![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য যখন জাগায় ভুবন, পাখির শিষে ভোঁর, আমার কেন উদাস দুপুর, বিরহী প্রহর...! © All written articles are subject to copyright. আমার অনুমতি ব্যথিত লেখার কোন অংশ বা সম্পূর্ণ লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। ----ব্লগের বয়স এক বছর দেখালেও নিয়মিত হয়েছি এই জানুয়ারি থেকে।
আজ ( ২৪ এপ্রিল) , জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যায়ে সব চেয়ে ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে "হাবল স্পেস টেলিস্কোপ - Hubble Space Telescope" প্রেরণ করা হয় পৃথিবীর কক্ষপথে, অবারিত হয় জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণায় এক বিশাল দ্বার।
জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার শুরু থেকে অর্থাৎ গালিলিও'র সময় থেকেই জ্যোতির্বিদদের মনে একটাই আকাঙ্খা- বেশি দেখা, কাছাকাছি দেখা ও সূক্ষ্ম ভাবে দেখা। যার জন্যে "হাবল স্পেস টেলিস্কোপ" এক বিস্ময়কর নাম - এক বিস্ময়কর মেশিন যা পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে ১৯৯০ সালে আজকের এই দিনে (২৪ এপ্রিল), মহাশূন্যের সব আচরন ও পরিবর্তনের উপর নজর রাখতে, কিছু রহস্যের দ্বার খুলতে।
যদিও এর ধুঁয়া প্রথম উঠেছিলো ১৯২৩ সালে একজন জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী "Hermann Oberth"র প্রস্তাবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী "এডুইন হাবল" এর নামানুসারে এর নামকরন করা হয়। "এডুইন হাবল" মহাজাগতিক বস্তুসমূহের ব্লু-শিফ্ট আর রেড-শিফ্ট দেখিয়ে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল; আর প্রতিটি বস্তু একটা আরেকটা থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছে; আর এই প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তিতে মহাবিষ্ফোরণ বা বিগ ব্যাং তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ।
*এক নজরে হাবল স্পেস টেলিস্কোপঃ
সংস্থা - NASA / ESA / STScI
উৎক্ষেপণ তারিখ - April 24, 1990, 8:33:51 am EDT
উৎক্ষেপণ বাহন টেমপ্লেট: - OV (STS-31)
মিশনের আয়ুষ্কাল - ২৩ বছর
ভর - ১১,১১০ কেজি
দৈর্ঘ্য - ১৩.২ মিটার (৪৩ ফুট)
কক্ষপথের ধরণ - Near-circular low Earth orbit
কক্ষপথের উচ্চতা - ৫৫৯ কি.মি. (টেমপ্লেট:Convert/মাইল)
কক্ষপথের পর্যায়কাল - 96 –97 minutes (14–15 periods per day)
কক্ষপথের বেগ - ৭,৫০০ m/s (২৫,০০০ ft/s)
মাধ্যাকর্ষণগত বেগ টেমপ্লেট: - Convert/m/s2
অবস্থান - Low Earth orbit
টেলিস্কোপের ধরণ - Ritchey–Chrétien reflector
তরঙ্গদৈর্ঘ্য - visible light, ultraviolet, near-infrared
ব্যাস - ২.৪ মিটার
Collecting area - ৪.৫ বর্গ মিটার (৪৮ sq ft)[৪]
অধিশ্রয়ণ দৈর্ঘ্য - ৫৭.৬ মিটার (১৮৯ ফুট)
যন্ত্রসমূহঃ
NICMOS infrared camera/spectrometer
ACS optical survey camera
(partially failed)
WFC3 wide field optical camera
COS ultraviolet spectrograph
STIS optical spectrometer/camera
FGS three fine guidance sensors
ওয়েবসাইটঃ - hubble.nasa.gov
hubblesite.org
spacetelescope.org
হাবল টেলিস্কোপ নাসা'র সব চেয়ে সফল ও লং লাস্টিং মিশন, আজ পর্যন্ত যা কয়েক হাজার ফটো পৃথিবীতে প্রেরণ করেছে।
কার্যপ্রণালীঃ প্রতি ৯৭ মিনিটে হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবীকে একটি পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পূর্ণ করে, সেকেন্ডে ৮ কিলোমিটার গতিতে। সে মুহূর্তে এর মিরর আলোক ধারন করে ও সরাসরি তা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিতে প্রেরণ করে।
আলো যখন এর প্রধান মিরর কিংবা প্রাইমারী মিররে আঘাত করে, প্রাইমারী মিররে তা প্রতিফলিত হয়ে একটি সেকেন্ডারি মিররে চলে যায়। সেকেন্ডারি মিরর এই আলোকে প্রাইমারী মিররের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি ছিদ্রে ফোকাস করে, যেখান দিয়ে তা সরাসরি এর সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্টে গিয়ে আপতিত হয়।
প্রায়ই কেউ কেউ টেলিস্কোপের ক্ষমতা সম্পর্কে ভুল ধারনা পোষণ করে যে একটি বস্তুকে ম্যাগ্নিফাই করতে বা বিস্তৃত করতে তা আসলে অক্ষম। কিন্তু তা নয়, মানুষের চোখ যে আলোকে ধরতে পারে না, অর্থাৎ অদৃশ্যমান, সে আলোকেও টেলিস্কোপ সনাক্ত ও বিশ্লেষণ করতে পারে। একটি টেলিস্কোপের মিরর যত বড় হবে, তা তত বেশি আলোকে ধারন করতে পারে ও এর দৃষ্টিসীমাও তত বিশাল হয়। হাবলের প্রাইমারী মিররের আকার ৯৪.৫ ইঞ্ছি (২.৪ মিটার) ডায়ামিটারে। কিন্তু ভুমিতে স্তাপিত অনেক টেলিস্কোপ থেকেও এর আকার অনেক ছোট, যেখানে এদের আকার ৪০০ ইঞ্ছি পর্যন্তও হয়, তবে হাবল এর অবস্থান একে অবিশ্বাস্য দর্শন ক্ষমতা দিয়ে থাকে।
যখনই মিরর কোন আলোকে ধারন করে, হাবল-এর সব গুলো যন্ত্রপাতি একত্রে অথবা স্বতন্ত্র ভাবে এর গবেষণায় ব্যস্থ হয়ে পড়ে। এর প্রতিটি যন্ত্র মহাবিশ্ব কে ভিন্ন ভাবে পর্যবেক্ষণের আদলেই ডিজাইন করা হয়েছে।
আসুন দেখে নেই এর প্রধান প্রধান কিছু অংশের কার্যপ্রণালী-
