, ভুল শুদ্ধ সবার কাছে তুলে ধরা, আমার মতো মূর্খের মতো করে আর কি।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা থাকলো আপনার জন্যেও।
ভালো থাকুন।

১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১১

একজন নিশাচর বলেছেন: শিরোনাম যাই হোক আমি এইটুকু পড়েই ভাল লেগেছে

....আর পৃথিবীও কোন দিন ব্ল্যাক হলে গিয়ে পতিত হবে না :P

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

এম হুসাইন বলেছেন: সব চেয়ে কাছের ব্ল্যাক পৃথিবী থেকে- ৩,৫০০ আলোকবর্ষ দূরে, আর পৃথিবীর মাথা খ্রাপ না হলে কোন দিন এতো কাছে গিয়ে ঐ ব্ল্যাক হোলকে হাই বলার সম্ভাবনাও নাই।

বুজা গেলু?

২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: ব্ল্যাক হোলের কাছাকাছি তো সময় স্লো হয়ে যায় (রিলেটিভ টু দি আর্থ টাইম)... বেড়িয়ে আসা যায় না ('অমর' হওয়ার জন্য)......

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

এম হুসাইন বলেছেন: ব্লাক হোল হলো অবিশ্বাস্য ঘনত্বপূর্ণ, যেখানে স্থান ও কাল অর্থাৎ স্পেস ও টাইম এতই ছোট যে কোনকিছুই তার অভিকর্ষ শক্তি অতিক্রম করতে পারে না।

তাহলে আপনি বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা করেন কিভাবে?
যেখানে ব্ল্যাক হোল তার কাছাকাছি সব কিছুকেই শোষণ করে নেয়...... 8-| :|| :||

২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: কথাটা বলেছি হাইপোথেটিক্যালি.....


বিশাল এই অভিকর্ষ ই তো সময়কেও 'থামিয়ে' দেয়

তাই আপনি যদি (বিশাল যদি) এর কাছাকাছি যান, তাহলে যখন পৃথিবীতে ১০০ বছর অতিক্রান্ত আপনার জন্য হয়ত ১ বছর পার হবে, ফিরত আসার পরে হয়ত আপনার আশে পাশের সবাই বুড়ো হয়ে....

সবই হাইপোথেটিক্যালি সম্ভব বলেই পড়েছি

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

এম হুসাইন বলেছেন: ওহ, আমি ভাবছি লেখায় কোন ভুল করলাম মনে হয় ......... :|| ;)

পৃথিবীর বাইরে সময় তো ধীরে চলে......



ধন্যবাদ ও শুভকামনা ব্রো।
আশা করছি ভালো আছেন...

২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

শের শায়রী বলেছেন: সালাম ভাই।

বিজ্ঞানের জটিল বিষয় গুলো ভাল লাগে না তাই সেগুলো সহজীকরন হলে আমার মত আমজনতা বুজতে পারে। আর আপনি সে কাজটি বেশ সাবলীল ভাবে করতে পারছেন।

আপনার পোষ্ট মানেই নতুন কিছু ব্যাপারে জানা

আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানুন

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩১

এম হুসাইন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাই।


হাহাহা, ভাই লজ্জা দিলেন......
আমি কিছুই জানি না, আপনাদের মতো কিছু প্রিয় ব্যাক্তিত কে দেখে দেখে এই একটু আদটু জগাখিচুড়ি আর কি... টাইম পাস বলতে পারেন......



মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ভাই।

শুভকামনা করছি।
ভালো থাকুন।

২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

খাটাস বলেছেন: ভাল লাগল। সব নেতা খেতারে ব্লাক হোলে ঢুকাইয়া দেয়া হোক। পোস্টে প্লাস

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

এম হুসাইন বলেছেন: সব নেতা খেতারে ব্লাক হোলে ঢুকাইয়া দেয়া হোক।


চমৎকার কথা বলেছেন তো, ওরা এখন আমাদের দেশের আবর্জনার মতো হয়ে গেছে, নুংরা করে ফেলছে আমাদের দেশটা কে।


লেখা ভালোলাগায় কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।
ভালো থাকুন।


২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৪

টনি বলেছেন: খুবই কঠিন বিষয়টিকে এত সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন ।আমার মত মেঙ্গো পিপল যাদের বিজ্ঞানের দৌড় ঐ নাইন-টেনের সাধারন বিজ্ঞান পর্যন্ত,তাদের জন্য এটি একটি দারুন ব্যাপার।বিজ্ঞানের ছাত্র না হলে কি হবে এ সর্ম্পকে জানতে ভাল লাগে।কিন্তু বিজ্ঞান মানেই অজ্ঞান এই কথাটি প্রায়ই প্রামাণিত হয় আমার ক্ষেত্রে :|| :||
যাইহোক, আপনার পোস্ট পড়ে ব্লাক হোল সর্ম্পকে কিছুটা ধারনা পাওয়া গেল।ভাইরে সত্যি বলতে কি প্রথমে ঠিক ছিল কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পর থেকে শেষ পর্যন্ত সবই মাথার উপর দিয়ে গেল :| :| :!> :!>


পরের পোস্টের অপেক্ষায়................পোস্টে প্লাস

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪২

এম হুসাইন বলেছেন: ।কিন্তু বিজ্ঞান মানেই অজ্ঞান এই কথাটি প্রায়ই প্রামাণিত হয় আমার ক্ষেত্রে- এ কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আপনি একটু গভির ভাবে মাথাটাকে খাটালেই সব কিছু বুঝতে পারে......

বিজ্ঞান এতো কঠিন কিছু না......

আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স তো আরও মজার...... পদার্থের অতিক্ষুদ্র আচরণ ব্যাখ্যা করে......

বিজ্ঞানের সাতে লেগে থাকার অনুরোধ করবো... মজা পাবেন......

শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন, নিরন্তর।

২৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭

ম্যাভেরিক বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যে। এ ধরণের আলোচনা ব্লগে বিজ্ঞানের প্রসারে ভূমিকা রাখবে। তবে নিজেকে মূর্খ বলে আমাকে উল্টো বিব্রত না করলে আরও ভালো লাগত আমার, কারণ বড় বিজ্ঞানীদের তত্ত্বমাত্রই অকাট্য, এ উপলব্ধিতে আত্মপ্রসাদে ভোগার অবকাশ নেই, বিশেষ করে যেসব তত্ত্ব এখনও পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়নি।

পোস্টের শিরোনাম, সূচনা, উপসংহার সবই হকিং রেডিয়েশনের উপর। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই এর উপরই মূলতঃ আলোকপাত করেছি।

আপনি বলেছেন, "আমার মতো মূর্খ যতদূর জানি- হকিং ঐ বিতর্কে পুরোপুরিভাবে হেরে জান নি- হকিং এর থিওরিকে প্রেসকিল চ্যালেঞ্জ করেছেন ঠিকই, এই ভাবে যে শেষ পর্যন্ত ম্যাটার কিন্ত ব্ল্যাক হলে হারিয়ে যায়। এই তত্ত্বকে কেউই অস্বীকার করে নি, হকিংও না।"

— আপনি আমার মন্তব্য ভালো করে পড়েননি। ম্যাটার ব্ল্যাকহোলে হারিয়ে যায় না কিংবা হকিং রেডিয়েশন ভুল, বাজির বিষয় এটি ছিল না। হকিং-এর যুক্তি ছিল, রেডিয়েশনের তথ্য একেবারেই নতুন, যার সঙ্গে পূর্বতন হারিয়ে যাওয়া তথ্যের সম্পর্ক নেই, অর্থাৎ এখানে cause-effect-এর ব্যাপার নেই। এ বাজিতে হার মেনে নিয়েছেন হকিং নিজেই, এর সঙ্গে হকিং-এর পুরো তত্ত্বকে স্বীকার/অস্বীকার এর সম্পর্ক নেই। প্রেসকিলও সঠিক কি না, এ বিষয়টিও মুখ্য নয়, কারণ যে জিনিস এখনও তাত্ত্বিক, পরীক্ষণে প্রমাণ হয়নি, তার পক্ষেও যেমন যুক্তি থাকে, বিপরীতেও যুক্তি থাকে। এতে কিছুই অকাট্য প্রমাণিত হয় না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে যুক্তিতে হার মেনে নিয়েছেন হকিং, সে যুক্তিও অনেকের কাছে জোরালো মনে হয়নি।

আপনি বলেছেন, "চলুন দেখে নেই তার সমীকরণ-
Calculating Hawking radiation; ..."

