নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

২.৫ কিমি এ ৩৩ টা স্পিডব্রেকার, হায়রে সিলেট...

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

দেশের আর কোথাও এত অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকার আছে কিনা জানা নেই। আমি বাংলাদেশের এ পর্যন্ত ৪৪ টা জেলা শহর ঘুরেছি। কিন্তু আর কোথাও দেখিনি এমন টা।

সিলেটে শহরের বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর সামনে থেকে মির্জাজাঙ্গাল রোড দিয়ে ভাতালিয়া হয়ে ওসমানি মেডিকেলের সামনে দিয়ে বাগবাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারে মাত্র ৩৩ টা স্পিডব্রেকার। শুধু এ সড়কেই নয়, শহরতলীর যে কোন সড়কেই প্রতি তিন কিমি এ ১০+ স্পিড ব্রেকার দেখা যায়।

কোন স্পিড ব্রেকারেই কোন সাদা কালি বা সাইন বোর্ড নির্দেশনা নেই। যে যেখানে পেরেছে, একটু টাকা ওয়ালা বা পলিটিক্যাল লিডার, তার বাসার সামনেই স্পিড ব্রেকার। কিন্তু কেন ?

মজার বিষয় হল, প্রধানমন্ত্রী/ অর্থমন্ত্রী/ যোগাযোগ মন্ত্রী সিলেট ভ্রমনে আসলে, তার আগে সিলেট বিজিবি ক্যাম্প, সেনানিবাস, এয়ারপোর্ট রোড এবং প্রধান প্রধান আন্ত সড়কের স্পিড ব্রেকার হাওয়া হয়ে যায়। মন্ত্রীরা সিলেট ছাড়া মাত্রই আবার আগের জায়গায় স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়। শুধু মন্ত্রীদের শরীর আছে, আর সাধারন মানুষের বোধায় শরীর নেই। সাধারন মানুষের ব্যাথা হয় না। তাদের আঘাত লাগে না বোধায় ।

সিলেটে যে কোন দুই চাকা / তিন চাকা বা হালকা যান বাহন এ ১ ঘন্টা ঘুরলেই মাজা-কমর ব্যাথা ধরে যায়। তাছাড়া এত এত অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার শহরের গতি কমিয়ে দিচ্ছে। সারা শহর এখন জ্যাম লেগে থাকে। ট্রাফিক কে সিগনাল দেবার চাইতে ট্রাক থেকে চাঁদ তুলতেই বেশি দেখা যায়।

সিলেট এমন একটা বিভাগীয় শহর, যেখানে কোন ইলেকট্রিক ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট নেই। কয়েকটা ডাস্টবিন ছাড়া সারা শহর ময়লায় ভরা। কিছু আবাসিক এলাকায় ময়লার ভ্যান আছে। এছাড়া মানুষ বাধ্য হয়ে ড্রেনে, খালে-নদীতে ব্যাগ ভর্তি ময়লা ফেলে। উপায় নেই নগরবাসীর।


ধন্যবাদ জানাই রাজশাহী, বরিশাল আর নোয়াখালির পৌর চেয়ারম্যান/মেয়র কে। আপনাদের শহর দেখে অন্যদের শেখা উচিত।



বিদ্র: কাউকে হেয় করার জন্যে এই লেখা নয়। এটা নাগরিক আকাঙ্খা থেকে লেখা।



মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

শরিফুল ইসলাম (ফরহাদ) বলেছেন: সিলেট বাংলাদেশের লন্ডন।
টেনশনের কিছু নাই,সামনের বছর বাংলাদেশের লন্ঠন হবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

অপলক বলেছেন: নামে লন্ডন, কামে না...

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ব্লগে সিভিলের কেউ আছে নাকি?


এত স্পিড বেকারের(:P) মোযেযা কী???