*The Wide Field Camera 3 (WFC3): এটি একটি শক্তিশালী ক্যামেরা যা ভিন্ন ধরণের আলো দেখে- আল্ট্রাভায়োলেট, দৃশ্য ও ইনফ্রারেড- এর কাছাকাছি। এর রেজুলেশন ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা টেলিস্কোপের অন্যান্য যন্ত্রপাতি থেকে অধিক প্রখর। (WFC3) হাবলের দুটি নতুন সরঞ্জামের একটি, এবং তা "ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক ম্যাটার" গবেষণায় কাজ করে, কাজ করে কিছু স্বতন্ত্র তারকা ও গ্যালাক্সির সন্ধানে।
*The Cosmic Origins Spectrograph (COS): হাবলের আরেকটি নতুন সংযোজন, একটি স্পেক্ট্রোগ্রাফ যা বিশেষ আলট্রাভায়োলেট রশ্মি দেখতে পারে। যা আসলে একটি প্রিজমের মতো কাজ করে, মহাকাশের অনেক ধরণের আলো থেকে স্বতন্ত্র ভাবে সনাক্ত করে। তাতে একটি বিশেষ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবস্থার মতো আছে যা আমাদের বলে সেখানের তাপমাত্রা, কেমিক্যাল অবস্থা, ঘনত্ব ও গতি সম্পর্কে। (COS) আরও হাবলের আলট্রাভায়োলেট ক্ষমতাকে ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং তা ধরে রাখতে পারে প্রায় ৭০ মিনিটের মতো যখন অবজেক্ট কে পর্যবেক্ষণ করে।
*The Advanced Camera for Surveys (ACS): সকল প্রকার দৃশ্যমান আলোকে দেখে, এবং তা পৃথিবীতে অবস্তানকালে একে দেয়া কিছু নির্দেশ অনুসারে কাজ করে। এই Advanced Camera for Surveys (ACS) ডার্ক ম্যাটার ও অনেক দুরের লক্ষ্যবস্তু'র ম্যাপ কষতে কাজ করে, বৃহৎ কোন প্ল্যানেটের খোঁজে ব্যস্থ থাকে, গ্যালাক্সির ক্লাস্টার এর বিবর্তন রহস্য নিয়ে ব্যস্থ থাকে। এই যন্ত্রটি হঠাৎ করে ২০০৭ সালে কাজ করা বন্ধ করে দেয় একটি বৈদ্যুতিক গোলমালের কারনে, কিন্তু ২০০৯ সালে তা একটি নভোচারী টিম মেরামত করে আসেন।
* The Space Telescope Imaging Spectrograph (STIS): একটি স্পেক্ট্রোগ্রাফ যা অতিবেগুনী রশ্মি, কিছু দৃশ্য ও আলট্রাভায়োলেট এর কাচাকাছি রশ্মি কে সনাক্ত করে। ব্লাক হোলের অস্তিত্ব প্রমানে এর অবদান অনস্বীকার্য। এই যন্ত্রটিও ২০০৪ সালে বিকল হয়ে পড়ে, তবে ২০০৯ সালে স্পেস মিশন ৪ তা মেরামত করে দেন।
* The Near Infrared Camera and Multi-Object Spectrometer (NICMOS): হাবলের তাপমাত্রা পরিমাপক সেন্সর। ইহা ইনফ্রারেড আলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখে- যেন তা মেশিনের ক্ষতি না করে। অত্যাধিক গরম হয়ে গেলে তা কুলার সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অন করে মেশিনকে রক্ষা করে।
* The Fine Guidance Sensors (FGS) : একটি বিশেষ ধরণের সেন্সর যা "পর্যবেক্ষণাধিন তারকা"র উপর নজর রাখে তার স্ক্রিনে বন্ধি ( lock) করে, পৃথিবীতে থাকা গবেষকদের সহজ করে দেয় এর তথ্য ও উপাথ্য দিয়ে, যা থেকে তারা তারকার দূরত্ব ও তাদের গতি নিরোপনে ব্যবহার করেন।
হাবলের সবগুলো যন্ত্রপাতি সোলার বা সৌরচালিত ব্যাটারির সাহায্যে চলে। একটি বিশেষ ব্যবস্থায় এই শক্তি বা বিদ্যুতের কিছু অংশ বাঁচিয়ে রাখে টেলিস্কোপ যখন পৃথিবীর ছায়ায় অর্থাৎ আঁধারে চলে যায়, তখন একে জোগান দেয়ার জন্যে।
তথ্য ও উপাথ্য সংগ্রহঃ
এই বিস্ময়কর যন্ত্র কিন্তু সরাসরি পৃথিবীতে ডেটা প্রেরন করেনা।
টেলিস্কোপের এন্টেনা পৃথিবীর নিকটতম একটি স্যাটেলাইটে সব ডেটা প্রেরণ ও গ্রহন করে "হাবল ফ্লাইট অপারেশন" টিমের কাছ থেকে। সেখান থেকে বিশেষজ্ঞরা যেমন ডেটা গ্রহন করে থাকেন, তেমনি এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিস্কোপকে প্রয়োজনীয় কম্যান্ড অর্থাৎ নির্দেশ দিয়ে থাকেন। টেলিস্কোপের আছে প্রধান দুটি কম্পিউটার, যার একটি এই সব কম্যান্ড গ্রহন করে ও অন্যটি এই কম্যান্ড বিশ্লেষণ করে অনান্য সব যন্ত্র কে কম্যান্ড প্রদান করে। দ্বিতীয় কম্পিউটারটি টেলিস্কোপের মেমরি থেকে ডেটা সংগ্রহও করে এবং তা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গ্রাউন্ড স্টেশন অর্থাৎ Goddard Space Flight Center -এ প্রেরণ করে।
Goddard Space Flight Center- এ কর্মরত গবেষকরা।
Goddard Space Flight Center- এ ডেটা সংগৃহীত হবার পর, তা Space Telescope Science Institute (STScI) -এ প্রেরণ করে, যেখানে এই সব ডেটা ট্রান্সলেট করা হয় বৈজ্ঞানিক ভাবে। এর পর তা গবেষণার জন্যে নিরাপদে সংরক্ষিত হয়। হাবল প্রতি সপ্তাহে এই পরিমান ডেটা সেন্ড করে থাকে যে প্রায় ১৮ তা ডিভিডি ডিস্ক পূর্ণ করা যাবে। নভোচারী ও গবেষকরা পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে এইসব ডেটা ডাউনলোড করতে পারেন ইন্টারনেটের সাহায্যে।
সমস্যা ও প্রথম মেরামতঃ
হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবীর কক্ষপথে যাবার পরেই একটি বিষয় ধরা পড়ে যে, কিছু একটা গোলমাল তো ঘটে গেছে। আর তা হলো এর পাঠানো ছবি গুলো একটু বেশই ব্লারি বা ঘোলা, যেমনটা পৃথিবীতে স্থাপিত টেলিস্কোপের বেলায় হয় না।
টেলিস্কোপের প্রাইমারী মিরর অতি যত্ন ও সতর্কতার সাতে, প্রায় পুরো একটি বছর সময় নিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো, তবে কেন এমন হলো? এর কারন ছিল এর আলো প্রতিফলন ক্ষমতা- অর্থাৎ সূর্যের তীব্র আলো এর কিছু বিশেষ যন্ত্রপাতিতে গিয়ে পড়ে আর ফলস্বরূপ ছবি এই রকম আসে।
