![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আনিকার সপ্তম শ্রেণীতে উঠেছে মাত্র। মায়োপিয়ার জন্য তাকে চশমা পরতে হয়। চশমা পরার কারণে তাকে খুব মায়াবী লাগে। দেখতেও খুব সুন্দরী। হালকা পাতলা দেহ গঠন। রিফাত আনিকার সাথে পড়ে। আনিকা জানে রিফাত তাকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু আনিকা এসব পেম ভালোবাসায় বিশ্বাসি না। রিফাত তার সাথে নিজ থেকে কথা বলতে আসলে সে এড়িয়ে চলে।এই নিয়ে রিহাতের মনে খুব ক্ষোভ।
আনিকার স্বপ্ন সে ডাক্তার হবে, এই স্বপ্ন বুকে লালন করে চলছে তার পড়ালেখা। ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল হওয়ার যোগ্যতা থাকলেও সে ফার্স্ট গার্ল নয় কারণ তাদের ক্লাসে এক মেডাম এর মেয়েই প্রথম। এই নিয়ে মাঝে মাঝে তার খুব খারাপ লাগে কিন্তু করার কিছু নেই, এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।
একদিন ক্লাস শেষে আনিকা বাসায় ফিরছিল হঠাত রিফাত এসে আনিকার সামনে দাড়িয়ে বলল, আনিকা তুমি কি আমাকে একটুও পছন্দ করনা?
আনিকা কিছু বলল না।
রিফাত আবার বলল, দেখ আনিকা তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি কিন্তু তুমি যদি আমাকে একটুও না বুঝ তাহলে কি আমার খারাপ লাগবেন?
আনিকা শান্ত গলায় বলল, দেখ রিফাত আমরা এখনো অনেক ছোট, ভালো মন্দ বুঝার বয়স আমাদের এখনো হয়নি আর তাছাড়া আমি অনেক স্বপ্ন নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি আমার স্বপ্ন থেকে ছিটকে পড়তে চাইনা। প্লিজ তুমি বুঝার চেষ্টা করো।
রিফাত কিছু বলল না, চুপচাপ মাথা নিচু করে চলে গেল।
পরদিন রিফাতের এক বন্ধু রিফাতকে বলল, কিরে লাইন পেলি? নাকি আবার ছ্যাকা?
রিফাত কিছু বলল না। এমনিতে তার মন খারাপ তাই নতুন কিছু আর বলতে চাইল না।
রিফাতের আরেক বন্ধু বলল, তোর বাবার অনেক টাকা পয়সা আছে চাইলে তুই এরকম পাচটা মেয়ে তুই তোর পিছনে ঘুরাতে পারবি কিন্তু এই মেয়েটা যে তোকে পাত্তা দিলনা খুব আফসোস লাগছে।
রিফাত নরম গলায় বলল, বন্ধু দেখ আনিকা মেয়ে হিসেবে খুব ভাল আর আমি তাকে খুব ভালোবাসি। তোরা তাকে নিয়ে যা নয় তা বলতে পারিস না।
আরেকটা বন্ধু বলল, কি বলে রে? ভালোবাসে... শালা মেয়েদেরকে ভালোবাসতে নেই। ওরা আজ তোর কাল তার এরপর দিন আর কারো। হাহাহাহহাহা
রিফাত রাগ করে উঠে চলে যেতে লাগল তখন পিছন থেকে আরেকটি ছেলে বলে উঠল, শুন ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েরা ভালোবাসা বিলায় না, কথায় আছেনা ভেজা বেহেস্তের চেয়ে শুকনো দুজখই ভালো। শুন আমি তোকে যে কথা বলি মন দিয়ে শুন।
ছুটি শেষে আনিকা একা একা হেটে যাচ্ছে এমন সময় রিফাত ও তার বন্ধুরা এসে আনিকার সামনে দাড়াল। রিফাত আনিকাকে একটি গালি দিয়ে বলল, আমাকে তোর পছন্দ হয়না? আমি কি পারবনা? কি মনে হয়?
আনিকা খকুব ভয় পেল। সে বলল, রিফাত তুমি এমন করছ কেন? আমি কিন্ত স্যারকে বিচার দিব। এই বলে সে জোর করে হেটে যেতে চাইল ঠিক তখনি রিফাত আনিকার ওরনায় ধরে টান দিল।
আনিকা খুব রেগে গিয়ে বলল, দেখ আমি তোর কি করি। আমি এখনি হেড স্যারের কাছে যাচ্ছি। এই বলেই সে আবার স্কুলের দিকে যেতে চাইল। তখনি রিফাত তার পিছনের পকেটে থাকা একটি ছুরি দিয়ে আনিকাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে গেল।
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল, এখন সে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
আর কত এমন নির্যাতন বাংলাদেশ দেখবে? আর কত খাদিজা রিসা নির্যাতিত হবে?
আর এসব ঘঠনা এখন প্রতিনিতই ঘঠছে কিন্ত প্রশাসনের ঠনক নড়ছে না । অপরাধিরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।
লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান
এম সি কলেজ, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ।
©somewhere in net ltd.