নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমুর অন্য নাম

তিসান

১২৩৪

তিসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমু ও একটি বিয়ের শাড়ি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

রিং বাজতেই আমি ফোন ধরলাম। ওপাশ থকে সাজেদা খাল, , , , , ,
ইমু সর্বনাশ হয়ে গেছে।
সর্বনাশ হওয়ার মত এমন কি কাজ তুমি করেছ?
ইমু তুই কথা পাকাবি না , আমি যা বলছি তুই মন দিয়ে শুন।
জ্বি আচ্ছা।
আমার ভাগ্নি মাইশাকে তো তুই চিনিস?
চিনি।
মেয়েটা আজ সকালে কি করেছ জানিস?
আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি এমন ভঙ্গিতে বললাম, কি করেছে খালা, চট জলদি বল তো।
ইমু তুই রসিকতা করছিস?
খালা তুমি কি বল? রসিকতা করব কেন?
তুই তো জানিস আমার কোন মেয়ে নাই । আমি মাইশাকে আমার মেয়ের মতো দেখি।
হ্যা জানি।
মেয়েটা যা করেছে তা বলতে আমার খুব লজ্জা লাগছে। তবু তোকে বলতে হবে। তুই আমার শেষ ভরসা।
খালা জলদি বল কি করেছে, আমি ধৈর্য ধরে রাখতে পারছিনা।
মেয়েটা তার বাবার বয়সি একটা বজ্জাতকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আমি বললাম, কি বল খালা।
শুধু তাই না। কড়াকড়ি ভাবে বলে দিয়েছে ওই বজ্জাত ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবেনা।
এতই যখন চাচ্ছে তাহলে বিয়ে দিয়ে দাও।
কি বলিস ইমু? একটা বুড়ো বজ্জাতের হাতে তুলে দিব আমার পরির মতো ভাগ্নিকে।
তুমি তুলে দিতে যাবে কেন? সে তো নিজেই চলে যাচ্ছে। আর তাড়াছা মহিলারা বুড়ো হলেও পুরুষরা কখনো বুড়ো হয়না। তারা চির কিশোর।
তোকে বক বক করতে বলিনি চুপ থাক।
আচ্ছা চুপ।
ইমুরে আমার প্রেসার উঠছে আর নামছে। তুই আমার বাসায় আয়। তুই না এলে শান্তি পাইনা।
সাজেদা খালার এ অস্থিরতা নতুন কিছুনা। তিনি প্রায়ই এমন করেন।