— এখানে আপনি বেশ কিছু হিসেব-নিকেশ তুলে ধরেছেন। সম্ভবতঃ আপনি কোথাও থেকে সরাসরি অনুবাদ করেছেন, কারণ দুয়েক জায়গায় বর্ণনা কেটে গিয়েছে, নানা ভুলভ্রান্তিও রয়েছে ধারণাগত। ফোটনের ভর বেগ ত্বরণ, কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিন্তু নিউটনিয়ান গ্র্যাভিটি, E=mc^2 এর বিভ্রান্ত প্রয়োগ, সব মিলিয়ে গাণিতিক বিশুদ্ধতার বিপরীতে একটা জগাখিচুড়ি হয়েছে, সমীকরণের উভয়পক্ষে শূন্য দিয়ে ভাগও চলে এসেছে এক জায়গায়। তাতে ক্ষেত্রবিশেষে চূড়ান্ত ফলাফল মিলতেও পারে, কিন্তু পদ্ধতি ভ্রান্ত। দায়টা অবশ্য আপনার নয়, যারা হিসবেটি করেছেন তাদের। আমি নিশ্চিত, হকিং এরকম বিভ্রান্ত গণিত করেননি।

আপনি বলেছেন, "এখন আইনস্টাইন ও যদি একটা চোর হয়ে থাকে, তাহলে তার সকল সুত্রই ভুল হওয়ার কথা, মিথ্যা প্রতিপন্ন হওয়ার কথা তার আপেক্ষিকতা, মিথ্যে হয়ে যাওয়ার কথা অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইমে হকিং যে বক বক করেছে, সব কিছু।"

— হঠাৎ করে এ প্রসঙ্গটি বুঝলাম না। তারপরও তর্ক, আবেগ বা অভিমানের খাতিরে আপনার সঙ্গে যদি ধরেও নেই আইনস্টাইন চুরি করেছেন, তাতে তাঁর সকল সূত্র ভুল বা শুদ্ধ হবার সম্পর্ক কী? ধরুন, পরীক্ষার হলে আপনার বন্ধু পেছন থেকে আপনার উত্তরপত্র দেখে দেখে পরীক্ষা দিয়ে A+ পেয়ে ফেলেছেন। এতে কী প্রমাণিত হয়, আপনার বন্ধু ভুল উত্তর লিখে এসেছিলেন?

আপনি বলেছেন, "সব চেয়ে বড় পাগল জারা আইনস্টাইন আর হকিং কে বিজ্ঞানী বলে থাকে, কারন আজ পর্যন্ত তাদের কোন কিছুই কোন কাজের সুত্র বলে মনে হয় নি কারো।
যদিও এইসব আবোল তাবোল সুত্র আর তত্ত্ব ছাড়া আর কোন পাগলের তত্ত্বই স্থান পায় নি আজকের দুনিয়ার আলোচনায়। এ
আমাদের জন্যে এক চরম লজ্জা।"

— সারা দুনিয়ায় আলোচনা করার সঙ্গে কোনো তত্ত্ব ভুল বা সঠিক হয় না। অ্যারিস্টোটল বা টলেমির তত্ত্বও আলোচিত/গৃহীত হয়েছিল শতশত বছর ধরে, তাতে প্রমাণিত হয়না সেগুলো অকাট্য ছিল। নিউটনের তত্ত্বের সীমাবদ্ধতাও ধরা পড়েছে দুশত বছর পর। আইনস্টাইনের তত্ত্বেরও সীমাবদ্ধতা ধরা পড়ছে, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সঙ্গে ঠিক যাচ্ছে না। এ কয়েকটি উদাহরণমাত্র।

আপনি বলেছেন, "কিউ ই "অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম","দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন", কিংবা " ফটোইলেকট্রিক এফেক্ট" অথবা থিওরি অব রিলেটিভিটি'র মতো একটা বই কিংবা একটা একটা তত্ত্ব তুলে ধরল না, ..."

— তত্ত্ব তুলে ধরছে না বা বই লিখছে না, এ কথা আপনাকে কে বলল! আপনি বড়জোর বলতে পারতেন, সেগুলো এখনও সেভাবে মূল ধারায় আসছে না। তবে অ্যারিস্টোটলের ভুল তত্ত্বও মূল ধারায় টিকে ছিল ২০০০ বছর ধরে, বিপরীত কোনো তত্ত্ব তেমন পাত্তাই পায়নি এ সময়ে। বিজ্ঞানের ইতিহাস বড়ই জটিল রহস্যময়!

যা হোক, আমার বক্তব্য হচ্ছে, যতক্ষণ পরীক্ষণে কোনোকিছু প্রমাণিত না হচ্ছে, ততক্ষণ কল্পবিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক সত্য থেকে পৃথক রাখতে হবে। অনেক বিজ্ঞানী এ সীমারেখাটি মানছেন না। ফলে বিজ্ঞানেও জমে নানা অসত্য, অপবিজ্ঞান।

ভালো থাকুন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

এম হুসাইন বলেছেন: হাহাহা, আমি নিজেকে সব সময় ই মূর্খ ভাবি।

আর সমীকরণটা পোস্টে দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু মন্তব্যের ঘরে দিয়েছি, তাও অনেক তাড়াহুড়া করে তাই হয়তো কিছু বর্ণনা ছুটে গেছে......

যাই হোক- আমি আগেই বলেছি - আমি এই সিদ্ধান্ত দিয়ে পোস্ট কিন্তু শেষ করি নি, বলেছি আগামি পোস্টে বাকিটুকু আলোচনা করবো-

আর সব বিতর্ক- বাজি অবশ্যই তুলে ধরতাম- যাই হোক।


আর হা, বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল, একটার পর আরেকটা থিয়োরি আসবে, যাবে;

গ্রহণযোগ্যতা আর নির্ভুলতার ভিত্তিতে একটা স্থান পাবে......

তাই বলে নতুন থিয়োরি পেয়ে যে আগের থিয়োরি আর থিয়োরির সৃষ্টিকর্তা কে তাচ্ছিল্য করবো, এমন কিছু আমার ভাবনাতেও আসতে পারে না... ।


আমার মতো আবুল আর মদন - প্রতিদিন হাজার-লক্ষ তত্ত্ব, থিয়োরি লিখতে পারে, বই লিখতে পারে...
কিন্তুতা যদি মূলধারায় আসতেই না পারে, একজন হকিং, একজন রাদারফোর্ড, একজন হেইসেনবার্গ যদি দেখার আগেই সে সব থিয়োরি ছুঁড়ে ফেলে দেন, তবে কি মুল্য থাকলো...... !

তাই বলে নিজেকে জাহির করতে- যে যাদের থিয়োরি মুখস্ত করে আজ রিলেটিভিটি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর দুই কথা লিখতে পারে, তাদের ই যদি গালাগালি করে, তাহলে তো নুংরামিই প্রকাশ পায়......


আমি সাধারণত- বিজ্ঞানের সাধারন বিষয়গুলো সহজবোধ্য ভাবে, সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি---
যে ব্যাপার গুলো আপনার মতো বড় বড় বিজ্ঞানীরা হয়তো জানেণ অনেক আগেই...

