নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুদের পুলিশী নির্যাতনের বিচার হোক...

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

স্কুল লেভেলের যে কোন ছাত্রই ১৮ বছরের নিচে। তাদের গায়ে লাঠি পেটা, বুট দিয়ে লাথি মারা, হাত পা ভেঙ্গে দেয়া ... এসবের সাহস / অধিকার এই সবুজ পোশাকের সরকারী লোকগুলো পায় কোথায়? কার নির্দেশে এসব করা হল? কেন করবে?

# আইন নিজের হাতে তুলে নেবার অধিকার কারও নেই
# শাস্তি দেবার অধিকার পুলিশের নেই
# শিশু নির্যাতন বা শান্তিপূর্ন আন্দোলনে লাঠি চার্জ করার আইনী অধিকার পুলিশের নেই
# অপরাধের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ফিরিয়ে দেবার অধিকার নেই, সেটা যে কোন উপায়েই হোক

পুলিশরা একবারও ভাবলো না, যে সে যেভাবে ছাত্রদের পিটাচ্ছে তার সন্তানকেও অন্য পুলিশ হয়ত পেটাচ্ছে? আমি সাধারন মানুষ। আমি আমার দেশের আইন কে সম্মান করি। আমি শিশু শিক্ষার্থীদের পুলিশী নির্যাতনের বিচার চাই... অন্য ভাইদের বলছি, আজ আপনার শিশু মার খেয়ে জুরুরী ইউনিটে ভর্তি হয়নি, কাল এই পুলিশদের নির্যাতনে আপনার সন্তান/ভাই বোন যন্ত্রনায় কাতরাবে না তার নিশ্চয়তা কি?

৫ জন ছাত্র ছাত্রী মারা গেল, ৯ জনের হাত পা ভাঙল, প্রায় ১৫০ জন লাঠি চার্জে হসপিটালাইজড হল, তারপরেও সব মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীরা চুপ? এটা তো জাতীয় সংসদের অধিবেশনের টপিকস হওয়া উচিত। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে দু:খ প্রকাশ করা উচিত। সেখানে মন্ত্রী শাহজাহান শুধু বলছেন, তার ৩২ পাটি দাঁত বের করে সংবাদ সংমেলন করা নাকি অনাকাঙ্খিত। মন্ত্রী ওবাদুল কাদের বলছেন, ছাত্ররা শান্ত হও। সুবিচার পেলে তো, মুখ দিয়ে বলতে হবে না / কাউকে আহ্বান করতে হবে না যে তোমরা শান্ত হও। সোজা কথা...

আমার মতে শুধু ভোটে জিতলেই হবে না। বাধ্যতামূলকভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন কি না সেটাও মেডিকেল টেস্ট করা উচিত। তবেই সে সাংসদ হতে পারবে।

সবশেষে এটাই বলতে চাই, শিশুদের পুলিশী নির্যাতনের বিচার হোক...

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: ছাত্র ছাত্রীদের উপর নির্মম নির্যাতন করার অর্থই হলো শিক্ষার উন্নয়নে আঘাত করা । আধিকার আদায়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে যদি ছাত্র ছাত্রী না আসতে পারে তাহলে দেশ উন্নয়ন হবে কি করে ?

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

অপলক বলেছেন: স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে কেস করেছে কিনা বলতে পারবেন দয়াকরে?

ধরুন, আমি স্কুল কমিটির মেমবার / শিক্ষক। আমার বাবা মা কে তুলে কেউ যদি গালি দেয়, সেটা যেমন আমার সহ্য হবে না, আমার স্কুলের কোন ছাত্র ছাত্রীর গায়ে হাত দিলেও আমার সহ্য হবে না। সেখানে পুলিশ ছোট ছোট বাচ্চাদের পেটাল। যাকে বলে সাপ পেটা...

অথচ দুটো বাসের ড্রাইভার জনবহুল রোডে রেসিং খেলছিল। ভাবা যায় ? তাদের রেসিং গেম কতগুলো প্রাণ কেড়ে নিল। যে দেশ রহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়, সে দেশে ছাত্ররা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আজকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও দেখলাম যেখানে আন্দোলনরত এক অভিভাবকের বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে যিনি বলেছেন'' আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী সবাই টাকা বানাবার জন্য রাজনীতি করেন, জনগনের জন্য করেন না। '' এইরকম কয়জনকে পুলিশ পেটাবে? কয়জনকে বিএনপি/ জামাতের সমর্থক হিসেবে ট্যগিং করবে?