আমি বিকালের দিকে খালার বাসায় উপস্থিত হলাম। খালা সোফায় বসে ঘাড়ে গরম পানির শেক দিচ্ছেন। আমাকে দেখে তিনি খুব খুশি হয়েছেন এমন ভঙ্গিতে বললেন, ইমু তুই এসেছিস? তোর হাতে এটা কিসের ব্যাগ?
বিয়ের শাড়ি?
কার?
আমার আর মাইশার।
খালা একটি অকৃত্রিম হাসি দিয়ে বললেন, কি বলিস ইমু তুই মাইশাকে বিয়ে করবি? এটা আগে বললে কি হত? আমাকে কি আর শুধু টেনশন করতে হত।
খালা তোমাকে কোন টেনশন করতে হবেনা। এখন বল আমার হবু বউ কোন রুমে আছে?
তার রুমে বসে আছে। বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে আটকিয়ে রেখেছি। তুই খুলে ঢুকে পড়িস।
মাইশা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে সাজছে। তার সাজের জিনিসগুলোও দেখতে খুব সুন্দর। সাজের জিনিস দেখতে সুন্দর না হলে সাজতে ভাল লাগেনা। তার সাজের জিনিসগুলোও সুন্দর আর সেজেছেও খুব সুন্দর করে। তাকে যে ঘরে আটকিয়ে রাখা হয়েছে এটা তার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছেনা। মাইশা খুব শান্ত প্রকৃতির মেয়ে। কোন কিছুতেই অস্থিরতা দেখায় না। যারা সব সময় অস্থির তাদেরকেই বিপাকে পড়তে হয়।
মাইশা এমনিতে দেখতে খুবই সুন্দর। আজ মেক আপ করার জন্য তাকে পরির মত লাগছে। আমাকে দেখে সে বলল, হাতে ওটা কিসের ব্যাগ?
বিয়ের শাড়ি।
কার?
তোর আর আমার। স্যারি বউকে তুই করে বলতে নেই। তোমার আর আমার।
মাইশা নরম গলায় বলল, ওহ আচ্ছা।
যেন আমার সাথে তার বিয়ে হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
আমি বললাম, চলো যাই।
কোথায়?
বিয়ে করতে।
বিয়ে করতে যেতে হবে কেন?
যেতে হবে কারণ বিয়ে আমারা কাজি অফিসে বিয়ে করব।
খালার সামনে দিয়ে মাইশাকে নিয়ে আমি বেরিয়ে আসলাম।
রেদোয়ান বাহিরে অপেক্ষা করছিল। শাড়িটা রেদোয়ানের কিনা। রেদোয়ান হল মাইশার সেই বুড়ো বজ্জাত। কিন্তু আসলে সে মোটেও বুড়ো না। মাইশার চেয়ে মাত্র দু বছরে বড়। খালা রিদোয়ান কে পছন্দ করেনা না, কেন করেন না তা তিনি নিজেও জানেন না।
রেদোয়ানকে দেখে মাইশা নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলনা। শক্ত করে রেদোয়ানকে জড়িয়ে ধরল।
মাইশাকে রেদোয়ানকে মিলিয়ে দিয়ে আমি হাটতে শুরু করলাম, দুটি ভালোবাসাকে একত্রে মিলিয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ পৃথিবীতে আর কিছুতে নেই। এই আনন্দ কেবল ইমুদের স্পর্শ করতে পারেনা। তারা কখনোই আনন্দে ভাগ বসায় না।

লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান।
এম সি কলেজ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ।
র বাজতেই আমি ফোন ধরলাম। ওপাশ থকে সাজেদা খাল, , , , , ,
ইমু সর্বনাশ হয়ে গেছে।
সর্বনাশ হওয়ার মত এমন কি কাজ তুমি করেছ?
ইমু তুই কথা পাকাবি না , আমি যা বলছি তুই মন দিয়ে শুন।
জ্বি আচ্ছা।
আমার ভাগ্নি মাইশাকে তো তুই চিনিস?
চিনি।
মেয়েটা আজ সকালে কি করেছ জানিস?
আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি এমন ভঙ্গিতে বললাম, কি করেছে খালা, চট জলদি বল তো।
ইমু তুই রসিকতা করছিস?
খালা তুমি কি বল? রসিকতা করব কেন?
তুই তো জানিস আমার কোন মেয়ে নাই । আমি মাইশাকে আমার মেয়ের মতো দেখি।
হ্যা জানি।
মেয়েটা যা করেছে তা বলতে আমার খুব লজ্জা লাগছে। তবু তোকে বলতে হবে। তুই আমার শেষ ভরসা।
খালা জলদি বল কি করেছে, আমি ধৈর্য ধরে রাখতে পারছিনা।
মেয়েটা তার বাবার বয়সি একটা বজ্জাতকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আমি বললাম, কি বল খালা।
শুধু তাই না। কড়াকড়ি ভাবে বলে দিয়েছে ওই বজ্জাত ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবেনা।
এতই যখন চাচ্ছে তাহলে বিয়ে দিয়ে দাও।
কি বলিস ইমু? একটা বুড়ো বজ্জাতের হাতে তুলে দিব আমার পরির মতো ভাগ্নিকে।
তুমি তুলে দিতে যাবে কেন? সে তো নিজেই চলে যাচ্ছে। আর তাড়াছা মহিলারা বুড়ো হলেও পুরুষরা কখনো বুড়ো হয়না। তারা চির কিশোর।
তোকে বক বক করতে বলিনি চুপ থাক।
আচ্ছা চুপ।
ইমুরে আমার প্রেসার উঠছে আর নামছে। তুই আমার বাসায় আয়। তুই না এলে শান্তি পাইনা।
সাজেদা খালার এ অস্থিরতা নতুন কিছুনা। তিনি প্রায়ই এমন করেন।