১ বছর গবেষণার পর একটি সমাধান বের হয়ে গেলো, একটি ছোট মিরর ব্যবহার করা যেতে পারে এর আলোকে প্রতিফলিত করতে। ১১ মাস প্রশিক্ষণ শেষে Corrective Optics Space Telescope Axial Replacement , সংক্ষেপে - COSTAR নামে একটি বিশেষ দল গঠন করা হলো।
সাল ১৯৯৩, ২ ডিসেম্বর, স্পেস শাটল "Endeavor" ৭ জন ক্রু নিয়ে যাত্রা করে পৃথিবীর কক্ষপথে হাবল টেলিস্কোপ মেরামতের উদ্যেশ্যে। ৫ দিনের পরিশ্রম শেষে তারা হাবলে একটি নতুন মিরর দিয়ে প্রতিস্তাপন করতে সক্ষম হন ও সাতে আরও কিছু ছোটখাটো মেরামত করে ৯ ডিসেম্বর ফিরে আসেন।
মেরামতে গঠিত নভোচারী টিম- ১) Andrew J. Feustel, ২) Michael J. Massimino এবং ৩) John M. Grunsfeld -
চলছে হাবলের মেরামত-
এটাই ছিল হাবলের প্রথম কোন মেরামত।
শেষ দর্শনঃ
১৯৯৭ সালের পর, নাসা হাবল টেলিস্কোপের শেষ পর্যবেক্ষণ ও চেকআপের জন্যে সময় নির্ধারণ করে ২০০৬ সাল। কিন্তু ফেব্রুয়ারি ১, ২০০৩ তারিখে, স্পেস শাটল "কলোম্বিয়া" যখন একটি মিশন শেষে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করে, দুর্ঘটনা বশতঃ তা বিধ্বস্ত হয়ে যায় আকাশে। এর পর নাসা'র তৎকালীন মহাপরিচালক "Sean O'Keefe" হাবল মিশন বিরতি ঘোষণা করেন।
২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর, নাসার পরবর্তী মহাপরিচালক- " Mike Griffin" আগের ওই বাতিল করা মিশনের ফাইল খুলেন ও আরও একটি মিশন নির্ধারণ করেন, ২০০৯ এ।
নভোচারীরা সফল ভাবে হাবলের নিয়ন্ত্রিত মেরামত করতে সক্ষম হন। কিছু আধুনিকও বিশেষ যন্ত্রপাতিও সংযোজন করেন।
এরপর আজ পর্যন্ত হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে ৯৪০,০০০ মাইল (১.৫ মিলিয়ন কিমি) উপরে অক্ষত অবস্তায় আছে।
চলুন এখন দেখে নেই তার পাঠানো কিছু চমৎকার ছবি-
১))
এর প্রতিটি প্যানেলে আছে ২,৮০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার সেল বা ব্যাটারি যা থেকে বৈজ্ঞানিক সব যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার ও রেডিও ট্রান্সমিটার চলে।
২))
স্পেস শাটল অতিক্রম করছে হাবল টেলিস্কোপ কে।
৩))
এখানে দেখা যাচ্ছে কিভাবে টেলিস্কোপ মেরামত চলছে। শাটল নভোচারীরা তাদের যান হাবল এর সাতে ঠেকিয়ে রেখছেন, মেরামত করছেন টেলিস্কোপের অপটিক্স COSTAR (Corrective Optics Space Telescope Axial Replacement) ব্যবহার করে। হাবল আয়নার একটি ছবি দেখবেন নীচে।
৪))
বলতে গেলে এই আয়না বা গ্লাস গুলো হাবলের প্রাণ, যা ফটো ধারন করতে লাগে। এখানে প্রাইমারি মিররের একটি ছবি দেখা যাচ্ছে, যা ২.৪ মিটার দীর্ঘ ও ১,৮২০ পাউন্ড (প্রায় ৮২৬কেজি) ওজন। সিলিকা বালি দিয়ে তৈরি এই গ্লাস এবং এর বহির্ভাগে পাতলা এলুমিনিয়ামের একটি আস্তরণ দেয়া আছে অত্যাধিক আলো প্রতিরোধ করতে। ধুলাবালি ও আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির আঘাত থেকে রক্ষা করতে তার উপরে আছে আরও একটি পাতলা ম্যাগনেসিয়াম ফ্লোরাইড এর আবরণ।
৫))
এখানে টেলিস্কোপের প্রধান প্রধান অংশের কার্যপ্রণালী দেখানো হয়েছে। পরের ফটো থেকে আমরা জানবো কি করে তা পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ করে।
৬))
এখানে একটি প্রাথমিক ডায়াগ্রাম দেখানো হয়েছে কিভাবে হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবীতে ডেটা প্রেরণ করে। টেলিস্কোপটি প্রথমে বাইরের সব কক্ষপথ থেকে ডেটা সংগ্রহ করে এবং তার কেন্দ্রিয় স্যাটেলাইটে প্রেরণ করে। কেন্দ্রীয় স্যাটেলাইট সে সব ডেটা বা তথ্য কে পৃথিবীতে প্রেরণ করে, যা Goddard Space Flight Center-এ প্রেরণ করা হয়। পরের ফটো গুলো এই হাবলেরই ধারণকৃত।
৭))
Cone Nebula- ধুলি ও গ্যাস দ্বারা তৈরি এটি। হাবল টেলিস্কোপের শক্তিশালি লেন্স অনেকগুলো গ্যালাক্সির ফটো একসাতে তুলতে সক্ষম। নীচে দেখুন।
৮))
এটা হাবলের ধারন করা অনেক গুলো গ্যালাক্সির ফটো। হাবল কিছু অতি পুরাতন গ্যালাক্সির ফটোও ধারন করে, পরের ছবিতে।
৯))
কয়েক হাজার বা লক্ষ আলোক বর্ষ দুরের কিছু তারকা ও গ্যালাক্সির ফটো।
১০))
এই মোজাইক ফটো টি একটি Crab Nebula। যা ৬ আলোক বর্ষ দুরে, একটি সুপারনভার বিস্তৃতি।
১১))
অনেক তিব্র আলো ও ধুলির মাঝে তুলা এই নেবুলা যা মেঘের মতো দেখতে।
১২))
এগুলো হাবল টেলিস্কোপের ধারন করা কিছু নতুন জন্ম দেয়া তারকা। যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৭,০০০ আলোক বর্ষ দূরে।
১৩))
"নাসা" পুনঃপ্রক্রিয়া শুরু করে এই বিড়াল সদৃশ নেবুলা নিয়ে। যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৩,০০০ আলোকবর্ষ দূরে।
১৪))
মহাশূন্যের অসীমে গ্যাস ও ধুলি ধারা আবৃত তারকা ও গ্যালাক্সি। চন্দ্র-এক্সরে অব্জারভেটরির সাহায্যে তুলা হাবল এর ছবি, যা থেকে ৩,০০০ বছর আগের একটি বিস্ফোরণের সন্ধান পাওয়া যায়।
১৫))
আরেকটি নেবুলা। তবে এটা এত বেশি গ্যাস আর ডাস্ট বা ধুলোবালি তে ঘেরা, যে এখনও এর পরিষ্কার কোন ফটো পাওয়া যায় নি।
১৬))
এই হলো অতি আখাঙ্কিত মার্স বা মঙ্গলের একটি অসাধারণ ফটো। একটি ক্লোজআপ ফটো- যখন এটা প্রায় ৫৫ মিলিওন মাইল= ৮৮ মিলিওন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলো। মঙ্গল পৃথিবী খুব কাছাকাছি আসে প্রতি ২৬ মাসে একবার।
১৭))