কিন্তু আমার মতো মূর্খরা? আমাদের কি হবে?
জানে না তো, তাই চেষ্টা করি প্রথমে "মুল" বিষয়টাকে "সহজবোধ্য" ভাষায় তুলে ধরে-

এর পর বিতর্ক আর যুক্তি খণ্ডন।


আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্যে।
ভালো থাকুন, নিরন্তর।

২৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০২

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
বিষ্ময়কর বিষয় চমৎকার উপস্থাপনায় নতুন আনেক কিছু জানলাম।

প্রিয় তে


১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৫

এম হুসাইন বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।



অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

ভালো থাকুন।

২৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

যোগী বলেছেন: ব্লাকহোল হাইলি ম্যাসিভ অবজেক্ট জি এর ভ্যালু বেশি হওয়ার কারনে এটা আদারস যেকোন ম্যাটেরিয়াল কে টেনে নেয় ইভেন ফোটোন, এবং তাতে ব্লাকহোলের ডাইমেনশনের পরিবর্তন হয়না। তাতে তার মাস আরও বেড়ে যায়।

এখন কথা হলো ফোটোন মাসলেস পার্টিকেল, তাহলে ফোটোনের উপর জি কিভাবে কাজ করে।
যদিও ফোটোনের মোমেন্টাম আছে।








চামে অনেক জানি ভাব লইলাম ;) ;) ;) :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

এম হুসাইন বলেছেন: এখন কথা হলো ফোটোন মাসলেস পার্টিকেল, তাহলে ফোটোনের উপর জি কিভাবে কাজ করে।
যদিও ফোটোনের মোমেন্টাম আছে।


ড্যুড!!!!!!!!
চ্রম একখান প্রশ্ন কর্সেন......!!!


দেখি আপ্নারে বুঝাইতে পারি কি না-


লাইট- কিন্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জায়গায় যেতে "সময়" লাগে। অর্থাৎ তার ট্র্যাভেলে টাইম ও স্পেস দরকার। আর এই এই স্পেসের কাটামোতেই সে ভ্রমন করে।
আর লাইট যখন আড়াআড়ি ভাবে স্পেসের বাকা স্থান থেকে আসে, স্বভাবতই তার একটি গন্তব্য থাকে, সুতরাং তাকে অবশ্যই স্পেসের বক্রতা অনুসরণ করতে হয়,যেখানে লাইট একটি গ্লাস লেন্সের মতো বেকে যায়......

মাধ্যাকর্ষণ লাইটকে তার দিকে টানে না, বরং লাইট স্পেসের এই বক্রতাকে অনুসরণ করে। যেমন ভাবে একটি লেন্সের বক্রতাকে অনুসরণ করে বেকে যায়......

নিউটন -এর মাধ্যাকর্ষণ অনুসারে, যে পার্টিকলের মাধ্যাকর্ষণ ভর ০, তার ভরও ০, সুতরাং গ্রাভিটি লাইটকে এফেক্ট করার কথা না। বরং নিউটনের গ্রাভিটি অনুসারে, ব্ল্যাকহোলেরও অস্তিত্ব থাকার কথা না, তাতে যত শক্তিশালী গ্রাভিটি হোক না কেন, লাইট সর্বদা মুক্তি পাওয়ার কথা।

আবার আমরা এও জানি যে, নিউটনের গ্রাভিটি সঠিক শুধুমাত্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যখন পার্টিকল আলর চেয়ে অনেক কম বেগে চলে, এবং গ্রাভিটি দুর্বল হয়... কিন্তু এই ব্যাপারটা ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রে ঘটে না। ব্ল্যাকহোল কিভাবে কাজ করে, তা বুঝতে হলে আমার গ্রাভিটির আরও কিছু বাড়তি সুত্র প্রয়োজন, আর যা হল আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটি!

জেনারেল রিলেটিভিটি অনুসারে- গ্রাভিটি একটি বল নয়, পক্ষান্তরে- গ্রাভিটি এফেক্ট করে দূরত্বের পরিমাপে, আর একটি ক্ষুদ্রতম রাস্তা খুজে দুটি স্থানের মাঝে, সব পার্টিকল এই ক্ষুদ্রতম রাস্তাটি অনুসরণ করে তাদের গতিপথে। এই ঘটনা প্রযোজ্য সকল ম্যাটার ও এনার্জির ক্ষেত্রে- তাদের ভর থাকুক বা না থাকুক, ব্যাপার না।

এক কথায় বলতে গেলে
- আপেক্ষিকতা অনুসারে- গ্রাভিটি ( আপনার জি- g) স্পেস কে বাকিয়ে দেয়, একটি রাস্তা তৈরি করে, আর এই বক্রতার মাঝে পড়ে যায় বেচারা ফোটন, যার জন্যে বলা হয় ফোটনের উপর জি কাজ করে...
এখন বলেন পারলাম কি বুঝাইতে?

২৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১০

একজন আরমান বলেছেন:
দারুন পোস্ট।
প্রিয়তে।

ভাই ট্রাইএঙ্গেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
আশা করি পোস্ট দিবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

এম হুসাইন বলেছেন: :) কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।


ট্রাইএঙ্গেল?? !!

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কি?

শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকুন।

২৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

ম্যাভেরিক বলেছেন: আপনার এ পোস্টে শেষ একটি মন্তব্য করে বিদায় নিচ্ছি, কারণ আপনি বিজ্ঞানের আলোচনায় অতিরিক্ত আবেগভারাক্রান্ত হয়েছেন এবং কিছু জিনিস অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।

প্রথমতঃ, নিজেকে বারবার মূর্খ আখ্যায়িত করায় আপনি মূর্খও হননি, কিংবা অধিকতর জ্ঞানীও হননি। এতে বরং বিজ্ঞানের আলোচনায় আপনার অপরিপক্বতা প্রকাশিত হয়। ফলে এ বিষয়ে আপনি যৌক্তিক বা সঠিক কিছু বললেও পাঠকের কাছে তার আবেদন দুঃখজনকভাবে হারিয়ে যায়।

দ্বিতীয়তঃ, আপনার পোস্টে রিলেটিভিটি কিংবা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রবক্তাদের কেউ গালাগালি করেনি। সুতরাং এ ধরণের অপ্রাসঙ্গিক, অতিকথন আপনার ব্যক্তিগত আবেগভার নিরসনে সহায়তা করতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানের আলোচনায় তা কোনো অর্থ যোগ করে না। তবে আপনার জ্ঞাতার্থে বাড়তি দুটি তথ্য দেই, আপনার রাদারফোর্ড আইনস্টাইনের রিলেটিভিটিকে "নির্বুদ্ধিতা" এবং হাইজেনবার্গ বিজ্ঞানী পল ডিরাকের সমীকরণকে "শিক্ষিত আবর্জনা" বলে আখ্যায়িত করেছিলেন, যদিও কেউ কাউকে গালাগালি করেননি বা গালাগালির অভিযোগে অভিযুক্ত হননি। তাছাড়া আপনার পোস্টেও আইনস্টাইন বা হকিং-এর অবদানকে কেউ এমনকি নির্বুদ্ধিতা/আবর্জনা বলেননি।

তৃতীয়তঃ, আপনি সহজবোধ্যভাবে বিজ্ঞান তুলে ধরার চেষ্টা করেন, এ সত্যি এবং প্রশংসনীয়। তবে আপনি অনেক কিছু না বুঝে ইংরেজি থেকে সরাসরি অনুবাদ কপি-পেস্টও করেন, এতে আপনার সহজ জিনিসে নানারকম ভুলভ্রান্তি ও কনফিউজিং জিনিস ঢুকে পড়েছে। ভুলভ্রান্তি মুখ্য জিনিস নয়, আমরা সবাই ভুল করি, বড় বিজ্ঞানীরাও করেছেন। কিন্তু পারস্পরিক আলোচনা-সমালোচনাই কেবল এ ধরণের ভুলভ্রান্তি দূর করে ব্লগে বিজ্ঞানের সঠিক প্রসার ঘটাতে পারে। সমালোচনা গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আপনি যদি ব্যক্তিগত আবেগে আটকে না গিয়ে নির্মোহভাবে আলোচনা-সমালোচনাকে যুক্তি-তর্কে যাচাই করে গ্রহণ বা বর্জন করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে আমিও আপনার পোস্টে ভবিষ্যতে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে পোষণ করি।

ভালো থাকুন। :)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

এম হুসাইন বলেছেন: আমি আবেগপ্রবণ হয়েছি কেন তা আমার আগের মন্তব্যে স্পষ্ট-

আবারো বলি- আমার নিজের চোখে, দেখেছি + পড়েছি কিছু কিছু বিজ্ঞানী ও লেখকদের লেখা- যারা নিজেকে আসলেই "কেউ কেটা" হিসেবে জাহির করতে ভালোবাসেন । যাকে বলে আমার বিলাই আমাকেই বলে ম্যাও।


শুধুমাত্র নিজের বিবকের কাছে দায়বদ্ধ থাকায় সে সব কথা আর মন্তব্যের "স্ক্রিনসট" দিলাম না...

