নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবচেয়ে বাজে সিটি কর্পোরেশন হল সিলেট

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৭

সম্পূর্নই ব্যক্তিগত অভিমত। কারন আমি ভুক্তভোগী। এমন একটি শহর যেখানে আসলে প্রশাসনে কি যে চলে বলা কঠিন।
এখানে কোথাও কোন ট্রাফিক সিগনাল লাইট নেই। পাড়ামহল্লায় সিটি কর্পোরেশান কর্তৃক ময়লা নিষ্কানের স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। নেই বাজার নিয়ন্ত্রন কমিটির তদারকি। আর অন্যান্য নাগরিক সুবিধার কথা বাদই দিলাম। অথচ এটি একটি পর্যটন শহর।


১. ট্রাফিক সিগনাল: পুরো শহরে একটিও সিগনাল লাইট নেই। খুব মজার ব্যাপার। আছে লাখ লাখ স্পিড ব্রেকার। দু-এক ইঞ্চি উচু ৩ -৬ টা পর পর। যেগুলো দু চাকা বা তিন চাকা ছাড়া আর কোন যানবাহনে ঝাকি তৈরী করে না। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে বড় যানের জন্যে।

স্পিড ব্রেকার গুলো কার নির্দেশে হয়, কোন ডিজাইনের আওতায় হয় জানি না। আমি লক্ষ্য করেছি, ওয়ার্ড কমিশনার, মেমবার, চেয়ারম্যান, বিলনিয়ার গন্যমান্য ব্যক্তি, প্রাইভেট স্কুল, মসজিদ, প্রাইভেট ক্লিনিক এমনকি যে বাসায় দু তিনটি গাড়ি আছে সেখানে অবশ্যই আছে। পিচ ঢালায়ের সময় আসলে কি হয় জানি না, শ্রমিকরা কারও নির্দেশে করে দেয়। যদি না হয় তবে ব্যক্তি উদ্যোগেও করে নেয়। কোন সাদা দাগ দেয়া হয় না বা সাইন বোর্ডে স্পিড ব্রেকার নির্দেশ থাকে না।

মেইন রোড থেকে পার্শ রাস্তা প্রবেশের জন্যে আগে গ্যাপ ছিল। মরার উপর খাড়ার ঘা হল, লোহার পাইপ দিয়ে এসব গ্যাপ বা ফাকা মুখ গুলো বুজে দেয়া হয়েছে। কোন আবুল ইঞ্জিনিয়ার কত টাকার বিনিময়ে এরকম আহাম্মক কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে সেটাই প্রশ্ন। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, ওসমানী মেডিক্যালে যখন আগে কোন এ্যাম্বুলেন্স সহজে সংযোগ সড়ক দিয়ে দ্রুত রুগি নিয়ে আসতে পারত, সেখানে এই পার্শরাস্তার মুখগুলে বুজে দেওয়ায় ৫ থেকে ১০ মিনিটের পথ ঘুরে আসতে হয়। একটা সিরিয়াস রুগির জন্যে ২ মিনিট অনেক দীর্ঘ সময়। তারউপর সংযোগ সড়ক মুখ বন্ধ করায় জ্যাম আরও বেড়েছে এবং এটা আমার কথা নয়, এটা দৃশ্যমান।

শহরের ট্রাফিক সার্জেন্টদের দেখি শুধু সেই সব রাস্তার মোড়ে যেখানে বাস বা ট্রাক থেকে চাঁদা তোলা যায়। কোন ভিডিও ক্লিপ দরকার হবে না। স্বচখেই দেখা যা্য়। এখানকার সার্জেন্টরা অনেক কন্ফিডেন্ট। তারা ওপেন জায়গাতেই এসব করে। কিন্তু তাদেরকে কখনই দেখবেন না যে সব পয়েন্টে সব সময়ই জ্যাম লাগে।


২. ডাস্ট বিন: এই সপ্তাহে দেখলাম শহরের প্রধান কয়েকটি পয়েন্টে ছোট ছোট ড্রাম দেয়া হয়েছে ময়লা ফেলার। যেগুলো ময়লায় উপচে পড়ছে। এর আগে এটুকুও ছিল না। পাড়া মহল্লার মানুষ হয় ব্যক্তি উদ্যোগে ভ্যান গাড়ি ব্যবস্থা করে আর না হয় ড্রেনে ফেলে। শহরের ভেতরে দিয়ে বড় বড় ড্রেন, যেগুলো আসলে পাহাড়ি ছড়ার পথ যা সুরমা নদীতে গিয়ে পড়েছে। এখন সেগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরে ১ ঘন্টার হালকা বৃষ্টিতেও রাস্তা উপচিয়ে পড়ে।