হাবলের ২১ তম বর্ষপূর্তিতে এই ফটো তুলে। এই দিনটিকে স্মৃতিময় করে রাখার জন্যে বালটিমোর স্পেস সেন্টারের গবেষকরা একে Arp 273 নামক গ্যালাক্সির দিকে তাক করিয়ে রাখতে সক্ষম হন, যখন এই ফটো টি ধারন করে হাবল।
১৮))
তারকা বিস্ফোরণের মুহূর্তের চারটি ফটো ও একটি সুপারনোভা SN Primo। উপরের ছবি তে নাসা'র বিজ্ঞানীরা এই সুপারনোভা টির বিস্ফোরণের অপেক্ষা করছেন। সাদা ঘর টি দেখায় যেখানে সুপারনোভা টি আগে ছিল। নিচের বায়ের ঘর টির ফটো সুপারনোভা ছাড়া। পড়ে দানে একটি একটি উজ্জ্বল সুপারনোভা।
১৯))
Dwarf planet প্লুটো কে পরিভ্রমণকারি চতুর্থ( ২০০৬ পর্যন্ত) চাঁদ, যা ২০০৬ সালে হাবল আমাদের দৃষ্টিগোচর করে। নাম "P4"।
২০))
"Stingray" নামক নেবুলা এটি। একটি কেন্দ্রীয় উজ্জ্বল তারকা আছে এর। বলা হয় সব চেয়ে তরুন নেবুলা। লাল লাইন গুলো আসলে গ্যাস এর প্রভা, যা কেন্দ্রীয় তারকাটির অধিক ঔজ্জ্বল্যের কারনে জ্বলছে। আমাদের পৃথিবী থেকে ১৮,০০০ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান। গ্যাসের মধ্যে আছে- নাইট্রোজেন (লাল), অক্সিজেন (সবুজ), এবং হাইড্রোজেন ( নিল)।
২১))
বাক্সের ভেতর এটি ব্লাক হোল যার ভর ১০০ মিলিওন সৌর ভরের সমতুল্য। গ্যালাক্সি galaxy M31 এর প্রতিবেশি, নাম Andromeda.।
২২))
এটি Abell 2744 নামের গ্যালাক্সি ক্লাস্টার।
২৩))
Arp 147 নামের ইন্টারেক্টিং গ্যালাক্সি, এমন ভাবে দৃশ্যমান যেন সংখ্যা ইংলিশ সংখ্যা 10 নির্দেশ করছে।
২৪))
এই ছবিটি জুপিটার অ্যারোরা'র পরিবর্তন নির্দেশ করছে। হাবলের দ্বারা এটাই সব চেয়ে পরিষ্কার ফটো পাওয়া গেছে। নিচের দুটি আলট্রাভায়োলেট ফটো দেখাচ্ছে যে কিভাবে জুপিটারের ঘূর্ণন এর সাতে এর অ্যারোরাল ইমিশন ব্রাইটনেস পরিবর্তিত হয়।
২৫))
এই হলো নেপচুন। ১৬০ বছর আগে আবিষ্কৃত এই গ্রহ আজও একই জায়গায় দৃশ্যমান। আমাদের সৌর জগতের সব চেয়ে দুরতম গ্রহ, ২৩ সেপ্টেম্বর- ১৮৪৬ সালে জার্মান জ্যোতির্বিদ " জোহান গেলি" এটি আবিষ্কার করেন। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২,৮ বিলিয়ন (৪,৮ বিলিয়ন কিলোমিটার) মাইলস। ৩০ গুন বেশি উষ্ণ আমাদের পৃথিবী থেকে।
২৬))
হাবলে ধরা পড়া এটি জুপিটারের চাঁদ।
২৭))
প্রায় ২০,০০০ আলোকবর্ষ দূরে ধুলি, গ্যাস আর অসংখ্য তারকা নিয়ে এই নেবুলার অবস্থান। যাদের একটি হচ্ছে এনজিসি ৩৬০৩ নামের অনেক উষ্ণ তারকা।
২৮))
গ্রহাণুর একটি বেল্ট। প্রায় ১৭,৭০২ কিলোমিটার ব্বেগে ধাবিত।
২৯))
এই ছবিটি একটি "UFO galaxy", এর গঠন ১৯৫০ সালে নির্মিত সায়েন্স ফিকশন মুভির স্পেসশিপ, প্রোটোটিপিকাল এর মতো।
৩০))
এই ছবি ১৯৯০ সালের ২৪ শে এপ্রিলের, যে দিন এসটিএস -এ করে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ কে পাঠানো হয় পৃথিবীর কক্ষপথে!
৩১))
হাবল এর ২৩ তম বার্ষিকী উপলক্ষে পাঠানো এই চমৎকার নেবুলা কে বলা হয়- হর্সশেড নেবুলা;
যা আসলেই দেখতে ঘোড়ার মস্তকের মতো-
এই টেলিস্কোপটি নাসা পাঠালেও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো বিজ্ঞানী হাবলকে ব্যবহারের অনুমতি চাইতে পারেন। অভিজ্ঞদের একটা প্যানেল তখন সেখান থেকে যোগ্যতমটি বাছাই করে সেদিকে হাবলকে ঘুরিয়ে সেখানকার ছবি তুলে পাঠান সেই বিজ্ঞানীকে বা সেই বিজ্ঞান মহলকে। প্রতিবছর এরকম বহু আবেদন জমা পড়ে, তবে সেখান থেকে বছরে প্রায় ১,০০০ আবেদন যাচাই করে প্রায় ২০০ আবেদন মঞ্জুর করা হয়, আর সেই আবেদন অনুযায়ী কাজ করতে হাবলকে মোটামুটি ২০,০০০ একক পর্যবেক্ষণ করতে হয়।
আজ এ পর্যন্তই।
ভালো থাকা হোক সবার, নিরন্তর।
----------------------------------------------------------------------------
***এই পোস্ট টি তৈরি করতে সহায়তা নিয়েছি- (Sources / Reference)
spacetelescope.org
nasa.gov
space.nasa.gov
wikipedia
discovery channel
national geographic channel
hubblesite.org
Hubble at NASA
HubbleSite , Space Telescope Science Institute's Hubble pages
Hubble Heritage Project , including a gallery of famous HST pictures
Spacetelescope , ESA's public Hubble pages, including Hubblecast
Hubble data archive at STScI
Hubble data archive at ESA/ESAC
Hubble data archive at CADC
Hubble's current position
* Spacial thanks to my Google colleagues, my friend- Goerge Hamilton miller, M. Philips, Cari Popov ও Google ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
এম হুসাইন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
সায়েম মুন বলেছেন: নাইস একটা পোস্ট। খুব ভাল লাগলো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৫
এম হুসাইন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সায়েম মুন!
শুভেচ্ছা নিবেন।
ভালো থাকুন।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
Sohelhossen বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
এম হুসাইন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা, ভালো থাকুন।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
অসাধারন দুর্লভ সব ছবির সাথে বর্ণনা।
একটা প্রশ্নঃ মেরামতের সময় হাবলের গতির সাথে নভোচারীরা নিজের অবস্থানে স্থির থাকেন কি করে?