যা দেখে আমার মাথাটাই বিগড়ে গেছে... যাদের থিয়োরি আর ইকুয়েশন আওড়ে আওড়ে আমরা বিজ্ঞান কি তা শিখেছি... যাদের থিয়োরি চলেছে এবং চলছে কয়েক শত বছর...... যাদের হাত ধরে একটা নতুন কিছুর অবতারনা হয়েছে, আজ তাদেরকেই দেখেই এই নতুন বিজ্ঞানীরা তাচ্ছিল্য করে......

আমি কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে কারো নাম নেই নি, কাউকে আক্রমণ ও করছি না...... ( আপ্নাকেও না) শুধু নিজের মনের দুঃখ আপনাকে বলছি...... যা দেখে শুনে আমি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি... কষ্ট লাগে... আর করুনা লাগে ওদের জন্যে...

কপি পেস্ট ছাড়া আপনি নিজের কোন থিয়োরি টি আবিস্কার করেছেন, দেখাতে পারেন? পারবেন না,

রিলেটিভিটি আর কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডায়নামিক্স কিন্তু আপনার থিয়োরি না, আমারও না......

সো- ওগুলা আমরা যত ভাবেই সাজিয়ে লিখি না কেন, তা কপি পেস্ট ই।

কারন আমরা সবাই ১০০ থেকে ১০০০ বছর আগের থিয়োরি কেই বিভিন্ন গল্পে সেঁটে দিয়ে কপি করি, ওগুলো নিয়েই নাড়াচাড়া করি...

আর আমি কপি-পেস্ট করার আগে অন্তত ২০/২২ থিয়োরি দেখি, যুক্তি দেখি, এর পর কিছু লিখি......

স্কুল-কলেজ শেষ করে এখন ভার্সিটির বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছি...... আমার স্টাডি ফিল্ড আর নাই বললাম...... অনেক আগের নাড়াচাড়া করা তত্ত্ব গুলোই এখন আবার নতুন করে মনে করতে গিয়ে একটু গড়মিল যে হবে না, তা হতে পারে না...


আর আপনি যে গড়মিল কে ভুল বলে আক্রমণ করলেন, আমি তো ওটা শেষই করি নি...... বলেছি যে পরের পোস্টে আলোচনা করবো......

আমি ধারাবাহিক ভাবে এই তত্ত্ব, তত্ত্বের ত্রুটি, সংশোধন সব কিছু নিয়েই আলোচনা করতাম...

আমি সমালোচনা গ্রহন করার মানসিকতা নিয়েই কথা বলি, ব্লগে এসেছি...... কিছু লিখি আলোচনা/ সমালোচনা মোকাবেলা করার ক্ষমতা রেখেই... তবে তা হতে হবে আমার কথা- পোস্ট বুঝে, পুরোটা পড়ে, উপসংহার দেখে... মাঝ পথে কাউকে থামিয়ে দিলেতো মেজাজ বিগড়ে যাওয়ারই কথা।

ভালো থাকুন আপ্নিও, অনেক অনেক ;) :)

৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: মাথা আউলাইয়া গেল। যাহা হউক, বিষয়বস্তুর গুরুত্বে আপ্নারে সেইরাম প্লাস

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

এম হুসাইন বলেছেন: সর্বনাশ !!!!!! বলেন কি?

তবুও পিলাচ যে দিছেন, তাই ঢের বেশি......



ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ।

৩১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

যোগী বলেছেন:
ড্যুড মাথায় আজকাল কিছু ঢুকেনা।
বাংলা পত্রিকা পড়ার সময়ও, একই লাইন বার বার পড়া লাগে। তানাহলে ঠিক ধরতে পারিনা নিউজটা কিসের উপর /:) /:)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২০

এম হুসাইন বলেছেন: ব্যাপার না ড্যুড, আমারও একই অবস্থা হয় মাঝে মাঝে ......... খিক খিক


একটা পছন্দের গান শুনেন...... ভালো লাগবে......

হিট মি বেইবি ওয়ান মোর টাইম......... :) :!>

৩২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
হ্যাঁ।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল।
অপেক্ষায় রইলাম।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

এম হুসাইন বলেছেন: :) ও আচ্ছা, এইটা নিয়া তো কত্ত লেখা লেখি হইছে......
তবুও আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো ব্রো......


ভালো থাকুন, শুভকামনা। ;)

৩৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

যোগী বলেছেন: এই লন

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫

এম হুসাইন বলেছেন: :!> B-) গুড ওয়ান! B:-) :#> =p~

৩৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পুরো পোস্টে মাত্র তিনজন পোস্টের সংশ্লিষ্ট আলাপ করেছেন যার মধ্যে একমাত্র ম্যাভেরিক একটা দারুন পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছে।

ব্লগে হাতে গোনা কয়েকজন ফিজিক্সের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ক্ষমতা রাখলেও অংশগ্রহন সবচেয়ে বেশী ম্যাভেরিক সাহেবের যার কারনে মনে হয় ব্লগ বা জন গনের মধ্যে ফিজিক্স বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে যায়নি। যেহেতু আলোচনা চলছে চলবে, ভুল হবে আবার কেউ শোধরাবে এটাই যেমন স্বাভাবিক সেহেতু আমার অযাচিত নাক গলানোটার কোনো দরকার দেখি না।

আমি শুধু কিছু বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই যদিও ইতিহাস কি বলে সে বিষয়ে আমি একেবারেই অজ্ঞ।


হকিং এর ব্রিফ হিস্টোর অফ টাইম পড়েছিলাম কিন্তু ওটার চেয়ে ভালো বুঝেছিলাম পেনরোজের সাথে তার জার্নালটা ছিলো আর অন্যান্য জার্নাল। আমার কাছে ওর ম্যাথমেটিক্যাল ইন্টারপ্রেটেশনের জার্নালগুলোই সবচেয়ে বেশী স হজবোধ্য মনে হয়েছে।

হকিং সাহেব কল্পনার বশবর্তী হয়ে তথ্য হারিয়ে যাওয়ার তত্ব দেননি। তার পিছনে কারন ছিলো। আসলে প্রথমেই আসি ব্লাক হোল জিনিসটা কি? যদিও কথাগুলো সহজ ভাবে বলতে পারছি না কারন তাহলে অনেক কথা লেখতে হবে সেহেতু জনসাধারনের বোধগম্য হবে না বলে আশা করি।

