নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওড় অঞ্চলে আর ত্রান নয়--- তাদের নিজেদের বদলাতে হবে

০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

টাইটেল দেখে রাগান্বতি হবেন না। বলছি কেন?

১. সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি হাত গুটিয়ে বসে ছিল বা কিছু লোক দেখান কাজ করেছিল, কারন আমজনতার সহোযগিতার হাত অনেক প্রসারিত ছিল। ভবিষ্যতে সেই সরকারী কমিটি আরও কিছু করবে না। বরং সরকারি বরাদ্দ লুটেপুটে খাবে।

২. আমজনতা যে ত্রান দিতে গিয়েছে, তাদের বেশির ভাগ সুবিধাজনক জায়গায় ত্রান দিয়েছে। নিজেদের সংস্থার পাবলিসিটির জন্যে বা দানের টাকা লামছাম হচ্ছে না তা প্রমান করতে। যেটা অবশ্য নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল টাইপের কাজ হয়েছে। নিবেদিত প্রাণের ভাইদের বলছি না। মনে কিছু নিবেন না।

৩. প্রত্যান্ত অঞ্চলে ত্রান পৌছায়নি, যাদের প্রকৃত অর্থে বেঁচে থাকার তাগিদে ত্রানের ভীষণ দরকার ছিল। তারা একে অপরকে সাহায্য করে টিকে ছিল। এই বন্যায় তারা নগরবাসীর বা দাতা গোষ্ঠীর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এই ক্ষোভ আর বাড়ান ঠিক হবে না।

৪. ত্রান দিতে গিয়ে দেখা গেছে, ডিসিপ্লিন নেই। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেই। যার বাড়িতে খাবার আছে সেও এসেছে এবং নিয়ে যাচ্ছে ত্রানের প্যাকেট/খাবার। যারা পানি সাঁতরে আসতে দেরি করছে, যারা টিনের চালে বা বাঁধের উপর শূন্য হাতে আছে, তারা ত্রান শেষে গিয়ে পাচ্ছে না। মানুষের হাহাকার বাড়ানো ঠিক না। যে কাদছে তাকে আরও কাদানো উচিত না। কেউ ভাল করতে গিয়ে নিশ্চয় অভিশাপ কুড়াতে চাইবে না।

৫. যে গ্রামে / ইউনিয়নে ত্রান দেয়া হল, তারাই কিনা ডাকাতি করল? ছড়িয়ে পড়ল শহর নগরে ? যাদের বাঁচিয়ে রাখতে দাতা সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল, ভয়ঙ্কর পানির স্রোত ঠেলে, জীবনের ঝুকি নিয়ে রাতদিন এখানে সেখানে ছুটল, সেই দুস্থ মানুষরাই কিনা ত্রান খেয়ে বেঁচে ফিরে ডাকাতি করল? তাহলে কেন আপনি একদল ডাকাত কে মানবিকতার খাতিরে সাহায্য করবেন? খাল কেটে কুমির আনার দরকার কি? অবশ্য এটা নতুন নয়। এই হাওড় অঞ্চলের মানুষ অনেক আগে থেকেই দুর্ধষ। মাইকে ঘোষনা দিয়ে তারা আগে মারামারি করতে যেত, খুনাখুনি করতে যেত, মানুষ মেরে পানিতে ভাষিয়ে দিত। বিচার হত না। তারা এসব করতেই পারে। বন্যাই কি আর দূর্ভীক্ষই কি !

৬. হাওড়ে কিন্তু লন্ডনি বা টাকা ওয়ালা মানুষের অভাব নেই। হঠাৎ হঠাৎ দেখবেন গহীন গ্রামে আলীশান বাড়ী। একটা দুটা নয়, অনেক । শুধু নিজের বাসায় যাওয়ার জন্যে ঘাট বসানো হয়েছে। নামাজী নেই তবুও আলীশান মসজিদ করা হয়েছে। এরবাইরে তারা কিন্তু নিজের এলাকায় উন্নয়ন কাজ করে না। তারা ইচ্ছা করলেই কোটি টাকা দান করতে পারে, কিন্তু করেনি বা করবে না। অথচ আপনি আমি চাকরির গনা টাকার ভেতরেও হিসাব ছাড়া দান করেছি। মানবিকতা আর আত্মতৃপ্তির জন্যে। কিন্তু এটা কি ওই সব বিলিওনিয়ারদের সন্মান বয়ে আনলো?

৭. নির্দয় এবং কট্টর সুবিধাবাদী অলস সম্প্রদায় হাওড়ের মানুষ। যে নৌকা ভাড়া ৮০০ টাকা, এক প্রসূতি মাকে হসপিটাল নিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি। যে নৌকা ভাড়া ১৫০০-২০০০টাকা, ত্রানের সময় ভাড়া নিতে ২০হাজার টাকা দাবি। ঘাট পার হতে যে ভাড়া ১০টাকা সেটা ২০০টাকা, যে মোমবাতি ১০টাকা, বন্যার সময় সেটা ১২০টাকা, যে এক ডজন ম্যাচ বক্সের দাম ২২টাকা সেটা ১০০ টাকা। কোন অঞ্চলের মানুষকে সাহায্য করবেন আপনি? এই ধরনের মানসিকতার জনগোষ্ঠীকে? সুযোগ বুঝে কোপ মারে যারা ?
অলস কেন বললাম শুনেন এবার: বছরে একবার ধান চাষ করে, বাকিটা সময় মাছ মারে, অতিথি পাখি ধরে ব্রিকি করে নয়ত সীমান্তের মাল এপার ওপার। কিছু অঞ্চলে পাথর/কয়লা তোলে বা বাথান আছে। মোটামুটি ৪-৬ মাস কাজ করে। বাকিটা সময় হাত গুটিয়ে থাকে। যদি জিজ্ঞেস করেন তবে বলবে, তার অত লাগে না। তাই দরকার নাই।

