নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
শিরোনাম পড়ে খারাপ লাগল ? স্বাভাবিক। কিন্তু আমার মনে হয়, ব্যাপারটা পুরোপুরি না হলেও অনেকটা সত্য। নিশ্চয় এখন মনে মনে যুক্তি খুঁজতে নেমেছেন। আচ্ছা আমি বলছি এক এক করে।
১. ধুরুন আপনি একজন চাকরিজীবী মহিলা। কাজেই প্রথমত একজন পুরাদস্তুর গৃহীনির মত আপনার হাতে সময় নেই সংসার দেখার, কিংবা বাচ্চা কাচ্চাকে দেবার মত সময়। ওরা শিখবে না কিভাবে পুরোন দিনের রুচিকর রান্না করতে হয়। ওরা শিখবে না কিভাবে নকশি কাঁথা বুনতে হয়, কিংবা সয়েটার বুনতে হয়। মায়ের মুখে গান শুনতে শুনতে বা রুপকথা শুনতে শুনতে ঘুমানোর ভেতর যে মমতা, আদর, একটা হ্রদ্যতা সেটার স্পর্শ ওরা কখনই পায় না। হাঁটা শিখলেই স্কুলে পাঠাচ্ছেন। বড় হচ্ছে ফার্মের মুরগির মত।
দারুন না?
২. ধরুন আপনি একজন উচ্চশিক্ষিত। ক্যারিয়ার নিয়ে খুব ব্যস্ত, চিন্তিত। মাঝে মাঝে নাইট ক্লাবে যান। হাই সোসাইটির নামে উগ্র মডার্ন নাদান ছেলেমেয়েদের সাথে আপনার সখ্যতা। ভাল কি মন্দ বিচার করার সময় নেই। শুধু এগিয়ে যেতে হবে। আপনি বাংলা, মায়ের ভাষা, ভাল বলতে না পারেন, ইংরেজী শেখার জন্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল যান বা বাচ্চাদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ান। আপনার বাচ্চারা কখনও কবিতা লেখেনা, ছন্দমিলিয়ে বাংলায় কথা বলতে পারে না। আদর মেখে বলে না, মা, মা মনি..... বলে মাম্মি, মম.... ভাল না ? ভাল তো...
৩. বৈশাখ আসলেই পান্তা ইলিশ থেতে হয়। আর সারা বছর ফাস্ট ফুড। ভাবতেই ভাল লাগে। এখন উঠতি বয়সের ছেলেরা লুঙ্গি পড়তে চায় না, পড়ে থ্রি কোয়াটার প্যান্ট। মেয়েরা গায়ে একটা টি সার্ট বা গেন্জি , চোট ফ্রগ দিয়ে চালিয়ে নেয়। সৃজনশীল শব্দটা এখন পারফর্ম এর সাথে মিশে গেছে। ওরা নীল আকাশে কখনও ঘুড়ি ওরায়নি, তবে ছবি দেখেছে টিভি তে। পাঁচ বছর বয়সে প্রোগ্রামার হয়, হার্ড কোর গেমার হয়, কিন্তু একটা শিশু জানে না গোল্লাছুট কিভাবে খেলতে হয়। আফসোস...
৪. বৈশাখের কথাই যখন আসলো, তখন আর একটা কথা বলি। আমাদের সংস্কৃতির ইতিহাস এটা বলে না যে, রঙ মেখে সং সেজে এক পাল্লা শাড়ি পড়ে, কপালে বড় লাল টিপ, ঠোটে কড়া লিপিস্টিক দিয়ে রাস্তায় রাস্তার নেচে বেড়ান হল বাংলার বৈশাখ। কিন্তু এটা এখন আমাদের বৈশাখ। মিডিয়া সেভাবে তুলে ধরছে। আমাদের কেউ কেউ ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে কে কোন এক বৈশাখী অনুষ্ঠানে নিয়ে, তার গালে আলপনা আঁকিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু কেন? আমরা রোড স্কেচ করি ... কিন্তু কেন? হাতি ঘোড়া, মুখোস বানিয়ে মিছিল করছি, কোথায় ছিল এসব?
৫. এবার পুরাদস্তুর গৃহিনীর কাথায় আসি। টিভি হল তার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। হিন্দি বা কলকাতার বাংলা সিরিয়ার না দেখলে পেটের ভাত হজম হয়না। বাংলা চ্যানেলগুলোর কোন খোঁজ খবরই রাখে না। কোন ইন্ডিয়ান শাড়ি চল্ উঠেছে, সেটা কালেক্ট না করলেই না। মাঝে মধ্যে হিন্দি ভাষায় আলাপও জমে ওঠে। পরিচিত ভাবিদের সাথে আলাপ চলে কার সন্তান কেমন হিন্দি বলতে পারে, কে ঝুম্মাচলের ডান্স দিতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি...
৬. একটা ভংঙ্কর কথা বলি। গোপন প্রেম, পরিনয় এই সব আগেও ছিল। তবে সীমিত। এখন বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় এর অবস্থা ভয়ঙ্কর। এখন লিভটুগেদার শব্দটা উচ্চারণ করতে, যারা করছে, তাদের বেশির ভাগেরই বাধে না।
আজকের সীমিত সুবিধার কথা ভেবে, আগামী সময়, সংস্কৃতি এসবকে পরক্ষ বা প্রত্যাক্ষভাবে ধ্বংস করার কোন অধিকার কারও নেই।
নাটক সিনেমার কেউ কেউ হয়ত বলবেন, অধিকার কেউ দেয় না, আদায় করে নিতে হয়। তবে আমার কথা হল, সেটা সব ক্ষেত্রে ঠিক না। আজকে হয়ত ফলাফল হাতে পাবেন না, আজ থেকে ২০ বছর পর বুঝবেন।
ভাল থাকুন সবাই...
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
অন্য কথা বলেছেন: +++++
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
অন্য কথা বলেছেন: মেয়েরা নয় ... হবে এখনকার পিতা-মাতারা ।
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
অদ্ভূতছেলে বলেছেন: হুম এখনকার পিতা-মাতারা
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১২
কলাবাগান১ বলেছেন: মেয়েদের পড়ালেখা শিখা উচিত না আর শিখলেও চাকরী করা উচিত না...। শুধু ঘর-সংসার... কি বলেন.........