আমি বিকালের দিকে খালার বাসায় উপস্থিত হলাম। খালা সোফায় বসে ঘাড়ে গরম পানির শেক দিচ্ছেন। আমাকে দেখে তিনি খুব খুশি হয়েছেন এমন ভঙ্গিতে বললেন, ইমু তুই এসেছিস? তোর হাতে এটা কিসের ব্যাগ?
বিয়ের শাড়ি?
কার?
আমার আর মাইশার।
খালা একটি অকৃত্রিম হাসি দিয়ে বললেন, কি বলিস ইমু তুই মাইশাকে বিয়ে করবি? এটা আগে বললে কি হত? আমাকে কি আর শুধু টেনশন করতে হত।
খালা তোমাকে কোন টেনশন করতে হবেনা। এখন বল আমার হবু বউ কোন রুমে আছে?
তার রুমে বসে আছে। বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে আটকিয়ে রেখেছি। তুই খুলে ঢুকে পড়িস।
মাইশা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে সাজছে। তার সাজের জিনিসগুলোও দেখতে খুব সুন্দর। সাজের জিনিস দেখতে সুন্দর না হলে সাজতে ভাল লাগেনা। তার সাজের জিনিসগুলোও সুন্দর আর সেজেছেও খুব সুন্দর করে। তাকে যে ঘরে আটকিয়ে রাখা হয়েছে এটা তার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছেনা। মাইশা খুব শান্ত প্রকৃতির মেয়ে। কোন কিছুতেই অস্থিরতা দেখায় না। যারা সব সময় অস্থির তাদেরকেই বিপাকে পড়তে হয়।
মাইশা এমনিতে দেখতে খুবই সুন্দর। আজ মেক আপ করার জন্য তাকে পরির মত লাগছে। আমাকে দেখে সে বলল, হাতে ওটা কিসের ব্যাগ?
বিয়ের শাড়ি।
কার?
তোর আর আমার। স্যারি বউকে তুই করে বলতে নেই। তোমার আর আমার।
মাইশা নরম গলায় বলল, ওহ আচ্ছা।
যেন আমার সাথে তার বিয়ে হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
আমি বললাম, চলো যাই।
কোথায়?
বিয়ে করতে।
বিয়ে করতে যেতে হবে কেন?
যেতে হবে কারণ বিয়ে আমারা কাজি অফিসে বিয়ে করব।
খালার সামনে দিয়ে মাইশাকে নিয়ে আমি বেরিয়ে আসলাম।
রেদোয়ান বাহিরে অপেক্ষা করছিল। শাড়িটা রেদোয়ানের কিনা। রেদোয়ান হল মাইশার সেই বুড়ো বজ্জাত। কিন্তু আসলে সে মোটেও বুড়ো না। মাইশার চেয়ে মাত্র দু বছরে বড়। খালা রিদোয়ান কে পছন্দ করেনা না, কেন করেন না তা তিনি নিজেও জানেন না।
রেদোয়ানকে দেখে মাইশা নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলনা। শক্ত করে রেদোয়ানকে জড়িয়ে ধরল।
মাইশাকে রেদোয়ানকে মিলিয়ে দিয়ে আমি হাটতে শুরু করলাম, দুটি ভালোবাসাকে একত্রে মিলিয়ে দেওয়ার মতো আনন্দ পৃথিবীতে আর কিছুতে নেই। এই আনন্দ কেবল ইমুদের স্পর্শ করতে পারেনা। তারা কখনোই আনন্দে ভাগ বসায় না।

লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান।
এম সি কলেজ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ভাল লেগেছে। তবে একই গল্প দুইবার এসেছে।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

তিসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যা এটা একান্ত অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়েছে যার জন্য আমি দুঃখিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.