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাস্তায় বেশি স্পিড বেকারের কারণে চাকার ফ্লাই নষ্ট হয়। এতে চাকার আয়ুষ্কাল কমে যায়। এতে টায়ার আমদানিকারকদের ব্যবসা ভালো হয়।একটা সমান রাস্তায় ৩০কিঃমিঃ চললে টায়ার যে পরিমান ক্ষয় হয় একটা স্প্রীড বেকারে ব্রেক করার ফলে সে পরিমান ক্ষয় হয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

অপলক বলেছেন: টায়ারের কথা না হয় বাদ দিলাম। কত মানুষ যে এক্সিডেন্ট করছে, তার খবর নাই। মেডিকেল রোডে এতোগুলো স্পিড ব্রেকার, ভাবুন একবার যে প্রেগনেন্ট (গর্ভবতী) মহিলারা ওসমানী মেডিকেলে আসে তাদের কতটা কষ্ট হয়। অন্যান্য অপারেশানের রুগিরা কত কষ্টে আসা যাওয়া করে।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: সত্যিই দুঃখজনক। তবে আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি রাজশাহীতেও কোন ট্রাফিফ সিগন্যাল লাইট নেই। খুলে ফেলা হয়েছে। কোন এলাকায় রয়ে গেলেও সেগুলো জ্বালানো হয়না। তার প্রয়োজনও হয়না! বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ট্রাফিফ জ্যামও সম্ভবত রাজশাহীতেই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অপলক বলেছেন: Thanks for update

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: আর রাজশাহী বা বরিশালে পৌর চেয়ারম্যান নেই। আছেন মেয়র। সিটি কর্পোরেশন কিনা :-B

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অপলক বলেছেন: :-B

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: স্প্রীড বেকার থাকলেন একসিডেন্ট কম হয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

অপলক বলেছেন: যখন আপনি যানেন না যে সামনে দুর্ঘটনার ফাঁদ স্পিড ব্রেকার আছে, তখন এক্সিডেন্ট আরও বারে। প্রচন্ড ব্যস্ত একটা শহরে যেখানে ৩০ কিমি স্পিড তোলার মত ফাকা রাস্তা পাওয়া যায় না, সেখানে রিক্সা / cng জন্যে কেন স্পিড ব্রেকার। আর আপনি হয়ত জানেন না, সিলেটে প্রত্যেকটা কমিশনার/ডাক্তার/ উকিল/ নেতা/ মসজিদ/মন্দির/বেসরকারী স্কুল/ ভার্সিটি...সহ কোটিপতি দের বাসার সামনেই স্পিড ব্রেকার। কোটিপতি রা নিজেদের দামী গাড়ি বাসা থেকে বের করতে যাতে ঝামেলা না হয়, তাই নিজ উদ্দোগে স্পিড ব্রেকার বসায়।

সাধারন মানুষের কথা এখানে ভাবা হয় না...

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হ্যা ভাই, সাইনহীন স্পীড বেকারগুলো কাজে আসছে না। দেখা যায়, গাড়ি চলতে চলতে স্পীড বেকারের যে সাইট কিছুটা দুর্বল, ঢালু হয় সেই অংশ দিয়ে গাড়ি, রিক্সা বেশি চলাচল করে এবং যানজট, দুর্ঘটনা ঘটে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

অপলক বলেছেন: একমত...

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

চাঙ্কু বলেছেন: ২.৫ কিমি এ ৩৩ টা স্পিডব্রেকার?? #:-S

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

অপলক বলেছেন: নিজে গুনেছি ভাই। চাইলে ভিডিও করে দেখাব।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১২

চাঙ্কু বলেছেন: সরি, আমি আসলেই ওইটা মিন করি নাই। আমার মাথায় আসছে না ২.৫ কিমি এ ৩৩ টা স্পিডব্রেকার বসানোর পারমিশন দিল কে? অনর্থক এতগুলো স্পিডব্রেকার বসানোর মানে কি? এতে দূর্ঘটনা কমার চেয়ে বাড়বে!

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৭

অপলক বলেছেন: সিলেটে স্পিডব্রেকার দেবার জন্যে কোন অনুমতি লাগেনা। আপনি চাইলে আপনার বাসার সামনে ব্যক্তি উদ্যোগে দিতে পারেন। আপনি পূজামন্ডব বা মসজিদ কমিটির সদস্য হলেও দিতে পারেন। আপনি কমিশনার, লন্ডনী বা কোটিপতি যাই হোন না কেন, মনে চাইলেই দিতে পারেন।

জাফলং রোডে সেনাসিনবাস বা সুনামগঞ্জ রোডে বিজিবি ক্যান্পের সামনে স্পিডব্রেকার মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি আসলে এক রাতের ভেতর ভ্যানিস হয়ে যায়। তাদের চলে যাবার পর আবার যেই লাউ সেই কদু। সম্মানিত ব্যক্তিদের কোমর ব্যথা হয়, আম জনতার কিছু হয় না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.