পোস্টে প্লাস সহ প্রিয়তে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৮
এম হুসাইন বলেছেন: ভাই দিলেন তো প্যাঁচ লাগাইয়া, এইটা তো আমিও ভাবি নি, তবে কোথাও যেন দেখেছি এ সম্পরকে এভাবে যে-
নভোচারীরা তাদের যান হাবলের সাতে ঠেকিয়ে মেরামত করেন, তখন হাবল কে ধরে রাখে তাদের এয়ারক্রাফট...... কাজ শেষ হলে আবার তার নিজ অক্ষে ছেড়ে দেন......
আমি সিউর না, আপনাকে সিউর হয়ে জানাতে চেষ্টা করবো...
আর + এর জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন, ভালো থাকুন ভাই।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
সমকালের গান বলেছেন: চমৎকার।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২০
এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
ভালো থাকুন।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
এই আমি রবীন বলেছেন:
খুবই চমৎকার!! একসময় অনেক আগ্রহ ছিল।
ধন্যবাদ, + ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩
এম হুসাইন বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা।
অনেক শুভকামনা থাকলো।
ভালো থাকুন ভাই।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দুর্দান্ত পোস্ট। প্রিয়তে সরাসরি।
শেয়ার করলাম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৭
এম হুসাইন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই, তবে দেশের এই অবস্থায় মনটা ভীষণ ভেঙ্গে গেছে... জানাবেন কি হচ্ছে...
ভালো থাকুন।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: ড: হাবলের সাথে আইন্সটাইনের আলাপচারিতা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম।
হাবলের টেলিস্কপ ইউনিভার্সের প্রসারনকে প্রমান করে যেটা আইনস্টাইনকে 'বাধ্য' করে তার কসমোলজিক্যাল কনস্টেন্টকে সরিয়ে নিতে তার থিয়োরী অফ রিলেটিভটি থেকে। (assuming no motion of the universe so counteract the gravity pull that may collapse everything). আইন্সটাইন পরে কসমোলজিক্যাল কনসটেন্টকে তার জীবনের biggest blunder বলে অভিহত করেন। যদিও এখন বুঝা যাচ্ছে যে কসমোলজিক্যাল কনসটেন্ট may represent the dark energy.
Can you comment in this regard?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
এম হুসাইন বলেছেন: You are right...
কারন তখন বাকি সব বিজ্ঞানীদের মতই, আইনস্টাইনও জানতেন না মহাবিশ্বের সম্প্রসারন সম্পর্কে...
In 1917, Einstein was applying his new theory of general relativity to the structure of space and time. General relativity says that mass affects the shape of space and the flow of time. Gravity results because space is warped by mass. The greater the mass, the greater the warp.
But Einstein, like all scientists at that time, did not know that the universe was expanding. He found that his equations didn't quite work for a static universe, so he threw in a hypothetical repulsive force that would fix the problem by balancing things out, an extra part that he called the "cosmological constant."
Then, in the 1920s, astronomer Edwin Hubble, using a type of star called a Cepheid variable as a "standard candle" to measure distances to other galaxies, discovered that the universe was expanding. The idea of the expanding universe revolutionized astronomy. If the universe was expanding, it must at one time have been smaller. That concept led to the Big Bang theory, that the universe began as a tiny point that suddenly and swiftly expanded to create everything we know today.
Once Einstein knew the universe was expanding, he discarded the cosmological constant as an unnecessary fudge factor. He later called it the "biggest blunder of his life," according to his fellow physicist George Gamow.
Today astronomers refer to one theory of dark energy as Einstein's cosmological constant. The theory says that dark energy has been steady and constant throughout time and will remain that way.
A second theory, called quintessence, says that dark energy is a new force and will eventually fade away just as it arose.
If the cosmological constant is correct, Einstein will once again have been proven right — about something even he thought was a mistake.
Hope you got it...... ?
Thanks.
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
চলতি নিয়ম বলেছেন: অসাধারণ +
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
এম হুসাইন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ চলতি নিয়ম।
শুভকামনা।
ভালো থাকুন।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
যোগী বলেছেন:
ড্যুড আপনার এই পোষ্টের সাথে এ্যারোস্মিথের এই গানটা মনে হয় খুব যায়
ফিরে এসে পোষ্ট পড়ে দেখবো
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
এম হুসাইন বলেছেন: ড্যুড...... এরোস্মিত তেমন শুনি না...... তবে এটা ভালো লাগলো, পোস্টের সাতে মানানসই...
আছেন কেমন?
আর হা, একটা ধাক্কা মার্কা মন্ত্যব্য মিস করলাম মনে হয়...
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০
এস বাসার বলেছেন: ভালো লাগলো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
এম হুসাইন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
আশা করছি ভালো আছেন?
শুভেচ্ছা নেবেন।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার একটা পোষ্ট। !!!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
এম হুসাইন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা জানবেন।
ভালো আছেন আশা করি...
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
বোকা ডাকু বলেছেন: দুর্দান্ত! সিমপ্লি দুর্দান্ত ভাই!
বোঝাই যাচ্ছে অনেক সময় নিয়ে করেছেন।
নেবুলা গুলো মারাত্মক।
পোস্টে প্লাস রইল +++++
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
এম হুসাইন বলেছেন: হাহাহা, আসলেই অনেক সময় লেগেছে ।
আমার কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই, আশা করছি ভালো আছেন।
শুভকামনা।
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
পেন্সিল চোর বলেছেন: কয়েকদিন আগে ভার্সিটিতে টেলিকমিউনিকেশান ক্লাসে এই স্যাটেলাইট সম্পর্কে স্যার কিছু কথা বলেছিলেন। আজকে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানা হল। এটি এখন বৃহস্পতির দিকে আছে আর এখনো ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে... খুবই দারুন।
অনেক কষ্ট করে পোস্ট করেছেন বুঝাই যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২
এম হুসাইন বলেছেন: আপনাকে কিছুটা জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
আপনি আমার কষ্ট বুঝলেন ভাই, আপ্নাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো আছেন আশা করি?
শুভেচ্ছা নেবেন।
১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার তথ্যনির্ভর পোস্ট ।
++++++++++++++++++++++++++++
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৮
এম হুসাইন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকুন।
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দারুন পোস্ট! এক শটে প্রিয়তে!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
এম হুসাইন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ৎঁৎঁৎঁ !
আপনার কবিতা কিন্তু চমৎকার!
শুভেচ্ছা জানবেন।
ভালো থাকুন।
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
জ্যাক রুশো বলেছেন: পোস্ট পড়তে পড়তে মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছিলাম
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
এম হুসাইন বলেছেন:
ফিরে যে এসেছেন এটাই ভালো...
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।
১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত !
অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ইয়ে মানে আমার থেকে হাবল ১ মাসের জুনিয়র। :!> :#>
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
এম হুসাইন বলেছেন:
কনকি?
মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকা হোক।
১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: + তবে হাবল রিপ্লেসমএন্ট হিসেবে নতুন টেলিস্কোপ কবে জেমস ওয়েব কবে আসবে? তা তো কয়েক গুন শক্তিশালী হবে তাই না? পত্রিকায় পড়েছিলাম অনেক আগে
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫১
এম হুসাইন বলেছেন: এই বছরের শেষের দিকে নতুন জেমস টেলিস্কোপ লঞ্চ করার কথা ছিল, তবে এখনও নিশ্চিন্ত কোন তারিখ হয় নি......