ক্লাসিক্যাল ম্যাকানিক্সে ধারনা ছিলো স্পেস হলো খালি একটা জায়গা যেখানে কেউ খেলাধুলাও করবে না। এটা অনেকটা পুরোনো দিনের ধ্বজভংগ দর্শনের বর্শবর্তী হয়েই বলে রাখা হয়েছে। ধারনা পাল্টে যায় যখন কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স আমাদেরকে বুঝতে শেখায় হলো ভ্যাকুয়াম হলো সে জায়গা যেখানে কনিকা আর প্রতিকনিকার সংঘর্ষে সবকিছু ধ্বংস হবে এবং সেসব শক্তি আবার প্যাকেটের আকার ধারন করে কিছু সময়ের জন্য তারা আবার কনিকার মতো আচরন করবে যাকে আমরা পলি ডিরাকের শূন্যস্হান হিসেবে যার মধ্যে কনিকা-প্রতিকনিকার স হা বস্হানটা কিছু সময়ের জন্য ভার্চুয়াল হয়ে যায়। সমস্যা হলো সহাবস্হানটা স্হায়ীভাবে থেকে গেলে তা শক্তির নিত্যতা সূত্রের বিরোধী হয়ে যায় যার ফলে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে স্বতঃস্ফূর্ততা ঈশ্বর হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে না এই মহাবিশ্বের জন্য যা পরীক্ষাগারা নানা ভাবে পরীক্ষা দেখা হচ্ছে এবং ফলাফল এখনও ইতিবাচক।

তাই যেহেতু এসব কনিকা প্রতিকনিকা খুবই অল্প সময়ের জন্য অস্তিত্বের মধ্যে এসে পড়ে (সময়টা হলো হাইজেবার্গের অনিশ্চিয়তা তত্বানুসারে Δt > h/2mc^2), সেহেতু তাদের তত্বগত ভাবে উপস্হিতি স্বীকার করতেই হবে।

এখন এই ঘটনাটা যদি ব্লাক হোলের ইভেন্ট হরাইজনের পাশে ঘটে তখন কি ঘটবে? এটা আসলে নির্ভর করবে ব্লাক হোলের ভিতরের এন্ট্রপির কি অবস্হা?

হকিংও প্রথমে ধরে নেয় যে ব্লাক হোল থেকে কিছুই বের হবে না যদি একবার কোনো কিছু পরে। এবং একসময় গ্রহনের ফলে ব্লাক হোলের ইভেন্ট হরাইজনের জায়গাটা বাড়তে থাকে আর হকিং এর ব্লাক হোল থার্মোডাইনামিক্সের দ্বিতীয় সূত্রটা থার্মোডাইনামিক্সের এনট্রপির সূত্রে অনুরূপ হয়ে যায়। তখন প্রশ্ন এসে যায় ব্লাক হোলের ভেতর তাহলে কি এনট্রিপি বিদ্যমান? কিন্তু ব্লাক হোলের যদি সসীম এনট্রপির হতে হয় তাহলে তাকে সসীম তাপমাত্রার ধারক হতে হবে এবং ফোটনের তাপীয় সাম্যাবস্হায় আসতে হবে। তাহলে তখন দেখা যেতো ব্লাক হোলের আলোক শুষে নেয়ার ক্ষমতা রোহিত হত যেটা তত্বগতভাবে সাংঘর্ষিক।

বেকেন্সটাইন এভাবে এটার সমাধান দেন ব্লাক হোলের থাকবে সর্বোচ্চ এন্ট্রপি যার ফলে আপেক্ষিক গ্যাসের এন্ট্রপি হারিয়ে যাবে এবং এটা তখনই সম্ভব যখন ব্লাক হোলের এন্ট্রপি গ্যাসের চাইতে ভয়াব হ রকমের বেশী হবে এবং তখনই ব্লাক হোল শুষের নেয়ার ক্ষমতাটা বিশালতা পাবে।

তবে যেহেতু ব্লাক হোলের এন্ট্রপি অসীম নয় তবে সসীম ভাবে রেন্ডম সেহেতু কিছু জিনিস বেরিয়ে আসবেই। এবং এই কিছু বেরিয়ে পড়ার জিনিসটা সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে যাকে বলে ব্লাক হোল ইভাপরেশন টাইম যার সূত্রানুসারে ব্লাক হোল যখন পয়দা হয় তখন এর ইভাপোরেশনের হার খুব কম থাকে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটা বাড়তে থাকে।

যাই হোক একটা সময় হকিং আর বেকেস্টাইন ঐক্যমত্যে আসে যে ব্লাক হোলের এন্ট্রপিটা আমাদের চেনা জানা জগতের মতো নয় এটা সম্পূর্ন ভাবে নির্ভর করে বস্তুর দুই মাত্রার উপর। তার মানে হলো ব্লাক হোলের চাকতি নির্দেশ করে কেনো এর ভেতর দুইটি মাত্রা ক্রিয়াশীল অথবা কেন আপনি চ্যাপ্টা হয়ে যাবেন।

তাহলে তিন মাত্রার বস্তুর ইনফরমেশন যখন ব্লাক হোলের ভেতর ঢুকে যাবে সেটা আর আমরা পাবো না। কিন্তু এটা ফিজিক্সের থার্মোডাইনামিক্সের সূত্রের পরিপন্হি কারন পদার্থ যখনই এক অবস্হা থেকে অন্য অবস্হায় চলে যায় তখন তার কিছু ভ্যারিয়েবলের উপর ডিপেন্ডেন্সি থাকে যার ফলে আমরা জানতে পারবো আসলে পদার্থের আগের রূপ আর বর্তমান রূপ কি

স হজ ভাষায় বলা যায় পারমানবিক বোমার বিস্ফোরন কোনো কিছু ধ্বংস করে না দুমড়ে মুচড়ে ফেলে। আপনি একটা দুমড়ানো মুচড়ানো গাড়ী দেখে বলতে পারবেন যে এটা এর আগে একটা প্রাইভেট কার বা ট্রাক ছিলো।


একটি কাপ থেকে পানি মাটিতে ছিটকে পড়তে পারে, কখনই মাটি থেকে পানি কাপে উঠবে না।

আসলে ঘটনাটা এটা না, ঘটনা হলো কাপের ভিতর যে পানি ছিলো সেটা আপনি মেঝে তে পড়ে থাকা ভাঙ্গা কাপ আর পানির ছড়া ছড়ি দেখেই বুঝতে পারছেন আগে এর কি রূপ ছিলো আর কেন এটা ভাংলো। অনেকের ধারনা ছিলো বলাক হোলের বাইরের রূপ দেখে বোঝার উপায় নাই যে আসলে এর ভিতর ঠিক কতগুলো নক্ষত্র আর গ্যালাক্সী আছে। কিন্তু যদি আপনি এর মোমেন্টাম, ভর আর (আরেকটা ভুলে গেছি এখন) যদি জানেন তাহলে আপনি এর পুরো জনমকুন্ডলী পেয়ে যাবেন


লিওনার্ড সুসকিন্ড এর একটা সুন্দর সমাধান দেন সেটা তৃতীয়মাত্রার বস্তু যখন দুই মাত্রার বস্তুতে পরিনত হয় ব্লাক হোলের চিপায় পড়ে তখন ব্লাক হোল থেকে নিঃসরিত দ্বিমাত্রার বস্তুসমূহ মূলত তারই তথ্যের বর্ননা দেয় যেটা মূলত এমথিওরীর হলোগ্রাম তত্বের সূচনা করে।

মূলত আমরা যারা ডি ব্রেন, এমথিওরী র কথা বলি এর সূচনা এখান থেকেই শুরু।

আর দ্বিতীয় কথা হলো বিজ্ঞানের এমন পোস্টের আবেগের কোনো স্হান নাই অথবা কপি পেস্টের কথা আসছে না। কপি পেস্ট কনসেপ্ট থাকে ছাত্রদের কারন তাদেরকে জ্ঞানের কপি পেস্ট করে সেটার উপর ভিত্তির করে চলতে হয়। যেহেতু ব্লগটা হচ্ছে নিজের মতামত দেয়া সেহেতু আপনার স্বাধীন একটা মত থাকবে যেটা হতে পারে ইউনিক। কপি পেস্ট লেখা যদি হয়েই থাকে তাহলে সেটা হয় অনুবাদ যেটা বাঙ্গালীদের মধ্যে বেশী দেখা যায়। একটা জার্নালে কি আছে সেটা আমরা কখনোই হুব হু বলি না থিসিস পেপারে বরংচ আমি যে বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি সেটার এক্সিকিউশনের জন্য ঐ জার্নালের কিছু হিসাব কিছু মেথড আমরা কাজে লাগাই।

