নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইস আমি তো ভুলতে পারিনি

পিকেকে টিটু

পিকেকে টিটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মশক্তির জাগরণ ঘটায় কোয়ান্টাম -অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

রবীন্দ্রনাথের একটা গান আছে, “এই লভিনু সঙ্ঘ তব, সুন্দর হে সুন্দর। পূর্ণ হলো অঙ্গ মম, ধন্য হলো অঙ্গ।” -হে সুন্দর আমি তোমার সঙ্ঘ পেয়েছি, তোমার সান্নিধ্য পেয়েছি। তাই আমি সুন্দর হয়ে উঠেছি। কাজেই সুন্দর হতে হলে সুন্দরের কাছে যেতে হবে। বড় যদি হতে চাই তবে বড়র কাছে যেতে হবে।

এই মুহূর্তে এখানে বসে না থেকে আমরা যদি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের সেই বিশাল ঢেউয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম, তাহলে কি আমরা এখানের এই মানুষটি থাকতাম? না। বিশাল সমুদ্র্রের যে অন্তহীনতা, সেই অন্তহীনতা আমার মধ্যে চলে আসতো। আমি আমার চাইতে বড় হতাম। কিংবা কাঞ্চনজঙ্ঘার সামনে গিয়ে যদি দাঁড়াই, তাহলে কি আমি এই আমি থাকবো? না। কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই শুভ্র অভ্রভেদী অন্তহীন তুষারপাত আমাকে আরো বড় করে তুলবে। কাজেই বড় যদি হতে হয় তবে বড়র কাছে যেতে হবে । আমার যে ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’ -তার প্রতিষ্ঠার পেছনের কারণ হলো এই।



কোর্সের প্রত্যয়নেও আমি সেই দিন কথাটা বলেছি যে, বুদ্ধ ধর্মে বলা হয়, “বুদ্ধং স্মরণং গচ্ছামি, ধম্মং স্মরণং গচ্ছামি, সঙ্ঘং স্মরণং গচ্ছামি।” শুধু ভালো হলেই হবে না, ভালোদের সঙ্ঘ চাই। শুধু ধর্ম হলেই হবে না, ধর্মের ভালো মানুষদের সঙ্ঘ চাই। কারণ সঙ্ঘ না হলে কোনো কিছুই পৃথিবীতে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তো এই যে আপনাদের একটা সঙ্ঘ গড়ে উঠছে এটাও আমার কাছে আনন্দদায়ক। অনেক কৃতজ্ঞ মানুষের একটা সঙ্ঘ, অনেক সুন্দর হয়ে উঠা মানুষের একটা সঙ্ঘ -এই ধরনের সঙ্ঘ আমাদের দেশে যত বাড়বে তত দেশ এগিয়ে যাবে। এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে এই জন্যে আমি অভিনন্দন জানাই যে উন্নততর জীবনের প্রয়াসে উন্নততর মনুষ্যত্বের প্রয়াসে তারা এগিয়ে চলছে। এটা সত্যি সত্যি অভিনন্দন যোগ্য।



একটা কবিতার লাইন মনে পড়ছে- Flesh and blood is weak and frail and susceptible to nervous shock. এই যে মানুষ, সে যতই শক্তিমান হোক, নারভাস শক তাকে দুর্বল করে ফেলতে পারে, ভেঙে ফেলতে পারে। মানুষ অনেক রকম আক্রমণের শিকার হয়। নানা কারণে দুর্বল হয়ে যায়। ভেঙে যেতে পারে। অসহায় হয়ে পড়তে পারে। সুতরাং এইসব মুহূর্তে আমাদের শক্তি দরকার। প্রত্যেকটি মানুষের শক্তি দরকার। যে মানুষ সুস্থ তারও দরকার, আর যে অসুস্থ তার তো দরকারই। আর শক্তির এই জাগরণটা আমি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে দেখেছি। এটা হচ্ছে মানুষের ভেতরের আত্মশুদ্ধিকে জাগ্রত করা, দুর্বল মুহূর্তে একটু আশ্রয় দেয়া- আমরা আছি, তোমার পাশে আমরাও আছি।



মাঝখানে বেশ কড়া অসুখ হয়েছিলো আমার। পর পর দুবার। এটা ছিলো একটা মরাল ব্রেক ডাউন। ফলে আমি ভেঙে যাই একেবারে। প্রথমে ঠিক বুঝতে পারি নি যে কেন এমনটা হচ্ছে। ভেবেছি হয়তো বার্ধক্যের জন্যে এমনটি হচ্ছে। বৃদ্ধরা যেমন নুইয়ে যায়, ঝিমিয়ে যায়, নিস্ক্রিয় হয়ে যায়, অবসন্ন হয়ে যায় -হয়তো আমিও সেরকম অবসন্ন হয়েছি। আমার মনে হয়েছে এটা হয়তো আমার নিয়তি। এটাই আমার হবার কথা ছিলো এবং আমি এর কাছে কিছুটা আত্মসমর্পণ করেছি।



কিন্তু কোর্সে অংশগ্রহণ করে বুঝলাম, এটা বার্ধক্যের জন্য নয়। এটা হয়েছে কারণ আমার মধ্যে আত্মশক্তির অভাব হয়েছে। আমার মধ্যে নেতিবাচকতা চলে এসেছে। এই যে রোগের ক্লান্তি, অবসন্নতা, অসহায়তা সবকিছু আমাকে ভেঙে ফেলেছে। আমার মধ্যে একটা দ্বিধা, আমার মধ্যে একটা নেতিবাচকতার প্রভাব পড়ে গেছে।



কোর্সটা আমি যতটুকু করেছি তার মধ্যেই দেখলাম আমার সেই শক্তি যেন আবার ফিরে এলো। আমি ধরে ফেলতে পারলাম যে আমার অসুবিধাটা কোথায়। আমি বুঝতে পারলাম যে আমার মধ্যে ইতিবাচকতা কমে গেছে। আমি সজাগ হয়ে গেলাম। আমার মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা, আগের চাইতে বাড়লো। আমার বিশ্বাস অসংখ্য মানুষ, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ যারা এখানে আসছেন আমার চাইতেও অনেক খারাপ অবস্থা নিয়ে তারা আসছে। পাশাপাশি ভাবছে আরো খারাপ নাকি হয়ে যায় আমার অবস্থা! এই আতঙ্কের মধ্যে যে প্রতি মুহূর্তে সময় কাটাচ্ছে এবং কষ্ট পাচ্ছে সেই মানুষটা তার থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে। তাদের জেগে ওঠার জন্য কোয়ান্টাম কাজ করছে।



নিজের চাইতে বড় হয়ে ওঠার জন্য এই যে সহযোগিতা একটা প্রতিষ্ঠান করছে সেজন্য আমি ঋণী। এবং সারা জাতি এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণী থাকবে।

quantummethod

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

গোবা বলেছেন: যারা কোয়ান্টাম মেথড নিয়ে আগ্রহী তারা দয়া করে নিচের লিংকটি হতে একটু কষ্ট করে ঘুরে আসুনঃ
https://quantummethodbd.wordpress.com

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.