নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
ব্যাংকে কিছু কাজের জন্যে গিয়েছিলাম বগুড়া সাত মাথার DBBL শাখায়। যেখানে গিয়ে ৩টি ঘটনা আমাকে খুব মর্মাহত করল।
ঘটনা ১: সিরিয়ালের জন্যে টোকেন হাতে বসে আছি। একজন যুবক অনেক ক্ষণ যাবৎ বোঝানোর চেষ্টা করছে এক সিনিয়র অফিসার কে, যে সে বগুড়া সদরের বুথ থেকে টাকা তুলে ব্যবসার প্রোডাক্ট নিতে দুপচাচিয়ায় যায়। যখন সে বাসের ভেতর, দেখতে পায় একটি টাকা উত্তোলনের ম্যাসেজ ফোনে আসল। যদিও তার ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড পকেটে। (টাকার পরিমান কত বলেছিল আমার মনে নেই। )
অফিসার মানতে নারাজ। ভুক্তভোগী বললেন, আপনি অমুক সময়ের আমার মোবাইলের অবস্থান দেখেন। আমি ঐ সময় কোথা থেকে ফোন করেছি পরিবারের কাছে, সেটাও ভেরিফায় করেন। দুপচাচিয়া থেকে আপনাদের যে বুথ থেকে তোলা হয়েছে, সেখানে যেতে কত সময় লাগবে, সেটা যাচাই করুন।
অফিসারের সাথে যোগ হল, জুনিয়র অফিসার এমনকি পিয়ন পর্যন্ত। তারা সবাই এক যোগে ভুক্তভোগীকে মিথ্যুক প্রমান করা্য় ব্যস্ত। আইটি অফিসার কে ডাকতে বললেন ভুক্তভোগী। কিন্তু ব্যাংকের লোকেরা এবার চড়াও হয়ে গেল। আপনি থেকে তুমিতে ভাষা নেমে গেল, বলল, তোমার সমস্যাটা কোথায়? কার্ড ছাড়া কোন ভাবেই বুথ থেকে টাকা তোলা সম্ভব না। ভুক্তভোগী আবারও বলল, কার্ড আমার কাছে, পিন নাম্বার শুধু আমিই জানি। ক্যামনে টাকা ওটায় আমি ছাড়া? ৩ মাস আগেও একই ঘটনা ঘটছে। পরীক্ষা থাকায় আসতে পারিনি তখন।
অফিসাররা গেটের দিকে হাত দেখিয়ে বলল, যাও তো যাও, মাথা ঠান্ডা করে আসো, বাসায় গিয়ে মনে করার চেষ্টা কর। তারপর ডেস্ক থেকে অফিসার উঠে চলে গেল। অন্যরা সরে ফাকা হয়ে গেল। ছেলেটা কিছুক্ষণ বসে থেকে বেরিয়ে গেল।
প্রশ্ন হল, যার টাকা খোয়া গেল সে চিটার হলে ব্যাংকে যাবার সাহস রাখবে কিনা? অফিসাররা কেন ভুক্তভোগীর অভিযোগ লিখিত আকারে গ্রহন করল না?
ঘটনা ২: টোকেনে লেখা বুথ নাম্বার হিসেবে আমি অপেক্ষায় আছি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তুলব বলে। সিরিয়াল আসায়, আমি সেই টেবিলের কাছে যেতেই, দ্বায়ীত্বরত ব্যক্তি বলল, আপনার কি কাজ? ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তুলব... আমি একটু ব্যস্ত (যদিও তিনি ফ্রি, কোন ক্লাইন্ট নেই তার সামনে) ... ঐ ডেক্সে যান। সেই দেখানো ডেস্কে গেলাম। বললাম ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তুলব... শুনে তিনি ব্যক্তিগত ফোন করলেন ১১ মিনিট। আবারও বলল একটু বসুন, বলেই উঠে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর এসে পিয়নকে বললেন, ওনাকে একটা স্টেটমেন্ট প্রিন্ট করে দাও। পিয়ন আরও অনেক কিছু প্রিন্ট করছিল আর এই-সেই ডেস্কে পেপারগুলো পৌছে দিচ্ছিল। এক সময় আমারটাও হাতে পেলাম।
প্রশ্ন হল, আমার সিক্রেট ইনফরমেশান তো ব্যাঙ্কে ওপেন। একটা পিয়নের ব্যাঙ্কের সারভারে এক্সেস রয়েছে যে কিনা আমার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট প্রিন্ট করে দিল। তাহলে DBBL ইন্টার্নালি কতটা সুরক্ষিত? যে কেউ আমার সমস্ত লেনদেনের সমস্ত তথ্য যে কোন সময় টিপসের মাধ্যমে খুশি করে নিয়ে নিতে পারে? তাহলে DBBL এ কেন টাকা রাখব?