আমরা নতুন তত্ব বা কথা বলবো না এটা কেনো হবে না? এখানে তো সবাই তত্ব ঠিক রেখে নিত্য নতুন সমস্যার উপর সেসব প্রয়োগ করে সেটাকেই ঠিক করছে, তাই না? আর একজন প্রকৌশলীর কাজই তো এটা।


আমার কাছে পোস্টের চাইতে ম্যাভেরিকের পয়েন্ট টা দারুন লেগেছে যার জন্যই মূলত এই পোস্টে কমেন্ট করা

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

এম হুসাইন বলেছেন: হাহাহাহাহা, আমিতো আপ্নাকেই মিস করছিলাম বস...... যাক, আমার সৌভাগ্য যে এই রকম পোস্টেও আপনার একটা চমৎকার বক্তৃতা দিয়ে আমাকে ধন্য করলেন।

আর এটা অনেক দুঃখের বিষয় যে মাত্র ৩ জন মানুষ আমার টপিক নিয়ে আলোচনা করলো...... যাই হোক, আপনাকে খুব বেশি কিছু বলা সমীচীন মনে করি না - যেহেতু আপনাকে/ আপনারা সবাই কে আমি শ্রদ্ধা করি -

তাত্ত্বিক পদার্থবিদবিদরা কিন্তু "সম্পূর্ণ নির্ভুল" থিয়োরি খুব সহজেই ডিক্লেয়ার দেন না, ঠিক তেমনি তাদের একজনের থিওরিকে এতো সহজে কেউ ছুড়েও ফেলে দিতে পারে না। কারন এই সব তত্ত্ব আর সমীকরণ "সরাসরি পর্যবেক্ষণ" থেকে আসে না, আসে তাত্ত্বিক ও গাণিতিক ভাবে, আর সব দিক থেকে একটা শক্ত ভিত্তি না করে কোন গবেষকই তার থিয়োরিকে প্রথম পাতায় আনেন না।

প্রেসকিল যে তত্ত্বে প্রথম অঙ্গুলি নির্দেশ করেন তা ছিল- ব্ল্যাকহোলে ইনফেরমেশন হারিয়ে যায়, তাই ব্ল্যাক হোল থেকে কিছু বের হওয়ার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু তার ধারনা ভুল প্রমানিত হয় এই ভাবে যে ব্ল্যাক হোলে ইনফরমেশন হারিয়ে যেতে পারেনা। এই ফ্যাক্ট জন্ম দেয় ইনফরমেশন প্যারাডক্স -এর।

পদার্থবিদদের ভাবিয়ে তুলে এই কথা যে- এই ইনফরমেশনের ভাগ্যে কি ঘটে যখন তা ইভেন্ট হরাইজন অতিক্রম করে। তখনই "সুসকিন্ড" এই তত্ত্ব পরিষ্কার করে দেন যে ইনফরমেশন ব্ল্যাক হোলে হারাতে পারেনা। কারন তা শক্তির নিত্যতা সুত্রের পরিপন্থী।

হকিং কিন্তু পরে প্রমাণও করেছিলেন ব্ল্যাক হোলের ইভাপোরেশন, আর যা হকিং রেডিয়েশনের মাধ্যমেই ঘটে। যা কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও অস্বীকার করে না, কারন শূন্য স্থান কিন্ত্য শূন্য নয়।

আর এই তত্ত্বের জের ধরেই সুসকিন্ড ও আরও কয়েকজন ( এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না) একটি থিয়োরি উত্থাপন করেন "হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপল" নামে, কোয়ান্টাম মাকানিক্সের আলোকে " ইনফরমেশন প্যারাডক্স" ব্যখা করে।

২০০৪ এ, মিঃ হকিং ইভেন্ট হরাইজনের একটি থিয়োরি দাড় করান কোয়ান্টাম পার্টারভেশনে যা ব্ল্যাক হোল থেকে ইনফরমেশন মুক্তিকে সাপোর্ট করে। যার ইভেন্ট হরাইজনকেও ব্যখা করতে পারে।

এই তত্ত্ব অনুসারে, আমার জানামতে- যেটা স্থির হয় এবং এখনো আছে তা হলো- ইনফরমেশন ব্ল্যাক হোলে হারিয়ে যায় না, বরং ব্ল্যাক হোলে যে সব ইনফরমেশন পতিত হয়, তা পুনরুদ্ধার হতে পারে ইভেন্ট হরাইজোনে।

এই ছিলো আমার তত্ত্বের মুল কথা। যা আমি একটু সহজ ভাবে, বিস্তারিত ভাবে বলতে চেষ্টা করেছিলাম, পর্বে পর্বে।

আর হা, একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, যাকে আমরা বর্তমান কালের সব চেয়ে বিশিষ্ট জন হিসেবে জানি- তিনি যে "কল্পবিজ্ঞান অথবা সায়েন্স ফিকশন" মুভি দেখে থিয়োরি দেবেন আর পরিনামে মানুসের হাসির পাত্র হবেন, অন্তত হকিং এর বেলায় আমি এই কথা মানতে পারি না। কারন তাঁর মতো একজন ফিজিসিস্ট অন্তত কোমর শক্ত না করে কোন কিছু উচ্চারন করতে পারেন না।

যাই হোক- আপনার এত সুচিন্তিত মন্তব্যের পরে আর কি বলার আছে... কিচ্ছু থাকে না... আর লাউ এর নাম তো কদু-ই হয়।

আর দ্বিতীয় কথা হলো- আমাদের প্রিয় "শরৎ ভাইয়ের" ব্লগে একটা কথা আছে- যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
এই কথার ব্যাখ্যা অনেক বার দিয়েছি আগের মন্তব্যে, তাই আর নতুন করে দেয়ার ইচ্ছা নাই। আশা করি বুঝে যাবেন কেন ইমোশনাল হৈ।

মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
ভালো থাকা হোক, নিরন্তর।

৩৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

যোগী বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=-0fSPEjF2Sg

উইকেন্ড কি শুরু হইছে??
দিস ইজ উইকেন্ড নাইট হেয়ার

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

এম হুসাইন বলেছেন: ড্যুড!!!!
যে গানটা অনেক দিন থেকে শুনি না, আজ আপনি ওইটা ধরাইয়া দিলেন...... জাস্ট লাভ ইট ম্যান...... পারফেক্ট টাইমিং .........

হেপ্পি উইকেন্ড ড্যুড, এখনো অফিসে,বসকে ফাকি দিয়ে ফেসবুক আর ব্লগিং করছি ;) :#>

আপনার কি অবস্থা, উইকেন্ডের প্লান কি?

ও ইয়েস, থ্যাংকস অ্যা লট ফর সাচ অ্যা সং ম্যান...... চিয়ার্স!

৩৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

যোগী বলেছেন: নো প্লান, জাস্ট সেল্ফ পার্টি
আমার বস নাই
১ সপ্তার জন্য কন্ফারেন্সে গেছে
আমার শুধু শান্তী আর শান্তী B-) B-) B-) B-) B-) :#) :#) :#)
চিয়ার্স!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

এম হুসাইন বলেছেন: বস নাই, তাইলে তো আপনি ফ্রি ম্যান...

আমি তো ম্যান শেষ...... আর ফ্রি হবো রাতের জব শেষ করে......