৩. বাজার মনিটরিং: শহরের এক বাজারে থেকে অন্য বাজারে আকাশ পাতাল ভিন্নতা পন্যের দামে। এমন কোন ডেট এক্সপারেড পন্য এখানে নেই যে বিক্রি হয় না। খেয়াল করে দেখিয়ে দিলে, বলবে যে এটা কম্পানি দিয়ে গেছে। তারা জানাবে। মাছের বাজার সবচেয়ে ভয়াবহ। লন্ডনীরা ঠকে সবচেয়ে বেশি। ২০০ টাকার মাছ ১০০০ টাকাতেও বিক্রি হয়। লন্ডনের তুলনায় হয়ত তেমন হের ফের হয় না দামে, কিন্তু পরে জানতে পেরে আফসোস করে। দেখার কেউ নেই। এখানে মাছে বরফ খুব কমই ব্যবহার করে। প্রচুর ফরমালিন হয়ত ব্যবহার করে, আমার ঠিক জানা নেই। কিছু দিন আগে পিরহানা মাছ বিক্রি হতে দেখলাম আম্বরখানা বড় বাজার + মদিনা মার্কেট এলাকায়।

ইরি ধানের চাল মিনিকেট বলে বিক্রি হয়। চিকন কোন চালে স্প্রে করে কালি জিরা বলে চালান হয়। গুড় কিনে খাবার বানালে তিতা লাগে এমনকি হাতে ঘুসলে হাত জ্বলে, খেলে পেট খারাপ হয়। শুটকির বাজারে একটি মাছিও দেখা মেলে না। খেলে পেট খারাপ করে।

থানায় গেলে বিনে পয়সায় জিডি লেখা হয়না। চা পানির টাকা দিতে হয়। ওসমানি মেডিকেলে জরুরি বিভাগে রাত্রিকালিন শুধু একজন ইন্টার্নী ডাক্তার থাকে। রুগি ভয়ঙ্কর অবস্থায় থাকলে আরও গড়িমসি করে, যাতে চিকিৎসা শুরুর আগেই মারা যায়। এটা সই কর, তো ওটা কর, পুলিশ কেস নাকি অন্য কিছু ? রুগি না দেখেই কাগজ কলম নিয়ে বসে, কোন ফাইল কোন জায়গায় আছে সেটা খুজে পাবে না, কলম পাবে তো, তার স্হেটিস্কপ পাবে না। অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে তো পাইপ নেই। তুলা আছে তো ডেটল নেই। সুতা আছে তো সুই নেই। সব শেষে সেই ইন্টার্নি ডাক্তারের যদি কাপাকাপি শুরু হয় তো সিনিয়র কোন ভাই বা ক্লাসমেট কে ফোন দেয়। সে হয়ত তখন চোখ ডলতে ডলতে ডেস্কে এসে পুরো গল্পটা আর একবার শুনবে। এই হল জরুরি বিভাগের ১ থেকে ২ ঘন্টা কমন গল্প।

দেখার কেউ নেই।


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২২

মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) বলেছেন: বাহ! দারুণ কথা..............

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫২

অপলক বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৭

পলাশমিঞা বলেছেন: আপনার সাথে একমত। দেখার কেউ নেই কিন্তু কথা বলার লাখ লাখ মানুষ আছে।

পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

অপলক বলেছেন: সুরমার ড্রিঙ্কিং ওয়াটার কম্পানির কাছ থেকেও নাকি এখন পুলিশ চাঁদা নিচ্ছে। পরিমান টা এত যে, প্রতি জারে ৫ টাকা করে মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে। আর এই মূল্য বাড়িয়েও তাদের লস হচ্ছে। যাদের কাছে চাঁদার জন্য বিচার চাইবে, তারাই চাাঁদবাজ। বোঝেন অবস্থা।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩১

কালীদাস বলেছেন: এগুলো তো সারা বাংলাদেশের সব মিউনিসিপালিটিরই কমন সমস্যা। সিলেটবাসীকে কেউ আলাদা করে পেইন দিচ্ছে না।

ট্রাফিক সিগনাল লাইট দিয়ে কি হবে? এই যে ঢাকায় কোটি কোটি টাকা দিয়ে সব সিগনাল লাইট রিপেয়ার করা হয়েছিল বিএনপির আমলে, আজ পর্যন্ত কয়দিন সেটা ইউজ করা হয়েছে ইফেক্টিভলি? ম্যানুয়েল ট্রাফিক কন্ট্রোল সিসটেমে এই জিনিষ থাকা না থাকা সমান।

লাস্ট যেবার সিলেট যাই, কে জানি বলেছিল এই খাউজানি টাইপ স্পিডব্রেকার নাকি আইএমএফের ডিসিশনের ফসল। যেই এই বুদ্ধি দিয়ে থাকুক না কেন, তার মাথায় সিরিয়াস সমস্যা আছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০০

অপলক বলেছেন: ভাইরে ভাই। পুরা শহর মটর বাইকে একবার চক্কর দিয়ে আসলে মাজা ব্যাথা হয়। রাস্তা খারাপের জন্যে যত না ঝাকি হয়. যেখানে সেখানে স্পিড ব্রেকার দেবার জন্যে তার চেয়ে বেশি ঝাকি খেতে হয়।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই ঢাকারও একই অবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.