৮. যদি চীনাদের দিকে তাকান। তারা বলবে, আমাকে ঝুড়ি দিও না, ঝুড়ি কিভাবে বানাতে হয় শিখিয়ে দাও। এই টেন্ডন্সি কিন্তু এদেশে নেই, হাওড়ে তো একেবারেই নেই। দেশের দক্ষিনাঞ্চল বা উত্তারাঞ্চলের দিকে তাকান, সেখানেও কিন্তু প্রতি বছরেই বন্যা হয়। সিলেটের মত ১২৭ বছরে একবার নয়। বা শুধু ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪ বা ২০১৯ সালেই নয়। প্রতি বছর বন্যা হয় তিস্তা, যমুনা, ব্রক্ষ্মপুত্র বা পদ্মার অববাহিকায়। তাদের সব তলিয়ে যায়, বা তীর ভেঙ্গে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারা আবার যৎসামান্য সাহায্যে দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠে, ডাকাতিও হয়না, লুটপাটও করে না বানবাসী মানুষ। তবে সেসব জায়গায় ভয়ঙ্কর থাবা হল দাদন ব্যবসায়ীর থাবা, এনজিওর থাবা। সে যাই হোক, সেটা অন্য একটা দিক।

হাওড়ের মানুষ সত্যিই কষ্টে আছে নিজেদের কর্মের ফলে। আরও থাকবে যদি না নিজেদের ভালর দিকে বদলায়, আর সরকার সুদৃষ্টি না দেয়।



মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪১

কোনেরোসা বলেছেন: হাওড় অন্চলে ত্রান বন্ধ করে দেয়া হউক। সেই ত্রাণের টাকায় ঢাকা ষ্টেডিয়ামে বাইজি নাচের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হউক। সেই অনুষ্ঠানে ফ্রি ফ্রি মদের বোতল বিতরণ করা হউক।

০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

অপলক বলেছেন: ত্রানের টাকায় ছোট পরিসরে মাতলামি হয়েছে । প্রমান চাইবেন না, কারন শোনা কথায় কান দিতে নেই।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মানুষ মানুষের জন্য। সেটা যুগে যুগে প্রমানিত হয়েছে।
সরকার এবার সুযোগ পেয়েছে হাতগুটিয়ে বসে থাকার।

০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৩

অপলক বলেছেন: "মানুষ মানুষের জন্য। সেটা যুগে যুগে প্রমানিত হয়েছে।
সরকার এবার সুযোগ পেয়েছে হাতগুটিয়ে বসে থাকার।"

একটু আপডেট করলাম:
মানুষ মানুষের জন্য ধ্বংস বা সৃষ্টি করতে, জয়োজয়কার করতে বা কুক্ষিগত করতে, সেটা যুগে যুগে প্রমানিত হয়েছে। সরকার সব বারই সুযোগ পেয়েছে হাতগুটিয়ে বসে থাকার। যে সংসদে প্রতিমিনিটের খরচ ৩০ হাজার টাকা প্রায়, সেখানে মমতাজের গান শোনানো হয়, টিপ নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু চোখের পানির মূল্য কত সেটা আলোচনা হয় না।

ভাল থাকবেন...

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২০

রবিন.হুড বলেছেন: পর্যবেক্ষন মন্দ নয়। তবে সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য। মানবতার সেবায় মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।

০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৪

অপলক বলেছেন: জ্বি...

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

জোবাইর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে অনেকাংশে সহমত। পত্র-পত্রিকায় এখনো দেখা যায় সিলেটের হাওড় অঞ্চলে দুই গ্রামের দুটি বালকের মধ্যে সামান্য তর্ক-বিতর্কের রেশ ধরে গ্রাম দুটির মানুষ ঘোষণা দিয়ে মাঠে মারামারিতে নামে। আর থানা-পুলিশ-মামলা মোকাবেলা করার জন্য গ্রামের প্রবাসীরা লন্ডন থেকে টাকা পাঠায়।

শহর থেকে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের বন্যা দুর্গত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রান দেওয়া খুবই কঠিন। তাই হাতের কাছের একই অঞ্চলের মানুষ একাধিকবার ত্রান পেলেও দুর্গম অঞ্চলের মানুষ একবারও পায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় বিশৃঙ্খলার কারণে গায়ের জোরে একই পরিবারের একাধিক সদস্য ত্রান নিয়ে যায়। দুর্বলেরা কিছুই পায় না।

বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের একটি বড় অংশ অলসতা ও নিজের অবস্থা পরিবর্তনের মন-মানসিকতার অভাবে সারা জীবন গরীব থাকে। আমি গ্রামে অনেক রিকসাওয়ালা দেখেছি, সারা দিনের খরচের টাকা উঠে গেলে গদির ওপর ঘুমায়, তখন ভাড়া বেশি দিলেও আর কোথাও যাবে না। এরকম অনেক শ্রমিকও আছে যারা ঘরে যতক্ষন পর্যন্ত ভাতের চাল থাকে ততক্ষন কোনো কাজ করে না। ভাতের চাল শেষ হলেই কাজ খোঁজে।

০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

অপলক বলেছেন: আমিও দেখেছি বাস্তবে...

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সত্যকথা।

০৫ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

অপলক বলেছেন: সত্যকথা খুব কম লোকেরই পছন্দ হয়...

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.