এইটা শুনছি এখন... - http://www.youtube.com/watch?v=eAM2-hg7xJs

মাঝে মাঝে উদাসি হয়ে পড়ি...... :( B-) B-) =p~

এঞ্জয় দা উইকেন্ড ড্যুড...... চিয়ার্স ;)

৩৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

বোকামন বলেছেন:







সম্মানিত লেখক,
আস সালামু আলাইকুম
আপনার পোস্ট এবং মন্তব্য সমূহে মনযোগী ছিলাম।

বিস্তারিত মন্তব্য করার ইচ্ছে থাকলেও সময় এবং সীমিত জ্ঞান তা থেকে বিরত রাখছে। সংক্ষেপে বলতে চাচ্ছি -

জানার শেষ নেই, বুঝার ব্যাপ্তি নেই
ব্ল্যাক হোল আমরা প্রত্যেকই .... অন্ধকারে আলো প্রবেশ করে ... অন্ধকার দূরীভূত হয়। তবে কী অন্ধকার নিজেই কোন আলো নয় !

ভাই আমার লিখতে থাকুন নিজের মত করে....
আপনার জন্য শুভকামনা নিরন্তর

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

এম হুসাইন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় বোকামন- ওয়ালাইকুম আসসালাম।

আপনার মন্তব্যই মিস করছিলাম......

আমি আসলে নিতান্তই সামান্য এক জীব, কিছুই জানি না... এই একটু আদটু আপনাদের দেখে, অনুসরণ করে ব্লগে টাইম পাস করি আর কি...
আপনাদের মতো কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী, ভাই/ বন্ধু পেয়েছি এই ব্লগে এসে... যার জন্যে এখানে আসি...... এ আমার অনেক বড় পাওয়া...... কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই আমার।

জানার শেষ নেই, বুঝার ব্যাপ্তি নেই
ব্ল্যাক হোল আমরা প্রত্যেকই .... অন্ধকারে আলো প্রবেশ করে ... অন্ধকার দূরীভূত হয়। তবে কী অন্ধকার নিজেই কোন আলো নয় !


আপনার কথাটা নিঃসন্দেহে ভাবনার আকাশে ডানা মেলে......


কি আর বলবো......

আল্লাহ্‌ পাক আপনাকে অনেক অনেক ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন- আর হা, অনেক দিন আপনার নতুন লেখা পড়ি না কিন্তু...

অনেক অনেক ভালো থাকুন ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন।
কৃতজ্ঞতা আবারো।

৩৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

এন এফ এস বলেছেন: B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ সোজা প্রিয়তে

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

এম হুসাইন বলেছেন: #:-S B-)) B-)) B-)) ধইন্যা।

৩৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম ভাললাগা দিলাম।।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

এম হুসাইন বলেছেন: :-/ :) ধন্যবাদ দিলাম।


শুভেচ্ছা নিবেন, ভালো থাকুন।
;)

৪০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৯

আরমিন বলেছেন: সুপারনোভার ব্যাপারটা দারুন লাগলো!

১৭তম ভালো লাগা!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৭

এম হুসাইন বলেছেন: :) অশেষ ধন্যবাদের সাতের সাতে ভাললাগা নিলাম ;)


ভালো থাকুন, নিরন্তর।
শুভকামনা।

৪১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৫

যোগী বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=oyzVnx1Q45Q

শুনছি

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৩

এম হুসাইন বলেছেন: হাই ড্যুড, উইকেন্ড কেমন কাটছে?

এটা প্রথম শুনলাম আজ... ভালো লাগলো...

আমি এইটা শুন্তেছিলাম অনেকক্ষণ ধরে......
http://www.youtube.com/watch?v=y3KRpPZkh0w

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩০

এম হুসাইন বলেছেন: http://doridro.net/download/Bangla Pop N Remix/!Flashback BD Film N Rhythm - DJ - Rahat/16 Obocheton Mon.mp3.html

লাস্ট কয়েক দিন থেকে লাগাতার শুনছি...... :)

৪২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩২

যোগী বলেছেন: লাগাতার একই গান বার বার সুনার জন্য এটা ইউজ করি

Click This Link

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

এম হুসাইন বলেছেন: তেরা একিন কিউ, মেনে কিয়া নেহি...
তুঝসে রাহা কিউ জুদা......

.........হ্যাঁয় মেরে পায়োহি,
খুদ মেরি বেড়িয়া,
মুঝসে মুঝে তু ছুড়া...

তেরা.........মেরা......... রিশতা......... পুরানা.........

(আধ্যাত্মিক গান শুনেন মিয়া...... ;) )

৪৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯

যোগী বলেছেন: হা হা হা

আপনার সাথে একটা মুভির ডাইলোগ শেয়ার করার ইচ্ছা আছে

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০২

এম হুসাইন বলেছেন: জলদি কৈরা ফালান...... শুনার জন্যে আমি উদগ্রীব... সত্যি কইতাছি...

৪৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২১

যোগী বলেছেন: মুভিটা স্প্যানিশ

এখানে দেখায় ছেলেটা মেয়েটাকে ভালবাসে, কিন্তু মেয়েটা ছেলেটাকে অন টেষ্টে রেখেছে। সকাল বেলায় মেয়েটা যখন ছেলেটাকে রেখে বেড থেকে উঠে ড্রেসআপ করতে থাকে তখন-

ছেলেটা: What are you doing?
মেয়েটা: I'm off.
ছেলেটা: What do you mean?
মেয়েটা: I came to see you and now I'm off.
ছেলেটা: You come round for a screw
then say you're leaving. What am I, a human dildo?


যদিও এটা ইউরোপীয়ান কালচার, কিন্তু ব্যাপারটা আমাদের দেশেও সেম, শুধু পার্থক্য লেভেল অফ ডিগ্রী।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭

এম হুসাইন বলেছেন: দুই দিনের বৈরাগী যেভাবে ভাত রে বলে অন্ন, ঠিক তেমনি ভাবে দুই দিনে বাঙালি ইউরোপিয়ান আর মার্কিনী হতে সময় খুব বেশি লাগে না ড্যুড...... নিজের পরিচয় ভুলে যায়, নিজে কি, মুখোশ পরে চললেই যে সব ঢেকে যাবে, তা কিন্তু নয়... ।

ওদের লাত্থাইতে অনেক মজা পাই...

এই কয় দিনের জীবনে অনেক কিছু দেখে ফেলেছি...... যা সম্পূর্ণ কাকতাল...

আই গট ইউর ইন্ডিকেশন.... :) :P বাট ইউ নো হোয়াট... নাথিং কেন ফা***ড মি এনি মোর... ;)

থ্যাংকস ম্যান... বি কুল... লাভ ইউ...... ;)

৪৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

আলফা-কণা বলেছেন: physics, enriqque ar kate re milaya jhilaya ekta unified field gothon korar chesta cholche mone hocceh, jai houk, jogi miyar youtuber link er gaan repeatedly shonar link ta kintu amar khub kaje ditache.... B-) B-) post valo moto pore porum inshallh...tarpor o ++ na diya parlam na, karon astronomical jekono jinisher upor ekta akorshon kaj kore sob somoy....

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪১

এম হুসাইন বলেছেন: :শুধু ইউনিফাইড না, গ্র্যান্ড ইউনিফাইড ফিল্ড হয়ে গেছে এখন...... :) :)

অ্যাস্ট্রোনমির প্রতি আকর্ষণ জেনে ভালো লাগলো, আর + এর জন্যে বিশেষ কৃতজ্ঞতা B-) ;)

যোগী ড্যুড অলয়েজ রক্স...... :)

ধন্যবাদ আলফা-কণা।
ভালো থাকুন, নিরন্তর।

৪৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: হুম... চলুক.. পড়ছি..,. ধন্যবাদ পোষ্টির জন্য..

