নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
কাজ নাই তো খৈঁ ভাজ। সারা সিলেট শহরে এখন পুলিশ + ট্রাফিক সার্জেন্টদের এই অবস্থা। রাস্তার প্রতি বড় বাঁকে বাঁকে পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। আজ আমি ডাক্তারের কাছে চেকআপ করতে গিয়ে রাস্তায় চারবার পুলিশের সার্চের খপ্পরে পড়েছি। তার উপর নতুন আইন শুনলাম, "এক মটর সাইকেলে নাকি এক জনই চড়বে, কোন প্যাছেন্জার থাকার নিয়ম নাই"।
আমি ভাই এই আইন এই প্রথম শুনলাম। আপনারা যদি কেউ জানেন তবে আমাকে শেয়ার করুন।
মজার ঘটনা ১.
পুলিশ: কাগজপত্র আছে?
আমি: জি সাথে আছে
পুলিশ: দেখান।
একটুপর বলছে: কি ব্যাপার রেজিস্ট্রেশান পেপারের কালার অন্য রকম কেন?
বললাম: আমি কিভাবে বলব। যারা দিছে তারা জানবে।
তখন বলল: আপনাকে তো কেস নিতে হবে। আমি বললাম : কেন? কি সমস্যা?
আপনার কাগজে তো ঘাপলা মনে হচ্ছে। আমি বললাম: ঠিক আছে দেন। আমি বিআরটিসি এগিন্সটে কেস দিব।
তারপর কোন কথা না বলে জিঞ্জেস করল: আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখি? ভিআইপি রোড়ে চলেন, সব তো ঠিক থাকতে হবে।
তো আমার লাইসেন্স দেখে বলল : ঠিক আছে জান।
মজার ঘটনা ২.
পুলিশের সিগনাল পেয়ে থামলাম। এগিয়ে এসে বলল: দুজন বাইকে চড়া যাবেনা। একজন নামেন। আমি তো পুরা হাঁ হয়ে গেলাম। তারপর বললাম, কোন সমস্যা হয়েছে আশেপাশে?
পুলিশ: জ্বি না। এটাই আইন। পালন করেন। আর কোন সমস্যা নাই।
সামনে গিয়ে পিছনে আবার পিলো প্যাছেন্জার তুললাম। শাহী ঈদগাহ পয়েন্টে আবারও ধরল। একই ঘটনা । এবার আমি বললাম, আমি তো জানি তিন জনে মটর বাইক চালনোর নিয়ম নাই।
পুলিশ: আপনি ভুল জানেন। দুজনে চালান যাবে না। একজন নামেন। বেশি প্রবলেম হলে, দূরে গিয়ে চড়েন। তবে আজ পুলিশ দেখলেই আপানাকে আটকাবে।
কি যে পেইন এখন সিলেটে বাইক চালান তা ভাষায় বোঝান যাবে না। গত দুই সপ্তাহ হলে পুলিশ + ট্রাফিক সার্জেন্টদের এক্সট্রা লেজ গজাইছে। বাইক চুরি গেলে কিছু করতে পারে না। আবার হেলমেট সু পড়া বাইকারদের ধরে ধরে ভাব মারছে।
©somewhere in net ltd.