০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

অপলক বলেছেন: আল্লাহ ভাল জানে...

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন:

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

অপলক বলেছেন: ১,৫১,০০০ মানব দেহের ভেতর ২-৩ জনের হাতে যদি ১০ টার বেশি আঙ্গুল থাকে তবে সেটা রেয়ার কেস। তবে এরকম ছবি্ই সব সময় আশা করি।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন:

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

অপলক বলেছেন: নাটক...

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

বিপরীত বাক বলেছেন: পুলিশ অনেক সহ্য শক্তি দেখিয়েছে। অনেক ভাল ব্যবহার করেছে। প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তাই বলে সীমাছাড়ানো মাত্রাছাড়ানো আচরন করবে আর পুলিশ বসে বসে আঙ্গুল চুষবে।?? লাই আস্কারা পেয়ে মাথায় চড়ে বসবে?

একতরফাভাবে চিন্তা করেন কেন? ওই রাস্তা দিয়ে যত মানুষ যাচ্ছিল তাদের অনেকেই ছিল সময়মত অফিসে যাওয়ার তাড়া নিয়ে, বেতন কাটার ভয় নিয়ে, অসুস্থ স্বজনকে সময়মত দেখার প্রত্যাশায়, কোন ইন্টারভউতে যাওয়ার, ............................. এরকম অনেক কিছু।
আবেগের ঠেলায় সারাদনি রাস্তা বন্ধ রাখবে, ভাঙচুর করবে আর শিশু সাইজ্যা মিউ মিউ করে বলবে আমাকে মের না।???????????? হামরা জুতার (জাতি) ভবিষ্যৎ!!!!!!!!!!!!!!

আপনার উত্তর আপনার লেখাতে প্রথমেই আছে।

# আইন নিজের হাতে তুলে নেবার অধিকার নেই কারও।
# শাস্তি দেয়ার অধিকারও সবার নেই।

ছাত্রছাত্রী কে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার?
রাস্তায় গাড়ী চলাচল বন্ধ করার?

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

অপলক বলেছেন: ধন্যবাদ। চাকরী < বেতন < উপার্জন = কাদের জন্যে? পরিবারের জন্যে। বাচ্চা যদি স্কুলে গিয়ে না ফেরার দেশে যায়, যদি আপনার ছোট ভাই/বোনটিই সেই জন হয়, ভাবুন একবার, সেন্টিমেন্টাল হবার দরকার আছে কিনা? ছাত্ররা যদি কুকুর হয়ে রাস্তার মানুষকে কামড় দেয়, সেজন্যে পুলিশ কেউ কামড় বসাতে হবে? পুলিশ কে ট্রেইনড আপ করা হয়েছে আইন নিজের হাতে তুলে না নেবার জন্যে। শান্তির জন্যে...

পুলিশ টাকা খেয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও ছেড়ে দেয়। যার জন্যে ৯০% এক্সিডেন্ট হয়। বোঝেই না রাস্তার কোন সিগনালের মানে কি? তাহলে ? বুঝতে পারছি, আপনার কেউ এখনও ভিক্টিম হয়নি।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

হাঙ্গামা বলেছেন: পুলিশকে অজুহাত তৈরির সুযোগ দেয়া উচিত নয়।
ছাত্ররা গাড়ি ভাঙ্গছে এই অজুহাতে পুলিশ তাদের উপর চড়াও হচ্ছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২১

অপলক বলেছেন: সেটাই তো বুঝলাম না ভাই... গাড়ির দাম বেশি নাকি কচি কচি বাচ্চাদের রক্তের দাম ?

এই বাচ্চারা হয়ত মন্ত্রি মিনিস্টারের নয়, গাড়িগুলো তো মন্ত্রি বা তাদের শ্যালকদের... তাদের ভাবা উচিত ছিল তাই না?