আর হা, এই নতুন জেমস অয়েব স্পেস টেলিস্কোপ হাবল থেকে অনেক শক্তিশালি হবে...... এটি একটি ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ, এর প্রাইমারী মিরররের আকার বর্ধিত করা হয়েছে, আনা হয়েছে আরও কিছু বিশেষ পরিবর্তন। এ নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে... চেষ্টা করবো...... এটি নাসা ও কানাডার যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে......
মন্তব্য ও + এ অশেষ কৃতজ্ঞতা, ভালো আছেন আশা করি...
২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
এম হুসাইন বলেছেন: আমার প্রিয় মাতৃভূমির এই করুন দশায় আজ সবাইকে উত্তর দিতে দেরি হওয়ার জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি......
পরে রিপ্লাই করছি......এই শোক যেন আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি এই কামনা করছি... বেশি কিছু বলার ভাষা নেই............ আমি মর্মাহত ...
২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫০
নিয়েল হিমু বলেছেন: পরে পড়ব । তবে আমার প্রিয় টপিক তাই প্লাস দিয়ে গেলাম
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
এম হুসাইন বলেছেন:
আইচ্ছা...... না পইড়াই +
ভালা আছুইন?
ভালা থাউক্কা...
২২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৪
মামুন হতভাগা বলেছেন: +++++
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদের সাতে গৃহীত হলো!
শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকুন।
২৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
এহসান সাবির বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে.....
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৯
এম হুসাইন বলেছেন: সরাসরি???
শুভেচ্ছা নেবেন এহসান সাবির ভাই।
ভালো থাকুন।
২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তথ্যবহুল চমৎকার পোষ্ট। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে হাবল টেলিস্পোপ একটি মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
+++
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৬
এম হুসাইন বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই।
ভালো থাকুন।
২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: জেমস মানুষের নাম কেন জানি মনে হচ্ছে, এ কোন দার্শনিক নাকি!
নাকি কোন বিজ্ঞানী?
২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: জেমস মানুষের নাম কেন জানি মনে হচ্ছে, এ কোন দার্শনিক নাকি!
নাকি কোন বিজ্ঞানী?
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৯
এম হুসাইন বলেছেন: যত দূর আমি জানি-
জেমস এডুইন অয়েব - James Edwin Webb, ছিলেন নাসা'র দ্বিতীয় মহাপরিচালক ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত । মেরিন সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট ছিলেন, ছিলেন একজন পাইলটও। আবার তিনি আইন ও পড়েন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে।
সব শেষে যোগ দেন নাসা তে, আর নাসা সংস্থার নামকরনও মনে হয় তাঁরই করা...
নাসা তে তাঁর অনবদ্য কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁর নামে এখন এই টেলিস্কোপ করা হয়েছে- James Webb Space Teliscope বা সংক্ষেপে - JWST ।
২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৬
বৃতি বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো । Samuel Oschin Planetarium এ এর উপর শো দেখেছি । simply mind-blowing ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
এম হুসাইন বলেছেন: Samuel Oschin Planetarium!! সত্যি অসাধারণ...... স্টার প্রজেক্ট...... আর কি জানি দেখিছিলাম কিছু দিন আগে... আসলে এই রকম ডকুমেন্টারি গুলো আমাকে মোহাবিষ্ট করে রাখে...
বর্তমানে ব্রিটিশ প্রোফেসর ব্রায়ান কক্স'এর কিছু ডকুমেন্টারি দেখছি... বিবিসি করেছে.....মুগ্ধ করার মতো...
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন।
২৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০১
এস আর সজল বলেছেন: প্লুটো কে পরিভ্রমণকারি চারটি চাঁদ বিশিষ্ট একটি শ্বেত বামন।
এটা না বুঝি নাই......
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫১
এম হুসাইন বলেছেন: কম করে হলেও ৮০ বার চেষ্টা করে সামু তে লগ ইন করতে পারলাম...... মেজাজ টা যে কি হয়েছে......
যাইহোক- চমৎকার পয়েন্ট ধরেছেন...
২০০৬ এর পূর্বে প্লুটোর তিন টি চাঁদ বা উপগ্রহ সম্পর্কে জানা যায়, কিন্তু ২০০৬ এ হাবল ক্যামেরায় প্লুটোর আরেকটি উপগ্রহ ধরা পড়ে, যার নাম দেয়া হয় - "P4" । যার কারনে এখন প্লুটোর চারটি উপগ্রহ, যথা- Charon, Nix, Hydra ও P4।
অতি সম্প্রতি প্লুটোর আরও একটি উপগ্রহ ধরা পড়েছে, যা নিয়ে যাচাই বাছাই চলছে, আর অগুলোর কথা বলতে গেলে পোস্ট আরও বড় হয়ে যাবে বিধায় বলি নি......
শ্বেত শব্দটি এখানে ভুল ক্রমে এসেছে, এখন সহজ ভাষায় পরিবর্তন করে দিলাম...... প্রুফ রিডিং হয় নি ঠিক মতো তাই... প্লুটো একটি শ্বেত বামন বা White dwarf নয়, তা একটি Dwarf planet প্ল্যানেট।
অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
২৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
শের শায়রী বলেছেন: ভাই কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলাম কারন এত গুলো মৃত্যু।
যা হোক লেখা তো প্রিয়তে। শেয়ার্ড। আর আজ থেকে আপনি আমার লিঙ্কস এ।
ভাল থাকুন ভাই। আপনার লেখাগুলো আমাকে অনেক কিছু শিখাচ্ছে। ব্লগে এসে এটাই আমার সব থেকে বড় পাওয়া।
সময় দিয়ে এত চমৎকার লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
এম হুসাইন বলেছেন: ভাই আমিও এই কারনে সামুতে আসিনা এখন বেশি..... কেমন জানি স্তব্দ হয়ে গেছি এতগুল অপমৃত্যু দেখে...
আর আপনার লিঙ্কে স্থান পাবার মতো আমি মোটেই নই ভাই, আপনার এই সম্মানের কৃতজ্ঞতা আমি শোধ করতে পারবো না...
আরও বেশি লজ্জা দিলেন এই সব আবোল-তাবোল লেখা থেকে কিছু শেখার আছে বলে... এ আমার সব চেয়ে মুল্যবান পাওয়া যে সামুতে এসে আপনার মতো কিছু বন্ধু/ শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি...
অসংখ্য অসংখ্য কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা করছি আপনার জন্যে, ভালো থাকুন ভাই, নিরন্তর।
৩০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
এস আর সজল বলেছেন: সামু মাঝে মাঝে এমন করে, লগইন করা যায় না, লোডহয় না ইত্যাদি ইত্যাদি...