ঘটনা ৩: অন্য দিনের ঘটনা। অনেক মানুষ অপেক্ষায়। আমি হিসেব করে দেখলাম, ১০৩ জন পরে আমার সিরিয়াল। ২ মিনিট করে হলে ২০৬ মিনিট। টাকা গ্রহনের ৩টা টেবিল, মানে প্রায় ১.৫ ঘন্টা লাগবে। এর ভেতর আমার এক স্কুল বন্ধুর সাথে দেখা। বলল আমার সিরিয়াল কত? ওর সিরয়াল আরও পরে। আমাকে বলল: ১০টাকা আছে? সিরিয়াল আগায়ে নেয়া যাবে... সে আগায়ে নিবে কিন্তু ওর কাছে খুচরা নাই। আমি শুনে অবাক। বন্ধুকে ২০টাকা দিলাম। সে গিয়ে গেটের কাছে গার্ড কে কানে কানে কি যেন বলল। তারপর দুটা টোকেন নিয়ে ফিরল। তখন আমার সিরিয়াল ১০৩ জনের জায়গায় ৭ জন পরে।
প্রশ্ন হল: ব্যাঙ্কের ভেতর যারা ১০ টাকায় অন্যায় করে, ১০ হাজার টাকায় তারা আরও কত না বড় অপরাধ করবে?
বাস্তব কথাগুলো লিখলাম যাতে আমরা আমজনতা সচেতন হই, সেই সাথে DBBL কর্তৃপক্ষও সচেতন হয়।
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৬
অপলক বলেছেন: এমনিতেই নানা যন্ত্রনাই আছি... এখন ব্যাঙ্কেও ভরসা উঠে যাচ্ছে...
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২০
মোগল বলেছেন: ডিবিবিএলের কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হোক
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
আগামীবার ব্যাংকে গেলে, অফিসারদের প্রশ্ন করবেন, তাদের কেহ সামুতে ব্লগিং করে কিনা! যদি ২/১ জ পেয়ে যান, আপনার সমস্যা কমে আসবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৫
অপলক বলেছেন: ভাল বলছেন...
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫২
বিটপি বলেছেন: তারপরেও তো চটকদার ডিবিবিএল ছাড়া আপনাদের চলেনা। সব ফোনই সমান, তারপরেও গ্রামীণ ফোনের একটা সিম না থাকলে ফুটানি মারা যায়না।
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৭
অপলক বলেছেন: ২০১১ থেকে গ্রামীন সিম আর ব্যবহার করিনা। পরিকল্পনা আছে, DBBL থেকে সরে আসার। সার্ভিস খারাপ, কিন্তু খরচ বেশি।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৬
বিষন্ন পথিক বলেছেন: কি করবেন?
একাউন্ট করবো প্রবাসী
ভিসা আছে ওই দেশের?
এই যে পাসপোর্ট আর পে স্লিপ
স্যার বসেন স্যার , কি খাবেন স্যার, স্যার আপনাকে কিন্তু ৮ ১০ লক্ষ টাকা ডিপোজিট করতেই হবে স্যার
আমি ডিপোজিট করবো ১ হাজার টাকা , একাউন্ট খুলছি বিকাশ করে যাতে ইউটিলিটি বিল দিতে পারি
আচ্ছা ওই খানে বসেন, এই ভাই রে রে একটা ফর্ম দেন (মহা বিরক্ত )
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০০
অপলক বলেছেন: হা হা হা !!!!
হাসাইলেন... হুম এটাই বাস্তবতা...
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্যাংক ভুক্তভোগী যুবকটিকে কি বলেছিল, আপনি মনে হয় বুঝতে পারেননি।
ব্যাঙ্ক ভিন্ন জিনিস কার্ড সিস্টেম ভিন্ন জিনিস। ভিন্ন অফিস।
কার্ডের টাকা খোয়া গেলে ফেরত পাওয়া কোন সমস্যা না।
অফিসেও যাওয়া লাগে না ফোন করলেই হয়।
আর স্টেটমেন্ট আনতে ব্যাংকে যাওয়া লাগবে কেন?
আমি আট বছর আগেও দেখেছি বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো সব অনলাইন, পিডিএফ ফাইলে সব স্টেটমেন্ট। প্রিন্ট করার দরকার হয়না, এক নজর দেখে গুগল ড্রাইভে ফেলে রাখেন।
আমি বিদেশে বসে পেয়ে যাই আর আপনি ব্যাংকে ঘুষ দিয়ে টোকেন তুলে বসে থাকেন, ১০৩ জনের পিছনে। আশ্চর্য?