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

কিশোর মাইনু বলেছেন: বাহ।।।
চমৎকার।
কয়েকজন তো দেখি পুলিশকে বাহবা দিচ্ছে!!!
সব দোষ এখন আমরা ছাত্রদের?!?!?
মুখ খারাপ করতে না চাইলে ও হয়ে যায় এই ধরণের রিএকশন দেখে।

যখন নিজের কেউ এইভাবে মার্ডার হবে, আর তার ন্যায্য বিচার চাইতে গিয়ে মার খেয়ে নিজেকেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হবে,সেদিন দেখবো দেমাগ কই যায়...
আমাদের জীবনটাকি এইসব মন্ত্রী-চালক-পুলিশদের বদ্দিনে নাকি?!?!?

এক পার্টি কথাবার্তা ছাড়া গায়ের উপর বাস তুলে দেবে,আরেক পার্টি দাত কেলিয়ে হাসবে,আরেক পার্টি।চামচা এসে ভুক্তভোগীদের ই দোষী প্রমাণ করে চলে যাবে।
আহ,আমার সোনার বাংলাদেশ!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

অপলক বলেছেন: যে পাগলা কুকুর দিনের আলোয় যাকে তাকে কামর দিচ্ছে মনিবের নির্দেশে, রাতের আঁধারে সে কুকুর মনিব কেই কামর দেবে। কারন কামড় বসানো তার অভ্যাস হয়ে গেছে।

তোমরা ছাত্ররা ধৈর্য্য ধর। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন, একটা সুবিচার হবে। তবে আশাকরি যাতে ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী কে যেন আবারও মাঠে নামতে না হয়।

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদরে জোর করে সরিয়ে দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। বলছে থানায় নিয়ে পেটানো হবে, রাজনীতির মামলা দেবে। এসব বলে ভয় দেখাচ্ছে। জোর করে বাসে তুলে দিচ্ছে। অনেক ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে।

পুলিশের এমন ন্যাক্কারজনক বাড়াবাড়ির প্রতিবাদ জানাই; দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্তা নিতে হবে........ X(

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

রানা আমান বলেছেন: X( X( X(

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

অপলক বলেছেন: রাগটা কাকে দেখালেন ভাই? পুলিশের কর্মকান্ডের উপর নাকি আমার লেখার উপর?

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: আর কত ধৈর্য ধরতে বলবেন আপু???
প্রথমে আমাদের বন্ধু পায়েল-কে যেখানে বাচানো সম্ভব ছিল সেখানে মেরে মুখ থেতলিয়ে ডোবায় ফেলে দেওয়া হল। যার সাথে এক স্কুলে পড়েছি তাকে সনাক্ত ই করতে পারিনি আমরা। তখন ও বললেন ধৈর্য ধর, বিচার হবে। তারপর রাস্তায় রেস লাগিয়ে স্কুল-কলেজের পিচ্চি পোলাপাইন-দের মেরে ফেলল, ধৈর্য ধর। আন্দোলনে নামা স্কুলের ছাত্রদের মেরে হাসপাতালে পাঠানো হল,এমনকি মেয়েদের ও ছাড় দিল না, ধৈর্য ধর। এক মন্ত্রী নামক প্রাণী এসে ২জন আর ১০জনের হিসাব দিচ্ছে, ধৈর্য ধর। কেউ কেউ এসে সেখানে ছাত্রদের নৈতিকতা,ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, ধৈর্য ধর। চমৎকার। আমরা রোড ব্লক করলে সীমা ছাড়ানো হয়ে যায়। আর আমাদের বন্ধু, ছোট ভাইদের মার্ডার সীমার ভিতর!!! অসাধারণ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

অপলক বলেছেন: ছাত্রদের আন্দোলন স্বার্থক হতে যাচ্ছে। পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে নতুন আইন পাশ হতে যাচ্ছে। এরপর ন্যায় বিচার অবশ্যই হবে আশা করি। ২০-৩০ হাজার টাকায় কেউ রফাদফা করার দু;সাহস দেখাবে না অন্তত।

মা.খা. আলমগীর এক সময় উল্টা পাল্টা কথা বলছিল, সে গেছে। এখন শাহজাহান সাহেব বলছে। এখন দেখার বিষয়, তার কি হয়। ধৈর্য্য ধর। ন্যায়ের পক্ষে প্রতিবাদ, হারিয়ে ফেলা ভাইবোনদের জন্য যা সবাই করছি, সেটা বৃথা যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.