প্লুটোর ৪টা উপগ্রহ সেটা জানতাম আর প্লুটো যে একটা বামন গ্রহ সেটাও জানি। ২০০৬ সালের ওই বিজ্ঞান সম্মেলনের ক্যাচালটা নিয়ে অনেকগুলা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছিলাম। এখন আর আগেরমত সময় পাই না। কিন্তু, ওই লাইনটা পড়ে পুরাই টাস্কিত হইছিলাম। ধন্যবাদ।
নতুনটার নাম P5.
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৫
এম হুসাইন বলেছেন: রাইট পি৫ ওটার নাম... তবে এটা নিয়ে অনেক ক্যাচাল দেখলাম তাই আমি আর ক্যাচাল করলাম না, পোস্ট অনেক বড় হয়ে যেতো......
ধন্যবাদ আবারো। আর এসব বিষয় নিয়ে খুব বেশি লেখা কিন্তু ব্লগে দেখি না, আপনি শুরু করেন না কিছু... ভালই লাগবে...
ভালো থাকুন।
৩১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ পরিশ্রমী একটা লেখা। এমন পোস্ট ব্লগে বিরল। খুবই বিরল। +++++
০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১:২৮
এম হুসাইন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই, আপনাদের অনুপ্রেরণায় আছি আর কি......
কৃতজ্ঞতা সহকারে + গ্রহন করলাম।
শুভকামনা করছি।
ভালো থাকুন ভাই, নিরন্তর।
৩২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২১
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ব্রো পোষ্টে + + +
হর্সশেড নেবুলার কিছু পিকচার আগে দেখেছিলাম সত্যি অদ্ভুত !!!
( হুসাইন কে তো অনুসরন করতেই হয় !!!
)
অ ট - আমার পোস্টে আপনার মন্তব্বের রিপ্লাই দিয়েছি সম্ভব হলে দেখে নিয়েন
০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১:৩৬
এম হুসাইন বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপু।
হর্সশেড নেবুলা আসলেই হাবলের এক অসাধারণ আবিষ্কার...
আর অনুসরন করে তো লজ্জায় লাল করে দিলেন... :#> আবারো কৃতজ্ঞতা জানালাম......
(মন্তব্য দেখলাম...
)
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা করছি।
ভালো থাকুন আপু, নিরন্তর।
৩৩| ০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১২:২৫
আরমিন বলেছেন: দারুন দারুন দারুন !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হাবলের জন্য মন খারাপ লাগতেসে! অসাধারণ পোস্ট টা আগেই দেখেছিলাম, মন্তব্য করা হয়নি! আচ্ছা, বোকার মত একটা প্রশ্ন করি, নেবুলা কি?
আপনার পোস্টের ব্যাপক ফ্যান আমি !
০১ লা মে, ২০১৩ রাত ২:০৮
এম হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ
হাবলের জন্যে আমারও মন খ্রাপ...... তবে নতুন জেমস টেলিস্কোপ টি হবে অনেক শক্তিশালি... ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ, তাই আশা করছি হাবল থেকে সে আরও বেশি কিছু আমাদের উপহার দিতে পারবে...
আর প্রশ্ন করায় কিন্তু অনেক খুশি হয়েছি... যদিও জানি না আপনাকে বুঝাতে পারবো কি না...
"নেবুলা এসেছে ল্যাটিন শব্দ থেকে, বাংলায় একে আমরা নীহারিকা বলে থাকি।
নেবুলা হলো তারকা জন্মের প্রাথমিক পর্যায় বা অবস্থা।
স্পেস অর্থাৎ মহাশূন্যে অভিকর্ষের টানে গ্যাস ( যেমন- হাইড্রোজেন, হিলিয়াম), প্লাজমা, ধুলি মেঘ ( ডাস্ট ক্লাউড) একত্রিত হতে থাকে, একসময় একটি আকৃতি লাভ করে, ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে, আর অভ্যন্তরে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার পর্যায় শুরু হয়......
নিউক্লিয়ার ফিউশন তৈরি করতে প্রয়োজন অত্যাধিক চাপ ও উত্তাপ। অভিকর্ষের চাপে এর আভ্যন্তরীণ বস্তুকে শক্তি তৈরি করতে বাধ্য করে। তখন চারটি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস মিলে একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস তৈরি করে, যা থেকে তৈরি হয় আরও দুইটি পজিট্রন ও দুইটি নিউট্রিনো, আর নির্গত করে কিছু শক্তি।
এই বিক্রিয়ার তাপে তা অত্যাধিক উজ্জল হয়ে উঠে, যাকে আমরা তারকা বলে থাকি।
এক সময় এর আভ্যন্তরীণ ফুয়েল অর্থাৎ হাইড্রোজেন জ্বালানি শেষ হয়ে যায়, যে সব তারকার ভর ৮ সৌর ভরের সমান বা বেশি, তা সুপারনোভা হিসেবে বিস্ফোরিত হয়, আর যাদের ভর কম, তারা বিস্ফোরিত না হয়ে একটি শ্বেত বামন রুপ নেবে।
আশা করি বুঝাতে পেরেছি?
ধন্যবাদ ও আবারো।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ভালো থাকবেন কিন্তু।
৩৪| ০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১২:২৫
আরমিন বলেছেন: ও পোস্ট কিন্তু প্লাসায়িত করেছি!
০১ লা মে, ২০১৩ ভোর ৪:১৪
এম হুসাইন বলেছেন: আমি আঁচল......
মানে পকেট পেতে নিলাম প্লাস
পোস্টের ফ্যান জেনে হাসলাম, এই সব কি লেখা বা পোস্টের আওতায় পড়ে?? একদম না......
তবুও কৃতজ্ঞতা আবারো।
শুভকামনা।
৩৫| ০১ লা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
আরমিন বলেছেন: ৩৩ এর উত্তর প্রসংগে,
বুজেছি এবার, না বুঝে উপায় আছে? টিচার ভাল তো !
নীহারিকা শব্দটির সাথে পরিচিত ছিলাম, নেবুলার সাথে নয়!
অনেক ধন্যবাদ!
শুভকামনা নিরন্তর!
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:১৭
এম হুসাইন বলেছেন:
ভালো থাকা হয় যেন, নিরন্তর।
৩৬| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:০২
এস আর সজল বলেছেন: সামুতে এগুলা নিয়ে লেখার অনেক ইচ্ছা ছিল কিন্তু সামুর যা অবস্থা!!! হিট খাওয়ার ধান্দায় বিতর্কিত দের আশ্রয় দেয় মডুরা আর প্রথম পাতা জুড়ে থাকে ফ্লাডিং। তাই সামুতে লেখা বাদ দিয়ে দিছি।
প্লুটোর ওই ক্যাচালটা নিয়ে তখন "সায়েন্স ওয়ার্ল্ড" ম্যাগাজিন চমৎকার কিছু প্রতিবেদন দিছিলো। তখন ইত্তেফাক আর পুত্তুম আলুও ভালো কয়েকটা লেখা দিছিলো। আমার কাছে সে কপিগুলা এখনো আছে।
০৩ রা মে, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
এম হুসাইন বলেছেন: আপনার ক্ষোভ যথার্থ......
তবে সামুতে সকল প্রকার লেখার ভক্ত আছেন, আপনি কারো পরোয়া না করে নিজের মতো লিখে যান...
আর সামুর মডারেশন প্রশ্ন বিদ্ধ...... বলার অপেক্ষা রাখে না......