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৮
অপলক বলেছেন: বিদেশে থাকলে আমিও করতাম। বাংলাদেশের ৯০% এ ফোন ট্রাক হয়। তারওপর DBBL কে আগে থেকেই বিশ্বাস হয় না। NEXUSPay এ্যাপ বলেন আর অনলাইন ট্রানজেকশান বলেন আমি করি না কোন অনলাইন প্লাটফরম থেকে।
আমি যাই স্টেটমেন্ট আনতে ব্যাংকে, কারন আমি আপনার মত বিদেশি শ্রমিক না, আপনার মত স্মার্ট না। আপনি কি জানেন Google Drive এ আপনি যা কিছু রাখেন, প্রয়োজনে Google তা Disclose করার Right রাখে?
কার্ডের টাকা খোয়া গেলে ফেরত পাওয়া বিশাল সমস্যা। আপনি কখনও বোধায় ম্যানকা চিপায় পড়েননি। ফোন করে AC হোল্ড করা যায় বা টাকা মেশিনে আটকে গেলে ফেরত পাওয়া যায়। কিন্তু হাকিং হলে কবি নিরব।
সর্বোপরি, আমিও আপনার মন্তব্য পড়ে কিঞ্চিত আশ্চর্য।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি সাধারণত বস্তি ব্যাংক DBBL আর IBBL এড়িয়ে চলি। তবে শুধু DBBL না। বাংলাদেশের বেশীরভাগ ব্যাংকেরই কিছু কর্মকর্তা এমন তুচ্ছ আচরণ করে। তাদের সমস্যা কি তাও বুঝি না। বলা যায়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে সিকিউরড এন্ড রিল্যাক্স জব তারা করে। অথচ গ্রাহক সেবা দিতে তাদের চেহারা দেখলে মনে হয় ব্যক্তিগত কোন কাজ করছে।
MTB তে ছোট একটা শাখায় দেখি অফিসার যাই করে কম্পিউটারে, অফিস বয় তার পাশে দাঁড়িয়ে সব দেখে। অফিসার তাকে সরতেও বলছে না...
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৯
অপলক বলেছেন: হুমম ঠিক বলেছেন...
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অনেক বছর আগে DBBL এর সাঁতারকুল শাখায় একটি এ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম, তবে ব্যবহার করা হয়নি। চেক বইটাও আনিনি তার চেক বই নেয়ার জন্য আমার সাথে যোগাযোগও করেনি।
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
অপলক বলেছেন: চরম... এখন আপনি টাকা ঢুকালেই বাৎসরিক বিভিন্ন ট্যাক্সের টাকা কেটে আ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলবে...
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাংলাদেশের বেশীরভাগ ব্যাংকে এখনও উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করা হয়, বিশেষত বুথে। টাকা খরচের ভয়ে কেউ আপডেট করে নাই। এদিকে দুনিয়ার সব হ্যাকাররা জানে উইন্ডোজ এক্সপি এর দুর্বলতা কি কি। তারা সেটা ব্যবহার করে অনেক আগে থেকেই। ফলে আসলেই আমরা হুমকির মুখে।
ডিবিবিএল সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। তবে অন্য কোন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আচরণই কি ভালো? ইসলামী ব্যাংকে কিছুটা ভালো সার্ভিস পাওয়া গেলেও সেটাও বড় একটা মুশকিলের জায়গা।
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
অপলক বলেছেন: যে দেশে বিচার নেই, জবাব দিহিতা নেই, সে দেশে এর চেয়ে ভাল কি আর আশা করা যায়?
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১০
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা! টাকা হারানো ভুক্তভোগীর সাথে ব্যাংক অফিসার কেন এমন করল অবিশ্বাষ্য। ব্যাংকের টাকা জালিয়াতি কেইস দেখাশোনার করার জন্যতো আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট থাকার কথা। সেটা কি নেই ? তাহলে গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা হয়?
১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ব্যাংক/কার্ডের টাকা হাওয়া হয়ে যাবার রাস্তায় চলে গেছে বাংলাদেশ, যা বুঝলাম কমেন্ট,পোস্টে।
১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৮
মুুজতাহিদুল বলেছেন: যে কোনো ব্যাংকে যে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে মেইল করুন।
পরদিন অভিযুক্ত ব্যাংক আপনাকে স্যার সম্বোধনসহ দ্রুত সমস্যা সমাধান করে দিবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৯
অপলক বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন। কিন্তু মশা মারতে কামান কেন লাগবে? টাকা তো কম কাটে না। সার্ভিস দিতে কি সমস্যা...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৩
হাবিব ইমরান বলেছেন: দুঃখজনক। এ জাতি নিজেকে আর কতভাবে ছোট করবে!!