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

এম হুসাইন বলেছেন: :( :) পড়ার জন্যে ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।

শুভেচ্ছা নিবেন।

৪৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

মাসরুর প্রধান বলেছেন: ভাই কনফিউশন দেখেন আপনি বলেছেন-
“ব্ল্যাক হোল ছোট হতে পারে আবার বড়ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষুদ্রতম ব্ল্যাক হোল একটি পরমাণুর সমান হতে পারে। এই জাতিও ব্ল্যাক হোল গুলো অনেক ক্ষুদ্র কিন্তু তাদের এক একটার ভর হতে পারে বিশাল কোন পর্বতের সমান।”

আবার

“আমাদের সূর্য কিন্তু কখনই একটি ব্ল্যাক হলে পরিণত হবে না। কেন?কারন সূর্য তত টা বিশাল নয় যত টা প্রয়োজন হয় একটি তারকার ব্ল্যাক হলে পরিণত হতে।”
আমি বুঝতেছিনা। অনুগ্রহ করে যদি ক্লিয়ার করতেন ?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

এম হুসাইন বলেছেন: কনফিউশন হওয়ারই কথা-

আসেন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করি-

প্রথমে এই দুটি লাইন একটু ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করেন- এমন কিছু তারকা বা নক্ষত্র আছে, যাদের অস্বাভাবিক আকার, ভর ও ঘনত্ব থাকে, আর এর জন্যে এই সব তারকা থেকে নির্গত আলো বাইরে আসতে পারে না বলে তারকা টি কে কালো দেখায় বলে আমরা একে কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাক হোল বলে চিনি।

ব্ল্যাকহোল কিভাবে গঠিত হয় দেখুন-

একটি তারকা যখন তার লাইফটাইমের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে, তখন এর আকার+ ঔজ্জ্বল্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়,( সব তারকা না, যে সব তারকার ভর কমপক্ষে ৮ সৌরভরের সমান) যার কারনে একসময় তা সুপারনোভার রুপ নেয় ও বিস্ফোরিত হয়, এর পর তার আভ্যন্তরীণ মুল বস্তু সঙ্কুচিত হতে থাকে, হতে হতে এমন এক পর্যায় যায়, যাকে অস্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়।

আর তার আকার তখন পরমাণুর সমান হতে পারে সব চেয়ে ক্ষুদ্র যেসব ব্ল্যাকহোল তাদের, আবার এদের চেয়ে কিছু বড় ব্ল্যাক হোলের ভর একটি বিশাল পর্বতের সমান হতে পারে-

এখন দেখুন ভর কি- ব্ল্যাক হোল গঠিত হবার পর তাতে যে পদার্থ বা বস্তু অবশিষ্ট থাকে, তা কিন্তু আমাদের পৃথিবীর মাটি-পানি-বালির মতো নয় যে তাদের ওজন বেশি হবে।

প্রথমে জানতে হবে ভর কি-
ভর হচ্ছে "কোন কিছুতে বস্তু বা পদার্থের মোট উপাদান"
এখন এই বস্তু হতে পারে অনেক কস্মিক বস্তু, যাদের আকার বিশাল হলেও ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্রে অভিকর্ষ শক্তি এতোই প্রবল হয় যে, তারা সেখানে অতি উচ্চ চাপে সঙ্কুচিত হয়ে অবস্থান করে। যার চাপ হিসেব করলে একটা পর্বতের মতো বস্তু পাওয়া যাবে।

আর আমাদের সূর্য কেন ব্ল্যাক হলে পরিণত হবে না, তা আগের মন্তব্যে বলেছি- আবার বলি-
একটি তারকার ব্ল্যাক হলে পরিণত হলে মিনিমাম যে ভর ও আকার প্রয়োজন, তার তুলনায় আমাদের সূর্য অনেক ছোট, একটি তারকার ভর যখন ৮ সৌরভরের সমান বা বেশি হয়, তখন তা লাইফটাইমের শেষে এসে, তার আভ্যন্তরীণ জ্বালানি নিঃশেষ করে সুপারনোভা হিসেবে বিস্ফোরিত হয়ে ব্ল্যাক হলে রুপ নেয়।

তাই আমাদের সূর্য ব্ল্যাক হলে পরিণত হবে না।

ব্ল্যাক হোল অতি ক্ষুদ্র অথবা বিশাল হয়- তারকা থেকে সে "ব্ল্যাক হোলে" পরিণত হওয়ার পরে, আগে নয়। তার পূর্বে ঐ তারকার আকার আর ভর কি ছিল ওটা ব্যাপার না।

আশা করি বুঝাতে পেরেছি?

ধন্যবাদ।

৪৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

যোগী বলেছেন: বাংলার খেটে খাওয়া মানুষদের কিং অফ রোমান্স

অপ্রাসংগিক কমেন্ট মুছে দিতে পারেন, কারন আপনার পোষ্ট অনেকের প্রিয়তে থাকে। :)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

এম হুসাইন বলেছেন: অতি সত্য, আমিও একসময় তাদের ভক্ত ছিলাম...... তবে সময়ের বিবর্তনে ছিটকে পড়েছি... :( ;)


এইটা শুনেন- http://www.youtube.com/watch?v=pjdvXRWzu7Q

আছেন কেমন?

৪৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

পোস্টে ভাল লাগা রইল হুসাইন।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা সহ। যদিও বেশ দেরী করে ফেলেছি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০২

এম হুসাইন বলেছেন: এই মাত্র আপনার পোস্টে আপনারই অভিযোগ করে এলাম... আমার ব্লগে আসেন না বলে...

আপনার পোস্টে কিন্তু আমি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম, আবারো অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকলো আপু, ভালো থাকুন আপনি, নিরন্তর।

পোস্ট ভাললাগায় কৃতজ্ঞতা।

৫০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

ওহ, বলে রাখা ভালো, আমি কিন্তু বিজ্ঞান বুঝি না অনেক বছর হয়ে গেল। আপনারাই যা ভরসা।।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

এম হুসাইন বলেছেন: বলেন কি, বিজ্ঞান তো অনেক সহজ, মজার...... আর আপনারা হলেন সাহিত্যিক...... এটাই আপনাকে মানায় বেশি...

তবুও আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে আমরা এই আউলা- জাউলা একটু আদটু লেখা লেখির চেষ্টা করি আর কি...

আবারো অশেষ কৃতজ্ঞতা আপু, ভালো থাকুন, এই কামনা করছি।
শুভেচ্ছা নিবেন।

৫১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

েশখসাদী বলেছেন: ভালো লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

এম হুসাইন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার নাম আর আপনার পোস্টের সার্থকতা ভালো লাগছে।


অনেক অনেক ভালো থাকুন, আমার ব্লগে স্বাগতম।

শুভেচ্ছা নিবেন।

৫২| ০১ লা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বলতে লজ্জা নাই, আমি বিজ্ঞান এর ব পদার্থ র প ও বুঝি না, কিন্তু আপনার এই ব্ল্যাক হোল মনে হইল ভালা পাইলাম, মেয়ে বড় হচ্ছে, মাঝে মাঝে একটা দুইটা প্রশ্ন করে বসে :#>
এই জন্য আজকাল একটু দেখতেই হচ্ছে ...

এভাবে যদি, লেখেন তাইলে হয়ত আমার মান ইজ্জত ছেলে মেয়ের কাছে আপাতত একটা লাইনে থাকে B-))



শুভ নববর্ষ ভাইয়া .........। :)

০১ লা মে, ২০১৩ রাত ৯:২৮

এম হুসাইন বলেছেন: সমস্যা নাই আপু, বিজ্ঞান এতো কঠিন কিছু না...... একটু একটু বুঝতে চেষ্টা করেন, ভালো লাগবে...... :)

আর আমার লেখা থেকে কিছু বুঝতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগছে... যদিও এসব লেখার পর্যায় পড়ে না... :-P

আর মেয়ের জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা করছি......


অনেক দিন পর আমার ব্লগে দর্শন দিলেন... B-) B-))

শুভ নববর্ষ আপনাকেও।

ভালো থাকুন আপু, নিরন্তর।

৫৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫১

অনিক চক্রবর্তী বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.