![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানীং ছেলে-মেয়ে বিষয়টা নিয়ে কথা উঠলে প্রায় সবার সাথেই ঝগড়া লাগার মত অবস্থা দাড়ায়! ছেলেরা এমন......মেয়েরা অমন....আজব (আজাবের মত লাগে)! এত রেষারেষি কেন হবে? ছেলেরা হবে ছেলেদের মত...আর মেয়েরা হবে মেয়েদের মত....এই পর্যন্ত সবাই একমত.....কিন্তূ বিপত্তিটা বাধে পরের স্টেপেই। একটা ছেলে ছেলের মত হলে কেমন স্বভাব হওয়া উচিত আর একটা মেয়ে মেয়ের মত হলে কেমন স্বভাব হওয়া উচিত? এইটা নিয়ে যত কথা, আলাপ- আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা, কথা কাটাকাটি অত:পর মাথা গরম করে যে যার মত প্রস্থান! তর্কের শেষ হয়না.....কথায় কেউই কম যায় না.....কেউ হারেও না আবার কেউ জিতেও না......মধ্যখানে অযথাই দুপক্ষেরই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়! আলোচনা তখন to be continued...অবস্থায় থাকে। ভাবখানা এমন....পরে দেইখ্যা নিমু!
একদিন এক চাচা আসছে....বিয়ে করে নাই এখনও.....খুব গল্প করছি....একসময় ছেলে-মেয়ে নিয়ে কথা উঠলো....তার কাংক্ষিত পাত্রীর বর্নণা শুনলাম। সবার মনের সাথে পুরোপুরি মিল হবে এমনটা কখনই সম্ভব না। পাত্রীর বর্নণা শেষ হতে না হতেই সে শুরু করলো মেয়ে জাতির সমস্যা নিয়ে কথা.....যা পরিশেষে দাড়ালো ' উফ! একটা মেয়ের সাথে সংসার করা.....অসম্ভব!' তার এক মেয়ে কলিগ আছে যে নাকি দু'লাখ টাকা বেতন পায় মাসে....সেইরকম ভাব নিয়ে থাকে ( চাচার কথায় 'বাতাসে উড়ে...যেন কি হনু রে')! শুনে হাসিই পায়...বলি 'তোমার অবস্থা ভালো হলে....তোমার চলাফেরার উপর এটার প্রভাব পরবে, এই নীতিতে তুমি চলতে পারলে সেই মেয়ে কি দোষ করলো!' মেয়েরা নাকি ছেলেদের থেকে বেশী হিংসা করে সব ব্যাপারে ( আমি একমত ) কথা এইটা না....হিংসা করুক কিন্তূ এর খারাপ প্রভাব না পরলেই হলো। মেয়েরা আজকাল চাকরীর বাজার দখল করে ফেলছে.....এইটা নিয়েও তার ক্ষোভ কম না। একটা মেয়ের থেকে একটা ছেলের চাকরীটা বেশী জরুরি....।কারণ তার উপর একটা ফ্যামিলি চালানোর দায় এসে পরে....(অবশ্যই এই কথাটা ঠিক....আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে....কারণ অধিকাংশ পরিবারেই ছেলের আয়ের উপরেই নির্ভরশীল) কিন্তূ একটা মেয়ে যদি নিজের যোগ্যতায় চাকরী পায় সেক্ষেত্রে কিইবা বলার থাকতে পারে! এখানেও তার আপত্তি....যোগ্যতা কিছুই না....মেয়ে মানুষ তো তাই সহজে কনভিন্স্ করতে পারে। আমি আবারও হাসি...সেই তো একই কথাই দাড়ালো....ঐটাও তো এক ধরনের যোগ্যতাই বলা চলে....তুমি কেন কনভিন্স্ করোনা? তার উত্তর ছিলো বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সবারই আকর্ষণ থাকে....এই জন্যই কাজ হয়না।
'তাহলে তুমিও তাই করো....'
'চাকরীর ক্ষেত্রে যাচাই বাছাই এর কাজ বেশীর ভাগ ছেলেরাই করে।'
'তাহলে মনে হয় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের মাত্রাটা কমানো উচিত....কি বলো?'
চাচা হাসে.....সে যে এখনো কুমার...!
আমি তখন বলি' তোমার যে সমস্যা দেখি তাতে মনে হয়.....তুমি একটা ছেলে না হয়ে মেয়ে হলেই ভালো হতো! এখন বড়জোর এইটার জন্য তুমি আফসোস করতে পারো'
চাচা বলে' অসম্ভব! কখনই না....'