তাই আশা করবো আবার আমাদের কিছু চমৎকার লেখা উপহার দেবেন...
শুভকামনা করছি, ভালো থাকুন।
৩৭| ০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাই আপনাকে আমার মেয়ে আর ছেলে সালাম জানাইছে, আর বলছে, থাঙ্কু মামা ......
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:০৯
এম হুসাইন বলেছেন: বলেন কি আপু......
সালাম নিলাম, তাদেরকেও স্বাগতম। আমার এই সব লেখা যে ওরা পড়ে, এটা আমার জন্যে অনেক কিছু, অনেক বেশি কিছু পাওয়া......
ভাগ্না- ভাগ্নি কে বলবেন তাদের আইসক্রিম/চকোলেট আমার কাছে পাওনা থাকলো... দেখা হলে ইনশাল্লাহ দিয়ে দেবো...
অনেক অনেক শুভকামনা করছি ওদের জন্যে, অনেক বড় হোক তারা... ।
কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু।
ভালো থাকুন।
৩৮| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব বেশি বোঝে না , তবে আগ্রহ আছে তো ...
ছবি গুলো পছন্দ করছে, আর বাংলায় লেখা যেহেতু আমি একটু বুঝায়ে বলছি ......।
অনেক ধন্যবাদ ওদের পক্ষ থেকে আমিই দিলাম ...
আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন ......।।
১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
এম হুসাইন বলেছেন: ৬ দিন পর সামু তে লগ ইন করতে পারলাম, কোন পাস দিয়ে যে লগ ইন করেছি তাও জানি না...
তাই উত্তর দিতে দেরি হলো আপু...
হুম, এসব বুঝার জন্যে ওদের বয়স একটু কমই...... আগ্রহ আছে জেনে খুশি হলাম......
আবারো ওদের জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো...
ভালো থাকুন আপু।
ধন্যবাদ।
৩৯| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বোকামন বলেছেন:
পোস্ট সম্পর্কে পরে লিখছি ভাই ....
আপনি কেমন আছেন ভাই ?
আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আমাদের বোন রেশমার জন্য ....
আলহামদুলিল্লাহ
(অট না লিখে পারলাম না, মন্তব্য পড়ে ডিলিট করে দিবেন)
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৫
এম হুসাইন বলেছেন: আল্লাহ্ পাকের অসংখ্য শুকরিয়া ভাই, আমাদের বোনটি যে বেঁচে আছে......
আলহামদুলিল্লাহ্ ভাই ভালো আছি, আশা করছি আপনিও ভালো?
(অট জিজ্ঞাস্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই, থাকনা মন্তব্য, এসব যে আমার অনেক বেশি কিছু পাওয়া আপনাদের কাছে থেকে...) শুভেচ্ছা জানবেন......
৪০| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩২
বোকামন বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় এম হুসাইন ভাইজান,
সল্পজ্ঞানের একজন পাঠক হয়ে আপনার মূল্যবান পোস্টে কী মন্তব্য করবো ভাবছিলাম। কাজটা সহজ করে দিল ৩১ নং মন্তব্য। যথার্থই ....
পোস্টখানা পড়ার সময় ছবিগুলোর প্রতি কেীতহূলী দৃষ্টিছিল একজন অতি ক্ষুদে পাঠকের। তার পক্ষ থেকেও ভালোলাগা জানবেন । যদিও তাকে বুঝাতে বুঝাতে আমি .... .... ........
ভাই আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন.... চমৎকার চমৎকার পোস্ট আমাদের উপহার দিতে থাকুন সেই কামনায়
আস সালামু আলাইকুম
(আপনার ব্লগের জন্য কোন ফেসবুক আইডি আছে ভাই? তাহলে সবসময় কানেক্ট থাকা সম্ভব হবে )
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
এম হুসাইন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম, শ্রদ্ধেয় বোকামন...
আপনাদের অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসায় এই ভুল/শুদ্ধ কিছু একটা পোস্ট করার চেষ্টা করি মাত্র... আর বিনিময়ে পাই আপনাদের মতো কিছু ভাই/বোনের অশেষ কৃতজ্ঞতা আর অনুপ্রেরণা......।
আর আমার ক্ষুদে পাঠককে আমি চিনে ফেলেছি, উনার জন্যে অনেক অনেক অনেক শুভকামনা ও দোয়া থাকলো, জানিনা আল্লাহ্ কবুল করবেন কি না...
আমি কল্পনা করলাম এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম একটি সুন্দর দৃশ্য- "আপনি ওকে কোলে বোঝাচ্ছেন...... আহ... "
এক সময় আমিও এই রকম অনেক সপ্ন দেখতাম...... মনের ক্যানভাসে অনেক ছবি আঁকতাম...... কল্পনার রঙে...... ঐ সব আজ...... থাক ঐসব কথা......
ক্ষুদে পাঠকের জন্যে আবারো অগণিত শুভকামনা ও দোয়া থাকলো... অনেক অনেক ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আপনি, আপনার সকল প্রিয় জন...
কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০০
এম হুসাইন বলেছেন: দুঃখিত ভাই, আগের মন্ত্যবে বলতে ভুলে গেছি, ফেসবুকে আপনাকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করছি...... হয় তো দেখছি আপনাকে......
ধন্যবাদ আবারো।
৪১| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪০
এহসান সাবির বলেছেন: সালাম ভাই, ১৪ দিন পর সামু তে লগ ইন করতে পারলাম, কোন পাস দিয়ে যে লগ ইন করেছি তাও জানি না...
View this link
১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
এম হুসাইন বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাই, আমি ৭ দিন পর লগ ইন করতে পারলাম...... তবে দুঃখিত আপনার দেয়া লিঙ্কটা কাজ করছে না, তাই দেখতে পারছি না...... লিঙ্কটা একটু চেক করে দিলে হয়তো দেখতাম কি শেয়ার করেছেন......
৪২| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
এরিস বলেছেন: সাধারণ পোস্ট। ছবি দেখতে দেখতে কোথায় চলে গিয়েছিলাম। কাছে থেকে দেখতে ইচ্ছে করে খুব। প্রিয়তে নিয়ে গেলাম। মাঝে মাঝেই হারিয়ে যেতে পারবো। ভালো থাকুন। অনেক অনেক ভালোলাগা।
২৮ শে মে, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫
এম হুসাইন বলেছেন: অগণিত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা এরিস।
আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা।
দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্যে দুঃখিত।
শুভকামনা থাকলো, ভালো থাকুন, নিরন্তর।
৪৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
এরিস বলেছেন: দুঃখিত। অসাধারণ পোস্ট। জানিনা কেন প্রথম বর্ণটা ২ বার করে টাইপ করা লাগে। বড় একটা ভুল করেছি। আশা করি বুঝে নেবেন। আবারো দুঃখিত।
২৮ শে মে, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
এম হুসাইন বলেছেন: আরে...... দুঃখিত হবার কোন কারন নেই... বুঝতে পারছি... আমারও এমন হয় মাঝে মাঝে...
আবার ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো।
৪৪| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:২২
নিষিদ্ধ আমি বলেছেন: সো সরি----- Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
প্যাপিলন বলেছেন: nice post ++