বিয়ের পর মেয়েরা নাকি শ্বশুরবাড়িকে আপন ভাবতে পারেনা....আরে বাপের বাড়িতো আসল না.....মেয়েদের শ্বশুরবাড়িটাই হলো আসল পরিচয় (আমার বাবার কথা) আলোচনা শুধু এখানেই থেমে নেই.....মেয়েরা নাকি শুধু স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকতে চায়....যেটাকে সে নিজের সংসার বলতে পারবে....শ্বশুরবাড়ীতে থাকলে নাকি সেটা হয়না ( নিজের করে নেয়াটা অনেক বড় একটা গুণ....শুধু মেয়ে না...একটা ছেলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রোযজ্য। নিজের বলতে পারার ভেতর সত্যিই ভালোলাগা কাজ করে ) একটা মেয়ে জন্মের পর থেকে যে পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে হঠাৎ করে ভিন্ন এক পরিবেশে চলে যাচ্ছে....সেখানে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে....সেটাই স্বাভাবিক (যদিনা পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকুল এ থাকে) এক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণেই হোক কিংবা অন্য কোন চিন্তা করেই হোক মেয়েটা শুধু তার স্বামীকে নিয়েই ভাবে। এর প্রেক্ষিতে 'এখন কেন এমন হবে?' এই ধরণের প্রশ্ন করাটা বোকামী। সব কিছুর সময় আছে...আর সবচেয়ে বড় কথা সবার বুঝার ক্ষমতা এক না.....যার বিবেক বুদ্ধি আছে....সে সবদিকই ভালো তাল রাখতে পারে(যাই হোক বিষয়ে আর কথা বাড়াতে চাই না )।
বাসে উঠলে দেখা যায় সিন সিনারি মেয়েদের জায়গায় ছেলেরা কেন বসলো....মেয়ে দাড়ায় আছে ছেলে বসে আছে...কি অভদ্র! ছেলে উঠে মেয়েকে জায়গা দিলো....দয়া দেখায়!
আবার ছেলেরাও বলে মেয়েদের জন্য আমরা উঠে দাড়াই জায়গা করে দেই....কই আমাদের জন্যতো কখনো মেয়েরা জায়গা করে দেয় না! সমঅধিকার দাবী করে....তাইলে দাড়ায় থাকতে কি সমস্যা!
আমার এক বান্ধবী একবার বলেছিলো 'দ্যাখ...আমরা সবাই যখন বাসে উঠি প্রায় ৭০% ই থাকে ছেলে.....আর বাকি মেয়ে। আমরা মেয়েরা হেজিটেট ফিল করি....কেউ হয়তো এটা থেকে বের হয়ে আসতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিন ক্রিয়েট করে। ভেবে দ্যাখ কোনদিন যদি এমন হয় যে বাসে প্রায় ৭০% শুধু মেয়েরাই চলাচল করছে আর বাকী ছেলে....কিংবা সবখানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা যদি বেশী হয়ে যেতো তাহলে পরিস্থিতি কি দাড়াতো? ছেলেরা কি সবক্ষেত্রেই ইত:স্তত বোধ করতো না? হয়তো তখন মেয়েরা জায়গা করে দিয়ে বলতো 'আপনি বসুন'। কারণ তখন বাসে আরেকজনের সাথে গা ঘেষে দাড়িয়ে থাকতে কিংবা বসতে কোন অসুবিধা হতো না....শুধু বাসেই না সব জায়গাতেই তখন ছেলেদেরকে একটু ভিন্নভাবে দেখা হত এখন যেমন মেয়েদের দেখা হয়....কারণ সবখানেই মেয়ে।'
এই কথার প্রেক্ষিতে আর কোন যুক্তি তখন মাথায় আসেনি। ছেলে-মেয়ে বলেই না.....বরং ভালো আর খারাপ নিয়ে কথা থাকতে পারে.....আর এই ভালো কিংবা খারাপ সবার ভেতরই আছে।
নিজের পরিবার এর কথাই বলি....বাবাই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি আয় করেন.....যার আয়েই সংসার এর খরচ চলে.....তাই তার মর্যাদাটাও বেশী। মাঝে মাঝে মাকে বলে বসেন' রোজগার তো করনা....এগুলো খরচ কোত্থেকে আসে খবর আছে?' একথা গুলো শোনার পর মায়ের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করি আমি.....মাঝে মাঝে মাকে অনেক অসহায় লাগে।
এতক্ষন এ বিষয়ে লিখতে ভালোই লাগছিলো অনেক কিছু লিখবো ভাবছিলাম কিন্তূ এখন আর কোন আগ্রহবোধ করছি না.....এ বিষয় নিয়ে লিখলে লেখা শেষ হবে না.....
'to be continued' অবস্হাতেই থাকুক
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:০৬
কাব্য বলেছেন: to be continued...
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭
নিম্ফ বলেছেন: to be continued...
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:২৭
যীশূ বলেছেন: "গুরুত্বটা কার বেশি" এই চিন্তাটাই ঝামেলাটা তৈরি করে। তার চেয়ে সবার গুরুত্বই সমান, এভাবে চিন্তা করাটাই ভালো।
৩০ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নিম্ফ বলেছেন: সবার গুরুত্ব সমান, এভাবে চিন্তা করাটাই ভালো। উচিত কথা ......
আপনি শুরু করুন বাকিরাও করবে আশা রাখি
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:০৪
মানজুর মজুমদার বলেছেন:
অবশেষে.....।পাইলাম তোমাকে।
ভালো লিখোতো তুমি।